নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি সঠিক নয়

২০ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৭




সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

* হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি হলো হাদিসের রাবী সহিহ সাব্যস্ত হলে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হবে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন সহিহ লোকেরও ভুল থাকতে পারে। এমনকি রাসূলের (সা.) একটি কাজকেও আল্লাহ উচিত নয় বলেছেন। আর কে সহিহ এবং কে মোনাফেক সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। দেখা গেল মোনাফেককেই কেউ একজন সহিহ সাব্যস্ত করে বসে আছে। আর মোনাফেকের কাজ হলো ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যা হাদিস নয় তা’ হাদিস হিসাবে প্রচার করা।কেউ মোনাফেক চিনতে ভুল করলে তার হাদিসের মান নির্ধারণ সুনিশ্চিতভাবে ভুল হবে।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* কোরআন এবং এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকায় আল্লাহ ফিকাহের মান্যতা সাব্যস্ত করেছেন। ফিকাহের পরিবর্তে উপস্থাপিত হাদিস আল্লাহ বাতিল করেছেন। সুতরাং এমন হাদিস সহিহ হলেও তা’ আমলযোগ্য নয়।আর মানসুখ হলে কোরআনই আমলযোগ্য থাকে না হাদিসতো কোরআনের পরের স্থানে।সুতরাং হাদিসের মান সহিহ বললেই হাদিসের মান নির্ধারণ হয় না যদি তা আমলযোগ্য কিনা বলা না হয়। সুতরাং হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতিতে ভরপুর ত্রুটি রয়েছে। সুতরাং ফিকাহের গরমিল হাদিস সুনিশ্চিতভাবে আমলযোগ্য নয়।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

* রাসূলের (সা.) পর দ্বীনের দায়িত্ব আমিরের। সুতরাং আমির অনুমোদীত নয় এমন কিছু ফিকাহ নয়। হানাফী মাযহাব একমাত্র আমির অনুমোদীত বিধায় এটি ছাড়া আর কিছু ফিকাহ নয়।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* আমির না থাকলে দ্বীনের দায়িত্ব ওলামার। তাদে পাল্লাভারী জামায়াতের অনুমোদন দ্বীন হিসাবে সাব্যস্ত। এর পরিবর্তে উপস্থাপিত কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল।বাতিল হাদিসকে সহিহ বলা মস্তবড় আহাম্মকী।হযরত আলীর (রা.) প্রথম খলিফা হওয়া সংক্রান্ত আয়াত মানসুখ ও হাদিস বাতিল। কারণ হযরত আলীর (রা.) প্রথম খলিফা হওয়ার বিষয়টি ওলামার পাল্লাভারী জামায়াত অনুমোদীত নয়।আর ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের অনুমোদন না পাওয়ায় হযরত আলী (রা.) নিজেও তাঁর প্রথম খলিফা হওয়ার দাবী প্রত্যাহার করেছেন। তারপর আমিই প্রথম খলিফা হযরত আলীকে (রা.) এমন কথা বলতে শুনা যায়নি। সুতরাং যারা হযরত আলীকে (রা.) প্রথম খলিফা বলে তারা মিথ্যাবাদী। তাদের সাথে থাকা আল্লাহ হারাম সাব্যস্ত করেছেন।মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতেই তারা হাযরত আলীকে প্রথম খলিফা বলে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০২৫ ভোর ৬:৫৩

এ পথের পথিক বলেছেন: কুরআন কি রাসুল সাঃ এর ওপরে একে বারে কম্পাইল করে নাজিল হয়েছিল ?
আপনার কথা বার্তা যুক্তি দেখে হাদিস অস্বীকারকারী আহলে কুরআনের মনে পড়ে গেল ।

নির্ঘাত নির্মম সত্য আপনি হাদিস সংকলনের ইতিহাস পড়েন নি । পড়ার অনুরোধ করছি ।

২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি মুহাদ্দিস। আপনি আমাকে যা পড়তে বলেছেন তা’ না পড়ে আমি পোষ্ট দেইনি। যেহেতু পোষ্টের জন্য আমার যথেষ্ট পরিমাণে কোরআনের রেফারেন্স আছে সেহেতু আমি হাদিসকে রেফারেন্স হিসাবে গ্রহণ করিনি।

২| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫২

এ পথের পথিক বলেছেন: নিজেকে মুহাদ্দিস দাবি করা দেখে এক স্বস্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার কথা মনে পড়ে গেল যাইহোক ।
আপনি নিশ্চয় হাদিস সংকলনের ইতিহাস পড়েছেন তাহলে "হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি হলো হাদিসের রাবী সহিহ সাব্যস্ত হলে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হবে " এই কথা কোথায় পেয়েছেন রেফারেন্স দিবেন ।
১ম কমেন্টে প্রশ্ন করেছিলাম আপনি কি হাদিস অস্বীকারকারী ?

২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সব হাদিস স্বীকার/অস্বীকার করি না।

৩| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:১০

এ পথের পথিক বলেছেন: আপনি নিশ্চয় হাদিস সংকলনের ইতিহাস পড়েছেন তাহলে "হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি হলো হাদিসের রাবী সহিহ সাব্যস্ত হলে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হবে " এই কথা কোথায় পেয়েছেন রেফারেন্স দিবেন ।

২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি না হয় হাদিস সহিহ সাব্যস্ত করার পদ্ধতি বলে দিন।

৪| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হাদিস ভূয়া।

২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি যেহেতু ধর্মই মানেন না সেহেতু হাদিস আপনার বিষয় নয়।

৫| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৪

অপলক বলেছেন: টাইটেল কি দিলেন। আর কি দিয়ে শেষ করলেন !!! ফিনিসিং টা মনপুত হল না।

তবে অনেক পরিশ্রম করেছেন বো্ঝাই যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, কোরাআনের প্রত্যেকটা আয়াত বোঝার এবং প্রয়োগের জন্যে স্থান, কাল, ঘটনা ও পরিস্থিতি সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা জরুরি। কাজেই হুটহাট করে রেফারেন্স সহ আয়াত তুলে ধরেছেন, যেটা আসলে "কেন" এবং কোন প্রেক্ষাপটে নাযিল করেছেন, পরিষ্কার করেন নি।

সবাইকে আলেম বা আপনার মত মুহাদ্দিস ভাবলে তো চলবে না।

আপনার কাছে একটা অনুরোধ রইল, দেশের প্রচলিত হাদিস গ্রন্থে নাকি ১০৭টা জাল হাদিস প্রমানিত হয়েছে। সেগুলোর একটা লিস্ট ও ব্যাখ্যা নিয়ে পোষ্ট দেবেন।

২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা যে পদ্ধতিতে হাদিস সহিহ বা জাল সাব্যস্ত করেছে তাদের সে পদ্ধতিতে সহিহ বা জাল সাব্যস্ত করার পদ্ধতি সহিহ নয়। একজন বলল, ইমাম বোখারী অমুক হাদিস সহিহ বলেছেন। আমি বললাম তাঁকে কে সহিহ বলেছেন? সে তখন নিরুত্তর।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।

* ইমাম বোখারী (র) বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী তিনি বিশ্বাসঘাতক যুগের লোক। সুতরাং তাঁর কথা বিশ্বাস করা যাবে না। সুতরাং তাঁকে সহিহ মনে করার সংগত কোন কারণ নাই।

৬| ২০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৩

অপলক বলেছেন: আল্লাহ আপনার নেক হয়াত দান করুন। নয়ত তাঁর দিকে আপনার দ্রুত প্রত্যাবর্তন ঘটুক। দোয়া রইল।

সাধারন মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নষ্ট করা বা চিন্তা ভাবনা ভুল পথে চালিত করার গুরু দায়িত্ব আপনাকে কে দিল জানি না।

যদি কোন মা বলে তোর পিতা অমুক, তাহলে সে মায়ের কথাই বিশ্বাস করা উচিত। কেননা সেই মা ই সবচেয়ে ভাল জানবেন, সন্তানের প্রকৃত জন্মদাতা কে? সন্তান বড় হয়ে যদি ডিএনএ টেস্ট করে সেটা তার অভিরুচি। এর অর্থ এটা দাড়ায় যে, হয় সেই সন্তান মাকে চরিত্রহীন প্রমান করতে চায়, নয়ত সে নিজেকে বৈধ সন্তান প্রমান করতে চায়, কোন না কোন ফায়দা হাসিলের জন্যে।

২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন একটু বুঝিয়ে বলুন। ২০১৬ সাল থেকে সাধারণত আমার পোষ্টের কেউ বিরোধীতা করে না।

৭| ২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাদিস ভূয়া

নবীজি যখন বেঁচে ছিলেন, তখন নবীজি নিজের জীবনী লিখেন নাই। কাউকে লিখতেও বলেন নাই।
দুই শ' বছর, কতিপয় ধান্দাবাজ হাদিস লিখে। যা ভুলে ভরা এবং মনগড়া।

২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিস মান্যতার পদ্ধতি কোরআনে আছে। সেই পদ্ধতি অনুযায়ী সঠিক হাদিস বাছাই করে হাদিসের আমল করা যায়।

৮| ২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআনে বলা হয়েছে, নবীজিকে দেখো। তাকে ফলো করো। তখন নবীজি বেঁচে ছিলেন।
এখন নবীজির মৃত্যুর পর মানুষ তাকে কিভাবে ফলো করবে? নিশ্চয়ই ভুলভাল ও অতিরঞ্জিত হাদিস ফলো করা সঠিক কাজ হইবে না।

২০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* মহানবির (সা) ওয়ারিশ হলেন ওলামা। তাঁদের সঠিকতার কথা কোরআনে আছে। মতভেদে তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের মসাথে থাকলেই মহানবির (সা) সঠিক অনুসরন হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.