নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুষখোর মেয়ে

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

বড়াই করো তোমার বাবা
‘অমুক’ পদে চাকরি করেন
চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলো
দেখাও বাবার বাহাদুরি!

তোমার বাবা চাকরি করেন
জানো কি তার বেতন কত?
গুলশানে এক বাসায় থাকো
মাসিক ভাড়া আশি হাজার!

তোমার বাবা চাকরি করেন
শহর ঢাকায় ৬টি বাড়ি
তোমার দাদা-নানা ছিলেন
খুব সাধারণ, জমিদার নয়

হাউজ-ওয়াইফ তোমার মায়ের
কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স
দামি দামি গয়না-গাটি
গাড়িও আছে কয়েকখানা

তোমার আছে পকেট খরচ
প্রতি মাসে লাখের উপর
ইচ্ছে হলেই নানান দেশে
দিচ্ছ উড়াল প্লেজার ট্রিপে

তোমার বাবার চাকরি করেন
খুব বড়োজোর লাখ টাখার
জানো কি তার এই বেতনে
কেমনে হলো টাকার পাহাড়?

তুমি জানো, জানেন মাও
তোমাদেরকে রাখতে সুখে
সারাজনম তোমার বাবা
দু চোখ বুজে ঘুষ খেয়েছেন

ঘুষের টাকায় বড়াই করো
লজ্জা কি নাই, ইতর মেয়ে?
ভালো জাতের মানুষ হলে
মুখের কথা মিষ্টি হতো।

সত্যি মানুষ হবেই যদি
আজকে বাবার সামনে দাঁড়াও
অসৎ পথের অবৈধ কাজ
ছাড়বে আজই – শপথ করাও

আবার যদি তোমার মুখে
চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শুনি
বুঝবো, এবার তুমি নিজেই
ঘুষ নিতেছ বাবার হয়ে।

১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

চোখেরবালি বলেছেন: বাস্তবতায় ভরা লেখনি। ভাল লাগলো, আরো বেশি বেশি লিখে যান, সেই শুভ কামনা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চোখেরবালি। শুভেচ্ছা।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ সত্যি মানুষ হবেই যদি
আজকে বাবার সামনে দাঁড়াও
অসৎ পথের অবৈধ কাজ
ছাড়বে আজই – শপথ করাও”

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


আবার যদি তোমার মুখে
চ্যাটাং চ্যাটাং কথা শুনি
বুঝবো, এবার তুমি নিজেই
ঘুষ নিতেছ বাবার হয়ে।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

এ.এস বাশার বলেছেন: দারুন লেগেছে এইটা..। শুভকামনা রইলো...

সত্যি মানুষ হবেই যদি
আজকে বাবার সামনে দাঁড়াও
অসৎ পথের অবৈধ কাজ
ছাড়বে আজই – শপথ করাও”

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতায় বলে, একজন চাকরিজীবী তার স্ত্রী ও সন্তানদের চাপে বা প্ররোচনায় ঘুষ খেতে বাধ্য হন। এই স্ত্রী ও সন্তানরা খুব উচ্চাভিলাষী হয়ে ওঠেন। তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য গত্যান্তর না দেখে ঘুষের প্রতি তারা আসক্ত হয়ে পড়েন। প্লাস, অন্যান্য ফ্যাক্টর তো আছেই। যেমন, চাকরি পাওয়ার জন্য হয়ত তাকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে, যার জন্য বাবার সম্পত্তি বেচে দিতে হয়েছে। সুতরাং, চাকরিতে ঢোকার আগে থেকেই তার মাথায় ঐ ঘুষের টাকাটা কতদিনে ওঠানো যাবে, সেটা ক্রিয়াশীল থাকে। থাকে বাবা-মায়ের পক্ষ থেকেও চাপ।

আমরা যদি নির্মোহ ও নির্লোভ হতে পারি, তাহলে এই ঘুষ বা দুর্নীতি থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পারবো।

কবিতা পাঠ ও উদ্ধৃতিসহ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: পুরো লেখাটার এইটুকু অংশ আলাদা হয়ে চোখে পড়ছে ।
"সত্যি মানুষ হবেই যদি
আজকে বাবার সামনে দাঁড়াও
অসৎ পথের অবৈধ কাজ
ছাড়বে আজই – শপথ করাও"

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কয়েক জনের কমেন্টেই এই স্তবক উঠে এসেছে দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: ক্লাসে কোন মেয়ের বাবা মহা ঘুষখোর। সেই মেয়ে বাবার টাকায় অহঙ্কারী। কবিতা পড়ে মনে হচ্ছে এরকম ধরণের একটা মেয়ে খুঁজে নিয়ে তার ব্যাগে এই কবিতা দিয়ে দিতে পারলে ভালো হতো। আমার ধারণা কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটা ছেলে বাবার দুর্নীতি নিয়ে যতটা সচেতন থাকে। মেয়েরা ততটা থাকে না। বাবা যত বড় ডাকাতই হোক, মেয়েরা সারা জীবনই তাকে নিয়ে একটা ফ্যান্টাসি জগতে থাকে৷ অবশ্যই বাবা যদি সাংসারিক জীবনে এবিউসিভ না হন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট এবং পরামর্শটাও চমৎকার। আপনার সাথে সহমত।

সাধারণভাবে, মেয়েরা একটু চাকচিক্য বেশি পছন্দ করে। তাদের চাহিদাগুলোও ওরকম হয়ে থাকে। কোনো মেয়ে যদি 'ঐশী'র মতো চাহিদাকারী হয়ে থাকে, তাহলে শুধু মেয়ের চাহিদা মেটানোর জন্যই একজন চাকরিজীবীকে ঘুষের জন্য তৎপর থাকতে হবে। ঐ সময়ে ঐশীর বাবার বেতন সর্বসাকুল্যে ৩৫ হাজার টাকার উর্ধ্বে হওয়ার কথা নয়, অথচ ঐশী নাকি প্রতি মাসে লাখ টাকার উপর খরচ করতো। এ টাকা ঐশীর বাবা কোথায় পেত? সন্তান এবং স্ত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতেই মাহফুজুর রহমান সাহেবকে এ অতিরিক্ত অর্থ অবৈধ পথে আয় করতে হতো।

সামাজিকভাবেও আমাদের দায়িত্ব আছে। একটা সাধারণ পরিবারের সন্তান চাকরি পেয়ে যখন হুহু করে 'কলাগাছ' হয়ে উঠছে, তখনই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগা উচিত, আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার রহস্য কী?

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার।

মানুষ টাকাকে সম্মান করে। টাকা কোথা থেকে এলো তা মানুষ ভাবে না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষকে সম্মান করার এ ট্রেন্ড থেকে ধীরে ধীরে আমাদের সরে আসতে হবে রাজীব ভাই। সমাজের সৎ ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে আমরা চিনি। তাদেরকে সম্মান করি, ঘুষখোরদের এড়িয়ে চলি, তাহলেই খুষখোররা নিজেদের অপকর্ম সম্পর্কে ধারণা পেতে থাকবেন।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


৯ম শ্রেণীর বিপ্লবী কন্ঠ

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসামান্য ও অতুলীয় লেখনী ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

জোবাইর বলেছেন: ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসা উচিত পরিবার ও সমাজ থেকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় স্ত্রী ও সন্তানদের অসীম চাহিদা ও প্ররোচনায় এবং অবৈধ অর্থ ও ক্ষমতার দাপটকে সাধারণ মানুষ সামাজিকভাবে সমীহ করার কারণে এইসব দুর্নীতিবাজরা আরো বেশি ঘুষ নিতে উৎসাহিত হয়।

পরিবারের একজন সদস্যও যদি মা-বাবার ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এবং সাধারণ মানুষ ঘুষখোর ও ঘুষখোরদের পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট ও ঘৃণা করে তাহলে ঘুষখোরের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমতো। দুঃখের বিষয় হচ্ছে লেখালেখিতে আমরা ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলেও বাস্তবে মুখোমুখি প্রতিবাদ ও ঘৃণা প্রকাশ করার সৎ সাহস সবার নেই।
ব্যতিক্রমধর্মী চমৎকার কবিতায় +++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য। একেবারে আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন।

প্রত্যেক স্ত্রীরই উচিত, তার স্বামী কোথা থেকে কীভাবে আয় করছেন, সেটা জেনে রাখা এবং নিয়মিত অবগত থাকা। একজন সাধারণ চাকরিজীবীর বেতন কত হতে পারে, সে সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা উচিত। একজন ব্যবসায়ী কোন কাজে কত টাকা আয় করতে পারেন, তাও স্বামীর ব্যবসার ধরন দেখে সহজেই অনুমান করতে পারেন। অস্বাভাবিক বা সন্দেজনক কিছু মনে হওয়া মাত্রই স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। কিন্তু, আমাদের স্ত্রীরা সচরাচর এর উল্টোটাই করে থাকেন। স্ত্রী এবং সন্তানদের চাহিদার চাপে স্বামী বেচারার অসৎ পথ বেছে নেয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না।

যারা সমাজে আঙুল ফুলে দ্রুত কলাগাছ হচ্ছেন, সমাজেরই উচিত সেগুলোর সন্ধান রাখা।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ওমেরা বলেছেন: কবিতা মজার হয়েছে ।
চোরের মায়েরই যদি বড় গলা হয় ——— চোরের মেয়ের তো আরো এক ডিগ্রী বেশীই হবে :D :D

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন, চোরের মেয়ের আরো এক ডিগ্রি বেশিই হয় :)

ধন্যবাদ কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: খুব ভালো লাগল

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মোছাব্বিরুল ভাই। অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে দেখা গেলো আজ। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঘুষ খুবই উপাদেয় খাদ্য।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা। খুবই ভালো বলেছেন সাজ্জাদ ভাই। এগুলো খাইলে শরীর মোটাতাজা হয়, শরীরে তেল চিক চিক করে, কারো বা উপচাইয়া পড়ে :)

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলা ছবিতে সন্তান দুর্নীতিবাজ বাবার বিরোধিতা করে।কিন্ত বাস্তবে প্রতিটা দুর্নীতিবাজের সন্তানই তার বাবার অসৎ পথে অর্জিত অর্থ-সম্পদ নিয়ে গর্ব এবং তাদের পূজা করে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছায়াছবির রেফারেন্সটা খুব সুন্দর এবং অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হয়েছে। এর পরের কথাটাও একেবারেই বাস্তব। বাবার ঘুষের টাকার জোরে এরা বলীয়ান হয়। আমার দেখা মতে, এরা খুব ঘাউড়া এবং ইডিয়ট শ্রেণির হয়ে থাকে, অযথা বাজে বিষয়ে তর্ক করে এবং বাবার 'উপরি' টাকার অহঙ্কার করে। সামাজিক ভাবে এই ব্যাধিগ্রস্তদের বয়কট করা জরুরি।

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টটির জন্য।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঘুষখোর বাবার মেয়ের ডিমান্ড বিয়ের বাজারে সবচেয়ে বেশি :`> । এই দেশ লোভীদের দেশ ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটাও চরম সত্য কথা বলেছেন। মেয়ের বাবাও দেখেন, জামাই'র 'উপরির' পরিমাণ কতখানি আছে। আমাদের এই পচনশীল মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা খুব জরুরি। একে 'স্পিড মানি' বলে জনৈক ব্যক্তি ঘোষণা দিয়ে দেয়ায় এটা এখন অনেকটাই জায়েজ হয়ে গেছে।

আমাদের মন ও মননশীলতার উৎকর্ষ সাধনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে, যা হতে পারে ৫০, এমনকি ১০০ বছর মেয়াদী। আরো ২০/৩০ বছর দেশ এভাবেই যাবে, এটা ধরে নিয়েই আজকের শিশুকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে ওর প্রথম শিক্ষাটাই এসব অনৈতিকতার বিরুদ্ধে শুরু হয়। ৫০ বছর পরের বাংলাদেশকে একটা সৎ, সভ্য, দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞান-বিজ্ঞানে আধুনিক মানুষের দেশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অত্যাবশ্যক।

কমেন্টটা রম্য হলেও চরম সত্য লুকিয়ে আছে এ কথায়।

অনেক ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমার এলাকা শান্তিনগরে এদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আছি। প্রায় ৭২ বছর ধরে আমাদের পরিবার উত্তরাধিকারসূত্রে এখানে আছে। অথচ বিএনপির ১৯৯১ আমল থেকে চুরি-দুর্নীতি করে হঠাৎ ধনী হওয়া লোকজন এলাকায় গাড়ি-বাড়ি করে এখন আমাদের উপরই হম্বি-তম্বি করে।
একটা বলে আমি রাজাকার নিযামীর দলের লোক, আরেকটা বলে আমি সাদেক খোকার পিএস!
আর এদের ছেলে-মেয়ে একটা আরেকটার চেয়ে বেশী অসভ্য। ভদ্রতা-শিষ্টাচার কিছুই জানে না।
এলাকার কিছু নীচ সন্তানদের বিয়েতে দামী উপহার পাওয়ার লোভে এদের পা চাটে, যেজন্য এদের সাহস আরো বেশী।
অথচ শান্তিনগর শিল্পী জয়নুল আবেদীন, কবি গোলাম মোস্তফা এবং লোকশিল্প গবেষক মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন এর বাড়ি।
এদেরও এরা পাত্তা দেয় না, কারণ তাদের প্রতিভা সম্পর্কে জানার মতো জ্ঞান বা যোগ্যতা কোনোটাই এদের নাই।
এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক-কে ১০৬ এ বারবার ফোন করেছি। তারা এসেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ম্যানেজ হয়ে চলে গেছে।
সুতরাং দেশে দুর্নীতি চলছে এবং চলবেই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাপারটা আসলেই হতাশাব্যঞ্জক। তবে, এই হতাশার মধ্যেও লড়াই করে যেতে হবে, যেখানে নিজের 'সততা' এবং সত্যনিষ্ঠাই হবে বড়ো শক্তি। এসব কথা যদিও কাগুজে কথার মতো শোনায়, কিন্তু এগুলো তো কোনো একদিন সত্যি ছিল। এজন্য, আমাদেরকে দৃঢ় থাকতে হবে, অন্যায়কারীদেরকে এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের এড়িয়ে বা বয়কট করে চলতে হবে। একটা সমাজ তো এভাবে পঁচে যেতে পারে না। একদিন অবশ্যই ভালো বা 'সত্যের' দিন আমরা পাব।

আবার এসে অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। সহানুভূতি রইল আপনাদের জন্য।

১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার মনে হয় না। কেউ হাসিমুখে ঘুষ দেন। অবস্যই মা বাপ সহ ফোরটিন গোষ্টি তুলে গালাগাল করেন এখন আড়ালে হোক আর মনে মনে। - গালাগাল করেন কথা সত্যি।


১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সাথে অনেকটাই সহমত ঠাকুরমাহমুদ ভাই, কেউ খুশি মনে ঘুষ দেন না, চাপে পড়ে ঘুষ দেন। যখন দেখেন দিনের পর দিন ধরনা দিতে দিতে পায়ের জুতার তলা খুলে গেছে, কিন্তু ফাইল নড়ছে না বা কাজ হচ্ছে না, তখন চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে হয়। তবে, অনেক সময় কাজটা আগে পাওয়ার জন্য, কিংবা ত্বরান্বিত করার জন্য, কিংবা 'অন্যায়ভাবে' প্রভাবিত করার জন্য অনেকে নিজ থেকে ঘুষ দিয়ে থাকেন।

যদিও ঘুষ দেয়া ও ঘুষ নেয়া দুটোই সমান অপরাধ, আমি কবিতায় ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারটা তুলে এনেছি। ঘুষের দাপটে সন্তান ও স্ত্রীদের দাপট কেমন বেড়ে যেতে পারে, হয়ত তা দেখার 'দুর্ভাগ্য' আপনার হয় নি, আর হয়ে থাকলে তো তা জানেনই, আমি 'ছা-পোষা' নিরীহ সৎ চাকরিজীবীদের 'অসাহয়ত্বটা' উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি, যারা নিজেরা সৎ উপার্জনে আগ্রহী হলেও হয়ত সন্তান, স্ত্রী বা অন্যান্য ফ্যামিলি মেম্বারদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে গিয়ে এই অসৎ পথে পা বাড়ান, যা থেকে পরে আর বেরিয়ে আসতে পারেন না, আসক্ত হয়ে যান। ঘুষ খাওয়ার অনেক কারণ বা দিকের মধ্যে এই একটা দিনই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছি।

কবিতা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই।

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




চমৎকার লিখেছেন ।
ছেলে মেয়েরা ইচ্ছা করলে তার বাবাকে ঘুষ খাওয়া হতে
ফিরাতে পারেন । কিন্ত অনেক সময় দেখা তার বাবা কত
বেশী ঘুষ পান/খান তা নিয়ে অনেক সন্তানই গর্ব করেন ।
তা্ই এ রাস্তায় তেমন কাজ হবে বলে মনে হয়না । তবে
বেশীর ভাগ ছেলেমেের বাবারাই ঘুষ খাননা কিংবা তাদের
বাবার ঘুষ খাওয়ার সুযোগ নেই । এমনকি যে সমস্ত
সরকারী অফিসে ঘুষের লেনদেন হয় সে সমস্ত অফিসে
প্রশাসন, নির্মাণ ও হিসাব বিভাগের বিল প্রদান
সংক্রান্ত , তদন্ত সংক্রান্ত , অর্থাৎ মানুষকে
হেনস্থা ও শায়েস্তা ,কিংবা নিয়ম ভেঙ্গে সুবিধা
দেয়ার ক্ষমতা রাখেন এমন সব কাজে
নিয়োজিতরাই কেবল ঘুষ নিতে পারেন ।
অন্যরা একই অফিসে চাকুরী করলেও ঘুষ
গ্রহনকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের কর্মকান্ড
তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না ।

তাই যে সমস্ত ছেলে মেয়েদের বাবারা
ঘুষ খান এবং সে সমস্ত ছেলেমেয়েরা
তার বাবার ঘুষ খাওয়া নিয়ে লজ্জা প্রকাশ
না করে বরং বাবা বড় মাপের ঘুষ খাওয়ার
ক্ষমতা রাখেন বলে গর্ব বোধ করে সেসমস্ত
ছেলেমেয়েদেরকে তার সহপাঠিরা
প্রকাশ্যই ঘৃণা ও তাচ্ছিল দেখাতে পারে।
তাতে করে হয়তবা ঘুষখোর পিতার
সন্তানদের মনে হীনমনতা বোধ জাগ্রত হয়ে
তার বাবাকে ঘুষ খাওয়া হতে বিরত রাখার
জন্য কিছুটা ভুমিকা পালন করতে পারে ।

একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর কাব্য কারে
লিখে সমাজের সকলের মাঝে ঘুষের বিপক্ষে
সচেতনতা সৃজনের প্রয়াস নেয়ার জন্য
রইল ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই, শুরুতেই ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিন ঘুষ সংক্রান্ত একটা বাস্তবচিত্র তুলে ধরার জন্য। এ পোস্ট আলোকিত ও সমৃদ্ধ হলো আপনার কমেন্টে।

ঘুষ বা দুর্নীতির ব্যাপারটা শুধু সরকারি অফিসেই সীমিত না। আর এটা শুধু 'অফিসে'ও সীমিত নেই। কাজের উদ্দেশ্যে অন্যের দ্বারস্থ হতে গেলেই আপনাকে 'ঘুষের' কথা ভাবতে হবে। গ্রাম্য সালিশিতেও শোনা যায়, 'অমুকে' টাকা খাইয়া বিবাদীকে জিতাইয়া দিছে। একটা হাসপাতালে সিট পেতে গেলেও দালালের খপ্পরে পড়তে হয়। আসলে, অনেক কিছুই আমি লিখতে চাইছি, কিন্তু লিখতে পারছি না।

একজন ব্যক্তি চাকরি করে কত টাকা উপার্জন করতে পারেন? বাংলাদেশের পে-স্কেল তো আর গোপনীয় জিনিস না, এটা সবাই জানেন। যার সর্বসাকুল্যে বেতন আসে ৪০ হাজার টাকা, এই টাকার বেতনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ভাড়ায় থাকা যায় না, ছেলেমেয়েদের বিদেশে কেন, দেশেও শহরের স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করানো যায় না। কিন্তু, বাস্তবে ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকতদের সম্পত্তির অভাব নাই।

আমাদের নৈতিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে নেমে গেছে - সন্তানরা গর্ব করে বাবার সততা ও কর্মদক্ষতা নিয়ে নয়, বাবা কী পরিমাণ ঘুষ আহোরণ করেন, তা নিয়ে। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর করার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। সমাজের সবাই দূষিত না, অনেকেই বলেন 'ভালো'র সংখ্যাই বেশি। তাই যদি হয়ে থাকে, তবে এটা খুব আশার কথা। এই ভালোদেরই এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা ও এড়িয়ে চলতে হবে। তারাই সমাজের অস্পৃশ্য, তাদের মধ্যে এই ধারণাটা সার্থকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে কাজটা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

আবারো ধন্যবাদ প্রিয় আলী ভাই। শুভেচ্ছা।

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

শোভন শামস বলেছেন: আরো বেশি লিখে যান, শুভ কামনা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন শামস ভাই। শুভেচ্ছা।

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষের যুক্তি হিসাবে বলতে শুনেছি যে তারা তো পরামর্শ ( consultancy) বাবদ টাকা নিচ্ছেন। শুনেছি যে ঘুষখোর বলছে যে ভাই এত দেরী করছেন কেন, আমার শরম লাগছে না আর আপনি শরমে মরছেন। এক মহিলা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টাকা নেয়ার সময় বলেছেন, তাদের চাকরী জীবনের শুরুতে তাদের সিনিয়ররা বলেছেন যে যদি কেউ স্বেচ্ছায় টাকা দেয় তবে নিবেন। আমি অনেক অত্যন্ত মেধাবী ও উঁচু পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানি যাদেরকে কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে দেখলে বিশ্বাস করতে পারবে না যে সে ঘুষ খায়। তাদেরকে দেখলে অভিজাত পরিবারের মানুষ বলে ভ্রম হয়। আমি অনেকের সাথে কয়েক ঘণ্টা গল্প করতে বাধ্য হয়েছি কাজের প্রয়োজনে। দেখেছি যে তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত। তবে আসলে সবই একরকমের ভণ্ডামি। তারা একটা ভালো মানুষীর চাদর দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখেন। তবে এদের কাছে গেলে আমি অনেক সময় হীনমন্যতায় ভুগি তাদের সম্পদের প্রাচুর্যের জন্য। আমি ছা পোষা মানুষ তাদের সাথে আলাপের বিষয়বস্তু অনেক সময় মেলাতে পারি না সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে। তবে মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছে অনেকে যা অবলোকন করার সুযোগ পাননি। ঘুষ হস্তান্তর করা একটা আর্টের মত। সবাই সঠিকভাবে দিতে পারে না। এমনভাবে দিতে হবে যে পাশের টেবিলের লোক পাশে বসে থাকলেও সে টের পাবে না। কাজ করতে না পারার জন্য ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার কথাও জানি। কতটা সৎ চিন্তা করেন। ঘুষের টাকা গুনে নিতেও দেখেছি। ঘুষ কম দিলে এটা নিয়ে তর্ক করতে দেখেছি। ঘুষের ব্যাপারে ছেলে মেয়ে ভেদাভেদ নাই। নারীবাদীরা এটা নিয়ে তৃপ্ত হতে পারেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষের যুক্তি হিসাবে বলতে শুনেছি যে তারা তো পরামর্শ ( consultancy) বাবদ টাকা নিচ্ছেন।
একজন চাকরিজীবী, বিশেষত সরকারি চাকরিজীবীকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭দিনই কর্তব্যরত বলে ধরা হয়। বেতন স্কেলে বর্ণিত বেতন-ভাতা এবং প্রাধিকারভুক্ত অন্যান্য ভাতা/বেতন, যা রেগুলেশনস, রুলস, বা ল দ্বারা অনুমোধিত/বৈধ/প্রাধিকৃত, এর বাইরে সমস্ত 'উপরি' আদায় হলো অবৈধ। উনারে কনসাল্ট্যান্ট হিসাবে কি সরকার নিয়োগ দিয়েছিল? এগুলো হলো 'হারাম' খাওয়ার রাস্তাটাকে কোনোমতে বৈধ বলে চালিয়ে দেয়ার একটা ধান্ধা, আর কিছু না।

একদম বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ আপনার কমেন্টটি এ পোস্টের আরেকটা মূল্যবান সংযোজন। ঘুষ খাইতে খাইতে জিভটা দেখেন কত লম্বা হইয়া গেছে, আর চোখে তো লজ্জার মাথা খাইয়া বইসা আছে সেই পূর্ব জনম থেকেই।

আসলে, আপনার কমেন্ট পড়ে ঘুষ পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিষ্কার একটা ধারণা পাওয়া গেল। রন্ধ্রে রন্ধ্রে পচনের বীজ ছড়িয়ে গেছে। সত্যিই বাকহারা।

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
শিক্ষনীয় ও মজার কবিতা ।
মন্দ হোক ভালো হোক বাবা আমার বাবা পৃথিবীতে বাবার
মত আর আছে কে-বা .....

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যিই আপু, পৃথিবীতে বাবা বা মায়ের মতো আর কেউ নেই। তবে, আমাদের অতিরিক্ত চাহিদার চাপে বাবা যেন কোনো অসৎ উপার্জনে আসক্ত না হয়ে পড়েন, আমাদেরকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বাবার আয় যাই হোক না কেন, আমাদেরকে সেই আয়ের মধ্যেই জীবন যাপন করতে হবে।

ভালো থাকবেন আপু।

২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: শুভকামনা

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জন্যও শুভ কামনা।

২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: বাসার চাপেই বেশিরভাগ পুরুষ ঘূষ খান। তবে এইজন্য এরাও দায়ী। বিয়ে করার সময় হুশ থাকে না। বড়লোক বাপের ট্রিপল সুন্দরী মেয়ে নাহলে চলবে না। বিয়ের পর এইমেয়ে চাহিদ পূরণ করতে যেয়ে নিজের সব কিছু বিসর্জন দিতে হয় । থকন আর নাও করতে পারে না।
খোজ নিয়ে দেখুন বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর বাবা কি করেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাসার চাপেই বেশিরভাগ পুরুষ ঘূষ খান। তবে এইজন্য এরাও দায়ী। বিয়ে করার সময় হুশ থাকে না। বড়লোক বাপের ট্রিপল সুন্দরী মেয়ে নাহলে চলবে না। আজকের সমাজ থেকে নেয়া একদম জ্বলন্ত উদাহরণ। অনেক মেয়ে বিয়ের আগে হবু বরের সাথে রীতিমতো দাম-দস্তুরও করে, মাসের শুরুতে তাকে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট হাতে তুলে দিতে হবে। চিন্তা করেন অবস্থাটা! ঐ ব্যাটা বেতন কত পায়, সেটা কোনো ফ্যাক্টর না, তাকে ঐ পরিমাণ টাকা দিতেই হবে। তো, ঘুষ না খাইয়া তেনি ঐ টাকা কই থেকে পয়দা করিবেন?

খোজ নিয়ে দেখুন বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর বাবা কি করেন? :( :( :(

চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় যুনাইদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঘটনা কি? কোনো লাইনোর সাথে কোনো ছন্দমিল পেলাম না.....মিল টিলও কি ঘুষের সাথে চলে গেলো?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গোমরটা তাহলে ফাঁস করে দিলেন!!! আদতেই তো, লাইনের শেষে কোনো মিল নাই :(

এতে কোনো অন্ত্যমিল বা অন্ত্যানুপ্রাস রাখা হয় নি, 'অমিত্রাক্ষর ছন্দ' বলতে পারেন। এখানে যে-ছন্দটা ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম 'স্বরবৃত্ত ছন্দ'। প্রতি লাইনে দুইটা করে পর্ব আছে, প্রতি পর্বে ৪ মাত্রা। অন্য প্রধান আরো দুটো ছন্দ আছে, যার নাম মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত।

মাথায় আর জট পাকাইয়া দিতে চাই না। ছদের উপর একটা পোস্ট আছে, যদি কখনো কোনো কাজ না থাকে, কেবল তখনই ঐ পোস্টে হানা দিতে পারেন। বাংলা কবিতার ছন্দ

শুভেচ্ছা পদ্ম পুকুর ভাই।

২৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই। শুভেচ্ছা।

২৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১

করুণাধারা বলেছেন: মনে হচ্ছে কোন ঘুষখোর মেয়েকে দেখে আপনার মাথায় এই কবিতা এসেছে! কবিতা চমৎকার হয়েছে, তবে ঘুষখোরের মেয়েরাই যে শুধু বাবাকে ঘুষ খেতে উদ্বুদ্ধ করে তা ঠিক না, আমি অনেক ছেলেকে দেখেছি ঘুষখোর বাবার অবৈধ টাকায় বিলাসিতা করতে। আমার পরিচিত এক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেই সহপাঠী মেয়েকে বিয়ে করে, গয়না দিল ২০০ ভরি...

তাছাড়া এখন ঘুষখোর কে আমরা আর ঘৃনাও তো করি না তেমন!!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনে হচ্ছে কোন ঘুষখোর মেয়েকে দেখে আপনার মাথায় এই কবিতা এসেছে! দিস ইস সিমপ্লি এ ব্রিলিয়ান্ট গেস, আই মাস্ট সেয়্‌। বাট, 'মেয়ে'টা প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কমেন্টগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'সন্তান' হিসাবে। সবাই সন্তান ধরে নিয়েই মতামত দিচ্ছেন।


তাছাড়া এখন ঘুষখোর কে আমরা আর ঘৃনাও তো করি না তেমন!!! এটা চরম বলেছেন আপু। যখন সবাই ঘুষ আর দুর্নীতিতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে মুষ্টিমেয় কিছু লোক ছাড়া, তখন বস্তুত লজ্জা পাওয়ার কেউ থাকবেও না। আর সত্যিই, এটা এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। কেউ যখন এটাকে 'স্পিড মানি' হিসাবে বৈধ করে দেয়, তখন আর লজ্জা বা ভয়ের কিছু থাকে না।

'কবিতা' চমৎকার হয়েছে বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা।

২৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এটা ঘুষ খোর বাবা না। এই বাবা হচ্ছে কমিশন খোর, প্রকল্পের সব কিছু থেকেই আলাদা আলাদা করে কমিশন নেয়!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমিশন - ঘুষের একটা প্রতিশব্দ, বা 'বৈধ' শব্দ, কিংবা ঘুষের একটা ভিন্ন শাখাও বলা যায়। ভদ্রভাষাও বলা যায়।

২৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: ঠিকই, মাথায় জট পােকিয়ে যাচ্ছে.... এমনিতে কি সব লিখি (৬ নম্বর মন্তব্য) তার কোনো মাথামুন্ডু নেই, এর উপর আরও জট পাকালে খবর আছে..... । যাকগে, নভোনীলের নভো যে আপনার নামে সমন জারি করেছে, দেখেছেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ভালো লেখেন আপনি। সমন জারি দেখার পর ধুলো আত্মগোপনে। খবর রয়টার্স, এপি, সিএনএন, স্যামব্লগস ও বিএসএস

২৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঘুষখোরের মেয়ে নিজে ঘুষ না নিলেও ঘুষখোর হয়ে যায় ঘুষের টাকায় খেয়ে খেয়ে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানেই কবিতাটির নামকরণ সার্থক হয়েছে :) ধন্যবাদ নামকরণের সার্থকতা আইডেন্টিফাই করার জন্য।

৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যি কথাগুলোর মালা গেঁথেছেন সুপ্রিয়, খুব সুন্দর। এমনটা যদি প্রতিটি ঘরে ঘরে হতে পারে তো দুর্নীতির শিকড়সমেত নির্মূল হতে বাধ্য।

বাপের ক্ষমতায় সবাই বড়াই করেনা, কেবল বাস্তবজ্ঞানহীন কুসন্তান'রাই বাপের ক্ষমতা অপব্যবহার করে বেড়ায়, যা ধীরে ধীরে একদিন তাকে ক্ষমতাহীন করে দেয়।

বাবা সবার কাছেই রিয়েল হিরো হয়ে থাকে, কেউ কখনো বাবার কাজের ভালোমন্দ যাচাই-বাছাই করার কথা ভাবেই না কখনো।

৩১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৩

মা.হাসান বলেছেন: শুধু মেয়েরাই? ছেলেরা না? করুনাধারা আপা ছাড়া আর কেউ যে কিছু বললো না। আমি তো ভেবেছিলাম সবাই ধুয়ে দেবে। B-)) যাক, ধোয়ার চেয়ে ঘুষকে না বলাই সবাই প্রিফার করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.