নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
মনে আমার আগুন জ্বলে রে
ও আমার আগুন জ্বলে বুকে
আমার প্রাণসখীরা তবু বলে
আমি নাকি আছি কত সুখে
জনে জনে করে বন্ধু আলাপ-পরিচয়
সবার সাথে ভাব করে সে
আমায় দেখে চোখ ফিরাইয়া লয়
সবার সাথে ভাব করে সে
সবার সাথে ভাব করে সে
আমায় দেখে বন্ধু যে তার চোখ ফিরাইয়া লয়
মন আমার কান্দে রে কান্দে ধুঁকে ধুঁকে
ছলনাতে ভুলে আমি দিলাম তারে মন
এখন দেখি বন্ধুর মনে
আমি নই, অন্য আরেক জন
আমার সাথে ছল করে হায়
আমার সাথে ছল করে হায়
অন্য জনের হাতে বন্ধু হইল সমর্পণ
মন আমার কান্দে রে কান্দে ধুঁকে ধুঁকে
রচনা ও সুর সৃষ্টির তারিখ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
ইউটিউব লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - মনে আমার আগুন জ্বলে রে
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন :
এ মাসের শুরুতেই 'তোদের ছেড়ে যাচ্ছি চলে' শিরোনামের একটা গানের সুর অলরেডি তৈরি হয়ে গেছে; ওটার সুর সম্ভবত আমার গান-চিল্লাচিল্লিতে অতীষ্ঠ বান্ধবীরও ভালো লেগে গেছে, (কারণ, ওটার ব্যাপারে তিনি কিছু প্রশ্ন করছিলেন আমাকে ) কিন্তু ওটা শেষ করার আগেই আগের কিছু গানের মিউজিক কম্পোজ করি, প্লাস আমরা সবাই অতিথি ভাই শিরোনামের নতুন গানটি করি। এটি গতকাল সন্ধ্যায় ইউটিউবে আপলোড করার পর 'তোদের ছেড়ে যাচ্ছি চলে'-র ফোল্ডার ওপেন করতে যেয়েই হঠাৎ আনমনেই 'মনে আমার আগুন জ্বলে রে' গেয়ে উঠি। ব্যস, সেটাই সুর, লিরিকের শুরু। এ সুরটাও বেশ ভালো। নিজের সবগুলো সুরই কিন্তু নিজের কাছে ভালো লাগে ঠিক কিনা
অতিথি
অতিথি শীর্ষক কবিতাটি শুরুতে গান হিসাবেই আমি পেয়েছিলাম। সুর হয়ে গেছে, কিন্তু লিরিক তখনও সম্পূর্ণ হয় নি, আর লিরিকটাও কবিতা হিসাবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর কবিতা পোস্ট করা হয় না অনেক দিন। সেই শূন্যতা পূরণের জন্য ঐ লিরিক কবিতাটি আগেই পোস্ট করে ফেলি। জলদস্যু ভাই অবশ্য ওটাকে কবিতা হিসাবেই 'চমৎকার' বলেছেন; আমার ধারণা, এটাতে সুর দিলে আবার কীরূপ শোনায়, সেটা ভালো নাও লাগতে পারে, এজন্যই বোধহয় তিনি ওটাকে কবিতা হিসাবেই রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন বলে তার কমেন্ট পড়ে আমার মনে হয়েছিল। তবে, সুরটা কিন্তু খুবই ভালো হয়েছে বলে আমি মনে করি। একটু আগে দেখলাম, মনিরা আপুও কবিতাটা পড়েছেন এবং ওটার গানের ভার্সনের জন্য অপেক্ষাও করছেন। তো, এই নিন- সেই গান
আমরা সবাই অতিথি এই
ক্ষণকালের ঠিকানায়
মেজবানির দিন শেষ হলেই
নিতে হবে শেষ বিদায়
এই যে তুমি পালকি চড়ে
যাচ্ছ দূরের রূপনগর
তোমার জন্য সাজিয়েছে
ধবল সাদা শয়ন ঘর
তোমার জন্য সাজিয়েছে
সাদা ফুলের শয়ন ঘর
সেই ঘরে কে সঙ্গী হবে
জানো কি তার খোঁজ খবর
সেই ঘরে কে সঙ্গী তোমার
জানো কি তার খোঁজ খবর
চার দেয়ালের অন্ধকারে
একলা তোমার শয়ন ঘর
কেউ হবে না সঙ্গী তোমার
চার দেয়ালের সেই ঘরে
শুধুই তোমার সঙ্গী হবে
যা নিয়েছ সাথে করে
এই যে তুমি যাচ্ছ চলে
ভিন্ন কোনো রূপনগর
তোমার জন্য সাজিয়েছে
আলোয় রাঙা শয়ন ঘর
পালকি চড়ে যাচ্ছ তুমি
ভিন্ন কোনো রূপনগর
তোমার জন্য সাজিয়েছে
আলোয় রাঙা শয়ন ঘর
তোমার ঘরে সঙ্গী হবে
তোমার প্রিয় আপন জন
যাকে তুমি ভালোবেসে
দিয়েছিলে ধন রতন
যাকে তুমি ভালোবাসা
দিয়েছিলে জীবন ভর
সেই তোমাকে অন্ধকারে
জ্বালবে আলোর শয়ন ঘর
আমরা সবাই অতিথি ভাই
ক্ষণকালের ঠিকানায়
মেজবানির দিন শেষ হলেই
নিতে হবে শেষ বিদায়
রচনা ও সুর সৃষ্টির তারিখ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
ইউটিউব লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমরা সবাই অতিথি ভাই
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন :
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হিংসুটে প্রেমিক!!! প্রেমিক বা প্রেমিকামাত্রই হিংসুটে হিংসা ছাড়া কোনো প্রেমিক হয়, তা আমি ভাবিতে পারি নাহ! বাই চান্স সামনে কেউ পইড়া গেলে ধাপ্পড় খাইয়া দাঁত ও ব্রেইন দুইটাই হারাইব
হাসি থামিছে আশা করি
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭
অপ্সরা বলেছেন: হা হা না না আমার হাসি কি এত সহজে থামিবার!!!
ভাইয়া রুপে আমার আগুন জ্বলে এমন একটা গান ছিলো না!!! উহা ফিমেলা!!!!!!!!
আর মনে আমার আগুন জ্বলে .......... মেলা ! হা হা হা
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা তো অসাধারণ। সুরও অসাধারণ। ছোটোবেলা থেকেই এ গানটা প্রিয় ছিল, যদিও সিনেমাটা আজও দেখা হয় নি। গ্রামের যাত্রাপালায় ড্যান্সারদের ফ্যাভারিট গান ছিল এটা। এ গানটা দিয়াই তাদের প্রথম ডান্স শো শুরু হতো।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,
গান নিয়েই মেতে আছেন আজকাল। খুবই ভালো একটি নেশা। এমন নেশায় ক্ষতির তো ভয়ই নেই উল্টো মন-মেজাজ প্রফুল্ল আর সতেজ থাকে অনুক্ষন। বেঁচে থাকা আনন্দময় হয়ে ওঠে।
"অতিথি"র লিরিকসগুলি ভালো লেগেছে। 'মনে আমার আগুন জ্বলে' গানটির সুর মনে হয় "ফোক" ধরনের হলে বেশি আবেদন সৃষ্টি করতে পারতো। এটি আমার কথা, অন্যদের কথা জানিনে।
শুভেচ্ছান্তে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গান নিয়েই মেতে আছেন আজকাল। খুবই ভালো একটি নেশা। এমন নেশায় ক্ষতির তো ভয়ই নেই উল্টো মন-মেজাজ প্রফুল্ল আর সতেজ থাকে অনুক্ষন। বেঁচে থাকা আনন্দময় হয়ে ওঠে। ওয়াও, একদম বুলে হিট করেছেন আহমেদ জী এস ভাই। এটা খুবই কঠিন নেশা, যার চাইতে বড়ো নেশা আমার আর কিছুতে আজকাল নাই। এ নেশায় নিজের আনন্দের অন্ত নাই, কিন্তু বাসায় অন্যদের জীবন অতীষ্ঠ কান ঝালাপালা শুধু আমারই হয় না, তাদেরও এডিট ও কম্পোজ করার সময় এত বাজানো হয় যে, কেউ আমাকে পাগল বলে ফেললেও তাকে খামচি দিতে পারবো না
অতিথি'র লিরিক্স ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।
সুর - সুর নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট হয় আমার সব গানেই। নতুনের সাথে পুরোনো দিনের সুর, আবার আধুনিকের সাথে ফোক ধাঁচের সুরের মিশেল- এ থেকে নতুন কিছু যদি হয়, তা ভালো লাগলেই ভালো, ক্ষতির কিছু নাই।
অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই, সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য। শুভেচ্ছা নিন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনে আমার আগুন জ্বলে রে আধুনিক গান, ফোক গান, বিশেষ করে আমাদের বয়াতীরা সে সুরে ও ঢঙে গেয়ে থাকেন, এসবের ফিউশন করার ট্রাই করেছি। কী হয়েছে জানি না। তবে, কোনো শিল্পী এ সুরে গাইতে পারলে এবং তা মেলোডিয়াস শোনালেই আমি সার্থক ভাববো নিজেকে।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনে আমার আগুন জ্বলে গানটা দুইবার শুনলাম। ভালো লেগেছে। তবলা বা ড্রামসের কোন নির্দিষ্ট তালের সাথে গাইলে আরও ভালো হত। সুর করার সময়ই কোন তালে গাইবেন এটা ঠিক করে নিলে মনে হয় ভালো হয়।
এই গান দুইবার শোনার পর মনটা এত খারাপ হয়ে গেল যে পরের গান শোনার শক্তি আর রইল না। আশা করি পরেরটা নিয়ে মন্তব্য করবো পরে। আপনি গানের জন্য যেভাবে সময় দিচ্ছেন সেটা প্রশংসার যোগ্য। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় একটা বাঁশী কিনে বাজানোর চেষ্টা করি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পঁচাত্তর ভাই (সাড়ে চুয়াত্তর ইজ রাউন্ডেড অফ টু নিয়ারেস্ট পয়েন্ট ফাইভ ) মনে আগুন জ্বলে গানটা দুইবার শোনার জন্য।
ড্রামস বা বিটের গানই এটা, কিন্তু কোনো বিট দেয়া হয় নি। বিট ইফেক্ট দিয়ে মিউজিক কম্পোজ করতে গেলে অনেক সময় লাগে, যে সময় আমার হাতে নেই, বা অত ধৈর্যও নেই
হ্যাঁ, গানের জন্য অনেক সময় চলে যাচ্ছে। আমি আসলে দিচ্ছি না, গানের নেশা আমার সময় খেয়ে ফেলছে, উপরে আহমেদ জী এস ভাইকেও সেটা বলেছি
আড়বাঁশি বাজানো শেখা আমার আশৈশবের শখ। অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারি নাই। অথচ, আমার ছোটো ছেলে একদিন বাঁশি কিনতে চাইল, কিনে দিলাম, দেখি সে বাঁশিতে অসাধারণ সুর তুলে বাজাচ্ছে। তখন আমি সেই উপসংহারে আসলাম - সবার দ্বারা সব কিছু হয় না।
ডিজিটাল বাঁশির ইফেক্ট ইউজ করছি আমার গানের। এটার উপর আমার স্কিল মোটামুটি লেভেলে চলে এসেছে, যা দিয়ে কাজ করা যায়। এটাও আবার ছোটো ছেলের কাছ থেকেই শেখা, বাকিটা ইউটিউব ও নিজস্ব প্রচেষ্টা।
আপনি অল-রাউন্ডার। যে-কোনো জিনিস আপনার দ্বারা সম্ভব হবে। বাঁশি কিনে বাজান, শেয়ার করেন। প্রয়োজনে ভিডিও বানাইয়া দিমা নে
শুভেচ্ছা রইল আবারও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৪
অপ্সরা বলেছেন: হা হা মনে আমার আগুন জ্বলেরে এই দুস্কের গান শুনেও কিন্তু সেই বেচারার অবস্থা মনে করে আমার খুবই হাসি পেলো ভাইয়া।
হিংসুটে প্রেমিক!!