![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
'আমিন' শব্দটির সাথে আজকের মুসলমানদের নুতন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। ব্লগে ও এই শব্দটি বহুল প্রচলিত। যে কোন দো'য়ার পরে "বলুন আমিন" শব্দটি বলা হয়ে থাকে , এমনকি অনেক সময় ব্যাঙ্গার্থেও। সাধারনত নামাজে ঈমামের সুরা ফাতেহা তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পরে নামাজীগণ সমস্বরে উচ্চকন্ঠে বা আস্তে আমিন বলে থাকেন এবং নামাজ শেষে বা ওয়াজ মহফিলে দোয়ার সময় উপস্থিৎ জনতা আমিন আমিন বলে আকাশ বাতাস কাপিয়ে দেন। আমীনের মানে ও এর প্রাগৈতিহাসিক উৎপত্তি নিয়েই এখানে আলোচনা করব।
মুসলমানরা আমিন বলে কেন?
'আমিন' শব্দটি যে অর্থে আজকের মুসলমানরা বলে থাকে , সেই অর্থে 'আমিন' শব্দটি কোরানের কোথাও খুজে পাওয়া যাবে না। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে , আল্লাহর শেষ কিতাব কোরানে 'আমিন' শব্দটি না থাকার পরেও আজকের মুসলমানরা 'আমিন' শব্দটিকে কেন এত গুরুত্ব দেয়? ঠিকি অনুমান করেছেন। এর উৎপত্তি হাদীস থেকে।
আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন যে রাসুল (সা) ইরশাদ করেন যে, ইমাম যখন আমীন বলবে তোমরাও তখন আমীন বলবে। কারণ ফেরেশতাগণের আমীন বলার সাথে যার আমীন বলা হবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।ইমাম তিরমিযী (রহ) বলেন, আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদীসটি হাসান ও সহীহ।
এছাড়াও সহীহ বুখারি ভলুম-৬/চ্যাপ্টার-২ তে অনুরুপ হাদীস পাবেন।
এই হাদীসগুলো যে মিথ্যা , তা কোরানের আলোকে সহজেই বলা যায়। কারন রসূল মুহম্মদ নিজের ভাল মন্দ বা ভবিষ্যত জানতেন না এবং কোরানের বাইরে নুতন কোন দিগনির্দেশনা দেয়ার অধিকার ও তার ছিল না। আল্লাহ যেহেতু কোরানের কোথাও এমন নির্দেশ দেন নি , সেখানে রসূলও এমন নির্দেশ যে দেন নি , তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। রসূল আল্লাহভীরু ছিলেন , তার পক্ষে কোরানিক নির্দেশের বাইরে নির্দেশ দেয়া অসম্ভব। নিচের আয়াত দুটি পড়ুন-
৭:১৮৮- আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়েবের (ভবিষ্যতের) কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
৬৯:৪৩-৪৮- এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ। সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না। এটা খোদাভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটি উপদেশ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৫৮
ফারুক৫৫ বলেছেন: ২ বছর হতে চল্লো , কমেন্ট ব্যান্ড এখনো বলবৎ আছে।