নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১৯৮৪ সালের ২৭ নভেম্বর। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে দিনটির কথা। বাংলার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন, যা হাজার বছরেও একবার আসে না। ঐদিন বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে যেভাবে নিজেকে এক মহিমান্বিত জাতি হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, আর তার পেছনে যে যুবকের অসামান্য অবদান ছিল, আজ সেই কাহিনি আবার নতুন করে আপনাদের মনে করিয়ে দিব।
১৯৮৪ সালে বিগত ১৪ বছরের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড ৮৯৩ নম্বর পেয়ে এসএসসি পাশ করার পর ঢাকা কলেজে ভর্তি হলাম। সায়েন্স গ্রুপ, সেকশন-সি, রুল নাম্বার ৫৭। নর্থ হোস্টেল, ১০১ নাম্বার রুম। অ্যাডমিশন টেস্টে আমরা ৩৬৬ জন ছাত্র সিলেক্টেড হয়েছিলাম (আমাকে অ্যাডিমিশন টেস্ট দিতে হয় নি), যদিও সায়েন্স গ্রুপ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম প্রায় হাজারের কাছাকাছি। সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পর আমরা একে অপরের রোল নাম্বার জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতাম, সে অ্যাডমিশন টেস্টে কোয়ালিফাই করে ভর্তি হয়েছে, নাকি মামা-চাচা-খালুর জোরে টিসি নিয়ে এসে ভর্তি হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সেই সময়ে ঢাকা কলেজই ছিল এক এবং অদ্বিতীয় সেরা কলেজ সারা বাংলাদেশে।
আমাদের ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। অ্যাডমিশন কমপ্লিট করে সদর ঘাটে যেয়ে লঞ্চে করে বাড়ি চলে গেলাম।
বাড়িতে যাওয়ার ৩দিনের মাথায় হঠাৎ দেখি থানা থেকে ওসি সাহেব, সাথে ৩জন স্টাফসহ আমাদের বাড়িতে এসে হাজির। আমরা তো একটু ভয় পেয়ে গেলাম- ব্যাপার কী! আমাদের চোখেমুখে ভয়ের আভাস দেখে ওসি সাহেব হেসে দিয়ে বললেন, নিশ্চয়ই তোমার নাম খলিল!
আমি ঢোক গিলতে গিলতে কোনোরকমে বুক হালকা হয়ে যায়। এবং হাঁফ ছেড়ে বলি, জি স্যার, আমিই খলিল।
ওসি সাহেব আমার মা আর বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনাদের ছেলের জন্য আমরাও গর্বিত। আপনার ছেলে যে এতবড়ো ফুটবল খেলোয়াড়, এজন্য দোহার থানার ওসি হিসাবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এরপর ব্যাপারটা খুলে বলার পর আনন্দে আমি লাফিয়ে উঠলাম। আমার বাবা-মাও খুব খুশি। গ্রামের মাদবর সাহেব এসেছিলেন, আনন্দে তারও চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আমি সেই ছোটোবেলা থেকেই ফুটবল খেলি। আমার ফুটবল খেলা দেখে স্কুলের শিক্ষকগণ, এলাকার মানুষ বলতেন, আমিই বাংলাদেশের ম্যারাডোনা। আমার কারণে আমাদের স্কুল পর পর তিন বছর থানা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ছিল। জেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়নশিপে আমি ছিলাম ঢাকা জেলা টিমের টিম ক্যাপ্টেন, ২ বছর ধরে। ২ বছর তখনো পর্যন্ত কেউ টিম ক্যাপ্টেন থাকতে পারে নি, আমি রেকর্ড করেছিলাম। দুবার আমি শ্রেষ্ঠ প্লেয়ার হয়েছিলাম।
নভেম্বরের ২৫ তারিখে আন্ডার এইটিন (১৮ মাইনাস) আর্জেন্টাইন টিম বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশের আন্ডার এইটিন টিমের সাথে আর্জেন্টিনা টিমের খেলা হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আমাকে টিম ক্যাপ্টেন নির্বাচন করেছে। পরশু থেকে ক্যাম্পিং শুরু হবে, এবং সেটা হবে আমাদের ঢাকা কলেজের মাঠে। আগামীকাল সাড়ে দশটায় হেলিকপ্টার আসবে আমাকে নেয়ার জন্য। সকাল ১০টার মধ্যেই আমাকে থানা সদরের হেলিপ্যাডে উপস্থিত থাকতে হবে। এ সংবাদটা সত্যিই শুধু আমার জন্য না, পুরো গ্রামবাসী, আমাদের দোহার থানা, সর্বোপরি ঢাকা জেলার জন্য ছিল সম্মান ও গৌরবের।
পরের দিন হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা চলে আসি। মাননীয় এমপি মহোদয় এলেন আমাকে সি-অফ করার জন্য। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন- তুমি আমাদের এলাকার গর্ব। দেশের গর্ব। তুমি আমাদের আগামীর ম্যারাডোনা।
হেলি কপ্টার ভ্রমণটা রোমাঞ্চকর ছিল। যদিও ওটা ছিল হেলিকপ্টারে আমার ৫ম ভ্রমণ। এর আগে একবার চট্টগ্রাম এবং দু’বার খুলনা স্টেডিয়ামে খেলার জন্য আমাদেরকে এমআই -১৪ হেলিকপ্টারে করে নেয়া হয়েছিল। একবার জাতীয় পর্যায়ে আমাদের টিম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পুরা টিমকে প্রেসিডেন্টের সাথে একেবারে উত্তর থেকে যমুনা নদীরেখা বরাবর দক্ষিণ দিকে, অতঃপর পদ্মা নদীর উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্লেজার ট্রিপ দেয়া হয়েছিল। সেটা একটা স্মরণীয় আকাশভ্রমণ ছিল।
ক্যাম্পে এসে দেখি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের ঢাকা কলেজ থেকে আরো একজন ছাত্র টিমে আছে। সে অবশ্য সেকেন্ড ইয়ারের। দলে মোট ৩৩জন ছাত্র। এর মধ্যে ঢাকা শহরের কলেজগুলো থেকেই সর্বাধিক ২১জন।
দল নির্বাচনের ভার দেয়া হয়েছে কোচ এবং আমাকে। কোচ একজন ব্রাজিলিয়ান। তিনি অবশ্য জাতীয় দলের কোচ, তবে এই ইভেন্টের জন্য তাকে স্পেশিয়ালি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আমাদের রাতদিন কঠোর অনুশীলন করতে হচ্ছে। ভোরে উঠে প্রথমে ১০ মিনিটের স্ট্রেচিং, এরপর ৭কিলোমিটার দৌড় ও জগিং, তারপর পাক্কা ৩০ মিনিট ফিল্ড এক্সারসাইজ করার পর পায়ে ফুটবল দেয়া হয়। তবে, কোচের সাথে আমাকেও কোচিং করাতে হয়। কারণ, কোচের ব্রাজিলিয়ান ভাষাটা সবাই বুঝতে পারে না। আর আমি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচাইতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হওয়ায় সবাই আমার টিচিংটাই আশা করে এবং ভালোবাসে।
আমরা পুরো টিমকে দুইভাগে ভাগ করে প্রতিদিন ৯০ মিনিটের পরিবর্তে ১৪০ মিনিটের খেলা খেলতে শুরু করলাম, মাঝখানে ২০ মিনিটের বিরতি দিয়ে প্রতি হাফে ৬০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা করে খেলা। এতে আমাদের স্টেমিনা বাড়বে। এই ইউনিক ও ম্যাভেরিক আইডিয়াটা অবশ্য আমার ছোটো ভাইয়ের, যা আমার পছন্দ হওয়ায় টিমের জন্য কাজে লাগাই।
আমাদের অনুশীলন চলতে থাকলো পুরোদমে। আমার শরীর আগের যে-কোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি ফিট। প্রতিদিনই আমি একাই ৬/৭টা করে গোল দিই এবং আমার টিমই প্রতিদিন জিততে থাকলো। এই সময় কিছু মজার ঘটনা ঘটলো। আমার খেলা দেখে অনেকেই খুব মুগ্ধ হতো। ক্লাস ও হোস্টেল থেকে ছাত্ররা মাঠে এসে খেলা দেখতো। শিক্ষকদের জন্য গ্যালারিতে বসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্যার ও ম্যাডামরা এসে খেলা দেখেন। আমি অবাক হতাম, সবাই আমার খেলা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। আমি কখনো কখনো মাঠ থেকে বিশ্রাম নিই। ঐ সময় দর্শকরা খেলা দেখা ছেড়ে চলে যায়, হতাশ হয়ে। আমি যদি আবার মাঠে নামি, দেখা যায় দর্শকরা আবার ফিরে এসেছে।
একবার এক মজার কাণ্ড ঘটলো। দেখলাম, ইডেন কলেজ থেকে বেশ কয়েকটা মেয়ে এসেছে খেলা দেখার জন্য। তারা সবাই শিক্ষকদের গ্যালারিতে একপাশে বসেছে। খেলার বিরতির সময় আরো অবাক হলাম। দেখলাম মাঝারি গড়নের শ্যামলা মতো (কিন্তু খুব আকর্ষণীয়া) একটা মেয়ে মুখে হাসি ছড়িয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। কাছে আসতেই আমি বিস্ময়ে হতবাক- এ দেখি আমাদের ক্লাসমেট সোহানা সাজি! আমরা একই স্কুলে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা কলেজে শুধু ছেলেরা পড়তে পারে বলে সোহানা এত মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে পারে নাই। যাই হোক, সোহানাকে দেখে খুব ভালো লাগলো। খেলা দেখা শেষ করে আমরা অবশ্য বলাকা সিনেমা হলে গিয়ে একটা সিনেমা দেখেছিলাম- সিনেমার নাম ছিল ‘দিন যায় কথা থাকে’।
যথাসময়ে আর্জেন্টাইন টিম বাংলাদেশে এলো। ক্রীড়ামন্ত্রী মহোদয় এয়ারপোর্টে গেলেন তাদের রিসিভ করতে। মন্ত্রী মহোদয় বললেন, আমাকেও তার সাথে যেতে হবে। এয়ারপোর্টের লাউঞ্জেই দুই টিমের দুই ক্যাপ্টেনের সাক্ষাৎ হয়ে গেলে তারা পরস্পরকে চিনতে পারবে, আই’স ব্রেকিংও হবে।
আমরা আগেই খবর পেয়েছিলাম, টিমের সাথে ম্যারাডোনা আসছেন। ম্যারাডোনা তখনো এত নামকরা হন নাই। কিন্তু, তাকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ চিনতো।
ঐ টিমে মোট ২৩জন ছিলেন ম্যারাডোনা সহ। ম্যারাডোনার সাথে পরিচিত হয়ে তখন যদিও এতটা উচ্ছ্বসিত হই নি, কিন্তু তিনি যখন বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় হয়ে গেলেন, তখন তার সাথে তোলা আমার ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। নিজেকে খুব সৌভাগ্যমান মনে হতো।
আর্জেন্টিনার সাথে একটা ওয়ার্মআপ ম্যাচ হবে, মাত্র ১৫ মিনিটের ম্যাচ। মাঠের মাপ হবে আবার প্রচলিত মাপের অর্ধেক – ৬০ ফিট বাই ৪০ ফিট। কিন্তু গোলপোস্ট হবে প্রচলিত মাপের চাইতে দেড়্গুণ বড়ো।
এই ১৫ মিনিটের ম্যাচটাই ছিল আমাদের ফাইনাল খেলার মিনিয়েচার ভার্সন। প্রথম সাড়ে তিন মিনিটের মাথায় আমি গোল করি। এরপর গোল করে আর্জেন্টিনা। শোধ করি মাত্র ১৩ সেকেন্ডের মাথায়, তবে এই গোলটা করে আমাদের কলেজের একটা ছেলে, হাসান। এরপর খেলা জমে উঠলো। আমার পা যেন জাদুকরের পা হয়ে গেল। পায়ের জাদুতে আমি একাই ৪টা গোল করি। বাংলাদেশ জিতে গেল ৯-৪ গোলে। মাঠ ছোটো হওয়ায় এবং গোলপোস্ট বড়ো হওয়ায় গোলের সংখ্যা বেশি হয়েছিল।
ওয়ার্ম আপ ম্যাচে আমাদের জয় দেখে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই যে, খেলায় আমাদের জয় নিশ্চিত।
আগামী পরশু ফাইনাল। আজ সকালে আমাদের ফাইনাল এক্সারসাইজ ও প্র্যাকটিস। আগামীকাল সকালে পূর্ণ বিশ্রাম, বিকালে হালকা প্র্যাক্টিস।
আমরা দুই দলে ভাগ হয়ে কম্পিটিশন শুরু করি। এ পর্যন্ত প্রতিটি প্র্যাক্টিস ম্যাচেই আমি ৬/৭টা করে গোল করেছি। আজ আমি টার্গেট করলাম গোল করবো ১০টা। সেই টার্গেট নিয়েই খেলা শুরু করলাম। ও, আজ হবে ৪৫ + ১৫ + ৪৫ মিনিটের খেলা। আমি ফার্স্ট হাফেই ৬টা দিয়ে ফেললাম। নরমালি সেকেন্ড হাফে স্টেমিনা কমে যায়, তবু ভাবলাম ৪টা গোল আশা করি দেয়া যাবে। সেই ইচ্ছা নিয়েই সেকেন্ড হাফ শুরু করলাম।
খেলছি। বল নিয়ে ছুটছি ডি-এর দিকে। ছুটছি- গ্যালারিতে দর্শকরা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে। ঠিক ঐ মুহূর্তে গোলকিপার সামনে এগিয়ে আসে, আর ওর ডান পায়ের একটা কিক এসে লাগে আমার তলপেট বরাবর। প্রচণ্ড ব্যথা পেয়ে বিকট চিৎকারে আমি মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেতে থাকি। যখন আমার হুঁশ হয়, দেখি ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে আমাকে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পাশে মহামান্য প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ক্রীড়ামন্ত্রীসহ আরো অনেকে, যাদের আমি চিনলাম না। এর মধ্যে আমাদের প্রিন্সিপালও ছিলেন।
আমার খুব কষ্ট লাগতে লাগলো- ব্যথার জন্য না, আমি যে ইনজিউর্ড হয়ে গেলাম, সেজন্য। আমি কি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবো? পরশুদিন খেলা। আমি কি খেলতে পারবো?
আমাকে ডাক্তারগণ অনেক উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে ভালো করে তুললেন। কিন্তু ফিজিও থেরাপিস্ট ও কোচ আমার কিছু টেস্ট নিতে গেলে দেখা গেল, আমার শরীর পুরোটাই আনফিট। কষ্টে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করলো। এই ঐতিহাসিক খেলায় আমি খেলতে পারবো না? এত যত্নে তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজের দক্ষতা এ দেশের মানুষ, বিশ্ববাসীকে তাহলে দেখানো যাবে না?
বিকেল ৩টায় খেলা শুরু হবে। আমরা ২টার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়লাম। গ্যালারি থইথই করছে দর্শকে। আমি অভিভূত হলাম একটা দৃশ্যে- দর্শকদের হাতে প্লাকার্ড। প্লাকার্ডে আমার নাম আর ছবি। আমার চোখে পানি চলে এলো। হায়, আজ আমি খেলতে পারলে দর্শকরা কতই না আনন্দ পেত। অথচ তারা কেউ জানে না, আমি আহত হয়ে মাঠের বাইরে থাকবো।
সেদিন আমেরিকা, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চায়না, ব্রিটেনসহ পৃথিবীর ৪৩টা দেশে ঐ খেলা লাইভ টেলিকাস্ট করা হয়েছিল।
যথাসময়ে খেলা শুরু হলো। কিন্তু শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা আমাদের টিমকে কোণঠাসা করে রাখলো। আমি ঘামছিলাম- এই বুঝি আমাদের টিম গোল খেয়ে গেল। আমরা হাফ মাঠ পেরিয়ে একবারও ওদের দিকে অ্যাটাকে যেতে পারছিলাম না। এমন সময় পুরো মাঠ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেল – ২২ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশ ১ম গোল খেয়ে বসলো। একি হায়, ঠিক এর ৩ মিনিটের মাথায় ২য় গোল, আরও ৫ মিনিটের মাথায় ৩য় গোল এবং হাফ টাইম যখন শেষ হলো, তখন আমরা ৮ গোল খেয়ে বসে আছি। গ্যালারির দর্শকরা লজ্জায়, ক্ষোভে, দুঃখে গালিগালাজ শুরু করে দিয়েছে।
সেকেন্ড হাফ শুরু করার পর আমাদের খেলোয়াড়রা নেতিয়ে গেলো। মাত্র ৭ মিনিটে তারা আরো ৩টি গোল খেয়ে মোট ১১ গোলে পেট ভরে ফেললো।
এই সময়ে হয়ে মরে যেতে হয়, অথবা জীবন পণ রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। আমি দ্রুত রেডি হয়ে কোচ এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকে বললাম, আমাকে প্লিজ অনুমতি দিন। আমি মাঠে নামবো। তারা বোধহয় আমার এ কথাটা শোনার জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন। আমাকে অনুমতি দেয়া মাত্র আমি বদলি খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নামি, আর পুরো স্টেডিয়াম যেন আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়ে আমাকে ওয়েলকাম জানালো।
আমার শরীরে যেন কিছুই হয় নাই, অতীতের যে-কোনো সময়ের চাইতে হালকা ও ফিট। আমি বাতাসের বেগে উড়ে চলি। আমার পায়ে বল এলে কেউ আটকে রাখতে পারছে না। ঠিক আড়াই মিনিটের মাথায় আমি আর্জেন্টিনার গোল কিপারকে তাজ্জব করে দিয়ে জালে বল ঢুকিয়ে দিই। পুরো গ্যালারি যেন ফেটে পড়লো। বাংলাদেশ-১, আর্জেন্টিনা ১১। ২য় গোলটা আমি বানিয়ে দিই এবং তমাল সেটা গোল করে। তাও ৭ মিনিটের মাথায়। ৩য় গোলটাও আমি বানিয়ে দিই, এবং সেটি গোল করে জহির নামক একটা ছেলে।
ইতিমধ্যে আর্জেন্টিনার টিম আউলিয়ে গেছে। পাঠক, আপনারাও চূড়ান্ত ফল কী হয়েছিল বুঝে গেছেন। হ্যাঁ, আমরা এরপর একে একে ৭টা গোল করি, যার মধ্যে আমার বানানো ছিল ২টা, আর আমি নিজে করেছি ৪টা। খেলা শেষ হতে আর মাত্র ৩ মিনিট বাকি আছে। স্কোর লাইন বাংলাদেশ ১০, আর্জেন্টিনা-১১। আমরা মরিয়া হয়ে উঠেছি আরেকটা গোল দিয়ে অন্তত ড্র করতে, ঠিক এই মুহূর্তে আমাদের ভুলের কারণে আমরা ১টা গোল খেয়ে বসি, পুরো স্টেডিয়াম হতবাক। হতবাক আমাদের প্লেয়াররা। কিন্তু আমি দমে যাবার ছেলে নই।
খেলার নির্দিষ্ট সময় শেষ। ইনজুরি টাইম দেয়া হয়েছে ৪ মিনিট। জীবন মরণ পণ করে আমি বল নিয়ে ছুটতে থাকলাম। ঝড়ের বেগে ছুটছি। সবাইকে কাটিয়ে, চোখ ফাঁকি দিয়ে ডি-এর প্রায় ১৫ গজ বাইরে থেকে লং শট একটা নিলাম- গোল। গোল। আমি দ্রুত দৌড়ে গিয়ে বল সেন্টারে এনে বসাই। ওরা একটু টাইম লস করতে চাইছিল। মেক্সিকান রেফারি ওদের ওয়ার্নিং দেয়ায় জলদি খেলা শুরু করে। আমি ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোঁ দৌড় দিই গোলপোস্টের দিকে। আগের শটের ঠিক রিপিট শট করি, আর জাদুকরি শটে গোল হয়ে যায়। ব্যস, স্কোর এখন লেভেলে। ১২-১২। আন্দাজ করি আর হয়ত ১ মিনিট, বড়োজোর দেড় মিনিট সময় বাকি আছে। আপনারা যারা সেই সময়ে স্যাটেলাইটে খেলাটা দেখেছিলেন, কিংবা পরে যারা রেকর্ডেড খেলা দেখেছেন, কিংবা খবরে বা রেকর্ডবুকে পড়েছেন, তারা জানেন, সেই দেড় মিনিট সময়ে আমি দুইটা গোল দিয়ে বাংলাদেশকে এক অভূতপূর্ব, ঐতিহাসিক জয় উপহার দিয়েছিলাম। সারা স্টেডিয়াম, সারা দেশ আনন্দে টগবগ টগবগ করে ফুটছিল। আনন্দের জোয়ারে সারা দেশ ভেসে যাচ্ছিল। সেই খেলাটা, বিশেষ করে আমার পায়ের জাদু দেখে সারা বিশ্ব এতই মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছিল যে, খেলাটা একমাস ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে অনেকগুলো দেশে দেখানো হয়েছিল।
গ্যালারি থেকে দর্শকরা তারের বেড়া ভেঙে মাঠে নেমে এসেছিল। আমাকে কাঁধে নিয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘুরে বেরিয়েছিল। সারা শহরের মানুষ আমাকে একনজর দেখার জন্য জোয়ারের পানির মতো রাস্তায় নেমে এসেছিল। মেয়েরা রাস্তার দু পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির মতো ফুল ছিটিয়ে দিচ্ছিল আমার শরীরে। এই পর্যায়ে এসে বান্ধবীকে গল্পটা পড়তে দিই। বান্ধবী পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠে বলেন- বাব্বাহ, টকশো দেখতে দেখতে তো দেখি ভালোই চাপা মারার ওস্তাদ হইয়া গেছো। আমি আর কী বলবো - চাপা ছাড়া কি দুনিয়া চলে? চাপা না মারলে তুমি বুঝবে কীভাবে আমার চাপার জোর কত? তারপর বান্ধবীকে বলি, শোনো, আমি চাপা মারি নাই। আমি একটা গল্প বলেছি মাত্র। সবাই এরকম গল্পই বলে, যেগুলো বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গল্পকার নিজে জেনেশুনেই এসব গল্প বলে থাকেন। এ থেকে কিছু মানুষ ভাববে, বাপ রে বাপ, উনি দেখি কত বড়ো পালোয়ান! না জানি কত বড়ো কামেল লোক উনি। কেউ কেউ বাসায় ইঁদুর আর তেলাপোকা মাইরা বেড়ায়- আর ফুটানি মারে- মানুষ আমারে জেমস বন্ড বলে - মানুষ তো আর খামাখা জেমস বন্ড বলে না আমারে। হাহাহা, ঐ হালা ফুডাইন্যায় মনে করে সবাই ওর মতো ভোদাই, ওর ফুডাইন্যাগিরি বুঝি কেউ ধরবার পারে না। কেউ কেউ তৈলবাজি কইরা, মোটা অংকের ঘুষ দিয়া এখানে ওখানে বড়ো চাকরি ধরে, সম্মানের পদ কেড়ে নেয়। তারপর দেখা যায়, তারা সাক্ষাৎ বজ্জাতের হাড্ডি, না তাদের আচরণ ভালো, না জানে কোনো সামাজিকতা; মানুষের পায়ে পাড়া দিয়া করে ঝগড়া, আর কথায় কথায় ফুডানি মারায়, আমি এইডা, আমি ঐডা। ঐ বজ্জাতগুলো নাকি আবার মানুষ গড়ারও কাজ করে। কীভাবে সম্ভব? এগুলো দেখার কি কেউ নাই? শুদ্ধি অভিযান চালাইয়া প্রতিষ্ঠানরে পবিত্র করে না কেন কেউ? ঘুষের টাকায় পাহাড় বানাইয়া, গোপনে প্রকাশ্যে আকাম-কুকাম কইরা চাপা মারে- আমি নিজেরে পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ মনে করি। এই হালার পুতগো ধইরা ধইরা কান টাইন্যা ছিড়া দিতে হবে। গল্প করবি কর, একটু রইয়া সইয়া কর, যাতে মানুষ অন্তত বিশ্বাস করবার পারে এমন গল্প কর। কথায় কথায় কেন এত নিজের ঢোল পিডাইতে হবে? দ্যাশে কি তুমি ছাড়া আর কোনো পণ্ডিত নাই মনে করো? আমি ফেডাপ হইয়া গেলাম – যার সাথেই একটু পরিচয় হয়, তার জ্ঞানের ভাণ্ডার কয় গ্যালাক্সির সমান, তার পদের ওজন কত টন, তার সাহসের পরিমাণ হিমালয়ের চাইতে কয় ফুট উঁচু, এই বুলি দিয়াই বক্তব্য শুরু করে। দম্ভ আর অহঙ্কারে কেউ মাটিতে পাড়া দিতে চায় না। বংশের মর্যাদা, ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া সবকিছু ভাইঙা চুইরা চুরমার কইরা দিতে চায়। কেউ কেউ নিজেরে মুক্তিযোদ্ধা দাবি কইরা বড়ো পদ দখল করে, প্রোমোশন পায়, পরে আবিষ্কৃত হয়, তেনারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এই ‘মুক্তিযোদ্ধা’ নিয়াও চাপা মারতে হবে, মিথ্যা বলতে হবে? অনেকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ কই করেছেন, কার সাথে করেছেন, কবে করেছেন, তার কোনো তথ্য তার জানা নাই। তাদের আচরণ হলো অসামাজিক, মানুষের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে অন্যকে সম্মান দিতে হয়, তা তাদের আচরণে নাই। আমার বিশ্বাস, তারাও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এদের কাজ কারবার দেখে কতক্ষণ স্থির, শান্ত থাকা যায়। তাই, এই মিথ্যা চাপাবাজদের উদ্দেশ্যে বলছি- ওরে বাটপার, ওরে ছিটার, এই হনু, ঐ হনু, কত কিছু হনু- তোদের এই বুলি বন্ধ কর এবং এই ‘কী হনুরে’ তোদের ঘরের কাঁথার নীচে ঢুকাইয়া রাখ। এইখানে এইগুলা ফুডাইবার কইছে কেডা? এইডা কি ফুডানি দেখাইবার জায়গা?
২২ এপ্রিল ২০২১
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্যিই সর্ষেফুল দেখেছেন, নাকি চাপা মারলেন?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: সেপ্টেম্বরে কলেজের ক্লাস শুরু... তাও বিশ্বাস করেছিলাম। এরপর ওসি সাহেব অভিনন্দন জানাতে এলেন, সেটাও বিশ্বাস করলাম আর ভাবলাম এমন কৃতী মানবের সাথে ব্লগিং করছি, আমাকেও একটা অভিনন্দন দেই... খটকা লাগলো অবশ্য বাবা-মা দু'জনের দেখা পেয়ে...
পড়তে পড়তে শেষ পর্যন্ত আসলাম। শেষ কথা গুলো চমৎকার। ভাবছি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সবকিছু বিশ্বাস করে সত্যিই আমায় ধন্য করলেন আপু। আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি
আরো কিছু কৃতি সন্তানকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করিব। আশা করি তাদের কীর্তিগাথা জেনে অনেক অনুপ্রাণিত ও গর্বিত হবেন।
ধন্যবাদ আপু সবকিছু বিশ্বাস করে পড়ার জন্য
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৬
আখেনাটেন বলেছেন:
পুরাই কাঁপায়ে দিয়েছেন। পেথথমে তো মনে করেছিলাম যে, খলিল ভাই তো বিরাট কামেল আদমী। দেশী ম্যারাডোনার...সাথে ব্লগিং করছি। সক্রেটিস, ডেমোক্রেটিস, আর্কিমিডিস, ছফামিডিস, বুদুগিডিসের সাথে সাথে এবার ম্যারাগিডিস মানে ম্যারাডোনার জিগারের সাথে ব্লগিং। ওয়াও.......কিন্তু.....
'ওরে বাটপাড়...ওরে ছিটার.....ওরে ওরে বাটপাড়'...........
শেষের কয়েক লাইনের পাঞ্চটা এক্কেবারে.......কালজয়ীদের জয় হোক। দেশও বর্জ্যের থুক্কু বজ্রের ন্যায় ঔজ্জল্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাক।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
খলিল ভাইরে ভি কাঁপাইয়া দিলেন তো! তেনি তো মনে করেন তেনি সততই কামেল আদমী হ্যায়, তেনার জুড়ি মেলা ভার! কথার শেষে 'কিন্তুক' লাগাইয়া দিয়া তো সেই কাঁপুনি বাড়াইয়া দিলেন ১০গুণ
সক্রেটিস, ডেমোক্রেটিস, আর্কিমিডিস, ছফামিডিস, বুদুগিডিসের সাথে সাথে এবার ম্যারাগিডিস মানে ম্যারাডোনার জিগারের সাথে ব্লগিং। ওয়াও--- আপনার ক্রিয়েটিভ মাইন্ড থেকে বেরোনো নামগুলোও খুব ক্রিয়েটিভ! খুব ভালো লেগেছে। খলিমিডিস, সোনাবিডিস এই তালিকায় যোগ কইরা দেওয়ার আকুল আবেদন রহিল
পাঞ্চটা কীভাবে দেয়া যায়, সেইটা একটা চিন্তার বিষয় ছিল বটে। সব কিছু আলোচনা পর্যালোচনা করে মনে হলো- এটাই উত্তম পন্থা হবে
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আখেনাটেন
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সোহানাটা কে? জিয়া শুরু করেছিল,পরে এরশাদের সময় অনেক তুঘলকি কান্ড হয়েছিল।গল্পে পাঠককে ধরে রাখার আকর্ষণ ছিন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের সোহানা সাজি আমাদের ক্লাসমেট গল্পে পাঠককে ধরে রাখার আকর্ষণ ছিল- এ কথাটায় দারুণ উজ্জীবিত হলাম। অনেক ধন্যবা নুরুলইসলাম ভাই। শুভেচ্ছা।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: পড়তে পড়তে দেখলাম আমিও একটা গোল করেছি। কিন্তু আমি কখনোই স্ট্রাইকার ছিলাম না।গোলকিপিং করেছি সবসময়।স্পটকিকে হয়তো দু-তিনটা গোল করেছি।। সত্যি কথা বলতে লাস্ট প্যারার আগ পর্যন্ত জেনেশুনে সব বিশ্বাস করতে ভালোই লেগেছে। শেষ প্যারার কথাগুলো সঠিক। অনেকেই নিজ যোগ্যতাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমনভাবে বলে যে তা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর নিজেকে হনু ভেবে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা একইসাথে ছোটলোকি আর বোকামি। বোকামি এজন্য যে আত্মম্ভরিতা মানুষকে এমন অবস্থায় নিয়ে যায় যে সে নিজের অবস্থা আর চারপাশের অবস্থা প্রকৃতরূপে নিরূপণ করতে পারে না। যার ফলে তার অতিশীঘ্র পতন ঘটে।
আপনার বান্ধবী যাই বলুক না কেন, গল্পটা কিন্তু ভালো লেগেছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, সিনসিয়ারলি, ঐ গোলটা আপনিই করেছেন গোলকিপিং তো অনেক টাফ জব। সবার পক্ষে সম্ভব না।
সত্যি কথা বলতে লাস্ট প্যারার আগ পর্যন্ত জেনেশুনে সব বিশ্বাস করতে ভালোই লেগেছে।
অনেকেই নিজ যোগ্যতাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমনভাবে বলে যে তা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর নিজেকে হনু ভেবে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা একইসাথে ছোটলোকি আর বোকামি। বোকামি এজন্য যে আত্মম্ভরিতা মানুষকে এমন অবস্থায় নিয়ে যায় যে সে নিজের অবস্থা আর চারপাশের অবস্থা প্রকৃতরূপে নিরূপণ করতে পারে না। যার ফলে তার অতিশীঘ্র পতন ঘটে। একদম ঠিক বলেছেন। কথায় কথায় নিজের ঢোল পেটানোর অভ্যাস হলো অনেকের মজ্জাগত, যেটা আমাকে অনেক বেশি পীড়া দেয়। কেউ তো আবার নিজে কিছুই না, 'বাটপার, ছিটার', কিন্তু বড়াই করে বাবা, চাচা, খালু, মামার। সেটা আরো বেশি বিরক্তিকর।
আপনার বান্ধবী যাই বলুক না কেন, গল্পটা কিন্তু ভালো লেগেছে। অনেক অনুপ্রাণিত। একজন পুরোনো ব্লগার আছেন, সত্য কাহিনি, তার লিংক বের করে একবার শেয়ার করবো নে
ভালো থাকবেন তমাল ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: কঠিন- আমি পড়ছি আর চোখ ডলছি! এটা কি সত্যিই আমাদের খলিল ভাই।
চরম বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপনা। দারুন- হ্যাটস অফ ইউ
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
চরম বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপনা। গোমর ফাঁস করে দিয়া ভুলই করলাম কিনা বুঝতে পারছি না। ১৯৮৪ সালের ঘটনা কয়জনেই বা মনে রাখবে? সেটা বর্ণনা করলে সহজে ধরা যাবে না যে, পুরাটাও চাপা
যাই হোক, আপনি নিজেও একটা দারুণ সিরিজ নিয়া ব্যস্ত আছেন, সেই ব্যস্ততার মধ্যে এটা পড়লেন বলে খুব খুশি হলাম। আমার এটা মগজ থেকে বের না করে কোথাও সরতে পারছিলাম না। মাথা এখন ক্লিয়ার, আপনার সিরিজ পড়তে যাব খুব শিগগির।
ভালো থাকবেন শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ !!
আমাদের সমাজে এসব ই চলছে।
লেখায় ভালোলাগা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১২
সোনালি কাবিন বলেছেন: ওরে ওরে বাটপাড়
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওরে ছিটার
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৭
আল ইফরান বলেছেন: আমি কিন্তু বিশ্বাস করার উদ্দেশ্য নিয়েই পড়া শুরু করেছিলাম। সোহানা পর্যন্ত ঠিক ছিলো, কিন্তু তার পরেই গন্ডগোল লেগে গেলো। বুঝলাম কিছু একটা ঝামেলা আছে।
লেখার মুল ম্যাসেজটা খুবই পরিষ্কার। আমার ক্লাসের ছেলেমেয়েদের সবসময়ই বলি যে পৃথিবীর আদিমতম পাপ হচ্ছে অহংকার। আর এই অহংকার থেকেই মানুষের অন্য সকল পাপের সুচনা। ভালো থাকবেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের ধর্মেও অহঙ্কার না করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। অহঙ্কার পতনের মূল। আর দেখবেন, অহঙ্কারীকে কেউ ভালোও বাসে না। বিনয়ের অনুপস্থিতিই অহঙ্কার। বিনয়ী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাই অহঙ্কারীদের সংখ্যা বাড়ছে।
সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আল ইরফান ভাই।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখার শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলাম লেখার মোড় যে কোনো সময় ঘুরে যাবে।
হলোও তাই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। আপনার কাছে ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। আরেকটা বিষয় হলো, আমার লেখার প্যাটার্ন অনেকটা আপনি জানেন বা বোঝেন।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: এইসবের কোনো মানে হয়
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাই তো! এসবের কী মানে?
পড়েছেন, সেজন্য খুশি এবং ধন্যবাদ আপু।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৯
সিগনেচার নসিব বলেছেন:
সম্প্রতি এই রকম কয়েকটা ঘটনার মুখোমুখি হইছি।
জাতি হিসাবে আমরা এমন মানসিকতা থেকে এখনো বের হতে পারিনি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জাতি হিসাবে আমরা এমন মানসিকতা থেকে এখনো বের হতে পারিনি। দিনে দিনে ফুটানিবাবুদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। ফুটানিতেই যেন যত সুখ। এমন না যে এরা মূর্খ মানুষ। বরং এরা শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত গোষ্ঠিই। আমাদের অহঙ্কার ত্যাগ করতে হবে। বিনয় আমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। সুসম্পর্ক বাড়ায়।
আপনাকে ধন্যবাদ সিগনেচার নসিব ভাই।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ২২শে এপ্রিল ২০২১ রোজ বৃস্পতিবার বগ্লের এক ঐতিহাসিক দিন এই লিখার জন্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
২২শে এপ্রিল ২০২১ রোজ বৃস্পতিবার বগ্লের এক ঐতিহাসিক দিন এই লিখার জন্য। হাহাহাহাহাহাহাহাআহাহাহাহহাহাহাআহাহাহাহাহাহ। দারুণ কমেন্টট্টট্টট্টট্টট্টট্টট্টট্টট্ট
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৫
ডাব্বা বলেছেন: দ্বিতীয় আরেকটি পৌস্টে এই ব্যাখ্যা দিলে ভালো হতো। স্বপ বেঁচে থাকতো। উত্তেজনা থাকতো।
এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতোই ছিল। বিশ্বাসও করছিলাম তবে ফুটবলে লাথি দিয়ে ভালো করেন নি। সেখানেই আপনি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২য় পর্বে দেয়ার প্লান ছিল শুরুতে। পরে সেই প্ল্যান থেকে সরে আসি। কারণ ব্যাখ্যা করেছি ১৭ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাইয়ে
এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতোই ছিল। অনুপ্রাণিত।
বিশ্বাসও করছিলাম তবে ফুটবলে লাথি দিয়ে ভালো করেন নি। সেখানেই আপনি আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। সেকি!! ফুটবল কি তবে লাথি দেয়ার বস্তু না? হাত বা স্টিক দিয়া খেলার বস্তু? নাকি আপনি নিজেই একজন অসাধারণ ফুটবলার, আপনার জগতে হস্তক্ষেপ করা আমার ঠিক হয় নাই
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মিস্টার ডাব্বা। শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঢাকা কলেজ।
খোলা কলেজ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুঝতে একটু সময় লেগেছিল - ঢাকা কলেজ। আবার খোলা কলেজ কী? পরে বুঝলাম, হ্যাঁ, উন্মুক্ত মহাবিদ্যালয়
পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি কিন্তু অনেক কিছুই বিশ্বাস করেছি!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। যাই হোক, অনেক কিছু বিশ্বাস করার জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এমন অতিমানব ফুটবলার বাংলাদেশে থাকতে দেশের ফুটবল কেন এগুলোনা। পড়ে বুঝতে পারলাম শুধু গল্পেই সম্ভব। কাপিয়ে দিয়েছেন ভাই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এমন অতিমানব ফুটবলার বাংলাদেশে থাকতে দেশের ফুটবল কেন এগুলোনা। ঠিক এই কথাটা আমিও ভাবছিলাম এটা পর্বাকারে দেয়ার প্লান ছিল। কিন্তু, এই গল্প পড়ে যে কেউ খোঁজখবর নেয়া শুরু করতো, এই কীর্তিপুরুষের সন্ধানে নেমে পড়তো। সব খোঁজাখুঁজি শেষে পরের পর্বের আগেই দেখায যাইত- বিরাট ফাউল গল্প ফাঁদা হইয়া গেছে
হ্যাঁ, পরের কথাটা ভালো বলেছেন- গল্পেই সম্ভব। অনেকে বাস্তবক্ষেত্রে কিছু করে দেখাইতে না পারলেও চাপার জোরে তা ঠিকই পোষাইয়া দেয়
ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৯
পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার প্রশংসা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
প্রথমদিকে 'ম্যাগনেটিক গল্প' গোগ্রাসে গিলছিলাম পরে পাকা কাঠালের মোতা (মাঝখানের মোটা অংশটি) গলায় আটকে যাওয়ায় হুশ হলো!
দারুন মেসেজ।
ভাল থাকুন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রথমদিকে 'ম্যাগনেটিক গল্প' গোগ্রাসে গিলছিলাম পরে পাকা কাঠালের মোতা (মাঝখানের মোটা অংশটি) গলায় আটকে যাওয়ায় হুশ হলো! দারুন মেসেজ।
যেভাবে উপমা সহযোগে প্রশংসা করলেন, তাতে তো ধন্যাবাদ কীভাবে দিব সেই ভাষা হারাইয়া ফালাইলাম। কীভাবে ধন্যবাদ জানাই?
অনেক অনেক ধন্যবাদ পুলক ঢালী ভাই, এমন কমপ্লিমেন্টের জন্য।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ধুরো, এইডা কিছু হইলো ???? আপ্নেতো ব্লগের ব্যাবাকরে ফুডাইন্যায় পাবলিকরে যা মনে করে, হেইডা বানা্য়া ফালাইছিলেন....
করুণাধারা বলেছেন: সেপ্টেম্বরে কলেজের ক্লাস শুরু... তাও বিশ্বাস করেছিলাম। এরপর ওসি সাহেব অভিনন্দন জানাতে এলেন, সেটাও বিশ্বাস করলাম আর ভাবলাম এমন কৃতী মানবের সাথে ব্লগিং করছি, আমাকেও একটা অভিনন্দন দেই...
আমারও একই দশা!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সেপ্টেম্বরে কলেজের ক্লাস শুরু... তাও বিশ্বাস করেছিলাম। এরপর ওসি সাহেব অভিনন্দন জানাতে এলেন, সেটাও বিশ্বাস করলাম আর ভাবলাম এমন কৃতী মানবের সাথে ব্লগিং করছি, আমাকেও একটা অভিনন্দন দেই...
আমি নিজেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি যে, গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি কেউ কেউ চাপা মারেন, তা কথা শুনলেই বোঝা যায় তবে এটাও সত্য, কারো কারো এক্সপ্রেশন এমনও আছে যে, সত্য কথা বললেও মিথ্যা বা চাপার মতো শোনা যায় তাদের জন্য করুণা
আমার বস একবার জিজ্ঞাসা করেছিলেন, টাঙ্গাইল থেকে মধুপুর যেতে কত সময় লাগে। তো, এটা তো ডিপেন্ড করে বাসের স্পিডের উপর, বাসের টাইপের উপর। একেক বাসে একেক টাইম লাগে। আমি কখনো ১ ঘণ্টায় গিয়েছি, কখনো ৭০ বা ৮০ মিনিট, কখনো ৫০ বা ৫৫ মিনিটেও। আমি বসকে বললাম ১ ঘণ্টা থেকে সোয়া ঘণ্টা লাগবে। আমার এক বিজ্ঞ কলিগ বললো, স্যার, ১ ঘণ্টা ২ মিনিট লাগে বস সেই কলিগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। কারণ, বসের মতে সেই কলিগই সময়ের সূক্ষ্ম হিসাব রেখেছিলেন। তবে, কলিগ যদি আমার মতো ১ ঘণ্টা ১০ বা ২০ মিনিট বলতো, বস সেটা গ্রহণ করতেন বলে মনে হয় না।
আমাদের কলেজ খোলার তারিখ ছিল ২৭ সেপ্টেম্বর, এটা মনে হয় সঠিক, আজ থেকে ৩৭ বছর আগের কথা, তবুও মনে হচ্ছে তারিখটা এটাই ছিল।
যাই হোক, কথায় অকথা বাড়াইয়া ফালাইলাম। এটা অবশ্য চাপা, যা না মারলেও হইত।
ভালো থাকিয়েন আর শুভেচ্ছা নিয়েন।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ্লেখা এমনই হওয়া উচিৎ যা পাঠক গোগ্রাসে গিলতে থাকবে আর এক সময় এসে হোচট খাবে। তবেই না লেখকের স্বার্থকতা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখা এমনই হওয়া উচিৎ যা পাঠক গোগ্রাসে গিলতে থাকবে আর এক সময় এসে হোচট খাবে। সুন্দর একটা কথা বলেছেন গালিব ভাই। ভালো লাগলো। এ লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিয়েন।
২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
গভীর মনযোগ দিয়ে পড়লাম লেখাটা। আপনি গল্পের যাদুতে আটকে রেখেছিলেন।
চমৎকার!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম নকিব ভাই। প্রশংসায়ও যারপরনাই অনুপ্রাণিত। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১২
আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: দিন যায়় , কথা থাকে
মডু কথা দিয়ে কথা রাখলো,
না তিন দিন পরে প্রথম পাতায় এক্সেস দিল না হয়তো মডু আছে সুখে।
দিন যায় কথা থাকে
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে গুরু ভাই। মিস করি আপনার কমেন্টগুলো।
মডুর কাছে আকুল আবেদন রহিল, শীঘ্র আপনাকে যেন প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস দেয়া হয়।
২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৫
আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: নিজের দুঃখের গল্প না বলি।
আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে। আপ্লুত হলাম গুরু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী পড়ে আমিও গৌরাবান্বিত অনুভব করছি আর গান গাইছি......
স্বপন যদি মধুর এমন .......
জাগিও না আমায় জাগিও না .....
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোহানী আপার লাস্ট পোস্টের পর থেকে আমার পুরোনো একটা পোস্ট খুঁজছি ফেইসবুকে। আমাদের আগামী দিনের নোবেল বিজয়ী পণ্ডিত মহাকবি রাকিব আল হাসানের বায়োগ্রাফি পড়ে উদবুদ্ধ হয়ে আমিও আমার বায়োগ্রাফি রচনা করিয়াছিলাম। এটা ২০১৯, নাকি ২০২০, ঠাহর করতে পারছি না। ফেইসবুকের নতুন লে-আউট খুব আউলা ঝাউলা লাগছে, তাই উহা পাচ্ছি না। পাইলে এই মুহূর্তে আপনাকে লিংক দিতাম। আমি নিশ্চিত, উহা পাঠান্তে গর্বে আপনি ঠাডাইয়া কান্না শুরু কইরা দিতেন। সে এক বায়োগ্রাফি লিখিয়াছিলাম বটে।
তো, আপনাদের গৌরবান্বিত করাই আমার মহান ব্রত
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা নিয়েন
২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: গল্পটা ভালো ছিলো কবে যে এমন বাংলাদেশ দেখবো কে জানে। ফুটবল খেলাটা মনে হয় জাদুঘরে তুলে রাখতে হবে। আগে আবহানি মোহামেডান এর খেলা হলে টিভি সেট থেকে উঠতামই না আবোহানী হেরে গেলে মন ভেংগে যেতো, রাগে দুক্ষে লজ্জায় ওই দিন খেলতেই যেতাম না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘরোয়া ফুটবলে বাংলাদেশ অনন্য ছিল। আবাহনী, মোহামেডান ক্রেজ ছিল সারা দেশ জুড়ে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরে যোগ হলেও বাংলাদেশে বেসিক্যালি দল দুটোই - আবাহনী, মোহামেডান। কিন্তু, জাতীয় দল যখন বাইরে খেলতে যায়, গণ্ডগোলটা লাগে তখন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফুটবল এগোতে পারছে না। যখন ফুটবলের এই দুর্দশা, হতাশা, ঠিক ঐ মুহূর্তে ক্রিকেটে জ্বলে ওঠে বাংলাদেশ। ৯৯ ওয়ার্ল্ডকাপের পর থেকে সারা বাংলাদেশ হয়ে গেল ক্রিকেটের দেশ। ফুটবল পড়ে গেল ঢাকা, অবহেলিত হলো। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে যা কিছু অর্জন, তা মূলত ক্রিকেটেই। ফুটবলও শাইন করতে পারছে না, কারণগুলো হয়ত ক্রীড়াবিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে, আপনার কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতে হয়- ফুটবল খেলায় লজ্জা বরণের চাইতে জাদুঘরে রাখাই উত্তম।
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২
ডাব্বা বলেছেন: আমি আমার ইউনিভার্সিটি টিমের গৌলকিপার ছিলাম, দুই বছর। খেলাটাকে বেশি কাছ থেকে দেখেছি, তাই আপনি সেখানে caught হয়েছেন। হাহাহা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি আমার ইউনিভার্সিটি টিমের গৌলকিপার ছিলাম, দুই বছর। তাইলে তো আপনিও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, আই মিন কৃতী সন্তান
খেলাটাকে বেশি কাছ থেকে দেখেছি, তাই আপনি সেখানে caught হয়েছেন। গোলকিপারকে সবচেয়ে বেশি কাছে থেকে খেলা দেখতে হয় আর আপনিই তো ওয়ার্ম আপ ম্যাচে আমাকে 'ফাউল কিক' করে ধরাশায়ী করলেন! কিন্তু দেখুন আমার তেজ, ফাইনাল ডে-তে ঠিকই ঝাড়া দিয়া মাঠে নামলাম। ১৮(-) আর্জেন্টাইন টিমকে ১৪-১২ গোলে হারাইয়া দিলাম। চাট্টিখানি কথা?
২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
খেলাটা জমে উঠেছিলো আর খেলছিলেন তো ভালই। মনে হচ্ছিলো ব্লগে নয় মাঠে বসেই সহ ব্লগারের গোল করা দেখছি। তবে শেষ মিনিটে ঈশ্বরের হাত দিয়ে ঠেলে ১৪ নম্বর গোলটা করলেন কেন ?
দারুন হয়েছে। সন্দেহ হলেও বোঝার উপায় ছিলোনা ঐতিহাসিক ভূমিকাধারীর চিৎ -কাইত ।
আখেনাটেন এর মন্তব্যটাও পেঠে সবুট লাথি খাওয়ার মতো মারাত্মক।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি যখন জয়সূচক ১৩ নাম্বার গোলটা করি, তখন মাথার পাশ দিয়ে বলটা ফস্কে যাচ্ছিল। আর আমি ভিড়ের মধ্যে চোখের পলকে হাত দিয়ে ঠেলে গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে দিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়ে বল নিয়ে দৌড়ে সেন্টারে যাই, খেলা শুরু করার জন্য। গোলকিপার আবেদন করেছিল ওটা হ্যান্ডবল হয়েছে। ম্যারাডোনাও নাকি নিজ চোখে এটা দেখেছিলেন। কিন্তু ঐ আবেদন রেফারি নাকচ করে দেন। এটা ম্যারাডোনার জন্য একটা শিক্ষণীয় গোল ছিল। তিনি ৮৬'র বিশ্বকাপে যে ঈশ্বরের হাত দিয়া গোল করেন, পরে ইন্টারভিউতে স্বীকার করেছেন, ওটা তিনি আমার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে করেছিলেন। এজন্য তার হৃদয়ে আমার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা ছিল।
---
উপরের অংশটাও যোগ করার প্ল্যান ছিল, কিন্তু লেখা বড়ো হয়ে যাওয়ায় রহিত করা হয়
মনে হচ্ছিলো ব্লগে নয় মাঠে বসেই সহ ব্লগারের গোল করা দেখছি। হাহাহাহা। তবে, দারুণ কমপ্লিমেন্ট।
মজার কমেন্টের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।
২৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:২৭
সোহানী বলেছেন: ধুর এইডা কিছু হাইলো ।
কি সিরিয়াসলি লিখাটা পড়ছিলাম আর গর্বে বুকের ছাতি আকাশ ছুই ছুই করছিল। আহ এমন একজন ম্যারাডোনার সাথে ব্লগিং করছি। নিজের কলার নাড়তে নাড়তেই দেখি আপনি ধপাস কইরা আছাড় দিলেন...........।
আপনারে নিয়া আর পারি না। ........ তবে চাঁপাবাজি কিন্তু দারুন আর্ট। সবাই তা পারে না। আমার এক পরিচিত, গ্রামের কলেজ কোনরকমে পাশ করে কোনভাবে কানাডায় পৈাছেছে। তারপর কোনভাবে পরিচিত হয়ে ফেবুতে কানেক্ট হয়েছি। এখনতো দেখি ফেবুতে তার বিশাল বিশাল পোস্ট.... কখনো কানাডার আইন পাশ করে, কোনদিন দেখি দেশের জন্য সুইস ব্যাংকে মিটিং করে। আমি হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে যাই। এবং দেখি ফেবুতে তার জন্য লাইক কমেন্টর বন্যা। আর বেচারার বউ ফ্যাক্টরিতে কাজ করে সংসারের ঘানি টানতে টানতে জীবন যায় যায় দশা।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৩
ওমেরা বলেছেন: আমি তো চাপা শুনতে শুনতে চোখে সর্ষেফুল দেখতেছিলাম।