নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২১।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কিছু লোক এলহাম প্রাপ্ত ছিল। আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকলে সে ওমর বৈকি?
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।
* এলেমের প্রধান অংশ রাসূলকে (সা.) প্রদান করা হয় এবং এলেমের অবশিষ্টাংশ হযরত ওমরকে (রা.) প্রদান করা হয়। বিষয়টি রাসূলের (সা.) স্বপ্ন দ্বারা জানা যায়। আর রাসূলের (সা.) স্বপ্নও অহী হিসাবে বিবেচিত হয়। রাসূলের (সা.) এলেম ওহি দ্বারা পরিচালিত এবং হযরত ওমরের (রা.) এলেম এলহামদ্বারা পরিচালিত।সুতরাং হযরত ওমরের (রা.) কাজ দীন ইসলামের বরখেলাপ ছিলো না। সুতরাং রাসূলের (সা.) পর তাঁর খলিফা হিসাবে হযরত ওমর (রা.) কর্তৃক হযরত আবু বকরের (রা.) নাম প্রস্তাব দীন ইসলামের অংশ ছিলো।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।
# সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৪০। আল্লাহ তা’আলা জিহাদ পরিত্যাগকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা যদি আমার মহান রাসূলের (সা.) সাহায্য সহযোগিতা ছেড়ে দাও তবে জেনে রেখ যে, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি নিজে তাঁর সহায়ক ও পৃষ্ঠপোষক। ঐ সময়ের কথা তোমরা স্মরণ কর যখন হিজরতের সময় কাফেররা আমার রাসূলকে (সা.) হত্যা করা বা বন্দী করা বা দেশান্তর করার চক্রান্ত করেছিল। তখন তিনি প্রিয় সহচর আবু বকরকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে গোপনে মক্কা থেকে বেরিয়ে যান। সেই সময় তাঁর সাহায্যকারী কে ছিল? তিনদিন পর্যন্ত তারা সাওর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের ধাওয়াকারীরা তাঁদেরকে না পেয়ে যখন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবেন, তখন তাঁরা মদীনার পথ ধরবেন।ক্ষণে ক্ষণে আবু বকর (রা.) ভীত বিহবল হয়ে উঠেন যে, না জানি কেউ হয়ত জানতে পেরে রাসূলকে (সা.) কষ্ট দিবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সান্তনা দিয়ে বললেন, হে আবু বকর! দু’জনের কথা চিন্তা করছ কেন? তৃতীয় জন যে আল্লাহ রয়েছেন।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৮ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৮। হযরত আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (হিজরতের সময়) যখন আমরা গুহায় অবস্থান করেছিলাম, তখন আমি নবি করিমকে (সা.) বললাম, কাফেরদের কেউ তাদের পায়ের নীচের দিকে তাকালে অবশ্যই আমাদেরকে দেখে ফেলবে। নবি করিম (সা.) বললেন, হে আবু বকর! সে দু’জন (লোক) সম্পর্কে তুমি কি মনে কর, যাদের তৃতীয় জন হলেন আল্লাহ।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৯৪ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৯৪। যুবাইর ইবনে মোতইম (রা.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, একদা এক মহিলা বললেন, আচ্ছা বলুন তো, আমি পুনরায় আগমন করে আপনাকে না পেলে? মহিলা যেন নবির (সা.) ওফাতের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন। নবি (সা.) বললেন, তুমি আমাকে না পেলে তবে আবু বকরের (রা.) নিকট যাইও।
* হযরত আবু বকর (রা.) ছিলেন আল্লাহ এবং তাঁর নবি (সা.) উভয়ের সাহাবী। কারণ তিনি তাঁদের তিনজনের একজন ছিলেন। সুতরাং রাসূলের (সা.) পর হযরত ওমর (রা.) নবুয়তের খলিফা হিসাবে সঠিক লোকের নাম প্রস্তাব করেছেন। হযরত আবু বকর (রা.) তাঁর পর নবুয়তের খলিফা হিসাবে হযরত ওমরের (রা.) নাম প্রস্থাব করে সঠিক লোকের নাম প্রস্তাব করেছেন। যিনি দীন ইসলামের প্রধান অংশের পর এর অবশিষ্টাংশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
৩৪২৫। হযরত আবু মূসা আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবীর (সা.) সাথে মদীনার কোন একটি বাগানে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে ফটক খুলে দিতে বলল। নবি (সা.) বললেন, তার জন্য দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান কর। অতঃপর আমি দরজা খুলে দিতেই দেখলাম, আগন্তুক ব্যক্তি আবু বকর (রা.)।তখন আমি তাকে নবি (সা.) এর বক্তব্য অনুযায়ী সুসংবাদ দিলাম।তিনি আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করলেন। তারপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। নবি করিম (সা.)বললেন, আগন্তুককে দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।আমি দরজা খুলতেই দেখলাম আগুন্তুক ব্যক্তি ওমর (রা.)। তখন আমিতাঁকে নবি (সা.) প্রদত্ত সুসংবাদটি জানিয়ে দিলাম। তিনিও আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। তারপর আরেক ব্যক্তি এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। নবি করিম(সা.)বললেন, তাকে অনুমতি দাও এবং তার উপর দুনিয়ার কঠিন বিপদ আসবে একথা বলে তাকেও জান্নাতের সুসংবাদ দাও। আমি দরজা খুলে দিতেই দেখলাম, আগন্তুক ব্যক্তি ওসমান (রা.)। আমি তাঁকে নবি (সা.) এর প্রদত্ত সুসংবাদটি জানিয়ে দিলাম। তিনি আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করলেন। তারপর বললেন, আল্লাহই সহায়।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১২ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১২। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন হে ওসমান (রা.)! আল্লাহ তা’আলা একদিন তোমাকে এ কাজের (খিলাফতের) দায়িত্ব অর্পণ করবেন। তখন মুনাফিকরা ষড়যন্ত্র করবে, যেন আল্লাহ প্রদত্ত জামা (খিলাফতের দায়িত্ব) তোমার থেকে খুলে ফেলতে পারে, যা আল্লাহ তোমাকে পরিয়েছেন। তুমি কখনো তা’ খুলে দেবে না। তিনি এ বাক্যটি তিন বার বললেন।
* হযরত ওমরের (রা.) পর নবুয়তের খলিফা নির্বাচনে হযরত ওমরের (রা.) শুরা গঠন ছিলো দীন ইসলামের অবশিষ্টাংশের অংশ। উক্ত শুরা আল্লাহর খলিফা হযরত ওসমানকে (রা.) নবুয়তের খলিফা হিসাবে নিয়োগ দান করে।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।
হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪৩৮ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪৩৮। হযরত সাদ (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি (সা.) আলীকে (রা.) লক্ষ্য করে বলে ছিলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে মর্যাদার দিক হতে মূসা (আ.) এর নিকট হারুণ (আ.) যে পর্যায়ের ছিলেন তুমিও আমার নিকট সে পর্যায়ে আছ।
সহিহ তিরমিযী, ৩৬৫৭ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৬৫৭। হযরত হুবশী ইবনে জুনাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,আলী আমার থেকে এবং আমি আলীর থেকে। আমার কোন কাজ হয় আমি নিজেই সম্পন্ন করি অথবা আমার পক্ষ থেকে তা আলীই সম্পন্ন করে।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭১২ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭১২। হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মিম্বরে উঠে বলেন, আমার এ পুত্র (হাসান) ইমাম হবে এবং আল্লাহ তার দ্বারা দুটি ঝগড়া পূর্ণ দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করাবেন।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১নং হাদিসের [রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।
রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।
* আল্লাহর খলিফা হযরত ওসমানের (রা.) পর নবুয়তের খলিফা হন নবির (সা.) খলিফা হযরত আলী (রা.)। তাঁরপর হযরত হাসান (রা.) ইমাম ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.) বাদশা ছিলেন। তারপর আব্বাসীয়গণ ছিলেন ইসলামের খলিফা ও রাজা। মাঝখানের উমাইয়া শাসকেরা ছিলো অবৈধ শাসক। তারা ছিলো ইয়াজিদ ও বনু মারওয়ান। নবুয়তের খলিফা ও ইসলামের খলিফাগণ উত্তম বিদয়াত চালু ও প্রতিষ্ঠিত করেন।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৫৩ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৫৩। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের এ দীনের মধ্যে নতুন কিছুর (বিদয়াত) সংযোজন করবে, যা এতে নেই, তা’ বাতিল।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৫৪ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৫৪। হজরত হাজার ইবনে হাজার(র.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ইয়াবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) এর কাছে যাই, যাঁর সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের জন্য কোন অসিুবিধা নেই,যারা আপনার কাছে এ জন্য আসে যে আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলুন আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না’।
রাবী বলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালামকরি এবং বলি,আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার সেবার জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহকরার জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সাথে নামাজ আদায়ের পর,আমাদের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতে আমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্তহয়। আমাদের মধ্যে একজন বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! মনেহচ্ছে এটা আপনার বিদায়ী ভাষণ,কাজেই আপনি আমাদেরকে আরোকিছু অসিয়ত করেন। তখন তিনি (সা.)বলেন, আমি তোমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শুনা ও মানার জন্যও, যদিও তোমাদের আমির হাবশী গোলাম হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহু মতবিরোধ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিৎহবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরন করা। যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরন করবে।তোমরা বিদয়াতের অনুসরন করা ও অনুকরণকরা হতে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদয়াত এবং প্রত্যেক বিদয়াতই পথভ্রষ্টতা।
* সুতরাং ইসলামে যা নতুন উত্তম নতুন ছাড়া তা’ বিদয়াত। উত্তম নতুনকে নবুয়তের খলিফাগণ উত্তম বিদয়াত হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৮১ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৮১। হযরত ইবনে ওমর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন,আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তাঁর কাছে গিয়ে হাজির হলাম। লোকজন তাঁর প্রশংসা করে বলল, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন! তিনি তখন বললেন, আমি আশাবাদী ও সন্ত্রস্ত। তখন লোকেরা বলল, আপনি কাউকে খলিফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বললেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাংখা খিলাফতের ব্যাপারে আমার ভাগ্যে কেবল নিস্কৃতি জুটুক। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই। আমি যদি কাউকে খলিফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত আছে) কেননা, আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি [আবু বকর (রা.)] খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন। আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে যাই, তাহলে আমার উত্তম (অনুসরনীয়) যিনি ছিলেন [রাসূলুল্লাহ (সা.)] তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে গিয়েছেন। রাবী বলেন, তিনি যখন রাসূলুল্লাহর (সা.) এর কথা উল্লেখ করেন তখনই আমি বুঝে নেই যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না।
* খলিফা মনোনীত করার উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন খোলাফায়ে রাশেদার প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)।
সহিহ বোখারী ১৮৭০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭০। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানের সাথে এবং ছাওয়াবের আশায় (নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে শেহাব বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং হকুমও এ অবস্থায়ই রয়ে গেল। তারপর আবু বকর (রা.) এর সম্পূর্ণ খেলাফত আমল এবং ওমরের (রা.) খেলাফত আমলের প্রথম ভাগ এ অবস্থায়ই কেটে গেল। (এ সময়) সকলেই একা একা তারাবীহ পড়ত।ইবনে শিহাব ওরওয়াহ ইবনে জোবায়ের থেকে বর্ণনা করেছেন,আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী বলেছেন, আমি রমযানের এক রাতে ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। ;দেখলাম,বিভিন্ন অবস্থায় বহুলোক একা একা নামায পড়ছে।তখন হজরত ওমর (রা.) বললেন,আমার মনেহয় এদের সকলকে একজন কারীর সাথে জামাতভুক্ত করে দিলে সর্বাপেক্ষা ভাল হবে।অতঃপর তিনি তাই করার মনস্থ করলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর পিছনে জামাতভুক্ত করে দিলেন। এরপর আমি দ্বিতীয় রাতে আবার তাঁর সাথে নামাজে বের হলাম। দেখলাম, লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামাজ পড়ছে। ওমর (রা.) বললেন এটি একটি উত্তম বিদয়াত। রাতের যে অংশে লোকেরা নিদ্রা যায়, তা যে অংশে তারা ইবাদত করে তদপেক্ষা উত্তম।অর্থাৎ রাতের প্রথমভাগ অপেক্ষা শেষ ভাগের নামায অধিক উত্তম। এটিই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।
* ঘোষণা দিয়ে উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন খোলাফায়ে রাশেদার দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)।
সহিহ বোখারী ৮৬৩ নং হাদিসের (কিতাবুল জুমুয়া) অনুবাদ-
৮৬৩। হজরত সায়েব ইবনে ইয়াযিদ (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমরের (রা.) সময়ে ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন তখন প্রথম আযান দেয়া হত। অনন্তর যখন ওসমানের (রা.) খেলাফতের সময় আসে এবং লোকসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধি পায় তখন ওসমান (রা.) জুমুয়ার দিনে তৃতীয় আযানের নির্দেশ দেন এবং জাওরা হতে আযান দেয়া হতে থাকে। তারপর এ রেওয়াজ চলতে থাকে।
* খোলাফায়ে রাশেদার তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা.) জুমুয়ার নামাজে একটি বাড়তি আযানের উত্তম বিদয়াত চালু করেন।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
* মদীনার মোনাফেক ও ফিতনাবাজদের থেকে ইসলাম রক্ষায় মদীনা থেকে ইসলামের রাজধানী সরিয়েছেন সবুয়তের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.)।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সহিহ মুসলিম, ৮৩ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৮৩। হযরত তারিক ইবনে শিহাব বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন নামায়ের পূর্বে খুতবা দেওেয়ার বিদয়াতী প্রথার প্রচলন করেন। এসময় এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ‘খুতবার আগে নামায সম্পন্ন করুন’।মারওয়ান বললেন, এখন থেকে সে নিয়ম পরিবর্তন করা হলো। সাথে সাথে আবু সাঈদ খুদরী (রা.) উঠে বলেন, এ ব্যক্তি তার কর্তব্য পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ গর্হিত কাজহতে দেখলে সে যেন স্বহস্তে পরিবর্তন করে, তার সে ক্ষমতা না থাকলে মুখ দ্বারা এর পরিবর্তন করবে। আর সে সাধ্যও না থাকলে,তখন অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে, এক্ষেত্রে এটাই হচ্ছে ঈমানের দূর্বলতম পরিচয়।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* নিকৃষ্ট বিদয়াত চালু করার চেষ্টা করে অবৈধ শাসনের প্রতিষ্ঠাতা মারওয়ান। কওমে মারওয়ান সে অবৈধ শাসন জারী রাখে। তাদের সময়ে মুসলমান তিহাত্তর দলে বিভক্ত হয়ে ইসলাম বিনষ্ট করে।তারপর আব্বাসীয়গণ হানাফী মাযহাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামকে অভিন্ন করে। যা ছিলো উত্তম বিদয়াত। সকল উত্তম বিদয়াত নবুয়তের খলিফা ও ইসলামের খলিফা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিধায় এটি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* সকল উত্তম বিদয়াত আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিধায় এটিকে সঠিক নয় বলার কোন সুযোগ নাই।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিদয়াত উত্তম বিদয়াত। এটি মুমিনদের পথের অংশ।উত্তম বিদয়াতের পথ মুমিনদের পথ বিধায় এর বিরোধীতাকারী নিকৃষ্ট মতভেদকারী ও জাহান্নামী।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিদয়াত নিয়ে আপনি মাথা না ঘামালেও চলবে।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫
কথামৃত বলেছেন: ইসলামের জন্য বিদয়াত করা যাবে, মধ্যে নয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিদয়াত অবশ্যই ইসলামের অংশ। এর বাইরে কারো কোন কথা ইসলাম স্বীকৃত নয়।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোরআন হাদিস যতই মনোযোগ দিয়ে পড়ছি ধর্মের প্রতি বিকর্ষণ ততই বেড়ে যাচ্ছে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।
সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর যারা আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা মনে করে, তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত মুক ও বধির। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন হেদায়াতের সরল সহজ পথের সন্ধান দেন।
সূরাঃ ৬১ সাফফ, ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫। স্মরণ কর মুসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ যখন তোমরা জান যে, আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল? অত:পর তারা যখন বক্র পথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। বস্তুত শুধু তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দূর করে দিলাম। তারা কালামকে ওর স্থানসমূহ থেকে বিকৃত করে দেয়। আর তাদেরকে যা কিছু উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা তার মধ্য থেকে এক বড় অংশ ভুলে যায়। আর ভবিষ্যতেও তাদের অল্প কয়েকজন ছাড়া তাদের কোন না কোন খেয়ানতের খবর তোমার কাছে আসতে থাকবে।অতএব তুমি তাদেরকে মাফ করতে থাক এবং তাদেরকে উপেক্ষা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচারী লোকদেরকে ভালো বাসেন।
* আল্লাহ চাইলে ইসলামের প্রতি আগ্রহ বাড়তেই থাকে।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: বিদআত হচ্ছে সওয়াবের আশায় বা ইবাদতের উদ্দেশ্যে এমন কিছু করা যা কুরআন বা সহী হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত নয়। ভাল, মন্দ সকল বিদআতই হচ্ছে ভ্রষ্টতা এবং ভ্রষ্টতার পরণাম জাহান্নামের আগুন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উত্তম বিদয়াতের পক্ষে কোরআন ও হাদিস থাকে। আর উত্তম বিদয়াত আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত হয়।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: এলেম মানে তো জ্ঞান; আর এলহাম মানে কী?
আল্লাহ রাব্বুল আ-লামীন আমাদের সকলকে ফিৎনা ফ্যাসাদে লিপ্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা করুন এবং আমাদের অন্তরসমূহকে এমনভাবে আলোকিত করুন যেন আমরা কখনো ফিৎনা ফ্যাসাদের সহযোগী না হই!
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২৮ কাসাস, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। আমরা মুসার মায়ের নিকট ওহী পাঠালাম তাকে দুধপান করাতে। যখন তুমি তার বিষয়ে কোন আশংকা করবে তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে। আর ভয় করবে না ও দুঃখ করবে না।আমি অবশ্যই তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দেব।আর তাকে রাসুলদের একজন করব।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।
* নবি ছাড়া অন্যদের নিকট যে ওহী পাঠানো হয় সেটাকে এলহাম বলে। যা ওহী হিসাবে আখ্যায়িত সেটা শুধুমাত্র পুরুষের নিকট পাঠানো হয় এবং যা এলহাম হিসাবে আখ্যায়িত তা’ নারী-পুরুষ উভয়ের নিকট পাঠানো হয়।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: লেখক বলেছেন: উত্তম বিদয়াতের পক্ষে কোরআন ও হাদিস থাকে। আর উত্তম বিদয়াত আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত হয়। কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা যদি কিছু সাব্যস্ত হয় সেটা তো বিদআত না! কুরআন হাদীস দ্বারা যেটা সাব্যস্ত করা যায় না সেটাই বিদআত আর সমস্ত বিদআত হোক ভাল কি মন্দ ভ্রষ্টতা। রাসুল সাঃ বলেন দ্বীনের মধ্যে নতুন যা কিছুর আমদানী তা প্রত্যাখ্যাত।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাসূল (সা) জামায়াতে নফল নামাজ পড়েছেন। হযরত ওমর (রা) জামায়াতে তারাবিহ পড়ার আদেশ দিয়ে এটাকে উত্তম বিদয়াত বলেছেন। হযরত আলী (রা) জামায়াতে তারাবিহ পড়ার বিরোধীতা করেছেন। সহাবায়ে কেরামের (রা) সর্ববৃহৎ দল জামায়াতে তারাবিহ নামাজে শরিক হয়েছেন। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক জামায়াতে তহারাবিহ নামাজ গৃহিত হয়েছে। সুতরাং উত্তম বিদয়াত ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। আপনি কি মনে করেন সেটা ইসলামের বিবেচ্য বিষয় নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২৮
অহরহ বলেছেন: বিদয়াত মানে কী? ইসলামকে বিদায় সর্মধনা দেয়া, @ জাগতিক ভাইয়া??