নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
তোমাদের যা কিছু খাওয়ার সাধ হয়,
খেয়ে নিয়ো প্রথমা বৈশাখে
গরম ভাতে পানি ঢেলে পান্তা, মচমচে ইলশে ভাজা
নতুন কেনা মাটির বাসনে চুমুক দিয়ে
চুকচুক করে পান্তার পানি খেয়ো, আর উগড়ে দিয়ো তৃপ্তির ঢেকুর-
আহ! বড্ড বাঙালি হলুম!
আমি সেই বাসিভাতই খাব, আগের রাতে ভাতের হাঁড়িতে
এক-আঁজলা পানি ঢেলে পঁচতে-না-দেয়া
যত্ন করে মায়ের রেখে দেয়া ধন;
পেঁয়াজকুচি আর ভাজা শুকনামরিচ ভেঙে মাখানো অমৃতে
কী স্বাদ, তোমরা জানবে না।
আমরা তো হদ্যিকাল থেকেই এসব খেয়েছি প্রতিটা সকালে
লাঙল আর কাস্তে লয়ে ক্ষেতে বেরোবার আগে।
আমাদের কালেভদ্রে ইলিশ জুটতো - বিশেষত মেজবানিতে;
একবেলা খেয়ে আরেক বেলার জন্য
নুন-পানিতে জ্বাল দিয়ে রেখে দিত মা।
সকালের পান্তায় ইলিশভাজা - কোন জনমে খাইছিলা,
কইবার পারবা? কোন হালায় শেখালো তোমাগো এ উদ্ভট আদেখলাপনা?
গ্রীষ্মের বাংলায় কোন নদীতে ইলিশ গাবায়? পৌষ-মাঘ-ফাল্গুনে
কিংবা চৈত্র-বোশেখে ঝাঁকাভরা ইলিশ কে দেখেছো, কোন বাজারে?
কারা, কবে সকালের পান্তাভাতে ভাজা ইলিশে পেট পুরেছো?
এই যে গালভরা বুলি ঝাড়ো – বোশেখের সকালে পান্তা-ইলিশ –
এ ‘পোশাকি ঐতিহ্য’ বাঙালির নয়। এসব বুলিবাজেরাও
বাঙালিদের কেউ নয়; বাংলার জনপদে ওদের পদস্পর্শ পড়ে নি।
আমাদের ছিল সেঁচিশাক ডাঁটাশাক বুনোকচু কলমিলতা
আমাদের ছিল আলুভর্তা কুমড়ো ভাজা মাষকলাইয়ের লাউ
আমাদের ছিল খলসে বইচা ট্যাংরা ভেদা গুঁড়া চিংড়ি আর
পুঁটিমাছের ভাগা
আমাদের ছিল খাল-বিল-পুকুর-ডোবার সহজ জীবন
সহজ সুখেই কেটেছে চিরটা কাল
আমাদের ছিল চৈত্রসংক্রান্তি-
গ্রামে গ্রামে মেলা, পাগলা ষাঁড়ের কাছি ছেঁড়া, আর ঘোড়দৌড়
আমাদের ছিল হালখাতা আর কলাপাতায় রসগোল্লা
আমাদের ছিল
বাজারে বাজারে দোকানে দোকানে প্রাণভরা উৎসবে পয়লা বৈশাখ
যখন রাতের খাবারেই কষ্টেসৃষ্টে কদাচিৎ জুটতো- আহা,
সকালের পান্তায় একটুকরো ইলিশ, কে আমায়
কবে খাইয়েছিল? তোমরাই বা কে কে খেয়েছ, কেউ কি বলবা?
গরম পান্তায় ইলিশভাজা- কোন হালায় তোমাগো শিখাইছে
এই কৃত্রিম বাঙালিপনা?
এ নয় বাঙালিপনা। গরম পান্তায় ইলশেভাজা চটকে
একদিনে বাঙালি হওয়া যায় না।
ধান্ধাবাজ, পুঁজিবাজ, অর্থখেকো আড়ৎদার আর নির্বোধ
মিডিয়ার তৈরি কৃত্রিম ‘পান্তা ইলিশের বৈশাখ’ ছাড়ো।
তোমরা আবহমান বাংলার কেউ নও, কোনোদিন দেখো নি
বাংলার গ্রাম, বাংলার ঘরে যাপন করো নি একটি নিশুতি,
হে পরযায়ী নাগরিক সকল, তোমরা ঢের ধান্ধাবাজ পরদেশী।
আমার গায়ে জ্বালা ধরে যায়
আমার পিড খালি বাইরায়
আর খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে- যখন শুনি তোমরা বলছো-
পান্তা-ইলিশ হইলো বাংলার ঐতিহ্য।
৮ এপ্রিল ২০১৮
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ নববর্ষ প্রিয় হাসান জামাল গোলাপ ভাই। আমরা অবশ্য জন্ম থেকেই ১লা বৈশাখ উদ্যাপন দেখে আসছি। তবে, এটা এখনকার মতো ছিল না। তখন আমরা এটাকে ১লা বৈশাখও বলতাম না। হালখাতা (আরেকটা কী যেন আঞ্চলিক নামে ডাকতাম) এবং চৈত্রসংক্রান্তি। হালখাতার আমেজ ছিল সারা বাজার জুড়ে। যত মানুষের বকেয়া আছে, তা পরিশোধ করতো, আর দোকানি তাদের মিষ্টি মুখ করাতো। আমার অনেক দিনের আফসোস ছিল, বকেয়া পরিশোধ করে মিষ্টি খাওয়ার কিন্তু বাজার ছিল দূরে, দোকানদাররা ছিল বেশিরভাগই অপরিচিত, আর বাকিতে খাওয়ার সুযোগ ছিল না, ফলে হালখাতার রসগোল্লাও খাওয়া হয় নি।
বেশি আনন্দ ছিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন। গ্রামে গ্রামে মেলা বসতো। বড়ো মেলা, ছোটো মেলা। সেই সময় অবস্থাপন্ন গৃহস্থ বাড়িতে পাগলা ষাঁড় পোষা হতো এই চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বড়ো মেলায় কাছি (রশি) ছেঁড়ানোর জন্য (আরেকটা দিন ছিল কোরবানি ইদের দিন)। আর ছিল ঘোড়দৌড়। আমরা দলে দলে পাগলা ষাঁড়কে দাবড়ে নিয়ে যেতাম মেলার দিকে, আর ছিল গগনবিদারী শ্লোগান। যে ষাঁড় যত মোটা রশি ছিঁড়তে পারতো, সেই ষাঁড়ের মালিকের নাম তত বেশি প্রচার পেত।
মেলা বসতো দুপুরের পর থেকে। কিছু মেলা সকাল থেকেই শুরু হতো।
উপরে যা বললাম, বাংলার ১লা বৈশাখের হাজার বছরের ঐতিহ্য ছিল ওরকম, বর্তমানে যেভাবে করা হচ্ছে এটা হাজার বছরের ঐতিহ্য না।
১লা বৈশাখ উপলক্ষে ঘরে ঘরে নানান পদের খাবার, বা পান্তা ভাতে ভাজা ইলিশ খাওয়ার কোনো রেওয়াজ আমি কোথাও কোনোদিন দেখি নি।
আপার শেয়ার করা মেসেজটা একটু অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। সময়টা ৩০-৪০ বছর হবে না, ৩০-৩২ হতে পারে। এটা ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকায় চারুকলা ইন্সটিউট থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা হিসাবে শুরু হয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার আলোকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে এটার নাম হয়ে যায় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
উইকিপিডিয়া থেকে ইতিহাস তুলে দিলাম, অন্যান্য পাঠকের জন্যও।
প্রতি বছর বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে ঢাকার রমনা পার্কে ছায়ানট আয়োজিত প্রাত্যোষিক সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং একে ঘিরে আয়োজিত অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা সাধারণ মানুষকে নিবিড়ভাবে আকৃষ্ট করতে থাকে এবং নাগরিক আবহে সার্বজনীন পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ১৯৮০’র দশকে স্বৈরাচারী শাসনের বিরূদ্ধে সাধারণ মানুষের ঐক্য এবং একইসঙ্গে শান্তির বিজয় ও অপশক্তির অবসান কামনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম আনন্দ শোভাযাত্রার প্রবর্তন হয়। ঐ বছরই ঢাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এই আনন্দ শোভাযাত্রা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করার উদ্যোগ প্রতি বছর অব্যাহত রাখে।
শোভাযাত্রার অনতম আকর্ষণ - বিশালকায় চারুকর্ম পুতুল, হাতি, কুমীর, লক্ষ্মীপেঁচা, ঘোড়াসহ বিচিত্র মুখোশ এবং সাজসজ্জ্বা, বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে। পরের বছরও চারুকলার সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। তবে সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ঐ বছর চারুশিল্পী সংসদ নববর্ষের সকালে চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বের করে। শুরু থেকেই চারুকলার শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না।
মাহবুব জামাল শামীম নামক শুরুরদিকের একজন অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে জানা যায়, পূর্বে এর নাম ছিল বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। সেই সময়ের সংবাদপত্রের খবর থেকেও এমনটা নিশ্চিত হওয়া যায়। সংবাদপত্র থেকে যতোটা ধারণা পাওয়া যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম লাভ করে।
১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে চারুপীঠ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সেই শোভাযাত্রায় ছিল - পাপেট, বাঘের প্রতিকৃতি, পুরানো বাদ্যযন্ত্রসহ আরো অনেক শিল্পকর্ম। শুরুর বছরেই যশোরে শোভাযাত্রা আলোড়ন তৈরি করে। পরবর্তীতে যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই ঢাকার চারুকলা থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
আর খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে- যখন শুনি তোমরা বলছো-
পান্তা-ইলিশ হইলো বাংলার ঐতিহ্য।
হা হা হা …… এই দুটো লাইন সবচেয়ে প্রিয়, লেখাটা আগে পড়েছি।
তখনও যা বলেছিলাম, পহেলা বৈশাখে কখনও পান্তা খাইনি, তার মানে কি আমি বাঙালি না!!!
উৎসব সেলিব্রেট করতে আনন্দ করতে যে কোন কিছুই করতে পারে, করুক।
কারও ভালো লাগলে বছরে যে কোন সময়ই এটা খেতে পারে, ইভেন পহেলা বৈশাখেও পারে কিন্তু পান্তা ইলিশ বাঙালির ঐতিহ্য বলে যে প্রচার এবং এই একদিনের লোক দেখানো খাওয়া এটা হাস্যকর।
আমাদের ছিল সেঁচিশাক ডাঁটাশাক বুনোকচু কলমিলতা
আমাদের ছিল আলুভর্তা কুমড়ো ভাজা মাষকলাইয়ের লাউ
আমাদের ছিল খলসে বইচা ট্যাংরা ভেদা গুঁড়া চিংড়ি আর
পুঁটিমাছের ভাগা
উল্লেখিত খাবারগুলো অনেক মজা কিন্তু বইচা ভেদা এগুলো চিনলাম না ।
আগে ছিলো বলছে কেনো, এগুলো এখনও নিশ্চয়ই আছে, সবাইতো আর বদলে যায়নি।
ধুলোর এরকম লেখাগুলো সত্যি অনবদ্য। শুভ নববর্ষ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
উৎসব সেলিব্রেট করতে আনন্দ করতে যে কোন কিছুই করতে পারে, করুক।
কারও ভালো লাগলে বছরে যে কোন সময়ই এটা খেতে পারে, ইভেন পহেলা বৈশাখেও পারে কিন্তু পান্তা ইলিশ বাঙালির ঐতিহ্য বলে যে প্রচার এবং এই একদিনের লোক দেখানো খাওয়া এটা হাস্যকর।
খুব সুন্দর বলেছেন, আমার মনের কথা। আনন্দ উদ্যাপনের জন্য যে-কোনো ক্রিয়েটিভ কাজই সাদরে গ্রহণ করা যেতে পারে, মূল বিষয়টা হলো মনে আনন্দ লাভ। কিন্তু কেউ যখন কোনো বিষয়কে জোর করে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে চালিয়ে দিতে চায়, সেটা খুব বিরক্তিকর লাগে। আনন্দ উদ্যাপন চাপিয়ে দেয়া যায় না, এটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনের ভেতর থেকে আসে।
বইচা মাছ হলো খলসে মাছের ছোটো সংস্করণ। ভেদা মাছের আরেকটা নাম হলো রয়না।
বইচা মাছ।
রয়না বা ভেদা মাছ।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আসলেই পিডানো লাগে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ সনেট কবি ফরিদ ভাই। শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতার প্রত্যেকটা লাইনই মনে দাগ কাটার মত। তারপরও কবিতার কয়েকটা লাইন খুব ভালো লেগেছে। যেমন;
চুকচুক করে পান্তার পানি খেয়ো, আর উগড়ে দিয়ো তৃপ্তির ঢেকুর-
আহ! বড্ড বাঙালি হলুম!
সকালের পান্তায় ইলিশভাজা - কোন জনমে খাইছিলা,
কইবার পারবা? কোন হালায় শেখালো তোমাগো এ উদ্ভট আদেখলাপনা?
গ্রীষ্মের বাংলায় কোন নদীতে ইলিশ গাবায়? পৌষ-মাঘ-ফাল্গুনে
কিংবা চৈত্র-বোশেখে ঝাঁকাভরা ইলিশ কে দেখেছো, কোন বাজারে?
কারা, কবে সকালের পান্তাভাতে ভাজা ইলিশে পেট পুরেছো?
এই যে গালভরা বুলি ঝাড়ো – বোশেখের সকালে পান্তা-ইলিশ –
এ ‘পোশাকি ঐতিহ্য’ বাঙালির নয়। এসব বুলিবাজেরাও
বাঙালিদের কেউ নয়; বাংলার জনপদে ওদের পদস্পর্শ পড়ে নি।
গরম পান্তায় ইলিশভাজা- কোন হালায় তোমাগো শিখাইছে
এই কৃত্রিম বাঙালিপনা?
ধান্ধাবাজ, পুঁজিবাজ, অর্থখেকো আড়ৎদার আর নির্বোধ
মিডিয়ার তৈরি কৃত্রিম ‘পান্তা ইলিশের বৈশাখ’ ছাড়ো।
তোমরা আবহমান বাংলার কেউ নও, কোনোদিন দেখো নি
বাংলার গ্রাম, বাংলার ঘরে যাপন করো নি একটি নিশুতি,
হে পরযায়ী নাগরিক সকল, তোমরা ঢের ধান্ধাবাজ পরদেশী।
আমার গায়ে জ্বালা ধরে যায়
আমার পিড খালি বাইরায়
আর খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে- যখন শুনি তোমরা বলছো-
পান্তা-ইলিশ হইলো বাংলার ঐতিহ্য।
আমি কবিতা বুঝি না। তারপরও আমাকে এই কবিতাটাকে একটা অত্যন্ত উঁচু মানের কবিতা মনে হয়েছে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি কোনো উঁচু মানের কবি না, নিজেকে কবি বলে পরিচয় দিতেও বড্ড লজ্জা বোধ করি, কবিতার মানও যে ভালো, তাও কখনো দাবি করি না, তবু, কেউ যদি আমার কবিতার কোনো অংশ উদ্ধৃত করেন, কিংবা কোনো কবিতার প্রশংসা করেন, তখন খুব আপ্লুত বোধ করি।
এ কবিতার এতগুলো পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করায় এবং কবিতাটির প্রশংসা করায় অনেক অনেক ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই। শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পুরোনো দিনের গান আজও ভরে মনপ্রাণ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
শায়মা বলেছেন: পান্তা আর লবন হবে বাংলার ঐতিহ্য।
বড়জোর পান্তা আর প্যাজ মরিচ
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সচ্ছল পরিবার এবং যে-পরিবারে সদস্যসংখ্যা বেশি ছিল, তাদের প্রতিবেলাই রান্নাবান্না করতে হতো। কিন্তু অসচ্ছল পরিবারে বিকালে রেঁধে বিকালে ও রাতে খাওয়া হতো; অবশিষ্ট ভাতে পানি দিয়ে রাখা হতো সকালে খাওয়ার জন্য। ভাতে পানি দিলে ভাত নষ্ট হতো না বা পঁচতো না। তখন রেফ্রিজারেটর ছিল না বলে এ কাজ করা হতো।
আমাদের মতো সাধারণ ও অসচ্ছল পরিবারে দেখেছি, সকাল বেলার জন্য সামান্য একটু তরকারি, লাউ মেশানো ডাল, বা টক হয়ে যাওয়া ডাল অবশিষ্ট থাকে; এ দিয়ে সবটুকু পান্তা খাওয়া যায় না। তখন প্রয়োজন পড়ে কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ পোড়া, লবণ আর পেঁয়াজ। সম্ভব হলে আলুভর্তা বা বেগুন ভর্তা।
পান্তা ভাতের সাথে পেঁয়াজ, লবণ আর কাঁচামরিচ বা শুকনামরিচ পোড়া মাখালে যে তা স্বাদ লাগে, এ জিনিসটা যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি খুব মহান ব্যক্তি বা ব্যক্তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে। এ খাবারটা এত স্বাদের বলেই আবহমান কাল ধরে অসচ্ছল, কিংবা সচ্ছল বাঙালিরা এটা খেয়ে আসছিলেন এবং জনপ্রিয়তাও লাভ করেছিল।
আপনার কথাটা যে কত সত্যি তা বলার জন্যই এ কথাগুলো লিখলাম।
শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার আজকের এই কবিতায় যে সমস্ত খাবারের কথা এসেছে, সেগুলো আজ দুপুরে খেতে পারলে মনটা শান্তি পেতো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আজ দুপুরে আপনি কী খেয়েছেন?
কথাটা লেখার পরই ভুল ভাঙলো। রোজার মাসে এ প্রশ্নটা করা অশোভন। আজ রাতে বা সেহরিতে কী খেলেন?
শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আবনমান কাল ধরেই বাংলার ইতিহাসে পান্তা ভাতের সনাতন সংস্কৃতি
এর পরিবেশন ও ভোজন পদ্ধতিতে রয়েছে হাজার বছরের নিয়ম রীতি।
কবিতায় বিষয়টি উঠে এসেছে সুন্দরভাবে ।
বাঙালি জীবনে নববর্ষের আগমন হয় নতুন উদ্দীপনা সঙ্গে নিয়ে। পাশাপাশি আমাদের জাতীয় জীবনের এই সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসবে নানা আয়োজনের মধ্যে পান্তা ভাত একটি আকর্ষণীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
তবে পান্তা ভাতের সাথে ভাজা ইলিশ বড়ই বেমানান এবং স্বাদে গন্ধেও তা তৃপ্তি দায়ক নয়। বরং পান্তা ভাতের সাথে লবন ,
কাচা মরিচ ও পেয়াজ বড়ই মানান সই সহজ লব্য উপকরন । আর সাথে তো রয়েছে এর পুষ্টিগুন।এই জন্যই বাংলা প্রবাদে
বলা হয় ” পান্তাভাতের জল তিন পুরুষের বল”।তবে পান্তা ভাতের সাথে তেলে ভাজা মসলাদার ইলিশ মেশালে তা শরীরকে
করতে পারে বিকল ।
শুভেচ্ছা রইল
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবে পান্তা ভাতের সাথে ভাজা ইলিশ বড়ই বেমানান এবং স্বাদে গন্ধেও তা তৃপ্তি দায়ক নয়। বরং পান্তা ভাতের সাথে লবন, কাচা মরিচ ও পেয়াজ বড়ই মানান সই সহজ লব্য উপকরন । আর সাথে তো রয়েছে এর পুষ্টিগুন। এই জন্যই বাংলা প্রবাদে বলা হয় ”পান্তাভাতের জল তিন পুরুষের বল”। তবে পান্তা ভাতের সাথে তেলে ভাজা মসলাদার ইলিশ মেশালে তা শরীরকে করতে পারে বিকল ।
পান্তাভাতে পানি মেশালে বিশেষ বিক্রিয়ায় তাতে এক শক্তি বা মাদকতার সৃষ্টি হয় বলে শুনেছি, যা শরীরকে সতেজ ও সবল করে তোলে। বাংলার মানুষ, বিশেষ করে গ্রামের কৃষকেরা সকালে পান্তা খেয়ে লাঙল জোয়াল কাঁধে বের হয়ে যেতেন ক্ষেত খামারে। এ পান্তায় সেই শক্তির যোগান বেশ ভালো মতো হতো বলেই আমার মনে হয়। তার প্রমাণও মেলে আপনার উদ্ধৃত প্রবাদ থেকে - ”পান্তাভাতের জল তিন পুরুষের বল”।
বরাবরের মতোই চমৎকার কমেন্ট করেছেন প্রিয় আলী ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ কবিতা পাঠ ও কমেন্টের জন্য।
শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: এই গরমে আমি পান্তা ভাত খেয়েই কাটাচ্ছি।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সঠিক সময়ে সঠিক কাজটিই করছেন রানা ভাই। শুভ নববর্ষ-১৪৩০।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
শায়মা বলেছেন: ব্যক্তি বা ব্যক্তিনি
হা হা হা ভাইয়া তবে অবশ্যই ব্যক্তিনিই হবে।
কারণ মায়েরাই চিন্তা করে কি করে খাবার নষ্ট না করা যায়।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
হ্যাঁ, আপনার চিন্তানিই সঠিক বলে মনে হচ্ছে।
১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া এসব কালকের আয়োজন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও। চমৎকার আয়োজন। আমার ভালো লাগে আপনার গোছানো, নিট অ্যান্ড ক্লিন পরিবেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১৭
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: এখন অনেক কিছু হয়, ভালোর সাথে মন্দ মিশে একাকার। পাড়ার আপার ফেসবুক থেকে তুলে দিচ্ছি, আমাদের সময়ের বৈশাখ উদযাপনের কিছু বৈশিষ্ট্য
"
আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি............... …পারিব কী পাঠাইতে তোমাদের করে......। ১ লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উত্সব। এ উত্সব ৪০/৪২ ধরে পালন করে আসছি। পাড়ার ছেলেমেয়ের সাথেই শুরু করেছিলাম.....
আজ থেকে ৩০ বছর আগে রাজশাহী শহরের গণ্য মান্যা জনসহ আমরা বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছিলাম। শহরের সমস্ত টমটম নিয়ে, মনিবাজার থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বেরিয়ে তালাইমারি হয়ে,গ্রেটার রোড দিয়ে কোর্ট পর্যন্ত। ফিরে এসে কাজীহাটায় মাদার বখ্শ্ গার্হস্থ্য অর্থ নীতি কলেজ কড়ই তলায় বসে কলা পাতায় দই, চিড়া, বাতাসা খাগড়াই খেয়েছিলাম..... সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠান হলো।
আবহমান বাংলার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে দু'জন ছাত্রীকে গ্রামের বর বউ সাজিয়ে ছিলাম। আজ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা......
"