নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
বৃক্ষরা মরে যায়, মাটিতে মজে যায়
বিশাল ফসিল
আজকের গান, আজকের কবিতা
হারিয়ে যাবে নিশ্চিত একদিন
যতটুকু ভালোবাসো আজকের দুপুরে
কিংবা বেসেছ গতকাল রাতে
এর কোনো সাক্ষী রেখেছ কি, অথবা চিহ্ন?
হয়ত ভুলে যাবে সবই আগামী প্রভাতে
তুমি তো জানো না
জানে এক তোমার হৃদয়
আমিও তেমনি কিছুই জানি না
আমাদের কে রাখে বেঁধে
অদৃশ্য সুতোয়
আমি শুধু দূর থেকে
তোমাকে দেখি
বাতাসে উড়ে আসে
চুলের সুবাস
রোদ হয়ে ভেসে থাকে
হাসির ফোয়ারা
ওড়নায় ডুবে যায়
হলুদ আকাশ
আমাকে উদ্দীপ্ত করে
তোমার হাসিমুখ
আমাকে জাগিয়ে তোলে
সমুদ্রের ঢেউ
আমাকে উদ্দীপ্ত করে তোমার কবিতা
ছোটো ছোটো পঙ্ক্তিকথা
আমাকে উদ্দীপ্ত করে তোমার প্রেষণা
রঙিন মলাটে টুকরো টুকরো প্রেম
আমার জীবনে আচানক তুমি
সুর-ছন্দের মনোজ্ঞ বাগান
আবার ইচ্ছে করে
হাতে নিই কবিতার খাতা
আবার ইচ্ছে করে ডুবে যেতে
যেখানে রাতভর অমর্ত্যের গান
আমার সাধ নেই আর কিছুতে
আর কিছুই জীবন বাঁচাতে পারে না
জীবন বাঁচাতে সুর চাই, এবং কবিতা
তোমার হাসিমুখ, গুচ্ছ গুচ্ছ তোমার প্রেরণা
৪ ডিসেম্বর ২০১৬
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য শুরুতেই শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ নিন প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির বেদনা ছিল বলে জানা যায়। সৃষ্টির বেদনাটা কীরূপ বা কেন হয়, আমার জানা নাই। আমার কাছে সৃষ্টি হলো এক অভূতপূর্ব আনন্দময় ঘটনা। যে-কোনো সৃষ্টিতেই আমি উৎফুল্ল বোধ করি। জানেন যে, আমি গান লিখি, সুর করি, গদ্য সাহিত্যও লিখি। একটা প্লট মাথায় এলে ওটা লিখে ফেলার পর শান্তি ও সন্তুষ্টিতে আমার বুক ভরে যায়। ঐ প্লটটা না সৃষ্টি করা পর্যন্ত আমার অস্থির লাগে, বা মনে হয়, কী যেন বাকি রয়ে গেছে। এটাই হয়ত-বা কারো কারো কাছে বেদনা মনে হতে পারে। একটা সুর বা কবিতা লেখার পর মনে হয়, এটাই আমার সেরা সৃষ্টি, সেটা আমাকে এতটা আনন্দ-উদবেলিত করে, যদিও পরের সৃষ্টিটি আসার পর আগেরটা ঢাকা পড়ে যেতে থাকে।
সৃষ্টির জন্য আমার মতে কিছু উস্কানি, প্রভাবক, অনুঘটক, ক্যাটালিস্ট বা Stimulation-এর দরকার। এসব থেকেই মনের ভেতর একটা প্লট সৃষ্টি হয়, যা একটা লেখা লিখতে উদ্দীপ্ত করে। কোনো উপলক্ষ ছাড়া আমি কোনো লেখা লিখেছি বলে মনে পড়ে না। কেউ লিখতে পারেন বলেও মনে হয় না। আপনি নিজেও লেখক, আপনি আমার চাইতে আরো ভালো বোঝেন।
নজরুল, পাবলো নেরুদাসহ অনেকে জেলখানায় বসে কবিতা লিখেছেন। বিপ্লবী কবিতা। অনেক কষ্ট ও দুঃখে জর্জরিত অবস্থায় লেখার ঘটনা অহরহ। আবার রাজপ্রাসাদে বসে কলম ভেঙে ফেলেও অনেকে কিছু পয়দা করতে পারছেন না। তবে, আপনার কথার সাথে একমত হয়েই বলছি, মুক্ত, উন্মুক্ত, নির্ভাবনাময় একটা মন ও জীবনই যে-কোনো সৃষ্টির জন্য উত্তম ও সহায়ক ভূমিকা রেখে থাকে।
আবারও ধন্যবাদ নিন প্রিয় জুল ভার্ন ভাই।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটি কবিতা; সুখপাঠ্য এবং সুখ-পরিবাহক।
"আমার মতে সৃষ্টির জন্য খুব বেশী প্রয়োজন- মুক্ত জীবন" - জুল ভার্ন এর এ কথার সাথে একমত, তবে বন্দী জীবনে থেকেও সৃষ্টি সম্ভব।
সুর, ছন্দ এবং কবিতা- এই তিনটেই জীবনের উদ্দীপক।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তখন আমি দুর্বিষহ জীবন পার করছি। ডায়ালাইসিস শুরু হয়েছে তার কয়েকদিন আগে থেকে। হাসপাতালে নানা টেস্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। জীবন দ্রুত সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এটা মেনে নিয়েই কষ্টকর জীবনকে টেনে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার লেখালেখি, আমার গান, ছবি দেখা, এগুলো আমার জীবনের কষ্টকে মনে করতে দেয় না। ঐ সময়ে লেখা আমার বেশকিছু কবিতার একটা হলো এ কবিতাটা। আমার ঐ সময়ের কিছু কবিতায় ঐ জীবনের ছাপ বা চিহ্ন রয়ে গেছে। এ কবিতায় কোনো ছাপ বা চিহ্ন নেই, অন্তত আমার কাছে মনে হয় না, কিন্তু যখনই আমি রচনাকালটা দেখি, অমনি মনে পড়ে যায়, এটা আমার সেই করুণ সময়ের রচনাবলির একটা।
স্যার, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এ কমেন্টটির জন্য। আপনার প্রশংসায় আমি অনুপ্রাণিত।
সুর, ছন্দ এবং কবিতা- এই তিনটেই জীবনের উদ্দীপক। সুন্দর বলেছেন স্যার।
ভালো থাকবেন স্যার। শুভেচ্ছা।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার কবিতা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান ভাই। শুভেচ্ছা।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। শুভেচ্ছা।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: আমৃত্যু আমার একটা দুঃখ থাকবে, আমি কবিতা লিখতে পারি না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, আমি নিজে কবিতা লিখি। অনেকের কবিতাকে আমি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছি, আবার আমার কবিতাও কিচ্ছুই হয় নি বলে কত শত জন বলে গেলেন; আমাদের লেখা কবিতা পৃথিবীর আর কারো কাছে কবিতা পদবাচ্য কিছু না হলেও অন্তত একজনের কাছে তা বহুমূল্য কবিতা - কে সে একজন? তিনি আর কেউ নন, কবি নিজে, যিনি লেখেন তার মন। আমার কবিতাটাকে অন্যের কাছে কিচ্ছু না হোক, আমার কাছে কবিতাই।
আপনি তো কবিতা লেখেন মাঝেমধ্যে। আপনার হাত ভালো। আপনি কবিতা লিখতে থাকুন, কবিতায়ও আপনি অনেক ভালো করবেন, আমি বিশ্বাস করি। মনের মধ্যে দুঃখ রাখার কোনো কারণ নেই।
শুভেচ্ছা রইল।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই কবিতা পড়ে আমাকে আগ্রহী করে তাকে দেখতে যাকে দেখলে উদ্দীপ্ত হইবো
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। খুব ভালো বলেছেন নেওয়াজ আলি ভাই। ভাবী এখন কোথায়? প্লিজ, তাকে একঝলক দেখে নিন, তারপর কবিতা লিখিতে বসিয়া পড়ুন। আপনার কবিতার জন্য শুভ কামনা থাকিল।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৪
নিমা বলেছেন: কতো কিছু হারিয়ে যায়, যাক
শুধু কবিতারা বেচে থাক।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও, দারুণ বলেছেন। এতদিন পর কোথা থেকে এলেন? আশা করি সব ভালো, ভালোই ছিলেন।
শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার কবিতা। খুব ভালো লাগলো!
আপনার কবিতার বক্তব্যসূত্র ধরেই বলতে চাই- সৃষ্টির নাকি বেদনা থাকে, কারও কাছে আবার তা আনন্দেরও। কেউ কাজ করেন আনন্দ নিয়ে, কেউ বেদনা নিয়ে। আমার মতে সৃষ্টির জন্য খুব বেশী প্রয়োজন- মুক্ত জীবন।