নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মাটির দেহ\' - মিরোরডডলের বিবেচনায় আমার সেরা দুটি গানের একটি; অন্যটি \'ঘরের মানুষ\'

০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

আর আমার বিবেচনায় আমার সেরা গান ৫টি হলো রাজকুমারী - ও আমার সহেলিয়া, তুমি কোথায় আছো, সেই তুমি চলে গেছো - কণ্ঠ মেহেদী, যত চাই ভুলে যেতে - কণ্ঠ প্রকাশ এবং শহরের অলিগলি, যত রাজপথ। এগুলোর উপর ব্লগে পোস্টও লেখা হয়েছে, যা যথাক্রমে রাজকুমারী, তোমার জন্য সন্ধ্যগুলো গন্ধে মেখে রাখি - তুমি কোথায় আছো?, শহরের অলিগলি, যত রাজপথ, যত চাই ভুলে যেতে, সেই তুমি চলে গেছো। যদিও আমার লেখা আমার প্রিয় গানগুলোর নাম এখানে উল্লেখ করেছি, তবু বলে রাখা ভালো, নিজের কাছে আসলে সবগুলোই সমান। যেমন, এখন যখন তালিকা করতে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে এই দিশেহারা মেঘ, এই পথ ধরে আমি হেঁটে গিয়েছি, এই তো আমি এসেছি কাছে, আমি এই শহরের পথে পথে হাঁটি - তালিকা করতে গেলে সবগুলো গানই চলে আসে।

নিজের সৃষ্টি থেকে নিজের সেরা নির্বাচন খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। সেজন্য, পাঠক বা শ্রোতারাই হলেন শ্রেষ্ঠ বিচারক।

মনে মনে ভাবছিলাম, আমার সেরা ৫-৭টা গান নিয়ে একটা অ্যালবাম করা যায় কিনা। মনে মনে শিল্পীর নামও ভাবছি। আমার বেশিরভাগ গানই স্যাড টিউনের, অর্থাৎ, বিরহের গান। জীবনে ছ্যাঁকা খাইছিলাম, মনে হয় সেইজন্য :) আমার পছন্দের গান সারাজীবনই দুঃখের গান (এটা অবশ্য ছ্যাঁকা খাওয়ার আগে থেকেই :) )। তো, অ্যালবাম যদি বের করিই, আমি প্রেফার করবো স্যাড গানগুলোকে সিলেক্ট করতে, যদিও সাথের লোকজন হয়ত মিক্সডের কথাই বলবেন।

কিন্তু, একটা অ্যালবাম বের করার জন্য প্রথমত একটা বাজেটের দরকার, দ্বিতীয়ত এর জন্য আছে অনেক হ্যাসেল। দৌড়াদৌড়ির সময় নাই।

যাই হোক, ধান ভানতে অ্যালবামের কথা বলে লাভ নাই। ওটা আদৌ হবে কিনা, তাও জানি না। এই ইউটিউবের যুগে অফিশিয়াল অ্যালবাম পাবলিশ করার যৌক্তিকতাই তো দেখি না। গাছে কাঁঠাল, তলায় প্লেট হাতে বসে থেকে অযথা সময় নষ্ট। তবে, শিল্পীদের দিয়ে একটা একটা করে গান গাইয়ে রিলিজি করা যায় কিনা, সেই কথাও ভাবছি।


এবার শিরোনামে আসি।

এর আগে, খালি গলায় গাওয়া 'মাটির দেহ মাটিই হইব' গানটির ভার্সন-১ এইখানে এবং ভার্সন-২ এইখানে আপলোড করা হয়েছিল। আমার এলাকার চঞ্চল মাহমুদ দোহারী ভাইয়ের গলা বেশ দরাজ এবং তার গাওয়া আধ্যাত্মিক গান, বিশেষ করে লালন গীতির আমি একজন বড়ো ভক্ত। চঞ্চল ভাইকে একদিন 'মাটির দেহ' ও ঘরের মানুষ গানদুটোর লিরিক ও সুর পাঠিয়ে বললাম গেয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি দুটো গানই অতি আন্তরিকতার সাথে গেয়ে আমার কাছে পাঠালেন। চঞ্চল ভাইয়ের খালি গলায় গাওয়া গানটি এইখানে আপলোড করা হয়

ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্য এভার লাস্টিং ইম্প্রেশন। আমার নিজের লেখা গান নিয়ে অজস্র পোস্ট রয়েছে এবং আমার গানের বড়ো শ্রোতা, সমালোচক বলতে গেলে এক এবং একমাত্র মিরু। যদিও আরো কয়েকজন ব্লগার প্রায় নিয়মিতভাবেই গানের পোস্টে ঢুঁ মেরে থাকেন, যাদের মধ্যে মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের নামটাই সবার আগে বলতে হয়। তো, আমার নিজের লেখা গানের সাথে মিরুর প্রথম পরিচয় হয়েছিল 'মাটির দেহ' এবং 'ঘরের মানুষ'-এর সাথে। অনেক বারই তিনি বলেছেন, এ দুটোর মতো আমার আর কোনো গান নেই। সঙ্গীতে বিরাট ট্যালেন্ট মিরুর এই কমেন্ট আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয় - অন্তত তার কিছুটা মনের মতো হলেও দুটো গান আমার আছে।

মাটির দেহ মাটিই হইব - ০৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে গানটা লেখা হয়েছিল, সামহোয়্যারইন ব্লগে। ঠিক মনে নেই, তবে অন্য কারো একটা পোস্টে কমেন্ট আকারেই লেখা হয়েছিল বলে মনে পড়ে। আর এ গানের সুর তৈরি হয়েছে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে। সুর তৈরির ব্যাপারটা খুব মজার ছিল। মাঝে মাঝেই আমার এমন হয় যে, আমার প্রিয় গানগুলো আমি একনাগাড়ে অনেকদিন গাইতে থাকি, গুন গুন করে, গলা ফাটিয়ে, পিসিতে কাজ করার সময়, কিংবা অন্য কাজ করার সময়, বা টিভি দেখার সময়, বিশেষ করে খেলা দেখার সময়। সেই গান গাইতে গাইতে একসময় নিজেই খেয়াল করে দেখি, গানটি আর এর অরিজিন্যাল সুরে নেই, অর্থাৎ, সুরটার উপর আমার এত অত্যাচার হয়েছে যে, মূল সুর থেকে আমি ছিটকে বাইরে চলে গিয়েছি। ব্যাপারটা হাস্যকর। কিন্তু, এই অন্যসুরগুলো সবসময়ই কর্কশ হয় না, কখনো-বা সুরেলা এবং শালীনও হয়ে থাকে। এ গানের সুরের ব্যাপারে যা ঘটেছিল - আমি রহমান বৈয়াতীর 'মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি' গানটা গাইছিলাম। এ গানটায় আমি একটু ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করছিলাম ২য় লাইনে (সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে - এই অংশে)। সেই ভেরিয়েশনের একটা ক্যাজুয়াল রেকর্ডও করা হয়েছিল। এবং এই ভেরিয়েশন থেকে এক সময় দেখি, সম্পূর্ণ আলাদা একটা সুরই হয়ে গেছে। খুঁজতে খুঁজতে দেখি, আমার এই লিরিকের সাথে সুরটা মিলে যায়। ব্যস, গানটা হয়ে গেল। শুরুতে এটাকে 'মাটির দেহ' নামে কবিতা আকারে আমি ট্রিট করে আসছিলাম। এখন অবশ্য গানের লিরিক ও কবিতা দুই ফরম্যাটেই থাকবে।

সুরের প্রথম ভার্সনটা গাইতে গাইতে ওটাতেও একটা ভেরিয়েশন তৈরি হয়ে যায়। ফলস্বরূপ, একই গানের সুর হয়ে যায় দুটো।

এবার 'মাটির দেহ' গানটির দুটো ভার্সনই নতুন করে গেয়ে মিউজিক যোগ করে আপলোড করেছি। আর চঞ্চল ভাইয়ের আগে গাওয়া গানটির উপর মিউজিক যোগ করেছি।

আমি আবারও জোর দিয়ে বলে নিই। আমি গান গেয়ে থাকি মূলত সুরটাকে ধরে রাখার জন্য, কারণ, আমি সুর তৈরি করি, এ সুর ধরে রাখার জন্য একটা মাধ্যমের দরকার, সেটা আমি নিজেই। কাজেই, কেউ গান শুনে দয়া করে আমার নিজের গলার বিচার করবেন না। বিচার করবেন সুর এবং লিরিকের।

এখানে যে কথাটা না বললেই নয়। চঞ্চল ভাই আমার সুরে না গেয়ে তিনি নিজের সুরে গানটি গেয়েছেন। তিনি মূলত লালন গীতি গেয়ে থাকেন। তার গাওয়া আমার গানটি আমি তন্ময় হয়ে শুনি, এতটা মুগ্ধ।

এবার, আমার নতুন করে গাওয়া দুটি গান এবং চঞ্চল ভাইয়ের গাওয়া গানটি শেয়ার করা হলো নীচে।

এই মাটির দেহ মাটিই হইব, ভার্সন-১। আমার কণ্ঠে



এই মাটির দেহ মাটিই হইব, ভার্সন-২। আমার কণ্ঠে



এই মাটির দেহ মাটিই হইব। চঞ্চল মাহমুদ দোহারী




লিরিক :

মাটির দেহ মাটিই হইব
মাটিই হইব বিছানা মন
সময় কালে মনা তুমি
মাটির দিকে ফিরা চাইলা না

মাটি তোমায় আহার দিল
মাটি দিল বৃক্ষফল
ও মন রে
মাটির কাছে কত দেনা
তার তো খবর নিলা না

আয় রে মনা আদম সোনা
মাটির কথা শুনতে আয়
সময় থাকতে চিনে নে তুই
কোথায় তোর মোকামখানা

৬ এপ্রিল ২০০৯

কথা : খলিল মাহ্‌মুদ

সুর : খলিল মাহ্‌মুদ - ভার্সন-১ ও ভার্সন-২

সুর : চঞ্চল মাহমুদ দোহারী - তার নিজের গাওয়া গানটা - সুর - চঞ্চল মাহমুদ দোহারী

এই পোস্টটা মিরুর উদ্দেশে নিবেদিত। মিরু আর কেউ না, তাকে চিনতে শিরোনাম দেখুন :)

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: মিরু একজন রুচিশীল মানুষ। তিনি যখন নির্বাচন করেইছেন কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয়।

এলবাম বের করে লাভ নেই আবার লাভ আছেও। লাভ হলো নিজ ক্রিয়েটিভিজ গুলার পূর্ণতা প্রদান। যাই গান শোনি !:#P

০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই গানের ভুবনে আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। গান শুনে ভালো লাগুক বা না লাগুক, গান শুনতে যাচ্ছেন - আপনার এ কথাটা খুব উৎসাহ দিল।

মিরু একজন ট্যালেন্টেড ব্লগার, সঙ্গীতে তার ট্যালেন্ট অসধারণ। আমার গানে তার অনুপ্রেরণাও অন্য সবার চাইতে অনেক বেশি। তাকে ধন্যবাদ দিয়া বড়ো করতে চাই

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পোস্টে আসার জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।

২| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সলু ডলু থেকে আবার মিরু হয়ে গেলো কেমনে!!!


যাইহোক আমার কাছে তোমার সব গানই সেরা। :)

০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কারো নাম শর্ট করার ব্যাপারে মিরুর দক্ষতা অসামান্য। কীভাবে যে সে করে ফেলে, ভাবতে অবাক লাগে।

আমার দুই ভাগ্নির নাম ডলি আর পলি। তো, তাকে কেবল ডলি নামে ডাকা শুরু করেছি, অমনি দা নিয়ে উঠেছে কোপানোর জন্য :)

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু। আমি দুঃখিত যে, পোস্টের ভেতরে আপনার নাম লেখা হয় নাই। কিন্তু আমার গান সবার আগে সম্ভবত আপনিই শুনেছেন। আপনিও সব সময় আমাকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন, তা শুধু গানই না, সবকিছুতেই। আপনার কাছে আমি অনেক অনেক ঋণী।

৩| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

শায়মা বলেছেন: হা হা থাক আর ঋণী হতে হবে না।
তুমিও ঋণী আমিও ঋণী ভাইয়ু। :)

০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কাছে আমি সত্যিই অনেক ঋণী। আমার অনেক কবিতা এবং ছড়াও আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে যেয়ে লেখা হয়ে গেছে।

৪| ০৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার কন্ঠে ভার্সন ১ ও ভার্সন ২ দুটোই আমি শুনলাম । আমার কাছে
আপনার কন্ঠে গাওয়া ভার্সন ১ অত্যন্ত চমৎকার লেগেছে ।

মিরু আপুকে উৎসর্গ করায় ভালো লাগলো এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গানটি গাওয়ার জন্য ।

০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি শিল্পী নই, তবে যে-কোনো সাধারণ মানুষের মতোই আমিও গাইতে ভালোবাসি। আমি গান গাওয়ার জন্য রেকর্ড করতে যেয়ে দেখেছি, গলায় সব সময় মিষ্টতা বা 'প্রাণ' আসে না। গলায় কখন যে এই 'প্রাণ'-এর সঞ্চার হবে, তা বলা মুশকিল। প্রফেশনালরা ভালো বলতে পারবেন। তবে, সন্ধ্যার আগে, গভীর রাতে, এমনকি নিরিবিলি দুপুরেও কণ্ঠে প্রাণের সঞ্চার হতে পারে, যখন গানগুলো খুবই আবেদনময় হয়ে ওঠে।

গত ০৪ এপ্রিলে দুপুরের দিকে গান গাইতে যেয়ে দেখি গানগুলো খুব মেলোডিয়াস হচ্ছে, যা অন্য সময়ে হয় না। ভার্সন-১ ঐ সময়ে গাওয়া। ঐ সময়ে আমি আরো একটা গান গেয়েছি - আমায় যদি যাও গো ফেলে (পরের পোস্টে আসবে), যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। মোটামুটিভাবে ঐদিন আমার গলা বেশ ভালো ছিল। ভার্সন-২-ও ঐদিন সন্ধ্যায় গাওয়া। যদিও মেলোডির জন্য না, শুধ সুর ধরে রাখার জন্য গাই, কিন্তু ঐদিন গোটা তিনেক গান গেয়ে খুব তৃপ্তি পেয়েছি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, এই ব্যস্ততাময় দিনে আপনি দু-দুটো গান শুনে ফেলেছেন। অনেক অনুপ্রাণিত হলাম।

অনেকদিন পর আপনি ব্লগে। ভালো লাগলে দেখে। ভালো থাকবেন।

ইদ মোবারক।

৫| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




সবগুলো শুনেছি । ধুলোর কণ্ঠে যত গান শুনেছি , মিউজিকসহ, মিউজিক ছাড়া, পুরনো নতুন সকল গানের মধ্যে খালি কণ্ঠে মাটির দেহ সবচেয়ে সুন্দর । অনেক দরদ দিয়ে গেয়েছে, তাই ভীষণ ভালো লাগে ।

আর দোহারির কণ্ঠে মাটির দেহ, ঘরের মানুষ দুটো গানই খুব সুন্দর । যেহেতু গানের কথা সুর ধুলো, তাই ক্রেডিট দোহারি এবং ধুলো দুজনেই প্রাপ্য ।

লাস্ট কিউ মান্থস যে গানগুলো করেছে , তার মাঝে মাহাদি আর প্রকাশের গানগুলো ভালো । মনে আছে বলেছিলাম সুবীর নন্দীর মতো হয়েছে ! সেটা ধুলোর একটা অনন্য ক্রিয়েশন । এ্যালবাম করতে হবেনা কিন্তু এই গানটা একটা ভালো মিউজিক ভিডিও করতে পারে ধুলো । বর্তমান সময়ের ভালো তারকা এবং ডিরেক্টর দিয়ে যদি ওই গানটা করা যায়, দেট উইল বি গ্রেইট জব ।

ধুলোকে অনেক অনেক থ্যাংকস আর শুভকামনা আগামী কাজের জন্য ।




০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বিশদ কমেন্টের জন্য।

অনেক দরদ দিয়ে গেয়েছে, তাই ভীষণ ভালো লাগে। আজ থেকে ৩০-৩২ বছর আগে, সম্ভবত আপনার জন্মেরও আগে, আমাদের একটা কালচারাল অনুষ্ঠান হচ্ছে। শিল্পীরা সবাই নিজস্ব এবং আগে প্র্যাক্টিস ছাড়াই শিল্পীদের তালিকা করা হয়েছে। তো, সেই অনুষ্ঠানের মোটামুটি শেষের দিকে একটা ছেলেকে উঠানো হলো মঞ্চে। সে গান গাইবে। সে খুবই পপুলার। কিন্তু তাকে উঠানো হয়েছে অন্য কারণে। সে ব্যাপক, আই মিন, অত্যন্ত উৎসাহের সাথে, অতিমাত্রায় দরদ দিয়ে হেলেদুলে গান গাইছে, আর দর্শকরা হাসতে হাসতে কুটি কুটি হচ্ছে। শো ছিল ওর এই হেলেদুলে অতি আন্তরিক ভাবে গান গাওয়া, যাতে দর্শকরা বিনোদনে বিগলিত হতে পারে :)

আমিও প্রতিটা গানই আন্তরিকভাবে গেয়ে থাকি কিন্তু :) তবে, আমি যেহেতু শিল্পী না, আমার আন্তরিকতা ফুটে ওঠে না, যদিও তা ফুটিয়ে তোলার জন্য আন্তরিকতার কোনো ত্রুটি থাকে না :)

দোহারির কণ্ঠে মাটির দেহ, ঘরের মানুষ দুটো গানই খুব সুন্দর । যেহেতু গানের কথা সুর ধুলো, তাই ক্রেডিট দোহারি এবং ধুলো দুজনেই প্রাপ্য ।

গানের ক্রেডিট লাইন হলো এরকম : গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। একজনের ক্রেডিট কখনো অন্যজন নিতে পারেন না। এটা আপনার মনে রাখার জন্য বললাম, যাতে এতদ্‌সংক্রান্ত আলোচনায় আপনার কমেন্টটা এ লাইনেই হয় :) এখানে চঞ্চল ভাই আর আমার মধ্যে ক্রেডিট দুজনেরই, বা ভাগাভাগির কোনো প্রশ্ন নাই। চঞ্চল ভাই এমনিতেই খুব ভালো গান গেয়ে থাকেন। ফেইসবুক থেকে চঞ্চল ভাইয়ের গান আমি নিয়মিত শুনে থাকি। আমার গানে তার ক্রেডিট হলো সুরকার আর শিল্পী হিসাবে, যেটাতে আমার কোনো ভাগ নাই, আর আমার ক্রেডিট হলো গানের লিরিক, আর উপর সমস্ত ক্রেডিট আবর্তিত। আই হোপ ইউ গট ইট :) তবে, কার এক্সপোজার কার মাধ্যমে হবে, সেটা একটা ব্যাপার বটে। আমি কোনো গান এখন রুনা লায়লা বা সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে গাওয়ালে তাদের মাধ্যমে আমার এক্সপোজার হবে। আবার মনে করুন, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের গান একজন সুরকার বা শিল্পী গাইতে পেরে এখন নিজেকে ধন্য মনে করবে। একজন নবীন গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীকে প্রায় সবসময়ই প্রতিষ্ঠিত একজনের হাত ধরে এগোতে হয়।

মাহাদি আর প্রকাশের গানগুলো ভালো। ওদের সাথে বেশ কয়েকজন ভালো শিল্পী আছে। আপনার জানার জন্য বলছি, ওরা সারা দেশের বাছাই করা শিল্পী। মিডিয়াতে যাদের গান শোনেন, তাদের চাইতে ওরা কেউ কম না, বরঞ্চ মিডিয়ায় অনেক ভালো মানের শিল্পীর পর্যায়েরও আছে ওদের মধ্যে কেউ কেউ। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে ওরা মিডিয়ায় আসতে পারবে না। তবে, আমার মৃদু একটা ইচ্ছে আছে, ওদের মধ্য থেকে ৩-৪জনকে দিয়ে গোটা দশেক গান যদি কখনো গাওয়াতে পারি, সেটা খুব বড়ো কাজ হবে আমার জন্য।


এ্যালবাম করতে হবেনা কিন্তু এই গানটা একটা ভালো মিউজিক ভিডিও করতে পারে ধুলো। খুবই কনস্ট্রাকটিভ এবং প্রফেশনাল একটা পরামর্শ।


ধুলোকে অনেক অনেক থ্যাংকস আর শুভকামনা আগামী কাজের জন্য।

মিরুকেও :)

৬| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে মনে ভাবছিলাম, আমার সেরা ৫-৭টা গান নিয়ে একটা অ্যালবাম করা যায় কিনা।
এইটা ভালো চিন্তা করছেন।

০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এইটা ভালো চিন্তা করছেন। ভালো চিন্তার বাস্তবায়ন যে কত ঝামেলার বিষয় তা ভাবতে গেলেই হাড়ে এবং হাড়ে টের পাই :)

যাই হোক, আপনার একটা সাপোর্ট পাওয়া গেল।

ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৭| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: চঞ্চল মাহমুদ দোহারীর কন্ঠে আপনার লেখা গান শুনেছি, ভালো গেয়েছেন উনি।
তবে আপনার কন্ঠে আলাদা একটা আবেগ আছে, সঠিকভাবে প্রাকটিস করলে আপনার দ্বারাও সম্ভব তবে সময়সাপেক্ষ।
ক্যাসেট বা সিডি অপশনে না গিয়ে একটা প্রেস কনফারেন্স করে ইউটিউবে আপলোড করে দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে একটা স্টার শিল্পী রাখতে হবে।

০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ নিন দুটো গান শুনে ফেলার জন্য। এত ব্যস্ততার মধ্যে গান শোনার আসলে সময় কই? :)

সঠিকভাবে প্রাকটিস করলে আপনার দ্বারাও সম্ভব তবে সময়সাপেক্ষ। আমারে আর হাসাইয়েন না :) আমি প্র্যাকটিসের পেছনে যাব, সেই সময় আর বয়স নাই, শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য নিজের গলাটা ইউস করেছি মাত্র :) অবশ্য প্রায় প্রতি পোস্টেই এটা উল্লেখ করে থাকি, এই পোস্টেও :)

ক্যাসেট বা সিডি অপশনে না গিয়ে একটা প্রেস কনফারেন্স করে ইউটিউবে আপলোড করে দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে একটা স্টার শিল্পী রাখতে হবে। এটাও একটা ভালো আইডিয়া। পরিচিতরা মিউজিক ভিডিওতেই যাচ্ছেন, দেখতে পাচ্ছি। বাট, একটা ভালো মিউজিক ভিডিও'র বাজেট একটা নাটকের চাইতে কম না, যেটা এফোর্ড করা আমার পক্ষে সম্ভব না :( তবে, আশার কথা হলো, আমার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা যে-হারে বাড়ছে, বছর খানেক পর আমি নিজেই অনেকের স্পন্সর হইয়া যাইতে পারবো :)

ভালো থাকিয়েন, সুখে থাকিয়েন আর শুভেচ্ছা নিয়েন।

৮| ০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: একটি গানময় পোস্ট।

আগে আপনার কবিতায় মুগ্ধ হতাম আর আজকাল গান।

দারুন।

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রচুর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি আপনার কমেন্টে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সেজন্য।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৯| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গানগুলো শুনেছি। খালি কণ্ঠে আপনার গাওয়া গানগুলো শুনতে ভালো লাগে। বাদ্যযন্ত্র যোগ হলে হয়তো আরও ভালো লাগবে, আবার নাও লাগতে পারে।
প্রয়াত ব্লগার নয়ন এর কথা মনে হলো। উনিও গান লিখে নিজে নিজে সুর করে খালি গলায় গেয়ে ইয়টিউবে রেকর্ড করে রাখতেন। আমি ইউটিউবে তার বেশ কয়েকটি গান শুনেছি।

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
বাদ্যযন্ত্র যোগ হলে হয়তো আরও ভালো লাগবে, আবার নাও লাগতে পারে।

শ্রদ্ধেয় স্যার, প্রথমেই আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ গান শোনার জন্য। তবে, এ কমেন্টটা পড়ে মনে হলো হয়ত পোস্টের ফোকাসটা নষ্ট হয়ে গেছে পুরোনো গানের অনেকগুলো লিংক দেয়ার জন্য। স্যার, নীচের দিকে যে-তিনটা গানের লিংক দেয়া হয়েছে, এতে নতুন করে মিউজিক যোগ করা হয়েছে। আমার গাওয়া দুটো ভার্সনই নতুন করে গাওয়া আর চঞ্চল মাহমুদ ভাইয়ের গানটা আগে গাওয়া। বাই চান্স যদি ফোকাস্‌ড গান তিনটা না দেখে/শুনে থাকনে, ইচ্ছে হলে এবং সময় পেলে আবার দেখতে পারেন, লিংক তিনটা নতুন করে দিচ্ছি। শুধু আমার মতামতটা দিচ্ছি, যদিও শিল্পী হিসাবে গাই না, তবু বলছি, ০৪ এপ্রিল ২০২২-এ রেকর্ড করা 'মাটির দেহ, ভার্সন-১' গানটা এ যাবত আমার গাওয়া সেরা গায়কী, যা আমার বন্ধুরা, এবং এখানেও কয়েকজন মেনশন করেছেন।

মাটির দেহ মাটিই হইব- ভার্সন-১, খলিল মাহমুদ

মাটির দেহ মাটিই হইব, ভার্সন-১, খলিল মাহ্‌মুদ

মাটির দেহ মাটিই হইব, চঞ্চল মাহমুদ দোহারী

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই কবিতায় সুর দিতেন, বা গান লিখে সেগুলোও খালি গলায় গাইতেন। আমি তার কয়েকটা গান শুনেছি। একবার আমার একটা ছোট্ট লিরিকে তিনি সুর দিয়েছিলেন। আমি এখন ব্লগে খুঁজলাম, পেলাম না। তবে, তার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট পেলাম। সেখানে যে-গানটি দেখে আঁতকে উঠলাম, সেটি হলো :

আমি যদি যাই মরে, জানবে না তুমি



গানটার ইকো বুকের মধ্যে বিষের ছুরির মতো আঘাত হানে।

ভালো থাকবেন স্যার। আবারও ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

শায়মা বলেছেন: জানি ভাইয়া জানি!!

তুমি গুরু এটাও মানি.....

:) :) :)

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


বিনোয়িনী শায়মামণি, আপনার বিনয়কে কুর্নিশ
ব্লগরত্না, কলাবরিষ্ঠা আপনি, আপনার জন্য অজস্র শুভাশিস।

১১| ০৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




পরবর্তী গান যেগুলো মিউজিক থাকবে, সেখানে মিউজিক যেন খুব বেশী ডমিনেইট না করে । ধুলোর ম্যাক্সিমাম সুন্দর গানগুলো খালি গলায় বা গিটারের টুং টাং । যখনই বেশী মিউজিক হয়ে যাচ্ছে, আমি পার্সোনালি সেটা কম শুনি । একটা গান দিচ্ছি, শুনে দেখবে খুবই কম মিউজিক কিন্তু কি যে সুন্দর !




০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মিউজিক কম্পোজ করা অসীম ধৈর্য আর সময়ের কাজ। আমার ধৈর্য আছে, সময় খুবই কম। অন্যদিকে বলতে গেলে ধৈর্যও নাই। সব ক্রিয়েটিভিটি সবসময় মগজে আসে না। আমি জানি, গান আর সুরও একসময় হঠাৎ ব্লক্‌ড হয়ে যাবে, অথচ, এখন আমার মনে হচ্ছে আমি হা করলেই একটা সুর তৈরি হয়ে যাচ্ছে। আমি দ্রুত এই সুরগুলো ধরে রাখতে যেয়ে গায়কী, মিউজিক, এমনকি লিরিকের কোয়ালিটির উপরও সময় কম দিতে পারছি। তবে, শুধু কিছুটা বৈচিত্র আনার জন্য একটু মিউজিক দেয়ার চেষ্টা করছি।

ফোক গান ও যেগুলো ধীর লয়ের, ওগুলোর জন্য মিউজিকের প্রয়োজন মূর্ছনা সৃষ্টির জন্য। ওগুলোতে হালকা মিউজিক কখনো হবে না। চটুল গানে হালকা টুং টাং বেস্ট ফিট। আমি যে-ধারার গান শুনি, সেগুলো এভাবে কম্পোজ করা ও গাওয়া। তবে, আমার গুলো আমি যত চেষ্টাই করি না কেন, প্রফেশনাল প্রডাক্ট হবে না, কারণ, আমি প্রফেশনাল না। এগুলোর ফাইনাল প্রডাক্ট হবে প্রফেশনালদের হাতে ও কণ্ঠে।

সময় পেলে লিংকটা একসময় দেখে নেব নে। বাট বিষয়টা আমি জানি, এজন্য লিংক দেখার তাড়া অনুভব করছি না। তবে, ধন্যবাদ নিয়েন লিংকের জন্য :)

১২| ০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: গান দুটোই সুন্দর!

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.