![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।
* হযরত আলী (রা.) ও হযরত আয়েশার দল পরস্পর যুদ্ধ করেছেন। হযরত আলী (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) দল পরস্পর যুদ্ধ করেছেন। হযরত আবু বাকরার (রা.) দল তাঁদের কোন দলকে সঠিক মনে করেননি। সেজন্য তিনি তাঁদের কোন দলে যোগদান করেননি। খারেজী দল হযরত আলীর (রা.) দলকে কাফের মনে করে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করেছে। খারেজী ছাড়া অন্য মুসলিমগণ খারেজীদেরকে কাফের মনে করে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন। এখন প্রশ্ন হলো আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা করলেন কেন?
সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।
সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৯৬ আলাক, ১ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
২।সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে
৩। পাঠ কর, তোমার রব মহামহিমাম্বিত
৪। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন
* আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত আদম (আ.) শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। তারপর থেকে আল্লাহ চল্লিশ বছর বয়সি ছাত্র পড়াতেন।তাঁর সর্বসেরা ছাত্র মহানবিকে(সা.)আল্লাহ চল্লিশ বছর বয়সে পড়তে বললেন। রাসূলের (সা.) চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র-ছাত্রী হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়া (রা.) আল্লাহর মহাঅপছন্দের কাজ পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন।আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।কেন আল্লাহ তাঁদের পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা করলেন? এর কারণ তাঁরা রাসূলের (সা.) চল্লিশ বছর বয়সি ছাত্রদের থেকে এলেম তলব অব্যাহত রাখেননি।রাসূল (সা.) দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত এলেম তলব করতে বলেছেন। এলেম তলবের বদলে হযরত আলী (রা.) উল্টা খলিফা হতে চেয়েছেন। অথচ তখন খলিফা হওয়া হযরত আলীর (রা.) কাজ ছিল না। তারপর যখন তিনি খলিফা হলেন তখন তিনি খেলাফত অখন্ড রাখতে পারলেন না। কিন্তু রাসূলের (সা.) চল্লিশ বছর বয়সি তিন ছাত্র হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) খেলাফত অখন্ড রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
সূরাঃ ২৮ কাসাস, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। আমরা মুসার মায়ের নিকট ওহী পাঠালাম তাকে দুধপান করাতে। যখন তুমি তার বিষয়ে কোন আশংকা করবে তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে। আর ভয় করবে না ও দুঃখ করবে না।আমি অবশ্যই তাকে তোমার নিকট ফিরিয়ে দেব।আর তাকে রাসুলদের একজন করব।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২১।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী কিছু লোক এলহাম প্রাপ্ত ছিল। আমার উম্মতের মধ্যে এমন কেউ থাকলে সে ওমর বৈকি?
সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।
সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।
* চল্লিশ বছরের পর হযরত ওমর (রা.) দশ বছর রাসূলের (সা.) ছাত্র ছিলেন। হযরত মুসার (আ.) মায়ের নিকট যে ওহী এসেছে সে ওহীকে এলহাম; বলে হযরত ওমর (রা.) সে এলহাম প্রাপ্ত ছিলেন। তাঁর এলেম ও দ্বীন সঠিক ছিল। তিনি একজন বিশ্বসেরা শাসক ছিলেন। বিশ্বের একশত জন মহামানবের তালিকায় তাঁর নাম আছে।রাসূলের (সা.) অন্য ছাত্র-ছাত্রীগণ পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এলেম তলব অব্যাহত রাখলে আল্লাহ হয়ত তাঁদের পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা করতেন না।তাঁদের মধ্যে আল্লাহর অপছন্দের কাজ মতভেদ ছিল প্রচুর। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হযরত ওসমানের (রা.) সাথে মতভেদ করায় জনগণ তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে। অথচ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের হযরত ওসমানকে (রা.) শিক্ষক মানা সঠিক ছিল। হযরত ওসমানকে (রা.) শিক্ষক মানা সঠিক ছিল হযরত আবু জরের।কারণ খোলাফায়ে রাশেদার খলিফাদের মধ্যে আল্লাহ সবচেয়ে বেশী সময় তাঁকে খলিফা পদে বহাল রেখেছেন।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
* রাসূলের (সা.) সিনিয়ার ছাত্রদেরকে শিক্ষক হিসাবে গ্রহণ না করা ছিল জুনিয়র ছাত্রদের অহংকার প্রকাশ। এটা আল্লাহর সুন্নতের পরিপন্থীকাজ। আল্লাহর সুন্নতের পরিপন্থী কাজ করায় আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা করলেন যেন মানুষ বুঝতে পারে আল্লাহর সুন্নতের পরিপন্থী কাজ করলে কোন ঘটনা ঘটতে পারে।হযরত ওসমানের (রা.) হত্যার প্রধান অভিযুক্তদের একজন মালেক উশতারকে হযরত আলী (রা.) খেলাফতের প্রধান সেনাপতি পদে নিয়োগ দিলেন।হযরত ওসমানের (রা.) হত্যার অন্য একজন প্রধান অভিযুক্ত হযরত আবু বকরের (রা.) ছেলে মোহাম্মদকে হযরত আলী (রা.) মিশরের শাসক পদে নিয়োগ দিলেন। আর জনপ্রিয় শাসক হযরত মুগিরা বিন শোবা (রা.), হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) যিনি মিশর বিজয়ী ছিলেন এবং হযরত মুয়াবিয়া (রা.) মক্কা বিজয়ে যাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল- হযরত আলী (রা.) এ তিনজন শাসককে শাসনকর্তার পদ থেকে বরখাস্ত করলে জনগণ তাঁর বিপক্ষে চলে যায়। এমনকি তার তাঁর নিয়োগ করা মালেক উশতার ও মোহাম্মদকে হত্যা করে।হযরত আলীকে (রা.) গাদির খুমে রাসূল (সা.) মাওলা বলায় কিছু লোক তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করেছে। নতুবা তিনি গণবিদ্রোহ সামাল দিতে পারতেন বলে মনে হয় না। তারপর কারবালায় ইমাম হোসেনের (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করার মত লোক পাওয়া গেল না। কারণ তাঁর পিতা যারা খলিফা ওসমানের (রা.) সাথে বেয়াদবী করেছে তাদেরকে পুরস্কার দিয়েছেন। আর তাঁর পক্ষের লোকদেরকে তিনি বরখাস্ত করেছেন। বিষয়টি জনগণ মেনে নিতে না পারায় তারা তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং তাঁর থেকে পুরস্কার প্রাপ্তদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। মুসলিম যারা ওয়াজ করতে চায় তাদেরকে অবশ্যই চল্লিশ বছর থেকে পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত যোগ্য মোয়াল্লেমের নিকট থেকে এলেম তলব করে পঞ্চাশ বছরের পর ওয়াজ করতে হবে। এ রীতি না মানলে মুসলিমদের মাঝে পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়া চলতে থাকবে এবং আল্লাহ তাদের মাঝে পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ থামাবেন না।সূত্রে না পড়ায় সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়া যখন আল্লাহ থামাননি তবে এখন এমন দ্ধ-বিগ্রহ তিনি থামাবেন এমন আশা করা যায় না।
২| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ শব্দের উৎপত্তি কি জানেন।আল্লাহ হলো পেগানদের প্রধান দেবতার নাম।যার কোন মুর্তি ছিলো না।তাই আমরা ইসলাম ধর্মের আগেও আল্লাহ শব্দটি পাই।যেমন আব্দুল্লা মানে আল্লাহর দাস।নবীর পিতার নাম।আবদুল্লা পৌতলিক ছিলো।
।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সকল ধর্ম কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি ধর্মের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ হলো নুরা পাগলার মতো।যখন যা মন চায় তাই করে।