নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু অপ্রচিলত বা অর্ধ-প্রচিলত খাবার

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৭

এ পোস্টে কিছু খাবারের কথা বলবো, যে-খাবারগুলো হয়ত আপনারা জীবনেও খান নাই; আবার খেলেও সংখ্যা খুবই কম হবে বলে আমার ধারণা। আসলে এগুলো কোনো বিশেষ খাবার না, প্রচলিত খাবারই, কিন্তু খাওয়ার পদ্ধতি বা মেইন ফুডের সাথে তরকারি বা সালুন মেশানোর পদ্ধতি ছিল ভিন্ন।

দুধ ও ভাত

ছোটোবেলা থেকে অদ্যাবধি দুধ আমার প্রিয়তম খাবার। রাতের খাবারের পর দুধ বা দুধজাত খাবার না খেলে মনে হবে কী যেন এখনো খাওয়া হয় নি। পেট খালি খালি মনে হবে। ছোটোবেলায় আমরা তরকারি-ভাত খেতাম বিকালে, আর রাতে খেতাম দুধ-ভাত। কবরি কলা দিয়ে দুধভাত ছিল সবচাইতে প্রিয়। আমের দিনে আম, কাঁঠালের দিনে কাঁঠাল, শীতের দিনে খেজুর গুঁড় দিয়ে দুধ-ভাত ছিল খুবই সুস্বাদু। বড়ো হয়ে, অর্থাৎ সংসার-জীবনে কলা বা আমের সাথে একটু চিনি যোগ করে দুধ-ভাত মাখিয়ে খেয়েছি, যা অমৃতের চেয়েও অধিক সুস্বাদু হয় (আবার অমৃতের ছবি দিবার কইয়েন না)। কলা হতে হবে দোহারের কবরি কলা; এটা কিন্তু সবরি কলা, চম্পা কলা, বা সমুদ্র কলা না, এমনকি বিচরা কলা বা আঁইট্যা কলা বা বিঁচিকলাও না – দোহারের বিশ্ববিখ্যাত কবরি কলা, যার ঘ্রাণ ইউনিক ও অদ্বিতীয়।

উপরে যে খাবারের কথা বললাম, তা কিন্তু অপ্রচলিত বা অর্ধ-প্রচলিত খাবার নয়; আমাদের দোহারে, বিশেষ করে আমার ও আমার ছেলেমেয়েদের বাপ-দাদার আমলের মানুষের কাছে তা বহু প্রিয় একটি খাবার।

এবার তাহলে অপ্রচলিত খাবারের কথাটা বলি। ছোটোবেলায় আমাদের দু-তিনটা গাভী ছিল। গাভীর দুধ দোহাতাম আমি। সকালবেলা সদ্য দোহানো কাঁচা দুধ দিয়ে পান্তাভাত যদি আপনি কোনোদিন না খেয়ে থাকেন, তাহলে অনেক মজার একটা খাবার আপনি খান নি। এমনকি, এই কাঁচা দুধ জুড়িয়ে ঠান্ডা হয়ে গেলেও মজা পাবেন। এতে কোনো কলা বা গুঁড়-চিনি নেয়ার দরকার নেই, শুধু প্রয়োজনমতো লবণ নিবেন, তারপর হাপুস হুপুস হাপুস হুপুস করতে করতে গলাধঃকরণ করতে থাকবেন। দু-তিন বছর আগে এ নিয়ে ফেইসবুকে স্টেটাস দিলে আমার ভাতিজা উৎস শাহরিয়ার আবেগে আপ্লুত হয়ে বললো, কাকা, আমি এখনো কবরি কলা দিয়ে দুধ-ভাত খাই, বাবাও খায়।

এবার যে কাহিনিটি বলবো, তা হয়ত কোটিতে একজন, বা লাখে একজন, বা হাজারে একজন করেছেন। হয়ত বড়োজোর একশতে একজন করেছেন। একবার দুধ দোহানের সময় মনে একটা খায়েশ হলো – বাঁছুরের মতো আমিও গাভীর বান থেকে বোঁটায় মুখ দিয়ে টেনে দুধ খাব। শখটা পুরা করেছিলাম। বেশ কয়েকবারই। কিন্তু কাজটা খুব কষ্টকর। ঘাড় নীচু করে (আমি লম্বা বলে) দুধের বোঁটায় মুখ দিয়ে বেশিক্ষণ টানা যায় না। ওদিকে গাভী আবার নড়াচড়া করে। তো বলুন, এভাবে গাভীর দুধের বোঁটায় মুখ দিয়ে দুধ খেয়েছেন, এমন বীর বাহাদূর আমার মতো আর কে কে আছেন, বা নাম শুনেছেন? আমি তাদের দেখে নিতে চাই, আই মিন, আমি তাদের মুখ দর্শন বা নাম শ্রবণ করতে চাই।

এখন আমি দুধ-কলা খাই না ডায়াবেটিসের কারণে, কিন্তু সেই আগের দিনে্র স্মৃতিরা চোখে ভেসে ওঠে, আর নাকের কাছে দুধভাতে একেবারে সরস নতুন খেজুর গুঁড়ের ঘ্রাণ ভুরভুর করতে থাকে।

তবে, এখন আমি অন্য আরেকটি খাবার খাই- এক গ্লাস দুধে দেড় চামচ ইশব গুলের ভূষি ৩০-৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিই, এটা ঘন সরের মতো হয়ে যায়, বা ঘোলও বলা যেতে পারে। কোনো প্রকার চিনি বা গুঁড়ের দরকার নেই, দুধের নেচারাল সুইটনেসই খাবারটাকে বেশি মজাদার করে দেয়।

আজ আমি একটা নতুন খাবার খেলাম। একবাঁটি দুধের মধ্যে কয়েক টুকরো চিনি-ছাড়া বাকরখানি ২-৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখলাম। অসাধারণ। রুমমেটকে বললাম, এখন থেকে এটাও মাঝে মাঝে দিবেন, কেমন?

মাংস ভাতে মুড়ি

মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। এর সাথে একোমুঠো মচমচে মুড়ি নিন। যারা জীবনে একবার খেয়েছেন, তারা এখনো খাচ্ছেন। যারা কোনোদিন খান নি, তারা কাল দুপুরে ট্রাই করে দেখুন। একবার আপনার এ অভ্যাস হয়ে যাওয়ার পর দেখবেন, আপনি যখনই ভাত খেতে বসেছেন, তরকারি মাংস বা মাছ, এমনকি শুটিকিও যদি হয়, বান্ধবীকে বলছেন- একমুঠো মুড়ি দাও তো। আর আপনার বান্ধবীও তখন মুড়ির টিনটা ডাইনিং টেবিলের উপরেই রেখে দিবেন।

পান্তাভাতে উস্তা বা করলা ভাজি

বিয়ের আগ পর্যন্ত আমি উস্তা বা করলা খেতাম না। শ্বশুর বাড়িতে শিখলাম উস্তা খাওয়া। এবং এমন খাওয়াই শিখলাম যে, উস্তা এখন আমার প্রিয়তমা সবজি। আমার শাশুড়ির রান্না উস্তা ভাজি অসাধারণ। আমার স্ত্রী শিখেছে তার কাছ থেকে। উস্তা ভাজির আমি এমনই ফ্যান যে, উস্তা এখন আমার কাছে তিতা লাগে না, মিডা লাগে। উস্তা ভাজি, পাতলা ডাল আর একটা ডিম ভাজি হলো একটা অসাধারণ মেনু। তো, এগুলো তো অপ্রচলিত খাবার না, খুবই প্রিয় খাবার, তাহলে অপ্রচলিত খাবার কোনটা? রাতের বেলা ভাতে পানি দিয়ে রাখুন, অর্থাৎ, আপনি পরের দিন সকালে পান্তাভাত খেতে যাচ্ছেন। সেই পান্তাভাতে আপনি নিন আগের দিন রান্না করা বাসি উস্তা ভাজি। জীবনে কোনোদিন না খেয়ে থাকলে আপনি অনেক স্বাদের খাবারই মিস করে ফেলেছেন এ জীবনে। আর যদি খেয়েই থাকেন, অভিজ্ঞতা বলুন। অবশ্য, যারা উস্তা বা করলা খান না, তাদের জন্য এই খাবার অবৈধ ঘোষণা করা হলো।

সবচাইতে মজার খাবার

সবচাইতে মজার খাবার কোনটি? খুব খিদের সময় আপনি যে-খাবারটি খাবেন, ওটিই সবচাইতে মজার খাবার। এ খাবারটিতে আপনি যে স্বাদ বা তৃপ্তি পাবেন, সাধারণ খিদে নিয়ে অনেক উন্নত মানের খাবারেও সেই স্বাদ বা তৃপ্তি আপনি পাবেন না।

আরো বেশকিছু অপ্রচলিত খাবার আছে, যা এখন মনে পড়ছে না। ভবিষ্যতে আরেকদিন লেখার জন্য তা শিকেয় তুলে রাখলেম।

৩১ আগস্ট ২০২২

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: কবরি কলার নাম জীবনে প্রথম শুনলাম....আমরা বলতাম শবরী কলা....ইয়া বড়...গাছ পাকা কলা মজাই মজা......
:D

বাহে, গাভীর বাট থেকে সরাসরি দুধ এক/দুবার আমারও আছে পিচ্চি কালে....এ নিয়ে এক বিরাট কাহিনিও আছে...চাচাতো ভাই এ কাজ করতে গাইয়ের লাত্থি খেয়ে...আধামরা অবস্থা....সেখান থেকেই দফারফা.... =p~

দুধ-ভাত প্লাস সর.....ছোটোকালের নিত্য খাবার ছিল....আহ অমৃত....

এখনো একটা খাবার মজা করে খাই....একটু স্পাইসি হাঁসের মাংস দিয়ে মুড়ি.......অসাধারণ লাগে......

এছাড়া.....একবার ভোলা-তে অতিথীরা গরম গরম ই্য়া বড় ইলিশ ভাজা ও মুড়ি খাইয়েছিলো...মেঘনার পাড়ে.....সেই ছিল.....

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কবরি কলার নাম জীবনে প্রথম শুনলাম....আমরা বলতাম শবরী কলা..


:)

প্রথমেই ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিন প্রথম কমেন্ট ও চমৎকার কমেন্টের জন্য।

কবরি কলা আর শবরী কলা এক কলা না। এখন যে-কলায় বাজার ভর্তি থাকে, তা মূলত শবরী কলা ও সাগর কলা - বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ হয়, হাইব্রিড জাত হিসাবে। ছোটোবেলায় শবরী কলাকে খুবই অভিজাত এবং বিরল কলা হিসাবে বিবেচনা করা হতো। কালেভদ্রে বাজারে শবরী কলা দেখা যেত। শবরী কলার শেইপ কলার গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত প্রায় সমান ভাবে গোলাকার থাকে; কবরি কলা এরকম না, ঘাড়ের দিকে একটু বেশি মোটা, তারপর চিকন হতে থাকে মাথা পর্যন্ত। শবরী কলায় সামান্য টক স্বাদ থাকে এবং কোনো বিচি থাকে না। কবরি কলা অনেক মিষ্টি এবং তুলার বিচির মতো কালো কালো বিচি থাকে, যদিও সংখ্যায় কম। দুই কলার ঘ্রাণ দুই রকম। পাহাড়ি অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলা কলা বা পাহাড়ি কলা নামক এক ধরনের কলা দেখা যায়। আমি ঐ কলা দেখে শুরুতে কবরি কলাই ভেবেছিলাম। পরে দেখি, বাংলা কলার টেস্ট কবরি কলার টেস্টের মতো না, যদিও অঞ্চল বা মাটি ভেদে টেস্ট ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমাদের দোহারে এখনো কবরি কলা পাওয়া যায়। আমার শালারা তাদের ভিটায় বিচি কলা, শবরী কলা, কবরী কলা, সাগর কলা - সব কলারই চাষ করে থাকে এবং মাঝে মাঝে কাঁদি কাঁদি কলা নিয়া বাসায় হাজির হয় :)

বাহে, গাভীর বাট থেকে সরাসরি দুধ এক/দুবার আমারও আছে পিচ্চি কালে....
- মূলত ছোটোবেলার দুষ্টুবুদ্ধির কারণেই বাট থেকে মুখ দিয়া দুধ টানার কথা মাথায় আসে। প্রস্তুতিও ছিল ব্যাপক। পানি দিয়া বান ভালোভাবে ধোয়া, ধুইতে যাইয়া গাভীর লাফানো, খাইতে যাইয়া গাভীর লাফানো, ঘাড়ের উপর দিয়া পা উঠাইয়া দেয়া - বিপত্তি কম ছিল না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গুগুল মামির কাছ থেকে কবরি কলার ছবি পেলাম। এখানে এক ফানা বাংলা কলাও আছে।










০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপরের ছবির প্রথম ফানাটা বাংলা কলা হিসাবে মামি দিলেন, বাট কবরি কলা এমনই, হয়ত এটাও কবরি কলাই। আর নীচের গুলো কী কলা, আশা করি নাম বলা নিস্প্রয়োজন :)





২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সব কয়টাই খাই।
পান্তায় ডিম ভাজি অথবা শুকনা মরিচের আলু ভর্তা তোফা হয়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জেনে খুশি হলাম, সব অপ্রচলিত খাবারই আপনি খেয়ে থাকেন। পান্তায় ডিম ভাজি বা আলু ভর্তা - এটা মোটামুটি আমরা সবাই খেয়ে থাকি, তাই এ নিয়ে কোনো আলোকপাত করি নি।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জলদস্যু ভাই।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে- খাবারের স্বাদ নির্ভর করে আপনি কতটা ক্ষুধার্ত তার উপর।
আমাদের দেশে অপ্রচলিত খাবারের মধ্যে এখন পর্যন্ত আমি যা খেয়েেছি তা হলো: ব্যঙ, ঝিনুক, কাকড়া, বাদুর এবং কুচে বা কুইচা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে- খাবারের স্বাদ নির্ভর করে আপনি কতটা ক্ষুধার্ত তার উপর। হ্যাঁ, এ কথার সাথে আমিও একমত। পোস্টের নীচে আমিও এ কথাটা বলেছি।

ব্যাঙ, ঝিনুক, কাঁকড়া বা বাদুড় খাওয়া হয় নাই। নাদুস নুদুস ব্যাঙের রানের কথা মাঝে মাঝে মাথায় আসে, ছোটোবেলায় প্রথম বৃষ্টির পর পানিতে ভরে যাওয়া ডোবায় যেরকম ব্যাঙ দেখতাম। কিন্তু পরিচ্ছন্নন জায়গার ব্যাঙ পাওয়া মুশকিল, আর এটা ভেবেই ব্যাঙ খাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে বাদ পড়ে যায়। কাঁকড়া খাওয়ার প্ল্যান আছে। সুযোগমতো পেলে খাব। কাঁকড়া অবশ্য সি-বিচ এলাকায় ফ্যাভারিট হয়ে উঠছে। ঝিনুক বা বাদুড় খাওয়ার কথা ভাবি নি কখনো, এখনো ভাবছি না :)

বাইম মাছের মতো কষানো কুইচ্যা ছোটোবেলায় প্রচুর খাওয়া হয়েছে। তবে এখন খেতে পারবো না, ঘৃণা লাগছে :(

ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৪

আরইউ বলেছেন:




ভালো লিখেছেন, সোনাবীজ!

আমি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট, তাই দুধ ভাত খাওয়ার অভ্যেস গড়ে ওঠেনি। এখন যদিও ল্যাকটোজ ফ্রি মিল্ক পাওয়া যায় তবু অভ্যেস না থাকায় খাওয়া হবেনা।

মুড়ি+মাংস বা মুড়ি+মাংস+ভাত = অমৃত! এর সাথে চানাচুর মিশিয়েও খেয়ে দেখেছি। মন্দ নয়। আহ, কতদিন মুড়ি খাওয়া হয়না।

উস্তে বা করোলার সাথে পান্তা খেয়েছি। উস্তে/করোলা আমার প্রিয় তা সাথে যা থাক। করোলা/উস্তে চিংড়িতো অসাধারণ! তবে সবচেয়ে প্রিয় বেশি তেলে কড়া করে উস্তে/করোলা সাথে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ এর ভাঁজি (সাথে আর কোন কিছু যেমন আলু বা এসব না দিয়ে)।

করোলা/উস্তের মাংসের সাথে খেয়েছেন কখনো? অথবা, কচু শাক, কচুর লতি, কচু মুখী, বা ওল কচু/ মান কচুর সাথে কোন ধরণের মাংস খেয়েছেন কখনো?

শুভকামনা, সব সময়! ভালো থাকুন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুধ ছাড়া বাকি সব খাবারের সাথেই আমার-আপনার মিল প্রায় শতভাগ। দুধে ল্যাক্টোসের প্রেজেন্সের কারণেই দুধটা বেশি সুস্বাদু হয় বলে মনে হয়। দুধ একটু জ্বাল দিয়ে ঘন করলে যে-রকম স্বাদ হয় (দই বানানোর জন্য যেভাবে জ্বাল দেয়া হয়), তার তুলনা নাই।

মুড়ির সাথে মাংস বা মাংসের ঝোল, সাথে চানাচুর মেশানো - এটা কমন খাবার হিসাবেই আমার কাছে মনে হয়েছে। তবে, মাংস ভাতের সাথে মুড়ি মিশিয়ে খাওয়ার মানুষ খুব বেশি দেখা যায় না। কীভাবে আমি এ অভ্যাসটা গড়ে তুলেছিলাম মনে পড়ে না। তবে, আমি এটাতে মজা পাওয়ার পর অনেকের সাথেই শেয়ার করেছিলাম, প্রায় সবাই এটাতে নেগেটিভ কমেন্ট করলেও হঠাৎ এক কলিগ খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে এ স্বাদের প্রশংসা করা শুরু করলেন। তখনই মনে হলো, এটা আরো অনেক মানুষের কাছেই প্রিয় খাবার হতে পারে।

আমার বন্ধুদের সাথে এক প্রাইভেট গ্রুপে এ পোস্টটা শেয়ার করলে একজন কমেন্ট করলেন - তিনি গতকাল সন্ধ্যায় পান্তার সাথে উস্তা ভাজি খেয়েছেন।

উস্তার সাথে ছোটো চিংড়ি দিলে সেটার স্বাদ হয় অনন্য এবং ভিন্ন। তবে, আমি চিংড়ি ছাড়া উস্তা ভাজিতেই বেশি মজা পাই। আমার স্ত্রীর সৌজন্যে আমি উস্তা ভাজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। এখন তার কাছে উস্তা তিতা লাগে, আর আমার কাছে তিতা বলে কোনো উস্তা বা উচ্ছে বা করলা আছে বলে মনে হয় না :)

উস্তা ভাজি রান্নার একটা শাশুড়ীয়/স্বস্ত্রীয় পদ্ধতি বলছি। প্রথমে উস্তা ধুয়ে পানি ঝেড়ে ফেলে শুকনো করে কাটতে/কুটতে হবে। উস্তার সমান পেঁয়াজ লাগবে, অর্থাৎ, উস্তা ও পেঁয়াজের অনুপাত হবে ১ : ১। পেঁয়াজের সাথে ছোটো ছোটো টুকরো করে কিছু আলু। কড়াইতে তেল নিয়ে শুকনা মরিচ, রঁসুন ভাজতে হবে, একটু পর পেঁয়াজ ঢেলে দিতে হবে। পেঁয়াজের রঙ একটু বাদামি হওয়ার পর উস্তা ছেড়ে দিতে হবে। এতে কিন্তু কোনোভাবেই পানি দেয়া যাবে না। হলুদ দেয়া যাবে না। উস্তার রঙ সবুজ থাকবে। উস্তা নরম হয়ে গেলে কড়াই নামিয়ে ফেলুন।

ডালের সাথে উস্তা ও ইলিশ, মাংসের মধ্যে উস্তা, সম্ভাব্য অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই উস্তা যোগে রান্না করা হয়েছে।

ছোটোবেলায় জংলি কচুর গাঁটি দিয়ে কচুর মুখী বলে একটা খাবার রান্না করা হতো, ঘন খিরের মতো, তাতে সামান্য টক দেয়া হতো। আমি তখন এটা খেতে পারতাম না, অথচ মা-বাবার অনেক প্রিয় ছিল। বড়ো হোয়ার পর স্ত্রীকে বলার পর সে বাজার থেকে কচুর গাঁটি কিনে সেই খির, যা অনেকটা স্যুপের মতোই, রান্না করলো। সেটা ছিল অমৃত। মাঝে মাঝেই খাওয়া হতো, যদিও বিরতি চলছে অনেক দিন হলো। শীঘ্রই আবার খাওয়া হবে কচুর মুখী বা কচুর গাঁটির স্যুপ :)

উস্তার সাথে কচু শাক বা ওলকচু বা মান কচু খাওয়া হয়েছে কিনা মনে পড়ে না। আগামী খাব :)

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আরইউ চমৎকার আইডিয়া ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা আপনার জন্যও।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৩

পোড়া বেগুন বলেছেন:
আমি গরম কিংবা পান্তা উভয় ভাতের সাথে নারিকেল কোরা দিয়ে ভাত খেতাম খুব মজা করে। এখনো কোন তরকারী না পেলে ভাংগ নারিকেল মাখো ভাত, চিনি বা গুড় না থাকলেও ক্ষতি নাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নারকেল কোরানি দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খেয়েছি অনেক, সাথে চিনি, যা একটা কমন খাবার, অনেক মজারও, কিন্তু ভাত দিয়ে খাওয়া হয় নি।

আপনার নিকনেইম 'পোড়া বেগুন' হওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে মুঞ্চাইতেছে :)

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৬

জাদিদ বলেছেন: দুধ ভাত তো বেশ প্রচলিত খাবার বলেই মনে হচ্ছে। তবে ভাইয়া আপনি যে ভাবে, যত কৌশলে এবং যত প্রক্রিয়ায় গরুর দুধ খেয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা অতি বিরল বলেই মনে হচ্ছে।

আমি ঢাকা শহরের যে ফার্মের গরুর দুধ আসে, সেটা সহজে খেতে পারি না। আমার কষ্ট লাগে। আমার গ্রামের বাড়ির গাভীর দুধের কথা মনে পড়ে। আমি যত পারছি এই স্মৃতিগুলো সংরক্ষন করার চেষ্টা করছি। দিন যত যাচ্ছে, তত এই সব স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দুধ আমি এক কেজি কিনলে তা জ্বাল দিতে দিতে আধা কেজির কম হলে তারপর কিছুটা খেতে পারি।

আমি কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম আব্বার কবর জিয়ারত করতে। আমাদের অঞ্চলে খাবারের শেষ পাতে সাধারনত একটু দুধভাত বা মিষ্টি খাবার প্রচলন আছে। বিশেষ করে আমার পরিবারে খাবারের শেষ পাতে দুধ ভাত খাওয়া হয়। আমরা বাড়িতে যে কলা হয় সেই চিনি চাম্মা কলা দিয়ে মাখিয়ে খাই। আমি অবশ্য শ্রেফ লবন দিয়ে ঘন হলদে আভার দুধ ভাত দিয়ে খেতে পছন্দ করি। এত ভাত আবার সাধারন চিকন চালের ভাত হলে হবে না। গ্রামের একটু মোটা চাল হলে বিশেষ করে লাল চাল হলে হবে সোনায় সোহাগা।

আপনি দোহারের আমি জানতাম না। আপনাদের দোহারে একবার আমাদের এক ব্লগার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়ে বিশাল বিপদে পড়েছিলাম। সেই গল্প আরেকদিন ব্লগে করব অবশ্যই।

আমরা শৈশবে গ্রামের বাড়িতে গেলে সবচেয়ে বেশি খেতাম দুধভাত, আম দিয়ে দুধ দিয়ে ভাত, কলা দিয়ে ভাত।

কাঁঠাল দিয়ে মুড়ি খেতো আমার দাদা বাড়ির লোকরা। উনারা অবশ্য অতি মাত্রার ভোজন রসিক ছিলেন। বিশেষ করে উনারা দুই তিন পদের মাছ ছাড়া ভাত খেতো না। কারন মাছের সহজলভ্যতা। বড় মাছের তেল এবং পেটের ভেতরের কিছু অংশ দিয়ে বেগুন দিয়ে একটা খাবার রান্না করত। আমি খুবই অপছন্দ করলেও অনেকেই খুব পছন্দ করে খেতো।

আমরা শীতকালে নিজেদের গাছের রস নিজেরা চুরি করে খেতাম। কারন আসলে আমাদের ছিলো একক বাড়ি। আশে পাশে বাড়িঘর তেমন নাই। ফলে নিজেদের গাছের রস নিজেরা চুরি করে খেয়ে উত্তেজনার আমেজ নিতাম। খেজুরের রসের মধ্যে লাল চাল, নারিকেল, একটু তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ আর লবন দিয়ে জ্বাল দিতে দিতে ঘন করে ফেলার পর সে সুগন্ধ বের হতো, তাতে ধরা পড়ে যেতাম। আর স্বাদ! আহ! কি আর বলব।

আমার স্ত্রী আমার গ্রাম নিয়ে বিলাসিতাকে মাঝে মাঝে খেপিয়ে বলে - তুমি তো গ্রামের ছেলে।
যদিও বিষয়টা আমার কাছে খুবই আনন্দের।

আমাদের এই অঞ্চলে মহিষের দুধের দই পাওয়া যায়, অতিথি আপ্যায়নে এই দই ব্যবহার করা হয়। খুবই স্বাদের এবং পুষ্টিকর।

পান্তা দিয়ে আমরা সাধারনত রসুন মরিচ বা শুটকি ভর্তা দিয়ে খেতাম। যারা কাজ করতে যেতো তাদের জন্য দেয়া হতো পান্তা ভাত, গরম মসুর বা কলাইয়ের ডাল, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, কোনদিন শুটকি ভর্তা বা কোন দিন আলু ডিম। আমি তীর্থের কাকের মত বসে থাকতাম, কখন আমি বাড়ির লোকদের চোখ এড়িয়ে নিজেও দুটো খাবো!

পান্তা ভাত দিয়ে আমি অনেক কিছু মিশিয়ে খেয়েছি। তবে সবচেয়ে সেরা হচ্ছে পান্তা ভাত, গরম ডাল কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ! আহ!

বর্ষাকালে গ্রামে গেলে আমি গামছা দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরতাম বিশেষ করে চিংড়ি। চিকন কচুর লতি দিয়ে চিংড়ী মাছ বা পাচ মিশালী মাছের ঝোল আর গরম ভাত! হে মহান সৃষ্টিকর্তা! কি অসাধারন সৃষ্টি!

আমি কচু দিয়ে মাংশ খেয়েছি আমার ঢাকাইয়া শশুর বাড়িতে, এখানে খেয়েছি পনির ভাজা, লোনা মাংস। আমাদের গ্রামের বাড়ীতে আমরা অবশ্য মাংসের শুটকি দিয়ে পালংক শাক, বাঁধা কপি ইত্যাদি খেয়েছি।

আসলে আরো কত কত খাবারের কথা মনে পড়ছে। এত লিখতে গেলে নতুন একটা পোস্টই হয়ে যাবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ সব অভিজ্ঞতায় ঠাসা এ কমেন্টটি রাতে ঘুম ভাঙলে আধবোজা চোখে পড়েছিলাম। প্রথমেই ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা এ কমেন্টটির জন্য।

দুধ ভাত তো বেশ প্রচলিত খাবার বলেই মনে হচ্ছে। তবে ভাইয়া আপনি যে ভাবে, যত কৌশলে এবং যত প্রক্রিয়ায় গরুর দুধ খেয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা অতি বিরল বলেই মনে হচ্ছে। বিশ্ব জুড়েই দুধ একটি আদর্শ খাবার এবং একটি সুষম খাবারও। কিন্তু, প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে যে-ক'টা প্রক্রিয়ায় আমি দুধ খেয়েছি, বিশেষ করে বাঁছুরের মতো গাভীর বাটে মুখ দিয়ে দুধ টেনে খাওয়া - সেটি এ পর্যন্ত শুধু আখেনাটেনের কমেন্টেই দেখতে পেলাম :) আমি যে খুব দুষ্টু ছিলাম, তা না, কিন্তু এরকম একটা ইচ্ছে কাজ করছিল, সরাসরি বান থেকে দুধ টানলে কেমন লাগে, বা আদৌ টেনে খাওয়া যায় কিনা। মায়ের কিছু বকুনি খেয়েছিলাম অবশ্য, কিন্তু তাতে দমে যাবার পাত্র ছিলাম না অবশ্যই :) ছোটো ভাইবোন তা দেখে বেশ মজা পেয়েছিল :)

অত্যন্ত বেদনাদায়ক ব্যাপার যেটা তা হলো, খোলা বাজারে সৎ দুধওয়ালা পাওয়া খুবই বিরল ঘটনা। চোখের সামনে দোহানো দুধ ছাড়া খাঁটি দুধ পাওয়া একান্ত ভাগ্যের ব্যাপার। তাই বাজার থেকে কিনে আনা দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করার পর হয় প্রকৃত দুধের স্বাদ আপনি পাবেন।

বিশেষ করে আমার পরিবারে খাবারের শেষ পাতে দুধ ভাত খাওয়া হয়। আমি এ জিনিসটা মেনশন করতে ভুলে গেছি। ছোটোবেলায় ঘরোয়া মেহমানদারিতে এ চলটা ছিল। তরকারি ভাতের পর দুধ ভাত, তাতে থাকে আম, কলা, কাঁঠাল- ফলের মওসুম অনুযায়ী যা তখন পাওয়া যায়। গরম বা বাসি ঘন দুধের সাথে গরম বা বাসি (শুকনা) ভাত কোনোরকম দুধ, চিনি, আম, কলা ছাড়াও অনেক মজার হয়ে থাকে। দুধের নেচারাল মিষ্টি স্বাদেই তা অনন্য, সাথে প্রয়োজন মতো লবণ। মোটা চাল আমার স্ত্রীর খুব পছন্দ- তাই বাড়ি থেকে ধান কিনে ভাঙিয়ে বাসায় আনা হয় সারাবছরই, কষ্ট অবশ্য করে থাকেন তার বোনেরাই।

দোহারের পারভেজ আলম ও আবু সিঁথি ভাই একসময় অ্যাক্টিভ ছিলেন। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই অনেকদিন ধরে অ্যাবসেন্ট। কবিরও ছিলেন। আরো কয়েকজন আছেন জানা মতে। জুন আপুও আমাদের দেশী আপু, যদিও বেসিক্যালি তিনি নবাবগঞ্জের বাসিন্দা - কলাকোপা-বান্দুরা - দোহারের উত্তর-পশ্চিম বর্ডার এলাকায়। আপনার বিপদাকীর্ণ অভিজ্ঞতা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

কাঁঠাল দিয়ে মুড়ি তো অনেক মজার খাবার! বিচি কলা নামক একটা বিদ্‌ঘুটে কলা আছে, যা খেলে সমস্যার অন্ত নাই :) ওটা আবার পান্তাভাতের সাথে খেলে পেটের বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। আগের দিনে বাজারে গিয়ে খিদে লাগলে অবস্থাপন্নরা যেত হোটেলে নাস্তা করতে, আর অসচ্ছল মানুষ দুটো বিচি কলা কিনে খেত। তো, আমি সেই কলার একটা উত্তম ব্যবহার আবিষ্কার করে ফেললাম - মুড়ি দিয়ে খাওয়া। অদ্ভুত স্বাদ। আর অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বিচি কলায় যে বিচি আছে, তা টের পাবেন না, মুড়ির মচ-মচানির সাথে তা একাকার !!! :)



০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমরা শীতকালে নিজেদের গাছের রস নিজেরা চুরি করে খেতাম। বন্ধু-বান্ধবরা রস ও নারকেল চুরির অনেক দুর্ধর্ষ কাহিনি বলতো। আমারও ইচ্ছে হতো ওদের দুর্ধর্ষ অভিযানে অংশ নিতে। কিন্তু বয়সে ছোটো হওয়ায় সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোনো বারণ ছিল, আর ঐ অভিযানের অংশীদারও আর হওয়া গেল না। তবে, ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ার সময় একজন আমাকে সাথে নিয়া গেল নারকেল চুরি করতে। গাছ ছোটো ছিল। সে নীচে দাঁড়িয়ে একটা নারকেল পেড়ে ফেললো। ওটা ছিল ওর আপন ফুপুর বাড়ি :) ওদের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে ছিল সেই বাড়ি। তারপর জোছনা রাতে নির্জন চকের মাঝখানে গেলাম দুজন। কাটাকাটি সেই করলো। আমার রোল ছিল শুধু খাওয়া :) ঐদিন গ্রামে একটা মেলা ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষে দুজনে মেলায়ও গেলাম। পরদিন দুপুরে আরেক বন্ধু এসে নীচু স্বরে ও সিরিয়াস ভঙিতে বললো - তোরা নাকি রাত্রে নারকেল চুরি কইরা খাইছস? আমি ভয় পাইয়া গেছিলাম :)

আমার স্ত্রী আমার গ্রাম নিয়ে বিলাসিতাকে মাঝে মাঝে খেপিয়ে বলে - তুমি তো গ্রামের ছেলে। :) মন থেকে গ্রামকে মুছে ফেলা সম্ভব না। আমার বড়ো ছেলে তো আমার গ্রাম নিয়ে কথা বলাকে খুবই অপছন্দ করে :( তবে, পুরো বাংলাদেশটাই তো একটা গ্রাম; মূলত আমরা সবাই গ্রামবাসীই। আপনি অতীতে যেতে যেতে একসময় দেখবেন, এই ঢাকা শহরও একদা গ্রামই ছিল। আমি গ্রামের ছেলে, আমার বাবা একজন কৃষক ছিলেন, আমি নিজেই কৃষিকাজ করেছি। এটা আমাকে আনন্দ দেয়, গর্বিত করে।



০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসলে আরো কত কত খাবারের কথা মনে পড়ছে। এত লিখতে গেলে নতুন একটা পোস্টই হয়ে যাবে।

:)

মহিষের দুধের দই খেয়েছি বলে মনে পড়ে - বেশ মজার এবং ঘনও একটু বেশি।

বাংলার ঐতিহ্য পান্তা হয়ত এখন আর নাই, ফ্রিজের কারণে। তবে, পান্তা এখন যেমন শখ করে প্ল্যান করে বিভিন্ন মেনু দিয়ে খাই, ছোটোবেলায় পান্তা খেয়েছি নরমাল খাবার হিসাবেই। কেন তরকারি নাই, এ নিয়ে মায়ের সাথে জেদাজেদিও কম হয় নাই, অবশেষে পোড়া মরিচ, কাঁচা মরিচ বা যা মা দিতে পারতো, তাই দিয়াই পান্তা খাওয়া হতো।

ডাল দিয়ে লাউয়ের তরকারি খুব কমন তরকারি। বাসি লাউয়ের তরকারি বাসি ভাত দিয়ে খুব মজা লাগে। এটা আমি এখনো মাঝে মাঝে খাই।

ছোটোবেলাটা কেটেছে গাছে গাছে, খালে-বিলে :) মাছ ধরতে ধরতে বড়ো হয়েছি। মাছ ধরার যত পদ্ধতি আছে, মোটামুটি সব পদ্ধতিই শেষ করেছি, শুধু পদ্মায় যেয়ে ইলিশ মাছ ধরা হয় নি :(

মাংসের মধু কচু দেয়া তো খুব কমন রান্না। কচু, পেঁপে, আলু, পটল - একাকার!

ইলিশ মাছের কানশা, মাথা ইত্যাদি দিয়ে কচুর ভাজি করা হয় একটা। অনেক মজার সেই ভাজি।

একবার আমাদের এক মহিলা ক্লাসমেটের বাসায় এক চরম ব্যতিক্রমী তরকারি খেলাম। ইলিশ মাছের কাঁটা - অনলি কাঁটা, আই রিপিট, শুধু কাঁটা - পেঁয়াজ-রঁসুন দিয়ে কষাইয়া রান্না করেছে। খুবই মজার হয়েছিল।

মাংসের শুঁটকি অন্যের বাসায় একবার খেয়েছিলাম। ভালো লাগে নাই শুধু রান্নাটা ভালো হয় নাই বলে, আমার ধারণা।

আমি কী দিয়ে কী খাব বা রান্না করবো - তা আমার কল্পনার ব্যাপার :) আমি খাওয়ার আগেই ভেবে নিই, এ খাবারটা এভাবে খেলে বা রান্না করলে কেমন লাগতে পারে, তারপর সেটা বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যাই। ভালো লাগলে তা চলে, না লাগলে আর আগে বাড়ি না :)

আপনার দীর্ঘ কমেন্ট অনেক ভালো লাগলো জাদিদ ভাই। ধন্যবাদ এ চমৎকার কমেন্টটির জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৪৭

অপু তানভীর বলেছেন: দুধভাত আমার আমার খুব একটা পছন্দ যে সেটা বলবো না । তবে কোন এই খাবার আমার ভাল লাগে নি । বলা যায় যে বাধ্য হয়েই খেয়েছি । ঢাকা এসেও খেয়েছি তাও বাধ্য হয়ে । দুধভাতে আম দিয়ে খেয়েছি ।

মাংস ভাতে মুড়ি কোন দিন খাই নি । তবে মাংসের ঝোল দিয়ে মুড়ি খেয়েছি অনেক । এটা আমার পছন্দের একটা খারাব । তবে শেষ খাবারের কোন দিন খাই নি ।

পান্তা ভাত আমার পছন্দ ছিল ডালের বড়া দিয়ে । এছাড়া পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ ঝাল দেওয়া তরকারী ! ঝাল দেওয়া তরকারী বলতে আগে যখন সবার বাসায় ফ্রিজ এতো কমন ব্যাপার ছিল না তখন ইলিশ মাছ গুলো এক দুইদিন সংরক্ষণে হলুদ দিয়ে আধ সিদ্ধ করে করে রাখা হত । এই জিনিসটা এখন আর দেখা যায় না যেহেতু ফ্রিজ চলে এসেছে । পান্তা দিয়ে এই ইলিশ খেতে এতো মজা লাগতো । আমি শেষ কবে এটা খেয়েছিলাম সেটা মনেও নেই ।

আমার মামাতো ভাইয়ের পছন্দের একটা মজার কম্বিনেশন বলি । সে দুধ ভাতের সাথে ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করতো খুব । রান্না করা ঝোল ইলিশ মাছ !

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মামাতো ভাইয়ের পছন্দের একটা মজার কম্বিনেশন বলি । সে দুধ ভাতের সাথে ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করতো খুব । রান্না করা ঝোল ইলিশ মাছ !

আপাত অনেকের কাছেই এটা অড মনে হতে পারে, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, দুধ এমন একটা খাদ্য, যা যে-কোনো তরকারি বা খাবারের সাথে মিশিয়ে রান্না করা যায় এবং খাওয়াও যায়। এতে ঐ তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। দুধের বদলে অনেকে দই বা টক দইও দিয়ে থাকেন বিভিন্ন তরকারি রান্নায়।

আমার বাবা খিঁচুড়ির সাথে দুধ মিশিয়ে খেত। এ নিয়ে আমার স্ত্রী খোটা দিত। কিন্তু মাংস-পোলাওয়ের সাথে দই মিশিয়ে খাওয়া খুবই কমন এবং প্রিয় একটা খাবার। খিঁচুড়ির সাথেও দই বা দুধ মেশালে সেটাও সুস্বাদু হবে।

আমরা ছোটোবেলায় বাসি পোলাও খেয়েছি বাদি দুধ দিয়ে। খুব স্বাদ লাগতো। এই কিছুদিন আগেও এটা খাওয়ার কথা জানিয়েছি স্ত্রীকে। আজ নাকি বাসায় পোলাও রান্না হচ্ছে, কাল সকালেই খাওয়া হবে বাসি দুধে বাসি পোলাও :)

পান্তা বা গরম ভাতে ডালের বড়া বা পেঁয়াজু খুবই মজার কম্বিনেশন।

উস্তা ভাজি খান কিনা বলেন নি। উস্তা ভাজি দিয়ে মুড়ি খুব মজা লাগে। চচ্চড়ি, কচুর লতি, ইত্যাদি দিয়েও মুড়ি খুব মজাদার। মুড়ি খান দুধ দিয়ে, তার সাথে আম বা কলা, সাথে একটু চিনি মেশান। ডায়াবেটিস হওয়ার আগে এটা আমার অন্যতম কমন ও ফ্রিকোয়েন্ট খাবার ছিল।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই। শুভেচ্ছা।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৫৬

ককচক বলেছেন: মাংস ভাতের সাথে মুড়ি কখনো খাওয়া হয়নি, খাওয়ার চিন্তাও করিনি। একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করি অভিজ্ঞতা জানাবেন। শুভেচ্ছা রইল ককচক।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৮

জটিল ভাই বলেছেন:
একদিন সময় করে শুকনো চিড়া আর গরুর গোস্তের তরকারি মিশিয়ে খেয়ে দেখবেন।
হেব্বি ঠেস! :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

এটা কখনো খাওয়া হয় নাই। তবে, এ ধরনের খাওয়া নরমাল খাবারের মধ্যেই পড়ে। মুড়ির মতো চিড়া এমনিতেও খুব একটা খাওয়া হয় নি বলে চিড়া-গোশতো খাওয়া হয় নাই :) সামনে কখনো চিটা আসলে গোশত দিয়া খাবো নে :)

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: দুধ দিয়ে পান্তাভাত বাদে বাকিগুলো টেষ্ট করেছি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রান্না করা দুধ দিয়ে পান্তা ভাত কমন খাবার। তবে, কাঁচা দুধ দিয়ে পান্তা খাওয়া অতোটা কমন না।

বাকিগুলো টেস্ট করেছেন জেনে ভালো লাগলো।

পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দুধ/কলা বাদে বাকিগুলো খাইনি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অন্তত জীবনে একবার করলা ভাজি খেয়ে দেখবেন :)

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৫

জুন বলেছেন: দুধের প্রতি আকর্ষণ কম সেই ছোট বেলা থেকেই। আম্মার বকা ঝকা খেয়েও খেতে চাইতাম না ছাই ভাই। তবে চায়ের সাথে দুধ ছাড়া আমার চলেই না। আর মুড়ি দিয়ে আমাদের ভাত, বাসী পোলাও, বিরিয়ানী আর মাংস খাওয়ার কথা শুনে চিটাগং এর এক মুদী ভাই হেসে বলেছিল এরপর থেকে যেন বিস্কুট দিয়ে ভাত খাই =p~

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে চায়ের সাথে দুধ ছাড়া আমার চলেই না।

:)

এটা তো আমারও স্বভাব :) জীবনে কতবার যে রঙ চা, গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ার ট্রাই করেছি, তার ইয়ত্তা নাই, কিন্তু পারি নাই :) দুধ চা ছাড়া আমার চলেই না।

বিস্কুট দিয়ে ভাত :) ইয়ে, আমার ঝাপসা মনে পড়ে, আমি নিজেই হয়ত এটা খেয়েছি। মাংস ভাতে আঙুর মিশিয়ে প্রচুর খেয়েছি। ভাত খাচ্ছি, সামনে বিস্কুট টিস্কুট কিছু থাকলে ওটাও রক্ষা পায় না অনেক সময় :) যাই হোক, এবার নিশ্চিত ভাবেই এটা ট্রাই করবো :)

পোস্ট পড়া ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ দেশী আপু।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: ছাই ভাই, আপনি যেটাকে কবরী কলা বলেছেন- সেটাকেই সম্ভবত আমরা শবরী কলা বলি। আপনি জেনে অবাক হবেন- ছেলে বেলা থেকে অদ্যাবধি আমি দুধ কলা, আম-দুধ দিয়ে কখনো ভাত খাইনি। এমনকি আমি দুধ খাইনা। তবে দুধের তৈরী বিভিন্ন রকম পায়েস- মিষ্টি খুব প্রিয়। রসগোল্লা আমার সব চাইতে পছন্দের মিষ্টি।

আমি মাঝেমধ্যে পান্তা ভাত খাই। পান্তা ইলিশ খুব পছন্দ করি। করল্লা ভাজি খুব পছন্দের তবে করল্লায় ছোট চিংড়ি থাকতে হবে।
মাংস-মুড়ি, ভাতে মুড়ি কোন দিন খাইনি। আর বাছুরের মতো গুরুর দুধ খাওয়ার মতো অরুচিকর কিছু চিন্তাও করতে পারছিনা!

যাক, অনেক প্রকার খাবারের প্রথা জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ।+

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ছাই ভাই, আপনি যেটাকে কবরী কলা বলেছেন- সেটাকেই সম্ভবত আমরা শবরী কলা বলি।

জুল ভার্ন ভাই, উপরে আখেনাটেন ভাইয়ের উত্তরে এটা বলেছি - কবরি কলা আর শবরী কলা দু জিনিস, উপরে ছবিও দিয়েছি। আমার শ্যালকেরা এ দু ধরনের কলাই ভিটায় চাষ করে থাকে :)

তবে, সত্যিই অবাক হয়েছি এটা জেনে যে, আপনি দুধ-ভাত, এমনকি দুধও খান নি কখনো। জীবনে অন্তত একদিন আম-দুধ-ভাত বা কলা দুধ-ভাত খেয়ে দেখবেন :)

আমাদের দোহারের রসগোল্লা হলো বিশ্ববিখ্যাত রসগোল্লা। সৈয়দ মুজ্‌তবা আলী এ রসগোল্লা খেলে তিনি এর উপর আস্ত একটা উপন্যাসই লিখে ফেলতেন :)

আমাদের দোহারের আমিত্তি, খেজুর, ইত্যাদি মিষ্টিও স্বাদে অনন্যসাধারণ।

এখন বিয়ে অনুষ্ঠানে দই খাওয়ানোর রেওয়াজ চলমান। ছোটোবেলায় শিরবিন্নি নামক এক পায়েস খাওয়ানো হতো, যার কথা মনে হলে এখনো আমি কাতর হয়ে পড়ি।

গরুর দুধ খাওয়ার ব্যাপারে আসলে রুচি-অরুচির কোনো ব্যাপার কাজ করে নি। ছোট্টবেলার দুষ্টুবুদ্ধির একটা কাণ্ড আর কী। চাচাত ভাইবোনেরা মিলে খুব উৎসাহ নিয়ে দেখছে এই কাণ্ডকারখানা, তার মধ্যে এক বাড়তি উত্তেজনা ছিল। অবশ্য একাধিকবারই এই কাণ্ড করেছি :)

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এবং পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাতের সাথে মুড়ি কখনই খাইনি। তবে ইন্ডিয়ান রেস্তূরেন্টে বিরিয়ানির সাথে পাপড় ভাজা দেয়।খুব ভাল লাগে খেতে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কলকাতায় আমি মাস চারেকের মতো ছিলাম চিকিৎসার জন্য। এ ছাড়া, অন্যান্য সময়ে কিছু অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছে ইন্ডিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে। পনিরের আধিক্য চোখে পড়ার মতো। হরেক রকম কারি রান্না করা হয় পনির দিয়ে। ভালো লেগেছে সব খাবারই।

রুমালি রুটি আমি কলকাতায় প্রথম খাই। পরে বাংলাদেশে ফিরে এসে দেখি, আমাদের এখানেও আগে থেকেই রুমালি রুটি তৈরি করা হয় :)

পোস্ট পড়া ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ল্যাকটজ সহ্য হয়না। দৈ খেতে পারি।
মুড়ি মাংসের ব্যাপারটা মাথায় থাকলো।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুধ আমার এমন প্রিয়, দুধহীন পৃথিবীর কথা কল্পনাই করতে পারি না :) দইও প্রিয়, কিন্তু এখন তো মিষ্টি খাওয়া বারণ, তাই টক দিয়ে খাই। টক দইও মজা লাগে, কিন্তু দুস্প্রাপ্য।

মুড়ি-মাংস খুব কমন খাবার। আন-কমন হলো, মাংস-ভাতে কিছু মুড়ি যোগ করে মাখিয়ে খাওয়া। একবার ট্রাই করে দেখবেন।

পোট পড়ার জন্য ধন্যবাদ সৌরভ ভাই।

১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কাকরোল দিয়ে ও পেয়াজ পাতা দিয়ে মুরগীর মাংস রেধে খেয়ে দেখবেন। আমি নিজেই রেধে খেয়েছি।+++++ দুধ ভাত আমারও বেশ পছন্দের সাথে দুধ কাঠাল ভাত আবার আম দুধ ভাত ও ভাললাগে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাকরোল দিয়ে মাছ-মাংস রান্না তো কমন রান্না :) নতুন পেঁয়াজের দিনে পেঁয়াজ পাতা, কিংবা পেঁজের যে লম্বা শূঁড়ের মতো কাণ্ডসমেত ফুল হয় (নাম ভুলে গেছি), সেগুলো দিলে স্বাদ আরো বাড়ে।

যাক ভালো লাগলো জেনে যে, দুধ-আম-কাঁঠাল-ভাত আপনিও খেয়ে অভ্যস্ত, আমার মতো।

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

কামাল৮০ বলেছেন: এখানে(কানাডা)দুধে কোন ভেজাল নাই।আমি খাই স্কিম মিল্ক।তবে ভাত দিয়ে না।ওট দুধ কলা, সপ্তাহে দুই তিন দিন রাত্রে খাই।দুধ ভাত কলা আমার মনে হয় সকলেরই প্রিয় খাবার।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি কামাল ভাই, সার্বিক ভাবে দুধে-ভাতে বাঙালিদের কাছে দুধ-ভাত-কলা বা দুধ-ভাত-আম সবারই প্রিয়, সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

কামাল৮০ বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভালো।বাছুরের মতো খেতে যেয়ে গাভীর লাত্থি খান নাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তার জন্য অবশ্য বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছিল। প্রস্তুতিরও কমতি ছিল না :) যেমন, পানি দিয়া বান ও বোঁটা ধোয়া, জায়গা পরিষ্কার করা, ইত্যাদি।

তবে মোটের উপর ভাগ্য ভালোই বলতে হবে :)

১৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চিংড়ি মাছ পাকা নারিকেলের ভিতর মসলা দিয়ে কয়লার চুলায় পুড়িয়ে খেয়েছেন কখনো? কিংবা শিং, কই অথবা পুটি মাছ মসলা দিয়ে মেখে কলাপাতায় মূড়িয়ে
ভেজে খেয়েছেন? অমৃতের মজা পেতে খেয়ে দেখুন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না নূরু ভাই, এভাবে খাওয়া হয় নি। তবে, আইডিয়া মাথায় থাকলো, সুযোগ হলে খাব।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নিন।

২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

জানা বলেছেন: বাহ্‌ খুব মজার পোস্ট।
যে কোন বিষয়ে ঐতিহ্য এবং আঞ্চলিকতা নিয়ে আলোচনা বা আড্ডায় আমার খুব আগ্রহ :) সেই ছোট্টবেলা থেকেই। তা সে কৃষ্টির যে কোন দিক হোক। বৈচিত্র্যময় আঞ্চলিক ভাষা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার...। এত আগ্রহ যদি পড়াশোনায় থাকতো তাহলে তো আর.... :`>

সোনাবীজ ভাই এই পোস্টে নিজের পছন্দের এবং আঞ্চলিক খাবারের কথা বলে আমাদের সবাইকে ডেকে আনলেন। সবাই কত কত পরিচিত-অপরিচিত বিচিত্র সব খাবারের পরিচয় দিচ্ছেন। প্রতিটা মন্তব্য খুব মজার এবং সোনাবীজ ভাইকে টেক্কা দিতে গিয়ে সবাই নিজের খাওয়ার স্বভাব/অভ্যাসের পরিচয়ও দিচ্ছেন যাতে ব্লগার বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে তাদের পছন্দমত খাবার খাওয়াতে সোনাবীজ ভাই ঝামেলায় না পড়েন। একেই বলে সহযোগিতা :`> । আমি কিন্তু খুব ভালো পরিবেশনকারী সোনাবীজ ভাই :D । সময় মত আমায় ডাকবেন, কোমর বেঁধে কাজে লেগে যাবো ;) । তাছাড়া সব্বাই তো আর আসতে পারবেন না, তাই আপনি শুধমাত্র চুরাশি হাজার ব্লগার বন্ধুর বসার ব্যাবস্থার জন্যে মনে করে তাড়াতাড়ি একটা "গড়ের মাঠ" বুকিং দিয়ে ফেলন আর আমি জাদিদকে বিশেষভাবে বলে রাখবো, আপনার এই মহান উদ্যোগটি নিয়ে একখানা জনগুরুত্বপূর্ণ পোস্ট নোটিশ বোর্ডের দেয়ালে লিখে জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে এক্কেবারে প্রথম পাতায় লকটে দিতে।

এখানে সবার মন্তব্য পড়ে আমারও অনেক অনেক মজার/আঞ্চলিক/ইতিহ্যবাহী সব খাবারের কথা বলতে ইচ্ছে করছে (খেতেও ইচ্ছে করছে)। একটু বিশ্রাম নিয়ে পরে আবার ফিরে আসবো প্রত্যেকটা মন্তব্যের সাথে টেক্কা দিতে একরাশ এই ধরণের খাবারের তথ্য নিয়ে ;) । ভয় নেই সোনাবীজ ভাই, আমার জন্যে খুব বেশী বাজারে পায়চারী করতে হবে না। পুঁইশাক, বেগুন ভর্তা, ডাল আর একটু ভাত আমার খুব পছন্দের খাবার :)

আসল কথা বলতে ভুলে গেছি: সব আয়োজনের আগে মনে করে অবশ্যই একখানা জমজমাট জামদানী শাড়ী আমদানি করতে ভুলবেন না আপনার প্রিয় বান্ধবী/রুমমেট এর জন্যে =p~

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, প্রথমেই সলজ্জ দুঃখ প্রকাশ করছি ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য। দেরিটা অনিচ্ছাকৃত, আমি একটু অসুস্থ ছিলাম।

এবং বিরাট একটা ধন্যবাদ আপনার জন্য, চমৎকার এ কমেন্টটির জন্য। যে কারো যে-কোনো পোস্টে আপনার একটা মন্তব্য ঐ পোস্টের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়, ব্লগার নিজেও খুব অনুপ্রাণিত হোন। আমিও অভাবনীয়রকম অনুপ্রাণিত। আমার পোস্টটাও আলাদা একটা মর্যাদায় উন্নীত হলো। আবারও ধন্যবাদ আপু।

অন্যান্য জায়গায় বলার সুযোগ পাই না, তাই এখানে একটা প্রশংসা করে নিই আগে - আপনার বাংলা কম্পোজিশন খুবই সুগ্রন্থিত ও শক্তিশালী। আমি বিমোহিত।

মূল কমেন্টে আসি।

আপনি বলেছেন, এত আগ্রহ যদি পড়াশোনায় থাকতো তাহলে তো আর.... :`< । নাহ! এসব নিয়ে আপনার আর আক্ষেপের কিছু নেই। আপনার অধীত বিদ্যা ও অর্জিত ডিগ্রি দিয়ে বাংলা ভাষার প্রথম প্ল্যাটফর্ম সারাজগতে উন্মুক্ত করে দিয়ে অগণিত বাংলাভাষীদের কাছে এক চিরস্থায়ী মর্যাদার আসন লাভ করেছেন। ক্রিয়েটিভ এবং কল্যাণকর কিছু করার প্রতি আপনার ডেডিকেশন বা প্যাশনস ছিল বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। এ কারণেই বৈচিত্র্যময় আঞ্চলিক ভাষা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক-আশাক, খাবার-দাবার... ইত্যাদির প্রতি আপনার এত আগ্রহ।

পছন্দের এবং আঞ্চলিক খাবারের কথা বলে আমি আসলেই আগ্রহী ব্লগারদের খাদ্যাভ্যাসও জানতে চাইছিলাম। আমার বিশেষ আগ্রহের বস্তু ছিল মাত্র দুটো, যা খুবই বিরল, যদিও সে রকম মাত্র একজনকেই পাওয়া গেল :) এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে, আপনি খুবই ভালো পরিবেশনকারী। এজন্যই বোধহয় প্রবাদে আছে - যে রাঁধে, সে পরিবেশনও করে ভালো :) ধরে নিচ্ছি আপনার রান্নার হাতও ভালো :)

ইয়ে, আমি তো ব্লগারদের দাওয়াতের আয়োজন করতে চাইছিলাম, ঐতিহাসিক পদ্মাব্রীজের পূর্ব পাড়ে- দেড় লক্ষ ব্লগারকে নিয়ে। সবাই আসতে পারবেন না কেন? ঐদিন তো সারাদেশে ছুটি ঘোষণা করা হবে :) স্পেশিয়াল ফ্লাইটে বিদেশ থেকে আসবেন প্রবাসী ব্লগারগণ :) জাদিদ ভাইকে শুধু বসা ও খাওয়াদাওয়ার জন্য দেড় লক্ষ চেয়ার ও ক্রোকারির ব্যবস্থা করতে হবে :) খাবার দাবার রান্নাবান্নার কাজ আমার স্ত্রীই করবেন, তিনি আবার অ্যান এক্সপার্ট হেডমিস্ট্রেস লেভেলের শেফ :) অবশ্য অ্যাডভাইজার হিসাবে আপনি তো থাকবেনই :)

এখানে সবার মন্তব্য পড়ে আমারও অনেক অনেক মজার/আঞ্চলিক/ইতিহ্যবাহী সব খাবারের কথা বলতে ইচ্ছে করছে (খেতেও ইচ্ছে করছে)। এ নিয়ে কোনোদিন আপনার একটা পোস্ট পাওয়া গেলে, সেটা ব্লগের জন্য হবে দারুণ একটা গিফট। আশা করি অবশ্যই লিখবেন আপু।

পুঁইশাক, বেগুন ভর্তা, ডাল আর একটু ভাত আমার খুব পছন্দের খাবার :) - পাতলা ডাল, ভাত আর একটা ডিম ভাজা আমার কাছে রাজকীয় খাবার মনে হয় :) এর সাথে কারো কাছে আলু ভর্তা, আর আমার কাছে উচ্ছে বা করলাভাজি যেন অমৃতখানা হয়ে ওঠে।

সবশেষে কমেন্টের লাস্ট লাইন পড়ে আমি হেসেছি আপু :) আমার রুমমেট বান্ধবীকে সর্বশেষ একটা লাল জামদানি কিনে দিয়েছিলাম ২০০৭ বা ৮ সালের দিকে :) তারপর তাকে আর জামদানি কিনে দিই নি আমি, বা তিনি নিজেও কিনেন নি :( একটা জামদানি কিনে দেবার সময় হয়ে গেছে, হয়ত-বা পারও হয়ে গেছে :)

আপনার কমেন্ট পেয়ে অনেক সম্মানিত বোধ করছি আপু।

ব্লগের জন্য আপনার ত্যাগ, তিতিক্ষার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন ও সম্মান প্রদর্শন করছি। আমরা আপনার সাথে, এ ব্লগের সাথে আছি।

শুভ কামনা আপু।

২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি জামালপুরে এক বাসায় ডালের বাটিতে মুড়ি দিয়ে খেতে দেখেছি,

তবে আমি ছোট বেলায় খুদভাতের সাথে চ্যাপা শুটকি ও রসুনমরিচের ভর্তাসহ খেয়েছিলাম! অমৃতই মনে হয়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আচ্ছা, পাতলা ডাল, ঘন ডাল, লতির ডাল, যত ধরনের ডাল আমার বাসায় রান্না হয়, সব ডালের সাথে মুড়ি, কিংবা মুড়ির সাথে সব ধরনের ডালই আমিও খেয়েছি। বলতে পারেন, এমন কোনো তরকারি নাই, যা দিয়া আমি মুড়ি খাই নাই। উপরে তো শুধু মাংস-ভাতের সাথে মুড়ির কথা জানতে চেয়েছি, আমি আসলে সব ভাতের সাথেই মুড়ি খেয়েছি। তবে, মাংস-ভাতের সাথে একেবারে মচমচে মুড়ির মাখালে টেস বেশি হয় :)

চ্যাপা শুটকি আমার বাসায় কখনো খাওয়া হয় নি। রঁসুন মরিচের ভর্তা তো কমন ভর্তা, ওটা অনেক খেয়েছি। বিশেষ করে খিঁচুড়ি দিয়ে। বেশ মজার।

কিছু রেসিপি নিন :

মরিচ ও পেঁয়াজ কুচিকুচি করে কাটুন।
কিছু ধনে পাতাও কুচিকুচি করে কাটুন।
এগুলোতে সর্ষের তেল ও লবণ দিয়ে কষে ডলুন।
মজা বেশি পাওয়ার জন্য কেউ কেউ কাঁচা মরিচের বদলে ভাজা বা পোড়ানো শুকনো মরিচও দিয়ে থাকেন।
এবার এ ভর্তার নাম বাংলার টাইগার :) এটা খাবেন বৃষ্টির দিনে খিঁচুড়ি দিয়াহ :)

২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সিজন অনুযায়ী আপনাদের মত করেই শেষ পাতে দুধ ভাত খেতে হত। মুড়ি মাংস ভাত খেয়েছি অনেক।
আপনার যে পোষ্ট সেখানে জাদিদ এর মত বলতে হয় , উত্তর লিখতে আর একটা পোষ্ট হয়ে যাবে।
চমৎকার স্মৃতি সমৃদ্ধ পোষ্ট।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুড়ি মাংস ভাত খেয়েছি অনেক। এই তো মনিরা আপুকে পাওয়া গেল মাংস-ভাতে মুড়িতে :) ভাতের পরিমাণ খুব কমিয়ে দিয়েছি, তাই মুড়ি-মাংস-ভাতও তেমন খাওয়ার সুযোগ হয় না এখন :(

উত্তর লিখতে আর একটা পোষ্ট হয়ে যাবে। :) ওয়াও, আপনার মজার খাবার দাবার নিয়া একটা পোস্ট আসুক!!! অবশ্যই পোস্টখানা খুব উপাদেয় হবে :)

অনেক ধন্যবাদ আপু এ পোস্টে আসার জন্য। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.