নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
শিরোনাম দেখে হয়ত আপনারা চমকে গেলেন, অবাকও হলেন! ভাবছেন, আমি তামাশা করে বলছি – বাংলাদেশ ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলে। না, ব্যাপারটা তামাশার নয়, কথাটা ভুলও নয়।
ফিফা বা বিশ্ব ফুটবল সংস্থা আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবলের রয়েছে দুটি পর্ব – (১) বাছাই পর্ব ও (২) চূড়ান্ত পর্ব বা মূল পর্ব বা টুর্নামেন্ট পর্ব। বিশ্বকাপ ফুটবল বলতে গড়পড়তা আমরা সবাই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বকেই বুঝে থাকি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই শিরোনামের কথাটা দেখে হয়ত আপনারা বিস্মিত হয়েছেন, একটা তাচ্ছিল্যের হাসিও ছুঁড়ে দিয়েছেন হয়ত-বা।
এ শিরোনামের সূত্রপাত হয়েছে আমার নিজের ঘর থেকেই। একদিন খেলা দেখতে দেখতে হঠাৎ আমার স্ত্রী প্রশ্ন করে বসলেন, আচ্ছা, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলে না কেন? আমিও তাৎক্ষণিক উত্তর দিয়ে বলি, হ্যাঁ, বাংলাদেশও বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে তো! তারপর রহস্যের হাসি ছড়িয়ে দিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি।
তখনই এ আইডিয়াটা মগজে ঢুকে পড়ে – এ নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখে ফেলা যাক। আজকাল নখের দর্পণে নলেজ। গুগল ঘাঁটলেই সবকিছু মুহূর্তে উঠে আসে চোখের সামনে। শুরু করলাম আমার প্রজেক্ট – বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশ। আমার কাছে টপিকটা খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়। তবে, এর জন্য আমাকে প্রচুর শ্রম ও সময় দিতে হয়েছে, অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে গুগলের বিভিন্ন থ্রেড।
ইন্টারনেটের বিভিন্ন থ্রেড, বিশেষ করে উইকিপিডিয়ার আলোকে আমি এ পোস্টটি তৈরি করেছি। এ পোস্টে আমি শুধু বিশ্বকাপের বিভিন্ন বাছাই পর্বে এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের ফলাফলগুলো উপস্থাপন করেছি। সেই সাথে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বছরে এশিয়া অঞ্চলের বাছাই প্রক্রিয়া ও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করা দলগুলোর নাম উল্লেখ করেছি। বাংলাদেশ কেন এখনো মূল পর্বে খেলতে পারে নি, কী করলে খেলতে পারবে, আমার এ আর্টিকেলের বক্তব্য বিষয় সেটি নয়।
আপনারা হয়ত সবাই জানেন, তবু আরেকবার বলছি, বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ফিফা বা FIFA (Fédération Internationale de Football Association (French), meaning International Association Football Federation) ২১ মে ১৯০৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে গঠিত হয়। ফ্রান্স, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও স্পেন – এ ৭টি দেশ ছিল ফিফার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ২১১।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাবুফে), যা ১৫ জুলাই ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে বাফুফে ফুটবলের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি এবং ১৯৭৪ সালে ফিফার সদস্য পদ লাভ করে (কোনো কোনো জায়গায় ১৯৭৬ সাল উল্লেখ পেয়েছি)। ১৯৯৭ সালে বাবুফে South Asian Football Federation, SAFF-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়।
কোনো দেশের ফুটবল সংস্থাকে ফিফার সদস্য হতে হলে সেই দেশকে আগে মহাদেশীয়/আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থার সদস্য হতে হয়। ৬টি মহাদেশীয়/আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা হলো :
১। Asian Football Confederation (AFC; 47 members)
২। Confederation of African Football (CAF; 56 members)
৩। Confederation of North, Central American and Caribbean Association Football (CONCACAF; 41 members)
৪। Confederación Sudamericana de Fútbol (CONMEBOL; 10 members)
৫। Oceania Football Confederation (OFC; 13 members)
৬। Union of European Football Associations (UEFA; 55 members)
বাফুফে ১৯৭৪ বা ১৯৭৬ সালে ফিফার সদস্যপদ লাভ করলেও ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপে খেলার উদ্যোগ গ্রহণ করে, অর্থাৎ, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। আগেই বলেছি, বাফুফে হলো এশিয়ান ফুটফল কনফেডারেশন বা এএফসি’র সদস্য।
১৯৮৬ বিশ্বকাপ
১৯৮৬ সালে মোট ২৪টি দেশ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন কনফেডারেশনের জন্য স্লট বরাদ্দ ছিল নিম্নরূপ :
AFC - ২
CAF - ২
CONCACAF - ২
CONMEBOL - ৪
OFC – ০.৫
UEFA – ১৩.৫
এশিয়া অঞ্চলের ২টি স্লটের জন্য ২৭টি দেশ বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। এই ২৭টি টিমকে জোন-এ (১৩টিম) ও জোন-বি-তে (১৪টিম) ভাগ করা হয়। প্রতি জোন থেকে ১টি করে, মোট ২টি টিম চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। প্রতিটি জোনে ৩টি রাউন্ডে বাছাই পর্বের খেলা সম্পন্ন হয়।
১ম রাউন্ড : প্রতি জোনের টিমগুলোকে ৪গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ৩ বা ৪টি করে টিম থাকে। ৪টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টিম ২য় রাউন্ডে খেলে।
২য় রাউন্ড : ১ম রাউন্ড থেকে উত্তীর্ণ ৪টি টিমকে ২টি জোড়ায় ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগের টিমগুললো একে অপরের সাথে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে নক-আউট ম্যাচ খেলে। প্রতি জোড়ার বিজয়ী দল ফাইনাল রাউন্ডে খেলে।
ফাইনাল রাউন্ড। প্রতি জোড়ার বিজয়ী দল একে অপরের সাথে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে নক-আউট ম্যাচ খেলে। বিজয়ী দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে।
১৯৮৬ সালে এ জোন থেকে ইরাক ও বি জোন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করে।
বাংলাদেশের পারফরম্যান্স।
বাংলাদেশ বি জোনের ৩বি গ্রুপে ১ম রাউন্ড খেলেছিল। এই গ্রুপের অন্য টিমগুলো ছিল : ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়া ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ ৬ খেলায় ২ জয় ও ৪ হার নিয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করে, এবং ৪টিমের মধ্যে ৪র্থ লাভ করে ১ম রাউন্ড থেকেই ছিটকে পড়ে।
ফলাফল
১৮ মার্চ ১৯৮৫ ইন্দোনেশিয়া ২-০ বাংলাদেশ
২৩ মার্চ ১৯৮৫ থাইল্যান্ড ৩-০ বাংলাদেশ
৩০ মার্চ ১৯৮৫ বাংলাদেশ ১-২ ইন্ডিয়া
০২ এপ্রিলা ১৯৮৫ বাংলাদেশ ২-১ ইন্দোনেশিয়া
০৫ এপ্রিল ১৯৮৫ বাংলাদেশ ১-০ থাইল্যান্ড
১২ এপ্রিল ১৯৮৫ ইন্ডিয়া ২-১ বাংলাদেশ
১ম রাউন্ডে ৩বি-এর পয়েন্ট টেবিল
ইন্দোনেশিয়া ৬ খেলায় ৪ জয় ১ ড্র ১ হার ৯ পয়েন্ট
ইন্ডিয়া ৬ খেলায় ২ জয় ৩ ড্র ১ হার ৭ পয়েন্ট
থাইল্যান্ড ৬ খেলায় ১ জয় ২ ড্র ৩ হার ৪ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৬ খেলায় ২ জয় নো ড্র ৪ হার ৪ পয়েন্ট
৪ টিমের মধ্যে ৪র্থ স্থান অর্জন করে।
১৯৯০ বিশ্বকাপ
১৯৯০ সালেও বিশ্বকাপের স্লট বরাদ্দ ছিল আগের মতো ২৪টি। এশিয়া অঞ্চল থেকে ২৫টি টিম বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। ২টি টিম, যথা দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউএই মূল পর্বে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করে। বাছাই প্রক্রিয়া ২ রাউন্ডে সম্পন্ন হয়।
১ম রাউন্ড। ২৫টি টিমকে ৬গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগে ৪ বা ৫টি টিম ছিল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টিমগুলো বাছাই পর্বের ফাইনাল রাউন্ডে খেলে।
ফাইনাল রাউন্ড। ৬টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে খেলে। সিঙ্গাপুরে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ উইনার দক্ষিণ কোরিয়া ও রানার আপ ইউএই কোয়ালিফাই করে।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশ গ্রুপ ৫-এ ছিল। অন্য দলগুলো ছিল চীন, ইরান ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ ৬ খেলায় ১ জয় নিয়ে ২ পয়েন্ট অর্জন করে। বাংলাদেশ ৪টিমের মধ্যে ৩য় স্থান অর্জন করে এবং ১ম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ থাইল্যান্ড ১-০ বাংলাদেশ
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ চীন ২-০ বাংলাদেশ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ বাংলাদেশ ১-২ ইরান
০৪ মার্চ ১৯৮৯ বাংলাদেশ ০-২ চীন
০৮ মার্চ ১৯৮৯ বাংলাদেশ ৩-১ থাইল্যান্ড
১৭ মার্চ ১৯৮৯ ইরান ১-০ বাংলাদেশ
গ্রুপ ৫-এর পয়েন্ট টেবিল
চীন ৬ খেলায় ৫ জয় ০ ড্র ১ হার ১০ পয়েন্ট
ইরান ৬ খেলায় ৫ জয় ০ ড্র ১ হার ১০ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৬ খেলায় ১ জয় ০ ড্র ৫ হার ২ পয়েন্ট
থাইল্যান্ড ৬ খেলায় ১ জয় ০ ড্র ৫ হার ২ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৪ টিমের মধ্যে ৩য় স্থান অর্জন করে।
১৯৯৪ বিশ্বকাপ
১৯৯৪ সালে ২৪টি টিম বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে, যা ছিল আগের মতোই। এশিয়া অঞ্চলের ২৯টি টিম অংশগ্রহণ করে। বাছাই প্রক্রিয়া ছিল ১৯৯০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের অনুরূপ। সউদি আরব চ্যাম্পিয়ন ও দক্ষিণ কোরিয়া রানার আপ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পায়।
বাংলাদেশ এফ গ্রুপে খেলে। অন্য দলগুলো ছিল জাপান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ইউএই। বাংলাদেশ ৮ খেলায় ২ জয় পেয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করে এবং ৫ টিমের মধ্যে ৪র্থ স্থান লাভ করে ও ১ম রাউন্ড থেকে বিদায় গ্রহণ করে।
ফলাফল
১১ এপ্রিল ১৯৯৩ জাপান ৮-০ বাংলাদেশ
১৩ এপ্রিল শ্রীলংকা ০-১ বাংলাদেশ
১৫ এপ্রিল ১৯৯৩ বাংলাদেশ ০-১ ইউএই
১৮ এপ্রিল ১৯৯৩ থাইল্যান্ড ৪-১ বাংলাদেশ
৩০ এপ্রিল ১৯৯৩ বাংলাদেশ ১-৪ জাপান
০৩ মে ১৯৯৩ ইউএই ৭-০ বাংলাদেশ
০৫ মে ১৯৯৩ বাংলাদেশ ১-৪ থাইল্যান্ড
০৭ মে ১৯৯৩ বাংলাদেশ ৩-০ শ্রীলংকা
এফ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল
জাপান ৮ খেলায় ৭ জয় ১ ড্র ০ হার ১৫ পয়েন্ট
ইউএই ৮ খেলায় ৬ জয় ১ ড্র ১ হার ১৩ পয়েন্ট
থাইল্যান্ড ৮ খেলায় ৪ জয় ০ ড্র ৪ হার ৮ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৮ খেলায় ২ জয় ০ ড্র ৬ হার ৪ পয়েন্ট
শ্রীলংকা ৮ খেলায় ০ জয় ০ ড্র ৮ হার ০ পয়েন্ট
৫ টিমের মধ্যে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থান দখল করে।
১৯৯৮ বিশ্বকাপ
১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ২৪টি টিম বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করতো। ১৯৯৮ সাল থেকে এটি বাড়িয়ে ৩২ করা হয়। বিভিন্ন ফেডারেশনের জন্য টিম সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ :
• AFC (Asia): 3 or 4 places
• CAF (Africa): 5 places
• CONCACAF (North America): 3 places
• CONMEBOL (South America): 4 places (+ Brazil qualified automatically as 1994 FIFA World Cup winners for a total of 5 places)
• OFC (Oceania): 0 or 1 place(s)
• UEFA (Europe): 14 places (+ France qualified automatically as host nation for a total of 15 places)
১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এশিয়া অঞ্চলের টিম ছিল ২টি। ১৯৯৮ থেকে টিমের সংখ্যা ৩.৫ হয়।
বাছাই পর্বে ৩৬টি টিম অংশগ্রণ করে। ৩টি রাউন্ডে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
১ম রাউন্ড। ৩৬টি টিমকে ১০ গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ৩ বা ৪টি করে টিম। ১০টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাছাই পর্বের ফাইনাল রাউন্ডে খেলে।
২য় রাউন্ড। ১ম রাউন্ডে উত্তীর্ণ ১০টি টিমকে ২গ্রুপে ভাগ করা হয়। ২ গ্রুপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, যথাক্রমে গ্রুপ এ থেকে সউদি আরব এবং গ্রুপ বি থেকে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যায় বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। ২ গ্রুপের ২ রানার আপ , ইরান ও জাপান খেলে প্লে-অফ রাউন্ড।
প্লে-অফ রাউন্ড। ইরান ও জাপানের মধ্যে প্লে-অফ ম্যাচে বিজয়ী জাপান চলে যায় বিশ্বকাপের মূল পর্বে। পরাজিত টিম ইরান ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সাথে প্লে-অফ খেলে। সেখানে ইরান বিজয়ী হয়ে চলে যায় চূড়ান্ত পর্বে।
সারাংশ। সউদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং ইরান বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে।
বাংলাদেশ ১ম রাউন্ডে গ্রুপ-১-এ খেলে। অন্য দলগুলো ছিল মালয়শিয়া, সউদি আরব ও চাইনিজ তাইপেয়ী। বাংলাদেশ ৬ খেলায় ১ জয় পায়, ৩ পয়েন্ট নিয়ে ৪ টিমের মধ্যে ৪র্থ স্থান অর্জন করে ও বাছাই পর্বের ১ম রাউন্ড থেকে বিদায়প্রাপ্ত হয়।
ফলাফল
১৬ মার্চ ১৯৯৭ মালয়শিয়া ২-০ বাংলাদেশ
১৮ মার্চ ১৯৯৭ বাংলাদেশ ১-৩ চাইনিজ তাইপেয়ী
২০ মার্চ ১৯৯৭ বাংলাদেশ ১-৪ সউদি আরব
২৭ মার্চ ১৯৯৭ সউদি আরব ৩-০ বাংলাদেশ
২৯ মার্চ ১৯৯৭ চাইনিজ তাইপেয়ী ১-২ বাংলাদেশ
৩১ মার্চ ১৯৯৭ বাংলাদেশ ০-১ মালয়শিয়া
গ্রুপ-১-এর পয়েন্ট টেবিল
সউদি আরব ৬ খেলায় ৫ জয় ১ ড্র ০ হার ১৬ পয়েন্ট
মালয়শিয়া ৬ খেলায় ৩ জয় ২ ড্র ১ হার ১১ পয়েন্ট
চাইনিজ তাইপেয়ী ৬ খেলায় ১ জয় ১ ড্র ৪ হার ৪ পয়েন্ট
মঙ্গোলিয়া ৬ খেলায় ১ জয় ০ ড্র ৫ হার ৩ পয়েন্ট
২০০২ বিশ্বকাপ
এ বিশ্বকাপে এশিয়া অঞ্চলের জন্য টিম বরাদ্দ ছিল ৪.৫টি। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া হোস্ট হিসাবে অটোমেটিক্যালি কোয়ালিফাই করে। বাকি ২.৫টি টিম ৩৯টি দেশের মধ্য থেকে বাছাই করা হয়। ৩ রাউন্ডের বাছাই প্রক্রিয়া ছিল নিম্নরূপ :
১ম রাউন্ড। ৩৯টি দেশকে ১০গ্রুপে ভাগ করা হয়। ৯টি গ্রুপে ৪টি করে টিম, ১টি গ্রুপে ৩টি টিম। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টিমগুলি ২য় রাউন্ডে যায়।
২য় রাউন্ড। ১ম রাউন্ড থেকে উঠে আসা ১০টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নকে ৫টি করে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়। ২ গ্রুপের ২ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। ২ গ্রুপের ২ রানার আপ প্লে-অফ ম্যাচ খেলার জন্য পরের রাউন্ডে যায়।
প্লে-অফ ম্যাচ। ২য় রাউন্ডের ২ গ্রুপের ২ রানার আপ প্লে-অফ খেলে। বিজয়ী দল UEFA অঞ্চলের ১টি টিমের সাথে প্লে-অফ খেলে। সেই প্লে-অফের বিজয়ী দল চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে।
সউদি আরব (গ্রুপ এ) ও চীন (গ্রুপ বি) চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। ইরান ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্লে-অফ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সাথে হেরে যায়।
বাংলাদেশ ১ম রাউন্ডে ১০ নাম্বার গ্রুপে ছিল। অন্য ৩টি টিম ছিল সউদি আরব, ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়া। বাংলাদেশ ৬ খেলায় ১ জয়, ২ ড্র ও ৩ হার নিয়ে ৫ পয়েন্ট অর্জন করে ও ৩য় স্থান লাভ করে এবং ১ম রাউন্ড থেকেই বিদায় হয়।
গ্রুপ-১০-এর পয়েন্ট টেবিল
সউদি আরব ৬ খেলায় ৬ জয় ০ ড্র ০ হার ১৮ পয়েন্ট
ভিয়েতনাম ৬ খেলায় ৩ জয় ১ ড্র ২ হার ১০ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৬ খেলায় ১ জয় ২ ড্র ৩ হার ৫ পয়েন্ট
মঙ্গোলিয়া ৬ খেলায় ০ জয় ১ ড্র ৫ হার ১ পয়েন্ট
২০০৬ বিশ্বকাপ
এশিয়া অঞ্চলের বরাদ্দ ছিল ৪.৫টি টিম। সর্বমোট ৩৯টি টিম বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। ৪ রাউন্ডে বাছাই পর্ব সম্পন্ন হয়।
১ম রাউন্ড। ফিফা র্যাঙ্কিঙের নীচের দিকে থাকা ১৪টি টিমকে ৭ জোড়ায় ভাগ করা হয়। প্রতি জোড়া টিম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে নক-আউট সিস্টেমে। ৭টি বিজয়ী টিম ২য় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়। বাংলাদেশ নীচের দিকে থাকা ১৪টি টিমের ১টি ছিল; প্রতিপক্ষ ছিল তাজিকিস্তান। তাজিকিস্তানের সাথে ০-৪ (০-২ এবং ০-২) গোলে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাংলাদেশ বিদায় নেয়।
২য় রাউন্ড। ১ম রাউন্ড থেকে উত্তীর্ণ ৭টি টিম ও ফিফা র্যা ঙ্কিঙের উপরে থাকা বাকি ২৫টিম-মোট ৩২টি টিমকে ৮ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন টিম ৩য় রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়।
৩য় রাউন্ড। ২য় রাউন্ডের ৮টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নকে ২ গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপের প্রতি টিম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে রাউন্ড রবিন লিগ খেলে। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করে। প্রতি গ্রুপের ৩য় স্থান লাভকারী টিম পরের রাউন্ড প্লে-অফ রাউন্ডে খেলে।
গ্রুপ-১ এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ যথাক্রমে সউদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। উজবেকিস্তান ৩য়।
গ্রুপ-২ এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ যথাক্রমে জাপান ও ইরান বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। বাহরাইন ৩য়।
প্লে-অফ রাউন্ড। ৩য় রাউন্ডের ২ গ্রুপের ২টি ৩য় স্থান লাভকারী দল উজবেকিস্তান ও বাহরাইন প্লে-অফ ম্যাচ খেলে। বিজয়ী দল বাহরাইন CONCACAF অঞ্চলের ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর সাথে প্লে-অফ খেলে। বিজয়ী দল ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করে।
২০১০ বিশ্বকাপ
এশিয়া অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪.৫টি টিম। ৪৩টি টিম অংশগ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম বারের মতো ওশেনিয়া থেকে এশিয়া অঞ্চলে যুক্ত হয়। বাছাই প্রক্রিয়াটি জটিল। মনযোগ সহকারে পড়ুন। ৫টি রাউন্ডে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
১ম রাউন্ড। ফিফা র্যা ঙ্কিঙের ১-৫ র্যা ঙ্কিঙের ৫টা দল চলে যায় বাছাই পর্বের ৩য় রাউন্ডে। ৬-২৪ র্যা ঙ্কিঙের প্রতিটি টিমের সাথে ২৫-৪৩ র্যা ঙ্কিঙের ১টি করে টিম ড্র-এর মাধ্যমে নিয়ে জোড়া তৈরি করা হয়। ১৯জোড়া টিম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে। ১৯ জোড়া থেকে ১৯টি বিজয়ী দল পাওয়া যায়। এই ১৯ দলের মধ্যে ফিফা র্যা ঙ্কিঙের ১ম ১১টি (১-১১ র্যা ঙ্কিঙ) দল চলে যায় বাছাই পর্বের ৩য় রাউন্ডে। ১২-১৯ র্যা ঙ্কিঙ টিম ২য় রাউন্ডে খেলে।
১ম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল তাজিকিস্তান, যার কাছে ১-৬ গোলে (১-১, ০-৫) হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাংলাদেশ বিদায় নেয়।
২য় রাউন্ড। ১২-১৫ র্যাঙ্কিঙ টিমের প্রতিটির সাথে ১৬-১৯ র্যা ঙ্কিঙ টিমের জোড়া তৈরি করা হয়; প্রতি জোড়া টিম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিস্টেমে খেলে। ৪জোড়া থেকে ৪টি বিজয়ী চলে যায় ৩য় রাউন্ডে।
৩য় রাউন্ড। ৩য় রাউন্ডে ২০টি টিম খেলে :
১-৫ র্যাঙ্কিঙের ৫টি টিম।
১ম রাউন্ডে বিজয়ী ১-১১ র্যা ঙ্কিঙের ১১টি টিম।
২য় রাউন্ডে বিজয়ী ৪টি টিম।
মোট ২০টা টিমকে ৫ভাগে ভাগ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইরান, সউদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়াকে শীর্ষদল রাখা হয়। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ মিলে মোট ১০টি দল চলে যায় ৪র্থ রাউন্ডে।
৪র্থ রাউন্ড। অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ কোরিয়াকে শীর্ষদল হিসাবে ধরে ১০টা টিমকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। প্রতি গ্রুপের ৩য় স্থান লাভকারী দল ৫ম রাউন্ডে প্লে-অফ খেলে।
এ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও জাপান যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় এবং বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। বাহরাইন ৩য়।
বি গ্রুপে যথাক্রমে সাউথ কোরিয়া ও নর্থ কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয় এবং বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে। সউদি আরব ৩য়।
৫ম রাউন্ড – প্লে অফ। বাহরাইন ও সউদি আরবের মধ্যে প্লে-অফ ম্যাচে বাহরাইন জিতে। বাহরাইন ওশেনিয়া অঞ্চলের নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেলে নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার জন্য কোয়ালিফাই করে।
২০১৪ বিশ্বকাপ
এশিয়া অঞ্চলের জন্য স্লট ছিল যথারীতি ৪.৫টি। ৪৩টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাছাই প্রক্রিয়াটি অনেকটাই ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ার মতো ছিল। ৫ রাউন্ডের বাছাই প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ ছিল :
১ম রাউন্ড। ১-৫ ফিফা র্যাঙ্কিঙের ৫টি টিম চলে যায় ৩য় রাউন্ড (গ্রুপ স্টেজে)। ৬-২৭ র্যা ঙ্কিঙের ২২টি টিম চলে যায় ২য় রাউন্ডে। ২৮-৪৩ র্যা ঙ্কিঙের ১৬টি টিমকে ৮ জোড়ায় ভাগ করা হয়। ২৮-৩৫ র্যা ঙ্কিঙের সাথে ৩৬-৪৩ র্যা ঙ্কিঙের ড্র করে এই জোড়া তৈরি করা হয়। তারা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিস্টেমে খেলে। ৮ জোড়া থেকে ৮টি বিজয়ী দল চলে যায় ২য় রাউন্ডে।
বাংলাদেশ ৩-০ (৩-০, ০-০) গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে ২য় রাউন্ডে যায়।
২য় রাউন্ড। ৬-২৭ র্যাঙ্কিঙের ২২টি টিমের সাথে ১ম রাউন্ডের ৮টি বিজয়ী টিম যুক্ত হয়। ৬-২০ র্যা ঙ্কিঙের ১৫টি টিমের সাথে ২১-৩৫ র্যা ঙ্কিঙের ১৫টি টিমকে ড্র করে ১৫টি জোড়া তৈরি করা হয়। প্রতি জোড়া টিম হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিস্টেমে খেলে। ১৫ জোড়া থেকে বিজয়ী ১৫টি টিম ৩য় রাউন্ডে ওঠে।
২য় রাউন্ডে বাংলাদেশে তার প্রতিপক্ষ লেবাননের কাছে ২-৪ (৪-০, ০-২) গোলে হেরে বিদায় নেয়।
এর পরের ৩টি রাউন্ড ২০১০-এর বাছাই প্রক্রিয়ার শেষ ৩ রাউন্ডের মতোই সম্পন্ন করা হয়।
ইরান, জাপান, সাউথ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া চূড়ান্ত পর্বের জন্য কোয়ালিফাই করে।
২০১৮ বিশ্বকাপ
এশিয়া অঞ্চলের স্লট আগের মতো ৪.৫টি। বাছাই প্রক্রিয়ার বেসিক পদ্ধতি আগের দুই বছরের মতোই। ৪৬টি টিম ৪ রাউন্ডের বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
১ম রাউন্ড। ৩৫-৪৬ র্যাঙ্কিঙের ১২টি টিমকে ৬জোড়ায় ভাগ করা হয়। প্রতি জোড়া হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলে। বিজয়ী ৬ দল পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়।
বাংলাদেশের র্যাঙ্কিঙ ৩৪ ছিল বিধায় সরাসরি ২য় রাউন্ডে খেলে।
২য় রাউন্ড। ১-৩৪ র্যাঙ্কিঙের ৩৪টি টিম এবং ১ম রাউন্ডের বিজয়ী ৬টি টিম – মোট এই ৪০টি টিমকে ৮ভাগে ভাগ করা হয়। ৮টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং ৪টি বেস্ট রানার আপ, মোট ১২টি টিম বাছাই পর্বের ৩য় রাউন্ডে যায়।
বাংলাদেশ ২য় রাউন্ডে বি গ্রুপে ছিল। অন্য ৪টি টিম ছিল অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, কিরগিস্তান ও তাজিকিস্তান। বাংলাদেশ ৮ খেলায় ১টা ড্র নিয়ে ১ পয়েন্ট অর্জন করে এবং ৫টিমের মধ্যে ৫ম স্থান নিয়ে ২য় রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। খেলার ফলাফল দেখুন নীচে।
১১ জুন ২০১৫ বাংলাদেসগ ১-৩ কিরগিস্তান
১৬ জুন ২০১৫ বাংলাদেশ ১-১ তাজিকিস্তান
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া ৫-০ বাংলাদেশ
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বাংলাদেশ ০-৫ জর্ডান
১৩ অক্টোবর ২০১৫ কিরগিস্তান ২-০ বাংলাদেশ
১২ নভেম্বর ২০১৫ তাসিকিস্তান ৫-০ বাংলাদেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৫ বাংলাদেশ ০-৪ অস্ট্রেলিয়া
২৪ মার্চ ২০১৬ জর্ডান ৮-০ বাংলাদেশ
২য় রাউন্ডে বি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল
অস্ট্রেলিয়া ৮ খেলায় ৭ জয় ০ ড্র ১ হার ২১ পয়েন্ট
জর্ডান ৮ খেলায় ৫ জয় ১ ড্র ২ হার ১৬ পয়েন্ট
কিরগিস্তান ৮ খেলায় ৪ জয় ২ ড্র ২ হার ১৪ পয়েন্ট
তাজিকিস্তান ৮ খেলায় ১ জয় ২ ড্র ৫ হার ৫ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৮ খেলায় ০ জয় ১ ড্র ৭ হার ১ পয়েন্ট
৩য় রাউন্ড ও ৪র্থ রাউন্ড আগের বছরের মতোই সম্পন্ন হয়।
উত্তীর্ণ ৫টি দল :
ইরান
জাপান
দক্ষিণ কোরিয়া
সউদি আরব
অস্ট্রেলিয়া
২০২২ বিশ্বকাপ
হোস্ট কাতার ছাড়াও যথারীতি ৪.৫টি স্লট ছিল এশিয়া অঞ্চলের জন্য।
৪৬টি দেশ বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। বাছাই প্রক্রিয়াটি ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাই প্রক্রিয়ার মতো ৪টি রাউন্ডে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ ১ম রাউন্ডে লাওসকে ১-০ গোলে (০-০, ১-০) পরাজিত করে ২য় রাউন্ডে ওঠে।
২য় রাউন্ড। ২য় রাউন্ডে বাংলাদেশ ই গ্রুপে খেলে। অন্য দলগুলো ছিল – কাতার, ওমান, ইন্ডিয়া ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ ৮ খেলায় ২টি ড্র ও ৬টি হারে ২ পয়েন্ট লাভ করে এবং ৫টিমের মধ্যে ৫ম স্থান অধিকার করে ২য় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়। বাংলাদেশের খেলার ফলাফল দেখুন।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ আফগানিস্তান ১-০ বাংলাদেশ
১০ অক্টোবর ২০১৯ বাংলাদেশ ০-২ কাতার
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ইন্ডিয়া ১-১ বাংলাদেশ
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ওমান ৪-১ বাংলাদেশ
০৪ ডিসেম্বর ২০২০ কাতার ৫-০ বাংলাদেশ
০৩ জুন ২০২১ বাংলাদেশ ১-১ আফগানিস্তান
০৭ জুন ২০২১ বাংলাদেশ ০-২ ইন্ডিয়া
১৫ জুন ২০২১ বাংলাদেশ ০-৩ ওমান
২য় রাউন্ডে ই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিল
কাতার ৮ খেলায় ৭ জয় ১ ড্র ০ হার ২২ পয়েন্ট
ওমান ৮ খেলায় ৬ জয় ০ ড্র ২ হার ১৮ পয়েন্ট
ইন্দিয়া ৮ খেলায় ১ জয় ৪ ড্র ৩ হার ৭ পয়েন্ট
আফগানিস্তান ৮ খেলায় ১ জয় ৩ ড্র ৪ হার ৬ পয়েন্ট
বাংলাদেশ ৮ খেলায় ০ জয় ২ ড্র ৬ হার ২ পয়েন্ট
চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য যোগ্য দলগুলো :
কাতার (হোস্ট)
ইরান
সাউথ কোরিয়া
জাপান
অস্ট্রেলিয়া
২০২৬ বিশ্বকাপ
৪৮টা টিম খেলবে। সব অঞ্চলের স্লট বাড়বে। এশিয়া অঞ্চলের স্লট হবে ৮-১/৩
২৩ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্ব শুরু হবে। এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত শিডিউল তৈরি করা হয় নি।
এ সুদীর্ঘ আর্টিকেলে আপনারা দেখলেন বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের পারপফরম্যান্স। এখানে বিশ্বকাপ ফুটবল বলতে বাছাই পর্বকেই বোঝানো হয়েছে, যেহেতু বাছাই পর্ব বিশ্বকাপ ফুটবলেরই একটা অংশ। তবে, বাংলাদেশ ঠিক কবে নাগাদ বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারবে, সেই হিসাব আমাদের অজানা। এশিয়া অঞ্চলের বাছাই পর্বে এখনো পর্যন্ত ২য় রাউন্ড উত্তীর্ণ হতে পারে নি; চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে আরো ২-৩টা পর্ব অতিক্রম করতে হবে। আমরা শুধু আশাই করতে পারি, বাংলাদেশ অবশ্যই কোনো একদিন বাছাই পর্ব পার হয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে পা রাখবে – সেদিন আমাদের প্রিয় দলের খাতায় জ্বলে উঠবে একটি এবং কেবল একটি মাত্র নাম – আমার সোনার বাংলা।
সূত্র :
এখানে নির্দিষ্ট কোনো লিংক দেয়া সম্ভব হলো না। কারণ, এটা সার্চ করতে যেয়ে আমাকে এত ফ্রিকোয়েন্টলি এত এত লিংকে যেতে হয়েছে যে ওগুলোর তালিকা করতে গেলে এখন আমাকে আবার ঘর্দমাক্ত হয়ে জান তেজপাতা হয়ে যাবে। তবে, এগুলো গুগুল উইকিপিডিয়াতে রেডিলি এভেইলেবল। শুধু FIFA, FIFA WorlD Cup, FIFA Qualification, FIFA Qualification AFC, AFC, ইত্যাদি লিখে গুগলে সার্চ দিলেই প্রয়োজনীয় উইকিপিডিয়ার লিংকগুলো পেয়ে যাবেন।
১৮ ডিসেম্বর ২০২২
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ও হ্যাঁ, আপনি তো ঠিকই বলেছেন কথাটা - এটা তামাশার কথা না, কথাটা ভুলও না
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৮২ সন থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় জড়িয়ে আছি....২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মতো এমন সুন্দর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুব বেশী দেখিনি। অথচ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারের বিরুদ্ধে ইহুদী মিডিয়ার নেতিবাচক প্রচারণা ছিলো সব চাইতে বেশী।
বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান তলানীতে। তারপরও ফুটবল নিয়ে, স্পেশালি বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বাংলাদেশের মতো এমন উন্মাদনা খোদ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেনেও নাই। মজার ব্যাপার হচ্ছে- ফেসবুকের অনেক ফুটবল বোদ্ধাই পেনাল্টি কে বলে পেলান্টি, টাইব্রেকারকে বলে ট্রাইব্রেকার- ওরা অনেকেই জানেনা বিশ্বমানচিত্রে আর্জেন্টিনা, পর্তুগানের অবস্থান কোথায়! সেইসব ফুটবল বোদ্ধাদের উন্মাদনা সত্যিই অবাক করে!
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে সহমত পোষণ করছি জুল ভার্ন ভাই।
এ যাবত কালের সেরা আয়োজন কাতারে।
কাতার পারবে কী পারবে না, বিট বিতর্ক, শ্রমিক হতাহত বিতর্ক, ইত্যাদি অনেক ডিমেরিটস ছিল। এ বিতর্ক বেশি জোরালো হয়েছে প্রধানত দুটি কারণে, এশিয়ান দেশ হওয়ায় এবং মুসলিম দেশ হওয়া, যেখানে এন্টি-মুসলিম সেন্টিমেন্ট কাজ করেছে।
নিখুঁত টেকনোলজির ব্যবহার, উন্নত ইউরোপিয়ান দেশকে ছাড়িয়ে গেছে (অলিম্পিক আয়োজনের কথা অবশ্য বাইরে রাখছি)।
এশিয়ান হিসাবে আমরা গর্ব করতে পারি।
আমেরিকা-ইউরোপের বাইরে আফ্রিকান দেশের পাশাপাশি এশিয়ান টিমের পারফরমেন্সও ভালো ছিল। ইরানের ১ম ম্যাচটা বাদে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করেছে।
অনেক বৈচিত্র, চমক ছিল এ বিশ্বকাপে।
একটা সফল আয়োজনের জন্য কাতারের ক্রেডিটে অনেকগুলো অভিনন্দন যোগ হবে আশা করি।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বটাকেই যদ্দি নিজের দেশ বলে ভাবা যায়, তাহলে খুব সহজেই অন্যান্য দেশের আনন্দ উপভোগ করা যায়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের চিন্তাচেতনা বাস্তব ভিত্তিক হতে হবে রাজীব নুর ভাই। পৃথিবী কোনোকালেই এক দেশের ভাবনায় ছিল না। সভ্যতার আগেও মানুষ ছিল নানা গোত্রে বিভক্ত। একটা দেশেই যখন অজস্র রাজনৈতিক দল থাকে, সারা বিশ্ব একদেশ হলে সেই দেশ কোন দল চালাবে? যাই হোক, সেটা ভিন্ন কথা। নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য একটা নির্মল মনই যথেষ্ট, পুরা বিশ্বকে নিজের দেশ ভাবুন বা পরের দেশ ভাবুন। ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ঠিক আছে, বাংলাদেশ ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলে। না, ব্যাপারটা তামাশার নয়, কথাটা ভুলও নয়।