নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
ও কী ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে
এ গানটা শুনতে হবে নিরালা দুপুরে, নির্জন গাছের ছায়ায় বসে; অথবা নিশুতি রাতে একা একা। এটা আমার একটা এক্সপেরিমেন্টাল সিঙিং বা সুরের রেন্ডিশন। এ পোস্টে সেই সাথে থাকছে প্রখ্যাত শিল্পীদের গাওয়া এ গানের বিভিন্ন ভার্সন।
ও কী ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে
কোনদিন আসিবেন বন্ধু,
কয়া যাও, কয়া যাও রে
কথা ও সুর : জসীমউদ্দীন
রেন্ডিশন : সোনাবীজ
ধীর লয়ের গান বা রাগপ্রধান গান আমার অধিক পছন্দের। যে-কোনো গান আমি যখন আপন মনে গাইতে থাকি, ওগুলোকে খুব টেনে টেনে গাইতে আমার ভালো লাগে। সেই ধীর লয়ের মধ্য দিয়ে আমি এক অন্য ভুবনে চলে যাই, সেখানে সুরের লহরী যেন ধীর ঢেউয়ের ছন্দ তুলছে, আর পুরোটা পৃথিবী সেই তালে তালে দুলছে।
এর আগে আমি এ গানটা ধীর লয়ে খালি গলায় টেনে টেনে গেয়েছিলাম। সেই ধীর লয়ে গাওয়া গানের উপর মিউজিক যোগ করেছি- যেটা শুনতে পারেন - এই লিংকে ক্লিক করে, আর নীচেও ক্লিক করে দেখতে পারেন মিউজিক ভিডিওটি।
খালি গলায় গাওয়া গানটি কেউ শুনতে চাইলে ক্লিক করুন এই লিংকে অথবা/এবং এই লিংকে।
খুব ধীর লয়ে গাওয়া গান মূলত একটা এক্সপেরিমেন্টাল সিঙিং। মিউজিশিয়ানগণ, বিশেষ করে অভিজ্ঞ মিউজিশিয়ানরা প্রায়শ প্রচলিত গানের সুরে ভেরিয়েশন এনে গানগুলোকে নতুন করে কম্পোজ ও উপস্থাপন করে থাকেন। এতে গানগুলো বেশিরভাগ সময়ই অধিক উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
আমার গাওয়া এ গানটার সুরেও আমি একটুখানি ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করেছি, গানের ভাষায় যাকে রেন্ডিশন বলা হয়। ফুয়াদ, বালাম, হাবিব, এবং খুব সম্ভবত সুমনও রেন্ডিশনে প্রচুর গান করেছেন (ফিউশনসহ)।
অনেক রেন্ডিশন এত ফেমাস হয়েছে যে, মূল সুরটা হয়ত আজ আর কেউ জানেন না, এবং এমনও হয়েছে যে মূল সুরের চাইতে রেন্ডিশন অনেক বেশি শ্রুতিমধুর ও আকর্ষণীয় হয়েছে। রুনা লায়লার গাওয়া দামাদাম মাস্তকালান্দার গানটা হলো এর জ্বলন্ত উদাহরণ। পাকিস্তানের কোনো এক উর্দু সিনেমার (Jabroo) টাইটেল সং হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল সেই গান, পরে সেটা আবার অন্য সিনেমায় রেন্ডিশন করা হয় (Dillan Dey Soudey) এবং রুনা লায়লার কণ্ঠে আমরা শুনি সর্বেশষ ভার্সন। নূর জাহান আর রুনা লায়লা, এ দুজনের কণ্ঠেই গানটা বেশি পপুলারিটি পেয়েছে; তবে বাংলাদেশ ও ভারতে অবশ্য রুনা লায়লাই এগিয়ে আছেন।
ও কী ও বন্ধু - অনেক জনপ্রিয় একটা গান। আব্বাসউদ্দীন আহমদ থেকে শুরু করে তার মেয়ে ফেরদৌসী রহমান, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, রথীন্দ্রনাথ রায়, স্বাগত দে সহ অনেক বিখ্যাত শিল্পী এ গানটা গেয়েছেন। অনেক ছায়াছবিতেই এটা গাওয়া হয়েছে।
'রঙ্গীন রাখাল বন্ধু' ছায়াছবিতে এ গানটা ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা লায়লা। আমি এ পোস্টে যে-গানগুলো শেয়ার করেছি, প্রতিটা গানই অনন্য। তবে এ গানের যতগুলো ভার্সন শুনেছি, তার মধ্যে রুনা লায়লার গাওয়াটাই আমার কাছে সবচাইতে সেরা মনে হয়েছে। ভালো লেগেছে রথীন্দ্রনাথ রায়ের গায়কীও। আমার গাওয়া এ গানের মূল সুরে রুনা লায়লার গায়কী অনুসরণ করেছি। উল্লেখ্য, উপরে যাদের নাম উল্লেখ করেছি, প্রত্যকের গায়কীতেই সুরের সামান্য তারতম্য আছে, সেটা হলো ব্যক্তির নিজস্ব প্রকাশভঙ্গীর কারণে, যা কেউ ইচ্ছে করলেই অন্যের সাথে ১০০ ভাগ মিল রেখে গাইতে পারেন না, প্লাস, সবারই থাকে কিছু স্বকীয়তা। কিন্তু রেন্ডিশন বা ভেরিয়েশন হলো গানের মূল সুরের কোনো কোনো স্থানে সামান্য চেঞ্জ করে দেয়া।
এ গানের শুরু (মুখ) ও ১ম অন্তরায় প্রথমে মূল সুর ও পরে ভেরিয়েশন সুরে গাওয়া হয়েছে। কেউ এ গান আগে শুনলে সহজেই বুঝতে পারবেন ভেরিয়েশন কোন জায়গায় করা হয়েছে।
যদি কেউ এই ভেরিয়েশনসহ গাইতে চান, তারা প্লিজ নীচের ইন্সট্রাকশন ফলো করুন।
ও কী ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - মূল সুর
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - ভেরিয়েশন/রেন্ডিশন
যদি বন্ধু যাবার চাও
ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে - মূল সুর
যদি বন্ধু যাবার চাও
ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে - ভেরিয়েশন/রেন্ডিশন
বন্ধু কাজল ভ্রমরারে
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - মূল সুর
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - ভেরিয়েশন/রেন্ডিশন
বটবৃক্ষের ছায়া যেমন রে
মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে।
বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - মূল সুর
কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে - ভেরিয়েশন/রেন্ডিশন
কথা ও সুর : জসীমউদ্দীন
সুরের রেন্ডিশন/ভেরিয়েশন : সোনাবীজ
তবে, অনেকে গাইতে গেলে মনে হতে পারে, তিনি দেখি পুরা গানটাই রেন্ডিশন করে ফেলেছেন এটা রেন্ডিশন, নাকি অন্য কিছু, তা বোঝা যাবে তার গায়কীর মিষ্টতা বা শুষ্কতা থেকে। অর্থাৎ, আপনি ঠিকই ধরে ফেলবেন, এটা রেন্ডিশন, নাকি হাম্বারবের ভ্যাঁ ভ্যাঁ
রেন্ডিশনের মূল লক্ষ, গানটার মিষ্টতা ও আকর্ষণ আরো বাড়ানো। আপনি রেন্ডিশন করতে যেয়ে গানটার বারোটার বাজিয়ে দিলে ওটা শুরুতেই ফ্লপ করবে, প্লাস শ্রোতা, দর্শক, মূল শিল্পী, সুরকার, গীতিকার আপনার উপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হবেন।
রেন্ডিশন অফিশিয়ালি প্রচার বা প্রকাশ করতে গেলে অবশ্যই মূল সুরকার, শিল্পী, প্রমুখের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া উচিত বলে ধারণা করছি (এ ব্যাপারে অথেনটিক কিছু জানা নেই)।
এ গানের যে রেন্ডিশন এখানে দেখানো হলো, তার কপিরাইট আমার। যে-কেউ এটা প্রচার করতে পারেন, তবে রেন্ডিশনে আমার নাম উল্লেখ আবশ্যিক হবে।
এবার এ গানের আরো কয়েকটা মিউজিক ভিডিও দেখুন।
আব্বাসউদ্দীন আহমদ
রথীন্দ্রনাথ রায়
ও কী ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে - ফেরদৌসী রহমান, ছায়াছবি 'নোলক'
রুনা লায়লা, ছায়াছবি 'রঙ্গীন রাখাল বন্ধু'
সাবিনা ইয়াসমিন, ছায়াছবি 'রাখাল রাজা (ভারত)
স্বাগত দে
মোস্তফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে এ গানটা বিশেষভাবে ভালো লাগলো। কোনো একদিন রেডিওতে তার খালি গলায় গাওয়া একটা ফোক গান শুনেছিলাম। গানের কলি ও সুর সবই ভুলে গেছি, কিন্তু সেই আবহ এখনো অম্লান। এবং আমি ঠিক জানি না, এই যে আমি এত ধীর লয়ে টেনে টেনে খালি গলায় গান গাইতে গাইতে নিমগ্ন হয়ে যাই, হয়ত তার গানটা শোনার পর থেকেই আমি আমার অজান্তে এরকম গায়কীতে অনুরক্ত হয়ে পড়ি।
মোস্তফা জামান আব্বাসী
২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে গাওয়া গানটার ভালো অডিও ইউটিউবে পাওয়া যায় না। যেটুকুই পাওয়া যাক না কেন, সুরের টানে আমাদেরকে সেই শৈশবে মাইকের দিনগুলোতে নিয়ে যায়, যখন বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে খুব ঘটা করে এসব গান বাজানো হতো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কামাল ভাই। শুভেচ্ছা।
২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫১
অর্ক বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর একটা গান! গভীরভাবে স্পর্শ করে মর্মে। তীব্রভাবে একাত্ম হয়ে পড়ি। সুরের যাদুতে মনে হতে থাকে এরকম কিছু ঘটছে যেন!
সবগুলোই চমৎকার। অরিজিনাল আব্বাস উদ্দিনের গলায় আগে শোনা হয়নি বোধহয়। এবার শুনবো মন দিয়ে। যতোগুলো ভার্সন শুনেছি, এর মধ্যে রথীন্দ্রনাথ রায়েরটা ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে পছন্দ। উনিশনিশ আরকি। সবগুলোই চমৎকার। গানটাই যাদুমিশ্রিত।
শুভেচ্ছা থাকলো।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আব্বাসউদ্দীনসহ পুরোনো দিনের শিল্পীদের গানের অডিও'র অরিজিন্যাল ভার্সন পাওয়া এখন খুবই কষ্টকর। আব্বাসউদ্দীনের কণ্ঠে যেটা পেলাম ইউটিউবে, অডিও তেমন ভালো না। তবু, এই সুরই আমাদের টেনে নিয়ে যায় অতীতের পানে। সুর-মাধুর্য যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, সেইসাথে কিছু বেদনাবোধও অনুভূত হয়- হায়, সেইদিন, সেই শিল্পীরা হারিয়ে গেছেন, আর ফিরবেন না এই ধূলোর ধরনিতে।
আবেগঘন সুন্দর কমেন্টটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ছোট বেলা থেকেই আপনার গানের প্রতি টান ছি্লো?
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি।
গান আপনার কেমন লাগে? বা গান আপনার কতখানি প্রিয়?
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৮
জগতারন বলেছেন: O my beloved friend
like bumble bee
tell me when will you return
My friend if you want to go
then leave behind your towel
my friend is like a bumble bee
tell me when will you return
My friend's affection is similar to
shadows of banyan (Or Oake) trees
O my beloved friend
like bumble bee
tell me when will you return...
.।.।.।
এখানে দেওয়া এই ব্লগারের প্রত্যেক জন গায়ক ও গায়িকার
ব্যাক্তিগত ও বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির দিক হইতে প্রদত্ত গায়কি ঢঙ্গে
গানগুলি শুনিলাম।
আমার কাছে প্রথম যে গায়ক এই গানটি গাহিয়াছিলেন,
জ্বনাব আব্বাস উদ্দীন,
তাহাঁর গাওয়াই ভালো মনে হয়েছে।
.।.।.।
উপরে দেওয়া রি গানটি ইংরেজী অনুবাদ দেওয়ার চেষ্টা করিলাম;
হইয়াছে !
নাকি এই বাঙ্গগালীদের অমূল্য সম্পদ এই গানটির
মূল দৃষ্টি ভঙ্গী ও আবেদনের বারোটা বাজাইয়া দিলাম ?
প্রতি মন্তব্যের উত্তরে জানাইয়েন।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অনুবাদ চমৎকার হয়েছে। ইউটিউবে অনেককেই দেখা যায়, গানের লিরিক ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করে পোস্ট দিচ্ছেন। আমার ভালো লাগে সে-সব। যারা এই অনুবাদের কাজটি করেন, এটা তাদের এক ধরনের নেশা। আপনারও সম্ভবত এ ধরনের একটা নেশা আছে।
গান বা কবিতা, বা গল্পের ভাষান্তর অবশ্য একটা স্বকীয় বৈশিষ্ট্য। আমি ট্রান্সলেট করলে, বা অন্য একজন করলে, প্রত্যেকেই কিছু আলাদা শব্দ ও উপমা ব্যবহার করতেন/করবেন। তবে, থিমটা অবশ্যই অভিন্ন হবে।
গানগুলো শোনার জন্য, সেই সাথে লিরিকের ইংরেজি অনুবাদের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জগতারন ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন। আমি লোক গানের প্রচন্ড ভক্ত। আরও ভালো লাগে আধ্যাত্মিক গান, শ্যামা সংগীত, বাউলগান।
বাউলদের রচিত গানের ভাবের গভীরতা, সুরের মাধুর্য, বাণীর সার্বজনীন মানবিক আবেদন বিশ্ববাসীকে মহামিলনের মন্ত্রে আহ্বান করে। লোকজ সে ধারাতেই গীতিকবিরা সৃষ্টি করেছেন প্রেম বিরহের গান। ... সুরের মধ্যেও রয়েছে মাটির গানের মাধুর্য, হৃদয়ের কাউলতা।
"কিও বন্ধু কাজল ভোমরা...."- আমার অন্যতম প্রিয় একটা গান। আরও ভালো লাগে মমতাজউদ্দীনের "নিশীতে যাইও ফুল বনে রে ভোমরা, নিশীতে যাইও ফুল বনে"- গানটা। +
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই দীর্ঘ সুন্দর কমেন্টটির জন্য শুভেচ্ছা নিন প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
নিশিতে যাইও ফুলবনে - এটা মূলত সিলেটের শেখ ভানুর 'নয় দরজা করিয়া বন্ধ'-এর সুরে জসীমউদ্দীনের লেখা গান, যা লেখার জন্য শচীন দেববর্মণ, জসীমউদ্দীনকে অনুরোধ করেছিলেন।
নয় দরজা করিয়া বন্ধ - স্বাগত দে
নিশীথে যাইও ফুলবনে - খালিদ হাসান মিলু
নিশীথে যাইও ফুলবনে - কনা
নিশিতে যাইও ফুলবনে - সাবিনা ইয়াসমিন
নিশিতে যাইও ফুলবনে - শচীন দেববর্মণ
৬| ২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাবিনার কন্ঠে আমাকে খুব ভালো লাগে।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাবিনার কণ্ঠে গানটি শোনার জন্য। শুভেচ্ছা।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মোস্তফা জামান আব্বাসীর কণ্ঠে এই গানটি অতি দরদী মনে হয়।
২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তার কণ্ঠে প্রতিটা গানই একটু ভিন্ন মাত্রা পায়।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ সব মিলে বেশ তো!
আমার একসময়ের প্রিয় একটা গান। খুব শুনতাম।
২০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানের পোস্টে ঘুরে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সার্চ দিলে তোমার ইউটিউব এসে যায় আজকাল।
এই গানের কাজল ভোমরা এই রূপক অর্থ কি বলো আমাকে?
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভাইয়া সার্চ দিলে তোমার ইউটিউব এসে যায় আজকাল। ভালো তো!! তবে, জনপ্রিয় অনেক গানই আমার চ্যানেলে আছে, এজন্য সেগুলো সার্চ দিলে আমার চ্যানেলের গান আসবে।
একবার একটা গান নিয়ে তর্ক বা আলোচনা হচ্ছিল। সেই ব্যক্তি মুহূর্তে গানটা ইউটিউব থেকে সার্চ দিয়ে বের করলেন। গানটা আমার চ্যানেলেরই ছিল, তবে, তিনি জানেন না যে ওটা আমার চ্যানেল এবং কিছু কারণে ওটা আমি প্রকাশও করতে পারি নি
মূল প্রসঙ্গে আসি। কাজল ভ্রমরা কোন রূপকে কবি ব্যবহার করেছিলেন, এটা কেবল তার পক্ষেই বলা সম্ভব এবং তিনি এর কোনো ব্যাখ্যা কোথাও দিয়ে গেছেন কিনা তাও আমার জানা নেই। আসল কথা হলো, এ গানের বা এ কথার রূপক নিয়ে কোনোদিন ভাবি নি।
তবে, কাজল ভ্রমরা কথাটা শুনলেই ছোটোবেলায় সর্ষে ক্ষেত, খেজুর গাছ, ফুলের বাগানসহ অজস্র জায়গায় যে কালো ভোমর দেখেছি, সেটার কথাই মনে হয়েছে। গানটায় কোনো জটিলতা দেখি না। আমি আমার মতো করে প্রতিটা লাইনের চিত্রকল্প এঁকে যাই, অর্থাৎ গানটা শুনলে প্রতিটা লাইনেই একেকটা চিত্র ভেসে ওঠে।
ফুলের সাথে ভোমরের সম্পর্ক চিরকালীন। মধু আহরণের জন্য ভোমরকে ফুলের কাছে অবশ্যই আসতে হবে। এই গানে একজন বিরহী বধূ (প্রেমিকা না), তার প্রবাসী বা দূরদেশে কাজের উদ্দেশ্যে চলে যাওয়া স্বামীর উদ্দেশ্যে যে মানসিক যাতনা ও কামনা বোধ করছে, তার প্রকাশ দেখা যায়। আবহমান বাংলার বিরহী বধূদের একটা নিখুঁত চিত্র পাওয়া যায় এই গানে। আমাদের জীবদ্দশায় ছোটোবেলাতেই দেখেছি, গ্রাম থেকে শহুরে চাকরীজীবী শহরের উদ্দেশ্যে গয়নার নৌকা, বা লঞ্চে যাওয়ার জন্য, বা বহুদূর পায়ে হেঁটে খেয়া বা লঞ্চঘাটে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছেন, আর বিষণ্ণ স্ত্রী ঘরের দাওয়ায়, বাইরের বারান্দায়, বা'র বাড়িতে গাছে ঠেস দিয়ে, ঘোমটা টেনে স্বামীর চলে যাওয়া পথের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন। হয়ত তার মনে তখন উথাল পাথাল ঢেউ। চোখ বেয়ে ঝরছে বর্ষা। হয়ত বার বার সে জানতে চাইছে, আবার কবে আসবে, বলে যাও।
একটা ফুল থেকে মধু নিয়ে যখন ভ্রমর উড়ে যায়, কবি ভাবছেন, বিরহী ফুলটা যেন কাজল ভ্রমরার আবার ফিরে আসার দিনের অপেক্ষায় অধীর হয়ে থাকে। এই বিরহী ফুলটাই হলো বধূ, আর ভ্রমর হলো তার পরবাসী স্বামী।
গানটা যখন শুনি, আমার মনে এরকম চিত্রই ভেসে ওঠে। এর সাথে কবির কল্পনার মিল থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে।
তবে, স্ত্রী না হয়ে প্রেমিকা হলেও অর্থের কোনো চেঞ্জ হয় না।
হঠাৎ এ রূপকের অর্থ জানার আগ্রহ হলো কেন?
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১
শায়মা বলেছেন: তোমার গানটা খুব ভালো হয়েছে কিন্তু ভাইয়া!!
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৭
শায়মা বলেছেন: আহারে আগের দিনে তো নাই টেলিফোন নাইরে পিওন ছিলো। কাজেই বৌমামনির তো এমন গানই বুকে বাজবে।
আমি কিন্তু বুঝে গেছি গানটার রাইটারের নাম ছিলো কাজল। কারণ ছোটবেলায় তার চোখের পাপড়ি কাজল পরে থাকা মানুষের মত ঘন ছিলো। আর লোকটা ছিলো একটু মোটু মানে ভোম্বল টাইপ তাই লোকে তাকে ভোমলা বলে ডাকতো। কিন্তু তার বউ তো তাকে অনেক ভালোবাসতো তাই ভোমরা বানাই দিয়েছে তারপর নাম দিলো কাজল ভোমরা আর তারপর এই গান তাই না?
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। দারুণ ব্যাখ্যা। সেই ক্ষেত্রে 'আমি কিন্তু বুঝে গেছি গানটার রাইটারের নাম ছিলো কাজল'। - এখানে রাইটার না হয়ে প্রেমিক বা স্বামীর নাম কাজল হতে হবে
আহারে আগের দিনে তো নাই টেলিফোন নাইরে পিওন ছিলো। কাজেই বৌমামনির তো এমন গানই বুকে বাজবে।
খুব বেশি পেছনে যেতে হবে না। আমরাও এই কিছুদিন আগেও অ্যানালগ যুগে ছিলাম। একটা চিঠির জন্য কত উত্তেজনা, ছটফটানি, অস্থিরতা। এখনো মনে মনে মাঝে মাঝেই সেই দিনগুলোতে ছুটে যাই।
এখানে আমার একটা কবিতা আছে - 'রাক্ষস'। এই কবিতায় আমার নিজের সেই পুরোনো দিনের কিছু গ্লিমস আছে। এখনো আমার চোখে ভাসে - আড়িয়াল বিলের পশ্চিম পাড়ে গ্রামের নিবিড় ছায়ার নীচে আমার স্ত্রী, সাথে দু-একজন শ্যালক-শ্যালিকা দাঁড়িয়ে আছে। আর আমি দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে আড়িয়াল বিলের পূর্ব-পাড়ে বক্স-নগরের দিকে যাচ্ছি- কিছু পর পর পেছন ফিরে তাকাই, হাত নাড়ি আমি, হাত নাড়ে ওরাও। তার পর যেতে যেতে, যেতে যেতে একসময় গ্রামের ছায়ার নীচে শুধু ছায়াই দেখা যায়, তবু আমি হাত নাড়ি, বার বার হাত নাড়ি, আমি দেখি না, হয়ত ওরা তখনো ওখানে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখছে। তারপর আমিও গ্রামের আড়ালে চলে যেতাম। আরো কিছুদূর পর লঞ্চঘাট। সেখান থেকে সদরঘাট।
আজো মনে হয় - এই তো সেদিন
পদ্মাপাড়ের গাঁয়
বহুদূর থেকে ধু-ধু চোখে চেয়ে
দাঁড়িয়ে রয়েছ ঠায়
আমি ফিরে যাই বিভূঁই বিদেশে
মন রেখে যাই ঘরে
গোপনে আমার বুক ভেঙে যায়
চোখ ফেটে জল ঝরে
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিখ্যাত গান। চমৎকার গেয়েছেন। শুভ কামনা।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৯
শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া।
যে কোনো বিদায়ই বেদনার।
ক্ষনিকের বিদায়ও চিরস্থায়ী বেদনার স্মৃতি জমিয়ে রাখে প্রাণের মাঝে।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, যে-কোনো বিদায়ই খুব বেদনার। এমনকী অল্প সময়ের জন্য হলেও। ঐ সময়ের ঐ বিদায়গুলো খুবই বেদনাময় ছিল।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৬
কামাল৮০ বলেছেন: এই গানটি শুনেছি পদ্মার বুকে পানশী নিয়ে বরযাত্রী যেতো।দুর থেকে ভেসে আসতো আব্বাসউদ্দীনের দরদী কন্ঠ।তার পর তার মেয়ে এবং ছেলের কন্ঠে।আজ শুনলাম আপনার নর্বাচিত শিল্পীদের কন্ঠে।