নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্র পত্রিকায় আইটি বিষয়ক লেখালিখির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখে এগিয়ে যাচ্ছি। ভাবছি কি হতে পারি ভবিষ্যতে।
ছোট বেলায় পড়ালেখা করার সময় ইংরেজী শেখাটা বেশ বিরক্তিকর ছিল আমার কাছে। তবুও টেনে টুনে এইচ্ এস সি পাশ করলাম।তারপর ভাবলাম জীবনে তো কিছু করতে হবে।হঠাৎ একদিন পোস্টারে লেখা দেখলাম সহজে ইংরেজী শিখুন এবং শিক্ষিত বোঝা হয়ে থাকবেন না। বিষয়টা আমাকে উৎসাহিত করলো। সেখানে গিয়ে ইংরেজী শিখতে ভর্তি হয়ে গেলাম। অল্প কদিনেই বুঝতে পারলাম ইংরেজী শিখতে বেশ মজাই লাগছে। কয়েক হাজার ইংরেজী শব্দ নতুন করে মুখস্থ করে ফেললাম।সেখানে ইংরেজী শেখার পদ্ধতিটা আমার জন্য বেশ সহজ ও সাবলীল ছিল। মাত্র দু’বছরেই ইংরেজী সম্পূর্ণ রপ্ত করে ফেলি।বায়িং হাউসে একটা ভালো চাকুরীও জুটে যায়।
অথচ গত বারোটা বছর যখন ইংরেজী শিখতাম তখন মনে হতো গৃহশিক্ষককে দ্রুত বিদায় করে দিই। স্কুলে ও কলেজে শিক্ষকদের কাছে ইংরেজী শিখতে গেলে স্কুল ও কলেজ থেকে পালাতে ইচ্ছা করতো।আমার মনে হলো জীবনের বারোটা বছর ঐ ইংরেজী বইগুলো পড়তে গিয়ে শুধুই সময় নষ্ট করলাম।সে শিক্ষাতো জীবনে কোনো কাজে আসে নি।শুধু মুখস্থই করলাম।যা মুখস্থ করতাম তাও পরে গিয়ে মনে থাকতো না। ইংরেজীর বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তাও তখন কেউ এতো সুন্দর করে বোঝাতে পারেনি।তখন ইংরেজী শুধু কঠিনই মনে হয়েছিল।
এখন প্রতিদিনই বিষয়টা নিয়ে ভাবি।আর বুঝতে পারলাম আমাদের দেশ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে এসে কবে কার্যকরী শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করবে তা অনিশ্চিত। কবে বইয়ের বোঝা বহন না করে আমরা প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করবো তাও অনিশ্চিত।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: জীবন আপনাকে অভিজ্ঞ করে তুলেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪১
জগতারন বলেছেন:
এই ব্লগলিখকের অবস্থা আর আমার অবস্থা ও অভিজ্ঞতা একইরকম ।
আমাদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যাবস্থয় ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে দুরশ করে রাখা হয়েছে।
কিছু দিন আগে দেশে বেড়াতে গিয়ে আমার গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে দেখতে গিয়েছিলাম শুধুই ভালো বাসারই টানে। এর আগেও দেশে গিয়ে প্রত্যেকবারই আমার ঐ স্কুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সম্পপ্রতিবার গিয়ে আমাদের গ্রামের প্রাথমিক স্কুলটির উন্নতি দেখে অত্যার্শ্চ্যরিতই হয়েছিলাম। আমার এই আশ্চর্যের কারন নিন্মে কিছু কারণ উল্লেখ
করছিঃ
আমাদের দেশের আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের
গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভৌতিপূর্ব অবকাঠামোগত এবং প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থর উন্নতি সাধন করতে সামর্থ্য হয়েছেন। আমি যা কোনও দিনই ভাবতে পারি নি যে, আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ তলা বিশিষ্ট ইমারত । ৬ জন শিক্ষক/ শিক্ষয়িত্রী, এবং সব্বার নিন্মতম শিক্ষা সনদ বি, এ, পাশ। বহু অফিস কক্ষ, একজন শিক্ষিত দফরী, পানিয় ব্যাবস্থা, শৌচাগার (!) (কিন্তু দুঃখের বিষয়ে ছাত্র/ ছাত্রীদের খেলার কোনও মাঠের ব্যাবস্থা ছিল না।
আর আমি যখন ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন:
কুমার নদের পাড়ে স্থাপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালের এক ঝড়ে ভেংগে গেলে বহু বছর আমরা খোলা আকাশের নীচে কখনও গাছের তলায় ক্লাস করতাম। তার পরে স্কুলটি গ্রামের মাতুব্বররা আমাদের গ্রামের ভিতরে এনে এক পরিত্যাক্ত জংগলের ভিতর জংগল কিছুটা সাফ করে সেখান স্থাপন করা হয়েছিল। স্কুল ঘরটা ছিলো দুইচালা টিনের ঘরের, কোন বেড়া ও উপরে টিনের চালের ফাঁকা বন্ধ করা ছিলো না। ফলে বৃষ্টি ও ঝড়ের দিনে স্কুল ঘরটা পানিতে একাকার হয়ে যেতো। আর স্কুলটিতে কোন মাঠের ব্যাবস্থা ছিলো না।
(কিন্তু প্রথম নদীর পাড়ে অবস্থিত স্কুলের ঘরটি দক্ষিণ মুখি ও নাতি বড় একটি মাঠ ছিল। মাঠের সর্ব দক্ষিন দিকে একটি বড় বট গাছ ছিল। সেই গাছের নীচে ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন খেলাধুলায় মেতে থাকতো।)
আমি ঐ স্কুল থেকেই ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।
যাই হোক, যে কথাটি আপনাকে এবং পাঠক/ পাঠীকাদের জানাতে চেয়েছিলাম, তা হলো; আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সামর্থ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টার আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই, দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নতি সাধনের। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, এবার আমি যখন ঐ স্কুলে উপস্থিত ছিলাম তখন এক জন বি, এ, পাশ শিক্ষক তৃতীয় শ্রেনীর ইংরেজি প্রিয়ডে ছাত্র/ ছাত্রীদের বাংলায় কথা বলে ইংরেজি পাঠ দিতেছিল।
উপস্উপস্থিত আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারি নাই যে কীভাবে কি একজন ইংরেজি এই কান্ড। আমি খুব হতাশ হলাম। ইচ্ছে হয়েছিল; তখন ঐ শিক্ষা দান সময়টি নিজে নিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। এবং দেখাতে চেয়েছিলাম যে, কীভাবে ছাত্র/ ছাত্রীদের ইংরেজি প্রিয়ডে ইংরেজি শিক্ষা দিতে হয়(!) কিন্তু আবার এ ভেবে নিলাম না যে, আমি একবার একদিনের জন্য একটি শিক্ষা দান করে আমি কি দিয়ে কী ছাত্র/ ছাত্রীদের উপকৃতি করা যাবে(!)
শিক্ষা ব্যাবস্থাপনার উন্নতি আসতে হবে ভিতর থেকে যেখানে থাকতে হবে শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের থেকে এবং আমাদের দেশের মানুষদের মনথেকে সেই তাগিদ অনুভব করতে হবে। যেমন আঠারো শতকের প্রাথম আরম্ভ হয়েছিলো ইয়োরোপের মানুষদের মনে।