নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
দয়া করে কেউ এটাকে রম্য ভাববেন না; এটা সিরিয়াস পোস্ট। সিরিয়াসলি বলছি
পর্ব-১
অনেকেই অনেক কবির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, তাঁরা অভিধান খুলে যত্তোসব কঠিন আর অ-সাধারণ (Uncommon ও অনন্য, উভয় অর্থেই ) শব্দ বেছে বেছে পাশাপাশি বসিয়ে কবিতা লিখে থাকেন; এতে পাঠকরা ধূম্রজালের ধাঁধার ভেতর আটকে যান; অনেকে এর অর্থ উদ্ধার করতে না পারলেও ভাব দেখান কবি একখানি অতি উচ্চমার্গীয় কবিতা লিখে ফেলেছেন, আর তিনি এতে এক অনাস্বাদিতপূর্ব স্বাদ লাভ করেছেন; প্রকাশ্যে তৃপ্তির ঢেঁকুর ছাড়েন।
তো, আজ আমরা সেরকম অভিধান দেখে একটা মহৎ কবিতা লেখার চেষ্টা চালাবো। আমার টেবিলে একখানি 'বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' বসে আছেন। কী করবো, নিচের শ্রেণীতে পরীক্ষায় আমরা প্রশ্নপত্রে দেয়া নির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করতাম। এই 'অভিনব' উদ্যোগখানি অনেকটা সেই ধাঁচের হবে। আর লেখাটা একটানেই লিখে যাবো, আপনারা ব্লগের পাতায় এর ক্রমবর্ধমান কলেবর দেখে পুলকিত ও যারপরনাই উৎসাহিত বোধ করবেন বলে ধারণা করছি। তারপর লেখাটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাদের ধৈর্য্য মাপার জন্য পুরো লেখাটা আরো এক বা একাধিকবার পোস্ট করবো
কীভাবে শুরু করবো!! একটা পরিকল্পনা করা যাক। এ্যাট র্যানডম বেসিসে অভিধানের দশটা পাতা খুলবো। প্রতি পাতা থেকে আমার পছন্দমতো অন্তত একটি করে শব্দ নেব। সেই শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করবো, যেমন ছোটোবেলয়া 'গরু'-'ছাগলে'র উপর ১০টি বা ১৫টি সার্থক বাক্য লিখতে হতো পরীক্ষার খাতায়, সেভাবে লিখতে থাকবো; তফাত একটাই, ছোটোবেলার মতো বাক্যটা সার্থক হওয়ার বাধ্যবাদকতা নেই
এইমাত্র আমি অভিধান খুললাম। যে পাতাটা বের হলো তার পৃষ্ঠানম্বর ৫৪২-৫৪৩। আপনারা তুমুল কিংবা মৃদু কিছু করতালি ছুঁড়তে পারতেন করেন নি, মনে রাখবেন কিন্তু
ত বর্গীয় শব্দ। কোনোটাই শ্রুতিমধুর হলো না। তবে একটা তালিকা আপনাদের জন্য দিলাম। ১৬টা শব্দ আছে নিচে। বেশ কটা নতুন শব্দ আমার জন্য। আপনারা এ থেকে কতোগুলোর সাথে পরিচিত, বা অর্থ জানেন, ট্রাই করে দেখুন। প্রতি শব্দের জন্য ১ নম্বর। তারপর দেখুন কয়টা শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করতে পারেন এতেই প্রমাণিত হবে, আপনি এখনো ক্লাস ফাইভেই পড়ে আছেন, নাকি আপনার ডিমোশন হয়েছে
তরক্ষু, তর্ক্ষু, তরজা, তরণ, তরপদী, তরফা, তরবারি, তরল, তরসা, তরস্বান, তরস্বী, তরা, তরাজ, তরাজু, তর্জমা, তরঙ্গ
তরস্বান বা তরস্বী অর্থ হলো বেগশালী, দ্রুতগামী, বলবান। এর স্ত্রীলিঙ্গ তরস্বতী ও তরস্বিনী। স্রোতস্বিনী'র মতো তরস্বিনী শব্দটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেলো। একটু বলে রাখি, আমি শব্দগুলো দেখে ভড়কে গেছি। এ দিয়ে আদৌ কোনো বাক্য রচনা করতে পারবো কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। তবু দেখি ট্রাই করে।
তরস্বিনী : তুমি একটা তরস্বিনী গাভি কিন্তু তুমি যে দুগ্ধ দান করো তা পানির চেয়েও তরল। ইহা পান করে কেউ তরস্বান হতে পারে? তোমার জন্য তরবারি ধার দিচ্ছি, দাঁড়াও!
এবার আপনারা নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন এখানে সার্থকভাবে কোনো বাক্য রচিত হয়েছে কিনা; দৈবক্রমে সার্থক বাক্য দু-একটা পেয়ে গেলে আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ, দ্যাট ওয়াজ নট ইনটেনশনাল
অভিধান দেখে আর এগোনো গেলো না। হাতে টাইম নাই, যদিও আরও ৯টা পৃষ্ঠা উল্টানোর কথা ছিল। টাইম পেলে আবার আসবো। ততক্ষণ নিজকর্মে ব্যস্ত থাকুন, আর অবশ্যই ব্লগে থাকুন
পর্ব-২
এখন দেখি স্টেমিনায় কতোটুকু কুলোয়।
প্রথম পর্বে অভিধান থেকে ১৬টি শব্দ পেয়েছিলাম। ওগুলো থেকে কয়টা শব্দ সম্পর্কে আপনি পূর্বপরিচিত তা পুনরায় এক নজরে দেখে নিন :
তরক্ষু, তর্ক্ষু, তরজা, তরণ, তরপদী, তরফা, তরবারি, তরল, তরসা, তরস্বান, তরস্বী, তরা, তরাজ, তরাজু, তর্জমা, তরঙ্গ
এবার চেষ্টা করুন একেকটা শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করতে
কয়টা পারলেন?
আচ্ছা চলুন, দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করা যাক। আমার বাম পাশে যথারীতি 'বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' অপেক্ষমান। এ্যাট র্যানডম আমি অভিধানের পৃষ্ঠা খুলবো।
এসে গেছি
এইমাত্র অভিধান খুললাম। পৃষ্ঠা নম্বর বের হলো ১৪২-১৪৩। মনে হচ্ছে পরীক্ষা দিতে বসছি- কয়টা কমন পড়লো, বা পড়লো কিনা এ্যাট অল, সেই ভয়
'ই' বর্ণের শব্দমালা। উল্লেখযোগ্য শব্দগুলো হলো :
ইমারত, এমারত
ইমিটেশন
ইয়ত্তা
ইয়াংকি
ইয়ার্কি
ইয়াসমিন, জেসমিন (
ইয়ে...(
ইরশাল
ইরা
ইরাবতী
ইলচি, ইলচে
ইলা
ইলিমিলি
ইলেক
ইল্লত
ইশশশশশ
ইশতাহার, ইশতেহার, ইস্তাহার
ইশপিশ
ইশারা
ইশাদি
ইষু
ইষ্ট
ইষ্টক
ইষ্টানিষ্ট
ইষ্টাপত্তি
ইষ্টাপূর্ত
ইষ্টি
ইষ্টিক
এবার নিজের ভোকাবিউলারি টেস্ট করুন। যতোগুলো শব্দ জানা আছে তা দিয়ে বাক্য গঠনের চেষ্টা করুন। আর, এর মধ্যে আপনার সবচেয়ে ভালোলাগা শব্দটি/গুলো কোন্টি, তা হৃদয়ঙ্গম করুন
আমি ততোক্ষণে ডিনার করে আসি- নিচে বউ ডাকছে বহুক্ষণ হলো
উপরের ২৮টা শব্দের মধ্যে আমার অপরিচিত শব্দগুলো হলো :
ইরশাল : খাজনার চালান; খাজনা; কর ('তুমি যে রাজার লোক চাহ ইরশাল) (আরবী শব্দ)
ইরা : পৃথিবী (ইন্দিবর নয়নী ইঙ্গিতে ইচ্ছ ইরা); বাণী; জল; অন্ন; সুরা।
ইরাবতী : পাঞ্জাবের অন্তর্গত রাবী নদী; ব্রহ্মদেশের নদী বিশেষ।
ইলচি, ইলচে : চিংড়ি মাছ; অধম; নিকৃষ্ট; দূত; রাজদূত।
ইলা : পৃথিবী; ধেনু: বাণী: জল; পানি।
ইলিমিলি অস্পষ্ট কথা/বাক্য; অর্থহীন শব্দ; (ইলিমিলি জপে সদা ছিলিমিলি মালে )
ইলেক : টাকা গণ্ডা পাই মণ সের ছটাক প্রভৃতি জ্ঞাপক চিহ্নবিশেষ যা অংকের ডানে বা বামে বসে (যতেক তঙ্কার কড়ি বামে ইলেক দিবে)।
ইল্লত : নোংরামি; মলিনতা; অপরিচ্ছন্নতা; (সারা মুল্লুক জুড়ে বসে আছে ইল্লত আফগান)।
ইশপিশ : অস্থিরতা; চাঞ্চল্য প্রকাশ।
ইশাদি : সাক্ষী। (সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকা)। আরবী শব্দ।
ইষু : বাণ; শর; তীর: (শূলদণ্ড ইষু পাশ করে)।
ইষ্ট : কাম্য; বাঞ্ছিত; অভিলষিত (ইষ্টকর্ম); কল্যাণকর (ইষ্ট চিন্তা); পূজিত; উপাস্য (ইষ্টদেবতা); আত্মীয় বা প্রিয় (ইষ্টকুটুম্ব, ইষ্টজন); কল্যাণ; প্রিয়জন।
ইষ্টানিষ্ট : লাভ ও ক্ষতি; উপকার ও অপকার; হিতাহিত।
ইষ্টাপত্তি : অভীষ্টসিদ্ধি; বাঞ্ছিত বস্তু বা বিষয় লাভ।
ইষ্টাপূর্ত : জনহিতকর কাজ; জলাশয় খনন।
ইষ্টি (অর্ধেক জানি) : ইচ্ছা, অভিলাষ; যজমান কর্তৃক অনুষ্ঠেয় যজ্ঞ; মন্ত্রদাতা গুরু (ইষ্টি আর পুরোহিত, যাহা হতে অর্থস্থিত)।
ইষ্টিকা : ইঁটের গুঁড়া; সুরকি।
এবার আসুন, কিছু বাক্য গঠন করি।
ইরাবতী ইরাকে ঢাকা শহরের বড় বড় ইমারত দেখাইল। ঢাকা শহরে আইসা ওদের মনের আশা পুড়াইছে বলতে হয় ওদের কোনো ইষ্টিকুটুম নাই ওরা ইল্লত বংশের মানুষ রাস্তায় এলোমেলো হাঁটাহাঁটি করে আর ইলিমিলি বকাবকি করে ( ওদের ইষ্টাপত্তি ঘটিয়াছে ওদের হাতপা নিশপিশ করতেছে, আর মনটা করতেছে ইশপিশ ওরা কোনো ইষ্টানিষ্টের কথা ভাবে নাই। কয়েকজন লোক ওদের ইয়াংকি ইংলিশ মারা দেখে বড্ড ইয়ার্কি করলো একটা ছেলে চোখ টিপে ইশারা দিলে ইলা খুব লজ্জা পেলো না যদিও ইষ্টকখণ্ড ছুঁড়ে ওর মুণ্ডু ফাটাইয়া দিতে ইচ্ছা হইতেছিল তবে ওর তীব্র চোখেষু ছেলেটাকে ঘায়েল করে দিল। এর কোনো ইশাদি অবশিষ্ট নাই
আজ বাসায় ইলচেকারি দিয়ে ভাত খাইলাম ইহা খুব মিষ্ট হইয়াছিল এখন ঘুমাইতে হইবে; এই মহৎ ইষ্টাপূর্তের জন্য আশা করি সবাই স্বস্তিতে ব্লগাইতে পারিবেন। অতএব, গেলুম, সাথে ইষ্টিকাটিও নিলুম, বিড়াল হইতে আত্মরক্ষার্থে
পর্ব-৩
আগের পর্বে 'ই' বর্ণমালা দিয়ে নিচের শব্দগুলো দেয়া হয়েছিল :
ইমারত, এমারত
ইমিটেশন
ইয়ত্তা
ইয়াংকি
ইয়ার্কি
ইয়াসমিন, জেসমিন
ইয়ে...
ইরশাল
ইরা
ইরাবতী
ইলচি, ইলচে
ইলা
ইলিমিলি
ইলেক
ইল্লত
ইশশশশশ
ইশতাহার, ইশতেহার, ইস্তাহার
ইশপিশ
ইশারা
ইশাদি
ইষু
ইষ্ট
ইষ্টক
ইষ্টানিষ্ট
ইষ্টাপত্তি
ইষ্টাপূর্ত
ইষ্টি
ইষ্টিক
গুণে দেখুন কতোগুলো শব্দ আপনার পূর্বপরিচিত। লিখে ফেলুন একটা কবিতা, নিদেনপক্ষে একখানি গ'বিতা কিংবা গরু রচনা
এবার নিচের শব্দগুলো দেখুন বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধানে'র ৭৯৮ নং পৃষ্ঠায় :
প্রোষিত : বিদেশগত; বিদেশস্থিত; প্রবাসী;
প্রোষিতভর্তৃকা : যে স্ত্রীর স্বামী বিদেশে থাকে; বিদেশগত পতি-বিরহে কাতরা পত্নী:
প্রোষিতভার্য, প্রোষিতপত্নীক : বিদেশগত পত্নীর বিরহে কাতর পতি
প্রোত : সূত্রে গ্রোথিত; নিবদ্ধ; নিবেশিত; খচিত; মধ্যে মধ্যে অবস্থিত;
প্রোৎসাহ : বিপুল উৎসাহ;
প্রোৎসাহন, প্রোৎসাহিতা : নিজে চেষ্টা করুন
প্লব : লম্ফ, লম্ফন; সাঁতার দেয়া, সন্তরণ; ঝম্প, ঝাঁপ; ভেলা, উড়ুপ; ব্যাঙ, ভেক; জলচর পক্ষী;
প্লবগতি : লাফ দিয়ে চলতে অভ্যস্ট ব্যাঙ, খরগোশ প্রভৃতি প্রাণী;
প্লবগ, প্লবঙ্গ, প্লবঙ্গম : বানর সূর্যের সারথি;
প্লবচর : হাঁস, প্রভৃতি উভচর প্রাণী;
প্লবতা : ভাসার শক্তি;
প্লবন : ভাসন; সন্তরণ; লাফ দিয়ে গমন;
প্লবমান : ভাসমান;
প্লাব, প্লাবন : বন্যা; নদ্যাদির জলের ব্যাপক স্ফীতি;
প্ল্যাটনিক লাভ : স্বর্গীয় বা অপার্থিব প্রেম;
প্লুত : সম্পূর্ণ সিক্ত বা ভেজা; স্বরবিশেষ; ত্রিমাত্রিক ধারা; স্বর; অশ্বের স্বচ্ছন্দ চলনভঙ্গি;
প্লুতগতি : লম্ফ দিয়ে গমন; লম্ফ দিয়ে গমনকারী জীব;
দেখুন তো, নিচের শব্দগুলোর সাথে আপনার পরিচয় আছে কিনা :
ঢোড়া, ঢুরা, ঢুঢু,, ঢুস, ঢেঁটা, ঢ্যাপসা
চলুন, কিছু বাক্য গঠন করি 'প'বর্গীয় কয়েকটি শব্দ দিয়ে :
প্রোষিতভার্য প্রেমিকের ভার্চুয়াল প্রেম অচিরেই জনৈকা প্রোষিতভর্তৃকা ব্লগারের সাথে অ-প্ল্যাটনিক লাভের পরিণতি পেলো তাঁরা প্রেমরসে প্লুত হলেন তিনি প্লবঙ্গের ন্যায় কদলি ভক্ষণ ভালোবাসেন
আশা করি এখন থেকে আপনারা এভাবে অভিধান দেখে ভূরি ভূরি কবিতা কিংবা গ'বিতা লিখে মনের আনন্দ ও নিজের কবিত্ব প্রচারের জন্য অতি অবশ্যই মরিয়া হয়ে উঠবেন না
ওয়ার্ল্ড অফ হ্যাপি পোয়েট্রি
২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ পোস্টটা মূলত সেই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যেই। যিনি পণ্ডিত, তার পাণ্ডিত্য ভালো লাগে। যিনি কবিতায় কেবল ঢুকলেন, যার কবিতার এক লাইন পড়েই বোঝা যায়, কবিতায় তিনি শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন, তিনি যদি বলেন 'নতুন কিছু করছি', আর এই নামে যা-তা লিখে ছেড়ে দিয়ে বলেন- এই নেন, আমার নতুন আঙ্গিকের কবিতা, তখন বিরক্তির সীমা থাকে না।
এরা কার্যত কবিতার অঙ্গনকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত । কবিতা বুঝতে গেলে আপনাকে কবির শরণাপন্ন হতে হবে । একেবারে মনের কথা বলেছেন শাহ আজিজ ভাই।
ধন্যবাদ পোস্ট পড়া ও কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
ইষ্টানিষ্ট না ভাবিয়া প্রোৎসাহে মন্তব্য করিতে হাত ইশপিশ,
তরস্বী ইলচির মতো ইলিমিলি ইষ্টিতে দিলাম দুই লাইন ঢুস.....
ইহা কবিতা হইয়াছে কিনা বা কবিতার নামে ইল্লত হইয়াছে কিনা দয়া করিয়া জানাইবেন। খালি পোস্ট দেখিয়াই যদি এমন কবিতার প্লব হয় তবে অভিধান দেখিয়া মহাকাব্য রচনা করাও কোনও ব্যাপার না !!!!!!!!!
২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইয়ে, আই মিন, উল্লেখ্য, অত্র পোস্টখানা বহুদিন পূর্বে লিখিত, এতে উল্লেখিত শব্দবর্গের অর্থমণ্ডলি আমার নিজেরও মনে নাই আর কোনো কবিতার অর্থ বুঝতে না পারা মানে উহা একটা অতীব উচ্চমার্গীয় কোবতে হিসাবে বিবেচ্য। সেই হিসাবে আপনার কোবতে খানা ক্লাসিক পর্যায়ের হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ পোষণ করিলাম না কাজেই অভিনন্দন গ্রহণ করিতে সদয় আজ্ঞা হয়, কবি
ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই পোস্টখানা পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা নিয়েন।
৩| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ৯:২৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হায় হায়।
কবিতা কই?
আমি একখানি নিগুর তত্ত্বহীন পূর্বাপর অসম্বন্ধযুক্ত কবিতার আশায় ছিলাম।
২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাহলে আপনার জন্য এই মহাকাব্যকণাখানি রহিল
দুর্গম ত্র্যাঙ্গুল নেহারি কান্তার ভ্যূলোক দ্যুলোক ক্রকচ মরু
হিমাদ্রি ভবিতব্য নতশির প্রেমারা দুস্তর পৈশুন্য
খোদার আসন বিশ্ববিধাত্রীর মহাকাশ
৪| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ১০:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সোনাবালিছাই
অভিধান দেখে কবিতা লেখার
সাধ্য আমার নাই।
প্রোৎসাহে যা আসে ক্ষনে ক্ষনে
তাই দিয়া কবিতা রচি মনে মনে।
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিধান খুলে কবিতা লেখা যায় না। তবে, মাঝে মাঝে অভিধান খুলে চোখ বুলালে কিছু শব্দ মগজে ঢুকে যেতে পারে, যাতে নিজের শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হতে পারে। তবে, অভিধান থেকে বেছে বেছে শব্দ এনে লেখাকে জটিল করতে চাইলে তা খুব আর্টিফিশিয়াল কবিতা হয়ে যাবে।
শুভেচ্ছা নিয়েন নূরু ভাই।
৫| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এতো কঠিন আর অসংলগ্ন লেখা পড়ে আমার মাথায় গন্ডগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবু পড়েছেন, তাতেই আমি ধন্য।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
৬| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই আপনার ঠ্যালা গুঁতায় চরম ভাষা শিক্ষা হোল!
মাফ করে দেয়া যায় না
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা।
আপনারে মাফ করার আগে আমি নিজেরে মাফ করে দিলাম এবার আপনারেও মাফ করে দিলুম
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় শেরজা তপন ভাই।
৭| ২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খাইছে আমারে এমন করি তো কবিতা লিখবার পারুম না।
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
একবার না পারিলে শতবার ট্রাই করুন এক সময় হয়ে যাবে নে
৮| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দুর্গম ত্র্যাঙ্গুল নেহারি কান্তার ভ্যূলোক দ্যুলোক ক্রকচ মরু
হিমাদ্রি ভবিতব্য নতশির প্রেমারা দুস্তর পৈশুন্য
খোদার আসন বিশ্ববিধাত্রীর মহাকাশ
অতিব জ্ঞানোগর্ভ জ্ঞানোরত্ন জ্ঞানোউত্তম কবিতাকণা পাঠে আমি অজ্ঞান খাইবার উপক্রম হইলাম!
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
---
শির নেহারি আমারি নতশির ঐ শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন আরশ ছেদিয়া
উঠিয়াছে চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাত্রীর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটিকা দীপ্ত জয়শ্রীর
৯| ২১ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৪
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: দাঁড়ান প্রিয়তে রাখি। ডিকশনারি খুলতে হবে না কষ্ট করে।
ভালো আছেন আপনি?
২২ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা
হ্যাঁ আপু, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? অনেকদিন পর ব্লগে এলেন। ভালো লাগলো দেখে। আশা করি ব্লগে আসভেন নিয়মিত।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১০| ২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দুর্গম ত্র্যাঙ্গুল নেহারি কান্তার ভ্যূলোক দ্যুলোক ক্রকচ মরু
হিমাদ্রি ভবিতব্য নতশির প্রেমারা দুস্তর পৈশুন্য
খোদার আসন বিশ্ববিধাত্রীর মহাকাশ
ভেবে ছিলাম এটি আপনার লেখা, এখন দেখছি কপি করা!!
২২ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ঠিকই ধরেছেন, ওটা নকল কবিতা।
তবে, নীচেরটা আমার অরিজিন্যাল পোয়েম।
জৈতুন প্রিয়ব্রজ্যা ব্রততী ক্ষারিত আঙ্গার
অবীর সংবেদনা দুণ্ডুভ জিগৎসা
খেচর আর্গল পূরভাষ সমিদ্ধ রক্তিম
বাণকাড়া মনোবাঞ্ছা
এ লিংকের মাঝামাঝি অংশে গেলে এর ব্যাকগ্রাউন্ড বুঝতে পারবেন
এ পোস্টে আবারও আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জলদস্যু ভাই।
১১| ২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো কি রিটায়ার্মেন্টে চলে গেছে ?
এতো সময় পায় কি করে
ভিন্ন মাত্রার পোষ্ট দেখে মহা খুশি হয়েছিলাম, হয়তো কোন গল্প হবে অথবা অন্যকিছু ।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গান পোস্টই ভালো
পোষ্ট পড়ে মাথা বন বন !
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা
২৪ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২৪ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে, তামিম, শাকিব, জয়- প্রত্যেকেই বিরাটকায় হংসডিম্ব উপহার দিয়ে, মমিনুল ভাই গত কয়েক ম্যাচের মধ্যে সেরা স্কোর ৯ করার পর মুশি আর লিটু এসে দলকে পাহাড় সমান সম্মানজনক উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে (আই মিন দলরে বাঁচাইছে) গতকল্য দিন শেষে স্বল্প আলোর কারণে ৫ ওভার খেলা বাকি রেখেই ২৭৭ রানে ঘরে ফিরেন। আজ লাঞ্চ সেশন যদি এ দুজন সারভাইভ করতে পারেন, আশা করি অন্তত ২য় সেশনেও বাংলাদেশ খেলবে। সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৪০০ রান ছাড়িয়ে ৪৫০ প্লাস মাইনাস করতে পারবে বলে মনে করি। বাংলাদেশের জয় এ ম্যাচে খুবই প্রত্যাশিত, যে আশাবাদ টাইগারগণ আগেই ব্যক্ত করেছেন। মিনিমাম একটা ড্র তো হচ্ছেই আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: মিথ্যা বলেননি , আমি বেশ ক'বছর ধরে দেখছি কিছু উটকো তরুন তরুণী এরকম যা কিছু মিন করেনা তা দিয়ে লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছেনা । আমি এদের পিং পং বলের লাফালাফি স্টাইলে কবিতা বলি । তাতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হয় । এরা কার্যত কবিতার অঙ্গনকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত । কবিতা বুঝতে গেলে আপনাকে কবির শরণাপন্ন হতে হবে । কি দুর্ভাগ্য ।