নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সসীমের সৃষ্টিকর্তা বা তৈরী কারক না থাকা এবং অসীমের সৃষ্টিকর্তা বা তৈরী কারক থাকা সম্ভব নয়

০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫২



সৃষ্টি বা তৈরী হয় লিমিট বা সীমা অনুযায়ী। সেজন্য লিমিট বা সীমা না দিলে সসীম বা লিমিটেড সৃষ্টি বা তৈরী হয় না।লিমিট বা সীমা না দিলে সসীম বা লিমিটেড না হয়ে অসীম হয়। অসীম একাধীক হয় না। কারণ একাধীক করতে অসীমে লিমিট বা সীমা দিতে হয় এবং লিমিট বা সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। একাধীক না হতে পারার কারণে সকল অসীম একত্রিত হয়ে একাকার হয়ে এক (আহাদ) হয়েছেন। তিনি দেখলেন তিনি ছাড়া আর কিছুই নাই।তিনি যা হওয়ার ইচ্ছা করেছেন তিনি এর লিমিট (সীমা) দিয়ে হও বলার পর তা’ হয়েছে অথবা কোন কিছুর লিমিট দেওয়া হয়ে গেলে সেটা হয়ে যায়। সসীমের লিমিট (সীমা) প্রদানের জন্য তিনি সকল সসীমের সৃষ্টিকর্তা।সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখতে একে পালন করতে হয়, সেজন্য সৃষ্টিকর্তা হয়ে গেলেন পালনকর্তা।সসীমের জীবন যাপনেও লিমিট বা সীমা থাকতে হয়। পালনকর্তা লিমিট বা সীমা নির্ধারণ করে সসীমকে জীবন যাপন করতে দিলেন। সীমা বা লিমিট ক্রস করলে বিপত্তি ঘটে।সেজন্য এটা অপরাধ।অপরাধের শাস্তি থাকা এবং অপরাধ না করার পুরস্কার থাকা ন্যায় সঙ্গত। সেজন্য পালনকর্তা এসবের ববস্থা রাখলেন।

শাস্তি বা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকায় এটা যাদের জন্য তাদেরকে এটা জানিয়ে দেওয়া সংগত। যাদের মাধ্যমে পালনকর্তা তাঁর কথা অন্যদেরকে জানালেন তাঁরা সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল)। সৃষ্টির চেতনায় অগ্রসরগণ সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল) হলেন। সৃষ্টির সাধারণ চেতনাধারী মুমিন এবং এ বিষয়ে অচেতন কাফের হলো।সংবাদ বাহক (নবি) এবং বার্তাবাহক (রাসূল) মনগড়া কথা বলেন না। তাঁরা প্রাপ্ত সংবাদ ও বার্তা (ওহী) অনুযায়ী কথা বলেন। মুমিন তাঁদের অনুসারী হয়। যারা মনগড়া কথা বলে তারা ওহীর পথ ছেড়ে অন্য পথে চলে। ওহী অনুযায়ী চলার পুরস্কার জান্নাত এবং ওহী অনুযায়ী না চলার শাস্তি জাহান্নাম।

যারা মিথ্যা বলে তাদেরকে জিজ্ঞাস করবেন তাদের কথা কিভাবে সত্য? তারা বোধগম্য উত্তর প্রদানে সক্ষম না হলে তাদেরকে পরিত্যাগ করবেন। নতুবা তাদের সাথে থাকলে তাদের সাথে জাহান্নামে যেতে হবে। রানু জাহান্নামে যেতে চায়, তারমত আর যারা আছে রানুসহ তাদেরকে নচিহত করে তাতে কাজ না হলে তাদেরকে তাদের পথে ছেড়ে দিন। কিন্তু যারা জান্নাতে যেতে চায় সাধ্য অনুযায়ী তাদেরকে সহায়তা করুন।

শহীদ হওয়া জান্নাতে যাওয়ার সহজ পথ সেজন্য মুসলিম শহীদ হতে পছন্দ করে।মুসলিমের শহীদ হওয়াকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা ঠিক না।কাফেরের পরাক্রমকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা সংগত নয়। কারণ এটা ক্ষণিকের বিষয়। তারপর মৃত্যু হলে তারা তাদের নির্বুদ্ধিতা টেরপাবে। তখন তা সংশোধনের উপায় থাকবে না।সুতরাং সময় থাকতে সঠিক কাজ করা সবার দায়িত্ব।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

অপলক বলেছেন: আমার মনে হয়, অসীম একাধিক হতে পারে। ধরুন, একটা রেল লাইন অসীম পর্যন্ত গেছে। তারমানে ২টো আলাদা লাইন অসীম পর্যন্ত গেছে। প্যারালাল ইউনিভার্স। লাইন দুটি সমান্তরাল না গিয়ে ভিন্ন দিকে যেতে পারে আবার আলাদা আলাদা লেয়ারে যেতে পারে। ইসলামে ৭টি আলাদা আলাদা লেয়ার বা আসমানের কথা বলা হয়েছে। আমার জ্ঞান সীমিত। আমার ব্যাখ্যা ভুলও হতে পারে।

কুরাআনে বলা হচ্ছে, অসীম বা গায়েবের ব্যাপারে তোমার রবই সবচেয়ে ভাল জানেন।

আপনার লেখার প্রথম প্যারার যুক্তিগুলোর পুরোটার সঙ্গে আমি একমত হতে পারলাম না।

০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আরেকটা রেল লাইনের অস্তিত্ব উভয় রেল রাইনকে সসীম করে দেয়। রব যা জানেন তিনি সেটা অন্যকে জানিয়ে দিলে সেও তা জানে। তবে রব তাঁর সব কথা জানিয়ে দেন না, কিছু কথা জানিয়ে দেন। তেমন কিছু কথা বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে জানে। সাত আসমানের প্রথম আসমানে আমরা আছি। রাসূল (সা) ছাড়া কেউ প্রথম আকাশ পাড়ি দিতে পারেনি।

২| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শহীদ হওয়া মোটেও সহজ পথ নয়। যারা শহীদি তকমা পাওয়ার জন্য মরছে তারা যে কুরআনে বর্ণিত শহীদ কিনা তা আগে বুঝতে হবে।

০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে মরলে শহীদ হয়। সত্যানুসারী হওয়ার কারণে যাদেরকে মেরেফেলা হয় তারাও শহীদ।

৩| ০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি স্বাভাবিক মৃত্যু চান? না শহীদি মৃত্যু চান?
স্পষ্ট করে বলুন।

০১ লা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সত্য এবং সঠিকতার পক্ষে। এ দোষে কেউ আমাকে মেরে ফেল্লে এবং তাতে আল্লাহ আমাকে শহীদ হিসাবে কবুল করলে আমার জন্য সেটা হবে মঙ্গল জনক। আর নিজের মঙ্গল সবাই চায়। তবে আল্লাহ আমার স্বাভাবিক মৃত্যু দিলে আমিতো তাঁর ইচ্ছায় বাগড়া দিতে পারব না।

৪| ০১ লা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে আল্লাহকে বানিয়েছে।
এক সময় ফেলেও দিবে।

০১ লা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনরা এসব কথা বলে।

৫| ০১ লা মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




জান্নাত কি পৃথিবীতেই হবে নাকি অন্য কোন গ্রহে?
এই বিষয়ে আপনার ধারণাটা জানা দরকার।

জান্নাতে মোট ৩ টি নদী থাকবে।
১। শরাবের নদী।
২। মধুর নদী।
৩। দুধের নদী।

লক্ষ্য করে দেখুন- সুপেয় পানির কোন নদী সেখানে থাকবে না। আপনি চাইলেও সুপেয়/ফ্রেস পানি পান করতে পারবেন না। আপনাকে পান করতে হবে মধু, দুধ কিংবা হারাম পানীয় মদ।

০১ লা মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দশটা পৃথিবীর সমান স্থান দেওয়া হবে একজন জান্নাতিকে, এর থেকে বোধগম্য জান্নাত পৃথিবীতে হচ্ছে না। মদ সেখানে হারাম হবে না। আর সুপেয় পানির নদী সেথায় থাকবে না এমনটা বলা হয়নি। মুরগী যা খায় আমরা তা’ খাইনা। সুতরাং সেখানে যা পানাহার করানো হবে সেখানে সেসবের রুচিও থাকবে, এ নিয়ে আপনি টেনশন নিয়েন না।

৬| ০২ রা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



জান্নাতের অনেক কিছুই ভালো লাগে।
তবে হুর পুন্দানি ভালো লাগে না।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুন্দরী মেয়েদের সাথে আড্ডা দিতে কি আপনার ভালো লাগে? তাহলে আপনি না হয় সেটাই করলেন। জান্নাতে কোন কিছুর জন্য কোন লোককে জোর করা হচ্ছে না। তবে অন্য কারো ইচ্ছায় আপনার আপত্তি থাকা ঠিক না। কারণ জান্নাতদটাই হচ্ছে ইচ্ছে পূরণের স্থান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.