নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাস্তি || শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা || রম্য নয়, সত্য গল্প

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

আমি এ গল্পটি আমার ঘনিষ্ঠ ক্লাসমেট আবদুল করিমের কাছ থেকে শুনেছি। গল্পটি আমাদের স্কুলজীবনের অন্য দুই ক্লাসমেটকে নিয়ে। গল্পটি সত্য। আমাদের বেশিরভাগ ক্লাসমেটই সে-সময়ে গল্পটি জানতো। কিন্তু এসএসসি পাশের পর আমাকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছিল বলে গল্পটি আমি অনেক পরে করিমের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম।

সামসু আর বাদল গল্পের দুই নায়ক। সুশ্রী নায়িকা চরিত্রে ছিল পাশের গ্রামের এক মেয়ে। তার নাম বকুল। বকুল ফুলের মতো স্নিগ্ধ তার রূপ, দশ গেরামের সেরা সুন্দরী বকুল।

বকুলের বড়োবোনকে বিয়ে করেছে সামসুর বড়ো ভাই। অর্থাৎ, সামসু আর বকুল ছিল বেয়াই আর বেয়াইন। রসিকতার সম্পর্ক। রসিকতা করতে করতেই দুজনের মধ্যে মন বিনিময়ও হয়ে গেল। দশ গেরামের ঝাড়া সুন্দরী হওয়ায় বকুল ছিল সকল যুবকের স্বপ্নের নায়িকা। সকলেই একটু সুযোগের অপেক্ষায় থাকতো বুকল ফুলের তাজা গন্ধ ও স্পর্শের জন্য। কিন্তু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সুবাদে সামসু আর বকুলই শেষ পর্যন্ত প্রেমের জুটি বাঁধতে সমর্থ হলো।
শুধু সেরা সুন্দরীই না, নামকরা গার্লস স্কুলের সেরা ছাত্রীও বকুল। বকুল স্কুলে যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে। সামসু চলার পথে বকুলকে গার্ড দেয়, চলার পথে প্রেমও করে। জীবনটা রোমাঞ্চে ভরে ওঠে দুজনেরই।

একদা জীবিকা নির্বাহের জন্য মাঝপথে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে সামসু মিডল ইস্টে পাড়ি জমালো। বিদেশে যাওয়ার আগে প্রিয়তমা বকুলকে কোনো একজনের পাহারায় জিম্মা রেখে যেতে হবে। কে সে? সে হলো সামসুর প্রাণাধিক প্রিয়বন্ধু, যাকে সে সবচেয়ে বেশি আস্থাভাজন মনে করে- বাদল। বাদল, সামসুকে অভয় দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিল। বাদল জীবিত থাকতে বকুলের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাবে- সেই চোখ কাঁচি দিয়ে উপড়ে ফেলবে না? নিজের জীবন দিয়ে হলেও বন্ধুর প্রেমিকাকে রক্ষা করবো। এমনই কিছু নাটকীয় ডায়ালগে সামসুকে আশ্বস্ত করলে খুশিমনে সামসু বিদেশে চলে গেল।

বিদেশে বসে সামসু প্রতি সপ্তাহে বকুলের দুটি করে চিঠি পায়। খুব ভালো লাগে। মন হয় চাঙ্গা। প্রাণোচ্ছলতায় ভরপুর মন নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দিন গোনে, কবে সে বেশ বড়োসড়ো একটা সঞ্চয় নিয়ে দেশে ফিরে আসবে, প্রিয়তমা প্রেমিকাকে প্রিয়তমা স্ত্রী হিসাবে ঘরে তুলে নেবে।

আপনারা যা অনুমান করছিলেন এ গল্পের শুরু থেকে, মাস ছয়েক পর ঠিক তাই হয়ে গেল। বকুল চিঠি লেখা বন্ধ করে দিল। এটা সেই সময়ের কথা যখন পৃথিবীতে মোবাইল ফোনের আবিষ্কার হয় নি। বিদেশ থেকে গ্রামগঞ্জের বাড়িতে ল্যান্ডফোনে কথা বলা ছিল স্বপ্নেরও অনেক অতীত।

ব্যতিক্রমী কিছুই হলো না, সবই স্বাভাবিক নিয়মে ঘটে গেল।

সামসু বিদেশ থেকে আসার আগেই জানতে পারলো বাদলের সাথে বকুলের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। প্রিয়বন্ধু সামসু তার প্রিয়তমা প্রেমিকাকে তার জিম্মায় রেখে গেছে, বাদল খুবই বিশ্বস্ততার সাথে অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালন করতো, আর বকুলকে সে সবসময় চোখে চোখে রাখতো, পাহারা দিত। বকুল স্কুলে যেত, সাথে পাহারায় থাকতো বাদল। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরতো, পাহারায় থাকতো বাদল। কিছুদিন পর বাদল ভাবলো, পরের জিনিস এত কষ্ট করে পাহারা দিচ্ছি কেন? আমি নিজেই তো এ জিনিস নিজের করে নিতে পারি। বকুলও তাই ভাবছিল। ব্যস- দুজনে দুজনার হয়ে গেল অনায়াসে।

একটু চটুল গ্রামীণ প্রবাদ আছে - শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেয়া। আমাদের প্রিয়বন্ধু সামসু, আমাদের আরেক প্রিয়বন্ধু বাদলের কাছে নিজের প্রেমিকাকে গচ্ছিত রেখে যায় নি, আসলে সে শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিয়েছিল, আর স্বাভাবিক ভাবেই সেই মুরগি খোয়া গেল। এটা পৃথিবীর কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়, ব্যতিক্রমী ঘটনা হতো সেটাই, যদি সামসু তার প্রেয়সীকে বাদলের কাছ থেকে সুরক্ষিত অবস্থায় ফেরত পেত।
দেশে ফিরে এসে অনেকদিন পর্যন্ত সামসু দিওয়ানা ছিল, তারপর বিয়েশাদি করে নতুন জীবন শুরু করেছিল।

আমাদের আরেক প্রিয়বন্ধু আবুল কালাম শেরখান এ ঘটনায় একটা তথ্য যোগ করে বলেছিল, সেবার বকুল প্রাইজ বন্ডের ফার্স্ট প্রাইজ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিল। সেটা ৮০’র দশক। সে আমলে ৫০ হাজার টাকা একটা বিরাট অংক, আপনারা জানেন। বাদলের নজর পড়ে বকুলের ৫০ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ডের উপর। এ টাকাও তাকে আরো অনেক লোভাতুর করে তুলেছিল বকুলকে পাওয়ার জন্য।

সামসু আজও আমাদের অনেক প্রিয়বন্ধু। স্কুলজীবনে যতখানি প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, বন্ধুবৎসল ছিল, বকুলকে হারানোর ধকল ও বেদনা কাটিয়ে উঠে সে আগের মতোই উচ্ছলতায় ভরপুর, সংসারী হয়েছে, একজন ভালো স্বামী হিসাবেও নিজেকে গড়ে তুলেছে। কিন্তু বাদল এই বেইমানির দ্বারা আমাদের সবার কাছ থেকে চিরতরে দূরে সরে গেল- আমরা কেউ কোনোদিনই খোঁজ নিই না, বাদল কেমন আছে। এটাই ওর শাস্তি।

তবে, যদিও আমাদের ক্লাসমেট বাদলকে আমরা কালপ্রিট হিসাবে সাব্যস্ত করছি, কিন্তু মেয়েটাও কি সমান দোষে দোষী নয়? বাদল যেমন সামসুর আমানতের খেয়ানত করেছে, মেয়েটাও কি তার প্রথম ও মূল প্রেমিকের সাথে বেইমানি করে নি? আমি জানতে পারি নি, ঠগ এবং লোভী বাদলের কাছে বকুল প্রকৃতই সুখী হতে পেরেছিল কিনা, কিন্তু একটা বিষয় সহজেই অনুমান করা যায়। বকুল যখন দেখলো, বাদলের বন্ধুরা সবাই বাদলকে প্রত্যাখ্যান করে দূরে সরে গেছে, এটা নিশ্চয়ই তার মনকে দগ্ধ করেছে। তার মেয়েবান্ধবীরাও এটাকে সহজ ভাবে মেনে নেয়ার কথা না। অতএব, আমরা বলতে পারি, বাদলকে হারিয়ে সামসু যতখানি আঘাত পেয়েছিল, বাদলের বিশ্বাসঘাতকতা তাকে যতখানি মর্মবেদনা দিয়েছিল, তার বিনিময়ে বাদল ও বকুল দুজনেই প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসাবে আজীবন মানসিক শাস্তি ভোগ করে আসছে, যা আগামীতেও তাদের মনকে কুরে কুরে দগ্ধ করতে থাকবে।

সামসুরও একটা দোষ ছিল এক জায়গায় – সে ভুলে গিয়েছিল যে, শেয়ালের কাছে কখনো মুরগি বর্গা দিতে নাই।

অফ টপিক : আবদুল করিম আর আবুল কালাম শেরখান নামদুটি ছাড়া বাকি নামগুলো কাল্পনিক।


২৩ আগস্ট ২০১৪

পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত : রাত ১১ঃ৩৯ ঘটিকা, ০৭ অক্টোবর ২০২২

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনে হচ্ছে আমার বাবার বর্ণনা করা তার এক হিন্দু বন্ধুকে মুসলমানী করানোর কাহিনীর মত অনেকটা। :) কয়েকদিন আগে আমি এই রকম একটা সত্য ঘটনা বর্ণনা করেছিলাম।

ঘটনাটা দুঃখজনক। কিন্তু এই ধরণের ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আমি সেদিন কমেন্টে বলেছিলাম, এরকম গল্প আমারও একটা জানা আছে :) সেদিন ফেইসবুকের লিংক দিই নি, ব্লগেও আছে, কিন্তু খুঁজে পেতে সময় লাগবে। স্ক্রল করে এর নীচে যান বাণী চিরন্তনী সমগ্র :)

ঘটনাটা আমাদের ক্লাসমেটদের খুব বিরক্ত ও ক্ষিপ্ত করেছিল। ডিফল্টার ক্লাসমেটটা এমনিতে সুদর্শন ছিল, তাকে পছন্দও করতো ক্লাসমেটরা, কিন্তু এ ঘটনার পর সে পুরোপুরি একঘরে হয়ে গেছে।

প্রথম কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
বন্ধু বেইমান এই উপাধি আমাদের মাঝেও একজনকে দিয়েছিলাম । আমি বুঝি না এই ধরনের বেইমানি গুলো মানুষ যে কিভাবে করে !
আজ আমার কাছের পরিচিতি একজনের ঘটনাও মনে পড়লো আপনার এই ঘটনা শুনে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, আমাদের ক্লাসমেট বাদলকে কালপ্রিট ভাবছি, কিন্তু মেয়েটাকে কেউ দোষারোপ করে নাই, আমার জানামতে। অথচ, মেয়েটাও কিন্তু সমান দোষে দোষী। বাদল যেমন আমানতের খেয়ানত করেছে, মেয়েটাও তার মূল ও প্রথম প্রেমিকের সাথে বেইমানি করেছে।

সামসুর ফল্ট ছিল এক জায়গায় -শেয়ালের কাছে কখনো মুরগি বর্গা দিতে নাই :)

কমেন্টের জন্য জন্য ধন্যবাদ আপু।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২০

কামাল৮০ বলেছেন: এমন ঘটনা সমাজে বহু আছে আবার বিপরীতটাও আছে।বিচিত্র এই দুনিয়া।বিচিত্র মানুষের কাজ কারবার।স্থান শুন্য থাকে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি কামাল ভাই, এমন ঘটনা প্রচুর আছে, এজন্যই বলেছি, ঘটনা খুব স্বাভাবিক ভাবেই ঘটেছে।

বিপরীত ঘটনা কোনটা? ছেলেটা অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করেছে, নাকি তার আমানত ফিরে পেয়েছে, সেটা বোঝাতে চাইছেন। আমানত ফিরে পেলে সেটা তো আর গল্প হতো না :) হয়ত ছেলেটা অন্য আরেকটা মেয়ের সাথে প্রেম করে প্রথম মেয়েকে ফাঁকি দিয়েছে, সেটাই বলতে চাইছেন।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন ঘটনা বাস্তবে বেশ কয়েকটি দেখেছি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি, তা থেকে কিছু গল্প ভবিষ্যতে আমরাও শুনতে পাব। এ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী অবস্থা ক্ষণিকের মোহে আজীবনের বন্ধুত্ব নষ্ট।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, সে এখনো সহপাঠীদের সাথে মিশতে পারে না, নিজের অপরাধবোধে সে নিজেই ঘায়েল হয়ে যাচ্ছে।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২

কামাল৮০ বলেছেন: না এর কোনটাই বলতে চাইছি না।অনেক দিন অপেক্ষা করে, এমন গল্পও আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বহুদিন অপেক্ষা করলে সেটাই বরং খাঁটি প্রেমের নিদর্শন হতো। ধন্যবাদ কামাল ভাই আবার এসে কথাটা বলার জন্য।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



বকুল স্কুলের কিশোরী, তার হৃদয় তো কারো পাহারায় থাকার কথা নয়; আত্মীয়তার কারণে ২'জন যতটুকু কাছাকাছি হয়েছিলো, উহা দিয়ে কিছু মাপা সঠিক হবে না; বকুলের মনে যার জন্য ভালোবাসার উদয় হয়েছে, বকুল তাকেই বেছে নিয়েছে; বাদল কোনভাবেই "বিশ্বাসঘাতক" নয়; ভুল ধারণার উপর ভর করে লেখা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, অনেকদিন পর আপনাকে দেখছি আমার ব্লগে। আশা করি সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।

তাদের প্রেম বেশ প্রচার পেয়েছিল। মেয়েটা প্রতিসপ্তাহেই চিঠি লিখতো। এক পর্যায়ে চিঠি লেখা বন্ধ করে দেয়। তখন ছেলেটা জানতে পারে মেয়েটার মতিভ্রম হয়েছে। ছেলেটা দেশে ফেরত এসে বাদলের সাথে অনেক নেগোশিয়েশনও করেছে। কিন্তু ছেলেটা উলটা সামসুর কাছে 'মেয়েটাকে ভিক্ষা চায়'।

ছেলেটা যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই অপরাধবোধে সে এখনো জ্বলছে। কোনো সহপাঠীর সাথে সে আজও মিশতে পারে না, অন্যরাও তাকে সেভাবে অ্যাকসেপ্ট করে না।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সেই পরিচিত কাহিনীতে নতুন মাত্রা লটারিতে ৫০ হাজার!!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আপনি বোধ হয় ২০১৪ সালের পোস্টটা পড়েছিলেন। ওটা ফেইসবুকেও শেয়ার করা হয়। সেখানে কয়েকজন ক্লাসমেট আরো কিছু তথ্য যোগ করে, যার মধ্যে প্রাইজ বন্ডের ৫০ হাজার টাকা অন্যতম।

গল্পটা আবার পড়ার জন্য ধন্যবাদ জলদস্যু ভাই।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি এই কাহিনীর লেখক, বাদল বা শামসু নন; এখন ভেবে দেখেন:
"ছেলেটা দেশে ফেরত এসে বাদলের সাথে অনেক নেগোশিয়েশনও করেছে। কিন্তু ছেলেটা উলটা সামসুর কাছে 'মেয়েটাকে ভিক্ষা চায়'। "

-শামসু বাদলের সাথে 'নেগোশিয়েশন' করছে ও বাদল সামসুর কাছে "'মেয়েটাকে ভিক্ষা চায়'। "
-যাকে নিয়ে এসব হচ্ছে, তার হৃদয়ের অনুভুতির মুল্য কোথায়, বকুল কি "বকুল ফুলের মালা"?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপরে একটা কমেন্টে লিখেছি যে, আমরা শুধু বাদলকেই দোষারোপ করছি, কিন্তু মেয়েটার কথা বলছি না। মেয়েটা যেভাবে আরেকজনের সাথে মন নিয়ে খেললো, তার প্রেমও খাঁটি প্রেম ছিল বলা যাবে না। মানুষের মন স্বাধীন, যাকে খুশি তাকে ভালোবাসতে পারে। কিন্তু, বাদল বা বকুল, আজ একজনকে মন দিল, কালকে দিল আরেকজনকে, যখন যাকে ভালো লাগলো, তাকে প্রেমে বেঁধে ফেললো, এখানে আমরা যদি কারো মনের স্বাধীনতার মূল্যায়ন করতে যাই, তাহলে প্রেমের অবমূল্যায়ন হয়ে যায়। প্রেম কি এত সস্তা তাহলে?

প্রেম ও সামাজিকতায় কিছু জটিলতা আছে। গ্রামীণ সমাজে আগে তো ছিলই, এখনো আছে, এবং এটা সর্বত্রই আছে। বাদলের সাথে নেগোশিয়েশনের খবর জানা গেছে, কিন্তু মেয়েটার মনোভাব জানা যায় নি (আমি জানি না)। তবে, এটা সত্য, একাধিক প্রেমিকের সাথে প্রেমে জড়ানো মেয়েদের সাথে প্রেমিক-প্রেমিকরা নেগোশিয়েশন করেছে, কে প্রেমিকাকে বিয়ে করবে। এসব ঘটনা ভুল ধারণা না, এদেশেও বহুল রটিত খবর আছে। কাজেই, বাদল যদি কোনোমতে বকুলকে ছেড়ে দিত, সামসু বাকি নেগোশিয়েন করে ফেলতো বকুলের সাথে।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫

কামাল৮০ বলেছেন: গাজী সাহেবের মন্তব্যে উত্তরে আপনার বন্ধুদের কথায় চৌদ্দশ বছর পরও মেয়েদেরকে পণ্য মনে করে।একজনের কাছে আরেক জন ভিক্ষা চায়।সে যে একটা মানুষ তার যে স্বাধীন ইচ্ছা আছে এটা ভাবতে শিখে নাই।আর কবে শিখবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

জীবনেও অনেক নাটকীয় ঘটনা ঘটে, যা নাটকের চাইতেও অধিক নাটকীয়। ঘটনার বর্ণনা যেভাবে শুনেছিলাম, অতখানি নাটকীয় করে লেখা যায় নি।

কামাল ভাই, বাংলাদেশের দুটো সিনেমার নাম বলি, 'সমাধি' ও 'অনুভব'। এগুলো পুরোনো ছবি। দেখেছেন নাকি? এগুলো এ যুগের ঘটনাই সিনেমায় দেখিয়েছে।

আবারও আসার জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠগ্ এবং লোভী বাদলের কাছে বকুল কি সুখী হতে পেরেছিল?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা খুবই প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। কিন্তু এর উত্তরটা জানা হয় নি। তবে, জানা যাবে শীঘ্রই :)

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি প্রকৃতির প্রতিশোধে বিশ্বাস করি। বাদল যেমন বন্ধুদের হারাল, বকুলও নিশ্চয়ই পরে অনুতাপ করেছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একমত। বকুল যখন দেখলো, বাদলের কাছ থেকে তার বন্ধুরা সবাই ছিটকে গেছে, এটা নিশ্চয়ই তার মনকে দগ্ধ করেছে। তার মেয়েবান্ধবীরাও এটাকে সহজ ভাবে মেনে নেয়ার কথা না। যাই হোক, এটার উত্তর আপনিও জানতে পারবেন কিছুদিনের মধ্যেই।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৬

কামাল৮০ বলেছেন: সিনেমা খুব কম দেখা।তাছাড়া সিনেমার কাহিনী আমার মনে থাকে না।মনোযোগ দিয়ে দেখিনাতো তাই।বহু বছর আগে দেখা ‘সুর্বণ রেখা’ আজো মনে আছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এককালে সিনেমা প্রচুর দেখেছি (বাংলা সিনেমা)। এখন ধৈর্যে কুলায় না :(

'অনুভব' আর 'সমাধি' হলো ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি আরো অনেক আছে, এ মুহূর্তে শরৎচন্দ্রের গল্প অবলম্বনে নির্মিত 'গৃহদাহ' ছবিটার কথাই মনে পড়ছে। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনিতে এরকম ভুল বোঝাবুঝি, চাতুর্য, একজনের স্যাক্রিফাইস ইত্যাদি থাকবেই। আমার পোস্টের কাহিনি নতুন কোনো কাহিনি না যা শুনে তাজ্জব বনে যেতে হয়- এগুলো সব কালেই ছিল। এই কিছুদিন আগে পর্যন্তও অল্প বয়েসী মেয়েদের বিয়ে হতো, এখন আইন করে তা বন্ধ করা হয়েছে। তারা যে কিছু বুঝতো না, তা না। ক্লাস ফোর ফাইভের মেয়েদের চুটিয়ে প্রেম করতে দেখেছি। ক্লাস টু-তে থাকা অবস্থায় আমাদের এক ক্লাসমেটের বিয়ে হয়ে গেল, সে অবশ্য আমাদের চাইতে বয়সে অনেক বড়ো ছিল। জ্বলন্ত উদাহরণ আছে গত বছরেরই- সেভেন-এইটের এক মেয়ে সমবয়সী আরেক ছেলের সাথে পালিয়ে গেল। তাদের ফিরিয়ে আনতে কত প্রাণান্তকর চেষ্টা। আমাদের ছাত্রজীবনেই দেখেছি, হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। সেভেন-এইটে উঠলেই মেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য বাবা-মা অস্থির হয়ে যেত - মেয়ে ডাঙ্গর হয়ে যাচ্ছে। আন্দাজ করছি, আপনি আমার চাইতে ১৫-২০ বছরের বড়ো হবেন। ঐ আমলে আমাদের মা-চাচি-দাদিদের বিয়ে হতো কত বছর বয়সে?

এ পোস্টের মেয়েটি কিশোরী ছিল না, তরুণী ছিল। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে সে প্রেম ও বিয়ের উপযুক্ত ছিল। সে লেখাপড়া করতো বলে তখনো সে আন-ম্যারিড ছিল।

সোনাগাজী ভাইয়ের মানুষের জীবন ও সমাজ সম্পর্কে কোনো বাস্তব ও ব্যবহারিক জ্ঞান নাই। তিনি পৃথিবী সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার ধারণা রাখেন না, ভুল ধারণার উপর বাস করছেন। তাই এ কাহিনি তার কাছে ভুল ধারণার উপর লেখা মনে হয়েছে।

সুবর্ণ রেখা ছবিটি আমি দেখি নি। ইউটিউবে সার্চ দিতেই চলে এলো। ঋত্বিক ঘটকের ছবি, অবশ্যই ভালো ছবি হবে।

আবারো আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কামাল ভাই।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে সহজ সর সোজা কাহিনী। আপনিই বলেছেন -এমনটাই হবার কথা।
আমার এখনকার দৃষ্টিতে ;কেউ দোষী নয়। বাদলের সাথে মিটমাট করে ফেলেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

আপনিই বলেছেন -এমনটাই হবার কথা। হাহাহা। আমিই এটা বলেছি এ কারণে যে, নইলে আপনিই তো বলতেন, পোস্টের প্রথম লাইন পড়েই বুঝেছিলাম কী হবে, কারণ এ ঘটনা তো অহরহই ঘটছে :)

প্রবাদ আছে, পাতিল ভাঙলা আর জোড়া লাগে না :( ওর সাথেও আমাদের আর কারো জোড়া লাগে নাই :) অবশ্য, এস এস সি'র পর আমার সাথে ওর দেখা হয় নি আর, শুধু অনেক কাল আগে একবার কল করেছিল কোনো এক কারণে।

না, ও অনেক বড়ো অপরাধই করেছিল। এজন্য ও নিজেও অপরাধা বোধ থেকে নিষ্কৃতি পায় নি, বাকিরাও কেউ সহজ হতে পারে নি ওর সাথে।

জীবনের বড়ো ইনিংসটা তো এভাবেই কেটে গেল। দেখা যাক, বাকি সময়ে কী হয়।

ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা, মানুষেরা, বার বার ঠকেও শিখিনা বলেই "শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা" গল্পটিও চিরদিন প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।

ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত। শুভেচ্ছা।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: *সামসুকে ভিলেন ও বাদলকে নায়ক বানালে ভালো হত মনে হয়। সামসু নামটা শুনলেই 'কোপা সামসু' নামে নেগেটিভ এক ক্যারেক্টার চোখে ভাসে। :D

তৎকালীন এ এক আবহমান বাংলার চিরন্তন অল্পবয়সের প্রেমের লাভ-ক্ষতির চলমান ঘটনা ছিল বলা যায়। অতীতে এগুলো এলাকায় ইতিহাস সৃষ্টি করলেও এখন 'কোপা সামসু', 'পিটা বাদল' কিংবা 'সেলফি বা ভেংচি বকুল'দের কাছে ডাল-ভাত। কে কাকে ছাড়ছে, কে কাকে নাড়ছে, কে কাকে ধরছে, কে কাকে গাড়ছে, কে কাকে পাড়ছে--এ জিনিস বেশিরভাগ ইউফেটুইনটি (ইউটিউব-ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রাম-টিকটক) জেনারেশনের কাছে মনে হয় কোনো ভাবাবেগ সৃষ্টি করে না। যুগের হাওয়া। কলিকাল? :D

যাহোক, সামসু, বাদল ও বকুল তিনজনের জন্যই শুভকামনা। সবাই ভালো থাকুক। তবে লেখা পড়ে 'বাদল ও বকুল'-এর সাথে একটি সিটিং দিতে মঞ্চাচ্ছে। এখনকার অনুভূতিটা কেমন তাদের সেই অতীত ইতিহাস নিয়ে? আপনারা কেউ কি শোনার চেষ্টা করেছেন কোনোভাবে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সামসু নামটা শুনলেই 'কোপা সামসু' নামে নেগেটিভ এক ক্যারেক্টার চোখে ভাসে। :D


আরে রে রে রে!! এটা তো কস্মিন কালেও মাথায় আসে নি :( কোপা সামসু নামটা যদিও ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে, আমি আসলে জানিই না আসল ঘটনা কী? সে কি রাম দা দিয়া কোপাইয়া মানুসষ কাটতো, নাকি কোদাল দিয়া কোপাইয়া মাটি খুঁড়তো? :) সময় পাইলে গল্প বইলা যাইয়েন :)

তৎকালীন এ এক আবহমান বাংলার চিরন্তন অল্পবয়সের প্রেমের লাভ-ক্ষতির চলমান ঘটনা ছিল বলা যায়। ঠিক বলেছেন। তবে, তা আজও চলমান, কিন্তু ভিন্ন আঙ্গিকে, যা আপনি এ লাইনের পরেই সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন :)

ইউফেটুইনটি। বাহ! দারুণ একটা টার্ম তো! মনে হচ্ছে আজই প্রথম শিখলাম :)

আপনারা কেউ কি শোনার চেষ্টা করেছেন কোনোভাবে? ওর সাথে বাকি বন্ধুদের এখনো তেমন ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে নি। কেউ কেউ হয়ত আরো বেশি খবর জেনে থাকতে পারে এ ব্যাপারে, কিন্তু আমার সেটা জানা নেই।

পোস্ট পড়ে সুন্দর কমেন্টটির জন্য ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাই। শুভেচ্ছা।


১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৬

অপ্‌সরা বলেছেন: বুঝেছি বিশ্বাসঘাতকেরা হয় শেয়াল আর বিশ্বাসঘাতিনীরা মুরগী।

কিন্তু আজকাল যুগ বদলেছে বিশ্বাসঘাতকেরা শেয়াল আর বিশ্বাসঘাতিনীরা শেয়ালনী। :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন, বিশ্বাসঘাতকেরা হয় শেয়াল আর বিশ্বাসঘাতিনীরা মুরগী।

হ্যাঁ, লাস্ট কথাটাও তাৎপর্যময়। আসলে, আমার গল্পের চরিত্রটাও যে শেয়ালনি নয়, তা কি এখনো প্রমাণের অপেক্ষায় :)

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আহারে! বেচারা সামসুর জন্য দুঃখ হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে বকুলদের জন্য সামসুরা কষ্ট পেয়ে যাচ্ছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

থাক, সামসুর দুঃখে আপনি আবার দয়া করে চোখের পানি ফেলতে যাবেন না। আমরা ক্লাসমেটরাই সেজন্য যথেষ্ট :)

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: সব দোষ যে বাদলের সেটা নাও হতে পারে।
বকুল যে সুবিধার মেয়ে না সেটাও হতে পারে।
দশ গেরাম সুন্দরী মেয়ে সুযোগ বুঝে যে
আরেকজনকে পটায়নি তার প্রমাণ কী?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার এখানে একটা নতুন পয়েন্ট অবশ্য আছে - বকুল আরেকজনকে পটায়নি তার প্রমাণ কী? এ সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে, বাদলের অ্যাক্টিভিটিজে এ ব্যাপারে ইনিশিয়েটিভ যে তারই (বা তারই বেশি) ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।

ইতিহাস থেকে আমরা এ শিক্ষাই পাই যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। তাই এ ঘটনা বাদলের আগেও ঘটেছে, এখনো ঘটমান :)

পড়ার জন্য ধন্যবাদ যুনাইদ ভাই।

২০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাইয়া,

সামসুর কিছু করার নেই।তাকে উপার্জন করতে প্রবাসে যেতে হয়েছে।আর এখানেই হয়েছে বিপত্তি।ওর অনুপস্থিতিতে মেয়েটির মনে শূন্যতা সৃষ্টি হয়। বন্ধু বাদল রক্ষকের ভূমিকা নিলেও নারী হৃদয়ের পাশে নিজেকে সংযমী রাখাটা খুব সহজ নয়।জল আগুন পাশাপাশি এলে রিয়্যকশন হবেই।আর তাছাড়া কমবয়সী যৌবনে উত্তীর্ণ একটি মেয়ে এমন অবস্থায় বাগদত্তা বা বিয়ে করা থাকলেও পরপুরুষের সংস্পর্শে আসক্তি হতেই পারে। এক্ষেত্রে দুটি মানব হৃদয়ের একে অপরের চাহিদাই একে অপরকে ঘনিষ্ঠ করে তোলে।সাসুম ভাগ্যিস বিয়ে করে পরবাস যায়নি। সেক্ষেত্রে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো। যাইহোক প্রিয় ভাই আপনাদের বন্ধু সার্কেলের আবেগ অনুযায়ী ওদেরকে অপরাধী তকমা দিলেও পাঠক হিসেবে বরং মন্দ লাগেনি।

এই প্রসঙ্গে একটা সত্যি ঘটনা বলি-
আমার পরিচিত একটি ছেলে BSF এ কর্মরত।ছুটি হয় দু'বছর পরপর।প্রথমে কয়েক বছর পোস্টিং ছিল জম্মুতে।পরে হিমাচল প্রদেশের চলে যায়।এই ছেলেটির বৌ বাপের বাড়িতে থাকে।ছেলেটি ছুটি পেলে বৌকে নিজের বাড়িতে কটা দিনের জন্য নিয়ে আসে।বৌটি যখন শশুর বাড়িতে যায় তখন হয় ভাই বা মাসি কারো না কারো সঙ্গে নিয়ে যেতো।ছেলেটা কত স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ফিরে কিন্তু কিছুতেই বউকে একা পায় না। এরমধ্যে ছেলেটি জমি কিনে বাড়ি করা শুরু করে। এমন সময় শোনে বাড়িতে তার বৌয়ের ছেলে হয়েছে।ছেলেটা সেই চন্ডীগড় থেকে জানায় ও বাচ্চা ওর নয়। বাচ্চা হবার মতো ঘটনা ওর সঙ্গে কখনও ঘটেনি।সে বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করে। এমতাবস্থায় বৌটি শশুর বাড়িতে লোকাল পার্টিকে নিয়ে চাপ দেয়। বাচ্চা অস্বীকার করছে যখন নির্মিয়মান বাড়িটি ওর নামে লিখে দিলে ডিভোর্স মেনে নিতে রাজি আছে। কিন্তু ছেলেটি তার সঞ্চয় দিয়ে তৈরি বাড়ি ছাড়তে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না। এমতাবস্থায় বাড়িটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মিস্ত্রি খুব সমস্যায় পড়ে‌।এই মিস্ত্রি ঘটনাক্রমে আমার বাড়ি তৈরির দায়িত্বে ছিল। বেচারা প্রায়ই হাহুতাস করতো বি এসে এসের কাছে অনেকটা টাকা বসে গেছে।কবে উদ্ধার হবে সে সব নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকতো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটা ডি এমন এ টেস্টের দরবার করতেই মেয়েটি লোকাল পার্টিকে নিয়ে আপোষে মাত্র কয়েক লাখ টাকা নিয়ে ডিভোর্স পেপারে সই করে।

যাইহোক আপনার বন্ধুর যে আরো বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয় নি এটা বড় প্রাপ্তি।

ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা আপনাকে।






০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পদাতিক ভাই, চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমিও এই উদাহরণটা দিতে চেয়েছিলাম, আগুন আর পানি একসাথে থাকতে পারে না, বিপত্তি ঘটবেই, হয়েছেও তাইই। আর বড়ো ক্ষতির কথা যেটা বললেন, সেটাও সত্যিই। এরকম ক্ষতি আজ অহরহই হচ্ছে।

তবে মজা পেয়েছি ডিএনএ টেস্টের কথায় আপস মীমাংসায় আসায় :)

আমার জানামতে, বিএসএফ-এর ২ বছর পর ছুটি পাওয়ার খবরটা মনে হয় ঠিক না। আপনি আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। কিন্তু তার কপাল মন্দ, বলতেই হবে।

আপনার বিশদ কমেন্ট এ পোস্টের তাৎপর্য ও মাধুর্য অনেক বাড়িয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই।

২১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই ব্লগ পড়ে আমার এক বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল । তাঁকে একবার প্রেম নিয়ে জিজ্ঞস করাতে তিনি বলেছিলেন আসলে প্রেম নিয়ে আলোচনার আগে আমাদের আগে এটা সব সময় মাথায় রাখা উচিত যেস্থান , কাল , পাত্র বিশেষে প্রেমটা যেন অনৈতিক হয়ে যায় । প্রেম যখন অনৈতিক হয় তখন তা আর যাইহোক সুন্দর বলা যায় না । আর এর ফলাফলটাও ভালো হয় না।

বাদল আর বকুলের ব্যাপারটাই দেখা যাক , না তাদের আর না তাদের প্রেমকে কেউ ভালো চোখে দেখবে কখনও !!

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বড়ো ভাই তো সুন্দর কথা বলেছেন। প্রেম হলো মনের খেলা। কিন্তু সেই মন যদি এই একজনকে, পরের মুহূর্তে আরেকজনকে দিয়ে বেড়ায়, তাহলে সেই প্রেমে নৈতিকতা বলতে আর কিছু থাকে না, সেটা হয়ে যায় অনৈতিক। আপনার কমেন্টে সুন্দর এ পয়েন্টটা খুব ভালো লেগেছে। এ অনৈতিকতার কারণেই বাদল আর বকুলের প্রেমকে কেউ ভালো চোখে দেখবে কী, আজো কেউ অ্যাক্সেপ্ট করে নি বন্ধুমহলে।

ধন্যবাদ ছোটো, অথচ মূল্যবান কমেন্টের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.