নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতভেদ থেকে কোনটি মানবেন?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৭



চার হাজারের উপর ধর্ম ও মত থেকে পরিস্কার মানুষের মধ্যে মতভেদ কি পরিমাণ? চাঁদগাজী তাঁর সাথে যারা মতভেদ করেন তাদেরকে লিলিপুটিয়ান, ডোডো পাখি, পিগমি, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন ইত্যাদি বলে থাকেন। রানু তার মত প্রতিষ্ঠায় বিরতিহীন ভাবে লিখে চলছে। অপর মতের উপর জয়ী হতে ক্রসেড যুদ্ধ চলেছে বহুকাল।ধর্মের বিরুদ্ধে অনেকে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলছেন। সেই দলের একজন চাঁদগাজী জ্বীন বিশ্বাস করতে চায় না বিজ্ঞানে নেই বলে। কিন্তু বিজ্ঞানে এককালে যেটা থাকে না অন্য কালে সেটা বিজ্ঞানে থাকে নব আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানের জ্বীন আবিষ্কারের আগে চাঁদগাজী মারা গেলে তার আর জ্বীন বিশ্বাস করা হবে না।

সব বিজ্ঞানীর সব কথা লজিক্যাল নয়। কিছু বিজ্ঞানী বলছে, সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নাই। অথচ আমরা সব কিছু বানালে হতে দেখি। সুতরাং সবকিছু এমনি এমনি হয়েছে এমন কথা মূলত মিথ্যা। এমন ডাঁহা মিথ্যা কথা কোন বিজ্ঞানী বললেও মানা যায় না। আর সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সৃষ্টিকর্তা বসে থাকলেন কোন আক্কেলে? তিনি এমনি এমনি কেন হলেন না? সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সবকিছুর সাথে সৃষ্টিকর্তাও এমনি এমনি হওয়ার কথা। সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তার না থাকার কথা বলায় মূলত কোন লজিক নাই। সেটা কোন বিজ্ঞানী বললেও সেটা মানা যায় না।

আমরা দেখছি বানালে হয়, বিজ্ঞানী বলছে এমনি এমনিও হয়। দু’টা্ সত্য হলে গবেষণার বিষয় হলো এমনি এমনি কি হয়? ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যেহেতু সবচেয়ে বড় তাহলে তাঁকে আর কে বানাবে? সুতরাং এমনি এমনি হওয়ার তালিকার প্রথম স্থানে আমরা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে রাখতে পারি। তো কেউ এমনি এমনি হলে সসীম হবে নাকি অসীম হবে? এ ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হলো কেউ এমনি এমনি হলে অসীম হবে। কারণ এমনি এমনি হওয়ায় সীমাদাতা থাকে না। আর সীমাদাতা না থাকার করণেই এমনি এমনি হতে গিয়ে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা অসীম হয়েছেন। অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে অসীমে সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং অসীম শুধুই একজন ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা। পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি সমগোত্রিয় হয়। অসীম একাধীক না হওয়ায় তাঁর পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি কিছুই নাই।

ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসীরা তাঁর থাকার কথা বিশ্বাস করে। যারা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার থাকায় অবিশ্বাস করে তাদের নিজে নিজে হওয়া সূত্রেই ঈশ্বরের থাকার বিষয় সহজভাবে বোধগম্য হয়। সুতরাং ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা না থাকার গল্প কোনভাবেই সঠিক নয়।

কোন একজনকে দেখে থাকলে বা তার কথা শুনে থাকলে তাকে বিশ্বাস করা যায়। আমি জ্বীনের কথা নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করি। চাঁদগাজী জ্বীন দেখেননি এবং জ্বীনের কথা শুনেননি সেজন্য তিনি জ্বীন বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব? আমার মা জ্বীনের কথা শুনেছেন। আমি আমার মায়ের কথা বিশ্বাস করি। আমি চাঁদগাজীর কথা বিশ্বাস করি না। জ্বীন বিষয়ে চাঁদগাজীর কথায় কোন লজিক নাই।

হাজার মানুষ হাজার রকম কথা বলে।তাদের মধ্যে রয়েছে অন্তহীন মতভেদ। তার মধ্যে থেকে আমি সেইমত গ্রহণ করব যেটা লজিক্যাল। আমার মা আবার বাবার কথা বলেছেন। সেটা মেনে আমি চির জীবন একজনকে বাবা মেনে আসছি। তাহলে আমি তাঁর কথায় জ্বীন কেন বিশ্বাস করব না? চাঁদগাজীর কথায় আমি জ্বীন অবিশ্বাস করব কোন কারণে? চাঁদগাজী এ ক্ষেত্রে কিভাবে সঠিক? তথাপি এ বিষয়ে চাঁদগাজী মতার মত অযথা সবার উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে। যা নেহায়েত বিরক্তি কর।আমার মত হলো মতভেদ হতে আমি সেই মত মানব যেটা লজিক্যাল। বিজ্ঞান লজিক্যাল কথা বললে আমি অবশ্যই তা’ মেনে নেব। কিন্তু বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ লজিক বিহীন কথা বললে আমি তা’ মানতে মোটেও বাধ্য নই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: মৃত্যুর পর বিজ্ঞান বিশ্বাসীদের কী হবে তার উত্তর তারা জানেনা, ধর্ম বিশ্বাসীরাও কোন প্রমাণ দিতে পারবেনা তবে বিশ্বাস এর তৃপ্তি আছে। মৃত্যুর পর তার কী হবে সেটা বিশ্বাস করে

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিশ্বাস ও অবিশ্বাসে লজিককে প্রাধান্য দেওয়া যায়। প্রমাণ যেখানে থাকে না সেখানে লজিকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫

বিষাদ সময় বলেছেন: কয়কেদিন আপনার অনুপস্থিতিতে চিন্তিত ছিলাম। যাক ভাল আছেন দেখে ভাল লাগলো।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৭

পথিক২৪ বলেছেন: বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ লজিক বিহীন কথা বললে আমি তা’ মানতে মোটেও বাধ্য নই।
ভাল লিখেছেন ।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের করা ধর্ম মানা যায়।যুক্তি তথ্য প্রমান সহ।কিন্তু ঈশ্বরের বরাত দিয়ে প্রচার করা ধর্ম মানা যায় না।ঈশ্বর মানুষের সাথে কথা বলেছে তার কোন প্রমান নাই।ফেরেস্তা টেরেস্তাদেরতো আরো প্রমান নাই।সবই গালগল্প।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইসলাম ধর্মে জ্বীনের উপর বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইবলিশ শয়তান কে জ্বীন হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। ইবলিশ কিসের তৈরি এই প্রশ্ন মানুষের মনে আসতো কোন না কোন দিন।

আপনি আমার মন্তব্য পছন্দ করেন না জানি। তবুও আমি আপনার ব্লগ পড়তে এসে কমেন্ট করি। কারণ আমার ব্লগিং শুরুর দিকে আপনারা ৩/৪ জন কমেন্ট না করলে এত গুলো ব্লগ লিখতে পারতাম না।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: এমনি এমনি হয়েছে কোন বিজ্ঞানী বলে নাই।তারা তারা তথ্য প্রমান দিয়ে হওয়ার কারণ ব্যখ্যা করেছেন।কোয়ান্টাম তত্ত্বে তার ব্যাখ্যা দেয়া আছে।এগুলি মিমাংসিত বিষয়।কেউ মানে কেউ মানে না। ধার্মীকরা মানে না।মানলেতো তার ধর্মই থাকে না।তারা ধপাস তত্ত্বে বিশ্বাসী।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩২

নাহল তরকারি বলেছেন: গ্রামের গরীব মানুষের জ্বীন কে বাঘ ও সাপের মত ভয় পায়। তার মনে করে জ্বীন কি না কি? আসলে আমার দৃষ্টিতে জ্বীন একটি প্রাণী। জ্বীন আমরা দেখি না, কারন আমরা সব রং আমাদের চক্ষু দেখতে পারে না।

এখন অনেক কিছু বলতে চাইছিলাম। কিন্তু গুছিয়ে লেখতে পারমু না।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

এ পথের পথিক বলেছেন: এসব গাজীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় " আপনি কি অনু, পরমানুর গঠন নিজের চোখে দেখেছেন,ইলেক্ট্রনের গতিবিধি কি দেখাতে পারবেন ? যদি না পারেন তাহলে বিশ্বাস করেন কেন এসবের অস্তিত্ব আছে । " হয়ত তারা উত্তর দিবে বিজ্ঞানিরা এসব তাদের স্পেশাল যন্ত্র দ্বারা এসবের উপস্থিতি প্রমান করেছেন । কিন্তু এসব তো সবার জন্য আম ভাবে উন্মুক্ত করা সম্ভব না । কিন্তু তারপরও বিশ্বাস করেন । ঠিক তেমনি আমরা বলি আমরা বলি ' আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করি, রসুল সঃ সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন, আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য কুরআন পাঠিয়েছেন, কুরআনে আল্লাহ্‌ জীনের বিষয়ে বলেছেন ', এখন এসব গাজিরা এসব বিশ্বাস করবেন না । কেন ভাই ?

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


জ্বীন নিয়ে বইমেলায় বই বের হয়েছিলো?

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রফেসর সাহেবের সাথে আমার একটা ছবি আছে।
নোবেল পুরস্কার লাভের পর তুলেছিলাম।
এখন এই ছবিটি ব্যবহার করে আমি একটি পোস্টার ছাপিয়ে জনগণের দোয়া পেতে চাই।

কাজটি কি সঠিক হবে?

আপনার পরামর্শ চাই।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

নতুন বলেছেন: কোন একজনকে দেখে থাকলে বা তার কথা শুনে থাকলে তাকে বিশ্বাস করা যায়। আমি জ্বীনের কথা নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করি। চাঁদগাজী জ্বীন দেখেননি এবং জ্বীনের কথা শুনেননি সেজন্য তিনি জ্বীন বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব? আমার মা জ্বীনের কথা শুনেছেন। আমি আমার মায়ের কথা বিশ্বাস করি। আমি চাঁদগাজীর কথা বিশ্বাস করি না। জ্বীন বিষয়ে চাঁদগাজীর কথায় কোন লজিক নাই।

আপনি যেহেতু জ্বীনের কথা শুনেছেন তাই আপনি অন্য লেভেলের মানুষ, আমরা অলৌকিক কিছু হতে পারে সেটা বিশ্বাস করিনা, কারন ১+১=২ হবে, এখন যখন =৩ দেখায় সেখানেই ঘাপলা আছে, মানে লুকিয়ে কোন ভাবে ১ যোগ করে সেটা অলৌকিক বলে দাবী করেছে।

আপনি বিশ্বাস করতে থাকুন, সেটা আপনার চয়েচ।

কিন্তু বিজ্ঞানের গবেষনা পদ্বতী না জেনে বুঝে বিজ্ঞান প্রকৃয়ার সমালোচনা করলে চলে?

আপনার বর্তমান সময়ের প্রতিটা ক্ষনে দুনিয়াতে যেই সব জিনিস ব্যবহার করেন তার পেছনে বিজ্ঞানের অবদান আছে। কিছু মানুষ যৌক্তিক ভাবনার কারনেই দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি জ্বীন বিশ্বাস করে বসে থাকতো তবে এতো দিন ঊট চরিয়েই খেতে হতো মানব জাতীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.