![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* রাসূল (সা.)পূর্ণাঙ্গ দ্বীন রেখে গেছেন তাঁর ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে। সুতরাং রাসূলের (সা.)ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা্ নাই সেটাই বিদয়াত।কারণ রাসূল (সা.) বলেছেন যা তাঁর দ্বীনে নাই সেটাই বিদয়াত। রাসূল (সা.) কোরআন সংকলন রেখে যাননি, তিনি হাদিস সংকলন রেখে যাননি, তিনি ফিকাহ সংকলন রেখে যাননি। তিরি রেখে গেছেন ওয়ারিশ। তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাকে তিনি সঠিক বলায় তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাই দ্বীন এবং তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটা বিদয়াত। হযরত ওসমান (রা.) সংকলিত কোরআন ওলামার সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিধায় এটি দ্বীন এবং এর যে কোন বিরোধীতা বিদয়াত। আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ ওলামা্র ওলামার সর্ববৃহৎ দল কর্তৃক গৃহিত বিধায় এটি দ্বীন এবং এর যে কোন বিরোধীতা বিদয়াত। ইন্তিকালের পর কারো কোন কিছুর মালিকানা থাকে না। সুতরাং এখন রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা আছে সেটাই তাঁর সুন্নাত এবং রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটাই বিদয়াত। সুতরাং রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে যা নাই সেটাকে তাঁর হাদিস হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।
০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ পোষ্ট অবশ্য আপনার জন্য দেই নাই। সব পোষ্ট সবার জন্য না। আপনি ফছন্দ করেন না এমন অনেক পোষ্ট মডু পছন্দ করেন।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লেখা ক্রমেই উচ্চতর লেভেলে চলে যাচ্ছে!
০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:০১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইন্তেকালের পর কারো কোন কিছুর মালিকানা থাকে না। ইন্তেকালের পর সবার সব কিছুর মালিক হয় তার ওয়ারিশ। সুতরাং রাসূলের (সা) সুন্নাত তাঁর জীবদ্দশায় বিদ্যমাণ ছিল। এখন তাঁর ওয়ারিশের সর্ববৃহৎ দলের সুন্নত ওয়ারিশ সূত্রে রাসূলের (সা) সুন্নাত। সে হিসাবে ইসলামী ব্যাংকিং ও বীমা সুন্নাত সাব্যস্ত হবে। কারণ রাসূলের (সা) ওয়ারিশের সর্ববৃহৎ দল এটি সমর্থন করেন।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
Sulaiman hossain বলেছেন: মিলাদ কিয়াম আমার মতে বেদআত,আপনার মতামত জানতে চাই
০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মীলাদে কিয়াম করা (দাঁড়ানো) বিষয়ে কোরআন কি বলে?
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। নিশ্চয়ই আল্লাহ ও ফিরিশতাগণ নবির প্রতি দরূদ পাঠ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবির প্রতি দরূদ পাঠ কর এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩৮। তোমরা নামাজ (সালাত) সমূহের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর বিনিতভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও।
* মীলাদের উদ্দেশ্য মহানবির (সা.) প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা। আর মহানবির (সা.) প্রতি দরূদ ও সালাম পেশকরা বিষয়ে আল্লাহর আদেশ রয়েছে।সালাতে যত্নবান হতে আল্লাহর আদেশ রয়েছে। আর সলাতে দরূদ ও সালাম রয়েছে। সালাতে সালাম দাঢ়িয়ে ও বসে প্রদান করা হয়। যেমন সাধারণ সালাতে সালাম বসে প্রদান করা হয় এবং জানাজা সালাতে দাঁড়িয়ে সালাম প্রদান করা হয়।সুতরাং বসে ও দাড়িয়ে সলাম প্রদান আল্লাহর আদেশের আওতাভূক্ত কাজের অংশ। সালাম নবির (সা.) প্রতি হলে দাঁড়ানো যাবে না এ মর্মে কোরআনে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সুতরাং নবির (সা.) প্রতি সালাম প্রদানে দাঁড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান ফিতনা হিসাবে সাব্যস্ত হবে। আমাদের দেশে যারা নবির (সা.) প্রতি সালাম প্রদানে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে তাদেরকে কওমে লুত কান্ডে নিযুক্ত দেখতে পাওয়া যায়।সুতরাং তাদের অনুসরন থেকে মুসলিম জাতিকে বিরত থাকতে হবে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
* আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের এতায়াতে ইবাদত হয় আল্লাহর। পূর্বে ইবাদাত ও ইতায়াতে সিজদা ও দাঁড়ানো (কিয়াম) ছিলো। পরে মহানবির (সা.) শরিয়তে ইতায়াত থেকে সিজদা বাতিল হলেও ইতায়াত থেকে কিয়াম বাতিল হয়নি।যেহেতু মহানবির (সা.) ইতায়াতের আদেশ রয়েছে সেহেতু তাঁকে সালাম প্রদানের উদ্দেশে কিয়াম বাতিল কাজ নয়। সুতরাং মহানবিকে (সা.) সালাম প্রদানে কিয়ামে নিষেধাজ্ঞা জারি করা ফিতনা হিসাবে সাব্যস্ত হবে।
সহিহ আবু দাউদ, ২০৩৭ নং হাদিসের (হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি অধ্যায়) অনুবাদ-
২০৩৭।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কেউই আমার উপর সালাম পেশ করে, তখন আল্লাহ তায়ালা আমাকে তার সংবাদ দেন এবং আমি তার জবাব দিয়ে থাকি।
* মহানবির (সা.) প্রতি দাঁড়িয়ে ও বসে সালাম প্রদান করা হলে তিনি সালাম প্রদানকারীগণের জন্য শান্তি রহমত ও বরকতের দোয় করেন। মহানবির (সা.) জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি সালাম জারি ছিলো সাহাবায়ে কেরামও (রা.) শান্তি, রহমত ও বরকতে ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালের পর তাঁর প্রতি সালাম বন্ধ হতেই সাহাবায়ে কেরাম (রা.)মহাফিতনায় আক্রান্ত হয়। সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের মীলাদ ও কিয়াম না করা তাঁদের জন্য সুফল দায়ক হয়নি।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
সহিহ আল বোখারী, ১৭৪৫ নং হাদিসের (কিতাবুল হজ্জ)-
১৭৪৫। হযরত ওসামা (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি (সা.) মদীনার একটি উচ্চ দূর্গপ্রাসাদে চড়ে বললেন, আমি যা দেখছি তা’ কি তোমরা দেখতে পাচ্ছ? আমি বৃষ্টিবিন্দু পতিত স্থানের ন্যায় তোমাদের গৃহসমূহে ফেতনার স্থান দেখতে পাচ্ছি।
* ফিতনা হলে যুদ্ধ করতে হবে এটা সাহাবায়ে কেরাম জানতেন। কিন্তু ফিতনা থেকে আত্মরক্ষায় কি করতে হবে এটা সাহাবায়ে কেরাম (রা.) মহানবি থেকে জেনেনেননি। কিন্তু তাঁরা মহানবির প্রতি সালাম জারি রাখলেই এর থেকে রেহাই পেয়ে যেতেন। কারণ তখন মহনবি (সা.) তাঁদের জন্য শান্তি, রহমত ও বরকতের দোয়া করতেন। মহানবির (সা.) প্রতি সালাম বন্ধ হলো তো সাখে সাথেই সাহাবায়ে কেরাম (রা.) জাকাত অস্বীকারকারীদের মহাফেতানায় আক্রান্ত হলেন। তারপর হযরত ওসমানের (রা.) হত্যাকান্ড হলো, সিফফিন, জঙ্গে জামাল, কারবালা হলো। মদীনাবাসীকে পাইকারী হত্যা করা হলো এবং তাঁদের নারীদের ইজ্জত নষ্ট করা হলো। কাবা ঘরে আগওন দেওয়া হলো এবং সাহাবীকে শহীদ করে তাঁর লাশ রাজপথে ঝুলিয়ে রাথা হলো।সুতরাং মহানবির প্রতি সালাম প্রদান বন্ধ হওয়া সুফল দায়ক হয় নাই। ফিতনায় তাঁর কন্যা, দুই জামাই ও দুই নাতি শহীদ হলেন।মুসলিমদের মাঝে শিয়া ও খারেজী নামক ফিতনাবাজ দলের উদ্ভব ঘটলো।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* মহানবির (সা.) ইন্তেকালের পর মহা ফিতনায় অবশেষে সাহাবা যুগেই ইসলাম বিনষ্ট হলো। তারপর তাবেঈ যুগ থেকেই পারসিক আলেমগণ ইসলাম মেরামত শুরু করেন। তারাই মীলাদ ও কিয়াম চালু করে।ফলে পারসিক ও পারসিক ভাবাপন্নদের প্রতি শান্তি রহমত ও বরকত নাজিল হয়। পারসিক ভাবাপন্ন তুর্কীরা পেয়ে যায় খেলাফত। তাদের মধ্য এশিয় ও ভারতীয়রা পেয়ে যায় সালতানাত। মীলাদ কিয়ামের অধীক প্রচলনের স্থান ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমের সবচেয়ে বেশী বরকত হয়। এ অঞ্চলে এখন সবচেয়ে বেশী পঞ্চাশ কোটির বেশী মুসলিমের বাস।পক্ষন্তরে মীলাদ ও কিয়াম বিরোধী আরব গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। আর তারা ইহুদী ও খিস্টনের ঘৃণিত তাবেদারী করে।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। যারা আমাদের উদ্দেশ্যে জিহাদ করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়নদের সঙ্গে থাকেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের (আ.) সাথে থাকবে।
* ভারতীয় উপমহাদেশের মুমিন-মুসলমানরা এখনো জিহাদে লিপ্ত। এখনো তাদের মসজিদকে মন্দীর বানানো হয় এবং তাদেরকে গরু কোরবানী করতে দেওয়া হয় না। তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে তারা পৃথিরাজকে পরাজিত করে এখানে মসলিম শাসন কায়েম করে। যা সড়ে সাতশত বছর চালূ ছিলো। তারপর বৃটিশ ভারত কেড়ে নিয়ে ছেড়ে গেলে ভারতয়ি উপমহাদেশে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামক দু’টি মুসলিম রাষ্ট্র পাওয়া যায়। এর এখন ভারতীয় উপমহাদেশেই সবচেয়ে বেশী পঞ্চাশকোটির বেশী মুসলিম বসবাস করে। এতবেশী মুসীলম আর কোন অঞ্চলে বসবাস করে না। আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের জন্য আল্লাহর পথে থাকা ও নাজাতের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাদের জন্য চলছে মহানবির (সা.) শান্তি, রহমত ও বরকতের দোয়া। নতুবা হিন্দুর আখড়ায় তারা টিকে থাকতে পারতো না। তারা এখানে হিন্দুর সাথে লড়াই করে ভালোভাবেই টিকে আছে। এদকা তারা তাদের শাসকও ছিলো। সেই তারাই সবচেয়ে বেশী মীলাদ পাঠ করে। তারা যদি এটা আরো বাড়িয়ে দেয়। তাহলে আশা করা যায় তারা আবারো হিন্দুদের শাসক হতে সক্ষম হবে-ইনশাআল্লাহ। সুতরাং মীলাদ ও কিয়াম বিরোধীরা মূলত মুসলিম জাতির শত্রু। তারা আল্লাহর গজবেও আক্রান্ত হয়। যদিও তারা এটা বুঝে না।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৯
Sulaiman hossain বলেছেন: মাশাআল্লাহ, মিলাদ কিয়ামের পক্ষে দলিল যুক্তি সংগত এবং শক্তিশালী। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন আছে,গ্রামে গঞ্জে দেখা যায় সবাই একসাথে বসে সুর করে তাল মিলিয়ে বানোয়াট দুরুদ সালাম পাঠ করে।এগুলো তারা কোথায় পেল।।কুরআন হাদীসের রেফারেন্স সহ বললে উপকৃত হতাম।
০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
* গ্রামেগঞ্জে যা হচ্ছে সেটা আল্লাহর পথে ডাকার হেকমত। অমুসলিমরা এটা অনুযায়ী নবির (সা) প্রতি আকৃষ্ট হয়। এর মাধ্যমে আমি রাসূল (সা) ও আল্লাহর দিদার লাভ করেছি। মহানবির (সা) ওয়ারিশ ওলামার সর্ব বৃহৎ দলের এতে অনুমোদন থাকায় এটি সুন্নাত। এটিকে বিদয়াত বলার কোন সুযোগ নাই।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ১১:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চমৎকার আলোচনা, শ্রদ্ধেয় চৌধুরী ভাই।
কমেন্টগুলোর উত্তরে আপনার কমেন্ট আরো বেশি ভালো লেগেছে।
ত্বলেবে এলেম বলতে কি সব ধরণের জ্ঞান অন্বেষণকে বুঝিয়েছে নাকি খোদা সম্পর্কে জ্ঞান অন্বেষণকে বুঝিয়েছে?
আমি ইহইয়ায়ু উলুমুদ্দিনের কয়েক খন্ড অনেক বছর আগে পড়েছিলাম। যত দূর মনে পরে - বইটিতে খোদার সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে বলা হয়েছে।
কোন খণ্ডে পড়েছি, মনে করতে পারছি না। একটু যদি বিস্তারিত বলতেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬
যামিনী সুধা বলেছেন:
ব্লগে এসব পড়ার লোকজন কি আছে? নতুন নকিবও ইহা পড়ে দেখবে না।