নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিকমাত এর পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে

১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭



সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ (খাইর) লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* রাসূল (সা.)কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ হিকমাতকে প্রচুর কল্যাণ (খাইর) বলেছেন। তিনি হিকমাত দিয়ে রবের পথে ডাকতে আদেশ করেছেন। তিনি কিতাবে মানসুখ থাকার কথা বললেও হিকমাতে মানসুখ থাকার কথা বলেননি। সুতরাং হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে।সুতরাং নারীর উচ্চ শিক্ষা ফরজ সাব্যস্ত হবে এবং কিতাব ও হাদিস দিয়ে এর বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হারাম সাব্যস্ত হবে। কারণ নারীর উচ্চ শিক্ষা একটি হিকমাত। কারণ নারীর সার্জারী বিষয়ে নারী সার্জেন্ট বেশী উপযুক্ত। আর সার্জারীর হিকমাত উচ্চ শিক্ষা হিসাবে গণ্য।সুতরাং যে হুকুমত নারীর উচ্চ শিক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে সে হুকুমত ইসলামী হুকুমত নয়।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।

* হিকমাত ইহকালিন ও পরকালিন উচ্চশিক্ষা। হযরত লোকমানকে (আ.) উভয় হিকমাত দান করা হয়েছে। সুতরাং ইহকালিন হিকমাতকে ইসলামী শিক্ষা নয় বলার কোন সুযোগ নাই। পরকালিন হিকমাত হলো ফিকাহ। হিকমাত যে রকমই হোক এর পরিবর্তে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং যা কিছু কল্যাণ কোরআন ও হাদিস দিয়ে এর বিরোধীতা হারাম সাব্যস্ত হবে। সুতরাং কোরআন ও হাদিস দিয়ে স্কোয়াড্রন লিডার আয়েশার পেশাগত কাজের বিরোধীতা হারাম সাব্যস্ত হবে।কারণ শত্রুর মোকাবেলায় তার দক্ষতা সঠিক প্রমাণ হয়েছে। এভাবে নারীকে কোন কল্যাণকর কাজ থেকে নিবৃত রাখা হারাম সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ হিকমাতের দাতা এবং রাসূল (সা.) এর বন্টনকারী বিধায় হিকমাত গঠিত হবে কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী। কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী হিকমাত গঠিত হওয়ার পর আর কোরআন ও হাদিস দিয়ে হিকমাত বাতিল করা যাবে না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: হুম আপনি মুটামুটি ঠিকই বুঝেছেন।

হিকমা হইলো জ্ঞান।

বর্তমানের বিজ্ঞান মানুষের জ্ঞান ভান্ডার প্রতিদিনই উন্নত করছে। তাই পুরোনা আমলের যত সব ধর্মীয় কিতাব আছে তাদের অনুসরন না করে উন্নত জ্ঞানের সাথে যাচাই করে নিতে হবে।

এখন উন্নত মানের টয়লেট আছে এখন আর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ঢিলা কুলুক নিয়ে আলোচনা না করলেও হয়। তেমনি অনেক বিষয় আছে যেগুলির আধুনিকায়ন দরকার।

১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হিকমাত হলো ধর্মীয় রীতি। লোকেরা সেটাই বুঝেনি। আপনি যদি মনে করেন আপনি রাফায়েল ফাইটার প্লেন ধ্বংস করবেন ঢাল তলোয়ার দিয়ে তবে আপনার এ ভাবনা ধর্মীয় ভাবনা নয়।

২| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।



আপনি যুগের মানুষ হিসেবে আপনার কথা বিচার্য নয়।

১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* উম্মতের সর্ববৃহৎ দল আমার কথা মানলে আমার কথা মানা যাবে। ২০১৬ সাল থেকে আমি ইসলামিক বিষয়ে লিখছি বা বলছি কেউ কখনো আমার কথার বিরোধীতা করছে না। এখনো একজন ইমাম সাহেব আমার সামনে আছেন তিনি আমার কথার বিরোধীতা করেননি। ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা আমার অবস্থানের সন্নিকটে। তাদের অনেকেই আমার নিকট কম্পিউটার শিখতে আসে। আমার উপস্থাপিত বিষয়ে আমি তাদের সাথে আলোচনা করি। আমি তামিরুল মিল্লাত মীরহাজির বাগ ঢাকা শাখার ছাত্র। সেই প্রতিষ্ঠানের কেউ আমার কথার বিরোধীতা করে না।

৩| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




তৃতীয় শতকের অন্যতম মুহাদ্দিস ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন বলেছেন -

"যদি কোন 'রাবী'-এর হাদিস তিনি সঠিক ভাবে মুখস্থ ও বর্ণনা করা পেরেছেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে তার কাছে তার পুরনো পান্ডুলিপি চাইতে হবে।"
.............................................

আপনি যে হাদিগুলো বর্ণনা করছেন, সেগুলো আপনি আপনার নিজের কালেকশনের? নাকি কোন বই থেকে বর্ণনা করছেন?

যদি কোন বই থেকে বর্ণনা করে থাকেন, সেই বইয়ের বাঙ্গালী লেখক কে? তাকে আপনি চেনেন?

১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সাধারণত হাদিসের রেফারেন্স দেই না। কারণ হাদিসের বিকল্প কোরআনেও পাওয়া যায়। আমি কামিল হাদিস বিধায় হাদিস বিষয়ে আমার নিজস্ব জ্ঞান আছে। সব বইয়ের লেখককে সবাই চিনাটা জরুরী নয়।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

* এ আয়াত থেকে বুঝা যায়। ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতকে আল্লাহ সাপোর্ট করেন। ওলামার সর্ববৃহৎ দলের সঠিকতা সংক্রান্ত হাদিস উপরোক্ত আয়াতের সাথে মিল থাকার কারণে এটি হাদিস হিসাবে স্ট্রং। সুতরাং এ হাদিস বিষয়ে খুববেশী অনুসন্ধা্ন জরুরী নয়।

৪| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আমি সাধারণত হাদিসের রেফারেন্স দেই না। কারণ হাদিসের বিকল্প কোরআনেও পাওয়া যায়। আমি কামিল হাদিস বিধায় হাদিস বিষয়ে আমার নিজস্ব জ্ঞান আছে। সব বইয়ের লেখককে সবাই চিনাটা জরুরী নয়।
=====================================

আপনি হাদিসের বর্ণনা দেন মাঝা মাঝে।

আর, আপনি যদি হাদিসের বর্ণনায় লেখককে চেনা জরুরী নয়, এটা যদি বলে থাকেন, তাহলে আপনি উম্মতের হাদিস সংকলনকারী মুহাদ্দিসদের পথ অনুসরণ করছেন না।

১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিস যদি কোরআনের সাথে মিলে যায় তবে সে হাদিস কে বলেছে সেটা জানতে হবে কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.