নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়শি

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯

বড়শির গল্পটা লিখতে বসেছিলাম। লিখতে গিয়ে দেখি লেখা বের হয় না। যারা নৃত্যশিল্পী, বা কণ্ঠশিল্পী, তাঁরা বহুদিন বিরতির পর নাচতে বা গাইতে গিয়ে এমন বিড়ম্বনায় পড়েন কিনা জানি না, তবে, লেখকরা লেখার বিরতি দিলে নতুন করে লিখতে গেলে এমন সংকটে যে পড়তে পারেন তার উদাহরণ আমি নিজেই তো!

ছোটোবেলায় গাঁওগেঁরামের পোলাপান মাছ ধরে নি, এমন উদাহরণ বিরল। চকে আর খালেবিলেই তো ছোটোবেলাটা কেটেছে। একটা পাখির ছানা ধরার জন্য মান্দার গাছের কাঁটায় পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছি। ঘুড়ি উড়িয়েছি চাঁন্দিফাটা রোদে লাঙ্গলচষা ক্ষেতের উপরে পাথরের মতো শক্ত ইটায় পা আর হাঁটু রক্তাক্ত করে। দোহারের খাল, ধাপারির খাল, আড়িয়াল বিল, এবং আমাদের বাড়ির সামনে ছোটো নালাটিতে মাছ ধরতে ধরতে শরীরে চর পড়ে যেত।

মাছ ধরার ছোটোখাটো অনেক গল্প আগে লিখেছি। সেগুলো ছিল উছা, ঝাঁকিজাল, টানাজাল, পোলো বা দোহাইর দিয়ে মাছ ধরার কাহিনি। আজ বড়শিতে মাছ ধরার গল্প বলছি।

দোহারের খালটি দোহার গ্রাম থেকে বের হয়ে চকের মাঝখান দিয়ে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করেছে এবং গ্রামের উত্তর মাথায় ফকির বাড়ির পাশ দিয়ে আড়িয়াল বিলে গিয়ে পড়েছে। ফকির বাড়ির ঘাটে বিশাল একটা ‘মোড়’ আছে, যেটি খুব গভীর; বর্ষাকালে এখানে কাটালের শক্তিশালী ঘূর্ণি সৃষ্টি হয়, যার ভেতরে পড়লে ছুটে আসা অসম্ভব ব্যাপার।

আশ্বিন মাসের শেষদিকে বর্ষা ফুরিয়ে গেলেও দোহারের খালে পানি থাকে। খালের নানা জায়গায় ঝাঁকিজাল, টানাজালে মাঝ ধরার ধুম পড়ে যায়। অনেকে উবু হয়ে, কিংবা পানির নীচে ডুব দিয়ে কাঁদা হাতড়ে মাছ ধরে; ঘন ঝোপঝাঁড়ের নীচে বিরাট গর্তের ভেতর হাত ঢুকিয়ে ধরে আনে বাইন, শিং বা মাগুর মাছ। মাছ ধরতে গর্তে হাত ঢুকিয়ে কতজনে যে সাপের কামড় খেয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই।

ছোটোবেলা থেকেই মাছ ধরার প্রতি আমার ঝোঁক ছিল খুব বেশি। খালে কিংবা মধ্যপাড়ার ফয়জল খা’র আড়ায় যেদিন মাছ গাবাতো, আমি ছুট দিতাম ওড়া, কিংবা বাবার গামছা নিয়ে। ঐ বয়সে একটা-দুটো ট্যাংরা কিংবা পুঁটি ধরতে পারলেই উল্লাসে চিৎকার দিয়ে উঠতাম এবং মাথার উপরে হাত উঁচু করে মাছ তুলে লাফাতে লাফাতে বাড়িতে ছুটে এসে মাকে বলতাম- ‘মা দ্যাক, কত্ত বড়ো পুডি দরছি।’ এরপর উছা, টানাজাল, ঠেলাজাল, ঝাঁকিজাল ও পোলো দিয়ে মাছ ধরেছি। একই সাথে বড়শিতেও মাছ ধরেছি।

প্রথম প্রথম বড়শিতে মাছ ধরতাম বাড়ির ঘাটে; এরপর পাশের বাড়ির পুকুরে। একটু বড়ো হলে একদিন বিকেলে মাছ ধরতে গেলাম ফকির বাড়ির ঘাটে। তখন বর্ষা নেমে গেছে।
ফকির বাড়ির ঘাটের উলটো দিকে একটা বাঁশঝাড়। তার নীচে বসার জায়গাটা বেশ মনোরম এবং ওখানে পানির গভীরতাও একটু বেশি হওয়ায় মাছের আনাগোনাও বেশি। আমি রোজ বিকেলে ওখানে গিয়ে বড়শি ফেলি। আমার মাছের রাশ ভালো। ছিপ ফেলা মাত্র মাছ বড়শি ঠোকরানো শুরু করে। তবে, ছোটো ছোটো চ্যালামাছগুলোই এ জ্বালাতন করে বেশি। আমরা এগুলো খুব একটা খাই না, যদি না আকারে কিছুটা বড়ো হয়। কিন্তু বড়শিতে ধরা বেশিরভাগ চ্যালাই খুব ছোটো, বড়শি থেকে খোলার সময়ই ওগুলোর মাথা থেতলে যায় এবং পানিতে ফেলে দিই।

মাছ ধরার দ্বিতীয় দিনে একটা সরপুঁটি ধরা পড়লো। সরপুঁটি ধরার পর খুশিতে নাচতে নাচতে বাড়িতে চলে যাই। সরপুঁটি দেখে মা খুব খুশি হলো।
এভাবে প্রায় প্রতিদিনই একটা, কোনো-কোনোদিন দুটো বা তিনটাও সরপুঁটি পেতে থাকলাম। এর সাথে থাকে ছোটো পুঁটি, চিংড়ি, ট্যাংরা, ফলি, শিং। মাঝে মাঝে বাইন, কই ও খোলসে মাছও পাই।

একদিন বিকেলে হঠাৎ দুটো ছেলেমেয়ে আমার পাশে এসে বসলো। ছেলেটা লুঙ্গি পরা, মেয়েটা শাড়ি। মেয়েটার শাড়ি পরা আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। বাড়িতে আমার ছোটোবোন নলেছাকে মা মাঝে মাঝে শখ করে তার নিজের শাড়ি পরায়। বোনের তুলনায় শাড়ির ওজন অনেক বেশি হওয়ায় সে শাড়ি পরে বেশি নড়াচড়া করতে পারে না। কিন্তু এ মেয়েটি পরেছে ছোটোদের শাড়ি; এবং পরেছে খুব সুন্দর করে। আমি বার বার ওর দিকে তাকিয়ে ওর শাড়ি পরা দেখি। ওর হাসিটা খুব সুন্দর। ওরা কারা জানি না, কোনোদিন আমাদের গ্রামে দেখি নি। ছেলেটা আমার খালুইটা নেড়েচেড়ে দেখছে। মেয়েটা ওর খালুই নাড়াচাড়া দেখে, আর আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসে। ওর হাসিতে আমার প্রাণ ভরে যায়।
‘তুমাগো বাড়ি কই?’ আমি জিজ্ঞাসা করি।
‘বিলাসপুরের চরে।’ ছেলেটা বলে।
‘বিলাসপুর কুন জাগায়?’
‘পদ্মার পাড়ে।’
‘তুমরা বেড়াইতে আইছাও?’
‘হ।’
‘কাগো বাইত্তে?
‘আদম ফকিরের বাইত্তে আইছি। নতুন বিয়া করছি তো, তাই বউ নিয়া বেড়াইবার আইছি।’
আমি এ কথায় খুব আশ্চর্য হই। ওরা আমার চাইতে বড়োজোর দু বছরের বড়ো হবে। ১০-১১ বছরের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হতো আমার দাদার আমলে, আমার দাদির কাছে শুনেছি; কিন্তু এ আমলে এমনটা হয় তা আমার জানা ছিল না।
‘তুমার বউডা খুব সুন্দর। ওর নাম কী?’ আমি বলি।
‘ওর নাম জয়নব। মাদবর বাড়ির মেয়া তো, তাই এত সুন্দর।’ এটা বলতে যেয়ে ছেলেটা সুখে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এবং একটা চাপা অহংকারে চোখদুটো সামান্য সরু করে ও আমার দিকে তাকিয়ে একটুখানি হাসে।
‘আমার নাম চানু। তুমার নাম কী?’ চানু নিজের নাম বলে আমার নাম জানতে চায়। আমি যখন ‘আমার নাম কুডিমিয়া’ বললাম, তখন জয়নব হাসতে হাসতে প্রায় গলে পড়ে গেল।
‘কুডিমিয়া কি কুনো নাম অয়? জীবনেও এই নাম হুনি নাই।’ জয়নবের হাসি আর থামে না।
চানু ওর বউরে বলতে থাকে, ‘ও অইলো ভাইবোনের মধ্যে সবার ছুডো। ছুডোগো নাম কুডিমিয়াই অয়।’

এমন সময় বড়শিতে বেশ বড়ো একটা কুইচ্চা ধরা পড়লো। কুইচ্চা কেউ খায় না, তবে, গরীব মানুষেরা কেউ কেউ বড়ো আকারের কুইচ্চা পেলে খায়। আমি কুইচ্চাটাকে বড়শির মুখ থেকে খুলতে গেলে ওটা সাপের মতো আমার বাম হাত পেঁচিয়ে ধরলো, এবং আমি একটু ভয়ও পেলাম, কেমন সাপের মতো মোচড় দিচ্ছে, জোঁকের মতো বিদ্‌ঘুটে শরীর; আমার শরীরটা একটু ঝাঁকি দিয়ে উঠলো, কিন্তু নিজেকে সংযত রেখে ধীরে ধীরে বড়শির মুখ থেকে কুইচ্চাটাকে খুললাম। ওটার মাথা ধরে ঘুরিয়ে দূরে ছুঁড়ে মারতে যাব, এমন সময় চানু বলে উঠলো, ‘করোছ কী, করোছ কী? ঐডা ফালাছ ক্যা? আমাগো দে।’ আমি ভাবলাম, ওরা হয়ত ধনীলোক ঘরের কেউ না বলেই কুইচ্চাটা নিতে চাইছে। ও দ্রুত কাছে এসে খুব উচ্ছ্বাসের সাথে আমার হাত থেকে কুইচ্চাটা তুলে নিল। এরপর সুন্দর করে খালের পানিতে ধুলো। ওর হাতে কুইচ্চাটা তখনো সাপের মতো মোচড়াচ্ছে। এরপর দুজনে পেছনের একটু উঁচু জায়গায় যেয়ে ঘাসের উপর বসলো। ওরা নেড়েচেড়ে কুইচ্চাটা দেখতে লাগলো; মনে হলো ওটাকে ওরা আদর করছে; হয়ত বহুদিন পর অনেক খায়েশের একটা মাছ পেয়ে ওরা নিজেদের খুব ভাগ্যমান মনে করছে। আমি আপন মনে বড়শিতে মাছ ধরতে থাকলাম। ওরা দুজন টুকটাক কথা বলতে থাকলো।
‘অনেক মজা রে!’ চানুর কথায় আমি পেছনে ফিরে তাকাই এবং যা দেখলাম তা কোনোদিনই আমার কল্পনায় আসে নি। কুইচ্চাটার একমাথা ধরে ছেলেটা চিবিয়ে খাচ্ছে, আরেক মাথা ধরে খাচ্ছে মেয়েটা। এই দেখে মুহূর্তে আমার বমি আসার উপক্রম হলো। কাঁচা ডিম বা কাঁচা মাংস তেল-মসলা দিয়ে মাখিয়ে খাওয়ার গল্প অনেক শুনেছি, কিন্তু কাঁচা মাছ, তাও কুইচ্চা কেউ এভাবে খেতে পারে, তা দেখে আমার পাকস্থলি দুমড়ে-মুচড়ে পাক দিয়ে উটকি আসতে শুরু করলো। আমি জোরে শব্দ করে ওয়াক ওয়াক করে বমি করতে থাকলাম। এবং একসময় আমার জ্ঞান চলে গেল। যখন জ্ঞান ফিরলো, দেখলাম, ওরা দুজন আঁজল ভরে খাল থেকে পানি এনে আমার মাথা ধোয়াচ্ছে। আমি গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। ওদের গা থেকে একটা উৎকট চ্যাংটা গন্ধ বের হচ্ছে, তাতে আমার আবারো বমি হতে পারে ভেবে আমি দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে বাড়িতে চলে গেলাম।

বাড়ির কাছে আসতেই একটা সুমিষ্ট গন্ধে আমার বুক ভরে গেল। দুয়ারে পা ফেলে দেখি একটি অতি রূপবতী যুবতী আমার মায়ের পাশে বসে খুব সুন্দর করে হাসছে আর আমোদ করছে। আমাকে দেখেই যুবতী দ্রুত এগিয়ে এসে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিল- ‘আল্লারে আল্লা, আমার বাজানডার শরীলের এই অবস্থা ক্যা রে বাজান? আইজক্যা কি পানিটুকুনও মুখে দেস নাই?’ আমার জন্য যুবতী রমণী হাহাকার করে উঠলো। আমি মুহূর্তেই বুঝে ফেললাম, এ আমার সুফী খালা! মায়ের মুখে খালার কত্ত গল্প শুনেছি! খালার চেহারা আমার মোটেও মনে নেই - আমার খুব ছোট্টবেলায় অল্প বয়সে খালার বিয়ে হয়ে গেলে খালুর সাথে সুফী খালা শহরে চলে গেছে, আজ এতদিন পর আমার প্রতি আকুলতা দেখে বুঝতে বিন্দু দেরি হলো না, এ আমার আজন্মচেনা প্রিয়তমা সুফী খালা।
‘তোর লগ দিয়া এত গন্ধ ক্যান রে বাজান? মাছের আইশটা গন্দে শরীল বইরা গেছে। নু, নাওয়াইয়া দেই।’ বলেই আমাকে হাত ধরে দুয়ারের একটা কোনায় নিয়ে কলশ থেকে পানি ঢেলে খালা আমাকে গোসল করিয়ে দিল। কলশের পানি বেশ ঠান্ডা ছিল, এবং শীতের দিন না হওয়া সত্ত্বেও একটু কাঁপতে থাকলাম। এমন সময় আমাকে অবাক করে দিয়ে, একটা ফুটফুটে ছোট্ট মেয়ে, খুব সুন্দর ও মায়াবী, বয়স ৪ বা ৫ বছর হবে, অবিকল জয়নবের মতো সুন্দর করে শাড়ি পরেছে মেয়েটি, আমার দিকে একটা গামছা বাড়িয়ে দিয়ে বললো- ‘বাই, গামছা নেও। তোমার ঠান্ডা লাকতেছে?’ বলেই ও আমার দিকে তাকিয়ে আলতো করে হাসতে লাগলো। ওর কণ্ঠটা আর হাসিটা এতই মিষ্টি, আমার বুক ভরে আনন্দ ছড়িয়ে পড়লো। আমার ছোটোবোন নলেছা, ওর চাইতে ছোটো, এখনো ভালো করে কথা বলতে পারে না, আমার প্রাণ আনচান করে উঠলো, হায়, নলেছা কবে ওর মতো করে ‘বাই’ বলে ডেকে উঠবে?
গল্প এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু শেষ হতে পারলো না খালার কথায়। খালা বললো, ‘এইডা তর আরেকটা বইন। ওর নাম জয়নব।’
কী করে সম্ভব? চানুর ছোট্টবধূ জয়নব আর আমার খালাতো বোন জয়নবকে পাশাপাশি দাঁড় করালে হয়ত সহজেই সহোদরা দু’বোনের মতো মনে হবে। ওদের বয়স সমান হলে হয়ত যমজ বোন বলেও অনেকে ভুল করতে পারতো। হাসিটা, চাহনিটা, সবকিছুতে কী অদ্ভুত মিল!
আমি গামছা দিয়ে গা মুছলাম। তারপর কৌশলে গামছাটা পরে ভেজা থামিটা পালটে ফেললাম। থামি চিপড়ে পানি ফেলে একটা ঝাড়া দিয়ে বেড়ায় মেলে দিয়ে ঘরের দিকে যাচ্ছি, জয়নব ছুটে এসে দু'হাত বাড়িয়ে বলে উঠলো, ‘বাই, কোলে নেও।’ আহ! আবারো আমার বুক জুড়িয়ে গেল! কত মিষ্টি করে জয়নব আমাকে ‘বাই’ বলে ডাকছে! আমার সামনে হাত বাড়িয়ে কোলে ওঠার জন্য আহ্লাদী বালিকার মতো হাঁটু দুলিয়ে নাচছে। ওকে আমি পাঁজাকোল করে তুলে নিলাম। ও দু’হাতে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো। নলেছাকে কোনোদিন এভাবে কোলে নিই নি। জয়নবের মাথার দু’দিকে লাল রঙের দুটো ফিতা ঝুলছে। ওর সারা শরীরে একটা অজানা ফুলের গন্ধ। ও আমাকে আরো জোরে গলা জড়িয়ে ধরলো। আমি আদরে ওর গলার কাছে মুখ নিয়ে চুমু খাই। আহ! কী সুন্দর ফুলের গন্ধ জয়নবের সারা গায়ে। ও খিলখিল করে হেসে ওঠে।
জয়নবের শোনাশুনি নলেছা আমাকে ঘন ঘন ‘বাই’ ‘বাই’ বলে ডাকতে শুরু করেছে। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেখানে যাই, ওরা দু’জন আমার পিছে পিছে যায়। আমার খুব ভালো লাগে। অনেক আদরের দুটো বোন আমার গলায় গলায় ঝুলে থাকবে, এমনটা ভাবতেই আমার খুব ভাল লাগতে থাকে।
রাতে আমার একপাশে নলেছা, অন্যপাশে জয়নব শুলো। ওরা দুজন খুব শক্তভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখলো। জয়নব নানা ধরনের বায়না ধরতে থাকলো। জয়নবের দেখাদেখি নলেছাও বায়না ধরতে শিখছে। আমাদের বাড়ির পাশে একটা দইল্লা গাছ আছে। দইল্লা গাছে আমি রোজ দোলনা বেঁধে দোল খাই। জয়নব বললো, কাল সক্কালেই ওকে দোলনায় চড়াতে হবে। নলেছারও একই বায়না। জয়নবকে নিয়ে দুপুরে ঘুড়ি উড়াবো। ওকে বাবুই পাখির বাসা দেখাতে নিয়ে যাব মাদবর বাড়ির তালগাছতলায়। হঠাৎ জয়নব বলে উঠলো, ‘বিয়ালে আমারে কিন্তু বড়শি দিয়া মাছ ধরতে নিবা।’

সকালে মা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করে ঘুম থেকে উঠালো। আমার পাশে বাবা শুয়ে আছে। নলেছা ঘরে নেই, জয়নবকেও দেখছি না। ওরা কখন উঠে বাইরে গেছে কে জানে! দরজা দিয়ে উঁকি দিলাম- না, ওদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কোথাও কারো কথাও শোনা যাচ্ছে না।
‘খালায় কইরে মা?’
‘কুন খালায়?’ মা একটু অবাক হয়ে পালটা জিজ্ঞাসা করে?
‘সুফী খালা!’
‘সুফী খালায় কই গনে আইবো?’
‘কইগনে আইবো মানি? খালায় না ঘরে আছিল?’
‘পুলায় কয় কী? খালায় ঘরে আইবো কইগনে?’
‘কী আবুলতাবুল কছ? রাইত্রে তো খালায় ঘরেই আছিল। জয়নব আছিল আমার পাশে।’
মা চোখ সরু করে জিজ্ঞাসা করে, ‘কী অইছে রে বাজান? তর খালায় দেহি কুন জনমে মইরা গেছে? মরা খালায় ঘরে আইবো কইগনে?’

**

আমার মনটা খুব ভার। ভার মনেই দইল্লা গাছে যেয়ে দোলনা বাঁধলাম। দোলনায় চড়ে একমনে উত্তরের বিরাণ চকের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। মনে হচ্ছে, এই সকালটাতেই সারা চক ভরে রোদের খরা ধু-ধু করছে। খুব দূরে আবছা ধুলোর ভেতর ধীরপায়ে আমার সুফী খালা হেঁটে যাচ্ছে। তার পরনে একটা শাড়ি। এতদূর থেকেও বোঝা যাচ্ছে, আমার সুফীখালা খুব সুন্দর করে শাড়ি পরেছে, আর রোদের ভেতরে তার শরীরের রূপ চিক চিক করে জ্বলছে।
খালা যে বছর মারা গেল, তার পরের বছরই মারা গেল নলেছা। আমার খালা নেই, নলেছাও নেই। অথচ, পুরো পৃথিবীর সবখানেই যেন ওদের ছায়া লুকিয়ে আছে। কান পাতলেই ওদের কণ্ঠ শুনি, চোখ বুঝলে ওদের মুখ দেখি। ওরা কি আমাকে দেখে?

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯


&&&


বিয়ালে – বিকালে
বাই – ভাই
কইগনে – কোথা থেকে

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি আমাদের বাড়ির পাশের সাহেবখালী খালে বরশি দিয়ে প্রচুর পরিমাণে টেংরা, বাইম সরপুঁটি ইত্যাদি মাছ ধরতাম ।
কি যে মজার দিন ছিল সেগুলো!

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনার খাঁচায় দিনগুলো সত্যিই রইল না :(

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাজ্জাদ ভাই প্রথম কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

২| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: রিডার্স আর রাইটার্স ব্লক প্রায় সময়ই দেখা দিতে পারে, এটা বিজ্ঞান সম্মত :-B

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওটা আমার লেখার একটা স্টাইল। এটা একটা গল্প। গল্পটা অন্য বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা।

৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: অচেনা জয়নব আর সুফী খালার জন্য আমার মনটাও কেমন আনচান করে উঠলো।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কল্পদ্রুম। সত্যি বলতে কী, আমি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। সময় পেলেই আপনার লেখা, বিশেষ করে গল্প পড়ার ইচ্ছে থাকলো।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। শুভেচ্ছা।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি কখনো বড়শি দিয়ে মাছ ধরি নি। বেঁচে থাকলে একদিন দোহার যাব । আপনার লিখায় ঘুরে ফিরে দোহার আসে ।
কুইচ্চার রক্ত নাকি চুলের জন্য ভাল ????
আমি কখনো রাইটার্স ব্লকে পরি নি কারণ আমি কখনোই লেখক ছিলাম না ।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মনে হয় না, কেউ কখনো 'আমার জীবনের লক্ষ্য কবি হওয়া' বা 'লেখক হওয়া' এরকম কিছু ভাবে। পড়তে পড়তে একসময় নিজেই কখন লিখতে শুরু করে তা হয়ত লেখক নিজেও জানেন না। ব্লগে যারা ঢোকেন, তারা সবাই লেখক। যিনি একটা কমেন্ট করতে পারেন, তিনিও লেখক। আপনি যেসব কমেন্ট করেন, তা খুব নির্যাসপূর্ণ। যুক্তি/বিতর্কে আপনার শক্তিমত্তা ও সাবলীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। আপনার পোস্টগুলোও তাৎপর্যপূর্ণ। সো, আপনি কখনো লেখক ছিলেন না, কিন্তু এখন লেখক হইয়া গেছেন। কীভাবে হইলেন নিজেও টের পান নাই।

হুমায়ূন আহমেদের লেখায় ঘুরেফিরে কিছু জায়গার নাম পাওয়া যেত। পরে দেখা গেল, ওগুলো তার জন্মস্থানের বিভিন্ন এলাকার নাম। পরিচিত জায়গা নিয়ে লিখলে বর্ণনা ন্যাচারাল হয়। আমি ইউএসএ-তে যাই নি, ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তাঘাট নিয়ে লিখতে গেলে ফ্লপ ও ফেইক হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে, বেশি কাল্পনিক শক্তিওয়ালা কেউ হয়ত এটা পারবেন।

শুভেচ্ছা রইল সৈকত ভাই।

আর কমেন্টের জন্য তো অবশ্যই ধন্যবাদ

৬| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন হয়ে গেল আমি জেনারেল হয়ে আছি।
আমার লেখা প্রথম পাতায় আসছে না। জাস্ট একটা ছড়ার মতো করে কিছু একটা লিখেছিলাম। খারাপ কিছু লিখি নাই। কাউকে বকা দেই নাই। বা তুই তুকারি করেও কিছু লিখি নাই। ফানি একটা ছড়া।
অথচ আজ আমার এই অবস্থা!



গল্প পড়েছি। আপনার গল্পে গভীরতা আছে। যা পাঠক আকর্ষন বোধ করতে বাধ্য।

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ভুল না হয়ে থাকলে, আজ কিংবা গতকাল আপনার লকডাউনের মধ্যেও আপনার একটা পোস্ট 'আলোচিত ব্লগ' কলামে দেখেছি। ব্র্যাভো।

আপনার ছড়াটা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয় নি, তবে অনেকে যেমন এটাকে লাইট হিসাবে বর্ণনা করেছে্ন, কেউ কেউ আবার বলেছেন লিমিট ক্রস করা হয়েছে। তবে, আপনি ট্যালেন্টেড ও প্রথম সারির একজন ব্লগার। এ ব্লগকে প্রাণবন্ত রাখার জন্য আপনার মতো ব্লগারের খুব প্রয়োজনন। নির্ধারিত লকডাউন পিরিয়ড শেষ হলে, টুডে অর টুমরো, আপনি অবশ্যই প্রথম পাতায় অ্যাক্সেজ পাবেন। আশা করি তা অতি শীঘ্রই।

আর ব্যাপারটা কিন্তু অনেকদিন গড়ায় নি। লেখালেখি আপনার নেশা। ব্লগই আপনার প্রাণ। ঘুরেফিরে হয়ত বার বার স্টেটাস দেখেন, এজন্য সময় যায় না।

আনন্দে থাকুন, আপন মনে পোস্ট পাবলিশ করুন। কমেন্টও করুন দেধারছে।

৭| ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন: এই লেখাটা রহস্যময় হয়েছে ।
অনেকগুলো টুইস্ট ছিল ।
ধুলোর এই বাস্তব আর কল্পনা মিশিয়ে লেখাগুলো অন্যরকম হয় ।
পড়তে ভালো লাগে ।

ধুলো চক কি ?

০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডুলু যদি গভীরভাবে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন এ গল্পের নায়কের নাম কুটিমিয়া :) কুটিমিয়া সিরিজের ধারাবাহিক কোনো পর্বে এটা নেই, কিন্তু এটাও কুটিমিয়ার গল্পই- লৌকিক রহস্য, অথবা অলৌকিক।

ডুলুর কমেন্টাকে ধুলো বড়ো কমপ্লিমেন্ট হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ধুলো ব্যাপক ধন্যবাদ জানিয়েছে ডুলুকে

৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৬

মিরোরডডল বলেছেন: আমি নোটিস করেছি এখানে বলেছে কুডিমিয়া, জয়নব শুনে হাসলো ।
ধুলো বলল নাহতো চকে বলতে কি বোঝাচ্ছে ।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহহো- চক হলো মাঠ, ক্ষেত, ইত্যাদি। এটা আগে আঞ্চলিক শব্দ ছিল, কিন্তু এখন প্রমিত বা মেইন স্ট্রিম শব্দের মধ্যেই ঢুকে গেছে। 'চক' শব্দটা আমি খুব বেশি ব্যবহার করি।

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লিংকগুলো এখানে দিলাম, যাতে ডিলিট ও রি-আপলোড করলে এই কমেন্টে সেটা মেনশন করতে পারি।

ঘরের মানুষ

মাটির দেহ ভার্সন-১

মাটির দেহ ভার্সন-২

মাটির দেহ - চঞ্চল মাহমুদ দোহারী

ঘরের মানুষ - চঞ্চল মাহমুদ দোহারী








০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কখনো একটা-দুটো খুঁজে না পাওয়া গেলে সবগুলো একসাথে এখানে পাওয়া যাবে

৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মন খারাপ করার মতো বিষয়। আর ভয়ের বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্ষার সিজনে প্রচুর মাছ ধরেছি এক বয়ষে - যা এখন নিজের কাছেও গল্প বলে মনে হয়। আমার জানা মতে ১৯৮৮ বন্যার পানিতে ভারতের ক্যামিকেলের কারাণে বাংলাদেশের সকল ধরণের মাছ মড়ক ধরে শেষ হয়েছে।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাছ ধরা আসলে একটা নেশা। মাছ ধরার মরসুমে ঘরে মন টিকতো না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো, নিজেদের ধরা মাছ কখনো খুব মজা করে যে খেয়েছি তা না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ ধরেছি, বাড়িতে যাওয়ার পর ভাতই খেতে পারি নি ঠিকমতো। বর্ষার শুরু আর শেষের দিকে মাছের মতোই পানিতে দিন কাটাইতাম :) সেইসব কথা মনে হলে আমার নিজের কাছেও গল্পের মতো মনে হয়।

ভারতের কেমিক্যালের ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার কোনো আইডিয়া নাই ঠাকুরমাহনুদ ভাই। ওটা হয়ে থাকলে তো সর্বনাশ :(

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই, গল্পটা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

১০| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরস্বতী সামুর উপর রাগ করেছেন, আপনার ল্যাপটপ লুকায়ে রাখিয়েন।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ল্যাপটপের কী অবস্থা?

এনিওয়ে, ওয়ার্নিঙের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।

১১| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার নাম্বার ওয়ান রাজীব ভাই


১২| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হল ছোট বেলায় চলে গেছি।নানার বাড়ি ছিল মুন্সিগঞ্জ,এলাকাগুলো আমার পরিচিত।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর পার হলেই আমার বাড়ি দোহারে পৌঁছে যাবেন।

সময় নিয়ে গল্পটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই। শুভেচ্ছা।

১৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৭

কৃষিজীবী বলেছেন: মুগ্ধপাঠ

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কৃষিজীবী।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। শ্রীনগর থানা।
গ্রাম কামার গাও। চিনেন? এদিকে কখনও এসেছেন?

আলামিন বাজার, তিন দোকান, বালাসুর এসব জায়গায় নাম শুনেছেন?

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দোহারের জয়পাড়া থেকে মেঘুলা, নারিশা, ফুলবাড়ি, শাইনপুকুর হয়ে কামারগাঁও দিয়ে শ্রীনগর বাজারের উপর দিয়ে ঢাকা-মাওয়া রোডে উঠতে হয়। লঞ্চ যমানার পর এটাই ছিল আমাদের সড়কপথে প্রধান যাতায়াত রুট। এখনো এটা চলমান, তবে নবাবগঞ্জ, আগলা, রুহিতপুর দিয়ে পথ শর্ট হওয়ায় এ পথে এখন চলাচল বেশি। বুঝতেই পারছেন :)

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মাছ ধরিনা কত বছর হয়ে গেল। গল্পে +++

০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকদিন নেমে যান মাছ ধরতে। মাছ ধরার স্বাদ অতুলনীয়।

গল্পে প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই। শুভেচ্ছা।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:


শৈশবের এই গল্পগুলো রুপকথার মত লাগে। আমার প্রজন্মই বোধহয় ছিল দূরন্ত শৈশবের শেষ প্রজন্ম। ভাল লাগছে শৈশবের গল্প পড়ে ,শৈশবের পালে হাওয়া লেগেছে ।

পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।
--- 8-|
মাছ ধরতে খুব ভয় পেতাম । হাতিয়ে কিভাবে যেন বড় বড় মাছ ধরতো ,আমার অগ্রজরা । একদিন সাহস করে নেমে পড়লাম । পানির একটু উপরে লক্ষ্য করলাম দুরা সাপ (আঞ্চলিক নাম) ,সেই যে ভয়ে উল্টে পড়লাম । সেই ভয় এখনও কাটেনি । তবে বড়শিতে মাছ ধরেছি অনেক। মনে পড়ছে অনেক কষ্টে একদিন ছোট বোয়াল মাছ ধরেছিলাম। সে যে কি আনন্দ পেয়েছিলাম । 8-| । ভাবছিলাম মাছ টি খাব না ,রেখে দিব । তখনও তো এত কিছু ছিল না । আপনার পোস্টের সুবাধে শৈশবে ফিরে গেলাম ।এখনকার বাচ্চাদের শৈশব দেখলে কষ্ট হয়।

০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার প্রজন্মই বোধহয় ছিল দূরন্ত শৈশবের শেষ প্রজন্ম।। অন্যত্র কোথাও আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে পেরেছিলাম আপনার বয়স খুব বেশি না, ২০-২৫-এর মধ্যে (বেশি হলে প্লিজ ক্ষমা করবেন)। আমার বড়ো ছেলের বয়স ২৬+। আপনি যদি এই বয়সের, এমনকি ৩০-৩২-এর মধ্যেও হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কথা একদমই ঠিক, আপনি দুরন্ত শৈশবের শেষ প্রজন্মের একজন। কারণ কী? কারণ হলো, মডার্ন এবং অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সম্পন্ন নানান গেজেটস। কারো হাতে একটা এন্ড্রয়েট মোবাইল থাকলে আর কিছু লাগে না। এর উপর যদি থাকে পিসি, তাহলে তো আর কথাই নেই। এখন তো পেয়েছেন ব্লগ, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ আরো কত মিডিয়া যেখানে নিজেকে নেশাগ্রস্তের মতো ডুবিয়ে রাখা যায়। যেখানে নেশা ও বিনোদনের জন্য এতসব অপশন উন্মুক্ত, সেখানে কাদামাটিতে গড়াগড়ি, খালবিলপুকুরে নেমে মাছ ধরা হয়ত অনেককেই টানবে না। আমার ছেলের বয়স উল্লেখ করেছি সেজন্যই। এরা অনেকটাই ঘরকুনো এবং এন্ড্রয়েট এডিকটেড। বাইরের খোলা মাঠ তেমন টানে না।

মাছ ধরার যত পদ্ধতি আছে, তার অনেকগুলোরই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আফসোস থেকে গেছে নদীতে ইলিশ ধরার সুযোগ হয় নি বলে :)

একটা সুন্দর ও প্রাঞ্জল কমেন্টে অনেক আনন্দ পেলাম। মজা পেয়েছি বড়শিতে বোয়াল মাছ ধরে সেটি রেখে দেয়ার কথা ভেবেছিলেন, এটা পড়ে :) বড্ড খোকামানুষি ভাবনা :)

ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও আনন্দে থাকবেন, এই কামনা করছি। আর এই সুন্দর কমেন্টটির জন্য বিরাট একটা ধন্যবাদ নিন।


১৭| ০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

মিরোরডডল বলেছেন: ম্যানি থ্যাংকস ধুলো গানের লিংকগুলো শেয়ার করার জন্য :)

লেখক বলেছেন: আপনার ল্যাপটপের কী অবস্থা?

এনিওয়ে, ওয়ার্নিঙের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।


কিসের ওয়ার্নিং ?
Anything should we be aware of or its only between you two?

০৯ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কুল। কিছুই হয় নাই।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চমৎকার বাল্য স্মৃতি মাখানো গল্পের জন্য।
মাছ আমিও প্রচুর ধরতাম। তবে উপকরণ
ছাড়া খালি হতেও প্রচুর মাছ ধরতাম। বড়
বড় গলদা চিংড়ির মোচ ধরে ধরে টেনে তুলতাম।
একবার এক বিশাল বোয়াল মাছকে পাকড়াও
করে ছিলাম খালি হাতে।

যাহোক আগলা, মোহাববত পুর, কাহুর
আমার বেশ পরিচিত যায়গা।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গলদা চিংড়ি ধরার অভিজ্ঞতা আমার হয় নাই, তবে আড়িয়াল বিলে খুব ভোরে উছা দিয়ে প্রচুর গুঁড়া চিংড়ি ধরেছি। বিরাট পাতিল ভরে যেত। তবে, পদ্মা নদীতে বড়শি দিয়া প্রায় ৫ কেজি ওজনের একটা ইলিশ মাছ ধরেছিলাম আমরা কয়েকজন ক্লাসমেট মিলে। সেই স্মৃতি ভোলা যায় না


আগলা হলো নবাবগঞ্জ উপজেলার ভেতর। এখান দিয়ে বর্তমানে আমাদের ঢাকায় গমনাগমন হয়। কাহুর ও মোহাব্বতপুরের কথা মনে পড়ছে না। কোমরগঞ্জ, গোবিন্দপুর, বক্সনগর, কলাকোপা আমার পরিচিত জায়গা।

সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নূরু ভাই। শুভেচ্ছা।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩০

সোহানী বলেছেন: মাছ ধরা, মেছো ভুতের মাছ খাওয়া নিয়ে লম্বা একটা কমেন্ট মাথায় নিয়ে লিখার শেষে এসে মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

আপনার শিশু ও কৈশোর দারুনভাবে কেটেছে। রীতিমত হিংসে করার মতো।

আর হাঁ, আপনার লিখার হাত এতো ভালো যে অফিসের কাজের ফাকেঁ এক মিনিটের জন্য ব্লগে ঢুকেও লিখাটা শেষ না করে সাইন আইট হতে পারলাম না।

০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাংঘাতিক ইন্সপায়ারিং কমেন্ট। অবশ্য আপনি বরাবরই আমার জন্য এরকম ইন্সপায়ারিং কমেন্টই করে থাকেন। সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপু।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এমন একটা কমেন্ট উপহার দেয়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

২০| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+

২১| ০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শৈশব স্মৃতি! কতশত সুখস্মৃতি মনে পড়ছে। গ্রামে বড় হয়েছি। মেট্রিক পাশ করা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। বাড়ির পাশে বিশাল হাওয়র, মাছের বড় বড় বিল। বছরের ছয়মাস পানিতে থৈথৈ করতো। পাল তোলা নৌকার আসা-যাওয়া ছিল নিত্য। পুকুর পাড়ের কোনায় বড় বটগাছটায় বাড়ির সব ভাইয়েরা মিলে বাঁশি বাজাতাম। কখনো বা নৌকা বাইচ চলতো গভীর পানিতে। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতো। শীত আসলে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসতো। মাছ ধরা ছিল সবচেচেয়ে প্রিয় সখ।

শৈশবের সোনার খাঁচার দিনগুলো আজ আমি একটা বিশেষ বয়সে অবস্থানে করছি। মাঝে মাঝে জীবনের পেছন পানে যখন ফিরে তাকাই তখন শৈশব জীবনের স্মৃতিগুলো সুখ হয়ে ধরা দেয়। সেই দিনগুলো ছিল বড় সুন্দর, বড় রঙিন, বড় মধুময়। জীবন থেকে খসে যাওয়া শৈশবের সেই দিনগুলো আজও ভূলতে পারছি না। যখনই সে দিনগুলো মনে পড়ে তখনই মন পুলকে ভরে উঠে। কত রঙিন ঘটনা, কত উচ্ছ্বাস, কত উল্লাস মনের পর্দায় ভেসে উঠে-

‘সে যে কাল হলো কতকাল
তবু যেন মনে হয় সেদিন সকাল।'

জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে এসেছি। কত স্মৃতি এসে জীবনের পাতার জমা হয়েছে। কিন্তু শৈশবের সেই সোনাঝরা স্মৃতি কোনোভাবেই যায় না। অনেক সময়ই ভাবি- শৈশব জীবন যদি আবার ফিরে পেতাম! কিন্তু তা তো কখনো সম্ভব নয়। তাই তো কবি গুরুর মতো আমারও বলতে ইচ্ছে হয়-
'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না, রইল না
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।'

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই, আপনার শৈশবটা আরো বেশি মধুর ও আকর্ষণীয়। বর্ণনায় খুব মুগ্ধ। অসাধারণ একটা কমেন্ট উপহার দিয়ে এ পোস্টকে আরো মূল্যবান করে তুলেছেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কাওসার ভাই, নিজের শৈশব স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমার দেশী। হে হে---

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা তো আমি অনেক আগে থেকেই জানি, আপনিই বলেছিলেন। কিন্তু আপনি ভুলে যান যে :) :)

২৩| ১০ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: গ্রামীণ শৈশবের উচ্ছল জীবনও শেষ পর্যন্ত ভৌতিক হয়ে গেলো! অবশ্য গ্রামীণ জীবনের শৈশব কৈশোরে প্রচুর ভৌতিক উপাদান থাক। আমরা ছোটবেলায় 'মুন্ডুকাটা ঘোড়া' বলে এক ভৈৗতিক প্রাণীর গল্প শুনতাম। ছোটদের গল্পের জগতে সেই ঘোড়া ডালপালা মেলতে মেলতে একদিন স্বয়ং আমাদের বাড়ির চৌহদ্দিতেই উপস্থিত হলো। অন্যদের কাছ থেকে শুনলাম- এই ঘোড়া আমাদের প্রাচীর ঘেরা বাড়ির কোণায় এসেছিলো, ওই সময় আমার ধর্মপরায়ণ মা কুরআন শরিফ পড়ছিলেন, এই কারণে মুন্ডুকাটা ঘোড়াটা পালিয়ে গেল....
গল্প শুনে যুগপৎভাবে আমি চমৎকৃত এবং ভীত। শেষ পর্যন্ত আমারই বাসায়? কিন্তু রাশভারী আম্মার কাছে এর সত্যতা যাচাইয়ের কোনো সুযোগই ছিলো না। অগত্যা সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে আসতে হলে ঘাড়ের পেছনে একটা শিরশিরে অনুভুতি হতো দীর্ঘদিন।

আপনার গল্পের মাঝামাঝি যায়গায় আমারও বমি হয়ে যাচ্ছিলো।

ডার্কম্যান লেছেন: আমি কখনো রাইটার্স ব্লকে পরি নি কারণ আমি কখনোই লেখক ছিলাম না । মজাই পেলাম।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টের প্রথম লাইনে এ পোস্টের মূল রহস্য বলে ফেলেছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত গল্পটা ভৌতিকও না। গল্পের লাস্ট প্যারাটা দিব কী দিব না, এ নিয়েও দোটানায় ছিলাম। কারণ, লাস্ট প্যারাটা যুক্ত হলে পাঠকের ভাবনার বিস্তৃতি বেশিদূর যায় না, এটা না দিলে গল্পটার পটভূমি নিয়ে অনেক কিছু ভাবার অবকাশ হয়। কিন্তু গল্পটায় গল্পরসের বদলে গ্রামীণ শৈশবটাই পাঠকের কাছে বড়ো হয়ে উঠছে দেখে চিন্তায় পড়েছি কিছুটা।

যাই হোক, একটা গল্প থেকে পাঠক তাদের নিজের মতো করে রস আস্বাদন করবেন, এটাই পাঠের নিয়ম। তাই মেনে নিলাম।

এ গল্পটা শুরুতে এর অর্ধেক ছিল- বমি করে সব গুছিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াতেই গল্প শেষ ছিল। কিন্তু তাতে ভালো কোনো সারমর্ম বা কংক্রিট কিছু বের হয় না। এ পোস্ট পাবলিশ করার দিন বাকি অংশ যোগ করা হয়, যাতে এ থেকে একটা কিছু বের করা যায়।



আপনার গল্পের মাঝামাঝি যায়গায় আমারও বমি হয়ে যাচ্ছিলো।
একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এখানে কুটিমিয়াকে বমি করানোর উদ্দেশ্য হলো পাঠকের বমিভাবটা কমানো। কুটিমিয়া বমি না করলে পাঠক হয়ত এ জায়গায় এসে খুবই বিরক্ত বোধ করতেন এবং এর নীচে হয়ত অনেকেই যেতেন না। আর গুরুত্বপুর্ণ কথাটা হলো, এই কাঁচা মাছ, তাও কুঁইচ্চার মতো একটা বিদ্‌ঘুটে মাছকে কাঁচা খাওয়ানোকে ব্যালেন্স করার জন্যই পরের অর্ধেক অংশ যোগ করা হয়েছে। তা না হলে কুটিমিয়ার বাড়িতে চলে যাওয়ার মধ্যেই গল্প শেষ হয়ে গিয়েছিল। কুটিমিয়া বাড়িতে এসে সুন্দর একটা ঘ্রাণ পায়, একটা সুন্দর স্নেহভরা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে পাঠকের মনকে ঘৃণার পরিবেশ থেকে সরিয়ে আনার জন্য।

গল্পটা নিয়ে অনেক কিছু বলার ছিল। বেশি বললে গল্পের মজা নষ্ট হয়ে যায় বলে পাঠকের উপরই রয়ে গেল সেই ভার। এই কথাগুলো উপরের কোনো কমেন্টে বলি নি ইচ্ছে করেই, তাইলে গল্পের আকর্ষণ কমে যেত অনেকখানিই। এখন নতুন পাঠকের আসার সম্ভাবনা কম, কিন্তু এ নোটগুলো আমার জন্যই ভবিষ্যতের রেফারেন্স হিসাবে রেখে দিলাম। অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড নিজেই ভুলে যাই।

ডার্কম্যান একটা দুষ্টু জিনিয়াস। নিজে ভালো লেখেন, কিন্তু স্বীকার করতে লজ্জা পান :)

ধন্যবাদ রইল প্রিয় পদ্ম পুকুর


২৪| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮

মিরোরডডল বলেছেন: where are you Dhulo?
I was about to sleep n from mobile.

I came to share with you this song

Beautiful lyric and tune.
make sure listen till end.
its dreamy.

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধুলো আছে

মাঝে মাঝে মন বসে না কোনো গানে

২৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪০

শরতের শুভ্র আকাশ বলেছেন: কিছু শৈশব। দুরন্ত শৈশব। ধন্যবাদ সুন্দর লেখনীর জন্য।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শরতের শুভ্র আকাশ। শুভেচ্ছা।

২৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি চমৎকার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলেন! আপনার লেখাগুলোয় এলে এমন হয়, স্মৃতিকাতরতা জড়িয়ে ধরে খুব।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় লেখকের কমেন্টে অনেক ভালো লাগা। ইন্সপায়ার্ড। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন এবং শুভেচ্ছা।

২৭| ১৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মিরোরডডল বলেছেন: তাই ?
তারমানে ধুলোর মনে ধরেনি গানটা ।
অবশ্য সময় আর মুডের ওপর নির্ভর করে ।
আমি যখন গানটা শুনে শেয়ার করেছিলাম তখন রাত দুটা ।
সেইসময়ের জন্য পারফেক্ট গান ওটা ।
সেকেন্ড অন্তরার কথাগুলো খুবই সুন্দর ।

১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐ রিপ্লাইটা একটা অঘোষিত কুইজ ছিল :)

গানের কথা - মাঝে মাঝে মন বসে না কোনো কাজে

ডুলু লাস্ট শব্দটা খেয়াল করে কিনা তা দেখাই ছিল উদ্দেশ্য :)

২৮| ১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

মিরোরডডল বলেছেন: you haven't tell yet how's the song, do u like it?
Dhulo, last night I hardly sleep.
That's why I'm in bed early tonight.
I'll be back in Dhulo's new post tomorrow.

১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গত দু রাত আমার ভালো ঘুম হয় নি। আজ আমিও আগে ঘুমাবো।

গানটা ছেড়েছিলাম। আজ নিয়ে বোধহয় ৩ বার। গান চলছিল আর আমি পিসিতে কাজ করছিলাম। প্রায় ৩০/৩৫ মিনিট পর খেয়াল হলো :) তখনো ফাহমিদার গান বাজছিল।

গানটা ভালো। যখন গান আর কাজ একসাথে চলে, তখন সুরটাই আমার কাছে মুখ্য, কথাগুলো হার্ডলি খেয়াল করি।

শুভেচ্ছা রইল। শুভ ঘুমাহ্ন :)

'ঘুমাহ্ন' আমার শব্দ :)

২৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন: 'ঘুমাহ্ন ? হা হা হা .... ইনোভেটিভ :)

গানের বিষয়ে কথা, সুর, কণ্ঠ তিনটাই ইম্পরট্যান্ট । একটা খারাপ হলেই শোনা হয়না ।

অনেকটা কুকিং রেসিপির মতো । সুইটনেস, সলটিনেস আর চিলি তিনটাই লাগবে ।
মিষ্টি বা ঝাল কমবেশি হলেও খাওয়া যায় কিন্তু লবন মাস্ট বি ওকে । মিসিং হলে বা বেশী হলে ওটা খাওয়া যাবেনা ।

ঠিক সেরকম আমার কাছেও সুরটাই সবচেয়ে প্রায়োরিটি । সুর ভালো না লাগলে আমি সেটা কোনভাবেই শুনবো না । যে কারনে পুরো লিরিক না বুঝলেও অনেক গজল শোনা হয় । ইনস্ট্রুমেন্ট শুনি সেটাও সুরের আকর্ষণেই ।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

গানের বিষয়ে কথা, সুর, কণ্ঠ তিনটাই ইম্পরট্যান্ট ।
একমত, তবে সামান্য অ্যাড করার মতো কিছু কথা আছে, সময় পেলে অন্য একদিন লিখবো।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.