নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
মেয়েটি সুন্দরী; আমরা সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কাব্য লিখি; যারা সুন্দরী নয়, তারা বড়জোর মানবতাবাদীদের সামান্য কৃপা পেয়ে থাকে মাঝে-সাঝে, সেটা মেয়েটির জন্য নয় যতটা, তার চেয়ে ঢের বেশি তাঁদের নাম ভাঙিয়ে অস্তিত্ত্ব ও কৃতিত্ব জাহিরের জন্য।
সুন্দরী মেয়েটির কথাই বলছিলাম।
মেয়েটি কোন দেশের? ছোটোবেলায় পড়েছিলাম, ইরানি ও টার্কিশ মেয়েরা পরীর মতো সুন্দরী। পরে যোগ হয়েছিল লেবানিজ আর ইসরাইলি মেয়েদের চোখ-ধাঁধানো রূপের গল্প। যে-কজন ইরানি-তুরানি-লেবাননি ললনা আমার চোখে পড়েছে, তাদের তুলনায় বাংলাদেশের মেয়েদের মনে হয়েছে ‘অতুলনীয়া’।
ব্রিটিশ, ফিনিশ, জার্মান আর আমেরিকানদের খসখসে চামড়াঅলা চেহারায় কোনো মোহ কিংবা মাদকতা আছে বলে মনে হয় নি। তবে, অ্যান-সোফি-অ্যালেগ্রি, ফ্র্যান্সের মেয়েটিকে দেখে, আর পপ-এলিজিকে, আমার মনে হয়েছে, কোনো এককালে বাঙালি-ফ্রেঞ্চ পাশাপাশি বসত ছিল; এদের মধ্যে জিনের এক্সচেঞ্জ ও মিকশ্চার ঘটেছে; কিন্তু তা ঐতিহাসিকভাবে সত্যসম্ভব নয়।
অ্যান-সোফি-অ্যালেগ্রি প্রথম সাক্ষাতে যে অপরূপ হাসিটি আমায় উপহার দিয়েছিল, অনেক কাল আগে, সদ্য-কৈশোর-পেরোনো উত্তাল বয়সে রাহিমার একদিনের একটা হাসির সাথেই কেবল তার তুলনা চলে।
কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে মেয়েটি বসেছিল রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটরের গা-ঘেঁষা সিটটাতে; সে কি সদ্যনিযুক্ত পার্সোনাল সেক্রেটারি? শুকনো কাঠির মতো ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ; ও যেন কোন দেশের! ভুলে গেছি; রানি মুখার্জির ফ্যাঁসফেসে গলায় কী অপূর্ব মাধুর্য আছে, তাই না? আর থোবড়ানো পাটের আঁশের মতো এলোমেলো চুলঅলা এ ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ, হাসে খুব শুকনো ঠোঁটে, হ্যান্ডশেকের সময় শরীরের হাড়গুলো যেন কড়কড় করে নড়ে ওঠে, আর মনে হয় ওর মনটাও বড্ড খসখসে। মেয়েদেরকে আমরা ‘পেলবতার’ সাথে উপমিত করে অভ্যস্ত। কাষ্ঠখণ্ডি ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ এদ্দিন পার্সোনাল সেক্রেটারি ছিল। এ মেয়েটি কে? কী সে?
‘স্যার, আমায় কি ডেকেছিলেন?’ আমি ঘাড় ঘুরিয়ে হেডউইগ-এর দিকে তাকাই। বলি, ‘আপনি বরং এখানে বসুন। আমাদের বেশ কিছু পেন্ডিং ইস্যু রয়ে গেছে। আজ সেগুলো ডিস্কাশনে তুলতে হবে।।’
আমি ভুল দেখছিলাম চোখে। ব্ল্যাঙ্কা লোপেজ রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটরের পাশে বসে শুকনো মন নিয়ে শুকনো আঙুলে শুকনো নোটবুকে কনফারেন্সের শুকনো বিষয়গুলো নোট করে নিচ্ছে, মিনিট্স অফ মিটিঙের জন্য। হেডউইগ ওখান থেকে উঠে এসেছে আমার ইশারা পেয়ে।
হেডউইগ ম্যায়েক্স। ব্রাসেলসের নাগরিকা। সুন্দরী। স্মার্ট। চুলগুলো কালো। ভ্রূ তার কালো। তার চোখের মণিও কালো। ঠোঁটে লিপস্টিক পরেছে, যেভাবে বাঙালি মেয়েরা পরে। একটা ব্রাউন-পিঙ্ক মিশ্র স্ট্রাইপের লং স্কার্টের সাথে ডার্ক ব্লু টপস পরেছে, তার উপর ধবধবে সাদা ওভারকোট। বেলজিয়ামের কোনো মেয়ে এর আগে দেখি নি। হেডউইগ-এর পূর্বপুরুষ বাংলাদেশ বা এর আশপাশের দেশের নাগরিক ছিল কিনা জানা নেই। কিন্তু হেডউইগের চেহারা ও কথা অবিকল বাঙালি নারীর।
ফলপ্রসূ মিটিঙের পর হেডউইগ আর আমি দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। ও গাড়ি চালায়, আমি ওর পাশে বসে কনফারেন্সের পয়েন্টগুলো আলোচনা করি, আলোচনার অন্তরালে হেডউইগ-এর সমগ্র ভুবন উথালপাথাল ঘুরতে থাকি। সুদান ভেঙে যাচ্ছে। দশ হাজার শান্তিরক্ষীকে পাঠানো হয়েছে মূলত সুদানকে শান্তিপূর্ণভাবে টুকরো টুকরো করবার জন্যই, উত্তর সুদানিদের সুদৃঢ় বিশ্বাস; ৯ জুলাই ২০১১-তে সিপিএ পিরিয়ড শেষ হবার পর নর্থ সুদানের সরকার এক ঘণ্টাও ইউএনকে নর্থে থাকতে দেবে না; অথচ উভয় সুদানেই আমাদের কর্মকাণ্ড ব্যাপ্ত। আমাদের অফিস ভাগ হয়ে যাবে।
‘আমরা দুজন খার্তুমেই থেকে যাই। কী বলেন, হেডউইগ?’
‘সেটা খুব মন্দ প্রস্তাব নয়। কিন্তু নর্থের ক্রুয়েল গভর্ন্টমেন্ট দারফুরবাসীদের উপর অমানুষিক জেনোসাইট চালাচ্ছে, আমি বরং ওখানে থাকতেই প্রেফার করছি।’
‘আপনি খুব নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছেন, ডিয়ার লেডি হেডউইগ ম্যায়েক্স । আপনার শরীরের জাফরান ঘ্রাণ আপনার মনের সাথে বিলকুল বৈসাদৃশ্যময়।’ এ বলে আমি বাঁ-দিকে কাত হয়ে আলগোছে তার বাহু টেনে কাছে এনে নরম গালে মৃদু টোকার মতো একটা চুমু দিই। হেডউইগ স্মিত হেসে জানায়, ‘অতটা নই, যতটা আপনি সব সময় ভাবছেন।’
ব্লু নাইল আর হোয়াইট নাইল যেখানে একত্রে মিশেছে, আর জন্ম দিয়েছে দীর্ঘতম নাইল নদী, তারপর হোয়াইট নাইলের উজান টেনে চলে গেছে সুদানের বৃহত্তম নগরী অম্দুরমানকে পদ-পললে রেখে দক্ষিণ বরাবর, একদিন অপরাহ্নে এই রুটে আমরা কয়েকজন কলিগ সাফ-এর স্পিড বোটে রিভার ক্রুজ করেছিলাম। এমন রোমান্টিক মোমেন্ট জীবনে বহুবার আসে না। স্মারক ফটোগুলো দেখে হেডউইগ আফসোসে ভেঙে পড়েছিল–সাথে থাকতে পারে নি বলে; আর হেডউইগকে রিভার ক্রুজের দিন পাশে বসিয়ে রোমান্স না-করতে পারার বেদনা প্রকাশের কোনো ভাষা আমার ভাণ্ডারে ছিল না।
যেসব মেয়েরা এভাবে প্রতিদিন কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে বসে, অহেতুক টেড়া চোখ তাদের বুক ছিদ্র করে নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে ফেলে, কদাচিৎ চোখাচোখিও ঘটে, তাদের নিয়ে উড়াল দিতে ভয়ানক সাধ হয়। মেরি-ফ্র্যান্স আর নায়ালা কী অদ্ভুত ঢঙে শার্পিন্টিয়ারের গায়ে গড়াগড়ি খায়। অ্যান-সোফি-অ্যালেগ্রিকে দেখবার দুর্মদ বাসনায় এলিজির ‘লা-ইসলা-বোনিতা’ দেখি; কী কবিতা জড়িয়ে আছে এ গায়িকার প্রত্যঙ্গের প্রতি ভাঁজে! আমার অ্যান-সোফি-আলেগ্রি, আমার এলিজি, হায় হেডউইগ, তোমাদের প্রতিদিন কনফারেন্স টেবিলের উলটো পাশে দেখি, দেখি আর কৈশোরের রাহিমাকে খুঁজি– ভারী বাতাসে উড়াল দিতে দিতে আমার ডানায় এখন জমাট ক্লান্তি– হায়, তোমরা পরীর দেশে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে সরে যেতে থাকো, নীল উড্ডয়নে আমি কেবল ভাসতেই থাকি, জমে যেতে থাকি প্রগাঢ় ঠান্ডা ও তমিস্রায়–যেখানে রাহিমার একঝাঁক ছায়া ঝাপসা হাত নেড়ে নেড়ে নিবিড় আকুতি জানায়, আর দিগন্তের সুরের সাথে মিলিয়ে যায়।
২১ এপ্রিল ২০১১
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এতগুলো প্রশ্ন দেখে ভড়কে গেছি। কমেন্ট হিসাবেও এটি আপনার অনেক বড়ো কমেন্ট কিন্তু
মেয়েটির নাম বলা আছে লেখার ভেতরে। সে হেডউইগ নয়, এলিজি তো নয়ই (এলিজি একজন গায়িকা )। রহস্য আর না করি, তার নাম অ্যান-সোফি অ্যালিগ্রি
এতদিনে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক, এমনকি তখনো হয়ত সে বিবাহিতাই ছিল
ওরা ক্যাফেতে বা রেস্টুরেন্টেই খায়।
মেয়েটা কোনোদিন শাড়ি পরেছিল কিনা জানা নাই
এই উত্তরগুলো হলো আন্দাজের উপর
আসলে আপনি কোন মেয়েটির কথা জানতে চেয়েছেন, আর আমি কোন মেয়েটির ব্যাপারে উত্তর দিলাম, সেটা একটা মিস্ট্রি
তবে, আমি একজন বাঙালি তরুণীর কথাই এখানে বলতে এসেছিলাম
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৫
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: এলিজিকে ভালো পাই।তার জেন এ মেরি গান টা ব্লগারদের নিজ দায়িত্বে দেখার অনুরোধ রইলো।কারও চোখ টেরা হয়ে গেলে বা স্থায়ি ভাবে কপালে উঠে গেলে আমি দায়ি নই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্লগারদের কথা ভেবে সেই দায়িত্বটা আমিই নিজের কাঁধে তুলে নিলুম।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লা-ইসলা-বোনিতা গানটি কি উম্মাদ ম্যাডোনা’র না?
এটি কি গল্প নাকি সত্যি সত্যি ঘটনা জানতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক নাইল (নীল নদের) বৈশিষ্ট হচ্ছে আপনি যদি নীল নদে নেমে থাকেন বা পূর্ণ হাতে পানি ছোঁয়ে থাকেন এই এক জীবনে দ্বিতীয়বার নাইল এ যাওয়া হবে। আপনি কি ২য় বার ফিরে গিয়েছেন নাকি এখনো যাওয়া হয়নি। অনুরুপ বাংলাদেশেও একটি নদী আছে যার কাছে ২য় বার ফিরে যেতে হয়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, এটা ম্যাডি ম্যাডোনার গানই
সব গল্পই সত্যের উপর দাঁড়িয়ে থাকে, কিংবা আরো বলা যায়, সত্য ঘটনা বা সত্যের ছায়া থেকেই সব গল্পের উন্মেষ।
নাইল রিভারে দ্বিতীয়বার যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত দেখতে পাচ্ছি না যাওয়ার ইচ্ছেও নেই।
বাংলাদেশের অনুরূপ নদী কোনটা? আমার তো একটা নদী ছিল, যার কাছে আমি বার বার ফিরে যেতে চাইতাম নদীটা নাই
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ওহ এ্যালিজি তো বাচ্চা মেয়ে। আমি তাকে চিনি না অর্থাৎ তার গান আগে কখনো দেখিনি। লা-ইসলা বোনিতা অরিজিন ভার্সন
শিল্পী: ম্যাডোনা
এলবাম: ট্রু ব্লু
সন: ১৯৮৬
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সব বাচ্চাই একদিন অ্যাডাল্ট হইয়া যায়। তেনি ১৯৮৪-তে জন্মেছিলেন। গিয়েছিলেন নাচের ট্যালেন্ট হান্টিং প্রোগ্রামে পারফর্ম করতে। নর্তকী না হইয়া গায়কী হইয়া গেলেন।
ম্যাডোনার এ গানটা আমি ১৯৯০ সালের জানু-ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দেখি। এরপর খুব একটা দেখা হয় নাই।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫
সোহানী বলেছেন: কি যে কইলেন আর কি যে লিখলেন বুঝতে বুঝতেই দিন শেষ । গল্প লিখলেন নাকি কবিতা নাকি অনুবাদ নাকি........। যাইহোক, আরো কিছু লিখে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন এ আশায় বইসা আছি
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ একটা কমেন্ট করিলেন তো আপু!!! তাহলে এই লেখাটা একটা ভিন্ন ক্যাটাগরির লেখা হয়েছে বলা যায়- যাতে গল্প, কবিতা বা অনুবাদসহ আরো নানা ধরনের উপাদান ও স্বাদ রহিয়াছে।
এই লেখাটার উপর আরেকটা পর্যালোচনামূলক লেখা লিখতে হবে দেখি।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সমস্যা আপনিই বাধিয়েছেন। পোষ্টে ছবিটা দিয়েছেন এক বিদেশীনীর।
দেশী কোন মেয়ের ছবি দিলে এত প্রশ্ন আসতো না।
যাই হোক, আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এবার তো নায়করাজ আপনিও একটা সমস্যা বাঁধাইয়া দিলেন
লেখার ভেতর কত চরিত্র, সবার ছবি দিতে গেলে তো ব্লগ হ্যাঙ হইয়া যাবে। তবে, যাকে নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, বা মূল উপজীব্য যিনি, ছবিটা তারই
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: সোহানী বলেছেন: কি যে কইলেন আর কি যে লিখলেন বুঝতে বুঝতেই দিন শেষ । গল্প লিখলেন নাকি কবিতা নাকি অনুবাদ নাকি........। যাইহোক, আরো কিছু লিখে বিষয়টি ক্লিয়ার করবেন এ আশায় বইসা আছি [/sb
আমিও বুঝলাম না, কিন্তু বেশ গড়গড়িয়ে পড়ে গেলাম।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গড়গড়িয়ে পড়ে যেতে পেরেছেন সেটা অনেক বড়ো ব্যাপার। তবে, ভবিষ্যতে এ লেখাটার উপর একটা রিভিউ লেখা অপরিহার্য হয়ে পড়লো দেখা যাচ্ছে
ধন্যবাদ পদ্ম পুকুর। শুভেচ্ছা নিয়েন
৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: গতকালকে লেখাটা পড়ে খুব মুগ্ধ হয়ে নীচে নামছিলাম একটা মন্তব্য করার জন্য, হঠাত রাজীব ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে সবকিছু ভুলে গেলাম। ব্লগ থেকে সেরা মন্তব্য কারী হিসেবে উনাকে একটা পুরষ্কার দেয়া যায় না?
খলিল ভাই একটা ছোট প্রশ্ন? সুন্দরীর সংগা কী? কাকে সুন্দরী বলে আমি জানতে চাই?
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নায়করাজ রাজীবের জন্য তো উপাধি বা বিশেষণের কোনো শেষ নাই। উনি একাধারে নায়করাজ, নাট্যকার এবং সেরা/সর্বোচ্চ কমেন্টদাতা। তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
সুন্দরীর সংজ্ঞা কী, তা আমার জানা নাই ভাই, কোথাও পড়েছি কিনা তাও মনে পড়ছে না। বিখ্যাত ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই স্মরণীয় সংজ্ঞা দিয়েছেন সুন্দরীদের, তবে আমি কখনোম সংজ্ঞা নিয়া ভাবি নাই। যাকে দেখতে, শুনতে ভালো লাগে, সেই সুন্দরী, 'সুন্দরী' বা 'সুন্দর' সম্পর্কে আমার ধারণা এটুকুই।
শুভেচ্ছা রইল জুনায়েদ ভাই।
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খলিল ভাই, আপনার এ লেখাটি যেন কুয়াশার অনুবাদ;
ঘোরের মধ্যে বহুদূর হেটে যাওয়া। আমি বুঝিনি কোন রমনী আপনার আত্মিয়;
যে সুন্দরতা আমরা দেখিনি তার জন্য তৃষা পড়ে থাকে সময়ভর।
অথচ কখনও কখনও এই সুন্দরতা আপেক্ষিক।
তবে শরীর আর চামড়া সৃজনশীনতার ব্যকরণ; ভেতরকার সৌন্দয্য পরবর্তি বিস্তার।
আমি আপনার লেখাটি যদি গল্প বলি তা বিমূর্ত, আর যদি অভিজ্ঞতা বলি তাতেও বিশদ কল্পনা-
তাই একে আপাতত তুলনামূলক সৌন্দয্যচিন্তা বলে নিবৃত্ত হলাম-
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব তাৎপর্যপূর্ণ এবং নিটোল একটা কমেন্ট পড়লাম কামরুল বসির ভাই। আপনার কমেন্টটাকে কবিতার মতোই মনে হয়েছে।
আফরোজা নাম্নী আক বাঙালি তরুণীর কথা এখানে বলা হয়েছে। কত দেশ ঘুরেছি, কত না নামজাদা দেশের সুন্দরী নারীদের দেখেছি, রূপের বর্ণনা শুনেছি, কিন্তু আমার মন পড়ে আছে সেই কৈশোর কিংবা তারুণ্যে ফেলে আসা আফরোজা নাম্নী মেয়েটার কাছে, যার রূপ বা সৌন্দর্যের কাছে বাকি পৃথিবীর রমণীদের রূপ-লাবণ্য খুব তুচ্ছ বা গৌণ হয়ে আছে।
কমেন্টে আবারো ভালো লাগা রইল।
শুভেচ্ছা।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: নারী নারী নারী যতই পড়ি ততই ভাবি পুরুষ কতটাই স্বাধীণ আর কতইটাই পরাধীন নারীর সৌন্দর্যের কাছে৷
লেখাটি অত্যন্ত ভাল হয়েছে ভাইয়া৷
০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। দারুণ একটা কথা বলেছেন আহসান ভাই- পুরুষ কতটাই না পরাধীন নারীর সৌন্দর্যের কাছে!!! খুব মনে ধরেছে কথাটা
লেখা ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগছে।
ভালো থাইকেন আর শুভেচ্ছা নিয়েন।
১১| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২১
মিরোরডডল বলেছেন: ধুলো , লেখায় কৈশোরের মেয়েটির নাম রাহিমা আর ৯নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলা হয়েছে আফরোজা ।
আই’ম কনফিউজড । Please correct me if I’m wrong.
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহে ডুলু, আমার কোনো দোষ নাই, কারণ, মাঝে মাঝেই নায়িকাদের নাম পালটে যায় লিংকের লাস্ট লাইনে গিয়ে নিশ্চিত হলাম, ইহা আদিতে আফরোজাই ছিল
১২| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন: সবই বুঝলাম । কিন্তু আমাদের সোনালি ডানার চিল কি ২০১২ আদি লিঙ্কটা দেখে মন্তব্য করেছেন নাকি বর্তমান টা !!!
No worries I absolutely understood.
বেশী প্রেমিকা থাকলে যা হয় আর কি :-)
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনালী ভাইকে আদি লিংক্টা দেয়া হয় নাই, কাজেই তিনি যে এটা না দেখেই কমেন্ট করেছেন তা সহজেই অনুমেয়।
সবই বুঝতে পেরেছেন জেনে খুশি হলেম। তবে, প্রেমিকা বেশি থাকলে যেমন গণ্ডগোল হয়, না থাকলেও তার চাইতে অধিক ঝামেলা হয়, যার জ্বলন্ত প্রমাণ আমি নিজে
১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৯
মিরোরডডল বলেছেন: সিরিয়াসলি ? তাহলে তো থাকাটাই জরুরি বলে মনে হচ্ছে :-)
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপরের রিপ্লাইয়ে একটা 'না' বাদ পরে গিয়েছিল
১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০০
মিরোরডডল বলেছেন: Oops!!! wrong click :-(
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিরাট একটা বিপর্যয় থেকে বাঁচা গেল
১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২০
মিরোরডডল বলেছেন: মানে কি?
কোনটা বিপর্যয় ?
কি করেই বা বাঁচলেন !
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনালী ডানা ঐ লিংকটা দেখেন নাই, অথচ আমি লিখেছিলাম দেখেছেন, তাহলে কথাটা মিথ্যা হয়ে গেল না? মিথ্যা থেকে একটা অপ্রত্যাশিত ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতো। ওটাই বিপর্যয়। আপনার কমেন্ট পেয়ে আমার রিপ্লাই আবার পড়ি- দেখি যে সুন্দর একটা 'না' মিসিং
১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন: "সোনালী ডানা ঐ লিংকটা দেখেন নাই, অথচ আমি লিখেছিলাম দেখেছেন, তাহলে কথাটা মিথ্যা হয়ে গেল না? "
আমি কিন্তু এরকম মেসেজ পায়নি যেখানে আপনি বলেছেন ‘দেখেছেন’
অদ্ভুত !! মেসেজ মিস হোল কি করে !!
আমি এই মেসেজটা পেয়েছি । এটা তো ঠিকই আছে । নাথিং রং হিয়ার ।
"লেখক বলেছেন: সোনালী ভাইকে আদি লিংক্টা দেয়া হয় নাই, কাজেই তিনি যে এটা না দেখেই কমেন্ট করেছেন তা সহজেই অনুমেয়।
সবই বুঝতে পেরেছেন জেনে খুশি হলেম। তবে, প্রেমিকা বেশি থাকলে যেমন গণ্ডগোল হয়, না থাকলেও তার চাইতে অধিক ঝামেলা হয়, যার জ্বলন্ত প্রমাণ আমি নিজে"
আমারতো এখন মাথাটাই এলোমেলো লাগছে
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ডিলিট করা মেসেজের অংশ ছিল - তিনি যে এটা দেখেই কমেন্ট করেছেন তা সহজেই অনুমেয়।। এটা থেকে বোঝা যায় যে সোনালী ডানা লিংকটা দেখেছিলেন (যা সত্য নয়)।
আপনার মাথা আশা করি এখন ঘুরছে না, ফ্যান ঘুরছে (বা এসি চলছে)
১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন: Don’t worry.
ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই
All good
I liked you tried to clarify. So good on you.
১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটির নাম কি?
মেয়েটি কি বিবাহিতা?
কতদিন ধরে চাকরী করছে?
দুপুরে কি ক্যান্টিনে খায়? না খাবার বাসা থেকে নিয়ে আসে?
মেয়েটা কি শাড়ি পড়ে না স্কার্ট? না সেলোয়ার কামিজ?