নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখবোই

আমি একজন লেখক । আগে আইটিবিষয়র ওপর লিখতাম এখন পাশাপাশি সাম্প্রতিক অনেক বিষয় নিয়েই লিখছি ।http://www.aitoami.com/ এ সাইটটিতেও আমি লিখছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

ফারুক আহমেদ ফারুক

পত্র পত্রিকায় আইটি বিষয়ক লেখালিখির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখে এগিয়ে যাচ্ছি। ভাবছি কি হতে পারি ভবিষ্যতে।

ফারুক আহমেদ ফারুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

আমার এলাকার এক ছেলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে।এ পর্যন্তও এসেছে ভাগ্যের জোরে।সব ক্লাশেই প্রতিটা বিষয়েই তার রেজাল্টে দেখা যেত সে টেনেটুনে পাশ করেছে।তবে ছেলেটি সব সময়ই চুপচাপ ছিল। তার স্বভাব অবশ্য খারাপ ছিলনা।
ছেলেটা প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা এমন গভীর মনযোগ দিয়ে পড়তো দেখে মনে হতো সে অনেক জ্ঞানী।সে পুরো পত্রিকাটাই পড়তো।পড়তে পড়তে ৫ঘন্টাও লেগে যেত।পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, বিনোদন বিভাগ, ক্যারিয়ার বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি পাতা সবই পড়তো।

বছর খানিক পর সে হঠাৎ আবদার করে বসলো আমার কাছে যে, আপনিতো কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ভালো জ্ঞান রাখেন আমি আপনি কাজ করার সময় শুধু আপনার সাথে বসে থাকবো আপনাকে বিরক্ত করবো না।আমার মনে হয় তার কথাটা রাখা যায়।উল্লেখ্য আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়ার ওপরে ডিপ্লোমা করেছি।ছেলেটা এভাবে বেশ কয়েকদিন আমার সাথে বসে থেকে কাজ দেখতো।হঠাৎ আমাকে বললো ভাই আমি একটা কম্পিউটার কিনবো আপনি কিন্তু এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করবেন।ছেলেটি কম্পিউটার কেনার পর আমার কাছে আসা বন্ধ করে দিয়ে সারাদিন বাসায় কমপিউটারের সামনেই বসে থাকতো।

বেশ কিছুদিন পর ছেলেটা আমার কাছে একটি দৈনিক পত্রিকার তথ্যপ্রযুক্তি পাতায় থাকা একটি কম্পিউটার বিষয়ক টিউটোরিয়াল দেখিয়ে বললো ভাই টিউটোরিয়ালটা আমার লেখা।আমার ভেতরটা যেন ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠলো।আমি তাকে বললাম বলতো ওমুক প্রোগ্রামের ওমুক অপশনটি কোন মেন্যুতে পাওয়া যাবে ।সে কোনো উত্তরই দিতে পারলো না।আমি বললাম অথচ টিউটোরিয়াল তুমি এ বিষয়ের ওপরই লিখেছো বলছো। আমার তোমার কথা বিশ্বাস হয় না।ছেলেটি জবাবে বললো আমি ঐ প্রোগ্রামটি চালু করলে সেখানে আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারবো অপশনটি কোথায়।দেখলেই আমার মনে পড়ে কিন্তু এমনিতে মনে থাকে না।সে আরও বললো আমি দেখেও অনেক অপশনের নাম কি তা ইংরেজী পড়ে উচচারণ করতে পারি না। সে নাকি গুগল ট্রান্সলেটে গিয়ে ইংরেজী শব্দ লিখে উচচারণ বা নামটি জেনে নেয়।এভাবেই সে টিউটোরিয়াল লেখে।

আমি বুঝলাম সে ছোট ছেলে মেয়ের স্মার্টফোন ব্যবহারের মতো কম্পিউটার ব্যবহার করে।অবাক হলাম বাংলা ভাষার ওপরও তার ভালো দখল রয়েছে।সে এখন বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও ম্যাগাজিনেও লেখালিখি করে।মাসে নাকি তার ‍উপার্জন প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
আমি তাকে বললাম তুমি পড়াশোনাটা কেন শেষ করলে না।সে বললো আমার ভালো লাগেনা পড়াশোনা করতে।আমি তাকে পরামর্শ দিলাম।জীবনে প্রতিটা সিঁড়ি ধাপে ধাপে উঠতে হয়।লাফিয়ে উঠলে একবারেই নীচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবণা থাকে।তুমি যা করছো তাতে তোমার ভিত্তিটা মজবুত হবে না। সে বেয়াদপের মতো উত্তর দিল এসব জ্ঞানের কথা আমাকে শুনিয়ে লাভ নেই।আসলে যারা তাকে সুযোগ করে দিয়েছে তারাই তার ভবিষ্যতটা নষ্ট করছে।তারাই ভুলে যাচ্ছে যে অল্প বিদ্যা ভয়ংকর। তারা ভুলে যাচ্ছে যে সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.