নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৩




সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।

* আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত আদম (আ.)। তিনিও শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। তাঁর চল্লিশের কম বয়সি অন্য ছাত্র হযরত ঈসা (আ) তাঁর কথা জনগণকে বুঝাতে সক্ষম না হওয়ায় তারা তাঁকে হত্যা করার আয়োজন করলে আল্লাহ তাঁকে নিজের কাছে তুলে নিলেন। তিনি তাঁর সবচেয়ে সেরা ছাত্র মহানবি হযরত মোহাম্মদকে (সা.)চল্লিশ বছরের আগে কোরআন শিক্ষা দান শুরু করেননি। আল্লাহর অন্য সকল ছাত্রের বয়স চল্লিশ বছর ছিল। আল্লাহর মত যোগ্য মোয়াল্লেমের ছাত্র হতেই চল্লিশ বছরের প্রয়োজন হলে অন্য মোয়াল্লেম চাল্লশের কম বয়সি ছাত্রতে কিভাবে আলেমে পরিণত করতে পারে? এটা একটা অসম্ভব বিষয়। মাদ্রাসার সব ছাত্রই চল্লিশের কম বয়সি বিধায় সেখানে আলেম তৈরী হয় এমন কথা বিশ্বাযোগ্য নয়।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* রাসূলের (সা.) চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র-ছাত্রী হযরত আলী (রা.), হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ও হযরত আয়েশা (রা.) আল্লাহর অপছন্দের কাজ পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। হযরত আলী (রা.) হযরত ওসমান (রা.) হত্যার প্রধান অভিযুক্ত মালেক উশতারকে খেলাফতের প্রধান সেনাপতি ও হযরত আবু বকরের (রা.) পুত্র মোহাম্মদকে মিশরের শাসক পদে নিয়োগ দেন এবং জনপ্রিয় শাসক হযরত মুগিরা বিন শোভা (রা.), হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) শাসকের পদ থেকে বরখাস্ত করলে তাঁর বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দেখা দেয়। সেজন্য তাঁর প্রতিপক্ষ দলে হাজার হাজার যোদ্ধা জড় হয়। তারপর তারা তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। হযরত আলী (রা.) হযরত আয়েশাকে পরাজিত করতে পারলেও তিনি হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) পরাজিত করতে পারেননি। যাঁকে তিনি শাসকের পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন অবশেষে তাঁকেই তিনি খেলাফতের একাংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কিন্তু রাসূলের (সা.) চল্লিশ বছরী ছাত্র হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেননি এবং তাঁরা খেলাফত অখন্ড রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সুতরাং সঠিক আলেম হওয়ার জন্য ত্বলেবে এলেমের বয়স চল্লিশ বছর হওয়া বাঞ্চনীয়। সেই বয়সী ত্বলেবে এলেম বা ছাত্র-ছাত্রী মাদ্রাসায় পাওয়া যায় না। তাহলে কেউ আলেম কিভাবে হবে?

সূরাঃ ১৮ কাহফ, ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-

১৭। তুমি দেখতে পেতে তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার দক্ষিণ পার্শ্বে হেলে যায় এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পার্শ্ব দিয়ে, এ সমস্ত আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন সে সৎপৎ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার কোন মুরশিদ ওলী (সৎপথ প্রদর্শক অভিভাবক) পাবে না।


সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।

সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।

* এখন আলেম হতে মুরশিদ ওলী লাগবে। চল্লিশের বেশী বয়সে হযরত ওমর (রা.) রাসূলের (সা.) খেদমতে দশ বছর থেকে দ্বীনদার আলেম হয়েছেন। এখনো মুরশিদ ওলীর খেদমতে দশবছর থেকে আলেম হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে মুরশিদ ওলীর খেলাফত পেতে হবে। তবে মুশিদ ওলীগণ মাদ্রাসা স্থাপন করে যদি চল্লিশের বেশী বয়সী ছাত্রদেরকে পড়িয়ে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করে তাদেরকে আলেমের সনদ প্রদান করেন তবে এমন মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হতে পারে। কিন্তু অনেক মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে কওমে লুত কান্ডে যুক্ত দেখা যায়, অনেকে আবা ছাত্রদেরকে নকল সরবরাহ করেন। এমন শিক্ষককে মুরশিদ ওলী বলা যায় না। মুরশিদ ওলী তবে কারা?


সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।

সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* দ্বীনের যামিনদার মোত্তাকীদের ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের বিবেচনায় যিনি মুরশিদ ওলী, তাঁকে মুরশিদ ওলী মানা যায়। এমন একজন মুশিদ ওলী ছিলেন ইমাম হাসান বছরী (র.)। তাঁর ছাত্রী ছিলেন হযরত রাবেয়া বছরী (র.)। তাহলে মাদ্রাসা কি কাজে লাগে? মাদ্রাসা থেকে ত্বলেবে এলেম হওয়ার যোগ্যতা লাভ হয়। তবে মাদ্রাসা আলেম হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: "আলেম" মানে কেবল বই মুখস্থকারী নয়, বরং একজন জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী মানুষ—যিনি কেবল ফিকহ বা তাফসির জানেন না, বরং সমাজ, ইতিহাস, মনোবিজ্ঞান, রাজনীতি নিয়েও সম্যক ধারণা রাখেন এবং ইসলামি শিক্ষাকে জীবনের জটিল বাস্তবতায় প্রয়োগ করতে পারেন।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যার এলেম পরিস্থিতির গরমিল তার এলেম কাজের না হয়ে অকাজেরও হতে পারে।

২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানের অনেক মাদ্রাসায় এখনো তাকরার (বিতর্ক) বা গবেষণা-ভিত্তিক পড়াশোনার বদলে মুখস্থ শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়। ফলে একজন ছাত্র হয়তো অনেক কিতাব জানে, কিন্তু চিন্তার গভীরতা থাকে না।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শতভাগ সঠিক বলেছেন। এদের দুনিয়া চালানোর যোগ্যতা হয় না।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইবনে খালদুন, ইমাম গাজ্জালী বা আজকের যুগের আল্লামা ইউসুফ কারজাভি, শেইখ সালেহ আল-ফাওজান বা ড. জায়েদ আল-মাদখালি—তাঁরা কেউই শুধু কিতাব মুখস্থ করে আলেম হননি। তারা যুগের চিন্তা ও জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়েছেন।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এলেমকে কাজে লাগাতে হলে যুগের সাথে মিল করেই কাজে লাগাতে হবে।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যখন শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তা ও গবেষণার স্বাধীনতা থাকে।কিতাবের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান, ভাষা ও ইতিহাস শেখানো হয়।শিক্ষকরা নিজেরাও চিন্তাশীল, উদার ও মুমিন-মনস্ক থাকেন। শিক্ষার্থীরা শুধু দলিল মুখস্থ না করে, তা বিশ্লেষণ ও প্রয়োগে পারদর্শী হন। তাহলে মাদ্রাসা সত্যিকারের আলেম তৈরি করতে পারবে ।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: জঙ্গি তৈরি হয়।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরা অকাজের ইমশান তৈরী করে গোলযোগ পাকাতে পারে। শান্তির বদলে এরা অশান্তি উপহার দেয়।

৬| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:০৮

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



কোন আলেম অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, রাজনীতি ও কুটনীতি বুঝার মতো জ্ঞানী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ কেউ হওয়া সম্ভব।

৭| ২৮ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।

২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাদ্রাসায় যা শিখানো হয় সেটা আলেম হওয়ার সহায়ক। সেজন্য মাদ্রাসা বন্ধ করার দরকার নাই।

৮| ২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

জিকোব্লগ বলেছেন: গান্ধী পোকা দেখি আপনার পোস্টে ভালোই উৎপাত করে।

২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আসুক তাতে সমস্যা নাই।

৯| ২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নবীজি কি পড়াশোনা জানতেন?

২৮ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ বিষয়ে অনেকে অনেক রকম বলে। তবে তিনি পূর্বের ঐশি কিতাব জানতেন না।

১০| ২৮ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


তিনি কি মুর্খ ছিলেন?

২৮ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি অনেক বেশী জ্ঞানী ছিলেন। শুধূ পূর্বের ঐশি কিতাব বিষয়ে তাঁর জানাশুনা কম ছিল।

১১| ২৮ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাদ্রাসায় যা শিখানো হয় সেটা আলেম হওয়ার সহায়ক। সেজন্য মাদ্রাসা বন্ধ করার দরকার নাই।

মাদ্রাসা আধুনিক বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর।

২৮ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা আধুনিক শিক্ষার ভক্ত তারা যেথায় আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হয় সেদিকে গেলেই হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে মাদ্রাসা নিয়ে মাথা নষ্ট করার দরকার নাই।

১২| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে কোন আলেম নাই। আলেম নামের ভন্ড ও চুগলখোর আছে।

২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা মোটে আলেম নয়, তারা নিজেদেরকে আল্লামা দাবী করে বিশাল ভাব নিয়ে বসে থাকে। তারা কাজের চেয়ে অকাজটাই বেশী করে।

১৩| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্ম শিক্ষার প্রতিস্ঠানগুলি কিছু মানুষের আয়ের ধান্দার জন্য চলছে।

একজন যখন মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বের হয় সে কি করে আয় করতে পারে? সে নতুন আরেকটা মাদ্রাসা খুলে বসে।

আরব দেশে এতো ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিস্ঠান নাই। তারা স্কুল কলেজ করছে, তাদের কারিকুলামে ধর্মীয় বিষয়গুলি আছে। যাদের উচ্চশিক্ষা দরকার তারা ধর্মীয় শিক্ষায় যায়।

আমাদের দেশে এতিম, দরিদ্র শিশুদের সরকারী ভাবে দেখাশুনা শুরু করলে মাদ্রাসার সংখ্যা ৯৫% কমে যাবে।

এতিম, দরিদ্রের সন্তানদের দেখাশুনা করান নামে মাদ্রসা পরিচালনার পেছনে যারা আছে তারা জীবিকা নির্বাহ করছে।

একটা জিনিস বুঝিনা, কেন মানুষকে কোরানে হাফেজ হইতে হবে? কি কাজে লাগে এটা?

এখন কোরান বিলুপ্ত হবার কোন ঝুকি নাই। কোটি কোটি কোরানের কপি আছে, সপ্ফট কপি আছে।

দুনিয়াতে সবচেয়ে অভাগা এই হাফেজরা। তারা এতো কস্ট করে জীবনের সোনালী সময়গুলি কাটায় কোরান মুখস্ত করতে কিন্তু তার কোন লাইনের অর্থ তারা জানেনা। জীবন জিবিকার কাজে লাগেনা।

কিন্তু কিছু বাবা মায়ের অন্ধর্ধমভক্তির কারনে তারা হাফেজ হয় নতুবা এতিম শিশু হিসেবে বড় হুজুর তাদের হাফেজ বানায়।

সব চেয়ে বেশি কোরানে হাফেজ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ।

অন্ধ ধামিকতা খুবই খারাপ।

২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিছু হাফেজে কোরআনের দরকার আছে ইসলামী পুস্তকের প্রুফ দেখার জন্য। আর খতম তারাবিহ এর জন্যও হাফেজে কোরআনের দরকার আছে। আর দরকার আছে ঘরে কোরআন খতম করার জন্য।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কোরআন শরীফ মুখস্ত করে হাফেজ হওয়া কি খুব বেশী জরুরি?

২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিছু ক্ষেত্রে হাফেজে কোরআনের দরকার আছে।

১৫| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৮

নতুন বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কোরআন শরীফ মুখস্ত করে হাফেজ হওয়া কি খুব বেশী জরুরি?

দেশের বেশির ভাগ মানুষই হয়তো আমার এই কথার বিরোধীতা করবে।

কিন্তু মুখস্তের পেছনে কারন ছিলো, তখন লিখিত আকারে কোরান ছিলোনা। তাই মুখস্ত করে রাখতো।

এখন সেটার দরকার নাই।

আর আমাদের দেশের হাফেজরা কোরানের অর্থ না বুঝেই তোতাপাখির মতন শুধু মুখস্ত করে রাখে।

আমি যেই জিনিসের জন্য এতো কস্ট করলাম সেটা যদি নাই বুঝি তবে সেটাতে কি লাভ হবে?
আর যে বোঝে না সে কিভাবে মানবে?

২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দুই জনের মরার জন্য কোরআন খতম মান্নত করেছিলাম। তারা দু’জন দু’দিন পানিতে ডুবে মরে ছিল। দু’জনের জন্য খাজা খতম পড়িয়েছি। তারাও সংক্ষেপে মরে গেছে। এসব কাজে হাফেজে কোরআনের দরকার আছে।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৫

নতুন বলেছেন: মানুষ মরার জন্য কোরান খতম মান্নত করা যায়? :| ( এটা কি ইসলামে জায়েজ?)

তাতে সৃস্টিকর্তা ২ জন মানুষকে পানিতে ডুবে মরা ঠিক করে দিলেন? /:) ( এটা কি ইসলামের স্কলারেরা সহমত হবেন?)

মানুষের যে কত রকমের ভ্রান্তধারনা থাকে সেটা দেখে অবাক হই।

২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একটা লোক আমার পিতার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছিল। লোকেরা সেটা শুনে মজা পাচ্ছিল। আমার তখন খুব রাগ হচ্ছিল। আমি বললাম- আপনার কথা সত্য না হলে আল্লাহ আপনার বিচার করলে আমি এক খতম কোরআন পড়াব। তিনি বললেন-আমি তিন খতম কোরআন পড়াব। তাঁর ভাই বললেন, আমরা তিন খতম কোরআন পড়াব। আমি হাফেজ সাহেবকে বললাম আপনি কি শুনলেন? তিনি বললেন, আমি শুনলাম। সম্ভবত পরের দিন লোকটা পুকুরে গোসল করতে নেমে তার পুত্র বধুকে লুঙ্গি এবং গামছা আনতে বললেন। পটুত্র বধু এসে দেখলেন তিনি মরে পুকুরে ভেসে আছেন। তাঁর ছোট ভাই তার পরের দিন পুকুরে নেমে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সবাই তাঁকে ধরে ঘাটলায় তুললে তিনিও মারা যান। তাঁরা অপরাধের পক্ষে কোরআন খতমের মান্নত করায় তাদের বিচার দ্রুত হয়েছে বলে আমি মনে করি।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫

নতুন বলেছেন: বাবার নামে মিথ্যা অপবাদ অবশ্যই গ্রহনযোগ্য না। এটা সহ্য করা যায় না।

২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁরা সমাজে মাননীয় ছিলেন। সেই লোক আমার বড় ভায়ের বিয়ের আগে তাঁর শ্বশুরের সাথে দেখা করে আব্বার অনেক বদনাম করে বললেন, আপনি কি এমন ছোকের ছেলের কাছে আপনার মেয়ে বিয়ে দেবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ দেব। তারপর কি আপনার কিছু বলার আছে? তিনি বললেন, না। বড়ভাইয়ের শ্বশুর বললেন, তাহলে আপনি একবার যেতে পারেন।

১৮| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.