নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে বহুগামীতা – (পর্ব-২)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০




আলকোরআন, সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ৩ এর অনুবাদ

*তোমরা যদি আশংকা কর যে, ইয়াতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই, তিন, অথবা চার জন; আর যদি আশংকা কর যে, সুবিচার করতে পারবে না তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকার ভূক্ত দাসীকে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর সম্ভাবনা।

# পক্ষপাতিত্ব জায়েজ নয় এ আয়াত দ্বারা বুঝাগেল।

আলকোরআন, সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১২৯ এর অনুবাদ

*আর তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনই পারবে না, তবে তোমরা কোন একজনের দিকে সম্পূর্ণ ঝুঁকে পড়বে না ও অপরকে ঝুলানো অবস্থায় রাখবে না।যদি তোমরা নিজদিগকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

# পক্ষপাতিত্ব না করা সম্ভব নয় এ আয়াত দ্বারা বুঝাগেল। তারমানে পক্ষ থাকলে পক্ষ পাতিত্ব থাকবেই।তবে যখন উপরোক্ত আয়াত সমূহ নাজিল হলো তার আগেই অনেকের বহু স্ত্রী ও দাসী গ্রহণের কাজ হয়ে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আল্লাহ যতটা সম্ভব ন্যায় বিচার কামনা করেছেন। তবে তিনি একাধীক পক্ষ থাকা পদ্ধতির সংশোধন চেয়েছেন।সংগত কারণে আল্লাহর কামনা এক স্ত্রী অথবা এক দাসী। উভয় একত্রে নয়।

আলকোরআন, সূরাঃ ৫৫ রাহমান, আয়াত নং ৭২ ও ৭৩ এর অনুবাদ

৭২। তারা হুর, তাবুতে সুরক্ষিতা।
৭৩। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?

# এখানে হুর পুরুষের জন্য আলাদা এমন বলা হয়নি বরং হুর নারী পুরুষ উভয়ের জন্য। তো কোন নারী নারী পুরুষ উভয়ের জন্য হলে উহা পরিচারিকা হয়। স্ত্রী সতীন নয়, সতীন স্ত্রী নয়, সুতরাং কোন নারী নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য হলে সে বা তারা স্ত্রী বা সতীন জাতীয় কিছু হওয়া সম্ভব নয়। কোন নারী উভয়ের জন্য হলে সে বা তারা উভয়ের বান্ধবীও হতে পারে।যা হওয়া সম্ভব নয় এমন অসম্ভব কল্পনা করা উচিৎ নয়।

আলকোরআন, সূরাঃ ৫৬ ওয়াকিয়া, আয়াত নং ১০,২২,২৩ ও ২৪ এর অনুবাদ

১০। আর অগ্রবর্তি তো অগ্রবর্তি
২২।আয়ত লোচনা হুর
২৩।সুরক্ষিত মুক্তা সদৃশ
২৪। তাদের কর্মের পুরস্কার

# এখানে হুর অগ্রবর্তিদের পুরস্কার।অগ্রবর্তি নারি ও পুরুষ অবশ্যই। আলাদাভাবে পুরুষ অবশ্যই নয়। কাজেই হুর নারী হয়ে থাকলে তারা অবশ্যই পরিচারিকা অথবা বন্ধবী। স্ত্রী বা সতীন অবশ্যই নয়। কারণ নারীর স্ত্রী হয় না আর পুরুষের সতীন হয় না।

আলকোরআন, সূরাঃ ৫৬ ওয়াকিয়া, আয়াত নং ৩৫,৩৬,৩৭ ও ৩৮ এর অনুবাদ

৩৫।আমরা ওদেরকে সৃষ্টিকরেছি বিশেষ রূপে
৩৬। ওদেরকে করেছি কুমারী
৩৭। সোহাগিনী ও সমবয়স্কা
৩৮। ডানদিকের লোকদের জন্য

# এখানে হুর ডানদিকের লোকদের জন্য পুরস্কার। ডানদিকের নারি ও পুরুষ অবশ্যই। আলাদাভাবে পুরুষ অবশ্যই নয়। কাজেই হুর নারী হয়ে থাকলে তারা অবশ্যই পরিচারিকা অথবা বন্ধবী। স্ত্রী বা সতীন অবশ্যই নয়। কারণ নারীর স্ত্রী হয় না আর পুরুষের সতীন হয় না।

আলকোরআন, সূরাঃ ৫৬ ওয়াকিয়া, আয়াত নং ১৭ ও ১৮ এর অনুবাদ

১৭।তাদের সেবায় ঘোরাফিরা করবে চির কিশোরেরা।
১৮।পানপাত্র, কুঁজা ও প্রস্রবন নিঃসৃত সুরাপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে।

# এখানে চির কিশোরেরা জান্নাতিদের সেবক। সংগত কারণে হুরগণ সেবিকা হিসেবে অনুমেয়। কারণ সেবক থাকলে সেবিকাও থাকার কথা। আর নারী সেবিকাদের সেবার মান বালক সেবকদের থেকে ভাল।


*হাদিসে আছে শহীদের জন্য থাকবে ৭০ জন হুর।

# শহীদ নারী ও পুরুষ উভয়ে। এমন কি ইসলামের প্রথম শহীদ হজরত সুমাইয়া (রা.)। তিনি একজন নারী। তাঁর জন্য হুর তাঁর সখি, বান্ধবী অথবা পরিচারিকা।তাঁর স্বামীর জন্য হুর তাঁর স্ত্রী জাতীয় কিছু হলে হতে পারে তাঁর হজরত সুমাইয়ার (রা.) কথা খেয়াল থাকবেনা। এটা অবিচার ও পক্ষপাতিত্ব। আল্লাহ পক্ষপাতিত্ব পছন্দ করেন না বলে পরিস্কার বলে দিয়েছেন। আল্লাহর অপছন্দের কাজ জান্নাতে হবে বলে মনে হয় না।

আর আদমের (আ.) জন্য আল্লাহ একজন হাওয়া (আ.) তৈরী করে তাঁদেরকে জান্নাতে থাকতে দিয়েছেন। আদমের (আ.) জন্য আল্লাহ ৭০ জন হুর তৈরী করেননি।কাজেই জান্নাত ব্যবস্থা বহুগামীতা দিয়ে শুরু হয়নি।আদমের (আ.) একাধীক স্ত্রী থাকলে তাঁর সন্তানদের মায়ের পেটের ভাই বোন বিয়ে করতে হতো না। এর দ্বারা বুঝাগেল মায়ের পেটের ভাই-বোন বিয়ে করার চেয়ে আল্লাহর নিকট একাধীক স্ত্রী অধিক অপছন্দের।সমস্যার কারণে ভাই-বোন বিয়ে আগে জায়েজ থাকলেও আল্লাহ পরে সেটা নাজায়েজ করেছেন। আর দু’বোন একত্রে বিবাহ করাও আল্লাহ পরে নাজায়েজ করেছেন। এমনকি ইসলামে তের জনকে বিয়ে করা আল্লাহ অবৈধ করেছেন।

আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা হলো বহুগামীতা আল্লাহর পছন্দ নয়।বিশেষ কারণে এটা জায়েজ থাকলেও, না করাই উত্তম। আর মহানবি (সা.) সহ যারা বহু বিবাহে যুক্ত ছিলেন তাঁদের ঘটনা আল্লাহর ইচ্ছা প্রকাশ পাওয়ার আগের ঘটনা। কাজেই মহানবির (সা.) দৃষ্টান্ত দেখিয়ে এটাকে ভাল কাজের রূপ প্রদান করা ঠিক নয়।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।

ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ম প্যারাগ্রাফ, সুরাতে বলা হয়েছে: "অধিকারভুক্ত দাসীকে বিয়ে করার ব্যাপারে"।

প্রশ্ন, "অধিকারভুক্ত দাসী কারা ছিল? এক সময় অধিকারভুক্ত দাসী যে থাকবে না, এই ব্যাপারে কি বলা হয়েছে কোরানে?"

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অধিকার ভূক্ত দাসী টাকায় কেনা। সেজন্য বলা হয়েছে দাসী দিয়ে চালিয়ে নেওয়া গেলে আর বিয়ের দরকার নেই। কোরআন দাস মুক্তি শুরু করেছে। কাজেই এটা যে এক সময় থাকবেনা সেটা আল্লাহর অজানা থাকার কথা নয়। দাসী যথন থাকবে না তখন এর বিধানও অকার্যকর থাকার কথা।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: একটা প্রশ্ন মনের মাঝে অনেক দিন ধরে খুচাখুচি করছে। সেটা হচ্ছে- 'দাসী আর কাজের বুয়া' কি একই কাতারের?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দাসীর আস্ত মানুষটাই কেনা। আর কাজের বুয়ার শ্রম কেনা হয়। এক হয় কেমন করে? কাজেই কাজের বুয়ার সাথে দৈহিক সম্পর্ক জাতীয় কিছু করা যাবে না।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

হাবিব বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইকবাল সরদার বলেছেন: দাস হল অধিকার বঞ্চিত , ভূমিহীন, অর্থের বিনিময়ে একজনের দখল থেকে আরেক জনের দখলে জাওয়া মানুষ । যারা roots tv series দেখেছেন তারা ভাল বুঝবেন।

তখন আরবে দাস প্রথা চালু চিল

বিভিন্ন রকম পাপ মুক্তির কাফফারার মধ্যে কমন ছিল দাস মুক্তি করা। এবং দাস মুক্ত করা সৎকর্মের মধ্যে অন্যতম ।
২ঃ১৭৭ " ধার্মিকতা তাতে নয় যে তোমাদের মুখ পূব বা পশ্চিম দিকে ফেরাও, তবে ধর্মনিষ্ঠা হচ্ছে যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আর আখেরাতের দিনের প্রতি, আর ফিরিশ্‌তাদের প্রতি, আর গ্রন্থখানিতে, আর নবীদের প্রতি; আর যে তাঁর প্রতি মহব্বত বশতঃ ধন দান করে আ‌ত্মীয়-স্বজনদের, আর এতীমদের, আর মিসকিনদের, আর পথচারীদের, আর ভিখারীদের, আর দাসদের মুক্তিপণ বাবদ, আর যে নামায কায়েম করে ও যাকাত আদায় করেচ আর যারা প্রতিজ্ঞা করার পরে তাদের ওয়াদা রক্ষা করে, আর অভাব-অনটনে ও আপৎকালে ও আতঙ্কের সময়ে ধৈর্যশীলদের। এরাই তারা যারা সত্যনিষ্ঠ, আর এরা নিজেরাই ধর্মপরায়ণ। "

ভেবে দেখুন একজন দাসিকে বিয়ে করলে সে স্বামীর সম্পদের অংশিদার হয় এবং নগদ কিছু মোহর আনা পায়, অর্থাৎ সে সমাজে তখন আর বঞ্চিত থাকেনা।
এইভাবে ইসলাম হয়ে উঠে দাসপ্রথা বিলপ্তির উপায়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক দাসী এ প্রক্রিয়ায় রানী হয়েছে।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এই যে লোভ দেখানো ৭০ জন হুর পাওয়া যাবে। এই লোভ কেন দেখানো হলো?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তারা ভেবেছে নারীরা নারী দিয়ে কি করবে? তারা বুঝেনি নারীদের জন্য সখি, বান্ধবী, পরিচারিকা খুব দরকারী। সময় কাটনোর জন্য হইচই করার জন্য আনন্দে থাকার জন্য সুন্দরী বান্ধবী বেশ কাজের। তারা মনে করেছে নারীরা পুরষের ফুর্তির জন্য দরকার। পরিচারিকা হিসেবেও যে নারী কর্মী পুরুষের দরকার হতে পারে সেটা তারা বুঝতে পারেনি। তারা যেটা বুঝেছে লোকে যেন সেটা মেনে নেয় সেজন্য তারা নবির (সাঃ) নামে কথাগুলো চালিয়ে দিয়েছে। আর যারা ঠকেছে তারা বানানো কথা কোরআনের সাথে মিলিয়ে দেখেনি। সেজন্য তারা ধোকা খেয়েছে।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮

বার্ণিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আসলে কিছু মানুষ ভাবে যে, কোরআনে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সেভাবেই ইসলামী আইন হবে। যেমন চুরি করার আইন সম্পর্কে কাট-মোল্লাদের প্রশ্ন করেন, তারা এক বাক্যে বলবে হাত কাটা। এভাবে ডিক্লেয়ার করাটা মিস জাজমেন্ট। অন্যের খাদ্য চুরি করে খাওয়া আর রাস্তায় ঘুমানো আইনগত অবৈধ হতে পারে, কিন্তু এ অপরাধের শাস্তি দিলে কার উপর পতিত হয়। মানুষের মৌলিক অধিকার- আহার, বস্ত্র, বাসস্থান এর ব্যবস্থা না থাকলে তার চুরির দায়ে হাত কাটবেন কোন আইনে?
শরীয়া আইন‌ও কিন্তু সময় এবং বাস্তবতা বিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে তা অবশ্যই মৌলিক ইসলামের উপর ভিক্তি করেই্।
যেমন ভারতে তিন-তালাকের ফতোয়া আইনগত রহিত করা হয়েছে। আমি মনে করি এটা সময় উপযোগী।

আর এই সকল স্ব-ঘোষিত জলসাবাজ মৌলভীদের কাছ থেকেই সত্যবিরোধী, গোমুত্রখোর, এবং জড়বাদীরা তাদের মিথ্যাচারের ইন্ধন খুজে নেয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নিজের কথা ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়ে অনেকে সমস্যা তৈরী করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.