নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
অনেকদিন গা-ঢাকা দেয়ার পর একটা ঝাড়া দিয়া শরীর থেকে খোলসটা ফেলে দিল জামালুদ্দিন লাগাম। আগের আমলে যে কবীরা গুনাহ করেছিল, বাঁচা থাকতে সেইগুলো কেউ তাকে মাফ করবে না।
সেই জন্মের পাপকার্যের ফিরিস্তি করতে গেলে কয়েকজন দক্ষ দলিল লেখকের কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে। শুধু এক-কথায় বলা যায়- সে ছিল সরকারী দলের এক দুর্ধ্বর্ষ খুনি, ধর্ষক ও স্বার্থলোভী ছাত্রনেতা। কতজনকে সে বুড়িগঙ্গার জলে ফেলে দিয়েছিল, ক’টা মেয়ের ভার্জিনিটি নষ্ট করেছিল, এ হিসাব তার নিজের কাছেও নাই।
সরকারের বদল হয়েছে। কিন্তু নিহত ও ধর্ষিতাদের স্বজনেরা কি বুকের ক্ষত ভুলতে পেরেছে? তাদের বুকে প্রতিশোধের আগুন লেলিহান হিংস্রতায় জ্বলছে।
জামালুদ্দিন লাগাম জানে, তার প্রাণ এখন ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতাদের হাতে। তাকে বাঁচতে হবে। আর ঐ যে, ক্ষমতার একটা দুর্দান্ত সুখ আছে না- হ্যাঁ, সেই সুখটাও তার চাই।
জামালুদ্দিন লাগামের কুটিল মনে বুদ্ধির অন্ত নাই- শয়তানরা বিপদে পড়লে তার কাছ থেকে বুদ্ধি ধার নেয়। সে এবার সাহায্য নিল ডিজিটাল মিডিয়ার।
২৬ মার্চের রাত ১২০১ মিনিটে সে ফেইসবুকে এক জ্বালাময়ী স্টেটাস লিখলো। মুহূর্তে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের সুনামি বয়ে গেলো তার স্টেটাসের উপর।
কী লিখেছিল স্টেটাসে? এটাও এক-কথায়ই বলি- নাহ্ থাক, আপনারাই আন্দাজ করুন, আর এই ভোল-পাল্টানো, সুবিধালোভী ধূর্ত শেয়ালদের চিনে রাখুন, যারা সব সরকারের আমলেই ‘সরকারি দল’ করে আর দেশ ও জনগণের হুগা মাইরা জান তেজপাতা কইরা ছাড়ে।
২৭ মার্চ ২০১৯
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২
নিভৃতা বলেছেন: কীভাবে চেনা যাবে? এইসব গিরগিটিতে দেশ যে ভরে গেছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা ঠিক যে, এসব গিরগিটিতে দেশ ছেয়ে যাওয়ায় কে আসল কে নকল সেই পার্থক্য করাটাই এখন মুশকিল হয়ে গেছে।
শুভেচ্ছা নিভৃতা।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
তবে আরেকটু লম্বা করা যেত।
পুরোনো ছেচ্চোরগুলো প্রায় সবাই টাকা দিয়ে সদস্যপদ আধানেতা পদ কিনে নিয়েছে।
এই সকল পদ, পদের মাথাগুলো সহ বাতিল বা ৫ বছর স্থগিত রাখা দরকার। এখুনি দরকার।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটার উৎস ফেইসবুকে। জনৈক বাঙালির হঠাৎ ভোল পালটানো দেখে যেমন অবাক হলাম, ক্ষোভ চেপে রাখাটাও খুব ডিফিকাল্ট হয়ে পড়লো। ছোট্ট এই লেখার মাধ্যমে সেই ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত করেছিলাম।
যে-কোনো দলের জন্য নিয়মিত শুদ্ধিচর্চা ও শুদ্ধি অভিযান খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিককালে এ ধরনের কিছু নজিরবিহীন পদপক্ষেপ দেখা গেলেও আগামীতে এসব থাকবে কিনা, জানি না। কারণ, এক সময়ে টাকার কাছেই সবাইকে নতি স্বীকার করতে হয়, পরাজয় ঘটে নৈতিকতার।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
গুন্ডা, ডাকাত চোরকেও আমি ঘৃণা করি না। তবে ঘৃণা করি তাদের যারা এই গল্পের চরিত্রের মতো খোলস পাল্টায়। হাসান কালবৈশাখী ভাই আমার কথা বলে দিলেন। তাঁকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই ভোল পালটানোদের কারণে আপনি হবেন কোণঠাসা, বিপদে পড়বেন। আপনার কাজের ক্রেডিট চুরি হয়ে অন্যের দখলে চলে যাবে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জালালুদ্দিন !!!!
লেখাটা খুব বেশি ছোট হয়ে গেছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জালালুদ্দিন লাগামের গল্পটা ছোট্টই ভালো
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: এইভাবেই লম্পটগুলি বিভিন্ন সরকারের আমলে সুযোগ সুবিধা নিয়ে যায়।
আর রাজনৈতিক দল গুলি জনগনকে নির্যাতন করার জন্য এইসব সন্ত্রাসীদের'কেই বেছে নেয়।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ স্টেটমেন্ট এটা। জনগণ হলো দাবার গুঁটি এবং বলির পাঠা।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০২
দয়িতা সরকার বলেছেন: কেমন আছেন?
আমি আপনার কাছে জানতে চাই,
যারা মানুষকে জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিবারের মানুষকে জিম্মি করে ৩য়/ ৪থ মানুষে পরিবর্তন করতে চায়, দেশের সরকার তাদের কী বেবস্থা নেবে? যারা করে তাদের কারা সহায়তা করে?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
মানুষকে জোর করে বা জিম্মি করে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করা হলো চরম নৈরাজ্য বা অরাজকতার নিদর্শন। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। এবং যারা ঐ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সহায়তা করে তারাও সমান অপরাধী এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
কিন্তু, এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরাই যদি সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বা উৎসে পরিণত হয়ে ওঠে, তখন তার সমাধান কী হবে সেটা আমার জানা নেই। আমার কথা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
শুভেচ্ছা সালু সরকার।
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এরা বুঝতে পারছে, এদের আর হাটানো যাবে না!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাটা ঠিকই বলেছেন উদরাজী ভাই। তবে চিরদিন কাহারো নাহি সমান যায়, আবার ল' অব অ্যাভারেজ বলেও নাকি একটা কথা আছে। প্রকৃতি আপন হাতেই সমতা সৃষ্টি করে।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখনী