নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
একদঙ্গল আড্ডাবাজ যুবকযুবতী প্রেম করছে। ওরা হুটহাট প্রেমে পড়ে, বিয়ে করে; বিয়ে ভেঙে যায়, আবার প্রেম। জীবনচক্রের মতোই ওদের প্রেম আর বিয়ের চক্র নিত্যতাময়।
সুজন আর মালতি আমাদের প্রথম জুটি। শুরুতে ওদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা কিছুই ছিল না। দল বেঁধে ওরা ক্যাম্পাসে আড্ডা দিত। মালতি খুব মুখরা, আড্ডাবাজদের সেলিব্রেটি, ওর কাছে বন্ধু মানে বন্ধু, ছেলেমেয়েতে কোনো ভেদাভেদ নেই। তবে, প্রেমিকাদের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য, যেমন একটুখানি আহ্লাদপনা বা ঢং করা, প্রেমিকের সাথে খুনসুটি করা, ইত্যাদি সে পছন্দ করে না, সে বলে এসব খুব ব্যাকডেটেড কনসেপ্ট। আজকাল সমকামিতার যুগ। কেউ স্বামী বা কেউ স্ত্রী নয়। হ্যাঁ, এ পয়েন্টে তার ভীষণ একটা বক্তব্য রয়েছে। দুটো মেয়ে-মেয়ে বা ছেলে-ছেলেতে বিয়ে হলে ওদের কোনো স্বামী-স্ত্রী স্টেটাস থাকে না। We are spouses. তেমনি ছেলে-মেয়েতে বিয়ে হলে স্বামী-স্ত্রীর মান্ধাতার আমলের সম্পর্ক ধ্বংস করে তাদের স্পাউস ডাকাই উত্তম। মালতির এরকম যুগান্তকারী কিংবা যুগপরিবর্তনকারী অনেক কনসেপ্ট কিছু কিছু ছেলেমেয়ে সানন্দে গ্রহণ করেছে, তবে বেশিরভাগই এটাকে অতিরিক্ত আদিখ্যেতা বলে থাকে। এমন একটা মেয়ে সচরাচর বিতর্কিত চরিত্রেরই হয়ে থাকে, কিন্তু মালতির বেলায় তা হয় নি। সে খুব সুন্দরী ও সপ্রতিভ; বাগ্নিতায় চৌকষ। মালতির ব্যাপারে এ বিরাট ফিরিস্তির মধ্যে যেমন সুজনের উল্লেখ খুব কম হয়েছে, বাস্তবক্ষেত্রে সুজনের উপস্থিতি বন্ধুরা এর চেয়ে কিছুটা বরং কমই অনুভব করতো।
কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই ওদের প্রেম হয়ে গেলো।
ওরা মাঠের মাঝখানে গোল হয়ে বসে দেধারসে আড্ডা দিচ্ছিল। দূরে মাথা নীচু করে ওদের কথা একমনে শুনে যাচ্ছিল সুজন। তবে তার চোখেমুখে বিষণ্ণতার একটা প্রগাঢ় ছাপ ছিল।
‘এই হ্যালো, ব্যাপার কী?’ বলেই জায়গা থেকে ধেয়ে ছুটে গেলো সুজনের কাছে। মাথায় একটা হালকা থাপ্পড় মেরে মালতি গালিগালাজ শুরু করে দিল।
‘তোর সমস্যা কী? কথা বলতে পারিস না? ওরে বান্দর, তুই কি জানিস, আমি তোর প্রেমে পড়ে গেছি?’
সুজন ঘটনার আকস্মিকতায় বিমূঢ়। আমতা আমতা করে সে কিছু বলতে চেয়ে উঠে দাঁড়ালো।
‘তোর বিশ্বাস হয় না?’ মালতি বললো।
বন্ধুরা সবাই অবাক। আদতে কারোই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
‘এই দেখ’- বলেই সে তামাম আড্ডাবাজদের সামনে সুজনক কষে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ এক চুমো খেলো।
জীবনটা উপভোগ করতে শেখো। মনে যা লয় তাই করবে। সময় ও সুযোগ বসে থাকে না। এগুলো মালতির কথা।
ওদের মধ্যেই সত্যিই অনেক অন্তরঙ্গত্ব সৃষ্টি হলো।
‘শোনো, একটা সম্পর্ক এক বছরের বেশি মিষ্ট থাকে না। এক বছরের মাথায় আই উইল জাস্ট ডিভোর্স ইউ।’ ওরা বিয়ে করে নি। মালতির কাছে ‘ডিভোর্স’ কথাটা ‘তালাক’-এর পরিভাষাগত শব্দই নয়, সেপারেশন বা কাউকে ত্যাগ করাও বুঝিয়ে থাকে সে।
কিন্তু এক বছরের মাথায় ওদের সেপারেশন হলো না। মালতি বলে, ‘সুজন, তুই একটা বড্ড সুপুরুষ।’ সুজনের ভালো লাগে।
কিন্তু একদিন ওদের মধ্যে একটা কাণ্ড ঘটে গেলো। মালতি বললো, ‘রাহার কথা মনে পড়ে।’
‘রাহা কে? নাম শুনি নি তো!’ সুজন জিজ্ঞাসু চোখে তাকায়।
‘হি ইজ মাই ফার্স্ট লাভ। আই ডেডিকেটেড মাই ভার্জিনিটি টু হিম।’
‘কখনো বলিস নি কেন?’
‘আই ফরগট এন্ড ফরগিভন দিস পুওর ফেলো।’
‘অবনক্সাস।’
‘নট রিয়েলি।’
সুজন প্রথমে উত্তেজিত হয়েছিল। তারপর শান্ত হতে থাকে। সে গোবেচারা।
কারো অতীত ঘাটতে যাবি না। এমনকি বর্তমানও না। সুখ হলো একটা মুহূর্তের আনন্দ। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করতে চাই। আই উইল নেভার আস্ক ইউ হাউ মেনি গার্লস ইউ পেনিট্রেটেড। লেট ইট বি উইথ ইউ। সেইম ফর মি এ্যাজ ওয়েল। মালতি এ কথা বলতে বলতে সুজনের বুকের উপর নেতিয়ে পড়লো। সে তখন পুরোদস্তুর ইনটক্সিকেটেড।
২
একদিন শেষরাতের দিকে পুরো মহল্লা সচকিত হয়ে গেলো। দক্ষিণ লেনের ৪তলা ফ্ল্যাটের ভাড়াটে দম্পতির ঘরে বিরাট হৈচৈ।
ঘটনা ভয়াবহ। বাড়িওয়ালা মাখন সাহেব স্বামী বেচারার লিঙ্গটি গোড়া থেকে কেটে আলাদা করে ফেলেছেন। সে মুমুর্ষূ অবস্থায় ড্রয়িং রুমের ফ্লোরে কাতরাচ্ছে। এককোণে হাঁটুর উপর মুখ গুঁজে শিমু ফুঁপিয়ে কাঁদছে।
মাস তিনেক হলো ওরা বাসায় উঠেছে। শিমু ভার্সিটিতে পড়ে। সব গল্পের নায়িকারা যেমন অপূর্ব সুন্দরী হয়, শিমু তার চেয়েও একটু বেশি। সকালবেলা ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। ফিরে দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, কিংবা রাতে। এতক্ষণ কিন্তু স্বামী বেচারা ঘরে বসে থাকে না। তার একটা ব্যবসা আছে। সে ফিরে রাত হলে। অবশ্য মাঝে মাঝে খুব ভোরেই ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়ে।
এদিকে ক্যাম্পাসে শিমু জনে জনে প্রেম বিলিয়ে বেড়ায়। ক্লাসমেট, সিনিয়র, জুনিয়র, মোটামুটি সবার সাথেই ফেইসবুক ও বাস্তবে হটলাইন অন থাকে।
বিশালদেহী, কালো ভয়ঙ্কর চেহারার মাখন সাহেব সিরিয়াস ভঙ্গিতে একটা সোফায় বসে আছেন। তার দু পাশে মাখন সাহেবের নিজস্ব লোকজন। রাগে তার চোখ থেকে আগুন বের হচ্ছে। তিনি সবকিছু জেনেশুনে ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন।
এদের সামনে মাথা নীচু করে হাঁটুতে ভর করে বসে আছে চাকা।
চাকা এবং রাকা। এটা ওদের নিকনেইম। রাকা ধীরে ধীরে শিমু হয়ে গেছে, কিন্তু চাকা আসল নামে ফিরে যেতে সময় পায় নি।
চাকার দু হাত বাঁধা। শিমুও মাথা নীচু করে একপাশে দাঁড়িয়ে।
মাখন সাহেব খাস বাংলায় শুরু করলেন।
- ঐ মাগি, আগে তুই আয়। তর ঐ জায়গা ফাইরা নুন মরিচ লাগাই।
শিমু হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।
কৈশোর থেকেই শিমু আর হিমুর মধ্যে প্রেম ছিল। বাবা-মার অমতে ওরা বিয়ে করে। বিয়ের পর কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর বিধবা মা-ই হিমুকে বউসহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সংসার ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু প্রেম খেয়ে তো আর বেঁচে থাকা যায় না, তাই হিমু একদিন চাকরির জন্য দেশ ছাড়লো। বিদেশে যাওয়ার পর ওদের প্রেম আরো গভীর হয়ে উঠলো।
শাশুড়ির সাথে শিমুর সম্পর্ক হয়ে গেলো মা-মেয়ের মতো। তখনও শিমুর জীবনটা ভালোই যাচ্ছিল। পড়া আর ক্যাম্পাস। এর বাইরে শিমুর আর কোনো কাজ নেই। শাশুড়ি সকালে উঠে নাস্তা বানিয়ে দেন, শিমু আলগোছে খেয়ে বেরিয়ে পড়ে। তার ঘরে ফেরার নিয়ম ঐ একটাই- দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, বা রাতে। রাতে ফিরে দেখে শাশুড়ি ভাত সামনে রেখে তার জন্য বসে আছেন।
পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণ কাহিনি বুঝে গেছেন, তাই না? তবুও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। ভাবছেন, এতো ডিটেইলস যেহেতু লিখছি, নিশ্চয়ই এটা একটা সত্য কাহিনি বই কিছু না। জি। আমি একটা সত্য কাহিনিই লিখতে যাচ্ছি। বিশ্বাস করা বা না করা পাঠকের দায়িত্ব।
গণ্ডগোলের সূত্রপাত হলো সেদিন, যেদিন শিমুর শাশুড়ি ৩দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলো।
না, শাশুড়ি এ ব্যাপারটা জানতেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কিছুদিন পর বাড়ির দারোয়ান একদিন শাশুড়িকে একটা গোপন খবর দিল। তিনি যখন হাসপাতালে ছিলেন, তখন একটা ছেলে রাতে তার বাসায় এসে থাকতো। ছেলেটা কে?
শাশুড়ির মাথায় চক্কর খায়। বউকে জিজ্ঞাসা করবেন কী করবেন না ভেবেও একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম, তখন তোমার সাথে বাসায় কে ছিল?
খুব সাধারণ ভাবে একটা উত্তর এলো শিমুর কাছ থেকে।
- আমার ভাই।
-কেমন ভাই?
-মামাতো ভাই।
-তোমার তো কোনো মামা খালা কিছুই নাই।
-চাচাতো মামার ছেলে।
-আগে তো কোনোদিনি বলো নাই?
শিমু রেগে গেলো। এতোকিছু জিগান ক্যান? আমার ভয় লাগছিল, তাই আমার ভাইরে ডেকে আনছিলাম।
-আমারে বলতা, বিলাকে আসতে বলতাম।
শিমু আরো ক্ষেপে গিয়ে কেঁদেকেটে অস্থির। তারপর হিমুর কাছে শাশুড়ির বিরুদ্ধে নালিশ করে দিল।
হিমুর ছিল শিমুর উপর অগাধ বিশ্বাস। হিমু মাকে মৃদু ভর্তসনাসহ উপদেশই দিল- তুমি চিন্তা কইরো না মা। শিমু খুব ভালো মেয়ে।
কিন্তু ভালো মেয়েটার চোখে শাশুড়ি ক্রমশই বিষ হয়ে উঠলেন। পদে পদে শাশুড়ির সাথে ঝগড়া। একদিন সকালে শিমু নিজের বাসন-কোসন-বসন-ভূষণ নিয়ে শাশুড়ির ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। শাশুড়ি তো বউয়ের জন্য অস্থির। কিন্তু ছেলে সময়মতো মাকে জানিয়ে দিল- শিমু ভালো আছে। ওর কোনো খোঁজখবর করার দরকার নাই।
মাখন সাহেব কুঁদে উঠলেন।
- মাগি, তর ভাতার বিদেশে গেছে দুই বছর। দুই বছরে মোট কয়বার অ্যাবরশন করাইছস আমারে হেইডা একবার ক।
- চাচাজান, আর না। এই একবার মাত্র। শিমু কাঁদতে কাঁদতে বলে।
- আবার কতা কয় মাগি। ঐ, ওরে চিত কইরা শোয়া তো দেহি, একটানে ফাইড়া ফালাই। এতক্ষণ লজ্জার ভয় ছিল, কিন্তু শিমু এখন জীবনের ভয়ে কাতর হতে থাকে।
একটু চুপ থাকার পর মাখন সাহেব চাকার দিকে তাকান।
- আরে বান্দর, চেহারাডা তো নায়কের লাহান। এতো মাগনা খাইবার সাধ লয় ক্যান? একটা বিয়া কইরা নিবার পারস নাই।
চাকা একটু মাথা উঁচু করে কাঁচুমাচু করে ফস করে বলেই ফেললো-
- আমি তো শিমুরেই বিয়া করতে চাই।
মাখন সাহেব গর্জে উঠলেন।
- ওরে, এই বাইঞ্চোতের বাচ্চা বাইঞ্চোত কয় কী রে? আমারে ধর। আমারে ধর তরা। এই হালারে আইজকা আমি মুসলমানি করাইয়া দিমু রে...
পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা চাকু বের করলেন; সাঙ্গপাঙ্গদের ইশারা দিতেই তারা দুদিকে থেকে চাকার ট্রাউজারটা খুলে ফেললো, আর মাখন সাহবে কাঁচি দিয়ে গোড়া থেকে কচু কাটার মতো বাম হাত দিয়ে মাখনের লিঙ্গটি টেনে ধরে এক পোচে চাকু দিয়ে গোড়া থেকে আলাদা করে ফেললেন। চাকার জীবনে ততক্ষণে রোজকিয়ামত শুরু হয়ে গেছে; আর শিমু ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো।
এই সরল গল্পটা যাদের কাছে জটিল মনে হলো, তাদের জন্য একটু সারাংশ বলে দেয়া ভালো মনে করছি।
হিমু আর শিমু হলো জামাই বউ। ওরা প্রেম করে বিয়ে করেছিল। হিমু বিদেশে চলে যাওয়ার পর শিমু বিভিন্ন নাঙ্গের সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে থাকে। ওর শাশুড়ি যখন হাসপাতালে তখন চাকা পর পর ৩ রাত শিমুর সাথে রাত কাটায়। এ তথ্য ফাঁস হবার পর বাকি কাহিনির জন্ম হয়। শিমু একটা ইস্যু তৈরি করে শাশুড়ির সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যায় এবং চাকাকে ‘স্বামী’ সাজিয়ে অচেনা এক জায়গায় ঘর ভাড়া করে।
শিমুর আসল স্বামী হিমুর কথা ভাবছেন? হ্যাঁ, ও একটা আস্ত গোবট, সরস বাংলায় যাকে আবাল বলা যায়। আবালরা এসব মেয়েকে অন্ধের মতোই বিশ্বাস করে থাকে।
এরপর চাকা আর রাকার জীবনে কী ঘটেছিল তা জিজ্ঞাসা করে লজ্জা দিবেন না। ওটা ছোটোগল্পের ‘শেষ হইয়াও হলো না শেষ’ হয়েই থাক।
৩
নোভা আর হিরনের ২ বছরের নির্দোষ প্রেম বিয়েতে গড়িয়েছিল। বিয়ের পর কয়েক মাস ওদের প্রেম খুব উদ্দাম ছিল। এরপর ভাটা পড়ে; তারপর মরানদীর মতো ওদের প্রেম মরে গেলো। প্রেম মরে গেলে স্ত্রী পানসে হয়ে যায়।
কখনো কখনো প্রেমের উদ্দামতা অর্থক্ষমতার সমানুপাতিক হয়ে থাকে; হয়তোবা এটা একটা চিরন্তন সত্যও হয়ে থাকবে। হিরনের জীবনে স্ত্রী একসময় খুব বোঝা হয়ে উঠলো, যখন সে একেবারে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়লো।
- চলো, আমরা ডিভোর্স নিয়ে ফেলি। তোমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করবে কেন?
আশ্চর্য, সত্যিই ওরা পরস্পরের কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে নিল।
নোভার জীবনে সুখ নেমে এলো, দু বছর পর পরিবারের দেয়া সেটল্ড ম্যারেজের মাধ্যমে। আহা, এতো সুখ ওর কপালে ছিল, তা কি সে নিজেই জানতো?
নোভা একদিন স্বামীর সাথে ঘুরতে বেরোলো। ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলো হিরনের বাড়ি।
আমাদের চোখের সামনে, কিংবা বাস্তব জীবনে কত নাটকীয়তা ঘটতে দেখি প্রতিদিন তার কোনো শেষ নেই।
হিরনের অবস্থা সামান্য ভালো। একটা শনের ঘর। একটা বউ। একটা চিকন, শুকনো শরীর, আর আছে মহাজনের একটা রিকশা।
নোভা নিশ্চয়ই এতোখানি ভাবে নি। কিন্তু জীবন এমনই। নোভার মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো।
চলবে...
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ থিওরি। ভাষার ব্যাপারটাতে আমি অবগত আছি।
ভালো থাকবেন।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: তৃতীয় গল্পের প্লটটা ক্লাসিক, তার চেয়েও চমৎকার এন্ডিং
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজী ভাই। শুভেচ্ছা।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
ফয়সাল হোসেন শুভ বলেছেন: বাস্তবতা অনেক সময় আমাদের অনেক নিচুস্তরের অভিজ্ঞতা দেয়
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ শুভ ভাই।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রেম তো কোথাও টিকলো না। একে কী বলবো, প্রেমের গল্পানুক্রমিক ইতি? তবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য কী আশা রাখলেন!
প্রেমকে সার্থক করতে গেলেই ওটা একসময় বেলুনের মতো চুপসে যায়। যা উচিত ছিল, তা হলো বিয়ে না করে প্রেমকে অ্যাবস্ট্রাক্ট করে রাখা
প্লাতোনিক পিরিতি... শরৎচন্দ্রের গল্পের অধিকাংশ প্রেমই অক্ষত থেকেছে।
যা হোক, আমার কাছে বরং নোভা-হিরনের প্রেমটুকু সার্থক মনে হয়েছে। শেষ পর্যন্তও কিছু পরিমাণ পাওয়া গেছে, কারণ ওরা মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছিল।
আমি কিন্তু আপনার লেখার মূল্যায়ন করি নি - প্রেমের মূল্যায়ন করেছি। চলতে থাকুক
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহহাহা। আপনার কমেন্ট মানেই বিশেষ কিছু।
সুজন মালতির প্রেম তো টিকে গেছে!
হিমু-শিমুর প্রেম যে নাই, ব্যাপার কিন্তু তা না। তবে এ ধরনের প্রেমের একটা নাম দেয়া যেতে পারে। শিমু তো সারাজীবন খালি প্রেম করবে বলেই জন্ম নিয়েছে নোভা আর হিরনের ব্যাপারে যা বলেছেন তা সঠিক।
সবার জীবনেই প্রেম আছে, তবে পরিস্থিতি ভেদে প্রেমের হালচাল কী রকম, এ গল্পে তা দেখা যাবে।
ধন্যবাদ মইনুল ভাই বিশদ কমেন্টের জন্য।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
আরইউ বলেছেন: এই কিসিমের সাহসী লেখা ব্লগে বর্তমানে দেখা যায়না বলেই বলা যায়। উইল হ্যাভ টু ফলো দা নেক্সট পার্টস।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পরের পর্ব যথাসময়ে আসবে। অনেক ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
আবু শাকিল বলেছেন: চলুক ভাই ।
আপনার লেখায় আলাদা কিছু পাই ।পড়তে ভাল লাগে ।
সাথেই আছি ।
ফেসবুকে পড়েছি ,এখানে মন্তব্য এবং লাইক দিলাম।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ভালো লাগলো প্রিয় আবু শাকিল ভাই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:০০
জেন রসি বলেছেন: তিনটা গল্পেই একটা ব্যাপার কমন।মানুষ নিজের মানসিক, দৈহিক কিংবা অর্থনৈতিক চাহিদার কাছে নিজেই নতজানু হয়ে যায়।অর্থাৎ জাগতিক চাহিদার প্রয়োজনে একসময়ের বিমূর্ত প্রেম মূর্ত মানুষ ধরে রাখতে পারেনা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি ঠিকই বিশ্লেষণ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮
সুমন কর বলেছেন: অনেক ভালো হয়েছে। ভালো লাগা রেখে গেলাম, প্রিয় লেখক।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০২
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আমি বলব অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ গুলোর একটা আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে লেখায়। তিক্ত বাস্তবতার গল্প কখনো মাধুর্য দিয়ে লেখা যায়না, ঐটা তিক্তই হয়। অনেক অনেক ভালো লাগা থাকল
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাষার ব্যাপারটা আমার মাথায় ছিল শুরুতেই। কিন্তু এ ভাষাটাই এ এক্সপ্রেশনের জন্য সঠিক মনে হয়েছে আমার, তাই এটাই বেছে নিয়েছি। আপনার সাপোর্ট আমাকে উৎসাহিত করলো। অনেক ধন্যবাদ শূণ্য মাত্রিক।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
থার্ড পার্সন প্লুরাল বলেছেন: প্রথমটাতে যা বোঝা গেল তা হল জীবনটাকে উপভোগ করা।
দ্বিতীয়টা বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে ভালভাবেই তুলে ধরেছেন। আসলেই তারা এত বিশ্বাস করে ফেলে যে আবাল বলাটাই বাহুল্য।
তৃতীয়টা ভালই তবে মনের মধ্যে একধরনের অনুশোচনা রয়ে যায়।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ৩টা গল্পের উপর আপনার ৩টা কমেন্টই আমার ভালো লাগলো। ধন্যবাদ থার্ড পার্সন প্লুরাল।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এ যে আবাল বললেন লোকটাকে এই আবালটাই জীবনসঙ্গী হিসেবে এক নম্বর হতে পারতো । আজকে বিশ্বাস শব্দটি হুমকির মুখে শিমুদের জন্য ।প্রথম গল্পটি থিমটা খারাপ না । সংসার ধর্ম ঠিক রাখতে গেলে অতীত ঘাটাঘাটি সুখকর হওয়ার কথা নয় । ৩ নম্বরটি ব্যতিক্রমী প্রেম । ভালবাসার মানুষকে ধরে রাখতে হয় । দূরে ঠেলে দেয়া অনুচিত ।মেয়ের দুঃখবোধ প্রেমের বহিপ্রকাশ হতে পারে তবে আমি বলবো করুণা ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
মমতাজের গানটার কথাই ধরুন- বন্ধু যখন বউ লইয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়ে হাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়। গানের ভিতর হাসির রস ফুটে উঠলেও জীবনে কিন্তু এটা একটা বড় ট্রাজেডি। একটা মেয়ে, যে তার প্রেমিককে পেলো না, হয়তো মেয়েটি সুন্দরী নয়, শিক্ষিত নয়, এমনকি ছেলের বাবার চাহিদামতো মেয়ের বাবা যৌতুকও দিতে পারে নি, সেই মেয়ের অন্তরে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হবেই। তার প্রেমিককে দেখলে তার বুক ভরে দীর্ঘশ্বাস বেরোবে, চিরটাকাল।
কিন্তু আমার গল্পটিতে চিত্রটা ভিন্ন। ওরা একদিন স্বামীস্ত্রী ছিল। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে ওরা একমত হয়েই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে ফেলে। এরপর ঘটনা অনেকভাবেই মোড় নিতে পারতো। সবচেয়ে সিনেমাটিক হতো- ছেলেটা ধুমধাম করে বড়লোক হয়ে গেলো, মেয়েটা গরীব ছিল গরীবই রয়ে গেলো। আমাদের গল্পসিনেমায় আমরা এরূপ দৃশ্য দেখেই অভ্যস্ত। কিন্তু বাস্তবে তো তার উলটোটাও ঘটছে। তারই একটা উদাহরণ হলো ৩ নম্বর সিকোয়েলটা। এটাকে ভালোবাসা, করুণা, প্রেম, যে-কোনো নামেই ডাকা যায়, তবে আমি মনে করি- হিরনের প্রতি নোভার যে মায়ার টান ছিল, হিরনের এ করুণ অবস্থা দেখে সে তা সহ্য করতে পারছিল না। আসলে, করুণাও কখনো কখনো প্রেম বা ভালোবাসার অংশও হতে পারে।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল তবে গল্পটা শিমুর চোখ দিয়েও দেখা যেত।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ গল্পটার উপর অনেকেরই মতামত দেখছি, উপরে এবং নীচে। হ্যাঁ, শিমুর চোখ দিয়েও দেখা যেতো। কিন্তু শিমুর পূর্বাপর আরো কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। শিমুর উচ্ছৃঙ্খলতাই আমি তুলে ধরতে চেয়েছি। এর একটা পরিণাম অবশ্যই থাকবে- তা শিমুর উপর, বা চাকার উপর, কিংবা উভয়ের উপরই। ফিজিক্যাল পানিশমেন্ট চাকা পেয়ে গেলো, কিন্তু এ কাহিনি চাওর হলো, এর ফলে হিমুর কাছে এটা প্রকাশ পাবে, ওর শাশুড়ির কাছেও গোপন থাকবে না। ওর পরিণতি কী হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তাও কিন্তু অধিক অন্তর্দাহের সৃষ্টি করবে।
ধন্যবাদ অগ্নি সারথি।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্প খারাপ লেগেছে বলবো না! তবে একটা গল্পের সাথে আর একটা গল্পের অনেকটাই মিল খুঁজে পেলাম! এবং জেন ভাইয়ের মন্তব্য ধরেই বলতে হয় যে তিনটা গল্পের বিষয়বস্তু বেশ কমন ও প্রায় একই ধাঁচের!
গল্পটা গতকাল রাতেই পড়েছিলাম। বেশ ভাল লেগেছে! শুভ কামনা জানবেন!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাহসী সন্তান। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দ্বিতীয় গল্পে লিখক শিমু'র একাকীত্ব , চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে তার প্রতি আরেকটু সদয় হতে পারতেন ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা। আমি তার উপর বরাবরই সদয়, কিন্তু বাড়িওয়ালার কথাটাও একবার ভাবুন।
আর শিমু কিন্তু একা ছিল না। তার প্রেমও যে নিখাদ তাও বলা যাবে না। সে শাশুড়ির সংসারে ছিল, তখনও তার পরকীয়া চলছিল। বিপত্তি ঘটলো যখন এটা জানাজানি হয়ে গেলো। গল্পে বোঝা যায় শিমুর উপর তার স্বামীর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা ছিল। শিমু এ বিশ্বাসের দাম রাখে নি। আমাদের দরিদ্র ঘরের ছেলেরা জীবিকা নির্বাহের জন্য মাসের পর মাস বিদেশে অবস্থান করছে। শিমুর স্বামী দূরে থাকায় শিমু যেমন একা, তেমনি শিমুকে দূরে রেখে তার স্বামীও কিন্তু একা। স্বামী বেচারাও কিন্তু জীবনকে স্যাক্রিফাইস করছে তার সংসারের জন্যই; সে কারণে শিমুর কাছ থেকেও সেই ত্যাগ প্রত্যাশিত।
প্রেমের হালচাল কত ধরনেরই তো হতে পারে, তাই না? অপেক্ষা করুন, সামনে দেখা যাক এরকম কোনো প্রেম আসে কিনা
ধন্যবাদ গিয়াসলিটন ভাই।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মালতী চরিত্রটার প্রেমে পড়ে গেলাম রীতিমত| আজকালকার প্রেম! বোঝেনই তো!
আর শিমুর ব্যাপারটা ওর দিক থেকেও দেখা যেত| ফ্রয়েড বাবাজি এখানে মাথার উপর চরকি ঘোরাচ্ছেন|
আমি বেশ মজা পেয়েছি পড়ে
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলেন কী? মালতির জন্য তো দেখি আপনি আমার প্রতিপক্ষ হয়ে গেলেন
শিমুর ব্যাপারটা নিয়ে উপরে লিখেছি।
পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুশি লাগছে। আমিও লিখে মজা পাচ্ছি
ধন্যবাদ আরণ্যক।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়ে বেশ ভাল লাগল, একটু কঠিন যদিও।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পগুলো যে খুব বিস্তৃত করে লেখা হয়েছে তা না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধু হিন্টস দেয়া হয়েছে। এজন্য কিছু কিছু জায়গায় গল্প ধরতে সামান্য সময় লাগতে পারে।
কথাটা মাথায় থাকলো। এডিটের সময় আরেকটু খোলশা করার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রেমে কামে লন্ড ভন্ড লালন গুরুর গানে এমন একটা কথা আছে..
বাস্তব জীবনেও আমরা সেই লন্ডভন্ডের মাঝেই ফেসে থাকি। গল্পের মাঝে যা ফুটে উঠেছে।
লাভ এন্ড সেক্স কে পৃথক করে ভাবতে শিখলে অনেক ঝামেলা এড়ানো যায়- আবার অনেকে ঐটার সুবিধাটুকুও নেয়- লাভের আড়াল নিয়ে সেক্সকে উপভোগ করে!
আগামী পর্বের অপেক্ষায়................
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন বিদ্রোহী ভৃগু। গানটা খুঁজে পেলাম না।
ধন্যবাদ ভাই।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খণ্ড খণ্ড গল্পের শুরু ভাল লেগেছে । চলুক ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কথাকথি কেথিকথন। শুভেচ্ছা।
২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রেমে কামে লন্ড ভন্ড লালন গুরুর গানে এমন একটা কথা আছে..
বাস্তব জীবনেও আমরা সেই লন্ডভন্ডের মাঝেই ফেসে থাকি। গল্পের মাঝে যা ফুটে উঠেছে।
সহমত
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। শুভেচ্ছা।
২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সোনাবীজ এমনও লিখতে পারে জানতাম না। শেষে জানাবো পাঠক প্রতিক্রিয়া।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চিন্তায় ফেলে দিলেন যে মশায়! যাই হোক, প্রতিক্রিয়া জানার আশায় থাকলাম। শুভেচ্ছা।
২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৮
দস্যু বনহুর বাই রোমেনা আফাজ বলেছেন: mm
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘হুম’ বলতে চেয়েছিলেন নাকি?
২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২
দস্যু বনহুর বাই রোমেনা আফাজ বলেছেন: shothik, shona vai
১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওকে দস্যু বনহুর ভাই।
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্পের বাইরে একটু বাস্তবতায় আসি ,
আমার এক তালতো ভাই , বৈবাহিক জীবনের ২০ বছরের মাথায় এই প্রবাসী ,প্রবাসে রোড এক্সিডেন্টে মারা যান ।
উনার স্ত্রীর বিলাপের একটা অংশ আমার মনে দাগ কাটে ।
উনি বলছিলেন , ''দুই বছর পর পর ৪৫ দিনের ছুটিতে আসতো , ঠিক মত দেড় বছরওতো ঘর সংসার করিনাই ।''
আমার পাশের গ্রামের এক মেয়ে । স্বামী নানা দেশে ঘুরে ভিয়েনা গিয়ে থিতু হয়েছে । কাগজ পত্র না পাওয়ায় দেশে আসতে পারছেনা । মেয়েটির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে ১১ টি বছর । অবশেষে মেয়েটি একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়েছে ।
শালিশে মেয়েদের পরিবার থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করার পাঁয়তারা হচ্ছিল । আমি জোরালো ভাবে মেয়েটিকে সাপোর্ট
করেছি । (আমার যুক্তি ছিল, মূলত এই যুক্তি গুলোই লিখতে ছেয়েছিলাম , দেখছি
''বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হয়ে যাচ্ছে'' ) । অবশেষে ক্ষতিপূরণতো নয়ই , উলটো মোহরানার কিছু অংশ দিতে ছেলে পক্ষ বাধ্য হয় ।
২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: তিনটা গল্পেই
একটা ব্যাপার কমন।মানুষ নিজের মানসিক,
দৈহিক কিংবা অর্থনৈতিক চাহিদার কাছে
নিজেই নতজানু হয়ে যায়।অর্থাৎ
জাগতিক চাহিদার প্রয়োজনে
একসময়ের বিমূর্ত প্রেম মূর্ত মানুষ ধরে রাখতে
পারেনা।
সহমত
ভিন্ন ধাচের গল্প।খুব ভালো লাগল প্রিয় লেখক
২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: তিনটা গল্পেই
একটা ব্যাপার কমন।মানুষ নিজের মানসিক,
দৈহিক কিংবা অর্থনৈতিক চাহিদার কাছে
নিজেই নতজানু হয়ে যায়।অর্থাৎ
জাগতিক চাহিদার প্রয়োজনে
একসময়ের বিমূর্ত প্রেম মূর্ত মানুষ ধরে রাখতে
পারেনা।
সহমত
ভিন্ন ধাচের গল্প।খুব ভালো লাগল প্রিয় লেখক
২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: চলুক..........
২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রেমের রঙ অফুরান, ঢঙ্গ অগণিত, রূপ অসীম। সেখান হতে তিনটি চিত্রায়ন করলেন, আরও বেশ কিছুর অপেক্ষায় থাকব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
থিওরি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার ব্লগ সামনে পেলাম। গল্পটি ভালই লাগল, যদিও ভাষাট .....।
ধন্যবাদ এবং পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।