নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
প্রতিটা মৃত্যু আমাদের চোখ আর্দ্র করে
হৃৎপিণ্ড ফালি ফালি করে
হোক সে আপন অথবা পর, প্রতিটা মৃত্যুসংবাদ
আমাদের বুকের ভেতর ছুরির ফলার মতো গেঁথে যায়।
মৃতব্যক্তি জানিয়ে যান- আমিও
তোমাদের রক্তের অংশ ছিলাম।
আমি অনেক ভেবেছি, হয়ত আপনিও ভেবে ভেবে
কোনো কূলকিনারা পান নি- মৃত্যু এত বেদনাময় কেন!
অর্থাৎ, কারো মৃত্যুতে আমরা কীজন্য কাঁদি!
ব্যাপারটা হয়ত-বা এরকম-
যিনি চলে যান, যিনি চলে গেলেন, পৃথিবীতে আর
কোনোদিন তাঁর মুখ দেখা হবে না,
তাঁর হাসি আর ভাসবে না সকালের রোদে,
চাঁদের জোছনায়; তাঁর সুমিষ্ট ভাষ্যে কারো
হৃদয় বিগলিত হবে না।
যখন এরোপ্লেন বা টেলিফোন ছিল না,
হয়ত যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে প্রবাসী ছিল
মায়ের কোলছেঁড়া সন্তান, সর্ববিষণ্ণা জননী
সন্তানবিহনে সতত চোখ ক্ষয় করেন,
তবু তাঁর সান্ত্বনা - সর্বাঙ্গ আনন্দে
ঝলসে দিয়ে কোনো একদিন আদরের সন্তানেরা
খলবল করে নেচে উঠবে।
- মা একদা চিঠি পান, মাসাধিককাল আগেই
বুকের ধন স্রষ্টার সমীপে সমর্পিত হয়েছে।
তাঁর আহাজারিতে পৃথিবীর বুক আকুল হয়, হায়,
আত্মার অংশেরা আর কোনোদিন
আত্মার স্পর্শে ফিরবে না।
আমরা হাসি। আড়ালে দুঃখ কাঁদে।
অন্তরের খবর কতটুকু জানি?
আমরা হাসতে হাসতে ছুটে চলি
পরম গন্তব্যের দিকে- সে খবর রাখি না।
প্রতিটা মৃত্যু আমাদের জানিয়ে দেয় চিরায়ত
অমোঘ সত্য- জন্মের মতোই এ এক
অলঙ্ঘ্য নিয়তি- প্রতিটা বস্তু, জড় বা জীবন্ত প্রাণী,
সৃষ্টির পর হতেই প্রতিনিয়ত ধাবিত হতে থাকে অনিবার্য
বিনাশের দিকে। মৃত্যুহীন বা অবিনশ্বর কিছুই
সৃষ্টি করেন নি তিনি।
সারা বিশ্ব জয় করে মহামতি আলেকজান্ডার
শূন্যহাত দেখিয়ে মাটির গর্ভে নিমজ্জিত হলেন।
শীর্ষ ঐশ্বর্যশালী স্টিফ জবসও পাহাড়প্রমাণ সম্পদের চূড়া হতে
গড়িয়ে গড়িয়ে ভূপাতিত হলেন; তাঁর স্থাবর-অস্থাবর
সমুদয় বৈভব ভেসে যাচ্ছে সাগরের স্রোতে।
মৃত্যুর জন্য আমাদের প্রস্তুতির প্রয়োজন। পার্থিব সঞ্চয়
সঙ্গে যাবে না। এগুলো অপরে খাবে।
ইঁদুরে কাটবে। আগুনে পুড়বে।
কিছু কিছু সম্পদ হয়ত অভিশাপ দেবে।
বয়োক্লিষ্ট সোনাভান আলয় অভিমুখে অস্থির হাঁটছেন,
কুঞ্চিত চোখে পড়ন্ত সূর্যের দিকে তাকান। অল্প কিছু আলোর
পরই ছায়াহীন সন্ধ্যা, তারপর নিকষ রাত্রি। দীপহীন
ঘোর অন্ধকারে কে তাঁকে দেখাবে পথ!
চিন্তাগ্রস্ত সোনাভান অস্থির। অস্থির পায়ে আলয় অভিমুখে
ছুটছেন। তাঁর অন্তর জুড়ে বিগত দিনের শোচনা।
তাঁর কোনো সঞ্চয় নেই।
২৪ নভেম্বর ২০১৭
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর জিনিস লেখায় তুলে এনেছেন। অলঙ্ঘনীয় সেই সত্যকে আমরা ভুলে থাকলেও তা কোনদিনই মিথ্যে হবার নয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যুর কথা আমাদের কদাচিৎ মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২
ওমেরা বলেছেন: খুব বাস্তব একটা কবিতা পড়লাম । আসলে আমি খুব চিন্তা আমাদের জীবনে সব চেয়ে বড় সত্য মৃত্যু তারপরও আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই, আপনজনের মৃত্যুতে কষ্ট পাই কেন!! আসলে আমাদের ঈমান দূর্বলতার কারনে এরকম হয় ।
ঘুব ভাল লাগল কবিতা চিন্তার খোরাক আসছে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন: মৃত্যৃকে সবসময় স্মরণ করলে মনে হয় আমাদের কেউ আর অনাচার করতে পারত না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে একমত। মৃত্যুর কথা আমাদের কদাচিৎ মনে পড়ে। মৃত্যুভয় আমাদের অনেক পাপকাজ ও অন্যায় অবিচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।
ধন্যবাদ।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: বেশ ক'দিন অরেই এলেন ভাইয়া।
আশা করি সুস্থ আছেন।
কবিতাটি বাস্তব। কেউ এর বাইরে নয়।
মৃত্যু এত চিরন্তন অথচ কষ্টকর।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবারও বেশ কিছুদিন পরই এলাম। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। ভালো থাকবেন।
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কঠিন বিষয় কবিতা।
অথচ কত সুন্দর লিখে ফেলেন।
A+
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৩
এফ.কে আশিক বলেছেন: ভালো লাগলো।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় আপনি এই কবিতাটা ফুটিয়ে তুলতে সার্থক হয়েছে।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মৃত্যুতে জীবনের পূর্ণতা আসে!!
মৃত্যু আলো আর আঁধারের মতো সত্য!! তারার মতো জ্বলজ্বলে!! এক এড়ানো সম্ভব নয়!!
মৃত্যু নিয়ে এমিলি ডিকিনশনের একটা কবিতা পড়ে ছিলাম, “বিকজ আই কুড নট স্টপ ফর ডেথ” !!
ডিকিনশনের মতো করেই বলছি যেহেতু মৃত্যুকে থামানোই যাবে তবে চলুন আমরাই বরং এগিয়ে যাই মৃত্যুর দিকে!!
কবিতায় ++
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩
করুণাধারা বলেছেন: কবিতা অসম্ভব ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা। শুভেচ্ছা।
১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ+
১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
সকাল রয় বলেছেন: দারুন একটা কবিতা পড়লাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল রয়।
১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৯
সামাহবুব সাফকথা NEWS বলেছেন: চমৎকার
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাফকথা।
১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মৃত্যু... এক অমোঘ নিয়তি!!! না চাইলেও মেনে নিতে হয়।
আপনার কবিতার ভাষায়-
প্রতিটা মৃত্যু আমাদের চোখ আর্দ্র করে
হৃৎপিণ্ড ফালি ফালি করে
হোক সে আপন অথবা পর, প্রতিটা মৃত্যুসংবাদ
আমাদের বুকের ভেতর ছুরির ফলার মতো গেঁথে যায়।
মৃতব্যক্তি জানিয়ে যান- আমিও
তোমাদের রক্তের অংশ ছিলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা মানুষ বলতে চায়। শুভেচ্ছা।
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: ভীষন দুঃখী কবিতা ছাই ভাই । মৃত্যুকে অনেক আপন করে দেখিয়েছেন । কষ্টকর ভালোলাগা।
+
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে
কান্দে হাছন রাজার মন মুনিয়ায় রে
মাত্র তার কয়েকদিন আগে একটা চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানে গান গাইছিলেন তিনি। আমি আর আমার স্ত্রী একত্রে টিভিতে সেই অনুষ্ঠান দেখছিলাম। সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে টিভি অন করতেই স্ক্রলে ভেসে উঠলো- বারী সিদ্দিকী আর নেই। বুকের ভেতর একটা ধাক্কা লাগলো। এঁরা আমাদের রক্তসম্পর্কের কেউ নন। কিন্তু তাঁদের মৃত্যুর কথা শুনে বুক গুমরে ওঠে। হুহু করে। আমার লেখাটার ভেতরে বারী সিদ্দিকী ঘুমিয়ে আছেন।
কষ্টকর ভালো লাগা।
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই সত্য, এই বাস্তবতা মনে রাখলে পুজির খুব ক্ষতি হয়,
ভোগির ভোগে সমস্যা হয়
লোভির লালসার জোয়ারে ভাটা পড়ে - -
তাই ভুলিয়ে রাখতে ক্ষণস্থায়ী জীবনের
কত বর্ণিল উপস্থাপনা
খাও দাও ফুর্তি কর চেতনা
ভোগ আর ভোগ
বিক্রি আর বিক্রি পুজির রমরমা
তাই মৃত্যুকে পাশে লুকিয়ে রাখা হয়
অগোচরে হানা দেয়ার আগে
আমরা ফানুশে ডুবে থাকি
##
কবিতায় ভালোলাগা ++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার উপর দারুণ কবিতা। অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১
ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।