![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Omar Faruk CEO & Founder Mother green bricks bd House-97, Lane-01, New DOHS Mohakhali, Dhaka-1206
সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পর এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা চিঠি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। আগামী ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিল ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ‘খোলা চিঠি’ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কারণ হলো, এই প্রকল্পের মুখ্য ভূমিকা ভারতের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান এনটিসি, ভারতের রাষ্ট্রীয় নির্মাণ কোম্পানি ভেল, ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এক্সিম ব্যাংক, ভারতের কয়লা সরাবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোল ইন্ডিয়ার। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে এসব প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে সুন্দরবনের বিনিময়ে। আর বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবন আক্রান্ত হলে ভারতের দিকের সুন্দরবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউনেস্কো থেকে পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে, সরকার যদি আগের মতোই এসব গুরুতর বিষয় উপেক্ষা করে তাহলে সুন্দরবন ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে বিষয়টি এভাবে উপস্থিত হবে যে, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যারা প্রকৃতিপ্রদত্ত এক অসাধারণ সম্পদ ধরে রাখার যোগ্যতা রাখে না, এদেশের মানুষের সেই সক্ষমতা বা পরিপক্কতা নেই। সুন্দরবনবিনাশী বিদ্যুৎ প্রকল্প তাই শুধু দেশকে বিপর্যস্ত করবে না, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে কলঙ্কিতও করবে। এ কাজে সরকার যতো বিলম্ব করবে ততোই ক্ষতি বাড়তে থাকবে।
সম্মেলনে বলা হয়, সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের জন্য দেশে বিদেশে বিশেষজ্ঞ ও জনমতের দাবি অগ্রাহ্য করে সরকার একগুয়েমীর সাথে কালক্ষেপণ করছে এবং অন্যদিকে বিজ্ঞাপনী ভাড়াটে মিথ্যাচারের পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের উপর দমনপীড়ন বৃদ্ধি করেছে। সুন্দরবনের উপর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যুক্ত হবার কারণে গবেষককে হয়রানি করার ঘটনাও ঘটছে। এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী এবং প্রশাসনকে।
©somewhere in net ltd.