|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
নিতু এবং আমি
গল্পের চরিত্র, কিংবা চরিত্রের গল্প
২০০৮ সালের দিকে যখন প্রথম গল্পকণিকা লিখি, তখন এর সাইজ ছিল এক লাইন। এরপর এক লাইন থেকে দেড় লাইন, তিন লাইন, এক প্যারাগ্রাফ। সর্বোচ্চ ৩ অনুচ্ছেদের গল্পকণিকা লিখেছিলাম সেই সময়ে।
সম্প্রতি গল্পকণিকা লিখবার একটা নতুন উদ্যম আমার মধ্যে লক্ষ করছি গত মাসখানেক ধরে। প্রথম দিককার গল্পগুলো ৫-৭ লাইনের হলেও এখন ওগুলোর দৈর্ঘ্য আধা-পৃষ্ঠা থেকে দেড় বা দুই পৃষ্ঠা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। দৈর্ঘ্য বেড়ে গেলে সেগুলোকে আর ‘গল্পকণিকা’ বলার কারণ দেখি না।
গল্পকণিকা লিখতে বসে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। মনে মনে ৩ বা ৪ লাইনের মধ্যেই গল্প শেষ হয়ে যায়। লিখতে বসার পর দেখি কলেবর ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। অন্য সমস্যাটি প্রকটতর। যে থিম বা কাহিনির উপর গল্প লিখতে বসি, দেখা যায় আমার নিয়ন্ত্রণ উপেক্ষা করে গল্প মোড় নিচ্ছে অন্যদিকে। গল্পে যে ভাবটি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি, সেটি কিছুতেই পরিষ্কার হয়ে ফুটে ওঠে না। মনের ভিতর তখন বড় একটা অতৃপ্তি যন্ত্রণা দিতে থাকে। সেই যন্ত্রণাকে লাঘব করার জন্য প্রথম ড্রাফটের উপর ক্রমাগত ক্ষুর চালাতে গিয়ে দেখি এটি একটা সম্পূর্ণ নতুন গল্পের রূপ নিয়েছে। এভাবেই একটা থিম বা প্লট থেকে অনেকগুলো গল্পকণিকার জন্ম হতে থাকে, কিন্তু মূল থিমটা একেবারে অধরাই থেকে যায়। 
কনটেম্পোরারি বিষয়াবলির চেয়ে মানব-চরিত্রের বিচিত্র বৈশিষ্ট্যগুলোই আমাকে বেশি ভাবিত করে। এরকম একটা বিষয় নিয়ে বর্তমান গল্পকণিকার কথাটি ভাবছিলাম, যেটি মাত্র দেড় বা দুই লাইনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানেও ব্যত্যয় হলো না। এই দেড়-দুই লাইনকে লেখ্যরূপ দিতে গিয়ে দেখি সেটি প্রায় দেড় পাতার গল্প হয়ে গেছে। সেই দেড় পাতাকে একটা ছিমছাম, নিখুঁত গল্পকণিকার রূপ দেয়ার জন্য আমি ক্রমাগত পুনর্লিখন ও ছাঁটাছাটি শুরু করলাম। সবার উপরের গল্পটি হলো সর্বশেষ গল্পের আগের রূপান্তর, আর শেষ সংস্করণটি দেয়া হয়েছে সবার নীচে। 
৫
নিতু মেয়েটা বড্ড বেশরম আর বেহায়া। তাকে যার-তার সাথে যেখানে-সেখানে যেতে দেখি। যার-তার সাথে কলকলিয়ে হাসতে দেখি। পারে তো পুরুষ মানুষের কোলে গিয়ে বসে। এতো ঢলাঢলি কীসের লক্ষণ! ছিনালের লক্ষণ। শি ইজ ভেরি সেক্সি এ্যাজ ওয়েল।
একদিন হঠাৎ কোত্থেকে উড়ে এসে আমার ডেস্কের উপর হাতে ভর করে উবু হয়ে দাঁড়ালো। ‘কী লিখেন?’ বলে আমার ড্রাফটের দিকে সে আরেকটু এগিয়ে এসে পড়তে থাকে। তার বুক তখন বেশ ঝুলে পড়ছিল। মেয়েদের আমি চিনি। রুমে কেউ নেই, সে একটু স্পর্শ চায়। 
‘কেমন আছো, নিতু?’ বলেই তার দিকে তাকিয়ে হাসি। আর আলগোছে একটা হাত উঠিয়ে তার বুক বরাবর তুলতেই সে চমকে উঠে সরে পড়ে।
এরপর আর কোনোদিন সে আমার অফিসে আসে নি, আমার সাথে কথাও বলে নি। অথচ বাকি সবার সাথে তাকে আগের মতোই অবাধে চলতে দেখি।
আমার বোধোদয় হয়, এবং খুব কস্ট পেতে থাকি- আমি নির্মল আনন্দকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি ভালো মানুষ নই।
৪
আমার অফিসের সুন্দরী কলিগ নিতু আমার প্রেমে পড়লো। তাকে যখন জানালাম আমি একজন বিবাহিত পুরুষ, সে ক্রোধে ফেটে পড়ে বললো, ‘ভণ্ড কোথাকার, প্রেম করার আগে বলো নি কেন তোমার বউ আছে, ছেলেমেয়ে আছে? আমি তোমার নামে কেইস করবো।’
নিতু আমার নামে শ্লীলতাহানির কেইস করলে আমার চাকরি চলে গেলো, আর ৬ মাসের জেল হলো।
স্ত্রীর চাকরি করা বেতনে আমি এখন বসে বসে খাই। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিতুর সাথে কিছু সন্ধি করি। সন্ধি মোতাবেক সে এখন আমার স্ত্রী। আমাকে সে ৬ মাসের জেল খাটিয়েছে, আমি তাকে যাবজ্জীবন জেলহাজতের স্বাদ দিব। 
৩
অফিসে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই নিতু আমার খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলো। আমরা একই রুমে পাশাপাশি বসি। অনেক সুখ-দুঃখের বিষয়াদি একে-অপরের সাথে শেয়ার করি। মাঝে-মাঝে ক্যান্টিনে বসে একত্রে চা-নাস্তা খাই, অফিসে যাতায়াতের সময় প্রায়ই আমরা একই বাসে উঠি, এবং নিতু আমার পাশের সিটটায় বসে পড়ে গল্প করতে করতে রাস্তা পার হই।
একদিন ওকে একলা পেয়ে বললাম, ‘নিতু, তোমাকে একবার চুমু খেতে চাই।’ নিতু এতোই অপ্রস্তুত হলো যে মুহূর্তে ওর পুরো মুখাবয়ব লাল হয়ে উঠলো, এবং অপমান, ক্ষোভ ও লজ্জায় ওর চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেলো।
এরপর বেশ কিছুদিন নিতু অফিসে না এলে আমি খুব অনুতপ্ত হই। তারপর একদিন হঠাৎ তাকে বাসে উঠতে দেখলাম। আমার সাথে চোখাচোখি হতেই সে মাথা নীচু করে বাস থেকে নেমে গেলো। নিতুর চলে যাওয়া আমার বুকে তিরের ফলার মতো বিঁধলো। তবু ভালো লাগলো, অনেকদিন পরে হলেও নিতু আজ অফিসে ফিরে আসছে। অফিসে আসার পর নিরালায় ওর কাছে গিয়ে আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইব।
কিন্তু অফিসে আমার পাশের ডেস্কে সেদিন নিতু বসলো না, বসলেন এক নতুন কলিগ আলম সাহেব। তিনি জানালেন, নিতুর এ অফিস থেকে অন্য অফিসে ট্রান্সফার হয়েছে, যার বদলে তিনি এখানে এসেছেন।
২
‘আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে, ভাইয়া।’ নিতু যেদিন আমাকে এ কথাটা বলেছিল, সেদিনই বুঝেছিলাম আমার প্রতি ওর একটা দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে। অফিসের বিভিন্ন মিটিঙে সে আমার পাশের সিটে বসে। ক্যান্টিনে চা-নাস্তা করতে গেলেও আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাস্তার ও-পাশের রেস্টুরেন্টে আমরা প্রায়শ লাঞ্চ করতে যাই। নিতু যথারীতি আমার সাথে একই টেবিলে পাশাপাশি বসবে। আমি দেখতে পেলাম, মেয়েটা ধীরে ধীরে আমার উপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে উঠছে। অফিশিয়াল কাজে বিভিন্ন উপদেশ-পরামর্শের প্রয়োজন হলে সে আর কারোটা না, কেবল আমার পরামর্শগুলোই অক্ষরে অক্ষরে গ্রহণ করে এবং মেনে চলে।
‘আপনি লোকটা খুব ভালো, ভাইয়া। অন্যদের মতো না।’ মাঝে মাঝে খুব নিবিড় হয়ে আমার চোখে গাঢ় দৃষ্টি ফেলে ঘাড়খানি ইষৎ কাত করে নিতু যখন কথাটা বলে, তখন গর্বে আমার বুক স্ফীত হতে থাকে।
আমি নিশ্চয়ই অন্যদের মতো না। আমার কিছু নারী-ঘেঁষা কলিগ আছেন, তাঁরা কারণে-অকারণে মেয়েদের সাথে যেচে কথা বলেন, চটুল হাসিঠাট্টা করতে তাঁদের জুড়ি নেই। তাঁদের আদিখ্যেতা আমার অপছন্দ, এবং আমি খেয়াল করে দেখেছি এরা ‘ব্যক্তিত্বহীন’ পুরুষ, রমণীদের সামনে তাঁরা খুব নিম্নরুচি বা হালকা চরিত্রের মানুষ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে থাকেন।
আমি সুপুরুষ, সুদর্শন, ব্যক্তিত্ববান। অফিশিয়াল কর্মকাণ্ডে আমার পারদর্শিতা ও সাফল্য ঈর্ষণীয়। মেয়েরা আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকবে অতি সহজেই। মেয়েদের সহজাত বৈশিষ্ট্যের কারণেই নিতু আমার প্রতি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে।
‘ভাইয়া, চলুন আমরা একদিন সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখতে যাই।’
বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে আমরা একটা ইংলিশ মুভি দেখলাম। পেছনের সারিতে একেবারে কোনার দিকে আমাদের সিট পড়েছিল। আমরা কী কী করলাম তা যেমন কারো চোখে পড়লো বলে মনে হলো না, তেমনি আমাদের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন রংতামাশা দেখবার কারো কোনো গরজ ছিল বলেও মনে হলো না।
শো-টাইম শেষ হলে আমরা টপ ফ্লোরে গিয়ে বার্গার খেলাম। বার্গার তার মেয়ের খুব ফেভারিট, কথা প্রসঙ্গে নিতু এটা আমাকে জানানোর পর আমি ওর মেয়ের জন্য বার্গার কিনে প্যাকেট করে দেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। 
‘না না ভাইয়া, থাক। কিচ্ছু নিতে হবে না। আমি বরং বাসার কাছাকাছি কোনো জায়গা থেকে ওর জন্য কয়েকটা চকোলেট কিনে নিয়ে যাব। চকোলেটও ওর অনেক প্রিয়।’
আমরা সিএনজি নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলাম। মাঝপথে আমি নেমে পড়বো, এরপর সে ঐ সিএনজি নিয়ে ওর বাসা অব্দি যাবে।
নামার আগে মানিব্যাগ থেকে একটা ১০০০ টাকার নোট বের করে নিতুর হাতে গুজে দিয়ে বললাম, মেয়ের জন্য চকোলেট কিনে নিবে। নিতু প্রথমে বাধা দিলেও পরে নিল, এবং সিএনজির ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়া টুকরো আলোয় হাতের নোটটায় একবার চোখ বুলিয়ে পরখ করে দেখলো- ওটা ১০০, নাকি ১০০০ টাকার নোট। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বেদনাময় মনে হলো।
এরপর মাঝে মাঝেই আমরা মিলিত হতাম। বাসায় ফেরার পথে ওর হাতে ১০০০, কখনোবা ৫০০ টাকার নোট গুজে দিতাম। প্রতিবারই ‘লাগবে না, টাকা দিয়া আমি কী করবো’ ইত্যাদি বলতে বলতে আমার জোরাজুরির কারণে সে টাকাটা শেষ পর্যন্ত নিতে বাধ্য হতো।
১ 
নিতুকে দেখার পর থেকেই ওর প্রতি আমার লালসা জাগ্রত হতে থাকে। নৃত্যকলা বা সঙ্গীতে ওর কোনো দখল নেই। কিন্তু ওর সুমধুর বাচনভঙ্গি ও বাঁকানো শরীর একটা উচ্চমার্গীয় কবিতার চেয়েও অধিক উপভোগ্য। দূর থেকে, কিংবা ওর পাশে গেলে আমার তীব্রতা বেড়ে যায়। কোনদিন আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি এ নিয়ে আমার অশেষ ভয় রয়েছে।
আমার পাশের ডেস্কে ৯টা-৫টা খুব চপলতা ও দক্ষতার সাথে নিতু কাজ করতে থাকে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে কাজের কথাই শুধু বলে না, হালকা ও সিরিয়াস উভয় ধরনের ফান করে, আর প্রতিটা কথার শেষে দুষ্টুমির হাসি হাসে। হাসতে হাসতে দৃষ্টি গাঢ় করে আমার দিকে তাকায়। অফিসের সবাই হয়তো মনে মনে বলে- নিতু আর আমি পরকীয়ায় জড়িয়ে গেছি।
ক্যান্টিনে চা-নাস্তা খাওয়ার সময় আমরা একসাথে বের হলে, কিংবা রাস্তার ওপারে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সবাই হা করে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। বাসায় ফেরার পথে পাশাপাশি সিটে বসি, বাস মিস করলে সিএনজি বা রিকশায় উঠি। ওর শরীরের সাথে সামান্য ছোঁয়া লাগলেই আমার যেন ইলেক্ট্রিক শক লাগে।
আমারও মনে হয়, নিতু ঠিক ঠিক আমার প্রেমে পড়ে গেছে। আমার ক্ষেত্রে অবশ্য প্রেম-ট্রেম কিছু না, আমি শুধু নিতুকে ভোগ করতে চাই।
আমরা ঘনিষ্ঠ হতে থাকি। নিতু ওর ঘরের কথাও মাঝে মাঝে হুট করে বলে ফেলে। সে স্বামীকে নিয়ে খুব সুখী নয়, তেমন সন্তুষ্টও নয়। শূন্যস্থান কখনো অপূর্ণ থাকে না। আমি নিতুর শূন্যস্থান, হাহাকারময় জীবনে কিছুটা সুখ এনে দিতে অগ্রসর হই। আমিও অনেক কিছু শেয়ার করি।
একদিন রিকাশয় হুড ফেলে দিয়ে, কিংবা সিএনজিতে, কিংবা বাসের ভিতরে যদি কোনোদিন বাতি নেভানো থাকে, ওর ঘাড়ের উপর দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিব, তারপর কৌশলে সেই হাতের থাবা আরও নীচে নামিয়ে ওর বুকে চেপে ধরবো।
‘একদিন তো দাওয়াতও দিলেন না?’ নিতু যেদিন হাসতে হাসতে ইঙ্গিতে আমাকে ওর মনের ইচ্ছেটা বুঝিয়ে দিল, অমনি আমার মাথায় মোক্ষম আইডিয়াটা ভর করলো।
একদিন সব আয়োজন পাকা করে বললাম, ‘আজ তোমাকে তোমার ভাবীর হাতের রান্না খাওয়াবো। অফিস শেষে সোজা আমার বাসায় চলে যাবো। ঠিক আছে, নিতু?’
‘দাওয়াতের জন্য অনেক ধন্যবাদ’ বলে নিতু মিষ্টি চোখে আমার দিকে তাকালো।
বাসায় ঢুকে নিতুকে নিয়ে সরাসরি বেডরুমে ঢুকে পড়ি। নিতু চারদিকে তাকিয়ে বলে, ‘কী ব্যাপার, বাসার মানুষজন কোথায়? ভাবীকে দেখছি না যে!’
‘তাইলে আর কী বলছি তোমাকে! ছেলেমেয়েসহ পুরা গুষ্টিরে গতকাল বাপের বাড়ি পাঠাইয়া দিছি। আমরা এক্কেবারে স্বাধীন। কোথাও কোনো জঞ্জাল রাখি নাই।’ বলেই নিতুর দিকে তাকাই। নিতুর হাসিমুখটা অন্ধকার হয়ে যেতে থাকে।
‘বুঝলাম না।’ নরম স্বরে নিতু বলে।
‘এসো সোনামণি। আর কোনো কথা না।’ বলেই ওর দিকে এগিয়ে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করি। আর অমনি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিতু তীব্র ঝাঁঝালো শব্দে ছিঃ ছিঃ করে উঠলো। ‘এই আপনার চেহারা? আপনারে আমি দেবতার মতো মনে করতাম। আপনি অন্য পুরুষদের মতো লুইচ্চা না মনে কইরা আপনার সাথে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতাম। আপনার মনের ভিতর এই ছিল? ছিঃ! ছিঃ! আপনি একটা নোংরা মানুষ।’ 
দরজা খুলে হনহন করে নিতু বের হয়ে গেলো।
৬
নিতুকে দেখলেই আমার ছোটোবোন অলেছার কথা মনে পড়ে। অলেছা আড়াই বছর বয়সের সময় কলেরায় মারা গিয়েছিল। ও আমার দু বছরের ছোটো। ঐ বয়সে অলেছা কী যে সুন্দর করে হাসতো, তা আমার এখনও স্ফটিক মনে পড়ে।
‘ভাইয়া কী খবর’ বলতে বলতে যখন প্রতিদিন সকালে নিতু অফিসে ঢোকে, তখন মনে হয়, এ নিতু নয়, অলেছা। আমার সোনাবোন অলেছা আজ কত্ত বড় হয়েছে!
একদিন নিতুকে বললাম, ‘নিতু, এসো না, আমার বাসায় একদিন বেড়িয়ে যাবে।’
নিতু কাজ করছিল। হাতের ফাইলটি গোছাতে গোছাতে সে আমার দিকে তাকালো। কিন্তু কোনো উত্তর দিল না। একটুপর আবার বললাম, ‘কিছু বললে না যে! আমার বাসায় কবে আসবে?’
নিতু কী মনে করলো জানি না। হাতের কাজ থামিয়ে বললো, ‘ভাইয়া, আপনি বোধহয় একটু ভুল করছেন। আমাকে নিয়ে যদি কিছু ভেবে থাকেন, দয়া করে আর ভাববেন না। আমি ও-ধরনের মেয়ে নই।’
এর পরের দিন অন্য সেকশনে আমার ট্রান্সফার হয়ে গেলো।
১৫ আগস্ট ২০১৪
 ৫২ টি
    	৫২ টি    	 +১০/-০
    	+১০/-০  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৩০
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই।
২|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:১০
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:১০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ৫ নম্বর গল্পকণিকাটাই বেশী ভালো লাগলো ! 
আর সবচেয়ে নিচের টা সবার সেরা , কিন্তু এটাই যদি মূল ভাব হয় তাহলে সবার শেষের ভাবনা গুলো এমন পালটে গেল ! 
ভালোলাগা জানবেন ভাইয়া  ! 
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৩৮
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   মূল গল্প, বা ১ম গল্পটা দেয়া হয়েছে ১ নম্বর সিকোয়েলে। এরপরের গুলো যথাক্রমে ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বরে দেয়া হয়েছে। গল্পগুলো কীভাবে বিবর্তিত বা পরিবর্তিত হয়েছে, তা পড়ার জন্য ৫ নম্বরটাই আগে পড়তে হবে। আর সর্বশেষ সংস্করণ ও ১ম সংস্করণ (৬ ও ১) সবার নীচে পাশাপাশি দেয়া হয়েছে, যাতে এ দুটোর মধ্যকার পার্থক্য খুব সহজেই বোঝা যায়।
গল্পের ভূমিকায় এ কথা বলেছি, লিখতে গিয়ে দেখি যে মূলভাব বদলে যাচ্ছে। এটা আমার মতো অনেক গল্পকারেরই একটা বড় সমস্যা  যে থিম নিয়ে গল্পটা শুরু করেছিলাম, সেই থিমটা এখানে কোনো গল্পেই ফুটে ওঠে নি। কাজেই, কোনটা মূলভাব তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঐ মূলভাবের উপর আবারও গল্প হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রিই
 যে থিম নিয়ে গল্পটা শুরু করেছিলাম, সেই থিমটা এখানে কোনো গল্পেই ফুটে ওঠে নি। কাজেই, কোনটা মূলভাব তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঐ মূলভাবের উপর আবারও গল্প হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রিই 
ধন্যবাদ অভি ভাই। ভালো থাকবেন।
৩|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:৫২
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ আর ৬ পাশাপাশি রেখে দুটি গল্পের লব্ধি পার্থক্য   বুঝালেন ।
  বুঝালেন ।
অভির ৫ নম্বরটা বেশি ভাল লেগেছে।  আমার ছয় নম্বরটা বেশি বাস্তবসম্মত মনে হলো তাই ভালও লাগলো বেশি।
গল্প কনিকা বেড়ে দীর্ঘ গল্প হয় নি । তাতে ভাল হয়েছে।
আমরা কিন্তু একটা দীর্ঘ গল্পের চেয়ে কয়েকটা গল্পকনিকা পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি ।  
 
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:     ১ আর ৬ পাশাপাশি রেখে দুটি গল্পের লব্ধি পার্থক্য  বুঝালেন । আমার উদ্দেশ্যটা খুব দারুণভাবে ধরতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগছে।
 বুঝালেন । আমার উদ্দেশ্যটা খুব দারুণভাবে ধরতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগছে।
অভি ভাইও কিন্তু ৬ নম্বরটাই সবার সেরা বলেছেন 
সবগুলোকে মিলিয়ে একটা গল্প হিসাবে ভাবা যায় নাকি? গল্পের উপশিরোনাম হলো ‘গল্পের চরিত্র, কিংবা চরিত্রের গল্প’। চরিত্র নিয়ে খেলা করা আর কী। একটা চরিত্রকে কতভাবে ঘোরানো যায়, প্যাঁচানো যায়, সেরকম।
আপনার ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো, প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। ধন্যবাদ জানবেন।
৪|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৪:০২
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৪:০২
একজন আবীর বলেছেন: দারুন গল্প। ++++
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৫
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আবীর ভাই।
৫|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৫:৫৪
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৫:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: 
হায়ে নিতু....   
 
ভাই নিঃসঙ্কোচে বলি, একটু বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে গেলো!
(মাইন্ড খাইয়েন না, অনুভবটা তো একান্তই নিজস্ব...এইডার ওপর কারও হাত নাই)
তবে অস্বাভাবিক নয়... বেমানানও নয়।
//যে থিম বা কাহিনির উপর গল্প লিখতে বসি, দেখা যায় আমার নিয়ন্ত্রণ উপেক্ষা করে গল্প মোড় নিচ্ছে অন্যদিকে।//
-একদম আমার কথা কইছেন। এজন্যই তো আমি গল্প লিখি না  
   
 
তবে আপনার নিকট থেকে একটি ‘অখণ্ড নিতু’ আশা করছি 
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৮
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  আরও রসময় ও রোমাঞ্চকর কিছু করতে চাইছিলাম, হয় নি  
   
   কারণ ওটাই, গল্প তার নিজের মতো এগিয়ে যায়, আমার আদেশ না শুনেই
 কারণ ওটাই, গল্প তার নিজের মতো এগিয়ে যায়, আমার আদেশ না শুনেই  
 
দেখি, একটা অখণ্ড নিতুকে উপহার দিতে পারি কিনা, চেষ্টা থাকবে 
ধন্যবাদ প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই। ভালো থাকবেন।
৬|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:২৪
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একই চরিত্রে ভাবের বৈচিত্রতা নিয়ে খেলা- মন্দ নয়!
বরং বেশ উপভোগ্য লাগলো।
মনের অলিগলিতে এমন কত ভাবনারা নিত্য খেলা করে কত জনায়! 
+++
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫০
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:     একই চরিত্রে ভাবের বৈচিত্রতা নিয়ে খেলা। জি, এটাও এ পোস্টের আরেকটা দিক।
উপভোগ্য হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু। ভালো থাকবেন।
৭|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ৪ এর বোধদয় বাস্তবিক । 
৩ হলো ৪ এর এক্সটেনশন ।
২ দূষিত কল্পনা ।
১ চিটিং
৬ পড়বি পর মালির ঘাড়ে 
একটা চরিত্র নিয়ে বিচিত্র ভাবনা আর গল্প প্রচেষ্টা ভালো লেগেছে ।
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫৪
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   একেকটা গল্প সম্পর্কে আপনার সুচিন্তিত মূল্যায়ন খুব ভালো লাগলো মামুন ভাই। ৫ নম্বরটার কথা বাদ পড়ে গেছে বোধহয় 
একটা চরিত্র খেলা করে দেখলাম, কেমন লাগে 
ধন্যবাদ প্রিয় মামুন রশিদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৮|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৬
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৪৬
মদন বলেছেন: ++++++++++++
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫৫
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতগুলো প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মদন ভাই। ভালো থাকবেন।
৯|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:২৯
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৮:২৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: চমৎকার লেখনী ।
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪২
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু। ভালো থাকবেন।
১০|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১১
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:১১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: 
ভালো লাগা দিয়ে গেলাম।
দারুন গল্পকনিকা  
 
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৩
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ঘূণপোকা। এতদিন কোথায় ছিলেন?
১১|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৩০
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৩০
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লেগেছে।
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৫
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হানিফ রাশেদীন ভাই।
১২|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৪৩
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ৯:৪৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: 
আমার মনে হয়েছে যদি শেষের দুটো খণ্ড একটা ফিনিশড হতো তাহলে ওরা স্বয়ংসম্পুর্ণ পরমাণু গল্প হয়ে যেত। যেমন প্রথম অংশে থাকতো সেই পুরুষের একাকী ঘরে মেয়েটিকে কাছে পাবার মত প্রকাশ্য আহ্বান। 
.... নিতু চারদিকে তাকিয়ে বলে, ‘কী ব্যাপার, বাসার মানুষজন কোথায়? ভাবীকে দেখছি না যে!’
আবার যখনই মেয়েটি তাকে লম্পট ভাবছে, তখনই তার বোনের মত লাগছে...
  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০১
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  আহা, কতদিন পর আপনার সেই বিশ্লেষণমূলক কমেন্ট পড়লাম! এতেই প্রাণ ভরে গেলো। ইদানীং আপনাকে একটু-আধটু ব্লগে দেখতে পাই, যা খুব উৎসাহব্যঞ্জক।
আপনার সাজেশনটা গল্পের আরেকটা দিক খুলে দিল। ওভাবেও করা যেতে পারে। ব্যাপারটা আমাকে ভাবাচ্ছে।
তবে, গল্পগুলো যেভাবে দেখছেন, এগুলো এভাবেই লেখা হয়েছে। নিজের জন্যও আমার একটা সমীক্ষা হয়ে গেলো বটে- ১ম এবং শেষ সংস্করণের মধ্যে মিল বা অমিল 
অনেক ধন্যবাদ স্বদেশ হাসনাইন ভাই। ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৩|  ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:২৪
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:২৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ৫ম প্লাস!!! 
প্রত্যেকটাই চমৎকার মনে হচ্ছে, শেষের ৩ টা পড়িনি এখনো ...
পড়ে মন্তব্য দিচ্ছি ...
আমার ব্লগে করা আপনার চমৎকার তম মন্তব্যটার জন্য মন থেকে উচ্ছাস মাখা ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম আবারো ...
মাত্রই দেখলাম ...
এমন মন্তব্য আপনাদের মত ব্লগার দের কাছেই আশা করা যায় প্রিয় সোনাবীজ ভাই ...
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৬
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   অনেক ধন্যবাদ মুনতাসির নাফিস ভাই। প্রত্যেকটাই চমৎকার হয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগছে।
আপনার পোস্টটা খুব ভালো হয়েছে। ব্লগিঙের নানান দিক তুলে ধরেছেন। নবীন-প্রবীণ ব্লগারদের অনেক মূল্যবান কমেন্টে পোস্টটি ক্ল্যাসিক হয়ে উঠছে। এমন একটি পোস্ট লিখবার জন্য আপনাকে অভিনন্দিত করছি।
১৪|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:০৩
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:০৩
আবু শাকিল বলেছেন:  ইন্টারেস্টিং লেখা। লে হালুয়া এবং ভাল লাগা দুটোই পেয়েছি।  
 
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৭
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লে হালুয়া এবং ভালো লাগা !!!!! হাহাহাহাহাহাহাহা। মন্তব্যে মজা পেলাম, উৎসাহও পেলাম। ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই।
১৫|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:২৮
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:২৮
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: চমৎকার গল্পকণিকা ভাইয়া!!! ৫ আর ৬ বেশি বাস্তবসম্মত মনে হয়েছে আমার কাছে। 
৬ষ্ঠ প্লাস এর সাথে সাথে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। 
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৯
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ৯:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার কোনো পোস্ট দেখছি না অনেক দিন হলো। লিখছেন না কেন? না লিখলে তো একদিন লিখবার অভ্যাসটাই হারিয়ে যাবে। লিখুন। লিখুন।
ভালো থাকুন আপু।
১৬|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:৩০
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১:৩০
খাটাস বলেছেন:  পাঠক মন নিয়ে বিচিত্র এ খেলা টা মুগ্ধ করল। ++++ 
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৫
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ খাটাস ভাই। ভালো থাকবেন।
১৭|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ২:৩৬
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ২:৩৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাল লেগেছে...
  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৬
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই। ভালো থাকবেন।
১৮|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:১২
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:১২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: গল্প কনিকা ভাল লেগেছে --- দারুন সব লেখা
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০৯
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
১৯|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:২৫
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:২৫
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: কনটেম্পোরারি বিষয়াবলির চেয়ে মানব-চরিত্রের বিচিত্র বৈশিষ্ট্যগুলোই আমাকে বেশি ভাবিত করে। 
গল্পকনিকাগুলো পড়ে সেটা অক্ষরে অক্ষরে টের পেলাম।
অনেক দেরিতে ভালোলাগা জানালাম। (একদিন ব্লগ থেকে একটু দুরে ছিলাম।   )
) 
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১১
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   ধন্যবাদ মৃদুল শ্রাবণ। আমিও অনেক পরে রি-এ্যাক্ট করলাম  
   
  
ভালো থাকবেন।
২০|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:৫৯
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১১:৫৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: 
অভিনব উপস্থাপনা ও গল্পের কৌশল ভাল লাগল +++ 
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১৫
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। শুভেচ্ছা।
২১|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৫
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ১২:৫৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:   ভাবনাটা দারুন, দুটো পাশাপাশি নারী পুরুষের মধ্যে আবেগ-ঘটনা-ফলাফল এর নানামাত্রিক বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে যে একটা গল্প দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা- এইটা একটা চমৎকার গল্প! 
ভালো লাগা জানবেন! 
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৪৮
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ ইফতি ভাই। ভালো থাকবেন।
২২|  ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৫১
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৫১
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার তো।
৫-১ ৬ আবার 
১-৫ ৬ এইভাবে পড়ে দেখলাম।
চমৎকার লাগল।
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৪৯
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।
২৩|  ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:২২
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪  সকাল ১০:২২
সুমন কর বলেছেন: প্রতিটি আলাদা রকমের ভাল লাগল। সময় নিয়ে পড়লাম। দারুণ আইডিয়া।
  ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৫০
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১১:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। ভালো থাকবেন।
২৪|  ২১ শে আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:২৯
২১ শে আগস্ট, ২০১৪  বিকাল ৩:২৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কিভাবে যে এগুলো লেখেন! অবাক বিস্ময়।
লেখার ক্ষেত্রে অবশ্য আমার এই সমস্যা হয় না, যেভাবে প্ল্যান করি সেভাবেই শেষ করি। এটা আমার একটা সমস্যাও বটে; যেকারনে যে কোন গল্প পুরোপরি মাথায় না সাজিয়ে লিখা শুরু করতে পারি না। আমার প্রতিটা গল্প, একেবারে শুরু থেকে শেষ আগে মাথায় সাজিয়ে নিতে হয়, তারপর লেখায় হাত দিতে পারি।
প্রতিটি গল্পকনিকার শেষ গল্পের প্রধান পুরুষ চরিত্রে উপর ভীষণ রাগ হচ্ছিলো, লেখক হিসাবে খুব স্বার্থক ও সুক্ষ্ণভাবেই এই অনুভূতিটা পাঠকের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পেরেছেন। গ্রেট রাইটিং স্কিল। শেষেরটায় এসে এই রাগ আবার পুরাই ইউটার্ন নিলো, ওয়াও, এগেইম গ্রেটার স্কিল দেন বিফোর। আপনি আসলেই অসাধারন একজন লেখক।
  ২২ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১২:৩৮
২২ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১২:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   এরকম কমেন্ট বাঁধাই করে বুকের উপর সেঁটে রাখতে খুব ইচ্ছে করে।
আপনার মতো ক্লাসিক রাইটারের কাছ থেকে এমন কমেন্ট পাওয়া আমাকে অহংকারী করে তোলে। যদি এমন প্রশংসায় লজ্জা পাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব ভালোই লাগে। প্রশংসায় কেউ কষ্ট পায়, মানুষের মধ্যে এমন বদ্গুণ দেন নি আল্লাহ।
একটা থিমের উপর গল্প লিখতে যেয়ে আমার দুটো উপন্যাস ও একটা ছোটোগল্প হয়ে গেছে, কিন্তু আদিম থিমটাকে এখনও গল্পে ফুটিয়ে তুলতে পারি নি। এভাবে ১২ বছর কেটে গেলো- এখন সেই আদিম থিমটা যে কী ছিল সেটাই ভুলে গেছি 
যখন কোনো প্লটকে সরাসরি গল্পে ঢুকিয়ে দিই, তখন গল্পটা যথাসময়ে পরিকল্পিতভাবেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যে কিছু টুইস্ট তৈরি করতে গিয়েই দেখেছি গল্প নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তখন গল্পের উপরই সব ভার ছেড়ে দিই- যাও বাবা, নিজে নিজেই বড় হও গে 
মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় সাইফুল ভাই। 
২৫|  ২১ শে আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:২২
২১ শে আগস্ট, ২০১৪  সন্ধ্যা  ৭:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন:  বেশ জটিল আর বিচিত্র সব ভাবনা একত্র করেছেন । আমার এটা ভাবতেও ভালো লাগছে, একজন নিতু আর তার সাথে ৬ জন আলাদা পুরুষ কলিগ যারা ৬ ভাবে নিতুকে ট্রিট করছে কিন্তু কেউই প্রকৃত নিতুকে খুঁজে পায়না বা খুঁজছে না । কিংবা নিতুও কাউকে উপলদ্ধি করতে পারছে না ।   
 
নয় নাম্বার প্লাস! 
  ২২ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১২:৪১
২২ শে আগস্ট, ২০১৪  রাত ১২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:  ওয়াও- আপনার বিশ্লেষণে চমৎকার আরেকটা সাইড পাওয়া গেলো। খুব ইন্টারেস্টিং হয় ব্যাপারটা এভাবে ভাবতে পারলে।
অনেক ধন্যবাদ আদনান ভাই সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য।
২৬|  ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪  রাত ২:১৫
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪  রাত ২:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন:   নিতু মণি  দেখছি খুব ভাল  
 
 ৬ টা ছয় রকম , তাই কম্পেয়ার করছি না । 
 ৫ টা ব্যক্তিগতভাবে ভাল লেগেছে বেশি । 
 ভাল থাকবেন প্রিয় ছাই ভাই । 
 আপনার লেখা পড়তে পারা ও আপনাকে নিয়মিত  লেখতে দেখা  
 আমার জন্য খুবই আনন্দের । 
 
  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪  রাত ১০:৫১
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪  রাত ১০:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:   কমেন্টের জবাব খুব দেরিতে দিচ্ছি বলে খুব লজ্জা পাচ্ছি মাহমুদ ভাই।
আপনার পাঠ খুব নিবিড় ও গঠনমূলক। ভালো লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ২:৫৫
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪  দুপুর ২:৫৫
মুদ্দাকির বলেছেন:
সবই আমাদের টুইস্টেড মাইন্ডের কাজ, কখনো এপাশ থেকে কখনো ওপাশ থেকে !!!