নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
ধানসিঁড়িটির তীরে স্বপরিবারে ঘুরতে গেলাম। শালিক সাহেব পিছনে এসেই বসলেন। মেয়ে ছবি তুলতে গেলেই উড়ে গেলেন। বকের ঝাঁক কয়েকবার মাথার উপর দিয়ে টহল দিলেন। ছাগল ছানা খেলছিল বেশ চমৎকার ভাবে। তাদের সাথে আনন্দে যোগ দিল মানুষের বাচ্চা। কুকুর দম্পতি খাবরের জন্য এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করছিল।
জীবনান্দ দাস পার্কের উদ্ভোধন না হতেই আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে গেল। পাশের মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, মনে করে ছিলাম দেশটা ধ্বংস হয়ে গেল। এখন দেখছি দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।জীবনান্দ দাস পার্কের স্থাপনা ঘুরে দেখলাম। ইমাম সাহেব বললেন, ঠিকাদার টাকা তুলতে পেরেছে। যাক এমন সুন্দর স্থাপনা যারা তৈরী করেছে তারা ক্ষতির মধ্যে পড়েনি জেনে শান্তি পেলাম। গিন্নিকে বললাম, দেখা যাক বিএনপি এসে আর কি করে?
নদীর অপর পাড়ে যাওয়ার জন্য একটা ব্রীজ আছে। অপর পাড়ে নদীর পাড়ের সরু পথের দু’ধারে সরু পথের দু’ ধারে আছে গাছের সারি এবং ঝরা পাতা। নির্জন স্থান বেছে কয়েক জনকে কবিতা আবৃত্তি করে রেকড করতে দেখলাম। সেদিকে গিয়ে তাদেরকে আর ডিস্টার্ব করলাম না। নদীর পাড়ে হাঁটতে থাকলাম। একটা ক্যানেলের উপর একটা গাছ ফেলে রেখেছে। ওটার উপর হাঁটার জন্য ধরার মত কিছু নাই। গিন্নি কে বললাম, ওটা পার হওয়া আমাদের কাজ নয়। সুতরাং ফিরে আসলাম। তখন দেখলাম সূর্য মামা দীগন্তে অস্ত যাচ্ছে। নদীর দু’পাড়ে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। কন্যাদেরকে বললাম, ধানসিঁড়ি নদীর নাম ঠিক আছে। মাঠের শেষে দেখা যাচ্ছিল দূরের গ্রাম। একজন নদীতে মাছ ধরছিলেন। ফিরার পথে দেখলাম রাখাল গরুর পাল নিয়ে ফিরছে। এখনকার গরুগুলো গফুরের গরুর মত নয়। বেশ মোটাসোটা।
মাঠ-ঘাট, নদী-নালা, ধানের ক্ষেত, দূরের গ্রাম, ব্রীজ-শাঁকো, ছাগল শিশু, নৌযান, হরেক রকম গাছ-পালা, শাক-সবজি চাষ, গ্রামের সরল মানুষ, মসজিদের ইমাম, শালিক ও তাদের কিচির-মিচির, বকের ঝাঁকের বার বার টহল। তারা মাথার খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। একটা শিশু গড়িয়ে অনেক নীচ পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল। গিন্নীকে বললাম, ঘুরাঘুরি কেমন ছিল? সে বলল অতি চমৎকার। গাবখান সেতু দু’বার পাড়ি দেওয়া হলো। মেয়েরা সেখানে যাত্রা বিরতি করতে চেয়েছিল। তাদেরকে আগামী শুক্রবারের কথা বলে এবারের যাত্রা সংক্ষেপ করলাম। মেয়েরা পারিবারিক ছবিই বেশী তুলেছে। যারা সেখানে গিয়েছে তারা ছবি তোলাতেই ব্যস্ত ছিল। একটা মেয়েকে খুব কিউট ভুতের মত মনে হচ্ছিল। পরে তাদের পরিবারকে একত্রে দেখলাম। আমি বললাম, এরা কিউট ভুত পরিবার। বড় ছোট সবাই একরকম। তারা সবাই ছিল চোখ জুড়ান ভুতের মত। সব মিলিয়ে আনন্দটা চমৎকার ছিল। আর আমার কবিতার নায়িকা কিন্তু অরিজিনাল। তবে তাকে নিয়ে ঘুরাঘুরির সাহস পাচ্ছি না।সে যেন পাশাপাশি বসিবার মনলতা সেন। কোথা থেকে এসে জুটেছে কে জানে? বললাম, তোমাকে নিয়ে কাব্য হবে। সে বলল, আচ্ছা। স্ত্রী বললেন, ওসব বনলতার জন্য কোন ছাড় নয়। আমি বললাম, আচ্ছা। স্ত্রীদের কথায় আসলে ‘না’ বলা যায় না। বনলতা সেটা বুঝে। সে বলল, আমি একটা পাঠাগার গড়ব। আপনি এবং মা-বাবা, এর নিয়মিত পাঠক হবেন। আমি বললাম, আচ্ছা। ভাবলাম সেই পর্যন্ত আগে তো বাঁচি। তবে পাঠক হওয়া আমার প্রিয় কাজ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠান্ডায় আমার খুব সমস্যা হয়। সাট এবং গেঞ্জির বদলে সাট অথবা গেঞ্জি পরা দরকার ছিল। কিন্তু সার্টে শীত মানাবে না বিধায় গেঞ্জি পরেই গেলাম। এর জন্য দায়ী শীতের মাত্রা।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনাকে স্মার্ট লাগছে অনেক।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জনগণ আমাকে স্যার বলতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অবশ্য বাড়ী গেলে পাজামা-পাঞ্জাবী পরি তখন জনগণ মাওলানা সাহেব বলে।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনি আমাদের বাড়ির কাছাকাছি (ধানসিঁড়ি নদী) গিয়েছেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি ২০০৫ সাল থেকে ঝালকাঠিতে আছি। ধানসিঁড়ি নদী আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে বেশী দূরে নয়। আজ যে পার্কে গেলাম এটা ছত্রকান্দা বারই বাড়ী। তো যেখানে বসে চটপটি খেলাম তার উপর ছিল একটা ছাতা। চটপটিতে ছিল বোম্বাই মরিচ। তাতে আমার চোখে পানি এসে গেল। মেয়েরা বলল, ছত্রের নীচে আব্বুর কান্দা ছত্রকান্দা। তো আপনার এলাকার নাম কি?
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: বাহ চমৎকার। এখানে ঘুরতে যেতে হবে একদিন।
আরো কয়েকটা ছবি যোগ করতেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ছবি বেশী দিলে অনেকে বিরূপ সমালোচনা করে।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৩
জনারণ্যে একজন বলেছেন: হাতে ঢোলকলমীর ফুল, পায়ে চামড়ার সেন্ডেল, সাথে টিশার্টের উপর কোট - চ্রম স্টাইল।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঢোলকলমীর ফুল দিয়ে গিন্নীকে ভালোবাসা জানিয়ে ছিলাম। মেয়েরা সেই ছবি তুলে ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: ছবিতে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।কিন্তু এই বয়সে সার্টের সাথে কোট মানাতো ভালো।