নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর সুন্নাত হলো চল্লিশ বা চল্লিশের বেশী বয়সের ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা

০১ লা জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:০৫




সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।

সূরাঃ ৯৬ আলাক, ১ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। পড়, তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
২। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে
৩। পাঠ কর, তোমার রব মহামহিমাম্বিত
৪। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন

সূরাঃ ৬৮ কালাম, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।

* শিক্ষক হিসাবে আল্লাহর সুন্নাত হলো চল্লিশ বছর বয়সে শিক্ষা দান শুরু করা।রাসূল (সা.) পঁচিশ বছর বয়স থেকেই আল্লাহর থেকে শিক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁর বয়স চল্লিশ হওয়ার পর আল্লাহ তাঁকে ইকরা (পড়) বললেন। অথচ আল্লাহর বিবেচনায় তিনি সর্বসেরা চরিত্রের ছিলেন।

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত আদম (আ.) শয়তানের ধোকায় পড়েছেন। তারপর থেকে তিনি লক্ষাধীক ছাত্র গ্রহণ করেছেন চল্লিশ বছর বয়সি। তাঁর আরেক জন ছাত্র হযরত ঈসা (আ.) চল্লিশের কম বয়সি ছিলেন। তিনি তাঁর কথা জনগণকে বুঝাতে পারেননি। তারা তাঁকে হত্যার আয়োজন করলে আল্লাহ তাঁকে নিজের কাছে তুলে নিলেন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* রাসূলের (সা.) চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র-ছাত্রী হযরত আলী (রা.), হযরত মুয়াবিয়া (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। রাসূলের (সা.) আরেক ছাত্র হযরত আবু বাকরা (রা.) তাঁদের কার্যক্রমে অংশনিতে লোকদেরকে নিষেধ করতেন।তিনি নিজেও কারো পক্ষে অংশগ্রহণ করেননি।এদিকে খারেজীরা (ইবাদী) হযরত আলীকে (রা.) কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করে ফেলে। শিয়ারা হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) মোনাফেক বলে।তারা হযরত আয়েশাকে (রা.) মোনাফেক না বললেও তাদের কন্যার নাম আয়েশা রাখে না।রাসূলের (সা.) চল্লিশের বেশী বয়সি ছাত্র হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.)পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হননি। তাঁদের সময় খেলাফত সুদৃঢ় হয়ে সম্প্রসারিত হয়েছিল। তাঁরা মুসলিম ঐক্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু রাসূলের (সা.) চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র-ছাত্রীগণ বড় আলেম স্বীকৃত হলেও তাঁরা মুসলিম ঐক্য ধরে রাখতে সক্ষম হননি। হযরত আলী (রা.) ও মুয়াবিয়া (রা.) পরস্পরকে লানত দিতেন। তাঁদের এ কাজে মুসলিম ঐক্য নাই। তাঁদের উভয়কে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলায় মুসলিম (অধিকাংশ মুসলিম) ঐক্য আছে। রাসূলের (সা.) চল্লিশের বেশী বয়সী ছাত্ররা মাদ্রাসা পরিচালনা করলে তাতে চল্লিশের কম বয়সিরা ছাত্র হয়ে এলেম হাসিল করলে হয়তা তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতেন না। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতেন না। কিন্তু তাঁরা সঠিক মাদ্রাসা কায়েম করে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করায় আল্লাহ তাঁদের পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত না হওয়ার ইচ্ছা করেননি। এখনো মুসলিম পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত আছে। কারণ তারা আল্লাহর সুন্নত মেনে সঠিক মাদ্রাসা স্থাপন করেনি।

সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।

সহিহ আল বোখারী, ৩৪২১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২১।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কিছু লোক এলহাম প্রাপ্ত ছিল। আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকলে সে ওমর বৈকি?

সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।

* রাসূলের (সা.) চল্লিশ বছর বয়সি ছাত্র হযরত ওমর (রা.) সঠিক বয়সে দশ বছর তাঁর ছাত্র ছিলেন। তাঁর এলেম ও দ্বীন সঠিক ছিল। তিনি এলহামও প্রাপ্ত ছিলেন। এখনও যদি এমন শিক্ষার ব্যবস্থা হয় তাহলে মুসলিমদের মাঝে সঠিক আলেমের বিস্তার ঘটবে। চল্লিশের কম বয়সি ছাত্ররা অনেক বড় আলেম হলেও তারা মুসলিমদেরকে মতভেদ উপহার দিবে। আর তাদের পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহও থামবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩৬

মেঘনা বলেছেন: অল্প কথায় পোস্ট করেন। আপনের পোস্ট গুলা বড় বড়। শেষ পর্যন্ত আর পড়া হয় না।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয় প্রমাণের জন্য যতটুকু লিখতে হয় ততটুকু না লিখে উপায় নাই।

২| ০১ লা জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আবু হুরাইরা (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৩০ বছর বয়সে, কিন্তু মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রধান হাদিস বর্ণনাকারী হয়ে ওঠেন।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি রাসূলের (সা) চল্লিশ বছর বয়সি সাহাবা ছিলেন না। আব্দুল্লা ইবনে ওমরও (রা) রাসুলের (সা) চল্লিশ বছর বয়সি সাহাবা ছিলেন না। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদও (রা) রাসূলের (সা) চল্লিশ বছর বয়সি সাহাবী ছিলেন না। সুতরাং রাসূলের (সা।) চল্লিশ বছর বয়সি সাহাবায়ে কেরামের সাথে তাঁদের মতভেদ ইসলামে গৃহিত হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.