নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতার মতো মেয়েটি

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০




কবিতার মতো মেয়েটি সুচারু ছন্দে আনমনে হাঁটে
দু চোখে দূরের বাসনা, চুলের কিশলয়ে গন্ধকুসুম, প্রগাঢ় আঁধারে হাসনাহেনার ঘ্রাণ; কপোলে একফোঁটা তিল, তেমনি একফোঁটা লালটিপ কপালে

কবিতার মতো মেয়েটি নিজ্‌ঝুম বনের মতো; কখনোবা দরজায় হেলান দিয়ে দিগন্তে মেলে ধরে দৃষ্টি; দু চোখে দূরের বাসনা, কবিতার মতো দুর্জ্ঞেয়। ডানগালে হেলে পড়ে দু-এক গোছা চুল, কখনোবা পেলব বাতাসে নাচে; তার হাতে মেহেদির আলপনা, কবিতার মতো কারুকার্যে ভরা।





কবিতার মতো মেয়েটি কমনীয় ফুলের মতো; গোধূলির লজ্জার মতো স্নিগ্ধ হাসে, নাম তার সুস্মিতা; তার কণ্ঠে ঝরে পড়ে কবিতা ও কাকলি; সে বড্ড কবিতা ভালোবাসে, অপর্ণা মৃণ্ময়ীর মতো। নিক্কণে সন্ধ্যা নামে; চুড়ির শব্দে ঘুম ভেঙে নেচে ওঠে ভোরের দোয়েল।

কবিতার মতো মেয়েটি শাশ্বত বাঙালিনী, শাড়ি পরে, লতানো গ্রীবায় কবিতার ঘ্রাণ। বারান্দার ছায়ায় কেদারায় গা এলিয়ে অলক্ষ্যে হারিয়ে যায়; গাছের শাখায় দোলনায় দোল খায়; চোখে তার স্বপ্নের ভিড়





কবিতার মতো মেয়েটি বই পড়ে, গান গায়, নৃত্য করে। কখনোবা কবিতা লেখে, মিহিসুরে কবিতা পড়ে। তার কণ্ঠে ঝরে পড়ে মধু এবং মাধুরী;

কবিতার মতো মেয়েটি বনলতা, নীরা কিংবা লাবণ্য’র মতো। শবনম শায়মা, অথবা অদিতি আফ্রোদিতি। অরিহ অলকার মতো। নদীর মতো অবিরাম স্রোতোস্বিনী। অনসূয়া অরুন্ধতী। সজীব স্নেহের মতো নরম ও নিষ্কাম, নীলকণ্ঠ প্রেমের মতো নিবিড় কামিনী।





কবিতার মতো মেয়েটি সিঁথির মতো শুভ্র ও সুন্দর, গাংপাড় ধরে কাশবনে হাঁটে। কবিতার মতো মেয়েটি বরুণার মতো, সারিকার মতো, অহনার মতো, প্রমীলার মতো,
যারা কেবলি হারিয়ে যেতে ভালোবাসে;

কবিতার মতো মেয়েটি দুর্বোধ্য কবিতার মতো একখণ্ড অনাঘ্রাত সুখ।

১ জানুয়ারি ২০১৫






উৎসর্গ

যারা কথা রাখে নি, এবং যারা রেখেছে
জন্মের আগে কিংবা পরে, কবিতার সবটুকু জুড়েই থেকেছে






বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ক্ষমাপ্রার্থী

জেনে, কিংবা না জেনে যাঁরা কবিতা হয়ে গেলেন।


ছবি : প্রথম ছবিটা গায়িকা সিঁথি সাহার, কোনো এক পত্রিকা থেকে নেয়া হয়েছিল। পরের ছবিগুলোর ব্যাপারে তাদের জানানো হলে তারা সবাই অনাপত্তি জানিয়েছিলেন এবং সেই সাথে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছিলেন। তাদেরকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন:
দ্বিতীয় ছবিটিই শুধু অচেনা।

প্রেম প্রেম এবং প্রেম।
প্রেম-ই সেই সুতো যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে বেঁধে রাখে। সবাক প্রেম কিম্বা নির্বাক প্রেমকে জড়িয়ে থাকে হৃদয় ছুঁয়ে। একটি তারকা কখনও কখনও কোথায় যেন জড়াতে চলে যায়। যেমন মানুষ যায় তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে।

হয়তো, সব একদিন ঝরে যাবে, কিছুই থাকবে না, নিশ্চিহ্ন হবে সবকিছু। শুধু ব্যথাকুসুম রয়ে যাবে। যাকে কেউ কেউ ভালোবাসা বলে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দ্বিতীয় ছবিটার নাম ভুলে গেছি। তিনি ফেইসবুকে কানেকটেড ছিলেন (এখন বোধহয় নেই) এবং সম্ভবত তিনি একজন ব্লগারও।

এ পোস্টটা পাবলিশ করার ইচ্ছে শুরু হয় আপনার সবচাইতে রোমান্টিক দৃশ্য শীর্ষক পোস্ট থেকে, যেখানে এ কবিতার লিংকও দেয়া আছে। নিজের কবিতা নিজের কাছে তো ভালো লাগবেই, ভাবলাম অন্যদের সাথেও ভালোলাগাটা আরেকবার শেয়ার করি।

প্রেম-ই সেই সুতো যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে বেঁধে রাখে। চমৎকার একটা কথা। আমি প্রেমের সাথে মানবতা কথাটাও যোগ করতে চাই। আসলে আপনিই ঠিক, প্রেম না থাকলে মানবতা থাকতে পারে না। আব্দুর রব শরীফের এই পোস্টেও অসাধারণ প্রেম ও মানবতার কিছু অতুলনীয় উদাহরণ দেখলাম।

লাস্টের কথাটাও সুন্দর। 'ব্যথাকুসুম' শব্দটা খুব ভালো লাগলো।

আপনার ছবিটা কোনো মুভি কিংবা কোনো ডিসপ্লে, সার্কাস শো-এর হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। অসাধারণ ছবি।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আহা ! কি রোমান্টিক !

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পবিত্র হোসাইন। আপনার লাস্ট পোস্টটা খুবই ভালো লেগেছিল। আপনার লেখায় ম্যাজিক আছে, যা পাঠককে টেনে নিয়ে যায়। শুভ কামনা আপনার জন্য।

এ পোস্ট পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, যতদূর মনে আছে - 'মাস্টারমশাই' নামের অনেক পুরনো একটি সিনেমার দৃশ্য এটা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই বিষয়টা জানানোর জন্য। আবারও শুভেচ্ছা।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম থেকে দ্বিতীয় ছবিটার মেয়েটাকে আমি চিনি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তার অর্থ আপনি এ পোস্টের সবগুলো ছবির কবিতাকেই চেনেন!! গুড। পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। শুভেচ্ছা।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি কাউকেই চিনলাম না! তবে মেয়েগুলো সুন্দর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সিঁথি সাহা সম্পর্কে এ লিংকে বেশকিছু কমেন্ট ও তথ্য আছে। দ্বিতীয় ছবিটাকে হয়ত চিনবেন না, তবে বাকিগুলো আপনার পরিচিত, তারা জনপ্রিয় ও মেধাবী ব্লগার, তারা কবিতায় উঠে আসার মতো সুন্দরী। কাজেই আপনার মতামত অবশ্যই ঠিক - মেয়েগুলো সুন্দরী।

ধন্যবাদ কাছের মানুষ কবিতা পাঠ ও কমেন্টের জন্য।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,




নারীকে নিয়ে চিরকালই পুরুষেরা এমন করেই কবিতার মতো লিখে গেছে !
ঠিকই বলেছেন, কবিতার মতো মেয়েরা নিজঝুম বনের মতোই - নিঃশ্চুপ। তবে কান পেতে রাখলে সে নিঃশ্চুপতার শো..শো করে বলে যা্ওয়া অনেক কথাই শোনা যায়.............

কবিতার মেয়েদের মতোই গন্ধকুসুম মাখা সুন্দর লেখা!

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নারীকে নিয়ে চিরকালই পুরুষেরা এমন করেই কবিতার মতো লিখে গেছে! কারণ, নারীরা চিরকালই কবিতার মতো :)

কবিতারা নিঃশব্দের হেঁটে যায়, আর কত কথা যেন ছড়িয়ে যায়। গন্ধে গন্ধে সেই কথাগুচ্ছ বাঙ্ময় হয়ে ওঠে। যারা সে ভাষা বোঝে, তারা সকলেই কবি; অর্থাৎ, কবিরাই কেবল সেই রূপ দেখতে পায়।

যুগে যুগে এ মেয়েরাই পুরুষকে করেছে কবি, করেছে বিপ্লবী, বিদ্রোহী। 'শক্তি দিয়েছে, প্রেরণা দিয়েছে, বিজয়লক্ষ্মী নারী।'

মেয়েরা হলো পুরুষের চোখে সুন্দরের প্রতীক। সেই সুন্দর আবার প্রকৃতির নানাবিধ উপকরণ বা অনুষঙ্গের সাথে উপমেয়, যেমন, ফুল, মৌমাছি, হরিণী, ময়না, বৃষ্টি, মেঘ, লতা, পাতা, ইত্যাদি।

আমরা খুব বেশি নারী কবিদের কবিতা পড়ার সুযোগ পাই নি। তসলিমা নাসরীনের নামই উল্লেখযোগ্য। তারা পুরুষকে বীর, ব্যক্তিত্ববান, বিপ্লবীর চোখে দেখেছেন, নাকি, ভীরু, কাপুরুষ হিসাবে দেখেছেন, তা বিস্তারিত পড়ারও সুযোগ আমাদের কম হয়েছে। তবে, আমি মোটামুটি নিশ্চিত, পুরুষের চোখে নারী যেমন ফুলের মতো কমনীয় কিছু, নারীর চোখে পুরুষ ঠিক ওরকম সুন্দর না। পুরুষের কাঠিন্য, পৌরুষই নারীর কাছে 'সুন্দর' বলে মনে হয়।

আপনার কথার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু কথা হয়ে গেল। এ কথাগুলো অবশ্য পদাতিক ভাইয়ের প্রথম কমেন্টের উত্তরেও চলে আসবে।

প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই, ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। শুভেচ্ছা।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই,
আজকে আমি দুটি কমেন্ট করবো।
প্রথমটা- নারীকে মহিয়সি হিসেবে তুলে ধরতে কবির কল্পনাশক্তিকে জানাই স্যালুট। আমরা যে যেখানে আছি নারী সম্পর্কে এমন ভাবনা যদি আমাদের মধ্যে প্রথিত হয় তাহলে নিঃসন্দেহে নারী জাতি পরিবার তথা সমাজে বা রাষ্ট্রে একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সমর্থ হবে। সমাজে পাবে তার যোগ্য সম্মান।



০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা দুটো গুরু-গম্ভীর ও সুচিন্তিত কমেন্ট লেখার জন্য। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি প্রিয় পদাতিক ভাই।

তবে, প্রথম কমেন্টের রিপ্লাই পাওয়ার পর দ্বিতীয় কমেন্ট করবেন, আপনি এমনটা করলে আমার জন্য তা ঘোর রহস্যময় ও যন্ত্রণাময় হয়ে উঠতো :) তা করেন নি বলে আবারও ধন্যবাদ।

আহমেদ জী এস ভাইয়ের কমেন্টে অনেক কথা বলে ফেলেছি, যেগুলো আপনার দুই কমেন্টের উত্তরেই একত্রে বলা যায়।

প্রথমত, আমি কবিতায় নারীকে সরাসরি 'মহিয়সী' অভিধায় সিক্ত করি নি, বলেছি 'কবিতার মতো কমনীয়' অর্থে, যা আদতে নারীর 'রূপ-লাবণ্য'কেই বেশি প্রকাশ করে। পরোক্ষভাবে অবশ্য তারা 'মহিয়সী'র আসনেই উপবিষ্ট আছেন চিরকাল।

নারী - হয় আমার মা অথবা বধূ - দুজন নারীই একজন পুরুষের জীবনে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে ও প্রবলভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকে, যার বাইরে কেউ নেই (বিরল)। যাদের অস্তিত্বের উপর নিজের অস্তিত্ব নির্ভর করে। অতএব, মহিয়সী নারীকে ভালোবাসা মানে নিজের অস্তিত্ব বা সত্তাকেই ভালোবাসার নামান্তর। এজন্য নারীদের প্রতি আমাদের সতত শ্রদ্ধাশীল ও যত্নশীল থাকা বাঞ্ছনীয়।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আহা কবিতার মেয়েদেরকে আমার অনেক পছন্দ ভাইয়া!! :)


কবিতায় মেয়েরা কত কত ভালো তাইনা!!! :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতো অন্যরাও কবিতার মেয়েদের খুব পছন্দ করছে, দেখতে পাচ্ছেন তো!! :) কবিতার মেয়েরা সত্যিই অনেক ভালো।

এই দেখুন, কবিতার মেয়েটি তাকিয়ে আছে, কোনো এক রহস্যঘেরা বনের দিকে, যেখানে দিগন্তের ছায়া অন্ধকারে বিলীন।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এবারে আমার আরেকটি কিন্তু বিপরীত প্রকৃতির কমেন্ট।এই কমেন্টটা‌ করতে গিয়ে মনে হয়েছে আপনি ক্ষুদ্র পরিসরে একজন কবি হলেও বৃহত্তর পরিসরে আপনি বিশ্বের পুরুষ সত্তার প্রতিনিধি। যেখানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উদ্দেশ্য প্রশংসার স্তুতি করে নারী জাতিকে তার হাতের মুঠোয় বন্দিনী করে রাখা।

আসলেই তাই। আমরা কবি ব লেখকরা নারীকে আমাদের অন্তরে গচ্ছিত রাখা কোন পরীকে উপমা সহ তুলে ধরি। উদ্দেশ্য তাকে নিজের হাতে বন্দিনী করে রাখা। প্রশংসার স্তুতি করে তাকে ভরিয়ে দেই। রূপের মাধুরীতে নারী লাজুক লাজুক হাসি দিয়ে পুরুষের স্বীকৃতিকে হৃদয়াঙ্গম করে।আর পুরুষ নারীকে তার রুপের প্যারামিটারে মেপে সাফল্যের জন্য পরিতৃপ্ত হয়।এর অন্যথা হলে অবশ্য বিষ বাষ্প প্রয়োগেও পিছপা হয় না।

যাইহোক দেখার দৃষ্টি ভ্যারাইটিজ হতেই পারে। তবে আপনি যেভাবে নারীকে চিত্রিত করেছেন তা অনবদ্য++

শুভেচ্ছা প্রিয় সোনাবীজ ভাইকে।


০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উদ্দেশ্য প্রশংসার স্তুতি করে নারী জাতিকে তার হাতের মুঠোয় বন্দিনী করে রাখা। এ কথাটা সবাই যে একবাক্যে মেনে নিবে, ব্যাপারটা সেরকম না, আবার সবাই যে এটাকে নাকচ করে দিবে তাও না। আমরা নারীর স্তুতি করি, এটা তো আমাদের মাহাত্ম্য। স্তুতি না করেও নারীকে বন্দি করা যায় অত্যাচার আর নির্যাতনের মাধ্যমে। সেটা পাশবিক। স্তুতির মাধ্যমে নারীকে কব্জাগত করা হয় সেখানেই, যেখানে প্রেম বা রোমান্টিসিজম বিদ্যমান। অর্থাৎ, সেখানে পুরুষের মাহাত্ম্যের কাছেই নারীরা পরাজিত ও বাহুবন্দি।

নারীকে পণ্য ও বিনোদনের সামগ্রীতেও রূপান্তর করা হয়। নারীরা সেটা অনেক ক্ষেত্রেই বোঝেন না। মডেলিং, সিনেমা, শো-বিজ জগতে নারীর রূপ ব্যবহার করা হয় ব্যবসায়িক স্বার্থে। এখানেও নারীরা পুরুষের কাছে বন্দি। তবে, এখানে প্রেম নেই, ব্যবসাই প্রধান উদ্দেশ্য।

সার্বিক ভাবে, বাহুবলের অধিকারী পুরুষরা এখনো নারীর ক্রীড়নক। পুরুষরা এখনো নারীর হাতের পুতুল হতে পারেন নি। এটা কি পুরুষের সাফল্য, নাকি নারীর ব্যর্থতা?

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলব -কবিতা নাকি কবি নাকি কবিতার মত রমণীকুল নিয়ে???
এদের অনেককেই চেনা চেনা মনে হচ্ছে! শেষের ছবিটা বেশ আগের কি?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, আপনি কবি, কবিতা ও কবিতার মতো রমণীকূল - ৩ ফিল্ডেই এক্সপার্ট :) নইলে তো আর আলোড়ন তোলা প্রেমিক কাহিনি বাবনিক পড়তে পেতাম না :)

শেষের ছবিটা ২০১৩/১৪'র দিকের।

কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নারীর মন একুশ শতকেও বুঝা সম্ভব হয়নি?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেরজা তপন ভাই তো বলেন বাঙ্গালী পুরুষ 'নারী মন' বুঝতেই দিশেহারা! :)

তবে, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেন: নারীর মন কি আসলেই জটিল? আমি তো নারীদের মন দেখতে পাই :) এই মন দেখতে পাই বলেই এক নারী বলেছিল - আমি হাঁটি ডালে ডালে, আর তুমি হাঁটো পাতায় পাতায়। থাকলাম না তোমার সনে। আমি তাকে থামিয়ে বললাম, থাকবা না ভালো কথা, কিন্তু আমাকে ছোটো কইরা অপমান করবা তা আমি মানবো কেন? কে কইছে আমি পাতায় পাতায় হাঁটি, আমি হাঁটি পাতার শিরায় শিরায় :) চান্দুনি আমার, যাও এলা :) আমার ক্ষমতারে যে ছোটো কইরা দেখে, আমার ভুবনে তার কোনো জায়গা নাইইইই

বিধারার জন্যও আমার করুণা হয় - কেন তিনি নিজেও নারীর মন বুঝতে পারেন না?

গান শুনে এক মেয়ে প্রেমে পড়েছিল। সেই প্রথম, সেই শেষ। আমার স্ত্রীও আমার গানে খুব মুগ্ধ ছিল। কিন্তু ইদানীং আমি গানের আসর, আই মিন, গানের কম্ম শুরু করা মাত্র তিনি ১০০ হাত নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে অবস্থান নেন। এই সমস্যা নিরসনে আমিও এক নবতর ব্যবস্থা করে ফেলেছি আমার রেকর্ডিং স্টুডিয়োর। সেটা বলা যাবে না :) সো, গান শুনে স্ত্রীরা ঘুমিয়ে যাবে, এ সমীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ :) রেজাল্টে কারচুপি আছে, বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত :)

১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সু । :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর হাসিটার জন্য ধন্যবাদ নিন প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই +

১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ছবিগুলোর অসাধারণ লাবণ্যময়ীদের সাথে আপনার কথাগুলো খুব মানিয়ে গিয়েছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শাইয়্যান ভাই। আমি ভাগ্যবান, কবিতার মতো মেয়েগুলোর ছবি আমি পেয়েছিলাম :)

১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মনোমুগ্ধকর বর্ণনা!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু। শুভেচ্ছা।

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৪২

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এ রমনীদেরকে সত্যিই চিনতে পারছি না। বয়স হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে !!!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এদের সবারই চেনার কথা :) ছবিগুলো স্পষ্ট না, এই যা :)

১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৩২

কামাল৮০ বলেছেন: নারী এবং পুরুষে মাঝে লিঙ্গগত পার্থক্য ছাড়া আর বিশেষ কোন পার্থক্য নাই।আর যেটা আছে সেটা আছে পুরুষের মনে।পুরুষ মন তাকে কতো রকম করে ভাবে।ভাবতে ভাবতে কল্পনায় ফানুস উড়ায়।রচনা করে কবিতা গল্প উপন্যাস।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পার্থক্য করতে গেলে হয়ত আরো অনেক ধরনের পার্থক্য বের করা যাবে। তবে, আমার ধারণা, একজন পুরুষ যেভাবে নারীকে নিয়ে ভাবেন, নানান রঙে মনের ভেতর সাজান, একজন নারীও পুরুষকে নিয়ে তেমনি ভাবেন, হয়ত-বা আরো বেশিই ভাবেন। নারীদের কবিতা সচরাচর আমাদের কম পড়া হয়ে থাকে বলে নারীদের ভাবনাগুলো আমরা সেরকম ভাবে কবিতায় পাই নি।

আপনার মন্তব্যও ভালো লাগলো কামাল ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

১৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাহ ! সুন্দর কাব্য।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাইদুল ভাই, আপনার লিরিকটা কিন্তু আরেকটু রিফাইন করে দেন নি এখনো। আপনি আরেকটি রিফাইন করুন। পুরাতন রীতির শব্দগুলো যথাসম্ভব বদলে দিন। আমি সুর দেয়ার সময় এমনিতেই কিছু না কিছু চেঞ্জ হবে, আমি সেই চেঞ্জগুলো একটা ফার্ম লিরিকের উপরই করতে চাই।

এ কবিতাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.