নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিকমাত কিতাব ও হাদিসকে কোন ক্ষেত্রে মানসুখ বা বাতিল করে, কোন ক্ষেত্রে হিকমাত কিতাব ও হাদিসকে মানসুখ বা বাতিল করে না

১৬ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৪৫



সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* রাসূল (সা.)কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিলেও আল্লাহ তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন হিকমাত দিয়ে। কারণ হিসাবে তিনি হিকমাতে প্রচুর কল্যাণ (খাইর) থাকার কথা বলেছেন। সেজন্য হিকমাতের পরিবর্তে কোন ক্ষেত্রে কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হয়, আবার হিকমাতের গরমিল না হলে অন্য ক্ষেত্রে কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হয় না।

সূরাঃ ৪ নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১। আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু কেবল কন্যা দুইয়ের অধিক থাকলে, তাদের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্য অর্ধাংশ। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ; সে নিঃসন্তান হলে পিতামতাই উত্তরাধীকারী হলে তার মাতার জন্য এক তৃতীয়াংশ। তার ভাইবোন থাকলে মাতার জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।সবাই সে যা অসিয়ত করে তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের পিতা ও সন্তানের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা’ তোমরা অবগত নও। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর বিধান: আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
১২।তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে।আর তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; ওসিয়ত পালন এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-অষ্টমাংশ; তোমরা যা ওসিয়ত করবে তা’ ওেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর।যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধীকারী থাকে তার বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন; তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।তারা এর অধিক হলে সকলে সম অংশিদার হবে এক-তৃতীয়াংশে; এটা যা ওসিয়ত করা হয় তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর, যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়।ইহা আল্লাহর নির্দেশ, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

* কিতাব অনুযায়ী পিতা-মাতা, স্ত্রী ও দুই কন্যার প্রাপ্য অংশ চব্বিশের সাতাশ অংশ যার প্রাপ্যতা অসম্ভব। কারণ চব্বিশের চব্বিশ হলো এখানে একাংশ। কারো একাংশের বেশী মালিকানা অসম্ভব। কিতাব অনুযায়ী পিতা-মাতার প্রাপ্য অংশ চব্বিশের আট অংশ, কন্যাদের প্রাপ্য অংশ চব্বিশের যোল অংশ এবং স্ত্রীর প্রাপ্য অংশ চব্বিশের তিন অংশ। এখানে অংশ সমূহের যোগ ফল চব্বিশের সাতাশ অংশ। যা বন্টন অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে হিকমাত কি জিজ্ঞাস করলে হযরত আলী (রা.) বললেন, আওল। যাতে যোগ ফলের হর তিন বর্ধীত হয়ে পিতা-মাতার প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের আট অংশ, কন্যাদের প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের যোল অংশ এবং স্ত্রীর প্রাপ্য অংশ হবে সাতাশের তিন অংশ তথা নয়ের একাংশ। কিন্তু কিতাব অনুযায়ী স্ত্রীর প্রাপ্য ছিল আটের একাংশ। হিকমাত অনুযায়ী প্রাপকদের প্রাপ্য কমিয়ে বন্টন করার বিধান সাব্যস্ত হলো। আর বিধান সাব্যস্ত হলো হিকমাত অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে কিতাব মানসুখ হয়ে গেল।কিন্তু স্ত্রী না থাকলে দুই কন্যা ও পিতা-মাতা তাদের কিতাব কর্তৃক নির্ধারিত অংশ প্রাপ্য হবে। এ ক্ষেত্রে কিতাব মানসুখ হবে না। পিতা-মাতা না থাকলে স্ত্রী ও দুই কন্যা তাদের অংশ প্রাপ্ত হয়ে অবশিষ্ট চব্বিশের পাঁচ অংশ ভাতিজা প্রাপ্ত হবে।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। নিশ্চয়ই আমরা তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম; তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো। নবিগণ, যারা আল্লাহর অনুগত ছিল তারা ইয়াহুদীদিগকে তদনুসারে বিধান দিত, আরো বিধান দিত রব্বানীগণ, এবং বিদ্বানগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল। আর তারা ছিল উহার সাক্ষী।সুতরাং মানুষকে ভয় করবে না। আমাকেই ভয় কর। আর আমার আয়াতসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করবে না। আল্লাহ যা নাজিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা হুকুম প্রদান করে না তারাই কাফির।

* এখানে কিতাব অনুযায়ী ফিতনা না থামতে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে কাফের হওয়ার কথা। কিন্তু রব সবার কল্যাণ চান বিধায় হিকমাত হলো ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) সম্ভব হলে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে মুমিন হবে। কিতাব অনুযায়ী যে কাফের হয় হিকমাত অনুযায়ী সে মুমিন হয়। সিফফিন যুদ্ধে হযরত আলী (রা.) ফিতনা শেষ না হতে কিতাল (যুদ্ধ) থামালে খারেজী তাঁকে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করে ফেলে। কারবালায় প্রতিপক্ষ কিতাব অনুযায়ী হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) কাফের মনে করে হত্যা করে ফেলে, কিন্তু হিকমাত অনুযায়ী তিনি মুমিন ছিলেন। ২০২৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের হিকমাত ছিল যুদ্ধ বিরতি। নতুবা কিতাব অনুযায়ী ফিতনা শেষ করতে কিতাল (যুদ্ধ) চালিয়ে গেলে পরমাণূ যুদ্ধে উভয়দেশ তামা তামা হয়ে যেত।সুতরাং ইসলামে হিকমাত > কিতাব। কিন্তু ইবাদী, শিয়া, সালাফী, আহলে হাদিস, মালেকী, শাফেঈ, হাম্বলী ও জাহেরী সম্প্রদায় সমূহ কিতাব > হিকমাত সূত্রে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে বহু কোটি লোক হত্যার ব্যবস্থা করেছে। তবে অপর পক্ষ যুদ্ধ বিরতি না মানলে কিতাল (যুদ্ধ)চালিয়ে যাওয়া ফরজ। গাজওয়ায়ে হিন্দে এ ঘটনা ঘটবে। অশেষে মুসলিম পক্ষ জয়ী হয়ে অখন্ড হিন্দুস্থানে মুসলিম শাসন কায়েম হবে।

বিদ্র. গজওয়ায়ে হিন্দ (হিন্দুস্থানের যুদ্ধ) একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে এর একটি হবে জঘণ্যতম। সেইটাকেই বেশী করে হাইলাইট করা হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

যামিনী সুধা বলেছেন:



কম্প্যুটারের মানুষ, লজিক্যাল প্রফেশানে আছেন; এরপরও দুনিয়ার হাবিজাবি নিয়ে কি সব অর্থহীন কথা বলেন!

১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:১৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি যেমন ইসলাম বুঝেন না তেমনি আপনার সমাজতন্ত্র অনেকে বুঝে না।

২| ১৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আসসালামু আলাইকুম।
শুভ সকাল।

পোষ্ট সম্পর্কে কোনো কথা নাই। অপ্রয়োজনী পোষ্ট।

৩| ১৬ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩

যামিনী সুধা বলেছেন:



আপনার ষ্ট্রোকের সময় আপনি সব ধরণের চিকিৎসা পেয়েছেন; কত হাজার মানুষ সই বছর দরকারী পরিমাণ চিকিৎসা পায়নি; সোস্যালিজমের অর্থনীতি শক্তিশালী অর্থনীতি, সবাই চিকিৎসা পেয়ে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.