নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে বহুগামীতা - (পর্ব-১)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩



ইসলামে নারীর বহুগামীতা নিষিদ্ধ। কারণ সন্তানের পিতা নির্ণয় সংক্রান্ত সমস্যা এবং বহুগামী নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্কের কারণে জটিলরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা। ইসলামে পুরুষের বহুগামীতা নিষিদ্ধ নয়। কারণ সন্তানের মাতা নির্ণয় সংক্রান্ত সমস্যা নেই এবং এতে জটিলরোগে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যাও নেই।তবে কোন স্ত্রী স্বামীর বহুগামীতা পছন্দ করেনা।অনেক পুরুষ বহুগামীতার ঘোর বিরোধী। অনেক পুরুষ বহুগামীতা পছন্দ করেনা। অনেক পুরুষ বহুগামীতা পছন্দ করলেও এ সংক্রান্ত অশান্তির ভয়ে সে পথে হাঁটে না। বহুগামী পুরুষ বহু স্ত্রীর দেহ লাভে ধন্য হলেও স্ত্রীদের মন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটা বাস্তবতা। এ জন্য যে সব পুরুষ স্ত্রীর মন পেতে চায় তারা বহু বিবাহের পথে হাঁটে না।তবে ইসলামে বহুগামীতা বাধ্যতা মূলক নয়।জান্নাতে উহা কি বাধ্যতা মূলক? অনেকের মতামত থেকে মনে হয় জান্নাতে এটা বাধ্যতা মূলক। আবার অনেকের মতামত থেকে মনে হয় জান্নাতে এটা বাধ্যতা মূলক নয়।

কেউ কেউ বহুগামীতা পছন্দ করেনা। এটা যদি তাদের জন্য বাধ্যতা মূলক করে দেওয়া হয় তবে তো এটা তাদের জন্য শাস্তি হয়ে গেল। আর জান্নাততো শাস্তির স্থান নয়।সংগত কারণে জান্নাতে বহুগামীতা বাধ্যতা মূলক এমন ধারণা অমূলক। হুর তাহলে কোন কাজে লাগবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এ ক্ষেত্রে বলা যায় তারা থাকবে জান্নাতের শোভাবর্ধনকারিনী হিসেবে।আর তারা যে দেখতে খুব সুন্দরী কুমারী মেয়ে সে কথা কোরআনে বলা আছে।তবে তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়তে পুরুষেরা বাধ্য থাকবে সে কথা কোরআন হাদিসের কোথাও নেই।

অনেক বহুগামী মনে করে সবাই তাদের মত বহুগামীতা পছন্দ করে। বাস্তব আসলে এমন নয় বরং অনেকে বহুগামীতা প্রচন্ডভাবে ঘৃণা করে, এমন কি তারা বহুগামীকেও ঘৃণাকরে।যে নারী বহুগামী পুরুষ ঘৃণাকরে তাকে কি বহুগামী পুরুষের সাথে থাকতে বাধ্য করা হবে? যদি তেমনটা করা হয় তবে এটা হবে তার জন্য শান্তি। আর জান্নাত শাস্তির স্থান নয়। সংগত কারণে নারীকে বহুগামী পুরুষের সাথে থাকতে বাধ্য করা হবেনা বরং সে যেমন চায় তেমন বহুগামীতা পছন্দ করেনা এমন পুরুষের সাথে থাকতে দেওয়া হবে।

জান্নাত অনন্ত বসবাসের স্থান। পুরুস্কার হিসেবে এখানো কারো মনকষ্টের মাধ্যমে জীবন যাপনের ব্যবস্থা হবে এমন ধারনা অবাস্তব।বলা হলো পুরুস্কার, কিন্তু দেখা গেল সেটা আসলে শাস্তি। তবেতো সেটা মারাত্মক প্রতারণা। আর আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রতারণা অসম্ভব।

জান্নাতে হুর ও গেলমান থাকা সমস্যার বিষয় নয়। হুরেরা নারীদের সখি হিসেবে বিদ্যমান থাকা চমৎকার বিষয়। আর গেলমানেরা পুরুষদের আড্ডার আসরের সদস্য থাকাও চমৎকার বিষয়।হুর ও গেলমানের পুত্র-কন্যার মত বিদ্যমান থাকাও চমৎকার বিষয়।তবে তাদের সাথে যৌনতার বিষয় জড়ালে সেটার ব্যখ্যা অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

হুর ও গেলমান জান্নাতে থেকে জান্নাতের শোভা বর্ধন করুক তাতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের দ্বারা জান্নাতের চমৎকার পরিবেশ নষ্ট হলে মানুষ প্রতিবাদ না করে চুপ করে বসে থাকবে বলে মনে হয়না। আর আল্লাহ তাদের উপর জোর করে নিশ্চয়ই সৈরাচারী খেতাব গ্রহণে সম্মত হবেন না।কিন্তু জাহান্নামের বিষয় ভিন্ন। সেটা দন্ড ভোগের স্থান। কাজেই তাদের প্রত্যাশা মূল্যহীন। কিন্তু পুরস্কার প্রাপ্ত জান্নাতিদের ইচ্ছার প্রতি সমিহ প্রদান করা হবে না, এমনটা ভাবা যায় না।

যারা বহুগামীতা পছন্দ করে তারা তাদের বহুগামীতা নিয়ে থাকে থাকুক। যারা বহুগামীতা পছন্দ করেনা তারা এ বিষয়ে না ভাবলেও পারে যদি এ বিষয়ে তাদেরকে জোর করা না হয়। যদি এ বিষয়ে জোর করা সংক্রান্ত কিছু থাকে তবে এ বিষয়ে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কারণ বহুগামীতা আমার নিকট প্রচন্ড বিরক্তিকর বিষয়। নবি (সা.) সহ অনেকে বহুগামীতায় যুক্ত ছিলেন আমি এটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় বলে মনে করি। তবে নবি (সা.) বহুগামীতাকে উম্মতের জন্য বাধ্যতামূলক করেননি। তিনি এটা বলেননি যে এটা না হলে জান্নাতে যাওয়া যাবেনা। তিনি এটাও বলেননি যে বহুগামীতা থেকে এখানে রেহাই পাওয়া গেলেও, জান্নাতে রেহাই পাওয়া যাবেনা।

আল্লাহ মানব সমাজ গড়ে তোলার শুরু করেছেন এক স্বামী ও এক স্ত্রীর মাধ্যমে। যেমন আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)।কাজেই এটাই আল্লাহর অধিক পছন্দ। তবে অধিক স্ত্রী বিষয়ে আল্লাহ জোরাল আপত্তি তোলেননি।তবে সূরা নিসার তিন নং আয়াতে তিনি চারের অধিক স্ত্রী থাকা নিষেধ করেছেন। তবে সমতা বিধান করতে না পারলে একের অধিক স্ত্রী নিষিদ্ধ করেছেন। এ বিধানের আগেই যারা অনেক বিবাহ করেছেন তাদেরকে আবার চার স্ত্রী রেখে বাকীদের বিদায় করে দিতে বলেননি। সেজন্য মহানবির (সা.) চারের অধিক স্ত্রী ছিল।আর ইসলামে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা যায় বয়ঃপ্রাপ্তির পর, বয়ঃপ্রাপ্তির আগে নয়।তবে বালিকা অবস্থায় বিবাহ নিবন্ধন করা যায়।

নবীগণের মাঝে হজরত ইব্রাহীম (আ.), হজরত ইয়াকুব (আ.), হজরত মুছা (আ.)দুই স্ত্রীর স্বামী ছিলেন।হজরত দাউদ (আ.), হজরত সুলাইমান (আ.), হজরত আইউব (আ.) ও হজরত মোহাম্মদ (সা.) বহু স্ত্রীর স্বামী ছিলেন। এ চার জন আবার রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন। আর রাজাদের বহু স্ত্রী প্রচলিত রীতি ছিল। তারমানে রানীর সুবিধা ভোগকরতো সতীনের অসুবিধাও ভোগ কর। তবে কোরআন ও হাদিস মিলে যে পঁচিশ জন নবির (আ.) কথা রয়েছে তাদের ষোল জন এক স্ত্রীর স্বামী ছিলেন। আর দুই জনের স্ত্রী ছিলনা। এ ক্ষেত্রে এক স্ত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশী।

এক স্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে অন্য স্ত্রী প্রয়োজন। দুই স্ত্রী তাদের দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে তৃতীয় স্ত্রী প্রয়োজন। তিন স্ত্রীও যদি এমন হয় তবে চতুর্থ। তবে কোনক্রমেই তারপর আর নয়।তবে সমতা বিধান করতে না পারলে ভোগান্তির শিকার হলেও একের অধিক বিবাহ চলবে না। এ নীতির মাঝে মন্দ কিছু পরিলক্ষিত হয় কি? যদি তেমন হয় তবে সেটা কিভাবে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।

মানুষের সম্পর্কগুলো ইহকাল ও পরকালে রুচি সম্মত থাকুক। নারী হোক আর পুরুষ হোক কোন পুরুস্কার প্রাপ্তের উপর জবরদস্তি না করা হোক। আল্লাহর নিকট এটাই আমাদের একান্ত কাম্য। আশাকরি বান্দার ইচ্ছার মূল্য অবশ্যই তাঁর নিকট থাকবে। বান্দা তাঁর অবমূল্যায়নের শিকার হবেন না।যা খুশি করতে পারেন বলেই তিনি যা খুশি করবেন, বান্দা এমন প্রত্যাশা করেনা।অন্তর্যামী বিষয়টা সুবিবেচনায় রাখবেন বলে সবাই আশা করে।জান্নাতী নারী-পুরুষ সবার জীবন সুখময় হোক এটুকুই আমাদের কাম্য।মহানবির (সা.) আবেদনের ভিত্তিতে আল্লাহ অনেক কিছু করেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমরাও আমাদের কিছু আবেদন নিবেদন মঞ্জুর হওয়ার প্রত্যাশা করি।বন্ধ হোক বহুগামীতা। অটুট থাকুক ভালবাসায় ভরপুর সুন্দর দাম্পত্য এবং তা’ সকল স্থানে ও সকল কালে। ইসলাম সর্ব বৃহৎ ধর্ম হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেছে, এজন্য ইসলামকে বহুগোমীতা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। তাহলে তারা বহু মানুষের সহমর্মিতা প্রাপ্ত হবে।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।
ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি বেশ আত্মকেন্দ্রিক।
নিজের বউ বাচ্চা ছাড়া কিচ্ছু বুঝি না। কখনও অন্য কারোর দিকে তাকাতে রুচি হয় না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মানসিকতার লোকেরা বহুগামীতার প্রচন্ড বিরোধী। তবে বহুগামীতার পাশ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক। ইব্রাহিম (আঃ) এ কারণে সন্তান সমেত তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরাকে (আঃ) নির্বাসন দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ জন্য তাঁর অনেক মনঃকষ্ট ছিল। এ জন্য অনেকে এর থেকে ১০০ হাত দূরে থাকে।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বহু বিবাহ আমার পছন্দ নয়। এই আম‌লে এক জন‌কে নিয়ে খরচ চালা‌নো দায়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অতীতকে অতীতে রেখে ভবিষ্যতের জন্য মুসলমানকে বহু বিবাহ থেকে দূরে থাকা উচিৎ। কারণ মানুষের এর প্রতি তীব্র ঘৃণা তৈরী হয়েছে। আর একাধীক স্ত্রী থাকলে কারো ভালবাসাই ঠিকমত পাওয়া যায় না। বিষয়টি ভিষণ অলাভ জনক।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

নাহিদ০৯ বলেছেন: কিছু মুসলমান পুরুষ যেমন চার বিয়ে জায়েজ পর্যন্ত জেনেই সুখ অনুভব করে, তেমন কিছু ইসলামোফোব কোরআন বলেছে সব অমুসলিমদের হত্যা করো জেনেই ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম বানাতে পেরে সুখ অনুভব করে।

এই দুই দলের মধ্যে কোনই পার্থক্য নাই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরআন অহেতুক কোন অমুসলিমকে হত্যা করতে বলেনি। যারা মুসলমানের বিনাশের অপচেষ্টায় লিপ্ত সে সব অমুসলিমকে নিজে অস্তিত্ব রক্ষার সার্থে হত্যা করতে বলেছে। কাজেই এর ভিত্তিতে ইসলামের বিরোধীতার কিছুই নেই।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে স্বীকৃত-সম্পর্কের যৌনতা থেকে অস্বীকৃত-সম্পর্কের যৌুনতা অনেক অনেক গুণে বেড়ে গেছে; মানব সমাজ মোটামুটি পারিবারিক পরিচয় হারাচ্ছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অথচ পারিবারিক পরিচয় খুব সুখের। মানুষের এর চর্চা করা উচিৎ।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত দিন

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমাদের বুঝতে হবে এগিয়ে যেতে আমাদের কোন কথা কিভাবে বলা উচিৎ।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ১) হুর মানি কুমারী নারী ? এমন কথা আপনার লিখায় পড়ে অবাক হোলাম !! হুর শব্দের অর্থ সঙ্গি বা স্পাউস এই ধরনের কিছু কে বুঝানো হয়েছে এবং এই বিষয়ে কয়েকদিন আগে এই বল্গে একজনের লিখা প্রকাশিত হয়েছিল --

আসলে হুর কি ?

২) আমি আরো অবাক হোলাম ইসলামে নাকি বহুগামীতাকে সমর্থন করে !! এমন দাবি আপনার লিখায় পড়ে !!!

চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই
কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

সুরা নিসার আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।


আপনি কিসের ভিত্তিতে বহুগামীতাকে ইসলামিক বলে মনে করছেন !!

আমি জানি না উদাসী স্বপ্নের মত ব্লগারা কি ভাষায় এই বিষয়ে কথা বলবে ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যেহেতু বহু বিবাহ এখনো স্বীকৃত রয়েছে। সে ভিত্তিতে হয়ত অন্যরা যেমন বুঝেছে আমিও তেমন বুঝেছি। এখন আপনার নতুন হিসাব মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো অনেক সময় এতাধীক বিবাহ না করে উপায় থাকে না। আর আপনার লিংক পড়ে এসেছি। তাঁর কথা সবটা আমার সঠিক মনে হয়নি। তবে নিশ্চিত সিদ্ধান্তেও পৌঁছতে পারিনি। এ নিয়ে আরো খোঁজ নিচ্ছি।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩

ইকবাল সরদার বলেছেন: আল্লাহ বলেন
The adulterer shall marry none but an adulteress or an idolatress; and the adulteress shall marry none but an adulterer or an idolater. That has been prohibited for the believers.

ব্যভিচারী শুধু ব্যভিচারিণী বা শরিককারী নারীকে বিয়ে করবে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা শরিককারী পুরুষ বিয়ে করবে। বিশ্বাসীদের জন্যে এদের বিয়ে করা হারাম। (সুরা নূর, আয়াত ৩)

অর্থাৎ যারা বিবাহ বহির্ভূত যৌনতায় অভ্যস্ত তারা ইমানদার নন। বা or শব্দ বাবহার করে তাদেরকে শরিককারী বোঝালেন ।

বড় ভাই যথার্থই বলেছেনঃ "বিশ্বে স্বীকৃত-সম্পর্কের যৌনতা থেকে অস্বীকৃত-সম্পর্কের যৌুনতা অনেক অনেক গুণে বেড়ে গেছে"

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তাঁর মন্তব্যটি এ ক্ষেত্রে যতাযথ ছিল।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বর্তমানে যারা একাধিক বিয়ে করেন, তারা কয়জন নবীজির মত অবস্থানে থেকে এমনটি করেন। ইসলামে একাধিক বিয়ে যায়েজ আছে তা ঠিক, কিন্তু তালাক এবং ভিক্ষাবৃত্তি যেমন সবচেয়ে নিকৃষ্ট হালাল এটাও তেমনি। একাধিক বিয়ের অনেক কন্ডিশন আছে, সেগুলো বর্তমানে কয়জন মানে???
সুতরাং এমন আইন করতে হবে যে, একের অধিক বিয়ে করতে হলে আদালত পারমিশন প্রয়োজন হয়।
আরো একটা সিস্টেম করা যেতে পারে, যেহেতু এখন NID তে চিম সমৃদ্ধ করা হয়েছে, তাই এমন মেশিন বের করতে হবে যে, কেউ বিবাহিত কিনা তার কার্ড সোয়াপ করলেই তা পাওয়া যাবে এবং কাগজের পাশাপাশি বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সীম কেনার মত ডিজিটাল করতে হবে। তাতে এক বউ রেখে অন্য কোথা্‌ও আবার ফোকাসটিং (অপ্রয়োজনীয় বিয়ে) করা সম্ভব হবে না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এ বিষয়ে আইনগত জটিলতা থাকা দরকার।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: এ আর ১৫ ও প্রশ্নবোধকের সাথে এক মত।
আসলে পুরুষরা যদি বহুগামী হয় তারা পতিতা
বহুগামী নারীদের নিয়ে চলা ফেরা করে।
সেইহেতু পতিতা নারী বলতে পারেনা তার
সন্তানের পিতা কে,পতিতার পতিরাও অর্থাৎ
বহুগামী পুরুষও বলতে পারেনা তার সন্তান
কোনটা। উভয় পতিতা বা পতিতার পতি,
কেউ সঠিক পিতার পরিচয় দিতে পারেনা।
অর্থাৎ বেশ্যার কোনও জেন্ডার নাই পতিতার
পতি উভয় সমান।

তথাপি বহুগামীদের রক্ষার্থে যদিও বলা আছে
তারা চারটা পর্যন্ত বিবাহ করতে পারবে তবে
তা হতে হবে সুচ্ছৃংল নিয়মাবলিতে,পুর্ববর্তী
স্ত্রীর সম্মতি ক্রমে আরও অনেক অনেক
বিশ্লেশন করা আছে হাদীস কোরআনে।

আমরা কথায় কথায় মহানবী সাঃ উদাহরন
টেনে এনে হটকারীতা অপমান বোধক কথা
বলতে কুন্ঠা বোধ করিনা। আসলে ১৪ ১৫
শত বছর আগের সমাজে যা ব্যবহৃত ছিল
তা এখন প্রয়োগ করা কতটা গ্রহন যোগ্য।
দেশ অনুসারে নারীর সংখ্যা বেশী হলে
সেখানে এ হাদীসের সীস্টেম চলতে পারে।
কিন্তু আমাদের দেশে যতসব লম্পট মাতাল
কুয়ালিটির লোক বহু বিবাহ্ করে নবী মোহাঃ
সাঃ উদাহরন টেনে বাহাদুরী করতে কুন্ঠা
বোধ করেনা।
আসলে হযরত মোহাঃ সাঃ আঃ যখন যুবক
বয়সে খাদীজা রাঃ চল্লিশ বছরের বিধবা
স্বাদী মোবারক করেছিলেন সেই নিয়ম বা
হাদীস কয়টা ২৫ বছরের যুবকরা পালন
করে। তথাপি আয়সা রাঃ আঃ বিবাহর
হাদীস টেনে বুইড়া ভাম গুল উদাহরন
দিয়ে তৈরি একটা যুবতী নারীকে বিয়ে করে।

হযরত মোহাঃ সাঃ খাদীজা রাঃ আন্হার
জীবদ্দসায় পরবর্তী একটা স্বাদীও করেন
নাই। অতপর মোহাঃ সাঃ যত গুল সাদী
করেছেন সবই খলিফা ও সাহাবীদের বিধোবা
কন্যা। আমরা পবিত্র মনে ধরে নিতে পারি
তিনি বিধোবা বিবাহ্ চালুর উদ্যেশ্য প্রনোদীত।
আর আয়সা রাঃ আঃ ছিলেন আবুবকর রাঃ
কন্যা তিনি সম্মতি কেন ছিলেন তাহাও
মুসলিম জ্ঞানীরা বুঝার কার্পন্য রাখবেননা।

অতপর আমি বেহেস্তের হুর নিয়ে কোরআনে
আল্লাহ্পাক যাহা বর্ননা করেছেন তাহাই সত্য।
এনিয়ে মুসলিমদের কোনও উচ্চ ব্যাচ্চ করার
সাহস না থাকাই ভাল।
বেহেস্তে স্ত্রীলিংগ পুরুষলিঙ্গ বলে কিছু সমস্যা
থাকবেনা। হুর বা হুরী বললেও সমস্যা নাই।
কারন সেখানে যৈবিকতা পস্রাব পায়খানা
বলে কিছু থাকবে না। সেই হেতু নারী পুরুষ
জান্নাতীদের জন্য ৭০ জন করে হুর হুরী
থাকবে এতে দুনিয়াবী মানুষের সমস্যা
কোথায়।
পৃথিবী থেকে অসংখ্য নিঃপাপ পবিত্র যুবক
যুবতীর মৃত্যু ঘটে নানান অসুখে বিসুখে
তারাই হবে জান্নাতের হুর,হুরী তারা জান্নাত
বাসীদের নিয়ে সাচ্ছন্দে খেলা ধোলায় রত
থাকবেন। যদিও এবিষয়ে কোরআনের আয়াত
নিয়ে নানান জন নানান মতভেদ দিয়ে থাকেন
তথাপি কোরআনে যতটুকু বিশ্লেশন আছে
তাহা সব মুসলিম, আল্লাহর বানী বিশ্বাস
করা একান্ত কর্তব্য। ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বহু বিবাহে ন্যায় প্রতিষ্ঠা নয় বলে কোরআন সূরা নিসার ১২৯ আয়াতে মত প্রকাশ করেছে। মহানবীর বহু বিবাহ এর আগের ঘটনা। আল্লাহর নারাজি প্রকাম পাওয়ার পর তিনি আর বিয়ে করেননি। তবে তাঁর বিদ্যমান স্ত্রীদের পরিত্যাগ না করার কারণ তাদের কোন দোষ ছিলনা। আর তাদেরকে পরিত্যাগ করতে আল্লাহ বলেননি। তবে আল্লাহর নারাজির পর বহু বিবাহ সুন্নত সাব্যস্ত হবে না। একান্ত বাধ্য হয়ে কেউ বহু বিবাহ করলে সে ক্ষেত্রেও স্ত্রীর অনুমতির শর্ত জুড়ে দেওয়া আছে। কাজেই বহু বিবাহকে নিরুৎসাহিত করা উচিৎ।

১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কবিভাই,
গনিমতের মাল সম্পর্কে আপনি সম্ভবত পড়েননি, বহুগামিতা কি তাহলে ইসলামের চোখে আপনি পড়তে পারতেন, কেনো এইসব লিখেন । আপনি কি ইসলাম ধর্ম নতুন করে লিখবেন ? আপনি ইসলাম ধর্ম লিখা বন্ধ করেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ বিষয়ে আপনি কি জানেন? যা জানেন তা কতটা সঠিক? যা হয়েছে তা না হয়ে কি হলে ভাল হতো বলে আপনি মনে করেন? আপনার ভাবনার সাথে আমার ভাবনা মিলিয়ে দেখব কি করা যায়? তবে যেহেতু সে সব ফরজ জাতীয় কিছু নয় সেহেতু বাদ দিতে সমস্যা নেই। মহানবি (সাঃ) পরিস্থিতি অনুযায়ী হুদায়বিয়ার সন্ধি করেছেন। ইসলামকেও প্রয়োজনে সভ্যতার সাথে সন্ধি করে চলতে হবে। ইসলাম চিরন্তন হয়ে থাকলে প্রয়োজনে সন্ধি করে চলাও চিরন্তন। যখন যে সভ্যতা ইসলামের যে বিষয় এলাউ করবে না। ইসলামকে সে সভ্যতাকে জোর করে এলাউ করতে যাওয়া ঠিক হবেনা। হুদায়বিয়ার সন্ধিথেকে অনন্তত সেটা বুঝা যায়। মুসলমানদের জন্য অবমাননাকর হলেও মহানবি (সাঃ) সে সন্ধি মেনে নিয়েছেন। এখনও যদি মুসলমানের জন্য অবমাননা করও মনে হয় তথাপি সভ্যতার সাথে মুসলমানকে কিছু বিষয়ে সন্ধি করে চলতে হবে বলেই আমি মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.