নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিআর বিষয়ে বিচারপতির বিবেচনা সঠিক আছে কি?

২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৫



বিশাল জনপ্রিয়তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু জনরোষে পড়েছেন। তাঁর অপমৃত্যুতে জাতির মাঝে শোকের মাতম উঠেনি। জনপ্রিয়তা হারানোর আগেই জিয়াকে হত্যা করা হয়।জনতার বিশাল সহানুভূতি নিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে শেখ হাসিনা জনরোষে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ৭.৬২ কান্ড আওয়ামী কান্ড নয় সেটা কি করে বলা যায়? হতে পারে পরাজিত হয়ে ধরা পড়ার ভয়ে তারাও শেখ হাসিনার মত পালিয়েছে। জিয়ার জনপ্রিয়তা তাঁর দল ধরে রাখতে পারেনি। জিয়াপুত্র ক্ষমতায় এসে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবেন কি? আর এরশাদ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হননি। তিনিও জনরোষে পড়ে ক্ষমতা ছেড়েছেন।সেজন্য কেউ কেউ পিআর পদ্ধতির কথা ভাবছে। এটা এখনো এদেশে অপরীক্ষিত।

পিআর পদ্ধতিতে ০.৩৩ শতাংশ ভোট পেলেও আমরা কোন একটি দলের একজন এমপি জাতীয় সংসদে দেখতে পাব।আর পিআরে ‘না’ ভোটের অপশন রেখে তাতে যা ভোট পড়বে সে অনুপাতে নিরপেক্ষ সাংসদ নির্বাচিত করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে যাদের নাম প্রস্তাব আসবে এসএমএস ভোটে তাদেরকে নির্বাচিত করা যেতে পারে। যদি ৫১% ‘না’ ভোট পড়ে তবে ১৫৩ জন নিরপেক্ষ সাংসদ নির্বাচিত হয়ে তাঁরা নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে পারে। বিএনপিকে আরেকবার সুযোগ দেওয়ার পর তারা জনরোষে পড়লে জনগনের বেটার অপশন হবে নিরপেক্ষ সরকার।

‘না’ ভোটের অপশন থাকলে এবং ‘না’ ভোটে নিরপেক্ষ এমপি নির্বাচনের বিধান থাকলে কাস্টিং ভোট বেশী হতে পারে। তাতে নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া কোন দলের জন্য মুশকিল হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে না থাকলেও ‘না’ ভোট দিতে তারাও ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে।পিআর এ ‘না’ ভোটের জয় জয় কারও হতে পারে। সুতরাং বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক দলকে নীতির পথে ফিরতে হবে।

জনগণ মন্দের ভালো হিসাবে তাদেরকেই ভোট দিবে রাজনৈতিক দলের এমন ভাবনা মন থেকে ধুয়ে মুছে যাওয়া জরুরী। বরং অতি উত্তম না হলে ভোট পাওয়া যায় না, রাজনৈতিক দলের মধ্যে এমন ভাবনা বদ্ধমূল হওয়া দরকার। জনগণ আর কত প্রতারিত হবে? রাজনৈতিক দলের হাস্যকার আচরন আর কত সহ্য করা যায়। শিবিরের এক সদস্যকে আমি গোলমাল আজম বলতে শুনেছি। আসলে বেটার অপশন না থাকায় রাজনীতির ক্ষেত্রে অনেকে বিপথে পরিচালিত হয়। সুতরাং আমরা চাই বেটার অপশনের ক্ষেত্র প্রস্তত হোক। বিচারপতি মহোদয় এমন কিছু বুঝেই কি পিআর এর সুনাম করলেন? এদেশে ব্যাপক হতাশায় পিআর এর একবার পরীক্ষা হয়ে যাক। নতুবা হতাশার স্রোতে ভেসে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর বেটার কোন অপশন নাই। রাজনৈতিক দলের কোন নেতার কথায় আমরা আর আস্তা রাখতে পারছি না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:১৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ............. চলছে খেলা...... চলবেই....

২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের আবেগ আর অবশিষ্ট নাই। সব দেখা শেষ। এবার পিআর দেখা বাকী। এটাও ফেল মারলে রবীন্দ্র নাথের সমাপ্তি গল্পের মিনুর পিতার মত জনগণকে নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। নেতা আছে যেই খানে কর্মী থাকবে সেইখানে। নেতা আছে জেলখানে কর্মী আছে কোনখানে?

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:০৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা হয় নি। জামায়াত যখনই দেখেছে মাঠের অবস্থা ভালো না তখন পিআর নিয়ে পড়েছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পিআর জামায়াতের ক্ষমতারও প্রতিরোধক। পিআর না হলে ৪০% ভোটে ৩০০ আসন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু পিআর থাকলে এমন দানবিয় ঘটনা ঘটবে না। জাতীয় সংসদের শক্তিশালী বিরোধী দলের জন্য পিআর দরকার।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৩

কিরকুট বলেছেন: জামাত ও তাদের মদদপুষ্ট চোষা দল গুলাই পি আর নিয়ে উত্তেজিত। কারন তাদের কোন জনসমর্থন নাই। জামাতের গু খাওয়া কিছু লোক পিআর কে বৈধতা দেয়ার জন্য উঠে পরে লাগছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পিআর ছাড়া কোন দলের দানব হয়ে উঠা রোধ করার অন্য কোন পথ আছে কি? আপনার মন্তব্যটি অশালিন এবং অগ্রহণযোগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.