![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম- ১৯৮৭ খ্রিঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লোধপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতার নাম ফাতেমা বেগম।
বর্তমানে স্ত্রীর আদর থেকে বঞ্চিত
হাজারো পুরুষ শুধুমাত্র মোবাইলের কারণে!
পাশের বালিশে শুয়ে থাকা মানুষটার উষ্ণতার চেয়ে হাতের মুঠোয় থাকা শীতল যন্ত্রটা যখন বেশি আপন হয়ে ওঠে, তখন বুঝতে হবে সম্পর্কটা আর দুজনের নেই। হাজারো পুরুষ আজ স্ত্রীর আদর থেকে বঞ্চিত, কারণ তাদের এবং তাদের স্ত্রীর মাঝখানে এখন এক অদৃশ্য দেয়াল তুলে দিয়েছে ছোট্ট একটি যন্ত্র—স্মার্টফোন। এই দেয়াল কাঁচের মতো স্বচ্ছ, কিন্তু ইস্পাতের মতো কঠিন।
একটু ভাবুন তো সেই দৃশ্যটা। স্বামী সারাদিনের খাটুনির পর বাড়ি ফিরেছে একটু শান্তি আর ভালোবাসার খোঁজে। সে চায় তার প্রিয়তমা স্ত্রীর হাসিমুখ দেখতে, দিনের গল্পগুলো শুনতে। কিন্তু ঘরে ঢুকেই সে দেখল, স্ত্রী সোফায় বসে আছে ঠিকই, কিন্তু তার পৃথিবী জুড়ে তখন ফেসবুকের নিউজফিড। চোখ স্ক্রিনে আটকে আছে, আঙুল চলছে দ্রুতগতিতে। কোন সেলিব্রিটির ঘরে কী হলো, কোন নায়িকার নতুন পোশাক বা কার সাথে কার বিচ্ছেদ হলো—এইসব অপ্রয়োজনীয় তথ্য তার কাছে স্বামীর উপস্থিতির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্বামীর ক্লান্ত স্বরের "কেমন আছো?" প্রশ্নের উত্তরে সে হয়তো না তাকিয়েই একটা দায়সারা জবাব দেয়, "হুম, ভালো।" কিন্তু তার মনোযোগ কেড়ে নেয় অন্যের সাজানো সংসারের ছবি। অন্যের দামি উপহার, সুন্দর ঘোরার জায়গার ছবি দেখে নিজের অজান্তেই সে এক অদৃশ্য তুলনা শুরু করে দেয়। তার মনে হতে থাকে, "আমার জীবনে তো এসব নেই!" এই ভার্চুয়াল জগতের রঙিন মিথ্যার সাথে নিজের সাদামাটা বাস্তবের তুলনা করতে গিয়ে তার ভেতর জন্মায় এক চাপা অসন্তোষ আর হতাশা। এই হতাশার আগুনই পরে ঝগড়ার রূপ নেয়। সামান্য কথাতেই সে স্বামীকে বলে বসে, "তুমি আমার জন্য কী করেছো?" এভাবেই অন্যের সুখী সংসারের অভিনয় দেখতে দেখতে নিজের সাজানো সংসারকে সে অশান্তির আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।
ব্যাপারটা কিন্তু একতরফা নয়। মুদ্রার অপর পিঠও আছে। যে স্বামী স্ত্রীর মনোযোগ না পেয়ে হতাশ, সে নিজেও কিন্তু একই অপরাধে অপরাধী। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সাথে দুটো কথা বলার পরিবর্তে সেও ডুব দেয় তার মোবাইলের জগতে। তার স্ক্রিনে তখন ভেসে ওঠে বিভিন্ন স্বল্পবসনা নারীর ছবি আর উদ্দীপনা ভিডিও। এই ভার্চুয়াল জগতের সহজলভ্য উত্তেজনা তার মস্তিষ্কে এমনভাবে প্রভাব ফেলে যে, নিজের স্ত্রীর প্রতি তার স্বাভাবিক আকর্ষণটাই নষ্ট হয়ে যায়। উত্তেজনার পারদ ভার্চুয়াল জগতেই খরচ হয়ে যায়, ফলে বাস্তব জীবনে স্ত্রীর কাছে আসতে তার আর কোনো ইচ্ছেই কাজ করে না। স্ত্রী হয়তো নিজেকে সাজিয়ে, স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু স্বামী তখন হট মডেলদের ছবিতে লাইক দিতেই ব্যস্ত।
ফলাফল? একই ছাদের নিচে, একই বিছানায় শুয়ে থেকেও দুটি মানুষ যেন দুটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। তাদের মধ্যে কোনো কথার সেতু নেই, নেই কোনো স্পর্শের উষ্ণতা। ভালোবাসাটা এখন লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের ডিজিটাল সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। যে সময়টা একে অপরের চোখে চোখ রেখে কাটানোর কথা ছিল, সেই সময়টা কেড়ে নিচ্ছে মোবাইলের নীল আলো।
একবার ফোনটা পাশে রেখে আপনার সঙ্গীর দিকে তাকান। তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সেখানে হয়তো একরাশ অভিমান আর একাকিত্ব জমে আছে। এই যন্ত্রটা আপনার বিনোদনের সঙ্গী হতে পারে, কিন্তু আপনার জীবনের সঙ্গী নয়। আপনার সঙ্গীর স্পর্শের উষ্ণতা, তার মুখের হাসি—এগুলোর কোনো বিকল্প ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম দিতে পারবে না। এই ডিজিটাল দেয়াল ভেঙে ফেলার সময় এখনো আছে। ফোনটা রাখুন। সঙ্গীর হাতটা ধরুন। দুটো কথা বলুন। দেখবেন, হাজারো নোটিফিকেশনের আওয়াজের চেয়ে প্রিয় মানুষটার গলার স্বর অনেক বেশি মধুর। সম্পর্কটাকে বাঁচান, কারণ একটা নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্ক কোনো অ্যাপ দিয়ে রিকভার করা যায় না।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪
বিজন রয় বলেছেন: আপনার সমস্যা কি?
আপনি আবার দাম্পত্য নিয়ে পড়ে আছেন কেন?
এক এক জনের জীবন এক এক রকম, তাই কোনো কিছুই সঠিক নয় সবার জন্য।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: কথা ঠিক
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮
অপ্সরা বলেছেন: শিরোনামটা পড়ে একটু হাসি পাচ্ছিলো তবে এটা সত্য আজ পরিবারের এক একজন একেকজনের কাছে অচেনা দ্বীপ! ছেলেমেয়েরা তো বাবামায়ের সাথে কথা বলাটাই বোরিং মনে করে .....