নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও তথ্য

মোঃ ফরিদুল ইসলাম

জন্ম- ১৯৮৭ খ্রিঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লোধপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতার নাম ফাতেমা বেগম।

মোঃ ফরিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় মা-বাবাকে নিয়ে কিছু কথন

২১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:১৩

মা আমাদের শরীর গঠন করেন,
আর বাবা গঠন করেন আমাদের ভবিষ্যৎ।
মায়ের গর্ভে নয় মাসের আশ্রয়,
আর বাবার কাঁধে চেপে ছিলাম বছরের পর বছর শুধু তার শ্রম, ঘাম,
দায়িত্বের উপর ভর করেই হাঁটতে শিখেছি জীবনের পথে।
মা প্রতিদিন বিনা বেতনে রান্নাঘরে কাজ করেন,
আর বাবা মাসের শেষ কয়েনটাও আমাদের হাসির জন্য খরচ করে দেন।
তবুও ভালোবাসার প্রকাশে মা যেনো রঙিন আকাশ,
আর বাবা হন সেই নীরব বাতাস, যার অস্তিত্ব টের পাই তখনই,
যখন তিনি একটু কম থাকেন।
মা আমাদের প্রিয় খাবার নিজের হাতে রান্না করেন,
আর বাবা দোকান ঘুরে ঘুরে সেটা খুঁজে এনে দেন কিন্তু কৃতিত্বটুকু দেন মায়েরই হাতে।
মায়ের ভালোবাসা চোখে পড়ে,
বাবার ভালোবাসা থাকে মাটির নিচে শিকড় হয়ে,
যা না দেখলেও বোঝা যায়, তার কারণেই আমরা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
ফোনে কথা বলার সময় প্রথমে মায়ের খোঁজ নিই,
মায়ের কাঁধে কাঁদতে পারি,
কিন্তু বাবা কেবল দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন
চোখে হয়তো হাজার কথা, মুখে কোনো শব্দ নেই।
সন্তান কষ্ট পেলে তিনিও কষ্ট পান,
কিন্তু কষ্টের ভাষা কখনো শিখেননি তিনি।
মায়ের আলমারিতে আছে রঙিন শাড়ি,
বাচ্চাদের জামার আলমারি সাজানো,
আর বাবার আলমারিতে সেই পুরোনো কিছু জামা
যা কিনতে গিয়ে তিনি নিজের নতুন কিছু চাওয়া ভুলে গেছেন।
মায়ের গয়নার বাক্সে সোনা-রুপা,
আর বাবার আঙুলে বিয়ের সময়ের সেই একমাত্র আংটি,
যা কখনো খোলেন না, কারণ তাতেই জড়িয়ে আছে সব দায়িত্ব, প্রতিশ্রুতি।
বাবা সকালে বের হন,
রোদ, বৃষ্টি, ক্লান্তি উপেক্ষা করে ফিরে আসেন রাতে,
শুধু সন্তানদের মুখ দেখেই প্রাণ ফিরে পান।
শ্রান্ত মুখে থাকে তৃপ্তির হাসি,
কারণ পরিবারের সুখটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন।
কখনো কোনো স্বীকৃতি চান না,
চোখে জল আসলেও লুকিয়ে ফেলেন,
কারণ তিনি জানেন
বাবা কখনো কাঁদে না, বাবা ভেঙে পড়ে না, তিনি তো পাহাড়, মেরুদণ্ড, আশ্রয়।
বয়সের ভারে একদিন তিনিও ক্লান্ত হয়ে পড়েন,
তখন সন্তান ভাবে, মা ঘরের কাজে সাহায্য করেন,
কিন্তু বাবা আর কিছুই করতে পারেন না, কেউ ভাবে না, তিনিই তো একদিন সব করেছিলেন।
বাবা যেন সেই বাতিঘর,
যিনি নিজের আলোতে নয়, অন্যদের পথ দেখাতে নিজেকে পোড়ান।
তাই বলি,
বাবা পিছিয়ে থাকেন না,
তিনি সামনে আসেন না কারণ তিনি জানেন,
ভালোবাসা প্রমাণে নয়, দায়িত্বে প্রকাশ পায়।
আর তিনিই সেই মানুষ, যিনি নীরব থেকেও পুরো সংসারটা আগলে রাখেন।
"শ্রদ্ধা হোক বাবার প্রতি যে নীরব থেকে সবকিছু দেন, কিন্তু কিছুই চান না।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.