নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবই পুরোনো কৈতুক, সাথে কিছু সিরিয়াস স্টাফ - চলুন একটু হাসাহাসি করা যাক :) :) :)

০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

সবই পুরোনো, কোনো নতুন জোকস নয় /// বহু-মেশলা

গবেষণায় দেখা গেছে যে, নতুন কোনো কৌতুক সৃষ্টি হয় না; একই কৌতুক এক শতাব্দী থেকে অন্য শতাব্দীতে দৌড়াতে থাকে; দৌড়াতে দৌড়াতে পা ক্ষয় হয়, শরীর ভেঙে যায়- কিছু বিবর্তনপ্রাপ্ত কৌতুকের উদয় ঘটে :)


১।
একবার আমাদের মিস্টার আবুল মাইক্রোসফট কোম্পানিতে যোগ দেয়ার জন্য আবেদন করছেন। সেখান থেকে তার রিফিউজ লেটার এসেছেঃ

Dear Mr. Abul Hossain,
You do not meet our requirements.
Please do not send any further correspondence.
... ... No phone call shall be entertained.

Thanks
Bill Gates

আবুল মামা এই চিঠি পড়ে খুবই খুশি হলেন, আর সেই সাথে প্রেস কনফারেন্স ডেকে ফেললেনঃ

‘আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, আমেরিকাতে আমার চাকরি হইয়া গেছে!’ সবাই খুশিতে হাততালি দিল। সে আবার বলতে থাকলো, ‘আমি আপনাদের সবাইকে আমার নিয়োগপত্র পড়ে শোনাচ্ছি, কিন্তু ইংরেজিতে লিখছে, তাই সবার বুঝার সুবিধার জন্য বাংলাতে পইড়া শোনাব।

Dear Mr. Abul Hossain - প্রিয় আবুল হোসেন ভাইয়া
You do not meet- আপনে তো আমার সাথে দেখাই করেন না!!
our requirement - আমাদের দরকার
Please do not send any further correspondence - এখন চিঠি পত্র পাঠানোর কোনো দরকার নাই।
No phone call - ফোন করারও দরকার নাই। মানে আমারে এইসব ঝামেলা না কইরা ডাইরেক্ট যাইতে কইছে! :)
shall be entertained- বহুত খাতির করা হইব
Thanks - আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Bill Gates - তোমার বিল্লু


২।

মেয়ে দেরি করে বাড়ি ফিরলো|

বাবা জিজ্ঞাসা করলো, ‘কোথায় ছিলে?’

মেয়ে বললো -বন্ধুর বাসায়।

বাবা মেয়ের সামনেই তার দশজন বন্ধুকে ফোন দিল।

> ৪ জন বললো - ও তো এখানেই ছিলো!
> ২ জন বললো - ওহ আংকেল.. ও তো এই মাত্র বের হয়ে গেল!
> ৩ জন বললো - ও তো আমার বাসায় পড়ছে। ওকে কি ফোনটা দিব?
> ১ জন তো পুরাই উড়াধূরা। সে বললো, ‘হ্যাঁ বাবা, বলো!’ 


৩।

এক চেইন স্মোকারকে একদিন ২টা সিগারেট একসাথে জ্বালাতে দেখে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, ‘ভাই, শেষ খাওয়া খাচ্ছেন নাকি?’
লোকটি উত্তর দিল, ‘আমার বন্ধু মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলে গিয়েছে- দোস্ত, যখনি বিড়ি খাবি, আমার নাম করেও একটা খাবি।’ এইজন্যেই ২টা খাচ্ছি।
এর কিছুদিন পর একদিন তাকে ১টি সিগারেট খেতে দেখে লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো, ‘কী ভাই? বন্ধুর কথা ভুলে গেলেন নাকি?’
লোকটির উত্তর, ‘ভাই, আমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু বন্ধুরটা খাচ্ছি।’


৪।

একবার এক ছাত্রকে শিক্ষক প্রশ্ন করলেনঃ অ্যাম্বুলেন্স সাদা হয় কেন?

ছাত্রের উত্তরঃ
অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকে।
অক্সিজেন একটা গ্যাস। গ্যাস খাবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। আর খাবার ভিটামিনের উৎস। আমরা সূর্য থেকে ভিটামিন D পাই। সূর্য আলো দেয়। আলো বাল্ব থেকে আসে।
ক্রিসমাস ট্রি-তে ছোটো বাল্ব লাগান হয়। ক্রিসমাস মানে গিফট। সান্তা ক্লস গিফট নিয়ে আসেন।
সান্তা দক্ষিণ মেরুতে থাকেন। ওইখানে মেরু ভাল্লুক থাকে।
মেরু ভাল্লুক সাদা।
এইজন্য অ্যাম্বুলেন্স সাদা!


৫।

এক লোক একটা অভিজাত রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখল তিনটা দরজাঃ

১ম দরজায় লিখা: চাইনিজ খাবার
২য় দরজায় লিখা: বাঙালি খাবার
৩য় দরজায় লিখা: ইংরেজ খাবার

লোকটি তার পছন্দ অনুযায়ী চাইনিজ খাবারের দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লিখা: বাড়ি নিয়া খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: হোটেলে খাইবেন

লোকটি হোটেলে খেতে চেয়েছিল, তাই ‘হোটেলে খাইবেন’ লেখা দরজায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লেখা: এসি
২য় দরজায় লেখা: নন এসি

লোকটি এসি রুমে খেতে চেয়েছিল, তাই সে এসি লেখা দরজাটায় ঢুকলে সেখানে আরো দুটি দরজা দেখতে পেলোঃ

১ম দরজায় লিখা: ক্যাশ খাইবেন
২য় দরজায় লিখা: বাকি খাইবেন

লোকটি ভাবলো, বাকি খেলেই ভালো হয়; তাই সে ‘বাকি খাবেন’ দরজাটা খুলে বেরোতেই সে নিজকে রাস্তার মধ্যে পেলো।



৬। রেলের এক লাইনম্যান বিয়ের রাতে তার বউয়ের কাছে তার ক্ষমতার বর্ণনা করছে : আমার অনেক ক্ষমতা। আমি খুলনার রেল রাজশাহীতে ঘুরাইয়া দিতে পারি। নববধু স্বামির এই ক্ষমতার কথা শুনে তো হাইলি ইম্প্রেস্ড। সে ভাবে গদ গদ হইয়া বললো, তাইলে একবার আমারে তোমার ক্ষমতা দেখাও। ‘তুমারে আইজক্যা সকালেই দেখামু।‘ লাইন ম্যান এ কথা বলে শুইয়া পড়লো।

সকালে উঠে বউকে নিয়ে সে তার কর্মস্থলে গেল। একটা রেল আসছিল। বউ সামান্য দূরে দাঁড়ানো। লাইনম্যান ঘ্যাচাং করে লাইন টেনে খুলনার রেলের গতিপথ রাজশাহীর দিকে ঘুরাইয়া দিল। অমনি ঐ রেল রেলগাড়ি ঝমঝম করতে করতে লাইনম্যানরে অতিক্রম করে সিরাজগঞ্জ পার হইয়া রাজশাহীর দিকে যেতে থাকলো। লাইন ম্যান নিজের কলার ঝাঁকি দিয়ে বউয়ের কাছে বাহাদুরি দেখাইলো – ‘দেখছাও, মুই কী হনুরে হইয়া গেছি?’ বউ তো স্বামীর এই বাহাদুরি দেইখ্যা আনন্দে গর্বে পাগল হইয়া গেল। ----- একটু দূরে যেয়ে রেল থামলো। রেল থেকে নেমে একজন লোক ক্রুদ্ধ পায়ে হেঁটে এসে লাইনম্যানের সামনে দাঁড়ালো – তারপর কইষ্যা তার দুই গালে চপাট চপাট করে কয়েক গাঁদা থাপ্পড় দিয়া মাটিতে ফালাইয়া দিয়া চইলা গেল। লাইন ম্যানের বউ তো ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেল ঘটনায় আকস্মিকতায়।
- এইটা কী হইল? তুমি না বললা, তোমার অনেক ক্ষমতা?
- হ্যাঁ, লাইনম্যান নির্বিকার ভাবে বলে, আমি আমার ক্ষমতা দেখাইছি, আর ঐ হালায় দেখাইছে ওর ক্ষমতা। ব্যস, শোধবোধ!

Power is understood, only when the power is misused. এরকম একটা কথা কোথাও শুনেছিলাম। এখন এটা গুগুলে সার্চ দিলাম, কিন্তু পেলাম না। যাই হোক, কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তি এ কথাটা বলে থাকবেন। আমরা বাস্তবেও তাই দেখছি। যার পাওয়ার আছে, কিন্তু ইউজ করছে না, তাকে আমরা মেরুদণ্ডহীন বলি। কারো পাওয়ার আছে কী নাই, এটা বুঝি তখনই, যখন তিনি এটা মিসইউস করেন। বস্তুত, প্রকৃত ক্ষমতাবান কখনো ক্ষমতা জাহির করেন না, তার ক্ষমতার একটা প্রভাব এমনিতেই চারদিকে বিরাজ করে। যাদের ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল বা একেবারে শূন্য, তারা খালি লাফায়, খালি লাফায় আর লাফাইতে লাফাইতে গলা, পা সবই ফাডাইয়া ফালায়। আপনার ক্ষমতার মূল উৎস আপনার সততা, ন্যায়নীতি ও শিক্ষা। যাদের এগুলো নাই, তাদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাইয়া নিজ নিজ কর্মে নিমগ্ন থাকুন।



এটা কোনো জোক না, একটি আরবি প্রবাদঃ

“তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।”


৮।
এটা ভালোবাসা সংক্রান্ত বাণী : Love me little, but love me long. ক্লাস টেনে কোনো পত্রিকা কিংবা বাণী চিরন্তনী জাতীয় বই পড়ার সময় কোথাও পড়েছিলাম। কার কথা কারো জানা থাকলে জানালে খুশি হবো। এ লাইনটা থেকে আমার একটা কবিতার জন্ম হয়েছে, ‘তুমি ও প্রেম’ :

কিছু কিছু প্রেমকে খুব গভীর হতে দিতে নেই
দূর থেকে তোমাকে দেখবো
একটি রক্তজবাফুল শূন্যে
ভাসতে ভাসতে একদিগন্ত থেকে অন্য দিগন্তে
উড়ে যাচ্ছে। আহা, কত সুখ! কত সুখ!
বাস্তবিকই তুমি খুব সুন্দর

কিছু কিছু প্রেম কিছুদিন পর একঘেঁয়ে হয়ে যেতে পারে
তোমাকে আর সুন্দর মনে হবে না
আমার জন্য তোমার কোনো অপেক্ষার
প্রহর থাকবে না।
বাস্তবিকই আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।
আমি জানি তুমিও আমাকে।
আমি তোমাকে স্বল্পকালের জন্য গভীর ভালোবাসতে চাই না
অল্প অল্প হলেও আজীবন
ভালোবাসতে চাই।

হঠাৎ হঠাৎ তুমি হারিয়ে যাও, তোমাকে কীভাবে খুঁজি
তা তুমি জানো কি? এমন করো না, আমিও
হারিয়ে যেতে ভালোবাসি কোনো পদচিহ্ন না রেখেই।

২ জানুয়ারি ২০১৭


৯। এটা একটা ইংরেজি গানের ভাবানুবাদ; ২০১৫ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত আমার ৩য় কবিতার বই ‘অসম্পর্কের ঋণ’ বইয়ে ‘উৎসর্গ’ হিসাবে সংযোজিত :

তুমি ছিলে সেই অমরাবতীর পাখি
যাহার লাগিয়া একটি জীবন নদী
তোমার অধরে তীব্র আলোর ক্ষুধা
নীরব দহনে দুঃখী বনস্পতি

ঘাসের শরীরে শিশিরের বেদনারা
চাঁদের আলোয় মৃত ওষ্ঠেরা কাঁদে
যে-ফুল ফুটিল শুধুই তোমার লাগি
ক্ষয় হলো সে-ই নিষ্ঠুর সম্পাতে


১০। জনৈকা সুন্দরী শিক্ষিকা ফারহানাভস্কি যথাসময়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকুরিতে যোগ দিলেন। পড়াতে গিয়েই টের পেলেন, যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়া ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা। প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম, আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বো না। কারণ, প্রথম গ্রেডের সব পড়ালেখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে, আমি ওর চেয়েও স্মার্ট। কাজেই মিনিমাম, আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন।
ম্যাডাম এই প্রগল্ভ ও পণ্ডিতন্মন্য ছাত্র রাজুকে নিয়ে জনাব প্রিন্সিপালের রুমে গেলেন। সব খুলে বললেন।
প্রিন্সিপাল স্যার রাজুকে বললেন, ঠিক আছে, আমি তোমাকে দুয়েকটা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারো, তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে।
প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত?
রাজুর ঝটপট জবাব, স্যার , নয়।

আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত?
এবারও রাজুর জবাব- স্যার ৬৪।
প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।

রূপবতী ম্যাডাম ফারহানাভস্কি মিলিতাপাভো এবার প্রিন্সিপাল স্যারকে বললেন, স্যার, আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন, আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি।
প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন।

ম্যাডাম, রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন-আচ্ছা রাজু বলতো, গাভীর চারটা আছে, কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কী?
রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে, আর মিটিমিটি হাসছে।
ম্যাডাম বললেন, লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু। তুমি সঠিক জবাব দিও।
রাজু বললো, ম্যাডাম, আপনি যা ভাবছিলেন তা না, এটা হলো-আপনার দুই পা।

ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বল তো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে, আর আমার তা নেই, সেটা কী?
রাজু লাজে হাসে।
ম্যাডাম বলেন, লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু।
রাজু বলে, ম্যাডাম, এটা হলো, আমার প্যান্টের পকেট।

ম্যাডামের পরের প্রশ্ন : আচ্ছা, বলতো, এমন একটি শব্দ যা ইংরেজি লেটার C দিয়ে শুরু আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার, ডিলিশাস, ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম, যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়।
প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। কী বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে। জীবনে তো এই শব্দ কম ইউজ করা হয় নাই – । আজ এই ভরা সভায় রাজু ঐ শব্দটা বলে ফেললে কেলেঙ্কারির আর একশেষ থাকবে না।
রাজু বললো, ম্যাডাম, প্রিন্সিপাল স্যার যা ভেবে লজ্জা পাচ্ছেন, এটা তা না, শব্দটা হলো Cocunut.
প্রিন্সিপাল সাহেব হাফ ছেড়ে বাঁচতে যেয়েও রাজুর কথায় খুবই লজ্জিত, বিব্রত ও বিবাহিত হইয়া গেলেন। রাজু কি মাইন্ড-রিডার নাকি? ঐ বেটা পিচ্চি দেখি মনের কথাও ধরে ফেলতেছে। ভাগ্যিস, তিনি ফারহানাভস্কিকে নিয়া এতক্ষণ কিছু ভাবেন নাই, তাইলে হয়ত সে মুখের উপর এইটাও বলে দিত- স্যার, আপনি ম্যাডামের দিকে তাকাইয়া আছেন কেন?
ম্যাডামের পরের প্রশ্ন : আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢোকে, আর নরম, ভেজা, আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে, সেটা কী?
ইশ্‌সিরে, খাইছে রে!! প্রিন্সিপাল ভাবলেন, এবার আর রক্ষা নাই। এইটা সেই জিনিস না হইয়া যায় না। খুকুর কুকুর কিছু কাশি দিয়া ম্যাডামের সামনে থেকে বাইরে যাওয়ার প্ল্যান করতে লাগলেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু ততক্ষণে রাজু জবাব দিয়ে ফেলেছে, ম্যাডাম, এটা হলো বাবল গাম।
আহ! আবারো প্রিন্সিপাল হাফ ছেড়ে লম্বা শ্বাস নেয়। আজকে যে কী দেইক্ক্যা ঘুম ভাঙছিল, মনে করার চেষ্টা করতে লাগলেন প্রিন্সিপাল, কেন তাকে এত বড়ো বিপদে পড়তে হলো তাকে?

ম্যাডামঃ আচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়-
এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো লজ্জাকর অবস্থা। কিন্তু রাজুর উত্তর, ম্যাডাম, এটা হলো Fire Truck.

ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।
প্রিন্সিপালের এবার মরার দশা হইল। কিন্তু এবারও প্রিন্সিপালকে অবাক ও আশ্বস্ত করে রাজু জবাব দিল-ম্যাডাম এটা হলো-Fork.

ম্যাডামঃ রাজু, বলতো সোনা, এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়। বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে।
রাজুর জবাব –ম্যাডাম, এটা হলো ডাকনাম।

ম্যাডাম : রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই, তবে অনেক শিরা আছে, এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি, উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়। বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসাবাসি বোঝা যায়।

রাজুর জবাব, ম্যাডাম, এটা হলো হার্ট বা হৃদয়।

শোনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডামকে বললেন ওকে অষ্টম গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি।



হ্যাপি জোকিং :)

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ৩, ৬, ১০ আগে পড়েছি, ৭ টাও। তবে ১০ নাম্বারে মনে হয় শেষে অন্য কিছু ছিলো। আমার ভুলও হতে পারে।
তবে আমাদের সোনা সাহেব এই সব প্রচলিতো জোকস শেয়ার করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কৈতুকের কারখানা হইল এই পোস্টখানাview this link কৌতুক পোস্টের অনেক লিংক দেয়া আছে। এক পোস্ট থেকে শত শত পোস্টের লিংক পাওয়া যাবে। খালি কৈতুক আর কৈতুক, কৈতুক আর কৈতুক :)

প্রায় সব কৈতুকই এই ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট থেকে সংগৃহীত। কিছু কৈতুক আমি মোডিফাই করি, সময় হাতে পেলেই। কিছু কিছু অন্যান্য জায়গা থেকে সংগৃহীত, কিছু বানানোও থাকে।

১০ নাম্বার কৈতুকটা খুঁজলাম। এর বেশ কিছু ভার্সন আছে। এটা সেরা ভার্সন। তবে, এটাও খানিকটা পরিমার্জিত।

কৈতুক পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।

২| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জোকস গুলো পরিচিত আগেও শুনেছি তাই
এবার পড়ার সময় দাত বের হয়নি।
অনেকেই ইদানিং জোক নিয়ে
টানা টানি করছেন!
বেচারার তো প্রাণ
নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি
অবস্থা!

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কৈতুক আমার কাছে কখনো পুরোনো লাগে না :) কৈতুক আমি প্রচুর পড়ি। যতবার পড়ি ততবারই হাসি :) কোনো এক সময় হাসির বিশ্বকোষ ১ম ও ২য় খণ্ড এ দেশে খুবই প্রিয় ছিল। ওগুলো গুলিয়ে খেয়েছি অনেক অনেকদিন আগে। বইমেলা থেকে কৈতুকের বই খুঁজে খুঁজে কিনে থাকি। আমার কাছে নতুন কৈতুক খুব কমই আসে। এই ব্লগের কোনো কৈতুক পোস্ট আমার বাদ আছে বলে মনে হয় না :)

কৈতুক পড়লে হাসি পায়। হাসলে মন নির্মল ও নিষ্কলুষ থাকে।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ নূরু ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, এটা 'সবজান্তা শমসের গাজী'র পাঠশালা তাই সেই পাঠশালার পণ্ডিত মশাইর জন্য একটা জোক বলিঃ

ছোট্ট শিশু পাঠশালা থেকে এসেই ওর মা বাবা-মাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেঃ-

"বাবা-মা, তোমরা আমাকে কিভাবে পেয়েছো অর্থাৎ আমার জন্ম হয়েছে কিভাবে?"

বাবা-মা দুজনেই আচমকা এমন প্রশ্নে কি জবাব দেবে তা নিয়ে ইতস্তত করছিলেন.... বাবা সন্তানের মাকে ইশারা ইংগিতে বললো - "সাবধানে উত্তর দিও, ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে.... "!

মা বললেন, 'তোমাকে আমরা হাসপাতালে পেয়ে ওখান থেকে নিয়ে এসেছি'।

ছেলেঃ "তাহলে বড়ো আপাকে কিভাবে পেয়েছিলে?"

বাবাঃ 'তোমার বড়ো আপাকে হাসপাতালের নার্স এর কাছ থেকে নিয়ে এসেছিলাম'।

ছেলেঃ "আর ভাইয়াকে কিভাবে পেয়েছিলে?"

এবার বাবা-মা ঘাবড়ে গিয়ে বললেন, 'তোমার ভাইয়াকে নদীতে একটা পাতিলের মধ্যে পেয়েছিলাম।'

তিনটা উত্তর শুনে ছেলে কিছু ভাবতে ছিলো.... বাবা-মা মনে করেছেন তারা ছেলেকে যথার্থ উত্তর দিয়ে বুঝ দিতে পেরেছে.....

কিছুক্ষণ পর ছেলে বললোঃ "বুঝেছি তোমরা আমাকে হাসপাতালে পেয়েছো, বড়ো আপুকে নার্সের কাছ থেকে এনেছো আর ভাইয়াকে নদীতে পাতিলের মধ্যে পেয়েছো....অর্থাৎ তোমরা বলতে চাচ্ছো- তোমরা যৌন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের কাউকে জন্ম দাওনি? অথচ আমি আমার পাঠশালার বন্ধুদের কাছে শুনেছি, জেনেছি - বাবা-মা'র যৌন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সকল সন্তান তথা মানুষের জন্ম হয়।"

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহা
হহহাহাহাআহাহাহাহাহাহ
হাহাহাহাহাহাহাহ

হহাহাহ

এই ইঁচড়েপাকা পোলা যে সবকিছুতেই পেকে গেছে, তা কি মা-বাবারা জানতো?

--

যাই হোক, এই পোস্টে জনাব পঁচাত্তর ভাইয়ের দুটো কৈতুক দেখুন :

৫ বছরের বাচ্চা পিল্টু খুব বুদ্ধিমান, নারীদের সম্মান করতে পিছপা হয় না।
একদিন বাসে এক মহিলা দাঁড়িয়ে ছিল! তো পিল্টু বলে উঠল-
পিল্টু : আন্টি আমি উঠে যাই, আপনি আমার জায়গায় বসে যান।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মহিলা বল্টুকে ধমক দিয়ে এক চড় দিলো! পিল্টু বলল-
পিল্টু : আন্টি, চড় মারলেন কেন?
মহিলা : আমি কি তোর বাবার কোলে বসবো?

------------------------------------------

জজ: স্বামীর মাথায় চেয়ার দিয়ে আঘাত করেছেন আপনি, কেন?
অভিযুক্ত নারী: কারণ, টেবিলটা ওঠাতে পারছিলাম না, হুজুর। অনেক ওজন ছিল ওটার… তাই চেয়ার দিয়েই...

৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল আমার কোনো কিছুতেই হাসি পায় না কেন বলেন তো!!

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাসি না পাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।

হয়ত আপনার মন ভালো নেই। মন ভালো না থাকারও অনেক কারণ থাকতে পারে, যা মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। তবে, আমি মনে করি, নিজের বা পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে মনে দুশ্চিন্তা থাকবে, কোনো কিছুতেই হাসি আসবে না বা আনন্দ পাওয়া যাবে না। বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সংকট, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলহ, বন্ধুবান্ধবদের সাথে বনিবনা না থাকা, অফিসের বসের সাথে অ্যাডজাস্টমেন্ট না হওয়া, সন্তানাদির লেখাপড়া, ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের চাপের মুখে থাকা। কোনো অন্যায় বা অপরাধ করে থাকলে অপরাধবোধ। চাকরি হারানো, বা নতুন চাকরির অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা। প্রেমে টানা-পোড়েন বা স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন। হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, অহংকার, বা ইগো সংক্রান্ত কোনো বিষয় সামনে চলে এলে মনে খুব ঝড় বইতে থাকে। তখন আপনার মনে কোনো হাসি বা আনন্দের উদ্রেক হবে না।

এর বাইরেও, ডিজিটাল লাইফে ফেইসবুক, ব্লগ, ইউটিউবের নানান ঘটনা আপনার মনে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যা থেকে মন সারাক্ষণ বিষণ্ণ বা হতাশাগ্রস্ত বা টেনশনে থাকবে, কখনো হাসি আসবে না।

আরো অনেক কারণ আপনি নিজেও খুঁজে বের করতে পারেন।

কথাগুলো ইন জেনারেল বললাম, আমার অভিমত। এগুলোর মধ্যে কোনো পয়েন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য কিনা, সেটা আপনি দেখে নিতে পারেন।

কোনো কিছুতে হাসি না পাওয়া, আনন্দ না লাগার মতো বিষয় যে-কারো জীবনে যে-কোনো সময়েই আসতে পারে। ঐ সময়টাতে ধৈর্য ধারণ করতে পারাটাই বিজয়ীর লক্ষণ। টাইম ইজ দ্য বেস্ট হিলার, বহু পুরাতন প্রোভার্ব। বিমর্ষতা একসময় কেটে যাবে। মন হাসি খুশিতে ভরে উঠবে।

যে-কোনো কনফ্লিক্ট বা বিতণ্ডাপূর্ণ বিষয় থেকে দূরে থাকতে পারলে মন এমনিতেই সজীব ও সতেজ থাকে। সাধারণ বাতাসেও মন ফূর্তিতে ভরে ওঠে।

আপনার মন হাসিতে ভরে উঠুক - পরীর বাবা।


শুভেচ্ছা নিয়েন রাজীব নুর ভাই।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: পড়ে ভালোই মজা পেলাম।

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন। মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

--

একবার মগামুল্লুকে কী এক গণ্ডগোলে পুলিশের গুলি খাইয়া একজন যুবক মারা গেল। মগা কুদ্দুস তখন ঘটনাস্থলেই ছিল, বলতে গেলে তার চোখের সামনেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হলো।

রাতভর মগা কুদ্দুস ছটফট করতে লাগলো, কখন সকাল হবে, আর খবরের কাগজে বড়ো বড়ো অক্ষরে হেডিং বের হবে – পুলিশের গু খাইয়া যুবকের মৃত্যু।

সকাল বেলা দৌড়ে সে নিউজ স্টলে গেল। হাঁপাইতে হাঁপাইতে প্রথম আলো, মানব জমিন, জনকণ্ঠ, ইত্যাদি বিখ্যাত সংবাদপত্রগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজলো; খুঁজতে খুঁজতে কাগজগুলো ফানা ফানা কইরা ফালাইল, কিন্তু সবগুলো খবরের কাগজই ভুল শিরোনাম করেছে – পুলিশের গুলি খাইয়া যুবকের মৃত্যু। মগা কুদ্দুসের বিরক্তি চরমে পৌঁছলো। হালার রিপোর্টারগুলো এত অগামগা হয় কীভাবে?

মনের ক্ষোভ চাইপ্যা রাখতে না পাইরা প্রাণের দোস্ত মজিফুদ্দিরে বললো, আবালগুলি কি কৈতুক মৈতুক কুনুদিনই পইড়া দেহে না? দেখলে তো আইজকার হেডিঙে এত বড়ো ভুল করতো না।

মজিফুদ্দিন আর কী কইব! কইল, ওগো কতা আর কইস না। ওগো পাছায় কোনো চুল নাই। তাই হেতিরা খালি শিরোনামে ভুল করে।

২৭ মার্চ ২০২২

৬| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মজার মজার জোক। কবিতাও সুন্দর।

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, কবিতার ব্যাপারে এই প্রথম একটা মতামত। ধন্যবাদ আপনাকে।

তো, সাথে এইটা নিয়া যান।

--

এক পাগলের ডাক্তারের কাছে এক পাগলরে আনা হইছে। ডাক্তার সেই পাগলরে তার পাগল হওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড জিজ্ঞাসা করতেছে।


ডাক্তার : তুমি পাগল হলে কীভাবে....???

পাগল : পাগল হইছি কি সাধে...

আমি এক বিধবা মহিলারে বিয়ে করছিলাম!
তার এক যুবতী মেয়ে ছিল। তাকে বিয়ে করলো আমার বাবা!
আমার মেয়ে হয়ে গেল আমার মা এবং আমি হয়ে গেলাম আমার বাবার শ্বশুর!
তার ঘরে হলো একটা মেয়ে; সে হলো আমার বোন কিন্তু আমি তার নানীর জামাই!!
সে দিক থেকে সে আমার নাতনিও।
এভাবে আমার একটা পোলা হইলো।
তো আমার পোলা হলো আমার বাপের শালা।
আর আমি আমার পোলার ভাইগ্না।
ডাক্তার : চুপ কর শালা, তুই আমারেও পাগল বানাইয়া ফেলবি।

০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :) :)


এক্সিডেন্ট এ এক শিক্ষক, এক রাজনীতিবিদ আর এক ডাক্তার শহীদ হয়েছে ।
স্বর্গ দূত তাদের স্বর্গে প্রবেশের আগে বলল , '' তোমরা তো খুব ভালো মানুষ ছিলে , তাই তোমাদের ভালোমানুষী অনুযায়ী তোমাদের সহজ প্রশ্ন করা হবে । উত্তর দিতে পারলেই তোমরা স্বর্গে যাবে ''
'' প্রথম প্রশ্ন , একটা জাহাজ যা বরফের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে গিয়েছিল , তা নামে একটা ছবি ও হয়েছিল , ওই জাহাজ এর নাম কি ??? '' প্রশ্ন শিক্ষক এর প্রতি।
শিক্ষক জবাব দিল, '' টাইটানিক ''. দূত বলল, '' যাও, ফুর্তি কর ''
এবার ডাক্তার কে কে প্রশ্ন করলো, '' বল , কয়জন মারা গিয়েছিল ??? ''
কপাল ভালো, বি সি এস এর সময় এটা শিখেছিলাম, ভাবলো ডাক্তার ..... '' ১২২৮ জন '' উত্তর দিল সে । স্বর্গ দূত তাকে প্রবেশের অনুমতি দিল ।
''এবার আমার শেষ প্রশ্ন রাজনীতিবিদের প্রতি'' বলল স্বর্গ দূত, ''যারা মারা গিয়েছে তাদের নাম বল ''

***

বউঃ এই আজতো আমাদের ১ম বিবাহ বার্ষিকী। আমরা আজ কি করবো?
বরঃ আস আমরা দুই মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করি।

***

একজন ফিজিসিস্ট, একজন বায়োলোজিস্ট আর একজন কেমিস্ট জীবনে প্রথমবারের মত সমুদ্র দেখতে গেলেন। যেহেতু তিনজনই জীবনকে উৎসর্গ করেছেন সায়েন্সের জন্য সুতরাং তিনজনই চাইলেন এই সমুদ্র নিয়ে গবেষনা করবেন।

যেমন চিন্তা তেমন কাজ। ফিজিসিস্ট সমুদ্রের বিশাল বিশাল সব ঢেউ মনযোগ দিয়ে দেখতে লাগলেন। ঢেউগুলো সব ভেঙ্গেচুরে এগিয়ে আসছে, তীরে পড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে নিজেই। তার হঠাৎই মনে হল এই ঢেউই তার গবেষনার বস্তু হতে পারে। বিশেষ করে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডায়নামিক্স নিয়ে গবেষনা করলে বিশাল ফল উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে। সুতরাং তিনি রওয়ানা হলেন, ঢেউগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে কিন্তু একসময় নিজেই হারিয়ে গেলেন ঢেউয়ের আড়ালে। ফিরলেন না আর।

বায়োলজিস্ট চিন্তা করলেন তিনি সাগরের তলদেশের লতা..পাতা..গুল্ম নিয়ে গবেষনা করবেন। কে বলবে হয়তো এ থেকেই তিনি বিদ্যুত তৈরীর পন্থা আবিস্কার করে ফেলবেন। সুতরাং তিনিও চললেন। যা হবার তাই হল ... হারিয়ে গেলেন তিনিও। ফিরলেন না।

কেমিস্ট ভদ্রলোক অনেকক্ষন অপেক্ষা করলেন তার বাকী দুই সঙ্গীর প্রত্যাবর্তনের আশায়। কিন্তু আশায় গুড়েবালি। কেউ আসল না। সুতরাং তিনি তার রিসার্চ পেপারে লিখলেন,...

ফিজিসিস্ট এবং বায়োলজিস্ট দুজনেই পানিতে দ্রবনীয়

৭| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মজা পেলাম। :D

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পাওয়ায় আমি খুশি। আপনার জন্য বরাদ্দ নিম্নের কৈতুকখানা :)

--

এক শহরে পরকীয়ার খুব চল। কমবেশি সবাই করছে। এরাই আবার চার্চে গিয়ে ফাদারের কাছে কনফেশন করে তারা কী করেছে। বৃদ্ধ ফাদার এসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত। এক রবিবারে তিনি সবাইকে বললেন, আর কেউ যদি আমার কাছে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে তবে এই শহর আমি ছাড়ছি। শহরের লোকজন আবার ফাদারকে খুবই পছন্দ করে। এরা ভাবলো, পরকীয়ার নতুন কোনো শব্দ বা কোড ব্যবহার করতে হবে। শহরবাসী এরপর থেকে পরকীয়ার জন্য ব্যবহার করতে লাগল ‘আছাড়’।

‘ফাদার! আমি আছাড় খাইছি এই সপ্তাহে......’

নতুন পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। ফাদার কিছুই টের পান না। একদিন বৃদ্ধ ফাদার মারা যান। তার জায়গায় নতুন আর অল্পবয়স্ক একজন ফাদার আসে। সে তো আছাড় খাওয়ার কথা শুনতে শুনতে অবাক। সে গেলো শহরের মেয়রের কাছে।
‘মেয়র! আমাদের শহরের রাস্তাগুলো ঠিক করা দরকার। লোকজন প্রচুর আছাড় খাচ্ছে।’
মেয়র বুঝলেন বেচারাকে কেউ আছাড়ের মানে বুঝিয়ে দেয় নাই। আর বেকুব ফাদারটা চলে এসেছে সরাসরি তার কাছে। তার হাসি চলে আসলো।
ঠিক এমন সময় ফাদার বললেন, ‘আমি বুঝি না কেনো আপনি হাসছেন? আপনার বউই ত এই সপ্তাহে তিনবার আছাড় খাইছে, তাও শেষবার খাইছে আমার সাথে’। বলেই ফাদার খুক খুক খুক্কুর করে কেশে উঠলেন নিজের নির্বুদ্ধিতায়, কিন্তু মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে দেখেন মেয়র মহোদয় জ্ঞান হারাইয়া গোঁ গোঁ করতেছে। কৈতুকটা শেষ হইল।

৮| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

আরইউ বলেছেন:




আমি একটা বলিঃ

শমশের গাজীর দালাল আফরান বিচার দিতে গিয়ে আদালতে বলছে “হুজুর, সবাই আমার গরুরে গুন্ডা আর আমারে পা াটা মোসাহেব, ভাঁড় এসব বলে।“

বিচারক বললেন “কিভাবে বুঝলি তোর গরু আর তোরেই বলে?”

শমশের গাজীর দালাল আফরান বললো “আমি কী এতই বোকা যে জানিনা কে গুন্ডা আর কে ভাঁড়!!”

০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। শোভিয়েতভস্কি কৈতুকস্কভটার বাঙলায়ন ভালো ছিল :)

আপনার জন্য থাকছে বিখ্যাত মামুন অর রশীদ ম্যাভেরিক ভাইয়ের গণিতের সপ্ত কৈতুক সংগ্রহ থেকে নীচেরটা :)

---

কনফারেন্স বিরতিতে কৌতুকের আড্ডা দিচ্ছেন কতিপয় গণিতবিদ। নিজেদের কৌতুকগুলি গণিতবিদগণ এত ভালো জানেন যে প্রতিটি কৌতুকের জন্য তারা একটি করে সিরিয়াল নম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছেন, এবং সময় বাঁচানোর জন্য সম্পূর্ণ কৌতুক না বলে কেবলমাত্র কৌতুকের সিরিয়াল নম্বরটি উচ্চারণ করেন তারা।

৪৯৩- চিৎকার করে উঠলেন একজন পুরুষ গণিতবিদ। অন্যেরা এর সমর্থনে উচ্চ হাসিতে ফেটে পড়ে।

৭২৪- চিৎকার করলেন একজন মহিলা গণিতবিদ। অন্যেরা এতেও প্রাণখুলে হাসতে থাকে।

৫৮৯- চিৎকার দিলেন আরেক গণিতবিদ। অধিকাংশ গণিতবিদ তাতে মৃদু হাসলেন মাত্র। কিন্তু তরুণ এক গণিতবিদ হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে লাগল, একেবারে হিস্টিরিয়াগ্রস্ত হয়ে গেল সে।

কৌতুককারী গণিতবিদ অবাক হয়ে তরুণের কাছে এগিয়ে এসে বলল, ‘জন, আমার কৌতুকে এত ভয়ঙ্কর মজার কী পেলে তুমি!’

তরুণ গণিতবিদ হাঁপাতে হাঁপাতে উত্তর দেয়, ‘এই কৌতুকটা আগে...আগে কখনো শুনিনি আমি!’

--

ঐ কনফারেন্সেরই আরেকটি ঘটনা।

কৌতুকের পর কৌতুক বলা হচ্ছে, আর হাসির বন্যা বয়ে যাচ্ছে রুমে, কিন্তু উসখুস করছে তরুণ আরেক গণিতবিদ। বেচারা এই প্রথমবারের মতো কনফারেন্সে যোগ দিয়েছে, কৌতুকের এই সব ব্যাপার-স্যাপার সে জানে না। কিন্তু কেউ তাকে অসামাজিক ভাবুক, এটিও সে চায় না। এ ছাড়া এদের কৌতুক বলা খুব সহজ দেখে আড্ডায় যোগ দিতে তীব্র ইচ্ছা জাগল তার। ফলে মনে মনে একটি সংখ্যা স্থির করে এক সময় সোল্লাসে চিৎকার করে উঠল সে, ‘৭৭৭’।

অবাক হয়ে লক্ষ করল সে, একটুও হাসলো না কেউ। বরং একেবারে পিনপতন নিরবতা নেমে আসল রুমে, আর মাঝে মাঝে অন্যদের বিদ্বেষ, ভর্ৎসনাপূর্ণ চাহনি, মন্তব্য ভেসে আসতে লাগল তার দিকে। কিছুক্ষণ পর বৃদ্ধ এক গণিতবিদ তার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘দেখো, তোমার বয়স কম, কিন্তু এটা বোঝা উচিত, রুমে যখন সম্মানিত ভদ্রমহিলাগণ রয়েছেন, তখন তাদের সামনে আমরা ডার্টি জোকস বলি না।’

৯| ০৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৮ নং কৌতুকটি পসঙ্গেঃ love me little love me long একটা জনপ্রিয় গানের লিরিক্স।
৮ নম্বরে উল্লেখিত আপনার কবিতাটি ভালো হয়েছে।
কয়েকটা কৌতুক আগে পড়া থাকলেও চর্বিত চর্বণ মনে হয়নি।
কৌতুক এবং প্রতিমন্তব্যগুলোতে কিছু প্রচ্ছন্ন বাণী রয়েছে বলে মনে হলো।

০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্যার, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ love me little love me long-এর তথ্যটা জানানোর জন্য। আজকাল এত সহজ হয়ে গেছে সার্চ করা, কিন্তু তবু এটা কখনো খুঁজে দেখা হয় নি। গান হিসাবে পাওয়া গেল না, পেলাম শুধু কবিতা হিসাবে। এ নিয়ে লিখিত কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো স্যার।

স্যার, আপনার জন্য রয়েছে এ কৌতুকগুলো :

আত্মজীবনী

ভক্ত: আপনার আত্মজীবনীটা পড়ে খুব ভালো লাগল।
লেখক: ধন্যবাদ।
ভক্ত: এ রকম আরও কয়েকটা লিখুন না।

কবিতাগুলোতে আগুন

কবি বহুক্ষণ ধরে একঘেঁয়ে বিদ্রোহের কবিতা পড়ে যাচ্ছেন। সম্পাদক বিরক্ত, মুখে কিছু বলতেও বাঁধছে। কবিতা পাঠ শেষ করে কবি বিনীতভাবে বললেন, কী মনে হচ্ছে আপনার? কবিতাগুলোতে কি আরো আগুন ঢোকাব?
সম্পাদক বললেন, আমি ভাবছি কবিতাগুলো কখন আগুনে ঢোকাবে।

বুদ্ধিশুদ্ধির উন্নতি

সম্পাদক : এ কী, এই পান্ডুলিপি তো আমি তিন বছর আগেই বাতিল করে দিয়েছিলাম।
লেখক : জি, দিয়েছিলেন।
সম্পাদক : তা হলে আবার নিয়ে এসেছেন যে!
লেখক : ভাবলাম, তিন বছরে আপনার বুদ্ধিশুদ্ধির কিছুটা উন্নতিও তো ঘটে থাকতে পারে :) :)

জীবজন্তু পড়তে পারে না

পাঁচু মদনকে জিজ্ঞাসা করছে, আচ্ছা ভাই আমায় একটা কথা বোঝা, কোনও কোনও লেখক শুধু জীবজন্তু নিয়ে লেখালিখি করেন। এটা কেন?
মদনের জবাব: কারণ জীবজন্তুরা পড়তে পারে না তাই।

আমি বিখ্যাত লেখক

লেখক : আমি যে লেখালেখির কিছুই জানি না সেটা আমি এতদিনে বুঝতে পারলাম।
সাংবাদিক : তা হলে এখন কি আপনি লেখালেখি ছেড়ে দিবেন?
লেখক : তা-ই বা কেমন করে দিই? এখন তো আমি বিখ্যাত লেখক।

জর্জ বার্নার্ড শ-কে নিয়ে এ শেষ গল্পটা ব্লগার হানিফ রাশেদিনের কাছ থেকে পাওয়া।

জর্জ বার্নার্ড শ এবং রুশো বা ভলতেয়ার হবে। নামে ভুল থাকতে পারে।

বার্নার্ড শ গাধার পিঠে করে যাচ্ছেন। ছোটো, চিপা গলি। উলটো দিক থেকে একইভাবে আসছেন খুব সম্ভব রুশো।
গলি এতোই ছোটো যে, দুটা গাড়ি একসাথে আসা-যাওয়া করতে পারে না। বার্নার্ড শ বলছেন সাইড দিতে। তিনি খেয়াল করেন নি যে অপর গাড়িতে রুশো। তিনি তো ভেতরে, আমাদের ঘোড়ার গাড়ির মতো।
এঁরা দুজন আবার চিরশত্রু। রুশো বার্নার্ড শ-কে দেখলেন এবং বললেন যে, ‘আমি কোনো গাধাকে সাইড দিই না।‘ সঙ্গে সঙ্গে বার্নার্ড শ বললেন- ‘আমি দিই।‘ বলে তিনি সাইড দিলেন।



১০| ০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সোনাবীজ ভাই আপনি সুপার্ব দিয়েছেন।মনে হচ্ছে আপনি আগেও এমন কিছু জোকস শুনিয়েছেন। দারুণ দারুণ++++

০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পদাতিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ কৈতুকগুলো পড়ে 'সুপার্ব' কমেন্ট করার জন্য। কৈতুক আমার খুবই প্রিয় বিষয়। কৈতুক পোস্ট আগেও করেছি। মাঝে মাঝেই কৈতুক শেয়ার করতে ভালো লাগে।

--

আপনার জন্য এটা :)

--

গভীর রাতে স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন পাশে স্বামী নেই। তাকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং টেবিলে। দেখেন, তিনি এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে স্থির তাকিয়ে আছেন। স্ত্রী লক্ষ্য করলেন, স্বামী গভীর চিন্তামগ্ন। কফিতে একবার চুমুক দিচ্ছেন আর চোখের পানি মুচ্ছেন। স্ত্রী কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে তোমার? দেয়াল থেকে চোখ ফিরিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে স্বামী বললেন, আজ থেকে ২০ বছর আগের সেই দিনের কথা তোমার মনে আছে? স্ত্রী বললেন, হ্যাঁ। স্বামী বললেন, একবার তোমার বাবা বলেছিলেন, হয় আমার মেয়েকে বিয়ে করবে, নয়তো ২০ বছরের জন্য জেল খাটতে হবে মনে আছে? স্ত্রী বললেন, হ্যাঁ, তাও মনে আছে। স্বামী চোখ মুছে বললেন, সেদিন যদি তোমাকে বিয়ে না করে জেলে যেতাম, তাহলে আজ মুক্তি পেতাম?

১১| ০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:০২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার কৌতুকের ভান্ডারে আর কত কৌতুক আছে?

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এ কমেন্টের উত্তর তো উপরে চলে গেছে :)

১২| ০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: বেশ কয়টি কমন পড়েছে। তবে রাজুরটা যতবার পড়ি ততবারই কয়েকটা উত্তর মিস করে ফেলি।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। আপনার লাস্ট কথাটায় দারুণ মজা পেয়েছি। আমি তো সবগুলোতেই ভুল করছিলাম :)

১৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের জোকসটাও অনেক মজার। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পদাতিক ভাই, আপনার জন্যও থাকছে :) নীচে দেখুন :)

---

মুখোশ পার্টিতে যাবে রোমেল আর তার বউ।

রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।

পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো। মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।

গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।

তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, 'আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোনার ঘরে বসে তাস খেলেছি।'

'তাই? কোন মজা হয় নি পার্টিতে?'
'একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।'

--

পুলিশ একটি গাড়িকে থামাল, তারপর বলল, এখন "ট্রাফিক সপ্তাহ" আপনারা সীট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাই আপনাদের ৫০০০ টাকা পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে। এখন বলুন আপনারা এই টাকাটা দিয়ে কী করবেন?
গাড়ি চালকঃ আমি এই টাকাটা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাব। পিছনের সীট থেকে তার মা বলল, এর কথায় কিছু মনে করো না, ও মদ খেলে যা খুশি তাই বলে দেয়। তার বাবা বলল, আমি জানতাম এই চুরি করা গাড়ি নিয়ে আমরা বেশিদূর যেতে পারব না। তখন পিছনের বনেট থেকে আওয়াজ আসল, "আমরা বর্ডার পার হয়ে গেছি নাকি?"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.