![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে যদি গম না পাই তাহলে চেয়ারম্যানের একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে , বল্ল দিনমজুর মজনু মিয়া ।
বয়সের ভারে এখন ঠিক মত কাজ করতে পারছেন না । তাই খাবারের বড় অভাব । ঘরে তার বুড়ি বউ ।
এত কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করেছিল , মানুষ বল্লে ভুল হবে অমানুষ বানাইছে ।
মেয়েগুলা বিয়ের পর বাবা মাকে ভুলে গেছে , আর ছেলেরা শহরে কাজ করে , তাদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না ।
নিতান্ত দরিদ্রতার কারনে আজ দিন মজুরী করে খেতে হচ্ছে । বয়স বেশী বলে কেউ কাজ দিতে চায় না । তারপরও যদি কারোও কাছ থেকে জোর করে একটা কাজ পাওয়া যায় তাহলে বুড়ি কে নিয়ে কোন রকম এক বেলা খাওয়া যায় ।
আজকে রিলিফের গম এসেছে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে । কিন্তু এলাকার চেয়ারম্যান একজন কুৎসিত লোক । গরীবদের হক নিজে মেরে খায় । গম বিক্রি করে দেয় হাট বাজারে । তাই প্রাপ্য ব্যাক্তিরা নিজের পাওনা না নিয়েই ফিরে যায় নিজ নিজ গন্তব্যে ।
বরাবরের মত আজও রিলিফের গম নিতে এসেছে এলাকার হত দরিদ্র ব্যাক্তিরা । কিন্তু দিনশেষে বেশীর ভাগ মানুষকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে ।
আজও গম পাননি মজনু মিয়া । তাই মনে মনে সংকল্প করলেন যেভাবেই হোক চেয়ারম্যানের কু- কাজ জনগনের কাছে ফাসঁ করে দিতে হবে ।
রাত এগারোটা !! টিপি টিপি পা নিয়ে চেয়ারম্যানের সুপাড়ি বাগান পারি দিচ্ছেন মজনু মিয়া । আরেকটু এগোলেই চেয়ারম্যানের ঘর ।
জানালার কাছে আড়ি পাতলেন কার যেন কথা শুনা যাচ্ছে । জানালার ফাকঁ দিয়ে যা দেখলেন । দেখে ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থা এ দেখি এলাকার বাজে মহিলা ‘‘মাশু‘‘ ।
মজনু মিয়াকে দেখে ফেলে চেয়ারম্যানের প্রহরী । বেধেঁ রেখে খবর দেয় চেয়ারম্যান কে , চেয়ারম্যানের সাথে ফুস ফুস করে কি জানি কথা হয় মজনু মিয়ার ।
এলাকায় ছোট খাট টি- স্টল মজনু মিয়ার । জানা যায় চেয়ারম্যানের রাতের কাহিনী প্রকাশ না করার জন্য মজনু মিয়া পায় 5 হাজার টাকা ।
এভাবেই দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ উপর থেকে উপরে উঠে যাচ্ছে । আর আমরা লোভে পরে তার সমর্থন করে যাচ্ছি ।।।
©somewhere in net ltd.