নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
শাঙনগগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে।
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।
উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ।
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ বরখত নীরদপুঞ্জ।
শাল-পিয়ালে তাল-তমালে নিবিড়তিমিরময় কুঞ্জ।
কহ রে সজনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় কান
দারুণ বাঁশী কাহ বজায়ত সকরুণ রাধা নাম।
মোতিম হারে বেশ বনা দে, সীঁথি লগা দে ভালে।
উরহি বিলুন্ঠিত লোল চিকুর মম বাঁধহ চম্পকমালে।
গহন রয়নমে ন যাও, বালা, নওলকিশোরক পাশ।
গরজে ঘন ঘন, বহু ডর পাওব, কহে ভানু তব দাস।
কথা ও সুর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের ইউটিউব লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা
যারা গায়ক, বিশেষ করে রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী, গানের গলা ভালো, তারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন, কতখানি সূক্ষ্ম ও শুদ্ধভাবে গাইতে পারেন।
বন্যা ও লতার গানটি শুনতে চাইলে ইউটিউবে সার্চ দিন, চলে আসবে। আমি বন্যার ভার্সনটি অনুসরণ করেছি।
এ গানটি আগেও বিশদ ব্যাখ্যাসহ পোস্ট করা হয়েছিল। আগ্রহীরা পড়তে চাইলে সেটি ক্লিক করুন এখানে - শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা - একটা অদ্ভুত ও বিচিত্র সুরের রবীন্দ্রসঙ্গীত
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওয়াও, একেবারে নির্ভুল অনুবাদ করেছেন। আপনি শায়মান্দ্রনাথ ঠাকুর, আপনি পারবেন না কে পারবে? এর উপর অবশ্য আগেও পোস্ট দিয়েছিলুম। এখানে
এটা ব্রজবুলি ভাষার গান। লিংকের পোস্টে সংগৃহীত তথ্যাবলি দেয়া আছে। রবিকাকা সম্ভবত ২২খানার মতো ব্রজবুলি ভাষার গান লিখেছিলেন। এ পোস্টের গানটার সাথে আমি প্রায়ই গহন কুসুম কুঞ্জমাঝে গানটির সাথে গুলিয়ে ফেলি। তবে, শাঙন গগনে আমি অনেক বেশি শুনেছি, সেই ৮৯/৯০ থেকেই সুরটা মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। আপনি যেহেতু রবীন্দ্রশিল্পী, বুঝবেন ভালো - এ গানটার সুর খুব কঠিন। প্রায় প্রতিটি চরণেই সুর চেঞ্জ হয়েছে। মনে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য।
কমেন্ট ও লাইক-এর জন্য ধন্যবাদ আপু।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭
পাজী-পোলা বলেছেন: আপনি একবার আমাকে একটা গান লিখতে বলেছিলেন। লিখেছি, সুর ও করেছি আমার অসুর গলায় কিন্তু দিতে ভয় পাচ্ছি, খুবি সাদামাটা কথামালা, যদি আপনার পছন্দ না হয়।
আমি গানের সুর ও ঠিক বুঝি না, কবিতার ছন্দের মত। কিন্তু কেন যেন ভালো লাগলো না। মনেহল কন্ঠে সেই আকুলতা নেই।
অপরাধ মার্জনা করবেন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও বলা হয় নাই, সম্প্রতি আপনার একটা কবিতা আমি রেখে দিয়েছি সুর করবো বলে। কবিতাটার কথাগুলো ভালো লেগেছে এবং কথাগুলো ভিন্নতর। আমি লাস্ট কমেন্ট করেছি যেটায়। তবে, সুর তুলতে পারবো কিনা জানি না। একটা অসাধারণ সুরের দরকার ঐটার জন্য, যেটা কেবল একজন দক্ষ সুরকারের দ্বারাই সম্ভব। যদি পারি, তাহলে তো দেখবেনই
আচ্ছা, আমাকে সুর দেয়ার দরকার নেই। যেটা লিখেছেন, ওটা এখানে পেস্ট করুন, আমি দেখি।
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন আমরা যখন কোনো গান দিনের পর দিন শুনতে থাকি,তখন সে গানগুলোর সুর আমাদের
মগজে ঢুকে যায়, সুর মুখস্থ হয়ে যায়, যদিও লিরিক মুখস্থ নাও হতে পারে ।
আসলেই এটা একটা কঠিন সুরের গান। এক অন্তরার সুরের সাথে আরেক অন্তরার সুরের মিল খুব কম। প্রতি
লাইনেই ভিন্ন ভিন্ন সুর। সুরের এই উঠা নামা মনে রাখা সত্যিই খুবই কষ্টকর।সময়ের অভাবে ও বিভিন্ন টানা
পোড়নে জীবন চলার পথে এখন অনেকটা সময় পারি দিতে হয় হয় । তারপরেও মঝে মধ্যে ইউটিউবে বিশেষ
পছন্দের রবিন্দ্র সংগীত চালু করে দিয়ে লেপটপে পড়াশুনা বা লেখালেখি করি।কান থাকে গানের কথা ও সুরে,
চোখ থাকে স্ক্রিনে ভাসা পাঠে আর হাত থাকে লেখালেখিতে । তবে সে সময়েও কান শুধু গানই শোনে না,
গানের সুর বৈচিত্র নিয়েও মগজ খানিকটা ভাবে । এই যেমন এখন এখানে এই পোষ্টের লিংক দেয়া আপনার
সুললিত কন্ঠে গাওয়া গানটি তন্ময় হয়ে শুনছি এর সুরের কথা ভাবছি আর লিখছি ।
লতা মঙ্গেশকর এবং রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যার কন্ঠেও গানটি আমি শুনেছি বহুবার।তাদের উভয়ের গলার
কারুকাজ, বিশেষ করে রাগাশ্রিত অংশ বেশ উপভোগ্য। এখন আপনার কণ্ঠেও গানটা শুনছি আর লিখছি
এ মন্তব্যখানি । সত্যিই এটি একটি একটা অদ্ভুত ও বিচিত্র সুরের রবীন্দ্রসঙ্গীত, এটা শুনে অদ্ভুত আনন্দ
অনুভূতি লাভ হলো ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এমন মন্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে জীর্ণশীর্ণ, পাতাখোয়ানো গাছটিও। আমি তো রক্তমাংসের মানুষ - আমার মন তো আরও বেশি প্রাণিত হয়ে ওঠে।
আপনার স্বভাবের মতোই আমারও স্বভাবটা চিরকাল - হাতে কাজ করছি, বই পড়ছি, অংক করছি, কিন্তু মুখে গান বা গানের সুর, কিংবা পাশে রেডিও (আমি হেডফোনে খুব কমই অভ্যস্ত ছিলাম)। আর আজকাল তো পিসিই আছে, অবশ্য এখন পিসিতে বেশিরভাগ সময়ই হেডফোন লাগিয়ে শুনতে হয়, পাশে ঘুম-মগ্না স্ত্রীর যাতে ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে আসলে গানই জীবন, গানই প্রেম। সুরের চাইতে অধিক হিরন্ময় কোনো প্রেম নেই পৃথিবীতে।
এ গানটার ব্যাপারে আপনি যা বললেন, আমারও মত একেবারে অনুরূপ। গানটার এই সুর বৈচিত্রই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। রবিকাকার আরো কিছু ব্রজবুলি গান শুনতে হবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আলী ভাই, অসাধারণ এ কমেন্টের জন্য।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২০
পাজী-পোলা বলেছেন: এমন করে কাঁদো কেন- সখি
কেঁদে কী আর হবে
চাইলেই যারে যায় না পাওয়া
সে তো রবেই দূরে।
দু:খ কেন পাচ্ছো- সখি
দু:খ কীসের তরে
যাহার লাগি ভাসালো চোখ
তাহার কী'বা ভাসে?
ভাঙ্গলো যে স্বপ্ন চোখ
ভাঙ্গলো চোখের স্বপ্ন
অজ্রস জল রাশিই
দুখিনি চোখের জনম দু:খ।
কষ্ট রাখো বুকের মাঝে- সখি
কষ্ট কি সে পায়?
বুকের দহন মিটবে কবে
বুকটা যে জ্বলে যায়।
ভেতর জুড়ে তুষের আগুন
বুকটা পুড়ে ছাই।
ওষ্টধরে নামটা এলে
ওষ্ঠও পুড়ে যায়।
কাহার আশায় স্বর্গ গড়ো
কাহার লাগি বাঁধো ঘর
যারেই আপন করলে তুমি
সে তো তোমার রইল পর।
পরের জমি পরের বর
মিথ্যে কেন টানো
নিজের ভুলেই পুড়লে তুমি
কপাল দোষে মরো।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক আছে, আমার কাছে রইল। দেখি কী হয়। শুভ কামনা থাকলো।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কেবল তোমার কথা বলি কবিতাটায় সুর দেয়ার চেষ্টা করেছি। বাকি অংশ পারবো কিনা জানি না। শুধু 'মুখ'-এর অংশ দেখুন। মিউজিক ছাড়া।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি গানের লোক নই, তবুও না বলে পারছিনা, বেশ সুন্দর গেয়েছেন!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক খুশি হলাম প্রিয় মল্লিক ভাই। ধন্যবাদ এবং অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গান।
গানটা আমার খুবই পছন্দ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: শ্রাবণ মাসের গভীর নিশুথী রাতে আকাশে মেঘেদের ঘনঘটা।
কুঞ্জ বনের পথে, কী করে যাবে এই অবলা নারী?
ঝড়ের বায়ু বইছে, যমুনা নদী উতল হয়ছে, মেঘেদের গর্জন শোনা যাচ্ছে,
ক্রমাগত বিদ্যুতের আওয়াজ, গাছ নীচে পড়ে আছে,
এই তান্ডবে থরথর করে দেহ কাঁপছে,
অবিরাম বর্ষণ করে ঝরছে।
শাল পিয়াল আর তাল- তমালের বন অন্ধকার হয়ে আছে।
এইরকম দুর্যোগের দিনেও কৃষ্ণ বাঁশিতে ডাকছে রাঁধাকে?
রাঁধার মনে হচ্ছে মুক্তা দিয়ে তার পোশাক সাজানো হোক,
কপালে সিঁথিপাটি পরিয়ে দেওয়া হোক, আলুথালু বেশ,
শিথিল কেশে চম্পা ফুল।
গানের সহজ মানে
ভানু দাস নিষেধ করছে কন্যাকে এই অভিসারে যেতে।
হিংসুটে ভানু দাস...
ভাইয়া গানটা কিন্তু খুবই ভালো হয়েছে গাওয়া।