নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার চিরে আনবো বিজয়

কোনো বাধাই আমাদের রুখতে পারবেনা

ফারুক মৃধা

আমি পেশায় ১ জন ছাত্র।

ফারুক মৃধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের বিদ্যুত বিপর্যয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে কি মেসেজ দিলো ? X(

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০২



বাংলাদেশে আজকের বিদ্যুত বিপর্যয়ের ঘটনা , বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে। কারণ সারা দেশে এক সাথে বিদ্যুত চলে যাওয়ার,এই ধরনের নজির নেই..ভারত থেকে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করে..অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের কথা অনুযায়ী দেশে বিদ্যুত উত্পাদন যদি ১০ হাজার মেগাওয়াট হয়,তাহলে বাকি ৯৫০০ মেগাওয়াট কোথায় গেল ?? নাকি ভারত থেকে আরো বেশি বিদ্যুত আমদানি হয় ? ভারতে যেখানে ২৫% মানুষ এখনো বিদ্যুত পায়নি , সেখানে কোন স্বার্থের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে বিদ্যুত দিয়েছে ভারত ??



বর্তমানে অবৈধ শেখ হাসিনা সরকার সামিট গ্রুপ ও আওয়ামীলীগের ব্যবসায়ীদের কুইক রেন্টালের নামে হরিলুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।কুইক রেন্টালের কারণে বছরে দেশের ক্ষতি ৬ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। যা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ ও তাদের আইটি উপদেষ্টার পকেটে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গত ৫ বছরে শুধু কুইক রেন্টাল দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের পকেটে গেছে ৩১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। যা বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছরের মোট বিদ্যুত বাজেটের আড়াই গুন বেশি।



উল্লেখ্য গত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছরে মোট বাজেট ছিলো ১৩ হাজার কোটি টাকা। যদি ও মইন ফখরুদ্দিন গংরা ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অপপ্রচার করেছিলো। যেখানে মোট বাজেট ছিলো ১৩ হাজার কোটি সেখানে ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয় কেমনে ?







দেশের বিদ্যুত খাত, প্রথমে কুইক রেন্টাল দিয়ে হরিলুট করে পরে কিছু অংশ ভারতের উপর তুলে দিয়েছে। এই তুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি হুমকির মুখে পড়েছে।



বিএনপির আমলে এর চেয়ে ও কম লোডশেডিং এর কারণে, আওয়ামী জঙ্গিদের উস্কানিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো। শেখ হাসিনা সরকার আজকে এই রকম কিছু হবে অনুমান করে,দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজিবি মোতায়েন করেছিলো।







যেহেতু বাংলাদেশে কার্যত বিরোধী দল নাই , এই কারণে মানুষগুলো ও হিজরা হয়ে গেছে। তাই কেউ রাস্তায় নামে নি।

যাই হোক মানুষ নামুক বা না নামুক , ভারত আমাদেরকে অনেকটাই পরাধীন করে দিয়েছে বিদ্যুত সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে।



ভারত আজকে যেই মেইন মেসেজটা দিয়েছে তা হলো , ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোনো মেরুদন্ড বহনকারী সরকার যদি ভারতের কথা মত না চলে অথবা ভারতকে হাসিনার মত সুযোগ সুবিধা না দেয় তাহলে ভবিষ্যতে ওই সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে ভারত বিদ্যুতকে টার্ম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করবে ।



তাই ভবিষ্যতে যদি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সরকার আসে তাহলে , নিজেদের ক্ষমতা রক্ষা করতে এবং বাংলাদেশ যদি সত্যিকারের স্বাধীনতা উপভোগ করতে চায় , তাহলে ভারত থেকে দ্রুত বিদ্যুত নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে হবে। নাহলে ভারতের কথা অনুযায়ী হাসিনার মত পুতুল সরকার হিসেবেই ক্ষমতায় থাকতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এত তথ্য কই পান রে ভাই? :| :|

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০১

কাঠ পাতা বলেছেন: তাইলে তো বাংলাদেশ কে দখল করতে কোনো যুদ্ধ করার দরকার নাই। শুধু মাএ বিদ্যুত বন্ধ করে দিলেই আমরা ৩ দিন এর মধ্যে আত্মসমর্পন করব ।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২

আদরসারািদন বলেছেন: ওরে নবীন, ওরে আমার কাচা! আমরা হলেম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভবিষ্যতে যদি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সরকার আসে তাহলে , নিজেদের ক্ষমতা রক্ষা করতে এবং বাংলাদেশ যদি সত্যিকারের স্বাধীনতা উপভোগ করতে চায় , তাহলে ভারত থেকে দ্রুত বিদ্যুত নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে হবে। নাহলে ভারতের কথা অনুযায়ী হাসিনার মত পুতুল সরকার হিসেবেই ক্ষমতায় থাকতে হবে ...

সরকারের নিরবতাই সকল তথ্যে বাতাস দিচ্ছে।

সরকার কেন স্পষ্ট করে বলছে না স্পেসিফিক কি কারণে এই বিপর্যয়?

যারা সরকারের দালালী করছেন তারা জানলেও বলুন। তথ্য উপাত্ত সূত্র দিন।

না খালি বাতাসে গুলী ছোড়া!!!

কোন সুস্থ মানুষ দেশের প্রাণ জ্বালানী, বিদ্যুত, খাদ্য, শিক্ষা ভিন্ন দেশের উপর এমন নির্ভরশীল হতে পারে না- যেমন টা হয়েছে বর্তমানের অনির্বাচিত আওয়ামী সরকার!!

আ কালকের ঘটনা এক বিশাল সতর্ক সংকেত। জাতি হিসেবে যারা দেশকে ভালবাসেন সকলেই বাস্তবতা নিয়ে ভাববেন-বলবেন। আর যারা অন্ধ ভারতানুগত তাদের কথা ভিন্ন!

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মাহাদি হাসান বলেছেন: একটু ভাবুন তো বিদ্যুত উৎপাদনে ইনডেমনিটি বিল পাশ করানোর হেতু কি? প্রথমত যারা বিদ্যুত নিয়ে পড়াশোনা করে থাকেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা অনায়াশেই বলতে পারবেন যে বিদ্যুত উৎপাদনের সাথে এই ধরনের আইন পাশ করা কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।
কিন্তু আওয়ামী লিগের কাছে বিদ্যুত উৎপাদনের চেয়ে ইনডেমনিটি বিল পাশ করানোই ছিল গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। পাবলিকের টাকা পকেটস্থ করার জন্য মানুষের প্রয়োজনীয় প্রত্যহ ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর মনোপলি সৃষ্টি করার চেয়ে আর কি ভাল পদ্ধতি থাকতে পারে অধিক মুনাফা করার? বিদ্যুত তেমনি একটি বিষয়। যা ব্যতীত আধুনিক সভ্যতা কল্পনা করা কঠিন।

কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের মাথায় বিদ্যুতের স্থায়ী সমস্যার সমাধান কোন প্রাধান্য পাবার বিষয় ছিল না। কুইক রেন্টালের নামে কুইকলি দলীয় নেতাকর্মি আর ব্যবসায়ীদেরকে হাতে জনগনের টাকাকে তুলে দিতে তারা প্রথম থেকেই এই পরিকল্পনা করে আসছিল। আজকে কুইক রেন্টালের মালিকানার দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। জনগনের টাকাকে ভর্তুকি হিসেবে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একারনে তৈরী হয়েছে সরকার আর ব্যবসায়ীদের একটা অশুভ নেক্সাস। ফ্যাসিবাদের উত্থানের পিছনে এদের ভুমিকাকে অস্বীকার করে কোন বিশ্লেষন দাড় করানোই ভুল হবে। সেদিক থেকে ফারুক মৃথা সামিট পাওয়ারের কথা তুলে ধরেছেন।
সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল বিদ্যুত উৎপাদনের পুরো ব্যাপারটাই অধিকাংশ প্রাইভেট সেক্টরের হাতে তুলে দেওয়া, কিন্তু সংকটকে লুটের জন্য ব্যবহার করতে গিয়ে নয়াউদারনীতির মার্কেট রীতিনীতিকে তারা ভঙ্গ করেছে। সাবেক এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান আনিসুল হক, সামিটের ফারুক খানদেরকে দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন কেন করাতে হবে তা জনগন বোঝে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৮

রাজীব বলেছেন: ভারতও কিন্তু ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানী করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.