নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর সমতুল্য কেউ নেই কেন? (এ ক্ষেত্রে কারো বিশ্বাস/অবিশ্বাসের দায়-দায়িত্ব আমার নয়)

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩০




সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* তাতে সব বিলিন হয়, কিন্তু প্রতিপালকের সত্ত্বা বাকী থাকে। সবার এক অবস্থা, কিন্তু প্রতিপালকের অন্য অবস্থা। সেজন্য তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। তাতে সব বিলিন হয়ে প্রতিপালকের সত্ত্বা বাকী থাকে কেন?

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।

* আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। কোন কিছুর জন্য আল্লাহর অন্য কারো দারস্থ্য হতে হয় না এবং আল্লাহর সত্ত্বায় কোন কিছুর ঘাটতি নেই। তারমানে আল্লাহর সত্ত্বায় সবকিছু অসীম মাত্রায় বিদ্যমাণ। সুতরাং আল্লাহ অসীম বা অফুরন্ত। অসীমের সীমা নেই। সেজন্য অসীমকে সীমা দিয়ে একাধীক করা যায় না। সেজন্য আল্লাহ একাই অসীম বা অফুরন্ত। আল্লাহ ছাড়া অন্য আর কেউ অসীম নয়। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ অফুরন্ত নয়। সেজন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য সবাই ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়। অফুরন্ত বিধায় আল্লাহ না ফুরিয়ে বাকী থাকেন। আল্লাহ অফুরন্ত বা অসীম কেমন করে হলেন?

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।

* আল্লাহ এক হওয়াতে তাঁর পূর্বে ছিল শূন্য। কারণ শূন্যের অবস্থান একের পূর্বে। শূন্যের অবস্থান একের পরে করলে সেটা এক না থেকে দশ হয়ে যায়। কিন্তু শূন্যের অবস্থান একের পূর্বে রাখলে উহা শূন্য থাকে।সুতরাং শূন্যের অবস্থান নিশ্চিতভাবে একের পূর্বে। সুতরাং আল্লাহ এক হওয়ায় তাঁর পূর্বে নিশ্চিতভাবে শূন্য ছিল।

শূন্যতে সীমা দেওয়ার মত কিছু নেই। সেজন্য শূন্য অসীম। বস্তু নিকটস্থ্য স্থানের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু শূন্যতে কোন স্থান নেই। সেজন্য শূন্যে বস্তু সবদিকে ধাবিত হতে গিয়ে এর অণু-পরমাণু থেকে ভেঙ্গে গিয়ে এর ইলেক্ট্রন, পোট্রন ও নিউট্রন নামক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু শক্তি সরাসরি শক্তিতেই পরিণত হয়েছে। সকল বস্তর ইলেক্ট্রন, পোট্রন ও নিউট্রন নামক শক্তি এবং সকল শক্তি মিলে অসীম বা অফুরন্ত সর্বশক্তিমান হলেন।

বড় বস্তু সৃষ্টির জন্য সর্বশক্তিমান এর একদিকে চক্রাকার কক্ষপথ তৈরী করলেন। ফলে এগুলো আর বিলিন হচ্ছে না। আর ছোট বস্তু বড় বস্তুতে স্থান লাভ করে টিকে থাকছে। তবে এগুলো বিবিধ কারণে রূপান্তরিত হচ্ছে। রূপ গঠনে সর্বশক্তিমান এর লিমিট বা সীমা দিচ্ছেন। তারপর প্রয়োজনীয় শক্তি তাড়িত করে লিমিট বা সীমায় প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করে কুন বা হও আদেশ দিচ্ছেন। তাতে সেই বস্তু হচ্ছে।

প্রাণী সৃষ্টির জন্য সর্বশক্তিমান প্রাণগুলোকে প্রথমে সৃষ্টি করলেন। তারপর তাদেরকে তাঁর যিকির করার আদেশ দিলেন। সবার যিকিরের বিবরণ তিনি একটি কিতাবে লিখলেন। উক্ত বিবরণ যোগ করে যারা সবচেয়ে উত্তম ফল এবং যারা সবচেয়ে অধম ফল লাভ করলো তাদেরকে আদম (আ.)-হাওয়া (আ.) ও তাদের সন্তান বানানো হলো। তারচেয়ে যারা কম উত্তম ও কম অধম ফল লাভ করলো তাদেরকে জিন বানানো হলো। অন্যদেরকে আঠার হাজার মাখলুকাতে বিভক্ত করে দেওয়া হলো।

যিকিরের বিবরণ যাদের বেশী মাত্রায় মন্দ তাদের জন্য স্থায়ী জাহান্নাম বরাদ্দ করা হলো। তাদের থেকে যাদের যিকিরের বিবরণ উত্তম হলো তাদের জন্য যিকিরের সাথে ইবাদত যোগ করা হলো। সবার ইবাদতের বিবরণ লিখিত হচ্ছে আমল নামায়। তাতে যাদের নেকের পাল্লা ভারী হবে তারা সরাসরি জান্নাতে যাবে। আর যাদের নেকের পাল্লা হালকা হবে তাদেরকে সাময়িক জাহান্নামে যেতে হবে। জাহান্নামে শাস্তি ভোগেরপর তারা জান্নাতে গিয়ে সেখানে স্থায়ী হবে।

যারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে তাদের কিছু ভালো কাজের ফলে তারা জাহান্নামে কম শাস্তি পাবে। যারা চিরস্থায়ী জান্নাতী হবে তাদের কিছু মন্দ কাজের ফলে তারা অন্যদের থেকে কিছুটা কম সুবিধার মধ্যে থাকবে। তারমানে আল্লাহ কারো প্রতি কোন ক্ষেত্রে কোন অবিচার করেননি এবং তিনি কারো প্রতি কোন ক্ষেত্রে কোন অবিচার করবেন না।

সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?

* আল্লাহ বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক; কারণ তিনি কারো প্রতি কোন অবিচার করেননি এবং তিনি কারো প্রতি কোন অবিচার করবেন না। সবার সব হিসাব তিনি হাসরের মাঠে বুঝিয়ে দিবেন। তখন কেউ তার আযাবের জন্য আল্লাহকে দায়ী করবে না। নিজের দায় স্বীকার করে সবাই নিজ নিজ কর্মফল ভোগ করবে। ইত্যাকার সকল কারণে আল্লাহর সমতুল্য কেউ নেই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আল্লাহ সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে সুরাহ লাগছে কেন? আপনি পড়ালেখা করেছেন, নিজ জ্ঞান ও ধারণা থেকে লেখেন।

আমি যখন কিছু লিখি, কারো নাম মুখে আনি না, নিজে যা বুঝি তা লিখি।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ সংক্রান্ত লেখায় তাঁর কথাগুলোকে বিবেচনায় আনার দরকার আছে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:




বাংলাদেশের ৭/৮ বছরের শিশুরা টোকাই হয়ে যাচ্ছে, ইহা কি সুবিচারের উদাহরণ?

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জন্মসূত্রে কেউ বিলিয়নিয়ারের সন্তান। তাদের ভোগের জন্য রয়েছে অঢেল সম্পদ। আর জন্মসূত্রেই কেউ টোকাই তাদের ভোগের জন্য কোন সম্পদ নেই সেজন্য তারা টোকাই। দু’পক্ষের এমন অবস্থা জন্মের পরের কাজের কারণে নয় এটা জন্মের পূর্বের কাজের কারণে। জন্মের পরের কাজের কারণে টোকাই থেকে কেউ কোটি পতি হয় এবং কোটি পতির সন্তান ভিখারী হয়। জন্মের পূর্বের কাজের বিবরণ আল্লাহ একটা কিতাবে লিখে রেখেছেন। তার হিসাব আল্লাহ হাসরে সবাইকে বুঝিয়ে দিবেন। আপতত মুমিনকে বিশ্বাস করতে হবে যে, আল্লাহ কোন ক্ষেত্রে কারো প্রতি কোন রকম অবিচার করেন না। আর আপনি তো জানেন মুমিন তার ঈমানের প্রমাণের পিছনে ছুটে না। আল্লাহ যা বলেন মুমিন সেটার উপরেই ঈমান আনে। আর যারা আপনার মত মুমিন নয় তারা আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে না। তারা টোকাই এর দূরবস্থার জন্য আল্লাহকে দায়ী করে। তারা বলে আল্লাহ বলতে যদি কেউ থেকে থাকেন তবে তিনি টোকাই এর প্রতি অবিচার করেছেন। মুমিন আবার তাদের কথায় একমত নয়। আল্লাহ কারো প্রতি অবিচার করতে পারেন এটা তারা স্বীকার করে না। আল্লাহ কিভাবে টোকাইয়ের প্রতি অবিচার করেননি এটা আপনাকে বুঝাতে গেলে আল্লাহকে কোরআন আরো অনেক বড় করতে হতো। তাতে সেটা মুখস্ত করতে হাফেজদের আরো বেশী কষ্ট করতে হতো। আল্লাহ হাফেজদের কষ্ট বাড়াতে চাননি বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত না লিখে সংক্ষেপে কাজ সেরেছেন। তো আল্লাহর মুমিন প্রয়োজন মোট মানুষের ১% লোক। সেটা আল্লাহ সংক্ষিপ্ত কোরআন লিখেই পেয়ে যাচ্ছেন সেজন্য তিনি এর বিস্তারিত এর দিকে জাননি। তো কারো বিশ্বাস/অবিশ্বাসের দায় আল্লাহ না নিতে চাইলে আমি কেন সেটা নিতে চাইব? সেজন্য আমি শিরনামে লিখে দিয়েছি কারো বিশ্বাস/অবিশ্বাসের দায়িত্ব আমার নয়। আমি যা লিখেছি সেটা কেউ বিশ্বাস করলে করুক, না করলে না করুক তাতে মূলত আমার কোন সমস্যা নেই।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রাণ সৃষ্টির পরে আল্লাহ জিকিরের বিবরন একটা কিতাবে লিখলেন। এটার কি সূত্র/ প্রমাণ হাদিস বা কোরআন থেকে দিলে ভালো হত। আরেকটা ব্যাপার হোল জন্মের পূর্বে মানুষের কাজ সম্পর্কে কিভাবে জানলেন আপনি?

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২২ হাজ্জ্ব, ৭০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। তুমি কি জাননা যে আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? এসব এক কিতাবে আছে। এটা আল্লাহর নিকট সহজ।

সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ভূ-পৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ূ মন্ডলে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি। আমি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখিনি। তারপর তাদের সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্রিত করা হবে।

* যেহেতু আল্লাহ কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখেননি সেহেতু যিকিরের সম্পূর্ণ বিবরণ কিতাবে লিখিত হয়েছে।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। যিকিরের পর আমি কিতাব লিখে দিয়েছি, যেন আমার সালেহ বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হয়।

* যিকিরের পর তিনি কিতাব লিখেছেন এবং এর মাধ্যমে তিনি জেনেছেন কে সালেহ বান্দা এবং কে সালেহ বান্দা নয়। আর এর মাধ্যমে তিনি অধিকার প্রদান করেছেন। আর জন্মের আগের অধিকারের কাজ তো জন্মের আগেই হয়েছে। এটা বুঝতে এমন আর কি সমস্যা?

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আল্লাহের সমতূল্য বিষয়ে আমার মনে হয় কেউই কখনো প্রশ্ন করে না। কিছু মানুষ দেখেছি পৃথীবিতে অন্য কোন বিষয় না পেয়ে এই বিষয়ে বিশাল জ্ঞ্যানগর্ভ আলোচনা করেন। দয়া করে আপনিও তাদের দলে পরবেন না। সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে সবার ধারনা স্পস্ট। কেউ ঘুরিয়ে বোঝে কেউ সোজাসুজি বোঝে।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আর কেউ মোটেই বুঝে না। যেমন সোনাগাজী বুঝেননি যে টোকাইয়ের প্রতি কিভাবে সুবিচার করা হয়েছে? আল্লাহ নিজেকে ন্যায়বিচারী দাবী করেছেন, সেটা কিভাবে তা’ অনেকের বোধগম্য নয় বলে ফকির আলমগীর গেয়েছেন, ছায়াবিনি পুতুল রূপি বানাইয়া মানুষ, যেমনি নাচাও তেমনি নাচে পুতুলের কি দোষ? তো পুতুলের দোষ না হলে তবে কি সব দোষ আল্লাহর? কিন্তু আল্লাহ তো নিজের কোন দোষের কথা স্বীকার না করে সরাসরি বলে দিলেন তাঁর সব হলো প্রশংসা। সুতরাং সবার বুঝ এক রকম নয়। তেমন হলে কেউ আর মুমিনের ঈমানের বিরোধীতা করতো না।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ঈশ্বরকে তৈরি করেছে মানুষ।
শুধু তৈরি না রক্ষা করে বাচিঁয়ে রেখেছে মানুষ।
ঈশ্বরের নিজস্ব শক্তি থাকলে বান্দাকে ঈশ্বর রক্ষায় সারাক্ষণ চাপাতি নিয়ে হাটাহাটি করা লাগতো না।
শৃষ্টির পর থেকে এযাবত হাজার হাজার ঈশ্বর বিলুপ্ত হয়ে গেছে বান্দার অবহেলায় বা পুজার অভাবে।
হ্যা টিকিয়ে রাখতে জিকির করতে হবে,
ঈশ্বরের সবচে ভয় শিরিখ, মানে তাকে কেউ শরিক করে কিনা, মানে গদি হারানোর ভয়।
মানে বার বার আল্লাহ এক আল্লাহ এক উচ্চারন!
প্রশ্ন কি আসে না? এই বিশাল মহান ঈশ্বর কতিপয় বান্দার সামনে বেত নিয়ে বসে বলে বার বার 'আল্লাহ এক' 'আল্লাহ এক' জপ করতে! ঈশ্বর এতই নাদান?
আসলে ঈশ্বরকে তৈরি করেছে কিছু মানুষ। মানে কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ি।
শুধু তৈরি না, বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে রক্ষা করে বাচিঁয়ে রেখেছে ধর্ম ব্যবসায়ি মানুষ।

শৃষ্টির পর থেকে লাখ লাখ বছর বনে জংগলে, শেষদিকে এযাবত হাজার হাজার ঈশ্বর, দেবতা তৈরি হয়েছিল,
প্রায় সবই বিলুপ্ত হয়ে গেছে বান্দার অবহেলায় বা পুজার অভাবে। ঈশ্বর তুষ্টি দেবতাদের তুষ্ট করতে ভুলতে ভুলতে সব ঈশ্বর বিলুপ্ত।
এরপর দিন বদলেছে এবার আর মুর্তি না। অদৃশ্ব ঈশ্বর।
অদৃশ্ব ঈশ্বর সাত আসমানের উপরে। ঈশ্বর তুষ্টি অব্যাহত রাখতে ৫বেলা উপাসনা আর বাকি সময় জিকির। মানুষ আর ভুলবে না, ঈশ্বরও বিলুপ্ত হবে না।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পোষ্টের সাথে আপনার মন্তব্যের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। এগুলো আসলে ঝড়ের মতই অসংলগ্ন কথাবার্তা। আপনি যেভাবে মন্তব্য করলেন আমি সেভাবেই জবাব দিলাম। আশাকরি কিছু মনে করবেন না।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা হজ্জের ৭০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে আল্লাহ লৌহে মাহফুজে সব কিছু যা ঘটবে সেগুলি লিখে রেখেছেন। এটার দ্বারা প্রমাণিত হয় না যে জন্মের আগেও মানুষ আমল করতো বা জিকির করতো। প্রাণ সৃষ্টির পরে তাদের জিকিরের কম বেশীর ভিত্তিতে আল্লাহ কাউকে পশু পাখি কাউকে মানুষ এবং কাউকে জীন বানালেন এগুলি আপনি কোথায় পেলেন।

সুরা আম্বিয়ার ১০৫ নং আয়াতের ৪ টা অনুবাদ দিলাম নীচে দিলাম। জিকর অর্থ এখানে উপদেশ বা বাণী।

১। আর উপদেশ দেয়ার পর আমি কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, ‘আমার যোগ্যতর বান্দাগণই পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে’। আল-বায়ান

২। বাণী দেয়ার পর আমি যুবূরে লিখে দিয়েছিলাম যে, আমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাহ্গণই পৃথিবীর উত্তরাধিকার লাভ করবে। তাইসিরুল

৩। আমি উপদেশের পর কিতাবে লিখে দিয়েছি যে, আমার যোগ্যতাসম্পন্ন বান্দারা পৃথিবীর অধিকারী হবে। মুজিবুর রহমান

৪। And We have already written in the book [of Psalms] after the [previous] mention that the land [of Paradise] is inherited by My righteous servants.

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৮ আনফাল, ৪৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৫। হে মুমিনগণ! তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখিন হবে তখন অবিচলিত থাকবে। আর অধিক আল্লাহর যিকির করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

সূরাঃ ৭২ জিন, ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। যা দ্বারা আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করতাম। যে তার রবের যিকির হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন দুঃসহ আযাবে।

* সৃষ্টির রূপ-আকৃতি লাভের পূর্বে রূহের জগতে ইবাদত ছিল না। সুতরাং তখন তাদের শ্রেণীভেদের উপায় ছিল শুধুমাত্র যিকির। সুতরাং এ সিদ্ধান্তে সহজেই উপনিত হওয়া যায় যে যিকিরের বিবরণ অনুযায়ী তখন শ্রেণীভেদ হয়েছিল।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, এর সাথে একমত।

তাছড়া পৃথিবীতে বোধ সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে, ঈশ্বর বা আল্লাহর দৌরাত্ম্যও তত কমবে।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অত:পর কেয়ামত হবে। তারপর হাসরে আল্লাহ সবাইকে তার কাজের হিসাব বুঝিয়ে দিবেন।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পৃথিবীর কোন মুসলিমই আল্লাহর সমতুল্য অন্য কাউকে ভাবে না, সুতরাং এ বিষয়ে পোস্ট করে ফায়দা কি?
অবশ্য আপনি একজন আল্লাহ বিশেষজ্ঞ লুক, এ বিষয়ে পোস্ট করা আপনাকেই মানায়।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিমদের সন্তানরাও ভিন্ন চিন্তায় আক্রান্ত হয়। সেজন্য জানা বিষয়ও চর্চার দরকার আছে যাতে বিষয়টা মনে বদ্ধমূল থাকে।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারপর হাসরে আল্লাহ সবাইকে তার কাজের হিসাব বুঝিয়ে দিবেন। - জ্ঞান আরেক ধাপ বৃদ্ধি পাইলো!! :-B

আচ্ছা আল্লাহর হিসেব নেবে কে? সে যে প্রতিদিন এত এত দূর্ণীতি করে তার কি হবে?

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর দূর্নীতি করার বিষয়টি মানুষের ভুল ধারণা।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী সাহেব সুন্দর কথা বলেছেন।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেটা কোন মুমিনের কথা নয়।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: আরেকজন আল্লাহ নাই বলে। সৃষ্টকর্তা আছেন অনেক।সেই সব সৃষ্টি কর্তার আবার আলাদা আলাদ আলাদা ধর্ম আছে।কোন সৃষ্টকর্তা সবথেকে বেশি শক্তিশালী সেটা প্রমানের কোন ব্যবস্থা নাই।তাই যার যার সৃষ্টিকর্তাকে তারা শ্রেষ্ঠ বলে।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৯

জ্যাকেল বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা একজনই। তিনি মানুষকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করেছেন, জ্ঞান দান করেছেন, কথা বলা শিখিয়েছেন। বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট কিন্তু মানুষের সৃষ্টি হইতেছে ঘোলা রহস্য। বিবর্তনবাদ মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারে একদম সীমিত বিধায় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করা ছাড়া উপায় নাই (আল্লাহ অজানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রেখেছেন পবিত্র কোরআনে)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.