নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের ভোর রাতে আযান না দিয়ে লোককে জাগানোর উদ্দেশ্যে গজল পাঠ করা বিদ'আত

২১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা) হতে বর্নিত, তিনি বলেন রাসুল(সা) বলেছেন ‘বিলালের আযান বা আহ্ববান যেন তোমাদের কাউকে সেহরী থেকে বিরত না রাখে। কেননা সে তো আযান দেয় যেন, (তাহাজ্জুদে রত) মুসাল্লি লোকেরা বাড়ি ফিরে যায় এবং ঘুমন্ত লোকেরা জাগ্রত হয়’ (বুখারি; কিতাবুল আযান; মুসলিম শরীফ; কিতাবুল সওম; হা/২৪১৪; মিশকাত; কিতাবুল আযান; তিরমিযী; কিতাবুল সওম। মুসলিম শরীফের আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে থেকে যারা নিদ্রিত তাদের জাগান এবং যারা তাহাজ্জুদ নামাযে লিপ্ত তাদের বিরত করাই বিলালের আযানের উদ্দেশ্য’(কিতাবুল সওম; হা/২৪১৬)। আর ইবনে মাজাহতে এভাবে আছে, ‘বেলালের আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। কেননা, সে তোমাদের ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগাবার বা সতর্ক করার জন্য এবং তোমাদের নামাযীকে নামাযে রত হওয়ার জন্য আযান দিয়ে থাকে’(কিতাবুল সিয়াম;হা/১৬৯৬)। তাহলে এই হাদিস গুলো থেকে কয়েকটি ব্যাপার পরিস্কার হয়ে গেল। তা’হল রাসুল(সা) এর দুই জন মুয়াজ্জিন ছিলেন একজন বেলাল(রা) যিনি রাতে তাহাজ্জুদের এবং সহরী খেতে মানুষকে জাগানোর জন্য আযান দিতেন আর অন্ধ সাহাবী উম্মে মাকতুম(রা) ফজরের জন্য আযান দিতেন। তাহাজ্জুদের আযান দেওয়ার তিনটি উদ্দেশ্য ছিল- ১. তাহাজ্জুদের জন্য মানুষকে আহ্ববান করা ২. যারা রাত থেকে তাহাজ্জুদ পড়ছে তাদের বিরত করা ৩. ঘমন্ত ব্যক্তিদের সহরী খাওয়ার জন্য জাগানো।

অথচ আমরা আজ কি করছি? সুন্নাত পালন না করে, আযান না দিয়ে মাইকে রাত থেকে জেগে উঠুন, শুয়ে পড়ুন বলে চিতকার করছি। তার সাথে আবার বিভিন্ন ধরনের গজলের বাহার। বাদরুদ্দোজা নাদভি সাহেব ‘মসজিদে মাইক কেন’ বইতে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যদি আযান ছাড়া মাইকে অন্য কিছু বলা হয় তবে মাইক বিক্রী করে দিন। মাইক রেখে বিদ’আত করার কোন দরকার নেয়। বুখারির ভাষ্যকর হাফীয ইবনু হাযার আসকালানী(রহ) বলেন, ‘বর্তমান কালে সাহরীর সময় লোক জাগানোর উদ্দেশ্যে আযান ব্যতিত (সাইরেন বাজানো, ঢাক-ঢোল পেটানো, গজল পাঠ ইত্যাদি) যা কিছু করা হয় তা সবই বিদ’আত’ (নায়ল; ২/১১৯ পৃষ্ঠা)। অর্থাৎ আযান ছাড়া আর কোনো কিছুই বলা যাবে না। তা না হলে বিদ’আত হয়ে যাবে। আর নিশ্চয় আপনাকে বিদ’আত সম্পর্কে বলার দরকার নেই। বিদ’আত সম্পর্কে বলার জন্য এতটুকুই যথেষ্ঠ যে, দুই জনের তাওবা কখনও কবুল হবে না ১. ইবলিশ শয়তানের ২. বিদ’আতীর। তাই সাহরীর সময় গজল বা ওয়াজ নসিহাত করে লোককে জাগিয়ে বিদ’আদ না করে আযান দিয়ে সুন্নাত জিন্দা করুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সুন্নাহ পালন করার তৌফিক দান করুন। আমীন!



‘তোমরা পূণ্য ও খোদাভীতিমূলক কাজে সকলকে সাহায্য ও সহযোগিতা করো; তোমরা গুনাহ ও সীমালংঘনমূলক কাজে কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করো না’ (সূরাহ আল-মায়েদা/০২)





‘তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর দিকে (মানুষকে) ডাকে সৎ কর্ম করে এবং বলে যে আমি (আল্লাহর) আজ্ঞাবহদের একজন’।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.