|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
একবার এক মেয়ে আমাকে ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে ‘এ্যাড’ রিকোয়েস্ট পাঠালে আমি তাকে ‘ফ্রেন্ড’ হিসাবে এ্যাকসেপ্ট করে নিলাম। তার সাথে মাঝে মাঝে টুকরো টুকরো চ্যাট হয়। কোনো এক বাংলা ব্লগে আমার লেখা পড়ে সে আমার প্রতি অনুরক্ত হয়েছিল। লেখালেখির পাশাপাশি নবীন লিখিয়েদের জন্য আমি একটা লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করে থাকি, এটাও সে জানতে পেরেছিল। কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, সে কবিতা লেখে। আমার সাথে ‘ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে’ কানেকটেড হওয়ার মূল কারণ হিসাবে লেখালেখি সম্পর্কে মত বিনিময় করার কথা সে উল্লেখ করেছিল। আমার অনুমান হয়েছিল, এই সুবাদে তার লেখাগুলো যাতে পত্রিকা প্রকাশের কালে কিছুটা হলেও অগ্রাধিকার পায়, সেটাই আমার সাথে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের মূল লক্ষ্য ছিল। অন্য কোনো লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদকগণ ব্যক্তিগত পরিচয়সূত্রে লেখকদের লেখাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন কিনা জানি না, কিন্তু আমার ম্যাগাজিনে কখনো এমনটা হয় নি।
অমর একুশে বইমেলার জন্য ‘লেখা আহ্বান’ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের দ্বিতীয় দিনেই মেয়েটি তার সমুদয় কবিতা-সমগ্র আমাকে মেইল করে পাঠিয়ে দিয়ে বললো- এখান থেকে আপনার ভালোলাগা কবিতা যত খুশি ততগুলো ম্যাগাজিনে ছাপতে পারেন, আমার কোনো আপত্তি নেই। বিজ্ঞপ্তিতে কবিদের কাছ থেকে মাত্র একটি এবং তাদের শ্রেষ্ঠ কবিতাটিই চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ কবির ফাইল খুলে আমি বাস্তবিকই খুব অবাক ও বিরক্ত হলাম। তার ফাইলটি ১৭৯ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট ছিল। সম্পাদকগণ জানেন এ অবস্থায় ধৈর্য টিকিয়ে রাখা কত কষ্টকর। কিন্তু ‘পূর্বপরিচয়’ সূত্রে তাকে কিছুটা ‘অগ্রাধিকার’ দেয়ার লক্ষ্যে আমি প্রথম থেকেই মনোযোগ সহকারে কবিতা পাঠ করতে শুরু করলাম। অবশেষে যদিও আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটলো, তথাপি স্ক্রল টেনে পুরো ফাইলটিতে একবার ভার্টিক্যাল স্ক্যানিং করে গেলাম। কিন্তু পত্রিকায় ছাপানোর মতো একটা ‘পঙ্ক্তি’ও খুঁজে না পেয়ে আমি যারপরনাই হতাশ হলাম।
মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে ম্যাজেঞ্জারে নক করে সে জানতে চায়, ‘আমার কবিতাগুলো আপনার কেমন লাগলো, বললেন না যে কিছু!’ এক শব্দে ‘ভালো’ বলে আমি নীরব থাকলেও সে কবিতায় তার আগ্রহ ও অনুরাগ সম্বন্ধে একের পর এক ছোটো ছোটো মেসেজ পাঠাতে থাকতো। আমার রিসপন্স না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশের ‘বিকটাকৃতির’ ইমোটিকন পাঠাতো, কখনো বা ‘বাজ’ ফেলতো।
ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে একুশে বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হলো, আর তার পিডিএফ কপির লিংক ব্লগে উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।
পত্রিকা প্রকাশের পর মেয়েটি আমার প্রতি অতিশয় ক্ষুব্ধ হলো। এটা আমার অনুমান মাত্র। তাকে অনলাইন হতে দেখি না, তার মেসেজ পাই না। আমি বিমর্ষ হতে থাকি। নীরব প্রতিবাদের দ্বারা মেয়েটি আমাকে ঘায়েল করে দিল। আমার অনুশোচনা হতে থাকে- তার যে-কোনো একটা কবিতা পর্যাপ্ত ‘এডিট’ করে ছাপতে পারতাম, এতে তার আনন্দ ও উৎসাহ আকাশ ছুঁয়ে যেতো। আমার নির্বুদ্ধিতা ও নিষ্ঠুরতা আমাকে কামড়াতে থাকলো।  
মাস ছয়েক বিরতির পর হঠাৎ একদিন মেয়েটা আমাকে ম্যাসেঞ্জারে নক করে : 
আপনি কে, ভাই? তার প্রশ্ন। 
রিপ্লাইয়ে আমি একটা স্মাইলিং ইমোটিকন ছেড়ে দিই।
সে : আপনার asl?
আমি আবারো একটা হাসির ইমো ফেলি।
সে : আমার নাম রাতুল। সউদি আরবে থাকি।
আমি অবাক হই, কিন্তু ‘ইমো’তে হাসতেই থাকি।
সে : আপনার ছবিটা খুব সুন্দর। আপনি খুব সুন্দরী, তাই না?
এবার আমি প্রচুর হাসতে থাকি, একই সঙ্গে অবাক হওয়ার চরমে পৌঁছে যাই। মেয়েটা আজ এভাবে কথা বলছে কেন? 
এই ফাঁকে আরেকটা কথা বলে নিই। আমার ম্যাসেঞ্জারে কিছুদিন পর পর ডিসপ্লে আইকন চেঞ্জ করি। কখনো আমার ছেলের ছবি, কখনো ফুল, পাখি, আর মাঝে মাঝেই আমার স্ত্রীর ছবি ঝুলিয়ে দিই- ডিসপ্লেতে স্ত্রীর মুখ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
ঐ সময়ে আইকনে আমার স্ত্রীর সুন্দর মুখখানা ভাসছিল। ওটা দেখেই তার বিমুগ্ধ প্রশ্ন : আপনার ছবিটা খুব সুন্দর। আপনি খুব সুন্দরী, তাই না?
আমি লিখি : এটা আমার স্ত্রীর ছবি।
সে লেখে : আমার মনে হচ্ছে এটা আপনি নিজেই। নিজের পরিচয় গোপন করছেন কেন?
আমি হাসি।
সে লেখে : আমি সউদি আরব থাকি, একটা বড় কোম্পানিতে চাকরি করি।
আমি : জেনে ভালো লাগলো।
সে : আপনি কি ম্যারিড?
আমি : জি।
সে : আমার মনে হয় আপনি মিথ্যা বলছেন। আপনি আনম্যারিড।
আমি : অদ্ভুত কথা তো, আমি মিথ্যা বলবো কেন? আমি একজন পুরুষ মানুষ। ডিসপ্লে আইকনে যাকে দেখছেন সে আমার স্ত্রী। আমার দুটো ছেলেমেয়ে আছে।
সে : জানি, সত্যিকার মেয়েরা পরিচয় গোপন রাখে। তবে আপনার এই গোপন রাখার ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগলো।
আমি সাথে সাথে স্ত্রীর ছবি পালটে ছেলের ছবি টাঙ্গিয়ে দিলাম। লিখলাম : এই দেখুন, এটা আমার ছেলের ছবি।
সে লেখে : বিশ্বাস হয় না। 
সে আরো লেখে : আমার নাম রাতুল। সউদিতে কোরিয়ান কোম্পানিতে বড় পোস্টে চাকরি করি। প্রচুর বেতন পাই। এখনো আনম্যারিড। আপনার কি সত্যিই বিয়ে হয়েছে?
***
আরো মাস ছয়েক পর। সে হঠাৎ উদিত হয়ে লেখে : হাই বেবি, হাউ আর ইউ?
আমি : ইয়েস বেব, আই এ্যাম ফাইন। ইউ?
সে : আমি আঁখি।
আমি : খুব ভালো। আপনি কি সউদি আরব থাকেন?
সে : নাহ্, আমি বাংলাদেশে থাকি।
আমি : কিন্তু আপনি বলেছিলেন সউদি আরবে থাকেন!
সে : নাহ, আমি বাংলাদেশেই থাকি। 
আমি : আপনি কী করেন?
সে : কলেজে পড়ি। আপনার নামটা জানতে পারি?
আমি : আমার আইডি দেখুন। ওখানে আমার নামটা দেখতে পাচ্ছেন না?
সে : জি, পাচ্ছি। আপনি কোথায় থাকেন?
আমি : ঢাকায়। আপনি?
সে : ঢাকার আশেপাশে। গাজীপুর।
আমি : সেদিন যে বললেন আপনি সউদি আরবে থাকেন?
সে : সউদি আরবে আমার ভাইয়া থাকে।
আমি : আপনার ভাইয়া আপনার এই আইডিতে এলো কীভাবে?
সে : আমি আর আমার ভাইয়া একই আইডি ইউস করি।
আমি : এটা কি সম্ভব?
সে নিরুত্তর থাকে।
আমি : আপনি যেন কী করেন?
সে : আমি কলেজে পড়ি। 
আমি : আপনি সম্ভবত গত বছর আমার কাছে কিছু কবিতা পাঠিয়েছিলেন, লিটল ম্যাগাজিনে ছাপাবার জন্য।
আঁখি কোনো রিপ্লাই না দিয়ে লগআউট করে।
এর দিন দুয়েক পর তার সাথে আবার চ্যাট শুরু হলো।
সে : হাই!
আমি : জি!
সে : আমি নেহা।
আমি : ওকে।
সে : কে আপনি? থাকেন কোথায়?
আমি : বাংলাদেশে থাকি। আপনি?
সে : আমিও বাংলাদেশেই থাকি।
আমি : আপনার নাম কি ঋতু, নাকি শ্রেয়া?
সে : আমার নাম নেহা।
আমি : আপনার আইডি দেখে মনে হচ্ছে আপনি পুরুষ। (তার আইডি-নেইম ‘রুমন’)
সে : স্যরি টু সে, রুমন ইজ মাই হাজব্যান্ড’স নেইম।
আমি হাসির ইমোটিকন ছাড়ি।
সে : আপনি কি ম্যারিড?
আমি : জি। এবার আপনার ব্যাপারে বলুন। আপনি কি বিয়ে করেছেন?
সে : জি।
আমি : আপনি যেন কী করেন?
সে : আমি কলেজে পড়ি।
আমি : আপনার হাজব্যান্ড কী করেন?
সে : রুমন আমার হাজব্যান্ডের নাম। সে সউদি আরব থাকে। আপনি?
আমি : আমি বাংলাদেশে থাকি। আপনিও কি হাজব্যান্ডের সাথে সউদি আরব থাকেন?
সে : জি না।
আমি : কোথায় থাকেন?
সে : ঢাকার আশেপাশে।
আমি : আপনার সাথে কথা বলে খুব ‘আরাম’ পাচ্ছি।
সে : তাই?
আমি : হুম।
সে : আপনার বেবি ক’টা?
আমি : ২টা। আপনার?
সে : বুঝলাম না।
আমি : আপনার ছেলেমেয়ে কজন?
সে : অনেক।
আমি : অনেক সন্তান দেশ ও দশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
সে : তাই?
আমি : জি। সত্যি বলুন, আপনার ছেলেমেয়ে ক’টা?
সে : সম্ভাবনা আছে।
আমি : কিসের সম্ভাবনা?
সে : বেবি।
আমি : গুড। কবে?
সে : ১০ মাস।
আমি : জামাই না সউদিতে থাকে!
সে : আসছে।
আমি : জামাই দেশে আসার আগেই বেবি?
সে নিরুত্তর থাকে।
আমি : আপনার ভাইবোন নেই?
সে : আছে। ৫ বোন।
আমি : আপনি কত নম্বর?
সে : ৫ নম্বর।
আমি : বড়দের কি বিয়ে হয়েছে?
সে : জি।
আমি : ভাই?
সে : আমার কোনো ভাই নেই।
আমি : কোনো ভাই নেই!
সে : অবাক হলেন কেন?
আমি : ভাইহীনারা কত মজায় থাকে, তাই না?
সে : বুঝলাম না।
আমি : ভাই থাকলে মেয়েরা খুব স্বাধীনভাবে প্রেম করতে পারে না।
সে : তাই?
আমি : আপনি খুব স্মার্ট একটা মেয়ে।
সে : জি না।
আমি : অবসর কীভাবে কাটান?
সে : স্বামী, ল্যাপটপ আর পড়াশোনা।
আমি : আচ্ছা, খুব ভালো। আপনার নামটা কি জানতে পারি?
সে : আমার নাম নেহা।
আমি : হুম।
এরপর কিছু সময় তার রিসপন্স পাই না।
আমি : আপনি কোথায়? বসে আছি। জরুরি কথা ছিল। একটা জিনিস আছে আপনার জন্য। এই ফাইলটা দেখুন ম্যাডাম। 
আমি গত বছর পাঠানো তার কবিতার ফাইলটি ম্যাসেঞ্জারের ফাইল অপশন থেকে তাকে সেন্ড করি। ফাইলে তার নাম আঁখি কিংবা নেহা নয়। কিন্তু পর পর ৩বার ফাইলটা রিজেক্টেড হলো।
আমি : আর ইউ দেয়ার? ফাইলটা নিচ্ছেন না কেন? 
সে : ইয়েস।
আমি : ফাইলটা এ্যাকসেপ্ট করছেন না কেন?
সে : কীভাবে এ্যাকসেপ্ট করবো? আমি বুঝি না। নতুন ল্যাপটপ কিনেছি। রিস্টার্ট দেব?
আমি : সামহোয়্যারইন ব্লগে আপনার নিক কোন্টা?
সে : কাল বলবো।
আমি : কাল কেন?
সে : জানি না।
আমি : আপনি কি কবিতা বা গল্প লেখেন?
সে : এখন লিখি না। আগে লিখতাম।
আমি : আগের লেখাগুলো কোথায়?
সে : জানি না।
আমি : আপনি একবার আমার কাছে কবিতা পাঠিয়েছিলেন। মনে আছে?
সে : আজ আর নয়। গুড নাইট।
আমি : একটা কথা শুনে যান প্লিজ।
সে তৎক্ষণাৎ লগআউট হয়।
***
যে মেয়েটি আমাকে ১৭৯ পৃষ্ঠাবিশিষ্ট কবিতার ফাইল পাঠিয়েছিল, আমি তাকে খুঁজে বের করার মানসে এ ক’দিন নিমগ্ন ছিলাম। উপরের কথোপকথন থেকে আমার পক্ষে ‘আঁখি’র প্রকৃত আইডেন্টিটি বের করা সম্ভব হলো না। এসব ‘জেরা’ পর্যালোচনা করে আপনারা দেখুন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় কিনা।
মেয়েটির পর্ব বাদ দিয়ে এবার চলুন অন্য গল্প বলি।
লিটল ম্যাগাজিনের জন্য হন্যে হয়ে বড় কবিদের কবিতা খুঁজছি। দেশের প্রথম সারির কবিদের কবিতা পাওয়া তো চাট্টিখানি কথা না, তাই না? টপ র্যাং কিং এক কবির ই-মেইল এ্যাড্রেস যোগাড় করে ম্যাসেঞ্জারে এ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠালাম। ইনস্ট্যান্টলি তিনি আমাকে এ্যাড করে নিলেন। তাঁকে ‘আইএম’ পাঠাই। তিনি খুব ব্যস্ত মানুষ, জবাব দেবার সময় পান না। পত্রিকায় তাঁর কবিতা পড়ে মুগ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেইল করি। তাঁর সময় হয় না জবাব দেবার। তাঁর কাছে কবিতা চাই, এমনকি সবিনয়ে জানিয়ে দিই, প্রথম আলোর চেয়ে আমি দ্বিগুণ সম্মানী দেব। ...আমি গরীব সম্পাদক ‘মহাকবি’র দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হতে থাকি, দিনের পর দিন। কত আফসোস বুকের ভেতর জমতে থাকে- আহা, মহাকবি যদি একবার একটা আইএম পাঠাতেন! কিংবা একটা রিপ্লাই- চাই না তাঁর কবিতা। তাঁর কবিতা আমার অখ্যাত লিটল ম্যাগাজিনে ছাপালে কবিতার অপমান হবে।
মহাকবি সহসা একদা রাতে সুপ্রসন্ন হলেন। তখন রাত ১টা। তিনি অনলাইন হয়েই লিখলেন : হাই! দেখতে অদ্ভুত সুন্দরী আপনি।
আমি একটু থতমত খাই। আমার খেয়াল হয়, আইকনে আমার স্ত্রীর ছবি ঝুলছে। মহাকবি লেখেন : চ্যাট করার সময় হবে?
বাস্তবিকই আমি লজ্জিত ও বিব্রত হতে থাকি। ভুলটা ধরতে আর জ্ঞানী হবার প্রয়োজন পড়ে না। আমি নীরব থাকি।
মহাকবি আমার মাথায় ‘বাজ’ ভাঙলেন। লিখলেন : আপনি এতো অহংকারী কেন?
আমি খুব দ্রুত লগআউট হই, আর খুব অস্বস্তিতে ভুগতে থাকি। ভাবি, এটা হয়তো আমার চেনা দেশখ্যাত ‘মহাকবি’ নন। তিনি এরূপ ‘লোলুপ’ হতেই পারেন না, যদিও জানতাম তাঁর সাম্প্রতিক কালের দুই খণ্ডে লেখা একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা সব বয়সের পাঠক খুব গোগ্রাসে গিলেছেন, যা এরূপ কিছু রাতজাগা মেসেজ আদান-প্রদানের ঘটনা নিয়েই লেখা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। কোনো এক ইয়াহুগ্রুপে তাঁর জ্ঞানগর্ভ পোস্টগুলো পড়েছি। তিনি একজন মস্তিষ্কবান কবি, সন্দেহ নেই। 
এরপর আরো কয়েকদিন মহাকবি আমাকে নক করেছিলেন, আমি রিপ্লাই করি নি। তবে আইকন বদল করে ছেলের ছবি লাগিয়েছি, আর আমাকে চিরতরে তাঁর কাছে ‘ইনভিজিবল’ করে রেখেছি।  
ঐ সময়ে, যখন ডিসপ্লেতে আমার স্ত্রীর ছবি ঝোলানো থাকতো, আরও কয়েকজন ক্ষুদে কবি নিয়মিতভাবে দু-চার লাইনের কবিতা আইএম করতেন। কিছু চটুল মেসেজও আসতো মাঝে মাঝে। তাঁরা জানতেন আমি ‘নারী’ নই, তবু কেন আমাকে নারী-জ্ঞান করতেন জানি না। আমার লেখায় কি তাহলে ‘নারী-স্বভাব’ পরিস্ফুট ছিল? নাকি ডিসপ্লে আইকনে একটা সুন্দরী নারীর মুখ দেখেই তাঁরা আমাকে নির্ঘাত ‘রমণী’ মনে করতেন? 
২০০৩ সালে তসলিমার ‘ক’ প্রকাশিত হলে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ‘ক’-এর উপর ধারাবাহিকভাবে পাঠকের প্রতিক্রিয়া ছাপছিল। একবার এক পত্রলেখক একলাইনে একটা কথা লিখেছিলেন- তসলিমার ‘ক’ পড়ে বুঝলাম সকল মহাপুরুষই আসলে পুরুষ।
আমিও ওরকম একজন মহাপুরুষ বটে, যিনি শরীর ও মননে একজন পুরুষ, যেমন পুরুষ আমাদের ঐ দেশখ্যাত ‘মহাকবি’ও। আপনি কী মনে করেন?
২৭ অক্টোবর ২০০৯
 ৫১ টি
    	৫১ টি    	 +৫/-০
    	+৫/-০  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:৫৪
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  ভালো লাগলো আপু যে, আপনি মজা পেয়েছেন  ধন্যবাদ।
 ধন্যবাদ।
২|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১৩
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বন্ধু সভায় লেখা আহ্ববান করে এক সময় লিটলম্যাগ বের করতাম। একটা মেয়ে তার কবিতার সাথে প্রায় প্রেমপত্রই পাঠিয়ে দিয়েছিল। আপনার গল্পটা পড়ে অনেকদিন পরে সেই কথা মনে পড়ে গেল।।
পড়ে অনেক মজা পেলাম। অনেক কিছু জানলাম(যেমন আপনার স্ত্রী অনেক সুন্দরী  )।
)। 
 সকল মহাপুরুষই আসলে পুরুষ।  লাইনটা চরম সত্য। 
  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৪
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   সেই প্রেমপত্রের ফটো দেখতে চাই 
ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
৩|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১৯
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুব তাত্ত্বিক একটি বিষয় আপনি উপস্থাপন করেছেন যা পড়ে অনেক ভাল লাগল । 
 :!>   
 
  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৫
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। ভালো থাকুন।
৪|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:২৭
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট সুপ্রিয় কবি। পড়ে বেশ আনন্দ পেলাম ।
  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৬
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  আনন্দ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। পোস্টটি কিঞ্চিৎ বড়, আশা করি মাইন্ড করেন নি 
ভালো থাকুন প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
৫|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৩২
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৩২
খেয়া ঘাট বলেছেন:   
   
   
   
 
  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৭
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  অপূর্ব হাসি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ খেয়া ঘাট 
৬|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১০
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা! বিব্রতকর মজার অভিজ্ঞতা।
  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৮
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যিই তাই। ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক।
৭|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০২
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০২
hasin82 বলেছেন: এসব মহা(!)পুরুষদের মাঝেই লুলপুরুষ লুকিয়ে থাকে!
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৫
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
সঠিক। সঠিক।
৮|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০২
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০২
hasin82 বলেছেন: এসব মহা(!)পুরুষদের মাঝেই লুলপুরুষ লুকিয়ে থাকে!
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৬
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  
৯|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০৬
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০৬
সায়েম মুন বলেছেন: পল্টিবাজ কবি, মহাকবি সবার মুখোশ খুলে দিলেন যে। 
এখন কি ইয়াহুতে ছবি বদল করেছেন না একই কীর্তি ঘটতেছে।  
 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৮
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  ফেইসবুকে যখন থেকে এ্যাক্টিভ হলাম, ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারের ইউটিলিটি ভুলে যেতে থাকলাম 
ধন্যবাদ কবি সায়েম মুন ভাই।
১০|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১৩
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১৩
ডি মুন বলেছেন: প্রথমটা পড়ে মাথা এলোমেলো হয়ে গেছে। আর তারপর দ্বিতীয়টাতে এসে একটু হাসলাম। 
একবার এক পত্রলেখক একলাইনে একটা কথা লিখেছিলেন- তসলিমার ‘ক’ পড়ে বুঝলাম সকল মহাপুরুষই আসলে পুরুষ। 
পুরোপুরি কি না জানিনা তবে অনেকাংশেই সত্য কথা। 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪২
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  মহাপুরুষ হওয়ার আগে তাঁকে পুরুষ হিসাবেই জন্ম নিতে হয়েছিল, আর মহাপুরুষ হয়ে যাওয়ার পর পুরুষোচিত বৈশিষ্ট্যগুলো শরীর-মন থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব নয়  মহাপুরুষগণ জৈবিক চাহিদার উর্ধ্বে নন। এ চাহিদা এমন যে, যে-কোনো অসতর্ক মুহূর্তেই মহাপুরুষের ‘স্খলন’ বা ‘পদস্খলন’ সংঘটনে সক্ষম
 মহাপুরুষগণ জৈবিক চাহিদার উর্ধ্বে নন। এ চাহিদা এমন যে, যে-কোনো অসতর্ক মুহূর্তেই মহাপুরুষের ‘স্খলন’ বা ‘পদস্খলন’ সংঘটনে সক্ষম 
ধন্যবাদ ডি মুন। ভালো থাকুন। 
১১|  ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:২২
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
!!!!!!
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৩
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   অবাক হলেন নাকি, সাজ্জাদ ভাই? 
১২|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  ভোর ৬:২০
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  ভোর ৬:২০
জুন বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: পল্টিবাজ কবি, মহাকবি সবার মুখোশ খুলে দিলেন যে। 
এখন কি ইয়াহুতে ছবি বদল করেছেন না একই কীর্তি ঘটতেছে। 
 
 মজা পেলাম ছাই ভাই p~  
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৪
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৩|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৩
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: 
  
   
 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৭
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:     
   
   
   
 
১৪|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০১
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:০১
আমি ইহতিব বলেছেন:  
  
 
মজা লাগলো। 
আহারে মহাপুরুষরা   
   
 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৮
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:     
   
   
   
 
মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৫|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১:০৪
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১:০৪
ভাঙ্গা ডানার পাখি বলেছেন: মজা পেলাম :-)
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৫
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  ধন্যবাদ 
১৬|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১:১০
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১:১০
মরণের আগে বলেছেন: মজা পাইলাম। 
অনেক দিন পর ইয়াহু মাসেঞ্জারকে মিস করছি ।
আমারমতে ফেবু বা অন্য কোথাও বৌ এর ছবি না দেওয়াই উত্তম।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।  
   
   
   
    
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৬
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   ছবি ডিসপ্লে করার ব্যাপারে যা বললেন তার সাথে একমত। শিক্ষা হওয়ার পর শিখলাম আর কী  ধন্যবাদ।
 ধন্যবাদ।
১৭|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ২:৪৬
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ২:৪৬
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আর কোথাও ভাবির ছবি নিজের ডিসপ্লে হিসেবে দিয়েন না।   
 
বাই দ্যা ওয়ে, সামুতে আমাদের দেখার জন্য দিতে পারেন।   
 
সুন্দরী ভাবি বলে কথা।   
 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১০
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  
    
   
 
আপনার পরামর্শ শিরোধার্য্য, আপু 
ধন্যবাদ।
১৮|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৪২
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, পারেনও  
 
  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১৫
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  সত্যিই মামুন ভাই, কিছুটা পেরেছিলাম বৈকি  
  
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৯|  ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:০৮
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:০৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:    
   
   
   
  
রহস্যময়ী বটে ! 
  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৩২
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  বটে 
২০|  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ২:১৮
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ২:১৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত একটা গল্প পড়লাম! আপনি এমন ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে পাঠক বুঝতেই পারবে না এটা গল্প! ক্লাসিক। একেবারেই আপনার নিজস্ব স্টাইল। গল্প, কবিতা, ছোট গল্প আপনি দেখি সাহিত্যের সব শাখায় উস্তাদ লোক। অনেক ভালো লেগেছে প্রিয় লেখক, এমনি করে লিখতে থাকুন। শুভেচ্ছা।
  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৩৬
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  হাহাহাহাহাহাহা ধরে ফেললেন ব্যাপারটা?
মোক্ষম কথাটা বলে ফেললে আর মজা থাকে না। সবাই সত্য হিসাবে ভাবলে যে মজা, গল্প হিসাবে তা জুটবে না 
আপনার উদার মন্তব্য আমাকে আকাশে তুলছে। দোয়া করবেন, যেন আপনার পিছে পিছে হাঁটতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
২১|  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৮:৫৮
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৮:৫৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাই সোনাবীজ আপনার গল্পের বাস্তব চিত্রায়ণ পর্বে বর্তমানে আমি আছি।তবে অারেকটু জটিলভাবে।ব্লগে পরিচয় সূত্রে ফেবুতে একজনের সাথে ক্যাজুয়াল আলাপ হয়।ঈদের সময় রান্না ও গৃহসজ্জার ব্যাপারে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে তার সন্দেহের তালিকায় ঢুকে পড়েছি।আমার অবস্থানের ঠিক উল্টোদিকে বাস করা এই নাছোড়বান্দা আমার নারীস্বত্বা উন্মোচনে ভদ্রোচিত গোয়েন্দাগিরিতে ব্যস্ত! সকল মহাপুরুষই পুরুষ;কেউ কেউ রংপুরুষ   
   
  
  ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪২
১৫ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  কার পাল্লায় পড়লেন এভাবে? নাছোড়বান্দা যদি ছাড়তে না চায় তাহলে আর কী করা, মেয়ে হিসাবেই তার কাছে বেঁচে থাকুন 
এখন আরেকটা ঘটনা মনে পড়ছে। একজন ব্লগার আমাকে ম্যাসেঞ্জারে প্রায়ই তার প্রেমিকার কথা বলতো। প্রেমিকাকে নিয়ে সে পালিয়ে এসেছে কোনো এক জায়গায়। এখন সে কী করবে, এসব বিষয়ে আমার পরামর্শ চাইত। আবার বিস্তারিত জানিয়ে মেইলও করতো। আমি তাকে বলতাম, আমি মেয়ে নই, পুরুষ মানুষ। সে বলতো, আপনার কথা মানি না। আপনি একজন নারী। আমাকে বুদ্ধি-পরামর্শ দিন  আমি বুঝতাম সে কোনো প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় নি। যেহেতু সে আমাকে মেয়ে মনে করতো, তাই আমার সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করতো, যাতে আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি।
 আমি বুঝতাম সে কোনো প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় নি। যেহেতু সে আমাকে মেয়ে মনে করতো, তাই আমার সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করতো, যাতে আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি।
মানুষের মন ও স্বভাব খুব বিচিত্র।
আপনার জন্য সহানুভূতি, সমবেদনা সবকিছু 
ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।
২২|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:০৯
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:০৯
আরুশা বলেছেন: প্রথমে মনে হলো সোনাবীজ ভাইয়ার জীবনের সত্য ঘটনা , শান্তির দেবদুত ভাই এর কথায় বুঝতে পারলাম গল্প  
 
ভালোলাগলো .।.।.।।।প্লাস +++++
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৩০
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:    
    
   
একটা গল্পসংকলন বের করার ইচ্ছে আছে আগামীতে, যাতে এ লেখাটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে এটা বাদ দিয়ে ‘আত্মজীবনী’ ধরনের কিছু বইয়ের জন্য রেখে দিব কিনা। আত্মজীবনী হিসাবে দারুণ উৎরে যাবে আশা করি 
ধন্যবাদ আরুশা। ভালো থাকবেন।
২৩|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৯
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:০৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আর কোথাও ভাবির ছবি নিজের ডিসপ্লে হিসেবে দিয়েন না।   
 
বাই দ্যা ওয়ে, সামুতে আমাদের দেখার জন্য দিতে পারেন।   
 
সুন্দরী ভাবি বলে কথা।  
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৩৯
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  হাহাহাহাহআহহহাহাহাহাহ
যথআজ্ঞা 
২৪|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:৫৭
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:৫৭
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আমিও তো ভেবেছিলাম সত্যি   
 
শান্তির দেবদূত ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এটা গল্প । 
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪৩
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   নীচের ট্যাগের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারেন 
এটা সত্য ঘটনা হওয়া যেমন সম্ভব, তেমনি গল্পরূপেও ভাবা যেতে পারে।
ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া আপু।
২৫|  ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪৯
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৪৯
সুমন কর বলেছেন: খুব মজা পেলাম।   
   
 
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৫২
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
২৬|  ৩০ শে মার্চ, ২০২২  সকাল ৯:৪৫
৩০ শে মার্চ, ২০২২  সকাল ৯:৪৫
নাজিম সৌরভ বলেছেন: এই লেখার একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পড়তে আমি ভেবে নিয়েছিলাম এটা বাস্তব কাহিনী। কিন্তু ২০ নং কমেন্ট আমাকে হতাশ করে দিল। কেন যেন মনে হচ্ছে এটা গল্প না হয়ে বাস্তব কিছু হওয়া উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:৫২
১২ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:৫২
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: হা হা। মজা পেলাম খুব।