নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য।

সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮

ফারুক৫৫

সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।

ফারুক৫৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর আজাব। সত্যি নাকি মিথ্‌?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০০

ক্লাস সেভেন থেকে যখন এইটে উঠলাম , পরীক্ষার ফল আশানুরুপ না হওয়ায় , বাবা আমাকে বাড়ি থেকে অনেক দুরে এক নাম করা স্কুলে (মাদ্রাসা নয়) পাঠিয়ে দিলেন। ওখানে হোস্টেলে থাকতাম। আমি যে হোস্টেলে থাকতাম , সেই হোস্টেলের হাউস টিউটর ছিলেন আমাদের স্কুলের মৌলভী সাহেব। খুব কড়া শিক্ষক ছিলেন। হোস্টেলে আজান দিয়ে নিয়মিত নামাজ পড়া হতো। নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক ছিল। সমস্যা হতো শীতের ভোরে ফজরের আজান পড়লে। একেতো ঠান্ডা , তার উপরে পুকুরের ঠান্ডা পানিতে ঘুম চোখে ওজু করা যে কি কষ্টকর তা শধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। কিন্তু ফাকি দেয়ার উপায় ছিল না। যারা না উঠে আরাম করে লেপের তলায় ঘুমিয়ে থাকত , তাদের ঘুম ভাঙ্গত মৌলভী স্যারের শপাং শপাং বেতের স্পর্ষে।



মৌলভী স্যার আসলেই সৎ লোক ছিলেন। তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। একদিন উনার সাথে কবর আজাব নিয়ে আলাপ চারিতার সময় আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম :

“স্যার, আপনি কবর আজাবের বিকট যে আওয়াজ নিজের কানে শুনেছেন বল্লেন , তা যদি আমাকে একদিন শোনাতেন , তাহলে তো কেউ আমাকে দিয়ে কোন পাপ কাজ করাতে পারত না বা আমাকে নামাজ পড়া থেকে কেউ দুরে রাখতে পারত না।”



স্যার বল্লেন : “তুমি বাবা ছোট মানুষ , সহ্য করতে পারবে না।”



তখন থেকেই কবর আজাবের ভয় মনের মাঝে গেঁথে ছিল।



কবর আজাব বা “আজাবুল কাব্‌র” নিয়ে অনেকগুলো হাদীস আছে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য হলো , এই গুরুত্বপূর্ণ শব্দটা কোরানের কোথাও লেখা নেই। কোরানে আজাব বা শাস্তির অনেক শব্দ আছে যেগুলো শেষ বিচারের দিনের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

১) আজাবো জাহান্নাম (৬৭:৬)

২) আজাবুন নার (২:২০১)

৩) আজাবুন আলীম (৫:৯৪)

৪) আজাবুন মুহীন (২২:৫৭)

৫) আজাবুন শাদীদ (৪২:১৬)

৬) আজাবুন আজীম (৩:১০৫)

৭) আজাবুন মুকীম (১১:৩৯)

৮) আজাবুন গালীজ (৪১:৫০)

৯) আজাবিল সাঈর (৩১:২১)

১০)আজাবুল হারীক (৮:৫০)

১১)আজাবান কবীরা (২৫:১৯)



নিচে কোরান থেকে যে আয়াতগুলোর উদ্ধৃতি দিয়েছি , সেখানে মানুষ সৃষ্টি , মৃত্যু ও শেষবিচারের দিনে পুনরুত্থানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর মাঝের কবর আজাবের উল্লেখ কোথাও নেই।



“এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি , এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেব এবং পুনরায় এ থেকেই তোমাদেরকে উত্থিত করব।” সুরা ত্বোয়া-হা(২০) আয়াত ৫৫



“এরপর তোমরা অবশ্যই মৃত্যু বরন করবে। অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে।”

সুরা মুমিনুন(২৩) আয়াত ১৫-১৬



আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময় , আর যে মরেনা , তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন , তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলী।”

সুরা যুমার(৩৯) আয়াত ৪২



“শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে , তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে। তারা বলবে , হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উত্থিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা করেছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।” সুরা ইয়াসীন ( ৩৬) আয়াত ৫১-৫২)



শেষের আয়াত দুটোর দিকে খেয়াল করুন। মৃত্যু ও নিদ্রা একি জিনিষ। কবর আজাব হলে কেউ নিশ্চয় নিদ্রিত থাকতে পারত না এবং কবরকে নিদ্রাস্থল ও বলা হতো না।



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৮/-১৪

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:০৬

রিসাত বলেছেন: হাদীসে থাকলেই হলো,,,

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪১

ফারুক৫৫ বলেছেন: "আমি এ কোরানে মানুষের জন্য সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে" সুরা যুমার আয়াত ২৭

তাহলে কবর আজাবের দৃষ্টান্ত কোরানে নেই কেন? এমন একটা জরুরী কথা!

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:২২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে দৈনিক জনকন্ঠে সাদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ঠিক এভাবেই ধর্মের উপর কলাম লিখতেন। কোরআনের কোথাও ৫ ওয়াক্তের কথা লিখা নেই, তাই ৫ ওয়াক্ত পড়া বেদাত, কোরআনের কোথাও কবরের আযাবের কথা লিখা নেই, তাই এইসব বানোয়াট মিথ। আপনার কাছে ব্লগার রা কিছু প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব চায়,

১. আপনি কি কোন ধরনের হাদীস অনুসরণ করেন/করেন না?
২. আপনি কি আহমেদীয়া সম্প্রদায়ের কেউ? মগবাজার থেকে বকশীবাজার কিন্তু ভালই দূর।
৩. কোরআনের বাণী যদি অন্ধভাবে মানেন তাহলে হাদীসে কী নবীর কোরআন বিরুদ্ধ আচরণের নমুনা পান?
৪. কোরআন যদি নবীর লিখা হয়ে থাকে আবার হাদীসও যদি নবীর বাণী হয়ে থাকে, তাহলে নবীকে কী স্ববিরোধী মিথ্যাবাদী প্রমাণ করবার চেষ্টা করছেন?

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৩

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: রিসাত বলেছেন: হাদীসে থাকলেই হলো,,,

কেন? হাদীস কি কোরান থেকে বড়?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩৭

ফারুক৫৫ বলেছেন: কোরানই প্রথম ও শেষ কথা।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৬

রিসাত বলেছেন: নবী (স:) এর একটা মর্যাদা আছে, কুরআনে অনেক কিছুই নাই,

যেমন নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী কুরআনে নাই,,,, নবী যেভাবে বলেছেন আমরা সেভাবেই নামাজ আদায় করি,,,,,,,, নবীর হাদীস কুরআনের পরিপূরক

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৪

ফারুক৫৫ বলেছেন: নামাজ তো দেখি একেকজন একেক রকমে পড়ে। কেউ হাত ছেড়ে , কেউ নাভির উপরে বা বুকের উপরে বেধে , কেউ রুকুতে যাওয়ার সময় হাত ঘাড় পর্যন্ত উচিয়ে , এইরুপ বিভিন্ন রকমে বিভিন্ন জন নামাজ পড়েন।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০১

রিসাত বলেছেন: Islam is the perfect religion.......... Just because i learnt to believe it.................;)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৩

ফারুক৫৫ বলেছেন: ইসলাম অবশ্যই নিখুত ধর্ম।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০৫

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: [রিসাত বলেছেন: নবী (স এর একটা মর্যাদা আছে, কুরআনে অনেক কিছুই নাই,

যেমন নামাজ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী কুরআনে নাই,,,, নবী যেভাবে বলেছেন আমরা সেভাবেই নামাজ আদায় করি,,,,,,,, নবীর হাদীস কুরআনের পরিপূর]

কোন টা নেই আমাকে বলবেন ? আপনি কি কখন পরে দেখেছেন কুরআনে কি বলা আছে? বাংলা অনুবাদ পরে বলবেন। আমি অপেক্ষায় থাকব।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১২

আমি এবং আঁধার বলেছেন: কবরের আজাব নিয়া কুরআন হাদিস ঘাইটা লাভ নাই।পুরাটাই বিলিভ....। আপনার যুক্টি বা রেফারেন্সের দরকার কি? কেউ কি মইরা খবর দিতে পারবো????

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:২৭

ফারুক৫৫ বলেছেন: বিলিভ তো অবশ্যই। বিলিভের জন্য তো রেফারেন্স লাগে। আপনি যা ইচ্ছা তাই বিলিভ করতে পারেন না। তাহলে তো সব ধর্মই পালন করা লাগে। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর বাণী কোরানই প্রথম ও শেষ কথা।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

হোরাস্‌ বলেছেন: ভিড্যু ক্যামেরা ফিট করলেই হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০০

ফারুক৫৫ বলেছেন: বুদ্ধি খারাপ না।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০২

শয়তান বলেছেন: একটা না সিডি বাইর হৈসে কবরের আজাব নিয়া :)

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৪

ফারুক৫৫ বলেছেন: তাই নাকি? শিগগির লিঙ্ক দেন।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৪৭

শয়তান বলেছেন: লিংক কৈ পাবো । নরসিংদির একটা ক্যাডেট মাদ্রাসাতে এই সিডি দেখানো নিয়া কেলেংকারির টিভি রিপোর্ট দেখসিলাম । খুজলে হয়ত ব্লগে পাওয়া যাবে লিংক অন্য কারো কাছে । আমার কাছে নেই ।


ইউটিউবে কয়েকটা লিংক আছে জানি ।

প্লিজ হেল্প ইউরসেল্ফ ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০০

ফারুক৫৫ বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭

রিসাত বলেছেন: কিছু কইলাম না,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ফারুক৫৫ বলেছেন: ধন্যবাদ কিছু না কওয়ার জন্য,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬

মানুষ বলেছেন: যারা হাজার বছর আগে মরছে তারাও কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আজাব পাবে। আর যারা হাজার বছর পরে মরবে তারাও কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আজাব পাবে।

যারা পরে জন্মাইছে তাদের পোয়া বরো। এমনি এমনি কি আর বলে আগে গেলে বাঘে খায়।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফারুক৫৫ বলেছেন: আগে কি আর কেউ ইচ্ছা কইরা জন্মায়? তাইলে ওদের দোষ কি? বিচারের আগেই শাস্তি পাইলে , বিচারটা প্রহসনের বিচার হয়ে যায় নাকি?

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৪

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: চিন্তা করতে থাকেন। আর কবরের আজাব সিডিটা মনে হয় রাস্তায় ভ্যানে কইরা মাঝে মাঝে বিক্রি করতে দেখছি।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১০

ফারুক৫৫ বলেছেন: চিন্তাই তো করি।

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:১৬

উমর বলেছেন: কবরের আযাব সত্যি নাকি মিথ তা আপনি নিজে যখন মরবেন তখন টের পাইবেন।
আপনি তো রাশাদ খলিফার ভক্ত। আর রাশাদ খলিফা ছিল একজন খ্রিস্টিয়ান। সে ছিল বিখ্যাত একজন বিভ্রান্তকারী, আপনি তার ভক্ত হিসেবে কম যান না। ভালই বিভ্রান্তকর লেখা লেখেন।

মানুষকে বিভ্রান্তকর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য আল্লাহ আপনাকে যোগ্য প্রতিদান দান করুন। আমীন।

৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

ফারুক৫৫ বলেছেন: আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন এই দোয়া করি। "আমীন" এই শব্দটি খৃষ্টান রা তাদের প্রার্থনার সময় ব্যবহার করে। "আমীন" এই শব্দটি কোরানের কোথাও পাবেন না।

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:৩৯

শয়তান বলেছেন: ভিডিও চিত্রে কবরের আজাবঃধর্ম ব্যবসার এ এক নিঃকৃষ্ট নমুনা (YOUtube link সহ) - এ. এস. এম. রাহাত খান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.