নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখবোই

আমি একজন লেখক । আগে আইটিবিষয়র ওপর লিখতাম এখন পাশাপাশি সাম্প্রতিক অনেক বিষয় নিয়েই লিখছি ।http://www.aitoami.com/ এ সাইটটিতেও আমি লিখছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

ফারুক আহমেদ ফারুক

পত্র পত্রিকায় আইটি বিষয়ক লেখালিখির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখে এগিয়ে যাচ্ছি। ভাবছি কি হতে পারি ভবিষ্যতে।

ফারুক আহমেদ ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৎ ও আত্মসংযমে একে অপরের সহায় হই

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩১

চলতে ফিরতে ও মিলামেশায় আমরা আমাদের আশপাশের মানুষের কাছে নিশ্চয়ই এমন ব্যবহার ও এমন কথাবার্তা আশা করতে পারি যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক এবং কষ্টদায়ক না।সেটা আমি আপনি হয়তো কেউ পাচ্ছি নয়তো কেউ পাচ্ছি না।

ভাবতে বসে গেলাম, আমরা কি একে অপরকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেই মজা পাই বা অহেতুকই কষ্ট দিয়ে কথা দিয়ে কথা বলি।বিষয়টা নিয়ে গবেষণা করে দেখলাম যে, অনেকেই আমাদের কাছ থেকে কোনো কিছু আদায় করতে এমনভাবে কথা বলে ও বিভিন্ন ধরনের ভাবভঙ্গি প্রদর্শন করে যা হৃদয়ে ভয়ের সৃষ্টি করে।আমরা তখন অনেকেই তার কথা ও ভাবভঙ্গিমার কারণে ভয়ে সে যা আদায় করতে চায় তা তাকে দিয়ে দিই। আমরা তখন তার সঙ্গে বা তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করি।আবার এটাও লক্ষ্য করলাম যে, আমরা কেউ আছি এমন যে, কাউকে কোনো কিছু মানতে বাধ্য করতে এমনভাবে কথা বলি যা আক্রমনাত্মক এবং হৃদয়ে ভয় সৃষ্টি কারক।

আমার খুব জেদ হলো যে মানুষ এত খারাপ কেন?ভাবতে ভাবতে দেখলাম অনেক মানুষই কিন্তু ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্যই এমনটা করে থাকে। অনেক মানুষই কিন্তু সঠিক কিছু মানাতে এমনটা করে থাকে।তখন একটু স্বস্তি লাগলো নিজের মনে।আবার ভাবলাম, এমনটা না করলে কি দাবি আদায় হয় না বা সঠিক কিছু করতে বলা যায় না।

অবশেষে দেখলাম যে, আমার মধ্যে একটা স্বভাব আছে যা অনেকের মাঝেই আছে। স্বভাবটা এমন যে, নিজের মনে ভয়ের উদ্রেক সৃষ্টি না হলে অনেক সময়ই অনেকের ন্যায্যদাবিও পূরণ করতে মনের ভেতর থেকে সায় দেয়না।তখন আমরা তা করিও না।ভালো কোনো নিয়ম মানতে বললে তা মানিও না।ব্যাপারটা বুঝতে পেরে নিজের ওপরই খুব রাগ হয়ে গেল। সেদিন থেকেই আমি সরল মানুষের সরল দাবি পূরণে খুব আন্তরিক হতে থাকি।সরল মানুষের সরল সরল আবদার কোনো নেতিবাচক ভাবে না দেখেই মেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। এভাবে আমার বেশ ভালোও লাগলো।আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি অনেক সৎ মানুষকে সৎ থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারছি।তাদের অন্যায়কারী না হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারছি। তাদেরকে আক্রমণাত্মক ব্যবহার ও কথাবার্তা থেকে দূরে রাখতে পারছি নিজের জায়গা থেকে।

এমন ভাবে দিন ভালোই কেটে গেল। কিন্তু হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আমার কাছেরই কিছু মানুষ আমার এ গুণ দেখে আমাকে কথার জালে ফাঁসিয়ে আমাকে দিয়ে এমন এমন কাজ করাতে লাগলো যা আমার ওপর অবিচার হয়ে গেল। তারা আমাকে ঠকাতে লাগলো। তারা আমার মনের মধ্যে নেতিবাচক ভাবনার সৃষ্টি করলো।আমার মনে সংশয় সৃষ্টি হতে লাগলো। একটা সময় গিয়ে দেখা গেল আমি সরল মানুষ গুলোকেও বাঁকা চোখে দেখা শুরু করলাম।আমিও মনের মধ্যে কথা পাকানো শুরু করলাম।এভাবে আস্তে আস্তে আমি ভালো কাজ করার উৎসাহও হারিয়ে ফেললাম।স্থির মানুষ ছিলাম হয়ে গেলাম অস্থির।মান্যকারী ছিলাম হয়ে গেলাম অমান্যকারী।হয়ে গেলাম রাগী মানুষ।

আশপাশের ভালো মানুষ আমার ব্যাপারে কষ্ট পেতে শুরু করলো। আমি বুঝতে পারলাম এভাবে তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছি আমি।আমার কারণে আমার আপনজন কষ্ট পাচ্ছে।তখনই কুরআনের আশ্রয় নিবো বলে ভাবলাম। কুরআনের অর্থও পড়লাম।একটা আয়াতও পেয়ে গেলাম। আয়াতটি হলো - “তোমরা সৎ ও আত্মসংযমে একে অপরের সহায় হও”
আয়াতটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আমারও কোনো দোষ নেই। আর দোষ নেই তাদের যারা সরলমনা। যারা মনের ফাঁক ফোকর রেখে কথা বলে না।যারা ন্যায্য আবদার ও ন্যায্য দাবি আদায়েও সৎ ও আত্মসংযমীই থাকে। আমি পুণরায় তাদেরকে আগের মতোই সৎ ও আত্মসংযমী থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে লাগলাম। আর যারা আমাকে পথভ্রষ্ট করেছে তাদেরকে এড়িয়ে চলতে লাগলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: নয় বছরে ত্রিশটি পোষ্ট কিন্তু মাত্র ১৬টি মন্তব্য করেছেন। পরিসংখ্যান ভীষন হতাশ করল :(

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.