নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মতভেদ থেকে কোনটি মানবেন?

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৭



চার হাজারের উপর ধর্ম ও মত থেকে পরিস্কার মানুষের মধ্যে মতভেদ কি পরিমাণ? চাঁদগাজী তাঁর সাথে যারা মতভেদ করেন তাদেরকে লিলিপুটিয়ান, ডোডো পাখি, পিগমি, প্রশ্নফাঁস জেনারেশন ইত্যাদি বলে থাকেন। রানু তার মত প্রতিষ্ঠায় বিরতিহীন ভাবে লিখে চলছে। অপর মতের উপর জয়ী হতে ক্রসেড যুদ্ধ চলেছে বহুকাল।ধর্মের বিরুদ্ধে অনেকে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলছেন। সেই দলের একজন চাঁদগাজী জ্বীন বিশ্বাস করতে চায় না বিজ্ঞানে নেই বলে। কিন্তু বিজ্ঞানে এককালে যেটা থাকে না অন্য কালে সেটা বিজ্ঞানে থাকে নব আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানের জ্বীন আবিষ্কারের আগে চাঁদগাজী মারা গেলে তার আর জ্বীন বিশ্বাস করা হবে না।

সব বিজ্ঞানীর সব কথা লজিক্যাল নয়। কিছু বিজ্ঞানী বলছে, সব কিছু এমনি এমনি হয়েছে, সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নাই। অথচ আমরা সব কিছু বানালে হতে দেখি। সুতরাং সবকিছু এমনি এমনি হয়েছে এমন কথা মূলত মিথ্যা। এমন ডাঁহা মিথ্যা কথা কোন বিজ্ঞানী বললেও মানা যায় না। আর সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সৃষ্টিকর্তা বসে থাকলেন কোন আক্কেলে? তিনি এমনি এমনি কেন হলেন না? সব কিছু এমনি এমনি হয়ে থাকলে সবকিছুর সাথে সৃষ্টিকর্তাও এমনি এমনি হওয়ার কথা। সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তার না থাকার কথা বলায় মূলত কোন লজিক নাই। সেটা কোন বিজ্ঞানী বললেও সেটা মানা যায় না।

আমরা দেখছি বানালে হয়, বিজ্ঞানী বলছে এমনি এমনিও হয়। দু’টা্ সত্য হলে গবেষণার বিষয় হলো এমনি এমনি কি হয়? ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা যেহেতু সবচেয়ে বড় তাহলে তাঁকে আর কে বানাবে? সুতরাং এমনি এমনি হওয়ার তালিকার প্রথম স্থানে আমরা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তাকে রাখতে পারি। তো কেউ এমনি এমনি হলে সসীম হবে নাকি অসীম হবে? এ ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর হলো কেউ এমনি এমনি হলে অসীম হবে। কারণ এমনি এমনি হওয়ায় সীমাদাতা থাকে না। আর সীমাদাতা না থাকার করণেই এমনি এমনি হতে গিয়ে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা অসীম হয়েছেন। অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে অসীমে সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং অসীম শুধুই একজন ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা। পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি সমগোত্রিয় হয়। অসীম একাধীক না হওয়ায় তাঁর পিতা, মাতা, সন্তান, স্ত্রী ইত্যাদি কিছুই নাই।

ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসীরা তাঁর থাকার কথা বিশ্বাস করে। যারা ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার থাকায় অবিশ্বাস করে তাদের নিজে নিজে হওয়া সূত্রেই ঈশ্বরের থাকার বিষয় সহজভাবে বোধগম্য হয়। সুতরাং ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা না থাকার গল্প কোনভাবেই সঠিক নয়।

কোন একজনকে দেখে থাকলে বা তার কথা শুনে থাকলে তাকে বিশ্বাস করা যায়। আমি জ্বীনের কথা নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করি। চাঁদগাজী জ্বীন দেখেননি এবং জ্বীনের কথা শুনেননি সেজন্য তিনি জ্বীন বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব? আমার মা জ্বীনের কথা শুনেছেন। আমি আমার মায়ের কথা বিশ্বাস করি। আমি চাঁদগাজীর কথা বিশ্বাস করি না। জ্বীন বিষয়ে চাঁদগাজীর কথায় কোন লজিক নাই।

হাজার মানুষ হাজার রকম কথা বলে।তাদের মধ্যে রয়েছে অন্তহীন মতভেদ। তার মধ্যে থেকে আমি সেইমত গ্রহণ করব যেটা লজিক্যাল। আমার মা আবার বাবার কথা বলেছেন। সেটা মেনে আমি চির জীবন একজনকে বাবা মেনে আসছি। তাহলে আমি তাঁর কথায় জ্বীন কেন বিশ্বাস করব না? চাঁদগাজীর কথায় আমি জ্বীন অবিশ্বাস করব কোন কারণে? চাঁদগাজী এ ক্ষেত্রে কিভাবে সঠিক? তথাপি এ বিষয়ে চাঁদগাজী মতার মত অযথা সবার উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে। যা নেহায়েত বিরক্তি কর।আমার মত হলো মতভেদ হতে আমি সেই মত মানব যেটা লজিক্যাল। বিজ্ঞান লজিক্যাল কথা বললে আমি অবশ্যই তা’ মেনে নেব। কিন্তু বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ লজিক বিহীন কথা বললে আমি তা’ মানতে মোটেও বাধ্য নই।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: মৃত্যুর পর বিজ্ঞান বিশ্বাসীদের কী হবে তার উত্তর তারা জানেনা, ধর্ম বিশ্বাসীরাও কোন প্রমাণ দিতে পারবেনা তবে বিশ্বাস এর তৃপ্তি আছে। মৃত্যুর পর তার কী হবে সেটা বিশ্বাস করে

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিশ্বাস ও অবিশ্বাসে লজিককে প্রাধান্য দেওয়া যায়। প্রমাণ যেখানে থাকে না সেখানে লজিকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৫

বিষাদ সময় বলেছেন: কয়কেদিন আপনার অনুপস্থিতিতে চিন্তিত ছিলাম। যাক ভাল আছেন দেখে ভাল লাগলো।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি আমাকে মিস করেন জেনে ভালো লাগলো।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৭

পথিক২৪ বলেছেন: বিজ্ঞানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ লজিক বিহীন কথা বললে আমি তা’ মানতে মোটেও বাধ্য নই।
ভাল লিখেছেন ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্ম অথবা বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রে লজিককে গুরুত্ব দিতে হবে।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের করা ধর্ম মানা যায়।যুক্তি তথ্য প্রমান সহ।কিন্তু ঈশ্বরের বরাত দিয়ে প্রচার করা ধর্ম মানা যায় না।ঈশ্বর মানুষের সাথে কথা বলেছে তার কোন প্রমান নাই।ফেরেস্তা টেরেস্তাদেরতো আরো প্রমান নাই।সবই গালগল্প।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঈশ্বরের বাকশক্তি থাকলে এবং তাঁর কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করলে তাঁর কারো সাথে কথা বলতে সমস্যা কি? এখানে আপনার কথায় লজিক নাই।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইসলাম ধর্মে জ্বীনের উপর বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইবলিশ শয়তান কে জ্বীন হিসাবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। ইবলিশ কিসের তৈরি এই প্রশ্ন মানুষের মনে আসতো কোন না কোন দিন।

আপনি আমার মন্তব্য পছন্দ করেন না জানি। তবুও আমি আপনার ব্লগ পড়তে এসে কমেন্ট করি। কারণ আমার ব্লগিং শুরুর দিকে আপনারা ৩/৪ জন কমেন্ট না করলে এত গুলো ব্লগ লিখতে পারতাম না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অপছন্দ হওয়ার কারণে আমি আপনার অনেক মন্তব্য মুছে দিয়েছি। আর জ্বীন বিশ্বাস না করে কেউ মুসলিম থাকে না।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: এমনি এমনি হয়েছে কোন বিজ্ঞানী বলে নাই।তারা তারা তথ্য প্রমান দিয়ে হওয়ার কারণ ব্যখ্যা করেছেন।কোয়ান্টাম তত্ত্বে তার ব্যাখ্যা দেয়া আছে।এগুলি মিমাংসিত বিষয়।কেউ মানে কেউ মানে না। ধার্মীকরা মানে না।মানলেতো তার ধর্মই থাকে না।তারা ধপাস তত্ত্বে বিশ্বাসী।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোয়ান্টাম তত্ত্বে কি আছে? এসব তত্ত্ব বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই ধার্মিকরা বিশ্বাস করে না।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩২

নাহল তরকারি বলেছেন: গ্রামের গরীব মানুষের জ্বীন কে বাঘ ও সাপের মত ভয় পায়। তার মনে করে জ্বীন কি না কি? আসলে আমার দৃষ্টিতে জ্বীন একটি প্রাণী। জ্বীন আমরা দেখি না, কারন আমরা সব রং আমাদের চক্ষু দেখতে পারে না।

এখন অনেক কিছু বলতে চাইছিলাম। কিন্তু গুছিয়ে লেখতে পারমু না।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে কোন এক কালে হয়ত জ্বীন দৃশ্যমান হবে।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

এ পথের পথিক বলেছেন: এসব গাজীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় " আপনি কি অনু, পরমানুর গঠন নিজের চোখে দেখেছেন,ইলেক্ট্রনের গতিবিধি কি দেখাতে পারবেন ? যদি না পারেন তাহলে বিশ্বাস করেন কেন এসবের অস্তিত্ব আছে । " হয়ত তারা উত্তর দিবে বিজ্ঞানিরা এসব তাদের স্পেশাল যন্ত্র দ্বারা এসবের উপস্থিতি প্রমান করেছেন । কিন্তু এসব তো সবার জন্য আম ভাবে উন্মুক্ত করা সম্ভব না । কিন্তু তারপরও বিশ্বাস করেন । ঠিক তেমনি আমরা বলি আমরা বলি ' আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করি, রসুল সঃ সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন, আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য কুরআন পাঠিয়েছেন, কুরআনে আল্লাহ্‌ জীনের বিষয়ে বলেছেন ', এখন এসব গাজিরা এসব বিশ্বাস করবেন না । কেন ভাই ?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গাজীদের কথায় লজিক নাই।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


জ্বীন নিয়ে বইমেলায় বই বের হয়েছিলো?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ বিষয় আমি অবগত নই।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রফেসর সাহেবের সাথে আমার একটা ছবি আছে।
নোবেল পুরস্কার লাভের পর তুলেছিলাম।
এখন এই ছবিটি ব্যবহার করে আমি একটি পোস্টার ছাপিয়ে জনগণের দোয়া পেতে চাই।

কাজটি কি সঠিক হবে?

আপনার পরামর্শ চাই।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাতে আপনার লাভ না হলেও প্রপেসর সাহেবের লাভ হবে। কারণ তাতে তাঁর প্রচার আরো বাড়বে।

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

নতুন বলেছেন: কোন একজনকে দেখে থাকলে বা তার কথা শুনে থাকলে তাকে বিশ্বাস করা যায়। আমি জ্বীনের কথা নিজ কানে শুনে বিশ্বাস করি। চাঁদগাজী জ্বীন দেখেননি এবং জ্বীনের কথা শুনেননি সেজন্য তিনি জ্বীন বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব? আমার মা জ্বীনের কথা শুনেছেন। আমি আমার মায়ের কথা বিশ্বাস করি। আমি চাঁদগাজীর কথা বিশ্বাস করি না। জ্বীন বিষয়ে চাঁদগাজীর কথায় কোন লজিক নাই।

আপনি যেহেতু জ্বীনের কথা শুনেছেন তাই আপনি অন্য লেভেলের মানুষ, আমরা অলৌকিক কিছু হতে পারে সেটা বিশ্বাস করিনা, কারন ১+১=২ হবে, এখন যখন =৩ দেখায় সেখানেই ঘাপলা আছে, মানে লুকিয়ে কোন ভাবে ১ যোগ করে সেটা অলৌকিক বলে দাবী করেছে।

আপনি বিশ্বাস করতে থাকুন, সেটা আপনার চয়েচ।

কিন্তু বিজ্ঞানের গবেষনা পদ্বতী না জেনে বুঝে বিজ্ঞান প্রকৃয়ার সমালোচনা করলে চলে?

আপনার বর্তমান সময়ের প্রতিটা ক্ষনে দুনিয়াতে যেই সব জিনিস ব্যবহার করেন তার পেছনে বিজ্ঞানের অবদান আছে। কিছু মানুষ যৌক্তিক ভাবনার কারনেই দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। তারা যদি জ্বীন বিশ্বাস করে বসে থাকতো তবে এতো দিন ঊট চরিয়েই খেতে হতো মানব জাতীর।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সকল বিজ্ঞানীর সকল কথা সঠিক নয় এবং জ্বীন বিশ্বাস কোন কাজের প্রতিরোধক নয়। যে মুসলিম সে জ্বীন বিশ্বাস করবেই। কারণ জ্বীন বিশ্বাস না করলে কেউ মুসলিম থাকে না। সে কাফের হয়ে যায়।

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আমি তর্ক করবো না।
শুধু জানুন- আমি চাঁদগাজী/সোনাগাজীর পক্ষের লোক।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেটা সবাই জানে। আপনাদের উভয়ের অনেক কথায় লজিক নাই।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

নতুন বলেছেন: কিন্তু আমি জ্বীনের কথা স্পষ্ট শুনায় আমি কোন দিন জ্বীন অবিশ্বাস করব না। আমি যা শুনলাম তা’ অন্য কেউ না শুনলে আমি তার দলে কেন যাব?

আপনি জ্বীনের সাথে কথা বলেছেন। সেই অভিঙ্গতার কথা বলুন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার পাড়াত বন্ধু বলল তার দাদীর সাথে জ্বীন আছে। তারা তাদের দাদীর সাথে থাকা জ্বীনের সাথে কথা বলবে। পড়ার অনেককে তারা জ্বীনের সাথে কথপোকথন শুনতে দাওয়াত দিল। লোকে তাদের ঘর ভরে গেল। মহাবুড়ি দাদী একাই পর্দার আড়ালে গেলেন। তারপর লোকে প্রশ্ন করে জ্বীন উত্তর দেয়। জ্বীনের কন্ঠ জোয়ান এবং পুরুষের তবে মানুষের কন্ঠ নয়। তাতে আমরা বিশ্বাস করলাম জ্বীনই কথা বলছে। আর বন্ধুর দাদীকে দেখে আমাদের মোটেও ফ্রট মনে হয়নি। সেজন্যই আমরা বিষয়টা বিশ্বাস করলাম।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৫২

নতুন বলেছেন: **Dissociative Identity Disorder (DID)** বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসে যা **"জ্বীনে ধরা"** হিসেবে পরিচিত হতে পারে, এর কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। যদিও এই লক্ষণগুলো "জ্বীনে ধরা" বলে ব্যাখ্যা করা হয় অনেক জায়গায়, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। নিচে DID-এর লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো:

---

### **DID-এর সাধারণ লক্ষণ**
1. **একাধিক ব্যক্তিত্ব বা সত্তার উপস্থিতি (Multiple Identities):**
- রোগীর মধ্যে দুই বা ততোধিক স্বতন্ত্র সত্তা বা ব্যক্তিত্ব থাকে।
- প্রতিটি সত্তার নিজস্ব নাম, আচরণ, চিন্তা, এবং পছন্দ থাকে।
- সত্তাগুলো সময়ে সময়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং একে অপরের সম্পর্কে অজানা থাকতে পারে।

2. **স্মৃতিভ্রংশ বা "ব্ল্যাকআউট" (Memory Gaps):**
- রোগী তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ভুলে যেতে পারে।
- বিশেষ কোনো সত্তার নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় ঘটে যাওয়া ঘটনা স্মরণে থাকে না।
- "ব্ল্যাকআউট"-এর মতো অনুভূতি হয়, অর্থাৎ রোগী বুঝতে পারে না, সে কীভাবে বা কেন একটি জায়গায় এসেছে।

3. **আচরণে আকস্মিক পরিবর্তন (Sudden Changes in Behavior):**
- আচরণ হঠাৎ বদলে যায়।
- কণ্ঠস্বর, উচ্চারণ, এবং শরীরের ভঙ্গিমা পাল্টে যেতে পারে।
- পরিবেশের প্রতি সত্তাগুলোর প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে।

4. **অন্য সত্তার কণ্ঠ শুনতে পাওয়া (Hearing Voices):**
- রোগী নিজের মাথার ভেতরে অন্য সত্তার কণ্ঠ শুনতে পায়।
- এটি সাধারণত "হ্যালুসিনেশন" মনে হতে পারে।

5. **মানসিক ও শারীরিক সমস্যা (Mental and Physical Symptoms):**
- বিষণ্নতা (Depression)
- উদ্বেগ (Anxiety)
- মাথাব্যথা, দেহে ব্যথা বা অস্পষ্ট শারীরিক কষ্ট।

6. **আচরণ ও ব্যক্তিত্বে সম্পূর্ণ ভিন্নতা (Distinct Personality Changes):**
- এক সত্তা শান্ত হতে পারে, অন্যটি আক্রমণাত্মক।
- এক সত্তা নির্দিষ্ট ভাষায় কথা বলছে, যা অন্য সত্তা জানে না।

7. **বিভ্রান্তি এবং সময়ের গ্যাপ (Confusion and Time Loss):**
- রোগী সময় সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়।
- কিছু সময় "খুঁজে পাওয়া যায় না," যেমন এক ঘণ্টা বা একদিন কিভাবে কেটে গেল, তার কোনো ধারণা থাকে না।

8. **পরিচয়ের সংকট (Identity Confusion):**
- রোগী তার পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত হয়।
- কখনো মনে হতে পারে, সে আসলেই কে তা সে জানে না।

9. **নিজের শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো (Out of Body Experiences):**
- রোগী নিজের শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতি পায়।
- মনে হয়, সে নিজেকে বাইরের দিক থেকে দেখছে।

10. **অযৌক্তিক আচরণ বা কথা বলা (Unusual Behavior or Speech):**
- একটি সত্তা এমন কিছু করতে বা বলতে পারে যা অন্যান্য সত্তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়।
- বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ, বা ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে পারে।

---

### **ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসে জ্বীনে ধরা**
DID-এর অনেক লক্ষণ স্থানীয় সংস্কৃতিতে "জ্বীনে ধরা" বা "অতিপ্রাকৃত সত্তা দ্বারা প্রভাবিত" হিসেবে দেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- কণ্ঠস্বর বদলে যাওয়া।
- নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো।
- স্মৃতিভ্রংশ বা অস্বাভাবিক আচরণ।
এগুলোকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, এগুলো মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা।

---

### **DID কেন ঘটে?**
DID সাধারণত শৈশবের ট্রমার কারণে হয়।
- **গভীর মানসিক আঘাত বা নির্যাতন (Trauma or Abuse):** শারীরিক, মানসিক, বা যৌন নির্যাতনের কারণে এটি হতে পারে।
- মস্তিষ্কের আত্মরক্ষার প্রক্রিয়ায় এটি বিকশিত হয়।

---

### **DID সারানোর উপায় বা চিকিৎসা:**
DID পুরোপুরি সারানো কঠিন হতে পারে, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

1. **থেরাপি (Therapy):**
- **টক থেরাপি (Talk Therapy):** সত্তাগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনার চেষ্টা করা।
- **ট্রমা ফোকাসড থেরাপি:** রোগীকে তার শৈশবের ট্রমা মোকাবিলা করার কৌশল শেখানো।

2. **ওষুধ:**
- DID সরাসরি নিরাময়ের জন্য কোনো ওষুধ নেই।
- কিন্তু ডিপ্রেশন বা এংজাইটির জন্য অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ দেওয়া হয়।

3. **সমর্থনমূলক পরিবেশ:**
- রোগীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা।
- পরিবারের সহযোগিতা ও বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

---

### **উপসংহার:**
Dissociative Identity Disorder (DID)-এর লক্ষণগুলোকে অনেক সময় "জ্বীনে ধরা" বলে ভুল বোঝা হয়। এটি একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা, যা চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক মানসিক চিকিৎসা এবং পরিবারের সহায়তা রোগীকে সুস্থতার পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

নতুন বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.