![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রয়াত অধ্যাপক পিয়াস করিমকে ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তার কুমিল্লার বাসার সামনে থেকে তাকে তারা তুলে নিয়ে যায়। আটকে রাখে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে। ওই সময়ে পিয়াস করিম ছিলেন চার বোনের এক ভাই। বাবার একমাত্র ছেলে। এই কারণে তাকে ছাড়ানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়। এর অংশ হিসাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তখন পিয়াস করিমের বাবা এডভোকেট এম এ করিমকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শর্ত মেনে নিতে হয়। তাদের শর্ত ছিল তারা পিয়াস করিমকে মুক্তি করে দিবে, তবে সে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোন কাজ করতে পারবে না। কোন বৈঠক করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত তাকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের পক্ষে কাজ করতে হবে
পিয়াস করিমের জানাজায় জনতার ঢল
তিনি বলেন, আমি পিয়াস করিমের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানি। যেটা আমি বলছি তা আমার প্রমাণও করতে পারবো। আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি।
তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন পিয়াস করিমের দাদা ছিলেন রাজাকার। কিন্তু এই কথাটি ঠিক নয়। কারণ তার দাদা ছিলেন ড. আব্দুর রউফ। তিনি ১৯৫৭ কি ১৯৫৮ সালে মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষ রাজাকার হন কেমন করে? তার রাজাকার হওয়ার খবরটি যে গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা অন্যান্যরা বলছে এটা ঠিক না।
তিনি তার দাদা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, তার নানা লিল মিয়া। বাড়ি বাঞ্ছারামপুর। তিনি যুক্তফন্ট্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। তার নানা স্বাধীনতার যুদ্ধের পর মারা গেছেন তবে রাজাকার ছিলেন না। কোথাও রাজাকার হিসাবে তার নামও নেই। তিনি বলেন, আমি এও শুনেছি তিনি নাকি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পিয়াস করিমের জানাজায় জনতার ঢল
যাই হোক এবার আসি পিয়াস করিমের বাবার কথায়। তিনি কুমিল্লার একজন আইনজীবী ছিলেন। সুখ্যাতিও ছিলো। তিনি এডভোকেট এম এ করিম। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কুমিল্লা জিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন তিনি গণজাগরণের কাছে রাজাকার। তবে এটা ঠিক তিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এর পেছনের কারণ হচ্ছে তার ছেলেকে রক্ষা করা। ১৯৭১ সালে পিয়াস করিম কুমিল্লা জিলা স্কুলে সম্ভবত ক্লাস ফাইভে পড়তেন। ওই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের জোয়ার সারা দেশে উত্তাল। তখন তিনিও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই একটি বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠক করার পর তাকে তার বাসার কাছ থেকে পাকিস্তান বাহিনী ধরে নিয়ে যায়।
পিয়াস ছিল চার বোনের এক ভাই। এই কারণে আদরও ছিল বেশি। এই আদরের কারণেই তাকে মুক্ত করার জন্য পরিবারের সদস্যরা উতলা হয়ে যান। পরে পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে কথা বলেন তার বাবা। পাকিস্তান আর্মি তাকে শর্ত দেয়। সেই অনুযায়ী ওই বন্ডেও সাইন করেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এসে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই ছিলেন। কারণ ওই পদে থেকেও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। তাদের জন্য কার্ডেরও ব্যবস্থা করতেন। পরিচয় পত্র দিয়েছিলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে। তারপরও তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। জেল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই ছাড়া পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, পিয়াস করিমের বোন মিসেস তৌফিকা আমার বাবার জুনিয়র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলায় সরকারি পক্ষের কৌশুলী হিসাবে কাজ করেছেন। তাই অবাক লাগে পিয়াস করিম কেমন করে রাজাকারের নাতি, ছেলে বা রাজাকার হোন। আসলে কেউ কেউ বলেছেন এম এ করিম বীরেন দত্তকে হত্যা করিয়েছেন। কিন্তু বীরেন দত্তকেতো ১৯৭১ সালের ২৭ কি ২৮ মার্চ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তাকেতো এম এ করিম হত্যা করাননি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আসলে পিয়াস করিম যে রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বা তিনি তার মত প্রকাশে যে রকম ছিলেন সেটা নিয়ে বলবো না। কারণ ভিন্ন মত মানুষ প্রকাশ করতে পারে। তবে কারো সম্পর্কে বলতে হলে অবশ্যই জেনে শুনে ও সঠিক তথ্য নিয়ে বলতে হবে।
পিয়াস করিমকে নিয়ে ছাত্র মৈত্রী ও গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা যে সব কথা বলেছেন এই সব অনেক কথার কোন ভিত্তি নেই। আমি যে কথাগুলো বললাম এই সব কথা চির সত্য। কেউ আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তা আমি মিথ্যে প্রমাণ করে দিতে পারবো।
সূত্র বিডি মনিটর
এবার কি বলিবে গাজা মঞ্চ ও ছিপি গ্যাং ????
অবৈধ সরকারের আইনমন্ত্রী ও অবাঞ্চিত হবেন ???
আইনমন্ত্রী ও বা কেন এত দেরী করে এই কথা বললেন ?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
ফারুক মৃধা বলেছেন: আমাদের সময় : Click This Link
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪১
খেলাঘর বলেছেন:
যা হোক, পিয়াস করিম পাকী পন্হি ছিলেন।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চেতনার নামে এরা যা করল- ঘৃনিত উদাহরন হয়ে রইল!
শহীদ মিনারকে দলীয় বৃত্তবদ্ধে বন্ধীর পক্ষে কাজ করে তারা প্রমাণ করল তার কত বৃত্তবদ্ধ ছোট মনের...
..
এবার কি বলিবে গাজা মঞ্চ ও ছিপি গ্যাং ????
অবৈধ সরকারের আইনমন্ত্রী ও অবাঞ্চিত হবেন ???
আইনমন্ত্রী ও বা কেন এত দেরী করে এই কথা বললেন ?(
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
ফারুক মৃধা বলেছেন: দেখেন শিগ্রই আনিসুল হকের নানাকে রাজাকার বানিয়ে দিবে
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
খেলাঘর বলেছেন:
পিয়াস করিমেরা এটা সেটা করে ভালো থাকে, সমাজকে পেছনে টেনে রেখে নিজেরা লাভবান হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
ফারুক মৃধা বলেছেন: কারা সমাজকে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে তা তো দেখা যাচ্ছে
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০২
খান এম ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । ফেসবুক ও অন্যান্য ব্লগে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করছি ।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৫
টু-ইমদাদ বলেছেন: কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্বাধীনোত্তর পর একটি উক্তি করে বেশ সমালোচনা পড়েন, "জ্ঞানীদের কথা শুনলে দেশটি (বাংলাদেশ) স্বাধীন হতো না"। শাহাবাগীদের কথা শুনলে . . . .
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৭
মিতক্ষরা বলেছেন: আইন মন্ত্রী ধন্যবাদ পেতে পারেন।
শাহবাগীদের বিরোধিতা তো বাহাদুর বেপারীও করেছে। সেও কি রাজাকার?
আওয়ামী লীগ এই ইস্যুতে চুপ থাকলেই ভাল করত।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪২
নেবুলাস বলেছেন: সুতরাং এরা যদি শহীদ মিনারে ব্যান হয় তাহলে এমন ব্যান আমিও হইতে চাই।
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মরা লাছ নিয়েও রাজনীতি , আর কত কি শুনব ।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: @খেলাঘর, আইনমন্ত্রীর লেখাটা পড়েও মানুষ হলেন না! আমরা জানতাম একজন শিক্ষক শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজক সামনের দিকে নিয়ে যায়, এখন শুনলাম উল্টো কথা আজব........
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১০
খাটাস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই এর সাথে সহমত।
কিন্তু আপনাকে আমার পছন্দ নয়।
সিপির মত আপনি ও এক চোখা, আগে দেখেছি।
তবু ও সত্য এর সাথে থাকার জন্য মন্তব্য করলাম।
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৮
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: @খেলাঘর, ''পিয়াস করিম পাকী পন্হি ছিলেন।'' এর স্বপক্ষে প্রমান পত্র নিয়ে আইনমন্ত্রীর সামনে গিয়ে দাঁড়ান এবং প্রমান করে দিন যে পিয়াস করিম রাজাকার বা পাকিস্তান পন্থী।
আপনাদের কাছে ৭১ এ মায়ের পেটে থাকা বাপ্পাদিত্য গংদের গাঁজাখুরি কথা মুল্যবান আর মিথ্যা প্রমান করার চ্যালেঞ্চ দেয়ে একজন আইনমন্ত্রীর কথার কোন মুল্য নাই !!
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আইনমন্ত্রী দেশী মানুষের অনুরোধে অনেক সাফাই গাইতে পারেন, যদিও তার বক্তব্য মেইনফ্রেম পত্রিকা বা মিডিয়াতে আসে নি। তার বক্তব্যের সপক্ষে কোন প্রমান দেখাননি।
দাদার কথা বললেও নানা লিলমিয়া রেজাকারের কথা এড়িয়ে গেছেন।
পিয়াস নিজে রাজাকার ছিলেন না। রাজাকার হলেও সমস্যা ছিল না।অনেক রাজাকারই প্রানের ভয়ে বিপাকে পরে রাজাকারি করেছে।
রাজাকার পুত্র হলেও সমস্যা ছিল না।
মুল সমস্যা হচ্ছে উনি কট্টর ভাবে রাজাকারি আদর্শ ধারন করতেন,
অবলিলায় টকশোতে ৭১এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে বক্তব্য দিতেন।
দেশের আলো বাতাস খেয়ে, দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে জন্মভূমির বিরোধী করা, শত্রুপক্ষ, গনহত্যাকারিদের উলঙ্গ ভাবে সমর্থন করা কোন কুলাঙ্গার পবিত্র শহীদ মিনারে স্থান পেতে পারে না। পায়নি।
পিয়াসরা ইতিহাসের অস্তাকুড়েই থাকবে।
বাংলার মাটিও ওদের লাশ নিতেও লজ্জায় কুঁকড়ে যাবে!
বিতর্কিত ড.পিয়াস করিম
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: সুশীল রা এই নিউজ টা পড়ে দেখতে পারেন ।
Piash’s family: Shaheed Minar was not our choice
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, আজকে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সব টিভির স্ক্রলে যাচ্ছে একটু কষ্ট করে দেখবেন কি।
''দেশের আলো বাতাস খেয়ে, দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে জন্মভূমির বিরোধী করা, শত্রুপক্ষ, গনহত্যাকারিদের উলঙ্গ ভাবে সমর্থন করা কোন কুলাঙ্গার পবিত্র শহীদ মিনারে স্থান পেতে পারে না। পায়নি।''
আপনাদের সুরে কথা না বললেই সে রাজাকার এটা সবাই জানে মি বৈশাখী।
পিয়াস করিম রাজাকারের পক্ষে কবে কোথায় কথা বলেছেন একটু বলবেন কি? যেন সুষ্ট বিচার হয় এবং দল মতের উর্ধে বিচার হওয়া উচিত এবং যে দলেই থাকুক সব যুদ্ধাঅপরাধীর বিচার হওয়া উচিত বলে বার বার বলেছেন এখানে পক্ষ বিপক্ষ কোথায় পেলেন??
''৭১এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে বক্তব্য দিতেন।'' আপনার এমন অভিযোগের স্বপক্ষে কোন প্রমান দেখাতে পারবেন?? সরকারের বিপক্ষে কেউ কথা বললেই সে রাজাকার বা যুদ্ধাঅপরাধী এমন ধ্যান ধারনা পরিত্যাগ করুন ভাইজানগন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: তথ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের যে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে -আস, এটার মানেটা বুঝলাম না। আস কি, একটু ব্যাখ্যা করবেন???