নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমার জীবনটা রোমান্টিকতায় পরিপূর্ণ না। প্রেম যে জীবনে আসে নি, তা না, কিন্তু আমার কবিতা লেখালেখি থেকেই আপনারা আন্দাজ করে সত্যটা বুঝতে পেরেছেন যে, এ বাংলার ব্যর্থ প্রেমিকদের মতো আমিও প্রেমে ব্যর্থ হতে পেরেই কবি হতে পেরেছি অন্যভাবে বলা যায় যে, তামাম কবির মতো প্রেমে ব্যর্থ হয়েই আমি কবি হওয়ার যোগ্যতা অর্জনে অব্যর্থ হয়েছি
কেন প্রেমে ব্যর্থ হয়েছি তা পর্যালোচনা করতে গেলে পদে পদে প্রেমক্ষেত্রে আমার অযোগ্যতা, অদক্ষতা ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে আমার কোনো কোচিং করাও হয়ে ওঠে নি
যাজ্ঞে সে কথা, মূল কথায় আসি। শুরুটা পড়ে মনে হতে পারে, এটা একটা রম্য পোস্ট। না, সিরিয়াস কথাগুলো লিখতে গিয়ে কিছু রম্যকথা চলে আসায় লিখে ফেলতে হলো। আমার জীবনের সবচাইতে রোমান্টিক ঘটনার কথাই লিখতে যাচ্ছি। এটার চাইতে অন্য কোনো রোমান্টিক ঘটনার কথা এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না, থাকা সম্ভবও না, যদি থাকতোই, তাহলে সেটার কথাই আমার বেশি মনে পড়তো। অতএব, বলা যায়, আমার স্মরণীয় রোমান্টিক ঘটনা এটাই।
এইচএসসি পাশের পর প্রায় বছর খানেক চলে গেছে। আমি গ্রামে গেছি। একদিন আমাদের গ্রাম থেকে দেড়-দুই মাইল দূরে শিমুলিয়া গ্রামে যাচ্ছি আমার স্কুল-ক্লাসমেট করিমদের বাসায়। আমাদের গ্রাম থেকে সুতারপাড়া গ্রাম, এরপর মালিকান্দা গ্রাম - এখানে আমার হাইস্কুল - মেঘুলা বাজার - কাজী নজরুল গার্লস হাইস্কুল। মেইন রোড থেকে নীচে নেমে গেছে একটা পায়ে-চলা পথ। আধমাইল দূরে করিমদের বাড়ি। সকালে বৃষ্টি হয়েছে। তখন ১০-১১টা হবে। আকাশে উজ্জ্বল রোদ, ছোটো ছোটো সাদা মেঘ দ্রুত উড়ছে। গাছের পাতা নড়ছে। ছায়ারা মাটিতে দাপাদাপি করছে। আমি একমনে হাঁটছি। একটু পরই 'টুন' শব্দ করে একটা রিকশা থামলো সামনে। আমি সম্বিত পেয়ে চমকে থামি। রিকশায় তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই। একটা মেয়ে রিকশায় বসে। তার অবয়বে অস্ফুট হাসির আভা।
'কেমন আছেন?' বলেই আমার দিকে তাকালো।
এ মেয়েটা আমার পরিচিত। এসএসসি পরীক্ষার সময় তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল। করিমদের বাড়ির পাশে ওদের বাড়ি। সেই সময় আমাদের দোহার থানায় এসএসসি পরীক্ষার জন্য সেন্টার ছিল জয়পাড়া - জয়পাড়া পাইলট হাইস্কুল ও জয়পাড়া গার্লস পাইলট হাইস্কুলে যথাক্রমে ছাত্র ও ছাত্রীদের সিট পড়তো। অবসর সময়ে, বিশেষত বিকালবেলায় জয়পাড়া স্কুলের/বাজারের আশেপাশে, উপজেলা সদরের ভেতরে পুকুরপাড়ে সবাই ঘোরাঘুরি করতো। ঐ ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে আড্ডাও হতো, সেই আড্ডায় আমি উপস্থিত হতে পারি নি, কিন্তু কীভাবে যেন আমার নামটা উঠে গিয়েছিল এই বলে যে, আমি কবিতাও লিখি। মেয়েটা আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল। করিম একদিন সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের পুকুরপাড়ে ওকে নিয়ে এসেছিল আমার সাথে দেখা করানোর জন্য। মাত্র ২/৩ মিনিট ছিল সেই সাক্ষাৎপর্ব। এরপরও করিম এবং আরো কয়েকজনের কাছে শুনেছিলাম যে, মেয়েটা আমার ব্যাপারে মাঝেমাঝেই খোঁজখবর নিয়েছে, পরীক্ষা কেমন হচ্ছে, কবিতা লেখা কেমন চলছে, ইত্যাদি। পরীক্ষা শেষের দিন আরেকবার দেখা হয়েছিল, আমরা যখন জয়পাড়া থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত যাচ্ছি। কিন্তু সেদিনও কথা হয় নি।
এরপর আরো একবার ওদের গ্রামে একটা কী অনুষ্ঠানে যেন দূর থেকে দেখেছিলাম, যদ্দূর মনে পড়ে আমি আর আমার আরেক ক্লাসমেট সুতারপাড়ার সোহরাব ছিলাম একসাথে। সেই দেখাটাও অদ্ভুত ছিল - ওর দিকে চোখ পড়তেই দেখি, ও হাত দিয়ে নির্দেশ করে ওর পাশের এক বান্ধবীকে আমাকে দেখাচ্ছে - হয়ত বলছিল - দেখ দেখ, ঐ যে সেই কবি ওটাও ছিল ১০-১৫ সেকেন্ডের মতো। তারপর মুহূর্তের মধ্যে সে উধাও হয়ে গেল, আমিও লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে সোহরাবের সাথে আপন কর্মে মন দিলাম
'কেমন আছেন?' প্রশ্নে আমি যথাস্বভাবে লাজুক স্বরে বলি, ভালো আছি। আপনি ভালো তো?
হ্যাঁ ভালোই।
কই যান? জিজ্ঞাসা করি।
কলেজে।
যদ্দূর মনে পড়ে, সে বলেছিল সে জয়পাড়া কলেজে অনার্সে বা ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছে।
আচ্ছা, এখানেও ৩/৪ মিনিটের মধ্যেই আমাদের দেখার পালা শেষ।
হয়ত এখানে আপনারা কোনো রোমান্স খুঁজে পান নি। কিন্তু মরুভূমিতে দীর্ঘদিন পর এক পশলা বাতাস আর কিছু গুঁড়োবৃষ্টিই কত মূল্যবান, তাই না? আমার প্রেমহীন জীবনে এটার স্থিতি ও মূল্য এতখানিই।
গল্প এখানেই শেষ না, আরেকটু আছে।
আমি করিমদের বাড়ি যাই। ওর সাথে দেখা করে চলে আসি।
গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার মাসখানেক পর করিমের একটা চিঠি পাই। চিঠি পড়ে আমার সমস্ত আবেগ যেন জলোচ্ছ্বের মতো আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। করিম লিখেছে, তুই আমাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই জুঁই এসেছিল তোর সাথে দেখা করার জন্য। ওর এ কথায় আমি বার বার, শতবার, হাজারবার মরমে মরে যেতে লাগলাম। একটা মেয়ে কলেজে যাওয়ার পথ থেকে ফিরে এসে আমার সাথে দেখা করার জন্য ছুটে আসবে, তা আমি কোনোদিনই ভাবি নি। ওর জন্য আমার এমন কোনো ভাবনাও কখনো গড়ে ওঠে নি যে, সে আমার কথা ভাবে। সে যে আমার কথা ভাববে, ভাবতে পারে, এমনটা কোনোদিনই আমার মনে হয় নি, সত্যিকারেও সে কোনোদিন আমার কথা ভেবেছে কিনা, তাও জানার কোনো সুযোগ নেই, আজও নেই। অন্যদিকে, আমিও এসএসসির পর তাকে নিয়ে কখনো ভেবেছি বলে মনে পড়ে না। কিন্তু করিমের এ চিঠি সত্যিই আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
মেয়েটির সাথে সেদিন দেখা হলে কী কথা হতো, ওর মনে কী ছিল, কেনই বা সে কলেজে না গিয়ে ফিরে এলো, বা আমাদের পুনর্বার দেখা হওয়ার পরিণতিই বা কী হতে পারতো, তা একটা অসমাপ্ত উপন্যাসের মতোই রয়ে গেছে।
কোনো রোমান্স পান নি, তাই না? হ্যাঁ, সব রোমান্টিক ঘটনাই সবার কাছে রোমান্টিক নাও মনে হতে পারে, আবার একেবারে মামুলি গল্পও মনে হতে পারে। কিন্তু একবার ভাবুন, আমাদের সেই হাইস্কুল জীবনে, যেখানে ক্লাসমেট মেয়েদের সাথে কথা বলারও সুযোগ ছিল না প্রয়োজন ছাড়া, কোনোদিন কোনো এক ক্লাসমেট আমাদের কারো দিকে একমুহূর্ত তাকালেই আমরা তা নিয়ে একেকজন গল্প করতে করতে পাগল হয়ে যেতাম, সেই মরুময় জীবনে দৈবাৎ কোনো মেয়ে যদি আমার সাথে দেখা করার জন্য ছুটে আসে, তা আমার জন্য কতবড়ো ঘটনা হতে পারে, আর আমি যদি সেই মুহূর্তটা কোনোভাবে মিস করে ফেলি, তা কত বেদনাময় ট্র্যাজেডি হতে পারে!
মেয়েটির নাম 'জুঁই' না, আসল নাম ভুলে গেছি অনেক আগেই। করিমকে অবশ্য একদিন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কিন্তু কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছিল।
প্রায় ৪০ বছর আগের কথা। ঘটনার মধ্যে আরো কিছু খুটিনাটি, টুকরো গল্প ছিল, যেমন, আমাকে দেখে আমার হাতে জুঁইয়ের ৫টাকা তুলে দেয়া, করিম সেই ৫টাকার সাথে আরো ৫টাকা যোগ করে ১বস্তা চানাচুর কিনে জুঁইকে দিয়ে আসা, এরপর এ নিয়ে কারো কারো সাথে মজার মজার আলোচনা করা - বেশ কিছুদিন চলেছিল।
করিম ছাড়া আর কে কে এ ঘটনার কথা জানতো, বা আর কার কার সাথে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তাও মনে নেই। তবে, সেই সময়ের ইউএনও'র ছেলে আজাদ (আমাদের সাথে এসএসসি দিয়েছিল) এটা জানতো। শেরখান আর আমি এক রুমে থেকে এসএসএসি দিয়েছিলাম (হেলথ কমপ্লেক্সের যে-রুমটি শেরখানের মামাই আমাদের জন্য যোগাড় করেছিলেন)। শেরখানের সাথে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে অনেক আলোচনা করেছিলাম, যদিও ঠিক মনে নেই
জুঁই বেঁচে আছে, কী বেঁচে নেই, সেই খবরও জানি না। কিছু কিছু খবর না জানার মধ্যে যেমন একটা সুগভীর বেদনা আছে, সেই বেদনায় একটা অমোঘ মাধুর্যও আছে; আমি এ বেদনাময় মাধুর্য নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।
ইন্টারেস্টিং ঘটনা হলো, এ ঘটনাকে নিয়ে আমার একটা উপন্যাস ও একটা ছোটোগল্প, সর্বশেষ একটা ছোট্ট গানও লেখা হয়ে গেছে। ঘটনাটি আমার জীবনে আদৌ কোনো প্রভাব ফেলে নি, কিন্তু স্কুলজীবনের উপর ভিত্তি করে একটা গল্প লিখতে গিয়ে সেটা হয়ে যায় উপন্যাসের গোড়াপত্তন, সেই উপন্যাসকে সমাপ্তি পর্যন্ত টেনে নেয়ার জন্য একটা কাহিনির প্রয়োজন ছিল- সেই কাহিনিকে গড়তে যেয়েই জুঁই চলে আসে 'প্রেমিকা' হিসাবে, যদিও পুরো গল্প জুড়ে 'প্রমীলা'কেই প্রধান নায়িকা হিসাবে দেখা যায়। রেফারেন্স হিসাবে সেগুলোর লিংক দিলাম নীচে।
লিংক
===
অন্তরবাসিনী, উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৪ : Click This Link
ছোটোগল্প : আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম - এ গল্পটা বেশ কয়েকবার ব্লগে শেয়ার করা হয়েছে। নীচের লিংকেও একই গল্প, তবে, প্রতিবারই কিছু না কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে। এটা হলো সর্বশেষ পরিমার্জিত রূপ।
https://www.somewhereinblog.net/blog/farihanmahmud/30337744
গান : ও সুজানা, তুমি এখন কোথায় আছো - Click This Link
২২ এপ্রিল ২০২৪ যোগ করা হলো নীচের অংশটি
আমার স্কুলজীবনের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবুল কালাম শের খান, এসএসসি পরীক্ষার সময় যার সাথে আমি এক রুমে থাকতাম, যে জুঁই-সম্পর্কিত ঘটনাবলি পূর্বাপর জানতো, আজ ২২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে আমার বাসায় এসেছিল। সম্ভবত ২০০৭ সালের পর এই প্রথম ওর সাথে দেখা। অন্তর থেকে অনেক কথা অগ্নিলাভার মতো টগবগিয়ে উঠে এলো, এতদিনের জমানো কথাগুলো খইয়ের মতো ফুটছিল দুজনের মুখে। কথায় কথায় হঠাৎ শের খান উচ্চারণ করলো ‘রানু’। আরো দু’বার – ‘রানু’। ‘রানু’। আমি জিজ্ঞাসা করি, রানু কে? শের খান অবাক হয়ে উলটো প্রশ্ন করে, ‘তুই ভুলে গেছিস?’ কয়েকটা সেকেন্ড, তারপর স্মৃতিতে তুমুল ভাস্বর হয়ে উঠলো নামটি। এ নামটি আমি কত খুঁজেছি, অর্থাৎ, এ নামটি আমি কত সহস্রভার, কতভাবে মনে করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু মনে করতে পারি নি। শেষ বার কবে এ ‘রানু’ নামটি আমার মনের কুঠরিতে স্থিত ছিল, তারপর কবে তা হারিয়ে গিয়েছিল, আমি বিলকুল টের পাই নি। ২০০৩/৪ সালে আমি ‘অন্তরবাসিনী’ লিখতে শুরু করি; ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের মূল চরিত্র বা নায়িকাটিই হলো রানু। কিন্তু ঐ সময়ে আমি এ নাম মনে করতে পারি নি। লজ্জার কারণে করিম বা আর কাউকে জিজ্ঞাসাও করি নি। অবশ্য, অন্য কারো মনে যে এ ঘটনা গেঁথে থাকতে পারে, তাও আমি ভাবি নি তখন। আর, দৈবাৎ যদি ‘রানু’ নামটি মনে পড়তোও, নিশ্চিতভাবেই উপন্যাসে এ প্রকৃত নামটি দেয়া হতো না।
রানুকে নিয়ে আমি উপন্যাস লিখেছি ঠিকই, যদিও রানুই গল্পের মূল চরিত্র, কিন্তু বাস্তবে রানুর প্রতি আমার কোনো প্রেম গড়ে ওঠে নি। ঐ ঘটনাটাকে একটা গল্পের প্লট হিসাবেই ব্যবহার করেছি মাত্র।
ওর প্রতি আমার কোনো মোহ বা টান জন্মায় নি বলেই ওর কোনো খোঁজখবরও নেয়া হয় নি কোনোদিন। পথে যেতে যেতে কত মানুষকে পাশ কাটিয়ে যাই, কতজন চলে যায় পাশ দিয়ে, দিন শেষে কারো কথাই মনে থাকে না। রানু হয়ত এমনই একজন পথচারিণী ছিল।
শের খান জানালো, রানু আর বেঁচে নেই। কয়েক বছর আগে মারা গেছে। ক্যান্সার হয়েছিল। আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারি নি, আমার এ গল্পটির মতোই রানু পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে।
ফুটনোট লেখার তারিখ : ২২ এপ্রিল ২০২৪
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আসলে এ মেয়ের সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্কই ছিল না। কিন্তু ঘটনাটা খুব রোমান্টিক। কাহিনি থেকে কি মনে হয় আমাদের প্রেম ছিল?
কবিতা লিখি তো সেই বাচ্চা বয়স থেকেই, যখন জানিও না কবিতা বা ছড়া কী এখানে কিছুটা বোঝা যায় - আমার প্রথম কবিতারা
প্রথম লাইক ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: জীবনে আমিও তো প্রেমে ব্যর্থ হয়েছি তবে আমি তো কবি হইতে পারলাম না !
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখক আর কবিকে এখানে সমার্থক ধরে নিতে হইবেক
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: আসলে এখনকার দিনের মানুষেরা এই ঘটনার মাঝে খুব একটা রোমান্স খুজে পাবে না। তবে স্কুল শেষে কলেজে উঠার বয়সে এই দেখা গুলো যে কত মনদোলানো হতে পারে, রাত পর রাতের ঘুম হারাম করে দিতে দিতে পারে তা যারা এর অভিজ্ঞতা নিয়েছে কেবল তারাই জানে !
কবি না হতে পারলেও এমন রোমান্টিক অভিজ্ঞতা আমারও কিছু কিছু আছে ! সেই ক্লাস টেনের প্রেমের কথা মনে করিয়ে দিলেন !
না, কবিতা লেখা অনেক কঠিন একটা কাজ । কবি আর লেখক এক কাতারের নয় !
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
ঐ সময়ে দুটো ছেলেমেয়ে মুখোমুখী দাঁড়িয়ে, পাশাপাশি বসে কথা বলবে, এটা সহজ ছিল না। এখন তো আমার বাসায়ই, আমার ছেলেদের কাছে দলে দলে ছেলেমেয়ে আসছে, একত্রে বসে আড্ডা দিচ্ছে, গান গাইছে, দল বেঁধে ঘুরছে। এটা আমরা কোনোদিন কল্পনাও করতে পারি নি।
কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় (ঢাকা কলেজ) একটা ছেলের সাথে দেখলাম একটা মেয়ে (ওর বোন হবে হয়ত) ঘোরাঘুরি করছে (ঢাকা কলেজ শুধু ছেলেদের কলেজ)। কয়েকবার সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করলো। একবার হটাৎ করে কী যেন একটা প্রশ্ন করে বসলো, প্রশ্নটা মনে নেই, 'এখানে যে ছেলেটা নোট বিক্রি করছিল, সে কোথায় গেল, জানেন?' এ ধরনের একটা কথা। ওরে আল্লাহরে আল্লাহ, তাতেই মনে হলো আমি পাইলাম, ইহারে পাইলাম বেশ কয়েকদিন একটা রোমান্টিসিজম মনের মধ্যে কাজ করছিল
হ্যাঁ, সবার জীবনেই প্রেম আসে আশা করি আপনার রোমান্টিক ঘটনাগুলোও জনগণকে জানাবেন।
যেহেতু গদ্য-কাব্য সব ভুবনেই ঘোরাফেরা আছে, আপনার সাথে একমত, কবিতা লেখা একটু কঠিনই বটে, যদিও আমার কবিতা ঐ লেভেলের না। তবে, ভালো সাহিত্য রচনা কঠিনই বটে, তা কবিতা হোক, বা গদ্য।
আবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর ভাই। ভালো থাকবেন।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: তুমি না থাকলে,গানটা মনে পড়ে গেলো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যদিও যাকে নিয়ে আমার এই পোস্ট, তার জন্য এ গানটা যায় না, তবু যেহেতু গানটার কথা বললেন, একবার আমি শুনে নিলুম, আর আপনাকে এবং পাঠকদেরও শোনার আমন্ত্রণ জানাইলুম
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইহা ছিল বড় প্রেম।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তা তো বটেই, তাই তো আমারে দূরে পাডাই দিছে
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নির্ঘাৎ এটা একটা রোমাণ্টিক ঘটনা, ঘটনা বলবো না দুর্ঘটনা সেটা ভাববার বিষয়। আপনি সেই হুঁচট এখনো ভুলতে পারেননি; যা আপনার লেখার প্রতিটি অক্ষরে-অক্ষরে ফুটে উঠেছে। এখনো যাকে হৃদয় থেকে ভুলতে পারেন নি, যাকে নিয়ে উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও গান লেখা হয়ে গেছে তার কোন খবর নেওয়ার প্রয়োজন কি কখনো বোধ করেছেন? বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে 'এখন উনি আছেন কেমন?'
তবে রঙ্গ করে হোক আর সিরিয়াসলি হোক, আপনি কিন্তু কবি হয়ে উঠার সার্থকতা তাকে দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে কিছুটা শান্তনা দিতে পারছেন, এটাও একটা তৃপ্তি, তবু অপূর্ণাঙ্গ। আমি প্রেমিক হারা কবিদের কবিতা থেকে প্রশান্তি বা তৃপ্তি সবই ভোগ করা লোক, তবে তাদের ব্যক্তিজীবনের এই ব্যর্থতার দায় স্বীকার পছন্দ করা লোক না।
আপনার কবিতা আরো আনুখা হয়ে উঠুক, আপনার লেখায় ফুটে উঠুক সার্থকতা; এটাই কাম্য।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সৈয়দ তাজুল ইসলাম ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই দীর্ঘ এবং সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য।
আসলে এটা দুর্ঘটনা তো নয়ই, ঘটনা কিনা তা নিয়েও এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে। এ ঘটনাকে উপজীব্য করে উপন্যাস লেখা শুরু করি ২০০৩-এর দিকে, যাতে এ ঘটনাটা স্রেফ একটা উপলক্ষ বা পটভূমিকা হিসাবেই কাজ করেছে। তবে, এ উপন্যাস ও ছোটোগল্প এবং গানটা ছাড়া এ ঘটনাকে নিয়ে আমার কোনো কবিতাও নাই, এ ঘটনা আমার জীবনে কোনো প্রভাবও ফেলে নি। স্কুল জীবন নিয়ে একটা গল্প লিখতে যেয়েই মনে হয়েছিল, এ ঘটনাটাকে কেন্দ্র করেই তো লেখা যায়, তাতে কিছু কাহিনি ও রস যোগ করতে হবে আর কী, ব্যস, এভাবেই লেখা শুরু ও শেষ।
তারপর কীভাবে বেদনাময় ট্র্যাজেডির নায়ক হই, তা অন্য কাহিনি। সেটি নানা কারণে আমাকে গোপন রাখতে হয়।
ভালো থাকবেন প্রিয় সৈয়দ তাজুল ইসলাম ভাই। শুভেচ্ছা।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওই বয়সের অনুভূতি অন্য রকম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানে আমার মনে হচ্ছে, শুধু বয়সই না, সময় বা যুগেরও একটা আলাদা আবেদন আছে। বর্তমানে ছেলেমেয়েদের মধ্যে যেমন অসংকোচে ও অবাধে মেলামেশার একটা সুযোগ আছে, আমাদের সময় তা ছিল না। বলে প্রেম বা রোমান্স ব্যাপারটা আরো বেশি মিস্টিরিয়াস ও চার্মিং ছিল।
কমেন্ট ও লাইক-এর জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাধু।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবির আঙুল যখন কবিতার মালা গাঁথে
তার স্মৃতি কথা কিছু মেশায় তারই সাথে
আর পরশ লাগে গল্প কবিতার পরতে পরতে
পাঠে মোরা রস তার কিছু পাই নব অনুভবে
এসব কথা বলতে পাইনা ভয় কবির অভয়ে ।
যে স্মৃতি হতে পারত রোমান্সের রঙে ছাওয়া
হয়েছে সে অন্তপুরবাসিনী উপনাসের নায়িকা
মনে হয় ঐ উপস্যাসের পাতার ফাকে ফাকে
গন্ধবিলাসী মুকুল ধরে আছে থোকে থোকে
এরই রেশ ধরে এতদিন তো ছন্দে-বাঁধা অনেক
কবিতা গান ছড়া বিরাজে নব ডালা পালা মেলে
তাইতো এই পোষ্টের সাথে জুরে দেয়া ডালাগুলি
ধরে দেখে এলাম অন্তরপুরবাসিনী উপন্যাসের
নায়িকাকে আর সুজনা এখন কোথায় আছে ?
মুগ্ধ হলাম সেসব পাঠে আর তন্ময় হয়ে শুনতে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যে স্মৃতি হতে পারত রোমান্সের রঙে ছাওয়া
হয়েছে সে অন্তপুরবাসিনী উপনাসের নায়িকা
মনে হচ্ছে, আমার এ ঘটনার ক্রাক্স আপনি এ দু লাইনেই প্রকাশ করে দিয়েছেন অসাধারণ দক্ষতায়। পুরো ঘটনাটি সাবলীল কাব্যগাঁথুনিতে বেঁধে দিয়েছেন, যা আপনার কাব্যশৈলীকেও প্রকাশ করেছে। বরাবরের মতোই মুগ্ধ হলাম এবং উজ্জীবিত হলাম কমেন্টে, প্রিয় আলী ভাই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: যতটা না প্রেম এসে ধরা দিয়েছে তার চাইতেও বেশী প্রেমকে ধরে রাখা হয়েছে গল্প উপন্যাস গানের জন্যে। ছোট এই প্রেমটা দেশলাই কাঠির কাজ করেছে, প্রেম লিখতে গেলেই সেটা হয়ে আসছে উপজীব্য উপকরণ। প্রেমিকা তুমি চলে যাও প্রেমটা রেখে দিলাম অবস্থা
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ছোট এই প্রেমটা দেশলাই কাঠির কাজ করেছে। কথাটা দারুণ বলেছেন কিন্তু। তবে, এ ঘটনাকে কোনোদিনই আমার প্রেম বলে গোনায় ধরি নি, এটা প্রেম ছিলও না, তবে, প্রেম সংঘটিত হতে পারতো ঐ দিন - যেদিনের কথা এ পোস্টে বলা হয়েছে।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ছড়াকার।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: পড়তে পড়তেই ভাবছিলাম এটাতো আগে পড়েছি!!! শেষে এনে বুঝতে পারলাম ঠিক ধরেছি
এটা অবশ্যই প্রেম!! সে যুগে অজ পাড়া গায়ে এরকম একটি মেয়ে আপনার খোঁজ নিয়েছে তার অর্থ ধরার জন্য শাবানা-রাজ্জাকের ছবি না দেখেই বোঝা যায়।
তবে ভুল ধরছি...
জুুঁইতো আপনার কবিতা পড়েই আপনার প্রেমে পড়েছিল। তাহলে প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আপনি কবি হোন নাই। মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার জন্য কবি হয়েছেন.....................হাহাহাহাহা
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এটা অবশ্যই প্রেম!! সে যুগে অজ পাড়া গায়ে এরকম একটি মেয়ে আপনার খোঁজ নিয়েছে তার অর্থ ধরার জন্য শাবানা-রাজ্জাকের ছবি না দেখেই বোঝা যায়। )
আপনি যেহেতু এত করে বলছেন, এটা কি প্রেম না হয়ে যায়?
তবে ভুল ধরছি...
জুুঁইতো আপনার কবিতা পড়েই আপনার প্রেমে পড়েছিল। তাহলে প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আপনি কবি হোন নাই। মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার জন্য কবি হয়েছেন.....................হাহাহাহাহা
হাহাহাহাহা। আপনি তো দেখি আমারে হাসাইতে হাসাইতে মাইরাই ফালাইবেন
কয়েকজন ভালো ছাত্রের তালিকায় ছিলাম আমরা যেমন কয়েক ভালো ছাত্রীদের নিয়া আলোচনা করতাম, ওরাও তেমনি এ আলোচনার টেবিলেই ওরা জানতে পারে, সোনামিয়া কবিতাও লেখে তার পরের কাহিনি তো উপন্যাস তবে আফসোস, আমরা যাদের নিয়া আলোচনা করতাম, তারা কেউ আমাদের প্রেমিকা ছিল না, কারণ কারো প্রেমিক হবার মতো যোগ্যতা ছিল না যে
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: নাহ প্রেম করার কোন যোগ্যতাই আপনার নেই
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই যে, আসল কথাটা আপনিই ধরতে পেরেছেন তবে, প্রেম যারা করেছে, আমাদের ক্লাসমেট, সিনিয়র কিংবা জুনিয়ররা, আমি দেখেছি, ওদের কথাবার্তা, চালচলনে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা শিখতে হলে আমার মতো অপ্রেমিকের জন্য কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়া আবশ্যক কিন্তু আবারও আফসোস, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও কোনো Love Making Coaching Centre ধরনের কিছু আছে কিনা, তা তখনো জানতাম না, এখনো জানি নাহ
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
নতুন বলেছেন: জীবনে প্রেম করতে পারলাম না।
যাদের ভাবনায় আবেগের চেয়ে যুক্তি বেশি তারা সম্ভবত প্রেম করতে পারেনা...
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যাদের ভাবনায় আবেগের চেয়ে যুক্তি বেশি তারা সম্ভবত প্রেম করতে পারেনা... / আপনার কথাটাকে সাপোর্ট করলাম। আমিও অবশেষে প্রেমে পড়েছিনু একদা কিন্তু আমি সেখানে সফল হতে পারি নি আমারও সম্ভবত আবেগের চাইতে যুক্তি ছিল বেশি।
জীবনে প্রেম করতে পারলাম না। আপনার জন্য অনেকগুলো সহানুভূতি রহিল নতুন ভাই
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার স্ত্রী এর সাথে রোমান্টিক ব্যাপারটি আছে কি?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার সেটেল্ড ম্যারেজ। তবে, আমার স্ত্রীকে স্ত্রী মনে হতো না, মনে হতো সে আমার দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা। রাস্তায় ঘোরাঘুরির সময়ও মানুষ যে তাই মনে করতো, তা মানুষের রিঅ্যাকশন থেকে বোঝা যেত।
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
নাহল তরকারি বলেছেন: হায় হায়। বোকার মত সবার সামনে প্রশ্ন করে ফেললাম?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, ভাইবোন, শালা-শালিদের নিয়ে তো আমার পোস্ট, গল্পের শেষ নাই। আগে এসব নিয়ে কেউ কেউ ফানও করতেন। যাই হোক, আপনার জন্য খুঁজে পেলুম একটা, এই নিন
চুরি করে বউয়ের রূপ দেখতে দেখতে আজকের দিনটা কাটালাম
১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মেয়েটির নাম 'জুঁই' না, আসল নাম ভুলে গেছি অনেক আগেই।
এ ঘটনাকে নিয়ে আমার একটা উপন্যাস ও একটা ছোটোগল্প, সর্বশেষ একটা ছোট্ট গানও লেখা হয়ে গেছে।
যারা জন্য অন্তরটা এখনও পোড়ায়, তার নাম ভুলে গেছি, এই কথা ভাইজান কলাকোপা বাজার থেইক্কা রসমালাই কিন্না খাওয়াইলেও বিশ্বাস করুম না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যারা জন্য অন্তরটা এখনও পোড়ায়, তার নাম ভুলে গেছি, এই কথা ভাইজান কলাকোপা বাজার থেইক্কা রসমালাই কিন্না খাওয়াইলেও বিশ্বাস করুম না।
হাহাহাহাহাহা। না, তার জন্য অন্তরটা পোড়ায় না এজন্য আমি খুবই খুশি, তবে, শেষ পর্যন্ত অন্তর পোড়ার কম্মটি ঘটে গিয়েছিল, যদিও নায়িকা ছিলেন ভিন্ন একজনা
কলাপা'র নাম শুনে অনেক নস্টালজিক হলুম। লঞ্চের যুগে দীর্ঘ ২-৩ মাইল পাঁয়ে হে!টে আড়িয়াল বিল পার হয়ে, বক্স-নগর কলাকোপায় এসে লঞ্চে চড়তে হতো, তারপর সদরঘাটের ঢাকা
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। আমি পরে এসে আলাদা করে প্রত্যের কমেন্টের রিপ্লাই দিব।
১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৬
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কখনো মনে হয় ভালোবাসি ,
আবার মনে হয় বাসি না,
বলো তো তোমারও অবস্থা ঠিক
আমার মতোই হয় কিনা?
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনি বার বার আমাকে মুগ্ধ করেন এবং ভালোবাসায় ঋণী করেন।
কবিতাটি পরে এডিট করা হয়েছে এভাবে :
আজ মনে হয় খুব ভালোবাসি
কাল মনে হয় বাসি না
বলো তো তোমারও অবস্থা ঠিক
আমার মতোই হয় কিনা
আমারও কিন্তু এই মনে হতো-
ভালোবাসো তুমি হয়ত।
তোমার ঔদাসীন্যে বুঝেছি -
এ কথা সত্য নয় তো।
সিকোয়েল ৪৫, পৃষ্ঠা নম্বর-৮৩, অন্বেষা, কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশকাল - অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০০৫
১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আহা বেশ বেশ।
১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জুন বলেছেন: ছাই ভাই আপনার লেখাগুলো আমার ভালো লাগার একটাই কারন তা হলো আপনার লেখায় আমার দেশের মাটির ঘ্রান নাকে এসে লাগে। খুজে পাই সেই লতা পাতায় জড়িয়ে থাকা আমার মায়াবী গ্রাম। আমার দাদা দাদীর কবর। সেই চিরচেনা জয়পাড়া, দোহার, মেঘুলা, ইছামতী, খালপাড়ে দাড়িয়ে লঞ্চের আনাগোনা দেখতে পাওয়া।
জুই আমার এক খালার নাম
অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু, আপনার কমেন্টের পর আমার কিছু পুরোনো লেখা, বিশেষ করে কবিতা খুঁজলাম, যেখানে এ নামগুলো আছে। এ নামগুলো নেই, তবে দোহারের মাটির গন্ধ হয়ত কিছুটা পাবেন এ কবিতায় - আমাকে যদি একটা বর দেয়া হয়
আপনার জুই খালাকে আমার সালাম, আপু। তবে গল্পের জুঁই কোথায় আছে, আমি জানি না। তবু চলুন, আমরা সবাই তার কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দিই
২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: সেদিনই পড়েছিলাম! আসলেই চরম রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার!!
যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝবে
হোমোসেপিয়েন্সরা এইতো দু যুগ আগেও একটা মেয়ের বাকা চাহনী বা এক চিলতে হাসিতে পাগল প্রায় হয়ে যেত। এই ইভ্যুলেশনটা সবচাইতে দ্রুতগতিতে হোল। মানুষের জীবন থেকে চমৎকার সেই আবগটা হারিয়ে গেল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আসলেই চরম রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার!!
যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝবে
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলেছেন পরের লাইনগুলোতে।
হোমোসেপিয়েন্সরা এইতো দু যুগ আগেও একটা মেয়ের বাকা চাহনী বা এক চিলতে হাসিতে পাগল প্রায় হয়ে যেত। এই ইভ্যুলেশনটা সবচাইতে দ্রুতগতিতে হোল। মানুষের জীবন থেকে চমৎকার সেই আবগটা হারিয়ে গেল।
আমাদের কাছে প্রেম বা রোমান্স বলতে যা ছিল, তার মূল্য এখন একেবারেই নাই। এবং পরিবর্তনটা আসলেই খুব দ্রুত ঘটে গেল
২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এমন আবেশ ছাড়ানো মিষ্টি গল্প হয়ত একটা বয়সে সবার থাকে
আপনার লেখায় ভালোলাগা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু, সবার জীবনেই কিছু না কিছু মিষ্টি রোমান্টিক সময় বা মুহূর্ত অবশ্যই থেকে থাকবে। আমার জীবনেও আরো আছে, তবে সবচাইতে রোমান্টিক ঘটনা মনে হয়েছে এটাকেই।
পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি সুখপাঠ্য রচনা। + +
ভালোবাসার ইন্দ্রজাল, বাস্তব কিংবা অলীক, ব্যতীত কেউ কবি হতে পারে না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভালোবাসার ইন্দ্রজাল, বাস্তব কিংবা অলীক, ব্যতীত কেউ কবি হতে পারে না।
সর্বাংশে সত্য মনে হলো কথাটাকে। এর ব্যতিক্রম কেউ আছেন বলে আমার মনে হয় না।
সুন্দর কমেন্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার।
২৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
TomHiddleston বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার জীবনের এই রোমান্টিক ঘটনা নিয়ে শুনতে। আপনার লেখা পড়ে অনুভূতি হয়েছে যে, আপনি কবি হতে পেরেছেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে অনুভূতি হয়েছে যে, আপনি কবি হতে পেরেছেন।
জেনে ভালো লাগলো। তবে, কবি হতে পারা সহজ কম্ম নহে
আমার জীবনের রোমান্টিক ঘটনা আপনার ভালো লাগলো জেনে আমি আনন্দিত। শুভেচ্ছা রইল।
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: আসলেই দুর্দান্ত রোমান্স। সত্যিই এই একটু কথা। সাক্ষাৎ, অল্প বলা।
তার থেকে বড় কথা- কেউ আপনাকে আপনার সত্তা'কে কবি বলে স্বীকার করেছে। এবং আপনাকে খুঁজেছে অথবা আপনার কবি'কে খুঁজেছে। শুদ্ধভাবে খুঁজেছে।
বস্তুতই সবচেয়ে বড় রোমান্স এটাই হতে পারে।
আপনি যতবার পাঠকদের বলেছেন যে, এই গল্পে হয়ত রোমান্স খুঁজে পান নি। --
ততবার আঘাত পেয়েছি। না না, কবি---
পাঠক হিসেবে এতটা স্থূল আমরা না।
এটা আবার বলে দিয়ে প্রমান দিলাম যে আসলেই আপনার এই গল্পে হয়ত রোমান্স খুঁজে পান নি। -- লেখাটা দরকার ছিল। হাহা
ভালো লেগেছে ভাইয়া।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনি যতবার পাঠকদের বলেছেন যে, এই গল্পে হয়ত রোমান্স খুঁজে পান নি। --
ততবার আঘাত পেয়েছি। না না, কবি---
পাঠক হিসেবে এতটা স্থূল আমরা না।
এটা আবার বলে দিয়ে প্রমান দিলাম যে আসলেই আপনার এই গল্পে হয়ত রোমান্স খুঁজে পান নি। -- লেখাটা দরকার ছিল। হাহা
অসাধারণ বলেছেন। আমার মনের কথাটা হুবহু ধরে ফেলেছেন। অভিবাদন আপনাকে।
আপনার পুরো কমেন্টটিই ভালো লাগলো। সবগুলো ফাইন্ডিং খুবই গুরুত্ববহ। একজন মেধাবী কবির পক্ষেই এটা সম্ভব।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জাহিদ অনিক।
২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
TomHiddleston বলেছেন: [http://example.com/ Key]
[[http://example.com/|Key]]
[This link](http://example.net)
[KEY]: http://example.com/
example
Key: http://example.com/
[url=https://example.com/]example[/url]
"elden ring":https://eldenringwiki.io/
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ট্রাই করেছি কয়েকবার, বুঝি নাই। একটু প্লিজ এক্সপ্লেইন করুন, কীসের লিংক এটা।
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯
রবিন.হুড বলেছেন: আপনার লেখার সাথে আমার স্কুল জীবনের কিছুটা মিল আছে। আবেগের চেয়ে যুক্তি বেশি থাকায় আমি কারও সঙ্গে প্রেম করতে পারিনি। আমাকেও কেউ কখনও ভালোবেসে কাছে ডাকে নি। তবে স্কুলে পড়ার সময় আমার থেকে দুই বছরের জুনিয়র একটা মেয়ে আমার হ্রদয়ে দোলা দিয়েছিল। সেই দোল থেকে “ অব্যক্ত ভালোবাসা” শিরোনামে একটা উপন্যাস লেখার চেষ্ট করছি গত দুইযুগ ধরে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩
শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া!
তবে যাই বলো......তার জন্য তুমি কবি হয়েছো ........এটা কিন্তু লাভ!