![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ বচর নিজের জেলা আর ৬ বচর ধইরা ঢাহায় থাইক্যা থাইক্যা মার মুখেরতে হিহা আঞ্চলিক ভাষাডা মাথাত্যে বাইর অইয়া যাইতাছিন। অহন বলগে লেইখ্যা লেইখ্যা ইকটু ইকটু পেকটিস করাম। বাড়িত গেলে গামের মাইনষের সাথে ইকটু মনডা খুইল্যা যাতে আলাপ করতা হারি। এইডার সাথে গামের মাইনষেরা কিবায় বাইচ্যা থাহে, বলগের বাই-বইনেরার সাথে এইডার গপ্প করাম। কেউ বেজার অইলে কইবাইন।
বাই-বইনেরা, বেহেইরে আমার বলগে শুভেচ্ছা-স্বাগতম জানাইতাচি। আজগোয়া বেহেইরে ভাইট্যা আর উজাইন্যারা একজন আরেকজনরে কিতা কইয়া চেতায় এইডা কই। ধরুইন, আপনে ভাইট্যা, উজানে গেছুইন সগনের বাড়িত বেড়ানির লাইগ্যা। তেইলে সগন বাড়ির ঠাট্টা-সম্মন্দের মাইনষেরা আফনেরে খেপাইব এইতা কইয়া:
'ভাইট্যা গাবর
তেলের ডাবর
খায় কচুর মুড়া
আগে চৌইদ্দ উড়া'
আর ভাইট্যারাও কম না। হেরা ক্য়:
'উজাইন্যা কাউয়া
করে কা কা।'
আউজগা এই লাগাত-এই । কেউ না বুঝলে কইবাইন। শুদ্ধ ভাষায় বুঝাইয়া দিয়াম নে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৯
ভাটির ছেলে বলেছেন: ভাইট্যা = ভাটি এলাকায় থাকে যে
ডাবর = এটার অর্থ আমিও জানিনা, সম্ভবত ছন্দ মিলানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে
গাবর = খাবারে বাছবিচার নেই যার, সর্বভূক
আগে = মল ত্যাগ করে
চৌইদ্দ = চৌদ্দ
উড়া = বাঁশের তৈরি একপ্রকার ঝুড়ি যা মাটি কেটে এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সগন= আত্মীয়
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯
রেডসিগনাল বলেছেন:
'ভাইট্যা গাবর
তেলের ডাবর
খায় কচুর মুড়া
আগে চৌইদ্দ উড়া'
আপনার লেখাটা এই রকম হবে,
ভাটিয়া গাদর, তেলের ডাবর
খায় কচুর মুড়া,হাগে চৌদ্দ উড়া ।
ভাটিয়া = ভাটিয়া বলতে ভাটির এলাকার লোকের কথা বলা হয়েছে ।
[এখানে টাংগাইল জেলার লোকদের বলা হয়েছে, তারা যখন নটবেঙ্গলে আসে তখন বলা হয়েছিল ]
গাদর = যারা সাধারনত পরিস্কার পরিছন্ন থাকে না ।
তেল = তৈল
ডাবর =যা দিয়ে সাধারনত কুলুর তার বাটখারায় তৈল ভরে থাকেন । যা নারিকেলের খোল কিংবা কাঠের তৈরী ।
তবে এখানে তেলের ডাবর বলতে, এই ভাবে বুঝানো হয়েছে যে তারা যখন সকালে গোসল করে স্কুলে আসতো তাদের মাথায় এত মাত্রায় তৈল দিত যা কিনা কানের পিঠ বেয়ে নীচে পরতো ।
কচুর মুড়া = আগে সাধারনত ফাল্গুন চৈত্র মাসে অভাবের পরিমান বেশী ছিল । তাই চৈত্র মাসে কচু গাছের মাটির নীচের অংশ নিয়ে তা সিদ্ধ করে,ডালের মত করে বানিয়ে খেত ।
কচুর মুড়া বলতে তাই তাই বুঝানো হয়েছে ।
হাগে= পায়খানা করা ।
চৌদ্দ = ১৪ ।
উড়া = বাশেঁর তৈরী [ ডালা ] যা দিয়ে গ্রাম গন্জে মাটি নেয়া হয় ।
এখানে "হাগে চৌদ্দ উড়া " বলতে বেশী করে পায়খানা করাকে বুঝানো হয়েছে ।
অনেক আগে টাংগাইল জেলার অনেক লোক অভাবের তাড়নায় নটবেঙ্গল তথা উত্তরান্চলে চলে এসে ছিল ।তাদের ভাটিয়া বলা হয় । আর গোসল করার পর তারা মাথায় বেশী পরিমান তৈল ব্যবহার করত, তাদের কোন জায়গা জমি না থাকায় অভাব থাকতো বেশী ,তাই তাদের খুদা নিবারনের জন্য বেশী বেশী করে কচুর মুড়া খাইতো।
যত্রছত্র ভাবে খানার কারণে তারা পায়খানা করতো বেশী তখন উজানি ,অথাৎ উজান অন্চলের লোক তাদের প্রতি কটাহ্ম করে এই ভাবে বলত ।
ভাটিয়া গাদর, তেলের ডাবর
খায় কচুর মুড়া,হাগে চৌদ্দ উড়া ।
যা এখন তাদের বললে অনেক হ্মেপে যায় ।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭
ভাটির ছেলে বলেছেন: সম্ভবত আপনার কথাই ঠিক। তবে আমাদের নেত্রকোণা এলাকায় কথাটা এভাবেই বলা হয়। হয়ত বিকৃত হতে হতে এরকম হয়েছে।
আর আপনার ব্যাখ্যা পুরোপুরি সঠিক।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৭
রেডসিগনাল বলেছেন:
নেত্রকোণা জেলার কোন এলাকায় আপনার বাড়ি ?
আমি কিন্তু নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়, বিড়িসিড়িতে অনেকবার গিয়েছি ।আমার কাছে পাহাড়ী ঝরনা খুব ভাল লাগে বিশেষ করে বাদাম বাড়ির লিচুর স্বাদ যেন ভূলতে পারিনা ।
আর সমেশসরি নদীর পাহাড় আর পাথর বেয়ে আসা টলটলে পানি আমাকে এখনও মুগ্ধ করে ।
আর যখন বৃষ্টির রাত্রি আসে, এত বেশী জোনাকি পোকা চোখে পরে যেন আকাশের সব তারা গুলো নীচে নেমে এসেছে ।
গভীর রাতে অনামিকা সিনেমা হল থেকে যখন বোনের বাড়ির দিকে রওনা দিতাম রাস্তার দু ধারে শুধু ঝি ঝি পোকার শব্দ, ভয়ে আমার গা ছম ছম করতো ।
সেই সৃীতি এখনও আমাকে পীড়া দেয় ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১২
ভাটির ছেলে বলেছেন: আমার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানায়। তবে দূর্ভাগ্য, ইচ্ছা থাকা সত্তেও এখনও দুর্গাপুর যাওয়া হয়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: 'ভাইট্যা গাবর
তেলের ডাবর
খায় কচুর মুড়া
আগে চৌইদ্দ উড়া' মানে কি?
"সগন"মানে কি?